নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রূপম

আমায় ভাসাইলি রে , আমায় ডুবাইলি রে ....

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়

ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার...

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

খোদা কে লিয়ে (In the name of God) : মৌলবাদীদের জন্য একটি মাস্ট ওয়াচ মুভি

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৫

মুভি রিভিউ লিখি নাই । মুভি রিভিউ আমি লিখতেও জানিনা । আমার উদ্দেশ্য শুধু এই মুভিটি সম্বন্ধে এখনো যারা অবগত নন , তাদেরকে এটি সম্পর্কে সামান্য কিছু জানানো ।



কিছু কিছু মুভি থাকে যেইগুলা দেখার পর এইগুলা নিয়ে কিছু বলতে, কিছু লিখতে , অন্তত ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিতেও ইচ্ছা করবে। পাকিস্তানী মুভি খোদা কে লিয়ে হচ্ছে সেই রকমই একটা মুভি।



পাকিস্তানী জিনিসের প্রতি অনেকেরই অনেক ধরণের চুলকানি থাকতে পারে , আমারো আছে , থাকাটাই স্বাভাবিক । কিন্তু পাকিস্তানী কোন মুভিতেই যদি টেরোরিজমের বিরুদ্ধে , ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে , ধর্মের নামে পাপ কাজ গুলোকে জিহাদ বলে চালিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে ম্যাসেজ থাকে তাহলে সেই পাকিস্তানী জিনিসকে , সেই পাকিস্তানী মুভিকে গ্রহণ করতে আমার আপত্তি কোথায় ? বিশ্বায়নের এই যুগে এইরকমটাই তো হওয়া উচিত । যদিও আমরা করছি তার উল্টোটা , ভালোটা গ্রহণ না করে , গ্রহণ করছি খারাপটা ।



যাই হুক , এইবার আসল ব্যাপারে আসি , এইবার মুভির ব্যাপারে কিছু বলি ।







খোদা কে লিয়ে (ইন দ্যা নেইম অব গড) ২০০৭ সালে পাকিস্তানে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি উর্দু সিনেমা । পাকিস্তানে ব্যাপক সাফল্যের পর হিন্দীতেও এটি রিলিজ করা হয় ভারতে । পরবর্তীতে অবশ্য আরবী , ইংরেজী সহ আরো কয়েকটি ভাষায়ও পরিচালক মুভিটিকে রিলিজ করেন সারা বিশ্বেই ।



আইডিএমে ৮.২ রেটিং প্রাপ্ত মুভিটির কাহিনী লিখেছেন শোয়েব মনসুর । প্রযোজনা ও পরিচালনাও তারই । যারা অভিনয় করেছেন তাদের বেশীরভাগই পাকিস্তানী অভিনেতা , তাদের কাউকেই চিনিনা বলে নামও বলছি না । তবে ছবিটিতে সব চাইতে কম সময়ের কিন্তু সব চাইতে গুরুত্তপূর্ন একটি পার্ট করেছেন ভারতীয় অভিনেতা নাসিরউদ্দীন শাহ ।



ধর্মীয় গোঁড়ামি , এবং সেটাকে পুঁজি করে গড়ে উঠা বিভিন্ন টেরোরিস্ট সংঘটনের কার্যকলাপ , নাইন ইলাভেনের পর টেরোরিস্ট সন্দেহে সাধারণ মুসলমানদের উপর এফ বি আই এর নির্যাতন; মূলত এই সকল বিষয়ের উপরই নির্মিত হয়েছে ছবিটি । আপাতদৃষ্টিতে মুভিটির প্লট অতি সাধারণ মনে হলেও

মুসলামন-ক্রিশ্চিয়ান বিয়ে , ধর্মের কথা বলে, জিহাদের কথা বলে মানুষকে ব্রেইন ওয়াশ করা, টেরোরিজমের পথে ধাবিত করা , মেয়েদের উপর নির্যাতন করা , নারী শিক্ষার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এইসব বিষয়কে পরিচালক খুব সুন্দরভাবে , বাস্তবতার সাথে তুলে ধরতে পেরেছেন বলেই মুভিটি এতো সফলতা অর্জন করতে পেরেছে ।




মুভিটির মূল দুই চরিত্রে আছেন দুই ভাই সারমদ এবং মনসুর। ছোটবেলা থেকেই সেক্যুলার মানসিকতা সম্পন্ন ফ্যামিলিতে বড় হয়ে উঠা এই দুই ভাইয়েরই ছিলো গান বাজনার প্রতি প্রবল আগ্রহ । নিজেরাও গাইতেন , কট্টর মোল্লাদের তীব্র বাধার মুখে স্টেজেও পার্ফরম করতেন ।



