নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইকবাল সুমন

"ঘোড়ার ডিমের খোঁজে নয়, ডিমওয়ালা-ঘোড়ার খোঁজে...

ইকবাল হোসাইন সুমন

আমি ইকবাল সুমন। মাঝে মাঝে টুকটাক লিখা লিখি করি। এছাড়া কোন কিছু করি না।

ইকবাল হোসাইন সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্য রচনা

২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

আব্দুসসামাদ‬
২য় খণ্ড‬
(নিচে অন্য পর্বগুলোর লিঙ্ক দেয়া আছে)

- আব্দুসসামাদ, ও আব্দুসসামাদ, বাড়ি আছো নি? মাষ্টার মশাইয়ের খুব উদ্বিগ্ন কণ্ঠ শুনতে পেলাম।
- ও স্যার আপনি! এখনও সকালই হয়নি, আপনি কোথায় থেকে? এ সময় তো সিঁদকাটা চোরগুলো বাসায় ফিরে।
- বাসায় ফিরতে পারিনি গত কয়েকদিন। বাসায় মনে হয় আর ফেরা হবে না। সে এক বিরাট কাহিনী।
- কেন স্যার, ম্যাডাম কি বটি নিয়ে আপনারে দাবড়ানো দিয়েছিল? চিন্তা কইরে না স্যার। ম্যাডামরা সাধারণত এমনই হয়। বটি নিয়ে মাঝে মাঝে দাবড়ানো দিলেও, সত্যি সত্যি কোপ-টোপ মারে না। তাদের মন সত্যিই ভাল। দেখবেন, ম্যাডামের মন একদম ভাল হয়ে গেলে, হাত পাখা দিয়ে বাতাস করতে করতে ভাত খাওয়াচ্ছে। তখন বড়ই সুখের স্মৃতি স্যার।
- ও রে আব্দুসসামাদ, বউ যদি কেটে টুকরো করে নদীর জলে ভাসিয়ে দিত তাও আমার কোন দুঃখ ছিল না। হাসতে হাসতে ভেসে যেতাম। কিন্তু ব্যাপারটা খুবেই মারাত্মক। তুমি বলছিলা, রহিমুদ্দিন আমার নিশ্চিত চাকরী খাইবো, আমারে স্কুলে ঢুকতে দেবে না। আমার চাকরী খাক, স্কুলে ঢুকতে না দেক, এতে আমার দুঃখ ছিল না। কিন্তু ঘটনা হয়েছে তো উল্টো। সে আমার চাকুরীও খায়নি, স্কুলের সামনেও রামদা নিয়ে বসে থাকেনি। গত ৪ দিন ও আমার বাড়ির সামনেই বসে আছে। হাতে তো রামদা আছেই। তাছাড়া আমার বাড়ির সামনে পুরো এলাকার যত ময়লা আছে সব নিয়ে স্তূপ করছে। এলাকার লোকগুলোও তাকে বেশ সাহায্য করছে। গত ৪ দিন আমার বাড়ির সামনে থেকে সে একটা সেকেন্ডের জন্য নড়েও না ছড়েও না। এ ক'দিন আমি একটিবারের জন্যও বাড়িতে ঢুকতে পারিনি। এখন আমার অবস্থাটা বুঝ?
- স্যার, বাড়ি ঢুকার দরকার কি? মাঠে ঘাঁটে থাকেন, বনে বাদাড়ে থাকেন। সব মানুষ বাসা বাড়িতে থাকবে এমন কোন কথা নেই। কিন্তু ব্যাপারটা খুবেই ইন্টারেস্টিং স্যার। তো রহিমুদ্দিনের ওখানে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা কি?
- আর কি, এলাকার লোক সময়ে সময়ে খাওয়া দাওয়া দিয়ে যাচ্ছে।
- তাহলে বুঝেন স্যার। আপনার জনপ্রিয়তা কোন পর্যায়ে আছে। একদম তলানিতে আছে স্যার। আপনি বলছিলেন এবার নির্বাচনে দাড়াবেন। তো, নির্বাচনে দাড়ালে তো নিজের ভোটটাও পচায়ে ফেলতেন।
স্যার, আমার কিন্তু পুরো ব্যাপারটা শুনেই ভাল লাগছে। আজকেই যেয়ে দেখে আসতে হয়। কিন্তু স্যার, একটা কথা, রহিমুদ্দিনের ওখানে খাওয়ার ব্যবস্থা ঠিক আছে, কিন্তু থাকার ব্যবস্থা কি? খোলা আকাশের নিচে বেচারা নিশ্চয় খুব কষ্ট পাচ্ছে। আপনি একটা কাজ করেন না স্যার, ম্যাডামকে বলে রহিমুদ্দিনের জন্য থাকার একটা ব্যবস্থা করে দেন। বাইরে যে রোদ, বড়ই গরম স্যার। তার জন্য সুপেয় ঠাণ্ডা পানির ব্যবস্থাও করতে পারেন। তাহলে বেচারার অনেক উপকার হয়। আর একটি কথা স্যার, মাথার উপর তেরপল দিয়ে একটা ছাউনির ব্যবস্থা করতে পারেন। এটা বড়ই মানবিক ব্যাপার হবে স্যার।
- মনে হয় না আমার বউ এইসব করবে। তাছাড়া তার সাথে তো দেখা করব সে অবস্থাও নাই।
- তাহলে স্যার অন্য কাউকে দিয়ে একটা দানবাক্সের ব্যবস্থা করতে পারেন। এলাকার লোক রহিমুদ্দিনের জন্য ওখানে দান করবে। বাহিরে থাকাটা বেশ খরচের ব্যাপার স্যার। এতে করে রহিমুদ্দিনের কিছুটা হলেও উপকার হবে।

