নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

@ ঘুরপাক פֿ ; সক্রিয় পাঠক

শূন্য হৃদয়ে ডঙ্কা বাজে এ কিসের, জানো কি হে!

জসিম

সবকিছূই যেন ঘুরে ঘুরে আসা। ঘুরপাক@ সবখানেই।

জসিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিনল্যান্ডের গল্প-১ - যাত্রা শুরুর আগে

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০২



পড়ালেখার জন্য অনেক পরিচিত বন্ধুবান্ধবকে দেশের বাইরে যেতে দেখে মাঝে মাঝে আফসোসই হতো. আহা রে ..যদি আমি যেতে পারতাম! ঘুরাঘুরি নিয়ে নিজের প্রবল আগ্রহের কারণে বিদেশের বিভিন্ন স্থানের চোখ জোড়ানো, মন ভোলানো রুপ দেখে যারপরনাই ইর্ষান্বিত প্রতি মুহূর্ত. লক্ষ্য যার ঘুরে বেড়ানো তার জন্য দূর থেকে দেখা এসব কিছু বড়ই কষ্টের বটে!

সিদ্ধান্ত নিলাম দেশের বাইরেই যাই. অন্তত একটা মাস্টার্স ডিগ্রী হলেও খারাপ না. বিদেশের ডিগ্রী থাকলে হয়তো কোনো উন্নয়ন সংস্থাতে কাজ পাওয়া যেতে পারে. আর সংবাদকর্মী হয়ে কাজের সুযোগ, সেও হয়তো থাকবে. কিন্তু ভাবলেই তো হয় না. বিভিন্ন স্থানে আবেদন করলাম, একটা হয় তো আরেক টা হয় না, কিছু হয় তো কিছু হয় না. যেমন- স্কলারশিপ হলো না, কিন্তু ভর্তি হওয়া গেলো. আবার স্কলারশিপ হলো , কিন্তু অর্ধেক.

এমন হাজারো সমস্যার পরে ঠিক করলাম এমন স্থানে যাই যেখানে অন্তত টিউশন ফি লাগবে না, স্কলারশিপ না পেলেও যাতে তেমন সমস্যা না হয. তো কোথায় পাই, কোথায় পাই, ঠিক করা হলো- অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন ও নরওয়ে।

অস্ট্রেলিয়ার ভর্তি, স্কলারশিপ সব হইলেও সমস্যা দেখা দিলো যখন বললো, স্কলারশিপ দেড় বছরের কোর্সের খরচের অর্ধেক কভার করবে. তো চিন্তা ভাবনা করে সেটা বাদ. সুইডেনে স্কলারশিপ হলো না, ভর্তি হওয়া গেলো. নরওয়েতে অসলোতে ভর্তি হওয়া গেলো কিন্তু স্কলারশিপ নাই.

এর মাঝে একদিন ভাবলাম, নরওয়ে, সুইডেন যেহেতু একইসাথে আছে , তাহলে ফিনল্যান্ড এ একটা সুযোগ নিয়ে দেখা যাক. আবেদনের পর আরো খবর নিয়ে দেখলাম, এখানে অন্য গুলার তুলনায় একই অবস্তার বিবেচনায় ভালো থাকা সম্ভব. হাজার হ্রদ, ক্রিসমাস, সান্তা ক্লস এমন আরো অনেক কিছু তখন একইসাথে কিছুটা রসদ যোগান দিলো. করলাম.

কাহিনী সেই একই. ভর্তি হওয়া গেলো , স্কলারশিপ জাতীয় কিছু নাই. অনেক চিন্তার পর ভাবলাম একবারে উত্তর মেরুতে যেহেতু যাচ্ছি, সুতরাং একেবারে সর্ব উত্তরে যে বিশ্ববিদ্যালয় আছে, সেখানেই যাই. টিকে গেলাম. এরপর থেকে এখানো এখানে....

(চলবে) দু বছর আগে, শীতের প্রথম দিন, তুষার পরার সময়.