বন্ধুর পরামর্শে একদিন হটাৎ করেই সারমদ দেখা করেন মোল্লা তাহিরির সাথে । মোল্লা তাহিরি ছিলেন ধর্মীয় নেতার আদলে তালেবান জঙ্গীর একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা । কোরআন হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মোল্লা তাহিরি সারমদকে বুঝাতে শুরু করেন যে , গান বাজনা ইসলামের চোখে হারাম । সারমদের এই সুর আল্লাহ দিয়েছেন আল্লাহর স্তব করার জন্য, আযান দেয়ার জন্য; শরিয়ত বিরোধী কাজের জন্য নয় ।



মোল্লা তাহিরির করা ব্রেইনওয়াশে প্রভাবিত হতে থাকেন সারমদ , এবং ধীরে ধীরে গান বাজনা ছেড়ে দিয়ে তিনিও তালেবানে যোগ দেন জিহাদের জন্য , ঈমানি দায়িত্ব ( মোল্লা তাহিরের ভাষ্যমতে) পালন করার জন্য ।




সারমদের বড় ভাই মনসুর সঙ্গীতে উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার জন্য শিকাগো যান এবং নাইন ইলাভেনের পর জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হন ।



সারমদ এবং মনসুরের চাচাতো বোন(মেরি/মরিয়ম) লন্ডনে থাকেন , এবং ক্রিশ্চিয়ান ছেলের সাথে তার গভীর প্রণয় থাকে। কিন্তু মেয়ের এই সম্পর্ক মেনে নেন নি তার বাবা । এই হারাম(!) কাজের হাত থেকে মেয়েকে রক্ষা করার জন্য মেয়েকে নিয়ে আসেন পকিস্তান , মেয়ের অমতেই বিয়ে দিতে চান নিজের বড় ভাইয়ের ছোট ছেলে সারমদের সাথে ।

সারমদের বাবা মা এই বিয়েতে রাজী না হওয়ায় মোল্লা তাহিরির নির্দেশে মেয়েকে নিয়ে যান পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এক গ্রামে । সেখানেই মেয়ের অমতে বাবা জোর করে বিয়ে দেন সারমদের সাথে ।



তালেবান অধ্যুষিত ঐ গ্রামে মেরি (সারমদের স্ত্রী) এর উপর করা নানা ধরণের নির্যাতন,সারমদের জঙ্গি জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা এগুলোর উপর ভিত্তি করেই এগুতে থাকে সিনেমাটি ।



কিভাবে কি হয়েছে এবং নাসিরউদ্দীন শাহ'র এই মুভিতে কি ভূমিকাই আছে সেটা জানতে হলে দেখতে হবে মুভিটি ।

তবে আগেই বলেছি এবং এখন আরেকবার বলে নিচ্ছি যে , নাসিরউদ্দীন শাহ'র পার্ট টাই সিনেমার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে , এবং ইসলাম সম্বন্ধে মোল্লা তাহিরির কাছ থেকে যা জেনেছিলেন সারমদ সেটা যে ভুল ছিলো সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছে ।



মুভিটি মিথ্যে প্রমাণ করে দিয়েছে ইসলাম সম্বন্ধে বিভিন্ন মানুষের ফ্যানাটিজম । মুভিটির কিছু গুরুত্তপুর্ন লাইন এবং তার প্রেক্ষাপট আমি কোট করছি ,



ইসলামি পোশাকের ব্যাপারে মুভ্যিটিতে বলা হয়েছে,

"Dressing is a part of culture,not of religion."




দাড়ির রাখার ব্যাপারে বলা হয়েছে যে , The beard is

a part of religion not the vice versa .

Beard is not the begining of love,

its the zenith of love ."




"Even Abu jahel had the beard ,

and his dress too was no different

than the prophet's . Bring a change in the inside,rather than the outside .

Light a fire inside,it will come out on its own ."




৯/১১ এর পর মুসলমানদের উপর করা নির্যাতনের ব্যাপারে মুভিটিতে বলা হয়েছে যে,

"I can't hate all Americans, because

some of them have done injustice to me .

