নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

@ ঘুরপাক פֿ ; সক্রিয় পাঠক

শূন্য হৃদয়ে ডঙ্কা বাজে এ কিসের, জানো কি হে!

জসিম

সবকিছূই যেন ঘুরে ঘুরে আসা। ঘুরপাক@ সবখানেই।

জসিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিনল্যান্ডের গল্প-২ ঢাকা টু হেলসিংকি

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৪

ব্যাগ গুছিয়ে এবার যাবার পালা. ইউরোপে, তাও আবার এমন দেশে যেখানে শীত নিয়েই যত কাজ কারবার. কাপড় থেকে শুরু করে সবকিছুতে নজর ছিলো যাতে শীতকে কোনোভাবেই অবহেলা না হয়. বাক্স পেটরা গুছিয়ে গেলাম বিমানবন্দরে. বাসা থেকে মা.বাবা- ভাই বোন, ফুপি সবাই আসলো. অনেক উপদেশ মাথায় নিয়ে. কান্না ঘেরা পরিবেশে ঢুকলাম বিমানবন্দরে লাগেজ নিয়ে.
তাকিয়ে দেখি সময় আরো বাকি. মনজু ভাই আসার কথা. সেও যাবে ফিনল্যান্ড পড়তে. সে তখনো আসেনি. মনজু ভাই ভর্তি হয়েছিল এখানে তুরকু নামক শহরে. বেচারার সাথে দেখা হয়েছিলো দিল্লীতে, ভিসা আবেদন করার সময়. তো আগে থেকেই ঠিক করেছিলাম যেহেতু দূর দেশে, একই জায়গায় যাবো. তো দুজন একসাথেই যাই.

টার্কিশ এয়ারের লাইন তেমন লম্বা নয়. ভাবলাম সে আসার আগেই নিজের কাজ কিছু গুছিয়ে নেই. কাউন্টারে গিয়ে বোর্ডিং পাস নিতে গেলাম. সমস্যা হয়ে দাড়ালো ওজন. লাগেজের ওজন হয়ে গেলো ৫০ কেজির বেশি. অথচ নেয়া যাবে ৪০ কেজি. ব্যাগ খুলে নতুন করে আবার এখানে সেখানে স্থান বদল শুরু করলাম, ল্যাপটপের ব্যাগে বেশ কিছু ভারি জিনিস চালানের সেটার আকৃতি প্রায় ৩/৪ গুণ বেশি হয়ে গেলো. হাতে আরেক ব্যাগে আরো কিছু. এরপর বলে কয়ে ৪৩ কেজি দিয়ে কোনোভাবে চালিয়ে দেয়া গেলো. যাত্রীর একখান ফরম নিয়ে পূরণ করতে দাড়িয়ে গেলাম. এরমাঝেই মনজু ভাই চলে এলো. বেচারার সেই একই সমস্যা, ওজন নিয়ে দেন দরবার. সে আবার ওজন কমাতে কিছু জিনিস ফেরতও দিয়া আসলো বাইরে একজনকে.

অপেক্ষার পর এক সময় লাইনে দাড়িয়ে বিমানে চড়ে বসলাম. জানালার পাশে হওয়ায় ভালোই লাগছিল ঢাকা শহরকে আবার উঁচু থেকে দেখতে. আমার পাশে বসেছিলেণ এক ভদ্রলোক, যাবেন বাহরাইন. সেখান থেকেই এসেছিলেন, এখন ফেরত যাচ্ছেন. তিনি সেখানে একটা কোম্পানিতে কাজ করেন. বেচারা দুই বছর পরপর তিন মাসের জন্য ছুটি পায়. পরিবারকে দেখতে আসে, আবার ফেরত. তার সাথে কিছু কথা হলো.