স্যার আমার দিকে খুবেই করুন দৃষ্টিতে তাকাল।

- সামাদ, আমি এখন কি করবো মাথায় কিছু আসতেছে না।
- রহিমুদ্দিনের কথা আপনি যেভাবে বিবরণ দিনের স্যার। আমিও খুব চিন্তায় পড়ে গেছি। আমার মনে হয় না রহিমুদ্দিন আর ওখান থেকে এক চুল পরিমাণ নড়বে। আপনি স্যার বাড়িতে ফিরে যাওয়ার আশা একদম ছেড়ে দেন।
- দেখ সামাদ, রহিমুদ্দিনকে ওদিন যা বলার তুমিই বলেছ। আমি তো কিছুই বলিনি। দেখ, বিপদটা এখন আমার ঘাড়ের উপর আসছে। এখন মনে হয় না ও তোমাকে আর কিছু করবে। সব এখন আমার উপর।
- জি স্যার আপনি ঠিকেই বলেছেন। জগতটাই এমন। যার বিপদে পড়ার কথা সে বিপদে পড়ে না। তার বিপদটা অন্য কারো ঘাড়ে পড়ে। এটাকে এক্টিং ভিক্টিম বলতে পারেন স্যার। রহিমুদ্দিন ঠিকেই জানে কাকে সঠিকভাবে বিপদে ফেলা যায়। রহিমুদ্দিন এটাও জানে, যাদের পিছুটান থাকে তাদের বেশী বিপদে ফেলা যায়। আপনার এখানে বউ-বাচ্চা আছে। রহিমুদ্দিন সব জানে। তো, রহিমুদ্দিন এ সুযোগটা মিস করেনি। আমার তো কোন পিছু টান নাই। বাবা-মা কেউ নাই। আত্মীয়-স্বজনও কেউ খবর নেয় না। রহিমুদ্দিন ঠিকেই জানে, আমাকে দাবড়ানি দিলে আমি সব কিছু ছেড়ে এক সেকেন্ডে পালিয়ে যেতে পারবো। এ জন্য সে আমাকে ধরেনি। আসেন স্যার, আপনাকে একটা জিনিস দেখাই।