In the same way, please don't hate

all muslims, because some of them

have done harm to your country. "




মুভিটির ডাউনলোড লিঙ্কঃ টরেন্ট



আইডিএম



উৎসর্গঃ তোমরা যারা হেফাজত কিংবা শিবির করো

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: ম্যুভিটা দেখেছি। চমৎকার একটা ম্যুভি। আপনার কথাগুলো খুব ভালো লাগলো ভাই।
পাকিস্তানী জিনিসের প্রতি অনেকেরই অনেক ধরণের চুলকানি থাকতে পারে , আমারো আছে , থাকাটাই স্বাভাবিক । কিন্তু পাকিস্তানী কোন মুভিতেই যদি টেরোরিজমের বিরুদ্ধে , ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে , ধর্মের নামে পাপ কাজ গুলোকে জিহাদ বলে চালিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে ম্যাসেজ থাকে তাহলে সেই পাকিস্তানী জিনিসকে , সেই পাকিস্তানী মুভিকে গ্রহণ করতে আমার আপত্তি কোথায় ? বিশ্বায়নের এই যুগে এইরকমটাই তো হওয়া উচিত । যদিও আমরা করছি তার উল্টোটা , ভালোটা গ্রহণ না করে , গ্রহণ করছি খারাপটা ।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪০

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় খেয়াঘাট !

মুভিটা আমি দুই দিন ধরে যাকে পাচ্ছি তাকেই রিকমেন্ড করছি । আপনিও করবেন আশা রাখি ।

২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

সুদীপ্ত কর বলেছেন: অনেক ভালো একটা মুভি।

Where is the bride? When will she come? - বড়ই প‌্যাথেটিক একটা সিন :(

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪১

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: হুম , ভালো একটি সংলাপ মনে করিয়েছেন সুদীপ্ত দা ...

বড়ই প্যাথেটিক !

৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫০

রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: চরম লিখছেন। মুভিটি দেখিনি। তবে দেখতে হবে। ++

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪২

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: অবশ্যই অবশ্যই দেখবেন মিতা ।

দেখে কেমন লাগলো সেটাও জানাবেন ।

৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
"Dressing is a part of culture,not of religion."

এই কথাটা যে কতজনকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি :(

দেখব।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৫

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ধন্যবাদ । দেখে কেমন হলো জানাবেন ।

আর আশে পাশের যাকে পাবেন বিশেষ করে যাদের উৎসর্গ করেছি তাদের রিকমেন্ড করবেন । :)

৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: উৎসর্গঃ তোমরা যারা হেফাজত কিংবা শিবির করো

;) ;) ;) ঝাঝালো হয়েছে মন্ত্রী !
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ধর্মের জন্য ক্ষতিকর , এই চিরসত্য কথাটা ধর্ম ব্যাবসায়ীদের মাথায় ঢুকানো অসম্ভব!
গুড পোষ্ট !

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৭

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: হাহাহা ধন্যবাদ অভি ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।

ভালো থাকবেন ।

৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার লিখেছ !!!। দেখার ইচ্ছে হচ্ছে। ডাউনলোড দিব। থ্যাংক ফর শেয়ার ম্যান!

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৯

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: হাহা ... দুই দিন ধরে এই এক জিনিসই ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে যাচ্ছি , আজকে ব্লগেও দিলাম ।

দেখে কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন । নিজে থেকে না জানালেও চলবে , আমি গুতা মেরে জেনে নিবো :P

৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালোই মুভিটা। তবে ৮.২ পাওয়ার মত না।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫১

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: মুভির কন্টেন্টটা চমৎকার । পাকিস্তানের মতো জায়গায় বসে এই ধরণের মুভি বানিয়েছে বলেই হয়তো রেটিং স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশী পেয়েছে ।

৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

একজন আরমান বলেছেন:
দারুন পোস্ট। খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছো।

ইসলামি পোশাকের ব্যাপারে মুভ্যিটিতে বলা হয়েছে,
"Dressing is a part of culture,not of religion."


এই ব্যাপারটাতে দ্বিমত আছে। কোরআন শরীফেই বলা আছে মেয়েদের পর্দা করা ফরজ মানে অবশ্য পালনীয়। এবং ছেলেদের ক্ষেত্রেও আছে ! পায়ের গোড়ালির নিচে আমরা যে প্যান্ট পরি এটা হারাম মানে নিষেধ !