খাবার খাওয়ার সময় কখন আসবে এই নিয়া দুশ্চিন্তার এক পর্যায়ে চলেই আসলো. খাবার খাওয়ার চেয়ে ড্রিংকস খাবার প্রতি বেশি মনোযোগী ছিল মনজু ভা্ই. আমিও তার সাথে যোগ দিলাম. শীতল পানীয় কিছু খেয়ে লম্বা এক ঘুম. ইস্তাম্বুল পৌঁছার আগেই হুড়মুড় করে ঘুম ভাঙ্গল. এখন আবার হেলসিংকির বিমান খুঁজে সেটাতে বসে থাকার অপেক্ষা. যাত্রা বিরতি সম্ভবত প্রায় ৩ ঘন্টা ছিলো, মনে পড়ছে না ঠিক. কোথায় বসি আর কোথায় গিয়ে পরের ফ্লাইট ধরতে হবে এই নিয়ে গবেষনা করলাম দুজন.

একজনকে জিজ্ঞাসা করে আসল পথ পাওয়া গেলো. এখন কোথাও বসে একটু বিশ্রাম নেয়ার পালা. বসার জায়গা খুজতে গিয়ে এক বাঙ্গালীর দেখা পাওয়া গেলো যে যাচ্ছে একই পথে. মেয়েটির নাম ভুলে গেছি, তার স্বামী ঢাকায় গ্রামীণফোনে কর্মরত, সে হেলসিংকিতে তার চাচার কাছে থাকে, চাকরিও করে. দেশ থেকে ঘুরে এসেছে. কিছুদিন পর তার স্বামীও আসবে এমন আরো তথ্য. গায়ে পড়ে ভাব জমানোর চেষ্টা করতে যাবো- এমন চিন্তা আর বেশি দূর এগোলো না. পরে তার সাথে আর কোনোদিন দেখাও হয় নাই.

তো , যাই হোক, অনেক ক্ষণ ধরে মনজু ভাই ও আমি গোপনীয় জায়গা খুঁজতেছি, কিনন্তু বুঝে উঠতে পারছিলাম না ঠিক কোথায়. বাতাস খাওয়ার জন্য এখানে নির্দিষ্ট জায়গা আছে. সেটা খুঁজতেছিলাম. মেয়েটাকে ব্যাগ দেখতে বলে দুজন সেই কাজই করছি. ঘুরে ঘুরে অবশেষে পেয়ে দুজন মহাখুশি, ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্টের এক কোণে উপরে শেড দেয়া বেশ সুন্দর জায়গা. একটু খোলা হওয়ায় ভালো ঠান্ডাও লাগছিল. তো সেখানে গিয়ে বেনসন জ্বলে উঠলো. সাথে আরো অনেক বাতাস খাওয়ার জনগন সেখানে.

এরপর কিছু দোকান পাট অার বিশাল এয়ারপোর্ট দেখে পরের ফ্লাইটে চড়ার সময় এসে গেলো. চড়ে বসলাম টার্কিশ এয়ারের পরের ফ্লাইট টু হেলসিংকি. এসে পোঁছালাম ফিনল্যান্ড. এয়ারপোর্টে লাগেজ, বাক্স সব নিয়ে খুঁজতে লাগলাম দোকান, যেখানে পাওয়া যাবে সিম কার্ড, দেশে ফোন করে জানাতেই হবে যে ঠিকভাবে এসেছি. আমার চেয়ে মনজু ভাইর তাড়া যেন যেন সয় না. এখনই তার সিম কার্ড কিনতে হবে. ঠিক আছে এক দোকান পাওয়া গেলো. সেটা ৬ ইউরো দাম দিয়ে দুজন দুইটা কিনলাম. সাথে কিছু টকটাইম ফ্রি পাওয়া গেলো. বাসায় ফোন করে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া গেলো. তবে কিছুক্ষণ মনজু ভাই বললো- এ কি বলে টাকা নাই. আসলে উনি যে ঘরের সবার সাথে একের পর এক কথা বলতেছিল তাতে এ অবস্থা হওয়ারই কথা.