আমি স্যারকে আমার ঘরের ভিতরে পেছনের দিকে নিয়ে আসলাম।

আমি স্যারকে আমার ঘরের পেছনের দিকে বেড়ার কাঁটা অংশ দেখিয়ে বললাম, “স্যার, দেখছেন আমি আমার ঘরের পেছনের বেড়াটাকে একটু করে কেটে নিয়েছি, যেন আমি যখনই চাই তখনই এখান দিয়ে বের হয়ে দৌড় দিতে পারি। রহিমুদ্দিন আমাকে-আপনাকে যেদিন হুমকিটা দিলো না, সেদিনই স্যার আমি এ ব্যবস্থা করে রেখেছি। সব কাপড় চোপড় নিয়ে একটা ব্যাগও গুছায়ে রেখেছি। ও সামনে দিয়ে আসলে আমি পেছন দিয়ে দৌড় দেব, ও পেছন দিয়ে আসলে আমি সামনে দিয়ে দৌড় দেব।

- স্যার, আপনি কিছু খাইছেন?”

স্যার খুবেই করুন দৃষ্টতে আমার দিকে তাকাল। বুঝলাম, স্যার কিছু খায়নি। কিন্তু ক'দিন খায়নি সেটা বুঝতে পারলাম না।

- আসেন স্যার আমার সাথে ভাত খান। ইলিশ মাছের তরকারী আছে। খুবেই সুস্বাদু হয়েছে। ঘ্রাণ পাচ্ছে না স্যার?
“কই না তো” স্যার বললেন।
- দুঃখিত স্যার। মাছটা পচা পড়েছে। অনেক চেষ্টা করেও কোন মতেই ইলিশ মাছের ঘ্রাণ বের করতে পারিনি।
- তুমি ইলিশ মাছ পেলে কই। ইলিশ মাছের তো অনেক দাম!
- স্যার মাছটা কিনিনি তো। ঐদিন গঞ্জে গেছিলাম স্যার। যাত্রী ছাউনিতে বসেছিলাম। দেখি আমার পাশে ব্যাগটা পড়ে আছে। লুকিয়ে চারদিকে তাকিয়ে ব্যাগটা নিয়ে নিজের কাছাকাছি রাখলাম। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করলাম কেউ আসে কিনা দেখতে। সত্যি সত্যি কেউ আসলে স্যার দিয়ে দিতাম, আল্লাহ্‌র কিরা। কিন্তু স্যার কেউ আসেনি। পরে নিজেই ব্যাগটা নিয়ে আসলাম। বাসায় নিয়ে এসে দেখি পচা ইলিশ মাছ। ইলিশ মাছ তো স্যার, তাই পচাও ভাল।
- স্যার, আপনি হাত ধুয়ে বসেন। আমি আপনার জন্য এখনই খাবার নিয়ে আসতেছি।

আমি স্যারকে হাত ধুইয়ে দিয়ে বারান্দায় মাদুরে বসিয়ে রেখে এলাম।

১৫ মিনিট পরে এসে স্যারকে বললাম, “স্যার, আমি তো শুধু আমার জন্য রান্না করছিলাম। সেটা এইমাত্র খেয়ে আসলাম। কোন চিন্তা কইরেন না স্যার, আমি এখনই আপনার জন্য চুলায় চাল বসিয়ে দিচ্ছি। আধা ঘণ্টার মধ্যেই আপনাকে খাবার দিয়ে দেব স্যার। কোন চিন্তা করবেন না”।

আমি ৫ মিনিট পরে আবার ফিরে আসলাম। স্যারকে বললাম, “বাসায় আর কোন চাল নাই স্যার। চিঁড়া গুঁড় আছে, খাবেন? তবে আপনি যদি এই ছিঁড়া-গুঁড়টা না খান স্যার, আমার খুবেই উপকার হয়। এই দিয়ে আমার দুপুরের খাবার হয়ে যাবে। না স্যার, তওবা তওবা। শত হইলেও আপনি আমার মেহমান। মেহমানকে কোন কিছু না দেয়াটা খুবেই গুনাহের কাজ। আপনি বসেন স্যার, আমি এখনই চিঁড়া গুঁড়টা নিয়ে আসতেছি।”।