এইগুলি ধর্মীয় গোঁড়ামি না। যারা বলে গোঁড়ামি তারা নিজেরা আইন মানে না বলে আইনকে নিজের মতো করে নিতে চায় আর না পারলে বলে সো কলড ব্যাকডেটেড। আমরা অনেকেই অনেক ধর্মীয় রীতি মানি না, তাই বলে সেটাকে গোঁড়ামি বলাটা অনুচিত।

আর দাড়ি রাখার ব্যাপারটা ফরজ না, নফল ! মানে না রাখলে পাপ হবে না।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৪

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: আর কেউ না দেখলেও আপনার অন্তত মুভিটা দেখা উচিত । পোশাক আশাকের ব্যাপারটা চমৎকার ভাবে কোরানের রেফারেন্স সহ বুঝিয়ে বলা হয়েছে মুভিটাতে । শুধুমাত্র আমার ওই এক লাইনের রেফারেন্স পড়েই বিষয়টা বুঝতে পারবেন না ।

আপনার কি মনে হয় , যিনি এই বিশ্বসংসার সৃষ্টি করেছেন তিনি তার গুণগ্রাহীদের জন্য , তার ইবাদতের জন্য একটি মাত্র পোশাককে নির্দিস্ট করে দিবেন ?

সাইবেরিয়ার কেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলো , তখন কি আপনি তাঁকে বলবেন যে , আগে প্যান্ট গোড়ালির উপর তুলো , তারপর ইবাদত করো ??

৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

মামুন রশিদ বলেছেন: দারুণ লিখেছেন মন্ত্রী । বিশেষ করে নিচে পাদটিকায় কোট করা কথাগুলো অসাধারণ । কোন ধর্মই অমঙ্গলকর কিছু বলেনা, কিন্তু ব্যক্তি বা গোষ্ঠিস্বার্থে ধর্মের বিভিন্ন ব্যাখ্যা পরিবর্তন করে মৌলবাদিরা নিজেদের মত ব্যবহার করে ।

ছবিটা দেখার ইচ্ছে থাকলো । পোস্টে ভালোলাগা+

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১০

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: "কোন ধর্মই অমঙ্গলকর কিছু বলেনা, কিন্তু ব্যক্তি বা গোষ্ঠিস্বার্থে ধর্মের বিভিন্ন ব্যাখ্যা পরিবর্তন করে মৌলবাদিরা নিজেদের মত ব্যবহার করে । "


চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মামুন ভাই ।

১০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১০

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ !

১১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২০

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: দারুন পোস্টে ++++++++++ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১০

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও ।

১২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫১

গৃহ বন্দিনী বলেছেন: মুভিটা দেখি নি তবে দেখার ইচ্ছা রইল ।


ইসলামি পোশাকের ব্যাপারে মুভ্যিটিতে বলা হয়েছে,
"Dressing is a part of culture,not of religion."


এই কথাটা একেবারেই ভুল । কারণ পোশাক দ্বারা কেবল একজন মানুষের কালচারই প্রকাশ পায় না সেই সাথে এটা শালীনতা রক্ষারও একটা বড় মাধ্যম ।

আর প্রতিটা ধর্মেই যেহেতু ব্যাক্তিগত শালিনতা রক্ষার ব্যাপারটা এক একভাবে বলা আছে সেহেতু কোনভাবেই ড্রেসিংকে ধর্মের বাইরে নেয়া যায় না। (ইসলামে এই বিষয়টা সুস্পষ্টভাবে বলা হওয়াতে ইসলামবিদ্বেষীরা এইটা কে নিয়ে ইস্যু বানায় আর কি) ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৪

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: আপনার মাথার চুল খোলা থাকলে আপনি কিভাবে অশালীন হয়ে যান সেটা সত্যিই আমি বুঝি না । এইগুলো আমার কাছে ফ্যানাটিজমই মনে হয় । আপনি আমাকে ইসলাম বিদ্বেষী বলতে পারেন , তবে আমি যুক্তিবাদী মানুষ ।

দেখুন, শালীনতা অশালীনতা এইগুলা কিন্তু কালচারেরই বৈশিষ্ট । আমেরিকার কোন শর্ট স্কার্ট মরা মেয়ে দেখলে আপনারাই বলেন, "এদের কালচারই এই রকম ।"

কিংবা বাংলাদেশের কেউ টপ্স পড়লে বলেন , "ওয়েস্টার্ন কালচার আমাদের সংস্কৃতিকেই নষ্ট করে দিয়েছে । "

যাই হুক , শালীনতা রক্ষাটা এক এক ধর্মের মানুষের ক্ষেত্রে কিভাবে এক এক রকম হতে পারে সেটা আসলেই বুঝতে পারছি না ।

আমার তো মনে হয় , এক এক ধর্ম নয় , এক এক কালচারে শালীনতার সংজ্ঞাটা এক এক রকম দেয়া আছে ।

