নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাযাবর রাজা রিটার্নস

যাযাবর রাজা রিটার্নস › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেওয়ারিশ সন্তানের দায়ভার শুধুই পতিতার

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

যখন দেখি বেওয়ারিশ সন্তানের দায়ভার শুধুই পতিতার।তখনই মনে পড়ে
ভদ্রসমাজের শুক্রানু রাতের আধারে বিলি করা হয় পতিতার জরায়ুতে।ভদ্র সমাজ সেই শুক্রানুর খোজ কোনদিন না নিলেও পতিতা আজীবন বয়ে বেড়ায় তার দায়ভার মমতার সাকো বেয়ে।শুধুমাত্র পতিতার ডিম্বানুর স্পর্শে স্পর্শিত হওয়ার কারণে ভদ্রসমাজের শুক্রানুকে স্বয়ং ভদ্রসমাজ অস্বীকার করলেও পতিতা তার ডিম্বানুর দায়বদ্ধতায় ভদ্রসমাজের শুক্রানুকেও ঠাই দেয় নিজের স্নেহের ছত্রছায়ায়।তখন পতিতাকেই পুন্যবান মানুষ মনে হয়।আর ভদ্রসমাজটিকেই তখন আসল পতিতালয় এবং এ সমাজের প্রতিটি পুরুষকে অরিজিনাল পতিতা মনে হয়।নিজেকে পুরুষ ভাবতে ঘেন্না হয়।
পতিতার গর্ভে জন্ম নেয়া অধিকাংশ শিশুর পিতা লুকিয়ে থাকে এই ভদ্রসমাজে।আমার মনে হয় পতিতার গর্ভে জন্ম নেয়া শিশুরা যদি এই ভদ্র সমাজের নিকট ওয়ারিশ দাবী করে,খোরপোশ দাবী করে,ন্যায্য হিস্যা দাবী করে সেটা নিশ্চয়ই অন্যায় কোনো দাবী হবে না। বরং এই দায়ে এই সমাজের অধিকাংশ পরিবারকেই অভিযুক্ত হয়ে কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।কেননা এই সোকল্ড ভদ্রসমাজের প্রায় পরিবারেরই নুন্যতম একটি করে সন্তান পতিতার জরায়ুতে বীর্যপাত ঘটায় অন্তত একবার শখের বশে হলেও।তাদের সেই বীর্য থেকে উৎপন্ন ছেলেমেয়ে গুলো ভবিষ্যতে যখন পতিতা ও চোর ডাকাতের জীবনকে বয়ে বেড়ায় তখন ঐ শুক্রানুদাতারা তাদের সমাজ স্বিকৃত স্ত্রী পুত্রের সাথে সুস্থ সুন্দর ও সুখী জীবন কাটায়।আর পতিতার গর্ভে জন্ম নেয়া সন্তানগুলোর অসুস্থ,ভয়াবহ কুতসিত জীবনের দুঃখ,কষ্ট,বেদনা ভাগ নিতে এগিয়ে আসে ঐ পতিতাই,যে এই সমাজের চোখে পাপিষ্ঠা, ঘৃনিত নষ্টা বলে চিন্হিত।আমার তখন ঐ পতিতাকেই পুন্যবতী,শুদ্ধ ও মহান মানুষ মনে হয়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭

নাগরিক কবি বলেছেন: কি সবাই খালি পড়ে যাচ্ছে। মুখ বন্ধ কেন? ধিক্কার।

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৪

দ্বীপান্বিতা বলেছেন: সমাজতো ওদেরকে ফেলে দেয়নি।।। ওরাতো কোনো না কোনো সমাজেরই মানুষ

