নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

@ ঘুরপাক פֿ ; সক্রিয় পাঠক

শূন্য হৃদয়ে ডঙ্কা বাজে এ কিসের, জানো কি হে!

জসিম

সবকিছূই যেন ঘুরে ঘুরে আসা। ঘুরপাক@ সবখানেই।

জসিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিনল্যান্ডের গল্প-৩ : পুলিশের ঘরে ভ্রমণ এবং লাগেজ উধাও

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯


আগের পর্বে বলছিলাম ফিনল্যান্ড এসে পৗেঁছানোর কথা. সেই পৌঁছানোর গল্পের মাঝের চুম্বক অংশটুকু নিয়ে আজকের গল্প. আসা মানেই যে বিমানে উঠলাম, বসলাম, পৌঁছে গেলাম, ঘরে এসে বিশ্রাম বিষয়টা সব সময় তেমন হয়না ভ্রমণের ক্ষেত্রে. আমারও হইছিলো সেই অবস্থা. টার্কিশ এয়ার হেলসিংকি আসার পর বেশ খুশি খুশি ভাব মনজু ভাই ও আমার. আইসা পৌঁছেই গেলাম অবশেষে. এখন আর কি চিন্তা. কিন্তু ফ্লাইট এসে জায়গামতো পৗেঁছলেও গন্তব্যে যাওয়া নিয়ে দেখা দিলো অনিশ্চয়তা.

হুম, বলছি সে কথা. বিমান থেকে নামার পর পাসপোর্ট, ভার্সিটির ভর্তির কাগজপত্রসহ আরো অন্যসব নিয়ে লাইনে দাড়িয়ে গেলৈাম। বিশাল লম্বা লাইন. কিন্তু কিছু করার নাই. প্রায় আধ ঘন্টা পর যখন কাউন্টারে গেলাম তখন শুরু হলো আরেক কাহিনী. বেচারী কতক্ষণ পাসপোর্ট দেখে ডাকলো আরেকজনকে. সে এসে কতক্ষণ টাইম পাস করতেছে. এমন সময় আরো দুই একজন পুলিশ আসলো. দেখি আমারেই বলতেছে, লাইন ছেড়ে বেলাইন হয়ে তাদের সাথে সাথে যাবার জন্য. আমার অবস্থা তখন কেরোসিন. কি হইতেছে কিছুই বুঝতাছি না. এর মাঝে মনজু ভাই আমার আগেই পার হইয়া গেছে.

তো পুলিশ দুইজন নিয়া আমারে বসাইলো দুইতলায় আরেক জায়গায়. সেখানে গিয়া দেখি বিদেশী আরো কয়েকজন আছে. আমি ভাবতেছি, এখন কি আমারে আবার ফেরত পাঠায় দেয় নাকি. কিন্তু কারণ কি সেইটাই বুঝার চেষ্টা করতেছিলাম. যা হোক হাজার চিন্তার মাঝে বসাইয়া রাখলো আধা ঘন্টা. আমি তো চিন্তায় অস্থির. কি যে করি. এমন না যে কাউরে ফোন কইরা কিছু পরামর্শও নিমু. যাই হোক এরপর এক সুন্দরী আ্সলো একটা ফর্ম নিয়া. কলম দিয়া বললো, ঐটা ফিলাপ করতে, পাসোপার্টটা সাথে কইরা নিয়া গেলো. আর কোনো কথা নাই. ঠিক আছে, কি করো, কেন আসছো, কোথায় যাবা, কি করবা এই জাতীয় হাজার প্রশ্ন ঐখানে. পুরণ কইরা আবার বইসাই রইলাম. এখন আবার কি কয় কে জানে.