প্রথম ছবি: ফিনল্যান্ড আসার দ্বিতীয় সপ্তাহ, আমার ঘরের প্রবেশ পথ

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:৪৮

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ফিনল্যান্ড, শুনলেই কেমন যেন ডাণ্ডা লাগতে থাকে । :)

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৯

জসিম বলেছেন:
ধন্যবাদ গুলশান কিবরীয়া.
কথা কিছুটা খুবই সত্য. ঠান্ডা আর ফিনল্যান্ড যনে এক সাথে জড়িয়ে আছে. তবে এখানে যে কেবল শীত এটা কিন্তু একেবারেই ঠিক না, সামার কিন্তু এখানে অনেক সুন্দর. এসে পড়েন একবার সময় করে. উত্তর দিকে শীত একটু বেশি সময় থাকে, কিন্তু দক্ষিণে, রাজধানী হেলসিংকি ও আশেপােশে শীত থাকে খুব কম সময়.

ভালো থাকুন.

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৫:২১

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
পড়ালেখায় মন নাই দেখছি, রয়েছে প্রকৃতি দেখার অদম্য সখ ? হাহ হা। গল্প শুনতে থাকলাম।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪

জসিম বলেছেন:
আপনিই বুঝতে পারলেন আসল ঘটনা. যখন পড়াশুনার প্রচন্ড চাপ. এসাইনমেন্ট কয়টা জমা দেয়ার খুবই তাড়া, সময় কম. তখনই শখ জাগে বসে বসে মুভি দেখার আর ব্লগ পড়ার. কি যে করি. প্রকৃতিও বড়ই খারাপ জিনিস. শুধুই টানে, টানতে টানতে ঘরের বাইরে নিয়েই ছাড়ে. কি যে করি :P

ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:০১

সুমন কর বলেছেন: চলুক....

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭

জসিম বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ সুমন কর. আপনাদের অনুপ্রেরণা পেলে চলবে. দেখি কত দূর সম্ভব.

কৃতজ্ঞতা
¨ভালো থাকুন.

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:০০

ডাঃ মারজান বলেছেন: ভাই চালান, ভালই লাগছে.।.।।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯

জসিম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ডা. মারজান.

মাত্র শুরু হলো. আশা করি সঙ্গেই থাকবেন.

ভালো থাকুন.

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ভাল লাগলো আপনার শুরুটা।
কিন্তু ছবির স্বল্পতায়, মনে যে অতৃপ্তি রয়েই গেল !!! :)
অনেক শুভেচ্ছা, ভাল থাকবেন!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩

জসিম বলেছেন: শু্রুর সময় কি ছবি ভেবে পাচ্ছিলাম না. বাকি পোস্টে ছবি বেশি যোগ করার চেষ্টা করবো.

পোল্যান্ড ভ্রমণ নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছি ছবিসহ. দেখতে পারেন. আমন্ত্রণ.

ভালো থাকুন.

৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪

জুন বলেছেন: যত সুন্দর ই হোক হাড় কনকনে শীতের ভয়ে এসব দেশে যেতে ইচ্ছে করে না জসিম :(
তবে ছবিগুলো অসাধারন।
+

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

জসিম বলেছেন:
জুনাপু, শীত খুব নিকটে. এই শীতটাই এখন সবচেয়ে ভালো লাগে. যখন আসছিলাম তখন মাইনাস তাপমাত্রায় অবস্থা ছিলো ভয়াবহ. এখন সয়ে গেছে. শীত কিন্তু অনেক সুন্দর. আপনার জণ্য এক সময় শুধু শীতের ছবি দিয়ে একটা পোস্ট লিখবো.

ভালো থাকার শুভকামনা.

৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪

আনিসা তাবাসসুম বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো। চালিয়ে যান। আমরা আছি আপনার সাথে

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩

জসিম বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম.
অনেক কৃতজ্ঞতা আনিসা তাবাসসুম. ব্লগে সাথে থাকার জন্য.

ভালো থাকুন.
ধন্যবাদ.

৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫১

থিওরি বলেছেন: ঠান্ডার দেশে যাওযার আপনার মতো আমারও ইচ্ছা আছে। অনুসরণ করলাম।
সাথেই আছি।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯

জসিম বলেছেন:

ঠান্ডার প্রতি ভালোবাসা থাকলে আপনি ফিনল্যান্ডে আসার জন্য তৈরী হয়ে যান. শুভকামনা.