এই যেমন, ওয়েস্ট্রার্ণ কালচারে মেয়েরা তাদের উরু কিংবা বুকের অর্ধেকটা দেখালেও লোকে তাঁকে অশালীন বলবে না , কিন্তু বাঙালি কালচারে স্লিভলেস ব্লাউজ পড়ে পিঠের সামান্য অংশ দেখালেই আপনি অশালীন হয়ে যাবেন ।


১৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: এইটা দেখছি মুভিটা। ভালো একটা মুভি! একটা গানও আছে অনেক সুন্দর

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: হুম অনেক চমৎকার মুভি ।

১৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: পোষ্টকি কে যদি দারূন না বলি হয়তো বলবেন আমি মৌলবাদি। আর যদি পক্ষে বলি বলতে হয়তো হবেনা আমি কি।
একটা প্রশ্ন জাগে এই মৌল +বাদ এইটা আবার কি জিনিষ
যার ব্যাখ্যা করলে কি দাড়ায় একটু কি গুনি জনেরা বলবেন?
লেংটা আর বেহায়াপনা যদি সেকুলেজম হয় ধর্মগোষ্টি বলেত কিছু আছেরে ভাই? আমি মোসলমান আমি যদি আমার ধর্মের কথা বলতে গিয়ে হয়ে যাই মৌলবাদী আর যারা অন্যধর্মের কথা বা প্রথা চালু করলে হয় ক্লালচারাল তাইলেত দেখি অসমতা শুধু চিন্তার মাঝে নয় দালালীপনাই বুঝায়।
যাইহোক মুভিটা নিয়ে কথা বলা চাই । দেখি নাই তবে দেখব। আপনার বর্ননা ভাল লাগছে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: আমার পোস্টের কোথাও কি কাউকে লেংটা আর বেহায়াপনা করতে বলা হয়েছে ভাই ??

সেক্যুলিজমের সংজ্ঞা মানে ধর্মহীনতা নয় কখোনই । ধর্মের কথা বললেও কেউ মৌলবাদী হয় না । মৌলবাদী কিভাবে হতে হয় তা তালেবানকে দেখে শিখতে পারেন ।

ধন্যবাদ , আমার পোস্টের উদ্দেশ্য যেহেতু ধর্ম নিয়ে আলোচনা করা নয় , তাই ঐ দিকে গেলাম না । ভালো থাকবেন ।

১৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

লেখোয়াড় বলেছেন:
এটা মৌলবাদীদের দেখিয়ে কোন লাভ হবে না।
কারণ তারা যা বিশ্বাস করে তা থেকে তারা একচুলও নড়বে না। তা যতই খারাপ বা ক্ষতিকারক হোক না কেন।

তারা মনে করে তারাই দুনিয়ার সবচাইতে সেরা আর ভাল। এই জন্যই তারা বোকা, অন্ধ আর ধ্বংসাত্বক।

তবে যারা বোঝে তারা ছবিটি দেখতে পারে। কারণ তারাই সমাজের জন্য কল্যাণকর।

ধন্যবাদ মন্ত্রী।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: তারা মনে করে তারাই দুনিয়ার সবচাইতে সেরা আর ভাল। এই জন্যই তারা বোকা, অন্ধ আর ধ্বংসাত্বক।


সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই । আশা করি তাদের মধ্যে শুভ বুদ্ধির উদয় হবে ।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা ।

১৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মুভি রিভিউ ভাল হয়েছে। + নাসিরউদ্দিন শাহ আমার অন্যতম প্রিয় অভিনেতা ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫১

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: নাসিরউদ্দিন শাহ আমারো অনেক পছন্দের একজন অভিনেতা ।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা সেলিম ভাই । ভালো থাকবেন ।

১৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪২

পথহারা নাবিক বলেছেন: কোরআন হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মোল্লা তাহিরি সারমদকে বুঝাতে শুরু করেন যে , গান বাজনা ইসলামের চোখে হারাম । সারমদের এই সুর আল্লাহ দিয়েছেন আল্লাহর স্তব করার জন্য, আযান দেয়ার জন্য; শরিয়ত বিরোধী কাজের জন্য নয় ।


এইখানে ভুল ব্যাখ্যাটা কি!!