এর মাঝেই কয়েক মিনিট পর সেই সুন্দরী আইসা কাগজটা নিলো আর বললো আরেকজনকে অনুসরণ করতে. সাথে আমার সেই হেভি ল্যাপটপ ব্যাগ যেখানে প্রায় ১০ কেজি ওজন. আছে আরেকটা ব্যাগ এবং কাগজপত্র ফাইল. এই নিয়া এখানে, সেখানে করতে করতে অবস্থা খারাপ. তো, তারা আমারে নিয়া আর কিছু না বইলা দরজা দিয়া সোজা এক্সিট. মানে হইলো লাগেজ এরিয়ার দিকে সরাসরি পাঠায় দিলো. যাক বাইচা গেলাম. এন্ট্রি হইলো ফিনল্যান্ড. এখন লাগেজ খোঁজার পালা. লাগেজ বলতে একটা বড় ব্যাকপ্যাক, বড় লাগেজ আরেকখান, আর বাকী সব তো হাতেই.



সেখানে গিয়া দেখি চারদিক সুনসান, কোথাও কেউ নাই. সবাই যার যার মাল লইয়া উধাও. আমি পড়লাম আবার বিপদে. অর্ধেক আছে তো বাকি অর্ধেক নাই. কি করি. ব্যাকপ্যাক টা পাইলাম, আসল লাগেজের খবর নাই. নাই তো নাই. কোনোখানেই খুঁইজা পাইলাম না. সব মালপত্র তো ঐখানেই. এখন আমার কি হবে. ৪৩ কেজির লাগেজ ছাড়া বিদেশে আমি যে কি করমু সেই চিন্তায় আমার হায় হায় অবস্থা. এদিক যাই, ওদিক যাই কেউ তার হদিস কইতে পারে না. এই করতে করতে গেলো আরো ঘন্টা খানেক সময়. এদিকে মনজু ভাই এই এলাকা থাইক্যা আরো আগেই চলে গেছে. তারে নিয়া যে দৗেড়াবো, জিজ্ঞেস করবো কাউকে, সেটাও হচ্ছে না. এত বিপদ দেইখ্যা কান্দাকাটির বাকি ছিলো.

যাই হোক. লাগেজ পাওয়ার আশা বাদ. একজন পরামর্শ দিলো নিজের বিস্তারিত লেইখ্যা, ঠিকানাসহ রাইখ্যা যাইতে, মিসিং লাগেজ পরে সেখানে পাঠানো হবে. আমার যেহেতু আর কিছু করার নাআি, সেই পরামর্শ নিয়ে ঠিকানাসহ বিস্তারিত লেখলাম. লাগেজ ছাড়াই এবার বিমানবন্দর থেকে বাইর হইলাম. কিছু দূরে গিয়ে পাওয়া গেলো মনজু ভাইর।. সে এক জায়গায় বইসা ছিলো. কেন এতো দেরি, কি করতেছিলাম এতক্ষণ সেই গল্প তারে বিভিন্নভাবে বুঝানো হইলো, আর কিছুক্ষণ হা হুতাশ, মন খারাপ পর্ব চললো. লাগেজের চিন্তা ই বড় আপদ হয়ে রইলো.

ছবির স্বত্ব: অন্যের, গুগল থেকে.

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০২

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লেখা, ভাল লাগল। লাগেজ হারানো সাংঘাতিক বিপদের কথা যেটা ঢাকার এয়ারপোর্টে নিয়মিত ভাবেই হয় (এয়ারপোর্টের লোকেরাই চুরি করে)। হেলসিংকিতে হয় বলে খুব কম শুনেছি। পরে কি হলো জানিয়ে আরো পর্ব লিখে ফেলুন। আরেকটা উপদেশ ভ্রমন কাহিনিতে খামোখা কথ্য আন্চলিক ভাষা ভাল লাগেনা, সাধারণ চলিত ভাষায় লিখুন। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

জসিম বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী. লাগেজ হারানো নিয়ে আসলে ঐ ধরনের আশংকা ছিলো না. কিন্তু কি আর করা, নিজেই এর কবলে পড়লাম আর কি! লাগেজ পরে বাড়ির ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয় কয়েকদিন পর. আর আমি যেহেতু গন্তব্যস্থলে না গিয়ে হেলসিংকিতে কিছুদিন ছিলাম সে কারণে আসলে লাগেজের তেমন দরকার পড়ে নাই। ভাষার মিশ্রন ভালো বলেছেন. কিন্তু সমস্যা হলো যেভাবে নিজে বলতেছি, ঐভাবেই সেটা লেখা হয়ে যাচ্ছে. কিন্তু লেখার সময় ঐটা অনেক খেয়াল করলেও কিছু কিছু চলেই আসে. চেষ্টা করবো ঠিক করার.