মনজু ভাই তুরকু চলে যাবে, এয়ারপোর্ট থেকে সেখানে বাস যায়. আমি হেলসিংকি থাকবো কয়েকদিন. এরপর নিজের গন্তব্য. তো সে কারণে আমার অপেক্ষা সাজ্জাদ ভাইয়ের.

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২০

আমি সাব্বির বলেছেন: ভাইয়া িক পড়াশুনার জন্য েগেলেন??

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

জসিম বলেছেন:
জ্বি ভা্ই. পড়তে আসছিলাম. এখনো শেষ হয় নাই.

ধন্যবাদ. ভালো থাকুন

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ভাল লাগলো, গল্পের মত শোনাল।
আপনার প্রবাস যাত্রা পড়ে মনে পড়ে গেল আমার প্রথম প্রবাস যাত্রার কথা!!!
কী যে একটা উত্তেজনা কাজ করছিল মনের মধ্যে।
জীবনে প্রথম প্লেনে চড়ব, একটা শিহরণ অনুভব করছিলাম।
আর এখন? উফফ------অসহ্য!! এর চেয়ে বাস জার্নি অনেক ভাল।
কিছু কিছু এয়ারলাইন্সের ইকোনমী ক্লাশের সীটগুলো বাসের সীটের চেয়েও অনেক খারাপ।
প্লেনে ওঠার আগে এক বিশাল ধকল, আবার নামার পরেও।

অনেক বকবক করলাম, ভাল থাকবেন! :D
শুভকামনা-----------

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩

জসিম বলেছেন: প্রথমবার আমারও সেই একই ধরনের অভিজ্ঞতা. অজানা শিহরণ. উত্তেজনা. তখন যাচ্ছিলাম দিল্লী, সেখান থেকে কাশ্মীরের লাদাখে. সেখানে গিয়ে প্রথমবারের মতো তুষার কি জিনিস চোখে দেখলাম. পরে দিল্লী, কলকাতা যাওয়া হয়েছে বেশ ক'বার. চীনও গিয়েছিলাম. কিন্তু প্রত্যেকটি পথেই অন্যরকম অভিজ্ঞতা. নতুন কিছু জানা, শেখা.
বকবক কেন বলছেন- আপনার এই অভিজ্ঞতাটা না জানাই থাকতো কিছু বকবক না হলে! সুতরাং বকবক থেকে যদি কিছু শেখা যায় তাহলে ... ভালো :) :)

কৃতজ্ঞতা.
গল্প আরো চলবে, সঙ্গেই থাকুন.
ভালো থাকুন.

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩

ডাঃ মারজান বলেছেন: চলুক গল্প, সাথেই আছি.।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

জসিম বলেছেন:
ধন্যবাদ ডা: মারজান সঙ্গে থাকার জন্য.

গল্পের সাথে থাকলে মাঝে মাঝে হু হা ও কিন্তু বলতে হবে ;)

ভালো থাকুন.

৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০১

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
হুম। হেলসিংকি আসলাম।
আরেকটু মজ-মাস্তি কইরা লেখেন, জসিম। তথ্য-টথ্যও বিস্তারিত হইলে পাঠক আগ্রহ পাইবে।

শুভ কামনা।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

জসিম বলেছেন: অন্ধবিন্দু, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ. আপনার এই মন্তব্যের জন্যই বলা চলে, নতুন এক পর্বের জন্ম হয়েছে. এই পর্বে ফিনল্যান্ড আসার পর বিড়ম্বনা ও লাগেজ উধাও হবার ঘটনা দুইটা বলা হয় নাই. মনে পড়ছে পরে. সেটা নিয়ে লিখলাম নতুন এক পর্ব.

আমি আসলে ইতিহাস বিষয়ক তথ্য কম দিতে চাই. তারপরও তথ্য বেশি যোগ করার চেষ্টা করবো.
সঙ্গেই থাকুন. ভালো থাকুন.
কৃতজ্ঞতা.

৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৪

পটল বলেছেন:
হেলসিংকি অনেক সুন্দর জায়গা।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০১

জসিম বলেছেন:
হুম. আসলেই অনেক সুন্দর. ভালো আছেন নিশ্চয়ই.