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: গান বাজনা কোন শরিয়ত বিরোধি কাজ নয় ।

ধন্যবাদ ।

১৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ইসলাম ধর্মের বিধি মতে পোশাক শালিন হতে হবে । এটুকুই ।

পোশাকের উপর সংস্কৃতি আর ভুগোল এর প্রভাব আছে , থাকবে ,
এই আর কি ।

মানুষ তার বিবেক বুদ্ধি খাটাক এটাই চাওয়া ।
মাঝে মাঝে ভাবি মানুষের মনে এত নিষ্ঠুরতার জন্ম কোথা থেকে হয় ।



নাসিরউদ্দিন শাহ আমার প্রিয় অভিনেতা ।

পোস্ট ভাল লাগল । এমন পোষ্টে আসলে গতানুগতিক মুভি রিভিউ লাগে না ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: জী ভাই । কোন ধর্মই বলে না যে তুমি অশালীন হয়ে যাও । পোশাক আশাক সব শালীনতার বিষয় । এর উপর কালচারের যথেস্ট প্রভাব রয়েছে । এই জন্যই একই ধর্মের লোকের পূর্বে এক ধরণের ড্রেস আপ , পশ্চিমে আরেক ধরণের ড্রেস আপ ।

যতক্ষন না পর্যন্ত কারো পোশাক শালীনতাকে ক্রস না করে ততোক্ষন পর্যন্ত তাঁকে নিষিদ্ধ বলা যায় না ।


সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ , সাথে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ভাই ।

১৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৬

বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: ইসলামি পোশাকের ব্যাপারে মুভ্যিটিতে বলা হয়েছে,
"Dressing is a part of culture,not of religion."

মানুষের মনের সুপ্ত বাসনাকে কখনো পোষাক আর লেবাস দিয়ে দমিয়ে রাখা যায় না।

নাম শুনেছি কিন্তু মুভিটা এখনও দেখা হয়নি। সময় হলো দেখবো। পোষ্টটি ভাল লাগল।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৭

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ধন্যবাদ , সময় করে দেখে নিবেন ।

আর আরেকবার আসলে নিকের অর্থটা বলে যাবেন ।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা ।

২০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

একজন আরমান বলেছেন:
আপনার কি মনে হয় , যিনি এই বিশ্বসংসার সৃষ্টি করেছেন তিনি তার গুণগ্রাহীদের জন্য , তার ইবাদতের জন্য একটি মাত্র পোশাককে নির্দিস্ট করে দিবেন ?

নির্দিষ্ট করার আমি কেউ না। যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনিই নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। কোরানেই নির্দিষ্ট করে বলা আছে পোশাকের ব্যাপারে।

সাইবেরিয়ার কেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলো , তখন কি আপনি তাঁকে বলবেন যে , আগে প্যান্ট গোড়ালির উপর তুলো , তারপর ইবাদত করো ??
ঐ যে বললাম আমি বলার কেউ না। মানা কিংবা না মানাটা আমার ব্যাপার, কিন্তু আমি নিয়ম পরিবর্তন করতে পারি না। কোরানেই আল্লাহ্‌ বলে দিয়েছেন পোশাকের ব্যাপারে। সাইবেরিয়ার কেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহন করলে অবশ্যই তাকে ইসলামিক রীতিনীতি মানতে হবে। হ্যাঁ, তাকে বলবো আগে প্যান্ট গোড়ালির উপর তোলো তারপর ইবাদত করো। কারণ টাকনুর নিচে কাপড় থাকলে নামাজ পড়লে সেই নামাজ ই কবুল হবে না।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩২

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: হাহাহা আরমান ভাই , সাইবেরিয়ার টেম্পারেচার নিশ্চই জানেন ? সর্বদাই হিমাঙ্কের নীচে থাকে ঐখানকার তাপমাত্রা । এমন অবস্থায় গোড়ালির উপর প্যান্ট তুললে সে বাঁচতে পারবে না ।

আমি এই জন্যই ইচ্ছে করেই এই উদাহরনটা দিয়েছিলাম ।

ভালো থাকবেন , নতুন বছরের শুভেচ্ছা ।

২১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪০

ডানাহীন বলেছেন: বিশ্বাসের অন্ধত্ব প্রায় অনিরাময়যোগ্য অসুখ , যে ওষুধ প্রেসক্রাইব করেছেন তা সামান্য হলেও কাজ করুক আশা রইল ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৪

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: বিশ্বাসের অন্ধত্ব প্রায় অনিরাময়যোগ্য অসুখ ।

তাই কি ? বিশ্বাস করতে হলে অন্ধ ভাবেই করতে হয় । কোন কিছুকে সত্যি বলে মানতে হলে যুক্তি স্থাপন করতে হয় ।

সত্য জিনিসকে বিশ্বাস করার প্রয়োজন নাই । সত্য তো সত্যই ।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা,ভালো থাকবেন ।