অনেক কৃতজ্ঞতা.
সঙ্গেই থাকুন.
ভালো থাকুন.

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো সমস্যা তো!

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

জসিম বলেছেন: সমস্যা আসলেই সেই রকম. কিন্তু ভাগ্য ভালো বলা যায়. দিনশেষে বিড়ম্বনা কমাতেই খুশি.

ধন্যবাদ হামা ভাই.
ভালো থাকুন.

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৫

জুন বলেছেন: লাগেজ হারানো একটা খুবই ভয়ংকর অভিজ্ঞতা । সুন্দর লেখায় প্লাস জসিম ।
কায়রো এয়ারপোর্টেও আমাদের এমন আলাদা করে ফেলেছিল ইমিগ্রেশন লাইন থেকে । ইমিগ্রেশনের লোকটা পাসপোর্ট উলটে পালটে দেখে অন্য একটা ঘরে যেতে বল্লো । সেখানে অফিসাররা বসা ।
আমি আমার হাসবেন্ডকে যত বলি তোমার আই ডি কার্ডটা দেখাও । সে বলে দেখি কি করে ? । তারপর তার আইডি কার্ড দেখে স্যরি ট্যরি বলে আমাদের হাসিমুখে যেতে বল্লো ।
আমার তো খুবই রাগ লাগছিল সেই অফিসার আর আমার স্বামীর উপর X((
+

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

জসিম বলেছেন:
লাগেজ নিয়ে কি যে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলাম সেটা বলে বুঝানো যাবে না. কারণ আদতে সেটা পাওয়া যাবে কিনা সে নিয়েও আশংকা ছিলো. আর ইমিগ্রেশনে এই হাল হকিকত দেখে একবার মনেই হয়েছিল বুঝি ফেরতই পাঠিয়ে দিবে. যাই হোক, পরে দেখা গেলো বিষয়টা তেমন না. যেহেতু প্রথমবার আসছি সে কারণে তারা কিছু ফর্মালিটি করলো. যে ফর্ম পূরণ করার জন্য দিছিলো সেটাও তেমন কিছু না. অামার সাথের একজনকে কিছু বলেও নাই. আর আমার জন্য এ অবস্থা. বলা মুশকিল কখন যে কি চিন্তা করে. যা হোক.

ভালো থাকু জুনাপু. ধন্যবাদ.

৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

মহসিন৭১ বলেছেন: ভাই আমি একটা অনলাইন পত্রিকায় কাজ করি। নাম : http://www.bbarta24.net/ আমাদের পত্রিকায় প্রবাসের কথা নামে একটি পাতা আছে। ভ্রমন কাহিনীর জন্য আছে পর্যটন পাতা। আপনার লেখাগুলো যদি আমাদের অনলাইনে দিতে ইচ্ছুক হন, তাহলে আমাকে মেইল করতে পারেন। সাথে ছবিও দেবেন। [email protected]

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

জসিম বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো.
ধন্যবাদ মহসিন ভা্ই. ভালো থাকুন

৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বাহঃ দারুন লিখেছেন ভায়া। জানতে ইচ্ছে হচ্ছে লাগেজটা কি পেয়েছিলেন?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪

জসিম বলেছেন:
অনেক কৃতজ্ঞতা সাথে থাকার জন্য গেম চেঞ্জার. লাগেজটা পাওয়া গেছে সপ্তাহ খানেক পর. সেটা ঠিকানা অনুযায়ী কাছের এয়ারপোর্টে পাঠায়- এটা নিয়ম. আমার শহরের বিমানবন্দরে সেটাকে হেলসিংকি থেকে পাঠায়. পরে গিয়ে নিয়ে আসি.