বিকেলের দিকে এই সমস্যাটা সমাধানের জন্য স্যার এর সাথে বসলাম।

স্যার কে বললাম, “স্যার, সমাধান একটাই। আপনি ম্যাডামকে বাড়ি থেকে চিরদিনের জন্য বিদায় করে দেন। তাহলে সমস্যাটা নগদে সমাধান হয়ে যাবে”।
- বল কি! বউরে বাড়ি থেকে বিদায় করে দিলেই কি সমাধান হয়ে যাবে?
- ১০০% নিশ্চয়তা স্যার।
- কিন্তু সেটা কি করে সম্ভব? তার সাথে তো আমার কখনো একটুও ঝগড়া হয়নি। তাকে আমি কি করে বাড়ি থেকে বের করে দেব! একটু বুদ্ধি দাও তো?
- ঝগড়া হয়নি তো স্যার কি হয়েছে, এখন থেকে হবে। এটা খুবেই সহজ কাজ স্যার। প্রথমে যৌতুকের দাবি করতে পারেন। বড় একটা লিস্ট ম্যাডামের হাতে ধরিয়ে দেবেন। বলবেন, ‘যাও, ২ দিনের মধ্যে বাবার বাড়ি থেকে জিনিসগুলো নিয়ে আসো, ২ দিনের মধ্যে জিনিসপত্রগুলো নিয়ে ফিরে আসতে না পারলে, তোমার সাথে আমার সব সম্পর্ক শেষ’। যদি এতেও ম্যাডাম রাজি না হয়, যখন-তখন নানারকম খোঁটা দেবেন। আমি কি স্যার একটা খোঁটা দেয়ার লিস্ট দিয়ে দেব? আপনি চাইলে দিতে পারি।
তাও যদি কিছু না হয়, টুকটাক গায়ে হাত তুলতে পারেন। মানুষেরও তো সহ্যের একটা সীমা আছে স্যার, আপনারও আছে। কতক্ষণ সহ্য করবেন, কত আর বলা যায়!।
এরপর ইনশাআল্লাহ্‌ একটা সময় দেখবেন, ম্যাডামও অতিষ্ঠ হয়ে বাবার বাড়ি চলে গেছে। তারপর আপনার কাজও শেষ।
- যদি এতেও কাজ না হয়। তখন কি করব?
- স্যার, এটা কোন কথা বললেন! এর থেকেও আরেক সহজ কাজ আছে স্যার। এরপর আপনি ২য় বিয়ের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবেন। ম্যাডামকে সেটা জানাবেন। মেয়ে দেখার ব্যবস্থা আমি করব। বেলাল কাজীর সাথে আমি কথা বলে রাখব, তার সাথে সম্পর্ক আমার খুবেই ঘনিষ্ঠ। কাজী হিসেবে এলাকায় খুব নাম যশও করেছে। এলাকায় বউ রেখে যত ২য় বিয়ে আছে, সবগুলো বিয়ে উনি দিয়েছেন, মাশাল্লাহ!। খুবেই মহৎ হৃদয়ের অধিকারী। একজনকে ৫ টা পর্যন্ত বিয়ে করিয়ে দেয়ার রেকর্ড আছে। বেলাল কাজীকে রাজি করানো আমার জন্য পান্তাভাত আর আলু ভর্তার মত। আপনি কোন চিন্তা কইরেন না স্যার।
- ঠিক আছে। তুমি যখন বলতেছ আমি সবেই করতে রাজি। কিন্তু এত কিছু আমি কেন করব? আমারে বুঝায়ে বল, বউকে তাড়িয়ে দিলে রহিমুদ্দিনই বা আমার বাড়ি ছাড়বে কেন?
- এটা তো আরও সহজ ব্যাপার, স্যার। রহিমুদ্দিন জানে আপনি বউ বাচ্চার মায়ায় বাড়িতে আসবেনই। তখনই রহিমুদ্দিন আপনাকে ধরে কেটে পিচ পিচ করতে সুবিধা হবে। আর বউ বাচ্চা নাই মানে আপনার পিছুটানও নাই। আপনাকে তো এটা আমি আগেই বলেছি। আর আপনি ম্যাডামকে যে কোন প্রকারে তাড়িয়ে দিতে পারলে, রহিমুদ্দিন জানবে, ‘বাড়িতে আপনার বউ বাচ্চা কেউ নাই। আর আপনিও এত ঝুঁকি নিয়ে বাড়িতে আর আসবেন না। সুতরাং আপনি নিশ্চিত থাকেন স্যার, রহিমুদ্দিন হুদাই আপনার বাড়ির সামনে বসে বসে আঙ্গুল চুষবে না। একটা সময় বিরক্ত হয়ে চলে যাবে। স্যার, সমাধান তো হয়েই গেল। এখন একবার আলহামদুলিল্লাহ্‌ বলেন।