২২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: @লেখক @ একজন আরমান

আমি যতদুর জানি, টাকনুর নিচে কাপড় না নামাটা পুরুষের পর্দার অংশ না, বরং এটি অহংকার প্রদর্শনের একটা উপায় ছিল বলে বাড়ন করা হয়েছে, বেসিকটা হচ্ছে অহংকার বসত কাপড় ঝুলিয়ে পরা যাবে না।

আর জুতা বা মোজা যদি আপনি পরেন সেগুল টাকনুর উপর উঠে উঠেযেতেই পারে, সেই ক্ষেত্রেতো বারন নাই, বরং জুতা পড়ে নামাজো পড়া যায়। তাই সাইবেরিয়ান দের কোন সমস্যা হবার কথা নয়।

Ofcorse Dressing is a part of culture, it is the part of islamic culture & everyone who follows islam, should take islam as his or her life style,

আমরা সূরা নূর পড়ব না, বুঝার চেষ্টা করব না, আমাদের সময় নাই, কিন্তু পর্দা নিয়া ক্যাচাল করব, তা কি উচিৎ ??

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৫

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: না ভাই তা উচিৎ না । সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধইন্যা ।


নতুন বছরের শুভেচ্ছা ।

২৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

জাহিদ ২০১০ বলেছেন: @ একজন আরমান

আর দাড়ি রাখার ব্যাপারটা ফরজ না, নফল ! মানে না রাখলে পাপ হবে না।

ভাই কোথায় পাইলেন দাড়ি রাখা নফল। দাড়ি রাখা ওয়াজিব এবং সম্ভবত এই হাদিসটাও জানার কথা- মহানবী (সাঃ) বলেছেন, ‍‍‌' যে ব্যক্তি দাড়িতে ক্ষুর লাগাইলো সে যেন আমার কলিজায় ক্ষুর লাগাইলো"

আমি এক হুজুরের কাছে জিজ্ঞেস করছিলাম দাড়ি না রাখালে কি ধরনের গুনাহ হয়, সে আমাকে বলল যখন কেউ দাড়ি কাটে যতক্ষন পর্যন্ত দাড়ি একমুষ্টি না হবে ততক্ষন পর্যন্ত তার গুনাহ সবসময় লেখা হইতে থাকবে।

সন্দেহ হইলে মসজিদের কোন ভাল আলেমের নিকট জিজ্ঞেস করে নিলে ক্লিয়ার হবেন।

২৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



মুভিটা দেখি নাই তবে এখন মনে হচ্ছে দেখা লাগবে।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৬

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ধন্যবাদ কাণ্ডারি ভাই

২৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

একজন আরমান বলেছেন:
@মুদ্‌দাকিরঃ টাকনুর নিচে কাপড় রেখে নামাজ পড়লে সে নামাজ কবুল হবে?

@জািহদ২০১০ঃ হ্যাঁ জাহিদ ভাই, মনে পড়েছে। আমারটা ভুল ছিল। ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।

২৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪০

গৃহ বন্দিনী বলেছেন: বিতর্কিত বিষয় গুলো নিয়ে কথা প্যাচাইতে ভাল্লাগে না । তারপরও আপনার রিপ্লাইয়ের এই অংশটা নিয়ে কিছু না বলে থাকতে পারলাম না।

লেখক বলেছেন: আপনার মাথার চুল খোলা থাকলে আপনি কিভাবে অশালীন হয়ে যান সেটা সত্যিই আমি বুঝি না । এইগুলো আমার কাছে ফ্যানাটিজমই মনে হয় ।

দেখুন অন্য ধর্মের কথা তেমন জানি না তাই ইসলামের কথাই বলি ।

আমি যতদুর জানি মুসলিম মেয়েদের চুল অনাবৃত রাখাটা গুনাহর কাজ । কারণটা হল চুল নারীদের সৌন্দর্য প্রকাশের একটা উল্লেখযোগ্য মাধ্যম । আর ইসলামে নারীদের যেকোন ধরনের বাড়তি শারিরিক সৌন্দর্য প্রকাশ নিষেদ । এখানে শালীনতা অশালীনতার চেয়ে নারীদের নিরাপত্তার সার্থে কি ধরনের জীবনধারা হওয়া উচিত সেটাই বুঝানো হয়েছে । আশা করি আমার অল্পের জ্ঞানের মধ্যে আপনাকে বুঝাতে পেরেছি ।