ধন্যবাদ.
ভালো থাকুন.

৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

আবাব বলেছেন: শেষ ফিনল্যান্ড গেছিলাম ২০১৩ সালে। কিন্তু কোনো ইমিগ্রেশন ছিলো না। হয়ত ইউ থেকে যাওয়ার কারনে। তবে হেলসিংকি অ্যারপোর্টের ওয়াই-ফাই খুব ভালো।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

জসিম বলেছেন: তাই নাকি! কোথায় ছিলেন এখানে. ঘুরতে এসেছিলেন! ইউ থেকে গেলে আলাদা কোনো ইমিগ্রেশনের কিছুই নাই. সে কারণে হয়তো এমন হবে. আমি নিজেও যখন জার্মানী , পোল্যান্ড যাই তখনো ইমিগ্রেশন আলাদা কিছু ছিলো না.
হুম. ঠিকই বলেছেন, এখানে বিমানবন্দরে আরো আধুনিক করা হয়েছে. সরাসরি হেলসিংকি সিটি সেন্টার থেকে চালু হয়েছে মেট্রো রেল. বিমান থেকে নেমে গেট পার হয়ে সরাসরি মেট্রোতে করেই চলে আসা যাবে সেন্টারে. আগে একমাত্র আসার উপায় ছিলো বাস বা অন্য যানবাহন.

ভালো থাকুন.
ধন্যবাদ.

৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীকে হেনস্খার শিকার হতে হয় না কেবল বাংলাদেশে। এই ভিআইপি মর্যাদা থেকে কবে মুক্তি পাবো জানি না।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

জসিম বলেছেন: পাসপোর্ট নিয়ে হেনস্তার আসলে নানা ধরণ আছে. এটা ঠিক অনেক স্থানে এ নিয়ে অহেতুক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়. তবে দেশে এ নিয়ে এ ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে পড়া কোনেভাবেই কাম্য নয়. তবে, অবস্থা, জনবল, সুযোগ সুবিধা এত সবকিছু বিবেচনা করলে কিছু ঝামেলা যে হবে না এটা বলা যায় না. আমাদের সীমাবদ্ধতাও তো আছে অনেক.

ভালো থাকুন.
ধন্যবাদ.

৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সুমন কর বলেছেন: আপনার প‌্যারার কাহিনী শুনে খারাপ লাগল।

বর্ণনা ভালো হয়েছে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫০

জসিম বলেছেন:
মাঝে মাঝে মনে হয় কিছু প্যারা না থাকলে আসলে সেই জার্নি মনে রাখার মতো কিছু থাকে না. এই গেলাম, আসলাম টাইপ হয়ে যায়.

ধন্যবাদ সুমন কর.
সঙ্গে থাকুন.

ভালো থাকুন.

৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: জসিম ,



হা..... হা....হা... আমাদেরও মন খারাপ পর্ব চলবে ! যতোক্ষন না জানতে পারছি, লষ্ট লাগেজ কষ্ট করে আপনার ডেরায় এন্ট্রি নিলো কিনা !

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮

জসিম বলেছেন: তা যা বলেছেন. কিছু মন খারাপ তো ছিলোই. আর অবস্থা তো জানেন ই. যখন বাসায় এসব জানলো, মনে হলো রাজ্যের টেনশনে সবার যেন ঘুম হয় না. আমার চেয়ে বাকি সবার মন খারাপ বেশি. আর নতুন এসেছি. এখানেও যারা শুনছে আর তাদেরও আফসোস. এই আহা রে. নিয়াই গেলো কিছুদিন. পরে পাওয়া গিয়েছিলো. মাঝে গল্পের এক পর্যায়ে আসবে সেটা.

ভালো থাকুন.

ধন্যবাদ আহমেদ জী এস.

১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৮

থিওরি বলেছেন: আমার ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড বা নরওয়েতে যাওয়ায় একটা সুপ্ত বাসনা আছে! অবশ্যই লেখাপড়া পারপাসে। লাগেজ পাইছেন পরে?