সারাদিন মাষ্টার মশাই আমার বাসায় ছিলেন। আমি নিশ্চয়তা দেয়ায়, রাতেও তিনি আমার বাসায় থেকে গেলেন। নাক ডেকে ডেকে সারারাত সুখের ঘুম দিলেন। মাষ্টার মশাই সকালে ঘুম থেকে উঠার একটু আগে থেকে আমি তার পাশে বসেছিলাম। সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে উনি ঘুম থেকে উঠলেন। উঠার সাথে সাথে আমি মাষ্টার মশাইকে বললাম, “বাসায় খাবার পানি ছাড়া তেমন কিছুই নাই স্যার। আপনি বাড়ি চলে যান। ম্যাডাম আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। ম্যাডামের সাথে আমার দেখা হয়েছে এবং কথাও হয়েছে। রহিমুদ্দিন আপনার বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে এবং যাওয়ার আগে সারারাত ধরে সে আপনার বাড়ির সামনে রাখা সবগুলো ময়লা একাই পরিষ্কার করে দিয়ে গেছে। রহিমুদ্দিন আর কোনদিন আপনার বাড়ির ত্রিসীমানায় ঘেঁষবে না। আপনি যে পথে যাবেন, যেখানেই যাবেন আপনাকে দেখা মাত্রই সে দৌড়ায়ে পালিয়ে যাবে। আপনি তাড়াতাড়ি বাড়ি যান স্যার। আপনার বাচ্চাটা গত ৪ দিন ধরে আপনার জন্য কাঁদছে”।

(চলবে)

এখান থেকে পড়ুন
১ম খণ্ড
৩য় খণ্ড

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৭

বিজন রয় বলেছেন: অসাম।
+++

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৪

ইকবাল হোসাইন সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই পর্ব তেমন ভাল লাগে নাই। জোর পূর্বক হুমায়ুন আহমেদের ছায়ায় থাকার একটা চেষ্টা লেখনীতে বিদ্যমান। কিন্তু হুমায়ুন আহমেদের লেখায় কিছুটা মজা থাকত, ফাজলামি থাকত, কিন্তু একটা গল্প থাকত। ভেবে দেখবেন, স্যারকে নিয়ে মস্করা করাটা একটু বেশী দীর্ঘ হয়ে গেছে।

চালিয়ে যান, সময় সুযোগ পেলে সাথে থাকব।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

ইকবাল হোসাইন সুমন বলেছেন: আসলেই সত্য বলেছেন। স্বীকার করছি। হুমায়ূন আহমেদের ধারাটা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এই জন্য কিছুটা চেষ্টা করছি। জানি পারবো না। তাও। ভুল হলে ক্ষমা দিয়েন। পরবর্তী পর্বে ভিন্নতার চেষ্টা থাকবে।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
মজা লাগল লেখাটা পড়ে।

হুমায়ুন আহমেদের ছায়া আছে তবে তার মতো হয় নি।

তবে লিখতে থাকুন সময় মত ঠিক হয়ে যাবে।

শুভকামনা নিরন্তর। :)

২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৭

ইকবাল হোসাইন সুমন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। তার মত কিভাবে হবে বলুন। এটা কি সম্ভব!! আপনি তো আমাকে লজ্জা দিলেন হা হা।।
জি ভাই চেষ্টায় আছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.