ইসলামে প্রতিটি রুলস রেগুলেশনের যথেষ্ঠ ব্যাখ্যা আছে , আগ্রহ থাকলে একটু খোঁজ করলেই বুঝতে পারবেন সেগুলো।


আর একটা কথা, যেকোন কিছুকে নিজের মত ব্যাখ্যা দিয়ে , ফ্যানাটিজম মনে করার আগে একটু অথেনটিক সোর্স থেকে জানার চেষ্টা করবেন , এতে নিজের যুক্তি গুলোর ভুল শুদ্ধ বুঝতে সুবিধা হবে।

অনেক বড় কমেন্ট করে ফেললাম । যাইহোক ধর্ম কর্ম নিয়ে আমার নিজের দৌড় খুবই সীমিত । তবে যেটুকু বললাম সেটাতে আশা করি কারো কোন দ্বিমত নেই ।

নতুন বছরের অনেক শুভেচ্ছা রইল মাননীয় মন্ত্রি মহোদয়ের জন্য ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২০

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: দেখুন ব্যাখ্যা আমি অনেক খুজেছি । যেগুলো পেয়েছি ঐগুলা যুক্তিযুক্ত মনে হয় নি মোটেও ।

আপনার যুক্তি পড়ে মনে হলো যে, আপনি আগে থেকেই ধরে রেখেছেন আপনি যেটা জানেন সেটাই সত্যি , তারপর সেটার পেছনে যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা খুঁজতে বের হয়েছেন ।

এখানে শালীনতা অশালীনতার চেয়ে নারীদের নিরাপত্তার সার্থে কি ধরনের জীবনধারা হওয়া উচিত সেটাই বুঝানো হয়েছে ।

হাহাহা চুল দেখানোর ফলে আজ পর্যন্ত ঠিক কতজনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে । :)

যাই হুক , এটা কোন ধর্মীয় জিনিস নিয়ে তর্ক করার নিমিত্তে পোস্ট না , তবুও করে ফেললাম । দুঃখিত । এটাকে আর দীর্ঘায়িত করার প্রয়োজন নাই । ভালো থাকবেন ।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা ।

২৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৭

উৎস১৯৮৯ বলেছেন: কোরআন হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মোল্লা তাহিরি সারমদকে বুঝাতে শুরু করেন যে , গান বাজনা ইসলামের চোখে হারাম । সারমদের এই সুর আল্লাহ দিয়েছেন আল্লাহর স্তব করার জন্য, আযান দেয়ার জন্য; শরিয়ত বিরোধী কাজের জন্য নয়

এইটাতো ভুল কিছু বলে নাই।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১১

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: গান বাজনা ইসলামের চোখে হারাম নয় , শরিয়ত বিরোধী কোন কাজও নয় ।


ধন্যবাদ ।

২৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার একটা রিভিউ মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়।

ম্যুভিটা দেখেছিলাম বছর খানেক আগে। চমৎকার লেগেছিল। এবং ধর্মকে যারা নিজ উদ্দেশ্য পূরনের হাতিয়ার বানাতে চায় তাদের জন্য একটা দারুণ জবাব। আশা করি যাদের উৎসর্গ করা হয়েছে তারা এর অন্তর্নিহিত বক্তব্য বুঝতে পারবে।


নতুন বছরের শুভেচ্ছা :)

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১২

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: বুঝতে পারলেই রক্ষা ভাই ।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা আপনাকেও । :)

২৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৮

উৎস১৯৮৯ বলেছেন: লেখক বলেছেন: গান বাজনা ইসলামের চোখে হারাম নয় , শরিয়ত বিরোধী কোন কাজও নয় ।


ধন্যবাদ ।


ভাই আমি যতদুর জানি ইসলামে গান হারাম না কিন্তু গানের সঙ্গে বাজনা হারাম।

৩০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১২

উৎস১৯৮৯ বলেছেন: আজকেই সামুতে গান-বাজনা সম্পর্কে একটা পোষ্ট দেখলাম। এটা পড়ে দেখতে পারেন।

গান ও বাদ্যযন্ত্র : ইসলামী দৃষ্টিকোণ

৩১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২২

নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: ম্যুভিটা দেখেছি পাঁচ বছর আগে - অসাধারণ লেগেছিলো! স্রেফ অসাধারণ!

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৩২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৫

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: গুহা মানবদের জন্য

৩৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:২৮

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: ধন্যবাদ মন্ত্রী সাব :)

৩৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

অদৃশ্য বলেছেন:






ছবিটি দেখা হয়নি... পেলে দেখে নেব


শুভকামনা...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.