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪

জসিম বলেছেন:
আপনার পছন্দের সবগুলোই ভালো পড়াশুনার জন্য. অনেক শুভকামনা. ফিনল্যান্ড আসলে তো আরো ভালো. এখনো টিউশন ফি নাই. চেষ্টা করে দেখতে পারেন.
হ্যাঁ, লাগেজ পেয়েছি পরে.

শুভকামনা.

ভালো থাকুন.

১১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

ইমরান আশফাক বলেছেন: স্কানডিনেভিয়ান দেশগুলির যে কোন একটা আমার দেখার খুব শখ। বিশেষ করে ওদের গ্রামিন জীবনযাত্রাটা দেখার ও জানার খুব শখ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮

জসিম বলেছেন: আপনি এখানে আসলে আপনার অনেক ভালোই লাগবে নি:সন্দেহে. নরডিক দেশগুলোর জীবনযাত্রা ইউরোপের অন্য দেশ থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম. একেবারে উত্তর প্রান্তে বলে হয়তো. সামাজিক কাঠামো ও বিভিন্ন বিষয়ে যথেষ্টই মিল আছে এসব দেশের মধ্যে.

আপনার জন্য শুভকামনা.
ভালো থাকুন.

১২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ভ্রমণ পোষ্ট, আমার প্রিয় বিষয়, কিন্তু কষ্টের সাথে পড়লাম।
ইমিগ্রেশন্ হেনস্থা বাংলাদেশিদের একটা কমন ব্যাপার , আর লাগেজ, সেটা বাংলাদেশে এসেও পাওয়া যায় না।
লাগেজ-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আশা করছি আরেক পর্ব পাব!!

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

জসিম বলেছেন: ভ্রমণের যে কোনো কিছু আমি নিজেও অনেক আগ্রহ নিয়ে দেখি, পড়ি. জানার চেষ্টা করি. বলতে পারেন আমি নিজে অনেক কিছুই করি যা ভ্রমণের সাথেই যুক্ত. কিছু না করলেও দেখা যাবে ফেসবুকে ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশের গ্রুপ থেকে ঘুরে আসি. এটা যে দিন কয়বার, সেই হিসাব এত বেশি যে বলা মুশকিল.
ইমিগ্রেশনে সব সময় একই ভাবনার মানুষ থাকে না. আর অন্য দেশের মানুষদের নিয়ে এদের হরেক রকম অভিজ্ঞতার কারণেই হয়তো এগুলার শিকার হতে হয়. আর বাংলাদেশে লাগেজ নিয়ে আমি নিজেও পড়ছিলাম সমস্যায়. গত জানুয়ারিতে যখন দেশে গেলাম তখন. সব যাত্রীর লাগেজ চলে গেছে আমার লাগেজের কোনো খবর নাই. নানা জনে বলেও পাত্তা নাই. কি করি কি করি আর খুঁজাখুঁজি করতে করতে অবস্থা খারাপ. এর মাঝে প্রায় ঘন্টাখানেক খরচ. পরে কোত্থেকে এলো কে জানে. এক চিপায় দেখি পইরা আছে. অথচ কিছুক্ষণ আগেও সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি. এই হইলো অবস্থা.
ফিনল্যান্ডে এসে লাগেজ পরে পেয়েছিলাম. সেটা অন্য পর্বে আসবে আশা করি.

অনেক ধন্যবাদ সঙ্গে থাকার জন্য.
ভালো থাকুন.'

১৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: লাগজে আমিও হারিয়েছিলাম বাংলাদেশে আসার সময়। যেদিন এসেছি তার একদিন পর ছিল আমার বিয়ে। লাগেজে বিয়ের জিনিষ । অভিযোগ কেন্দ্রে যেয়ে আমার তো চোখ ছানাবড়া। হাজার হাজার লাগেজ পড়ে আছে। এদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম আমারটার। পরে অবশ্য সে উদ্ধার হয়েছিল।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

জসিম বলেছেন:
লাগেজ নিয়া বিড়ম্বনায় পড়ে নাই এমন মানুষ বোধ খুবই কম. কি অবস্থা বলেন দেখি! এই সময় যদি হারায় এত সব কিছু তাহলে যে কি দু:খ হবে এ্ই ভেবেই আমি টেনশনে আছি. বিয়ের সময় তো মন খারাপ শুধু না, আরো অনেক টেনশন জড়িত. আমার লাগেজ খোঁজা নিয়েই যে দশা, তাতে আপনার কি অবস্থা হয়েছিল সেটা কিছুটা অনুমান করতে পারছি. পরে পেয়েছিলেন ভালোভাবে সেটা বেশ ভালো সংবাদ. কিন্তু সেটা কি বিয়ের আগেই পাওয়া গিয়েছিল! নাকি বিয়ের দিন বা পরে পেয়েছিলেন! কৌতুহল :P

ভালো থাকুন.

ধন্যবাদ.

১৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫২

ডাঃ মারজান বলেছেন: ভাই পড়ছি আর ভালো লাগছে। যাক পুলিশ মামারা বেশি আদর টাদর করেনি। ভালো থাকুন

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৩

জসিম বলেছেন: আদর করার আশংকায় ছিলাম. কিন্তু না করাতে বেশি ভালো লেগেছিলো.

সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ.

ভালো থাকুন ডা: মারজান.

১৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

জীবিত থাকিয়াও মৃত বলেছেন: ছোট ভাইয়ের বয়স ৩৩, শেয়ার ব্রোকারেজ হাউজে ট্রেডার/ Authorized Representative হিসেবে ৭ বছর ধরে জব করছে। বাজার মন্দার কারনে চাকুরীতে সমস্যা হচ্ছে এবং আলরেডি ৩ জন এর চাকুরি গেছে। যে কোন সময় আমার ছোট ভাইয়ের চাকুরিও যাবে, অন্য কোথাও জব মিলছে না। কঠিন সমস্যায় আছি........

ব্লগ থেকে জেনেছি ৩/৬ মাছের গার্ডেন জব নিয়ে নাকি ফিনল্যন্ডে যাওয়া যায়? এটা কি সম্ভব, যদি তাই হয় আপনি কি এ বিষয়ে একটু বিষ্তারিত ধারনা দিতে পারেন, কোন স্পনসর পাওয়া বা কোন সোর্সে জব পাওয়া যাবে ...কোন লিংক থাকলে দেবেন, খরচ এবং অন্যান্য দরকারি বিষয়ে জানালে ভাল হয়।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:৪৮

জসিম বলেছেন:
ভাই জীবিত থাকিয়াও জীবিত (মৃত বললাম না).আমি আসলে বুঝতে পেরেছি আপনি কি বলতে চাইছেন. বিষয়টা হলো কাজের ভিসা নিয়ে অনেকেই ফিনল্যান্ডে আসছে. আমি যেটা দেখেছি তা হলো- থাইল্যান্ড বা ভিয়েতনাম থেকে মূলত সামারের সময় বেশ কিছু লোক প্রতি বছরই আসে বেরি তোলার কাজে. বাংলাদেশ থেকে অনেকে কৃষি কাজের ভিসায় এসেছে বলে শুনেছি. কিন্তু এ বিষয়ে আমার কোনো ধারণাই নেই. সে কারণে না জেনে আপনাকে কিছু বলতে পারছি না. পড়াশুনার বিষয়ে কোনো জানার থাকলে যথাসাধ্য চেষ্টা করা যাবে.

অনেক ধন্যবাদ.

ভালো থাকুন. ভালোই থাকুন সব সময়.

১৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

জীবিত থাকিয়াও মৃত বলেছেন: সংশোধনী: "৩/৬ মাসের গার্ডেন জব"

১৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২২

ভিটামিন সি বলেছেন: সিংগাপুরের চাংগি এয়ারপোর্টে আমার এক কলিগের লাগেজ হারিয়েছিলো সিংগাপুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে। পরে সেটি আমাদের অফিসের ঠিকানায় এসকিউ বিমানের গাড়িতে করে পাঠিয়ে দিয়েছিলো ২০০৮ সালে। বাংলাদেশে আমি ২০১০ সালের বিমান বাংলাদেশের এক ফ্লাইটে লাগেজ হারিয়েছিলাম। অনেক হয়রানির পর ৩ দিন পর পেয়েছি। সেটাতে আমার ব্যবহার্য জিনিসপত্র ছিল, দামী কিছু না পোষাক-আষাক, জুতা ইত্যাদি।
২০১৪ সালে রিজেন্ট এয়ার ওয়েজে এক ছোট্র ব্যাগেজ হারিয়েছি, পরে আর সেটি পাই নি। কমপ্লেইন রেজিস্টার করেও পাইনি। এক বন্ধুর ছোট্র ভাগ্নির জামা, জুতা, খেলনা, মেকআপবক্স ইত্যাদি ছিল সেটিতে। আমি পড়েছি লজ্জায়, ওদের বাড়ির কেউ যদি মনে করে যে আমিই ব্যাগটা মেরে দিয়েছি!!! যখন পিচ্ছি জেনেছে যে ব্যাগটা হারিয়ে গেছে, তখন অনেক কান্নাকাটি করেছে। বলছে "মামা বলেছে আমার জন্য খেলনা পাঠিয়েছে, তোমরা লুকিয়ে রেখেছো, আমাকে দিচ্ছ না।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:৫৮

জসিম বলেছেন: আসলে লাখ টাকার জিনিস থাকলেই ব্যাগ, লাগেজ মূল্যবান হয়ে উঠে বিষয়টা এমন নয়. আপনার অতি প্রিয় ছোট এক জোড়া জুতাই অনেক স্মৃতি, অমূল্য হতে পারে. আবার একটা কাপড়ও সেই রকম মূল্যবান হতে পারে. এ কারণে বস্তু যতো তুচ্ছই হোক, ব্যক্তির কাছে তার মূল্য অনেক অনেক বেশি. আমার কাছে বা অন্যের কাছে মূল্যহীন আপনার সেসব জিনিস আপনার নিজের কাছে নিশ্চয়ই অনেক মূল্যবান. হারিয়ে গেলে সে কারণে কষ্ট, দু:খ সবই লাগে. যার যায় সে বুঝে কতো মূল্যবান জিনিস গেছে. এখন এসব মিসিং ঘটনা কমছে. ফেরতও পাওয়া যাচ্ছে, যা অবশ্যই ভালো.
ভাগ্নীর এ অবস্থায় আসলে বর্ণনা করে বলার মতো কিছু নেই. ওকে সেভাবে বুঝানো তো আর যাবে না. আর নিজেরও তেমন কিছু করার নেই. এসব অভিজ্ঞতা আসলেই অনেক কষ্টের. ভবিষ্যতে যাতে এমন না হয়ে সেজন্য সতর্ক থাকা ভালো. যদিও নিজের দোষে তা হয় না.

সঙ্গে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা.
ভালো থাকুন ভিটামিন সি.

১৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:



পরে লাগেজ কি পেয়েছিলেন?

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৫:০২

জসিম বলেছেন: সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ আমিনুর রহমান.

হ্যাঁ , পাওয়া যায়, কিন্তু কয়েক দিন পর. না পেলে আমার অবস্থা কেরোসিন হওয়া ছাড়া গতি ছিলো না.

ভালো থাকুন.

১৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

কেএসরথি বলেছেন: এক বসায় তিন পর্বই পড়ে ফেললাম।

+++

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫

জসিম বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা কেএসরথি.

সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ.

ভালো থাকুন.

২০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৫০

সোহাগ সকাল বলেছেন: লাগেজের জন্যে তো আমারই খারাপ লাগছে! এভাবে মালামাল হারানোর ঝামেলা এড়ানোর সহজ উপায় কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.