ধন্যবাদ থিওরি.
ভালো থাকুন.

৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

ইমরান আশফাক বলেছেন: ভ্রমন কাহিনীর মাধ্যমেই অন্য জায়গার সভ্যতা সংস্কৃতি সন্মন্ধে সবচেয়ে ভালো জানা যায়। ফলো করা শুরু করলাম।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

জসিম বলেছেন: আসলেই. একদম ঠিক. নতুন কিছু জানা, দেখার জন্য ভ্রমণ কাহিনী অনেক কাজে আসে.
সঙ্গে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ.

ভালো থাকুন.

১০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৫

আমিনুর রহমান বলেছেন:



যে দেশের নাম শুনলেই ঠান্ডায় কাপুনি শুরু হয়ে যায় সেখানে কেমনে আছেন :P
পরের পর্বে যাই :)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:৪৩

জসিম বলেছেন:
ঠান্ডায় খুবই খারাপ অবস্থা. একটু আগে বাইরে থেকে আসলাম. ঠান্ডায় পা জমে যাচ্ছিল. কারণ পানিতে পা একটু ভিজেছে, সেটা টের পাইনি আগে. আর শীত মাত্র আসা শুরু হয়েছে. আজকে রাতে তাপমাত্রা -২ থেকে -৫ পর্যন্ত. সে কারণে একটু ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে.

সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ.

ভালো থাকুন.

১১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০২

অগ্নি সারথি বলেছেন: পর্ব গুলো মিস করেছিলাম তাই ৩ পর্ব থেকে ফেরত এসে ১ এ জয়েন করলাম। :)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭

জসিম বলেছেন:
ধন্যবাদ অগ্নি সারথি.

সঙ্গ দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা.

ভালো থাকুন.

১২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

আনোয়ার ভাই বলেছেন: আপনি ইন্ডিয়ার সিরিয়াল নাটকের ডিরেক্টরদের অনূসরণ করছেন বোধহয়। খুব ছোট করে লেখা পেস্ট করে আমাদের চিন্তায় রাখেন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২২

জসিম বলেছেন:
না রে ভাই. আমি হিন্দি সিরিয়ালের ভক্ত একদমই নই. কত বছর আগে দেখিছি তাও মনে পড়ে না.

শিগগির নুতুন পর্ব আসবে. আর বেশি বড় লেখা অনেকে পছন্দ করে না. সময় নিয়ে পড়া লাগে. তারপরও চেষ্টা করবো ছবিসহ বর্ণনা আরো দেয়ার.

ভালো থাকুন আনোয়ার ভাই.
সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ

১৩| ১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

অদৃশ্য বলেছেন:



আপনার ফিনল্যান্ডের ঘটনা পড়া শুরু করলাম আজ থেকে... শুরুটা খুবই সংক্ষিপ্ত... আশাকরি সামনে আরও ডিটেইলে পাব...

শুভকামনা...

১৯ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪

জসিম বলেছেন: আসলেই ছোট হয়ে গেছে. শুরু করার সময় কিছুটা দ্বিধায় ছিলাম, কোন জায়গা থেকে শুরু করবো. এ কারণে লেখা বেশিদূর আগায়নি. তবে এখন পরের পর্বগুলোতে কিছুটা বিস্তৃত আকারে বলার চেষ্টা করছি.
সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এতে অনেক অনুপ্রাণিত হলাম. বলার চেষ্টা করবো আরো বেশি. তবে আমি আসলে চাই প্রশ্ন করুক পাঠকরা. তখন হয়তো বেশি বলা যায়. আর লেখা এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রেও সেটা অনেক কাজে লাগে.
পড়ার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা. মতামত জানাবেন পড়ে.
ভালো লাগা রইলো.
অদৃশ্য শুভকামনা.
ধন্যবাদ অদৃশ্য.

১৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৩৮

সোহাগ সকাল বলেছেন: সিরিজটা পড়া শুরু করতে করতে অনেক দেরি হয়ে গেল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.