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩১

যাযাবর রাজা রিটার্নস বলেছেন: ওরা যে সমাজের মানুষ সেই সমাজটাইতো নিষদ্ধ

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

কানিজ রিনা বলেছেন: আপনাকে প্রথমেই অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার
এই সত্য লেখাটাকে সাধুবাদ জানাই।
এখানেই একটা লেখায় পড়েছিলাম পতিতারা
না থাকলে সমাজে আরও হাজার গুন বেশী
ধর্ষিত হত নারী শিশু। তাই একথার সাথেই
সুর মিলায়ে বলতে চাই। ভদ্র ঘরের পুরুষ
চরিতার্থ ও সন্মান টিকে রাখার জন্য অসহায়
গরীব নারীদের নানান রকম মিথ্যা প্ররচনা
দিয়ে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়।
এই নরক বাস এক সময় ওদের সয়ে যায়
এবং ওরা আর সুষ্ঠ জীবনে ফিরে আসতে
পারেনা। অথচ যারা ওদের টাকা দিয়ে
ব্যবহার করে তারা কোটটাই পড়া সন্মানীয়
ব্যক্তি। তারা মসজিদ মন্দির সর্ব ক্ষেত্রে
বিচরন। আমি আগেও বলেছি বেশ্যার কোন
জেন্ডার নাই। পুরুষ নারী উভয়।
নারী বেশ্যাদের গায়ে দাগ পড়ে পুরুষ
বেশ্যাদের গায়ে দাগ পরেনা। এত বর একটা
প্রাচীন দেশে শত শত বছর ধরে এ নিয়ম
ধরা রয়েছে একটুও হেরফের নাই। বরন্চ
আরও বেড়েছে। ইদানিংত সোসাইটি গুল
দামী বাসা ভারা করে ওদের এমন ভাবে
তৈরি করা হয়। বড় ঘড়ের বিবাহীত
অবিবাহীত সাহেবরা কন্টাক্ট করে নিয়ে যায়
কক্সবাজার রাঙামাটি অনেক রিচোর্টে এমনকি
বিদেশে। লোক চক্ষুর অন্তরালে এদের আনন্দ
ফুর্তি এভাবেই চলে। এসব ব্যবসার সাথে
জড়িত দেশের সন্মানীয় ব্যক্তি বর্গ।
আমার কাজের বুয়ার মেয়ে এভাবে আটকে
যায় এক বাসাতে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে
এসব জানতে পারি।
এই ব্যবসায়ীরা এত ক্ষমতাবান বললে
প্রশাসন এদের হাতের মুুঠোয়। আর সবচেয়ে
বেশী জানি আমার স্বামী এরকম মেয়েদের
নিয়ে দেশ হতে বিদেশ পর্যন্ত ঘুড়ে বেড়াত।
তবে একথাও সত্য কিছু মেয়েরা রাতারাতি
বড়লোক বা আনন্দ সাচ্ছান্দে থাকার জন্য
সেচ্ছায় এসব পথ বেছে নেয়। ধন্যনাদ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৬

যাযাবর রাজা রিটার্নস বলেছেন: বেশিরভাগ পুরুষই আজো পুরুষ রয়ে গেলো,মানুষ হতে পারলো না।

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭

আবু ছােলহ বলেছেন:



''কানিজ রিনা বলেছেন: আর সবচেয়ে বেশী জানি আমার স্বামী এরকম মেয়েদের নিয়ে দেশ হতে বিদেশ পর্যন্ত ঘুড়ে বেড়াত।''

-দু:খ পেলাম বোন। দোআ করি, আল্লাহ আপনাকে দু:খ কষ্টহীন সুখের জীবন দান করুন।

পোস্ট লেখকের উদ্দেশ্য অনুভূতি প্রশংসনীয়।

ইসলামী আইন তথা আল কুরআন এ জঘন্য প্রথা হারাম (নিষিদ্ধ) ঘোষনা করেছে। আর কুরআনের এই আইন বাস্তবায়ন করা গেলেই কেবল এই অন্ধকারের ক্লেদাক্ত ক্ষত থেকে সমাজ দেহ মুক্তি পাবে। একমাত্র ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম কিংবা তথাকথিত কোন আধূনিক মতবাদ নারীকে পন্য, নষ্টা এবং ভ্রষ্টা হওয়া থেকে বাঁচাতে পারে- একথা আমাদের জানা নেই। বাস্তবতাও অন্তত: তাই বলে। পৃথিবীর আধূনিক দাবিদার অংশে এসব অপরাধের হার সর্বোচ্চ। জারজে ভরা তাদের সমাজের অলি গলি।

সামান্য ছিটেফোটা কুরআনের আইন চালু থাকার কারনে, মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে টর্চ দিয়ে খুঁজলেও জারজের অস্তিত্ব পাওয়া যাবে না।

আমাদেরও মনে হয় কুরআনের দিকে ফিরে আসার সময় সন্নিকটে।

আমরা বলি-

'বাঁচতে হলে জানতে হবে' -নয় বরং বলুন, 'বাঁচতে হলে কুরআন মানতে হবে'। কুরআনের আইন মেনে পবিত্র জীবন যাপন করতে হবে।

রাজা ভাই, আপনার কোন পোস্টে প্রথম এলাম মনে হয়।

ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.