ভালো থাকুন.
শুভকামনা.

৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। শুভকামনা।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১২

জসিম বলেছেন: ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য. পরের পর্ব ইতোমধ্যেই লিখে ফেলেছি. পড়তে পারেন.

ভালো থাকুন.
অনেক কৃতজ্ঞতা.

৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩

শুভ৭১ বলেছেন: দিলেন তো ইস্তাম্বুল এর সৃতি মনে করিয়ে!! সেবার যাচ্ছিলাম কানাডা থেকে রাশিয়া জলপথে,উদ্দেশ্য পোর্ট অফ নভোরোসিস্ক।কৃষ্ণ সাগরের এক কোনায় এর অবস্থান।কৃষ্ণ সাগরে যাওয়ার আগেই পার হইতে হয় ইস্তাম্বুল চ্যানেল।উফফফফ কি যে সুন্দর, এক পাশে ইউরোপ আর একপাশে এশিয়া।আমার দেখা অপরুপ একটি যায়গা।।।।।যাইহোক পরবর্তী অংশের অপেক্ষায় থাকলাম।।।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২

জসিম বলেছেন:
ধন্যবাদ শুভ৭১. শহর ইস্তাম্বুল যদিও ঘুরে দেখা হয়নি. আমিও এত এত গল্পই শুনেছি ইস্তাম্বুলের. তবে ইস্তাম্বুলের বিশাল এয়ারপোর্ট দেখেই বেশ ভালো লেগেছিলো. আপনি কি জাহাজেই আছেন ইউরোপের কোথাও! ফিনল্যান্ডের গল্প, পরের পর্ব এখানে

সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ.

ভালো থাকুন.

৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

শুভ৭১ বলেছেন: সে তো কয়েক বছর আগের কথা।আমাদের তো প্রতিনিয়ত রুট চেঞ্জ। যাযাবর! আজ এখানে তো কাল সেখানে।।।।শুধু সৃতিরাই বেঁচে থাকে লজ্জাহীনের মতন।!!! আপনিও যেহেতু ঘোরাফেরার মাঝেই থাকেন,হয়তোবা কোন একদিন দেখা হলেও হতে পারে গোলকের কোন এক কর্নারে।।।।।।।।।ভালো থাকুন,শুভ হোক আপনার গোলোকবিহারী চলা।।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

জসিম বলেছেন: ও হ , তাই নাকি. সে কোনো সমস্যা না. একদিন কোথাও দেখা হয়ে যাবে নিশ্চয়ই. এতো এতো স্মৃতি নিয়ে ঘুরেন সেটাই অনেক বড় কিছু. কত যে ভাবি, ঘুরবো দেশ থেকে দেশে, সে আর হয় না ওভাবে. আপনার কিন্তু সেদিক দিয়ে অনেক সুবিধা. ছোট পৃথিভী কোথাও দেখা হওয়া অনেক সম্ভব. হেলসিংকি বন্দরের ধারে কাছে আসলে অবশ্যই দেখা হবে আশা করি.

ভালো থাকুন পথ থেকে পথে. স্মৃতিগুলো জেগে জেগে সামনেই নিয়ে যাক.
শুভকামনা.

৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০২

হামিদ আহসান বলেছেন: অনেক ভাল লাগল ..............

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:৪৪

জসিম বলেছেন:
ধন্যবাদ হামিদ আহসান. সঙ্গে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা.

ভালো থাকুন.

১০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪০

আমিনুর রহমান বলেছেন:



ভালোই এগোচ্ছে ... :)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৫:০৭

জসিম বলেছেন:

ধন্যবাদ আমিনুর রহমান.

সাথেই থাকুন.

কৃতজ্ঞতা.

১১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৪৪

সোহাগ সকাল বলেছেন: শেষে আপনারা আলাদা হয়ে গেলেন দেখে একটু খারাপ লাগছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.