নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জাতির বোঝা। তবে আমাকে আপনি জাতির ভাতিজাও বলতে পারেন। জাতির কোন উপকার করছি কিনা জানি না। জাতির থেকে কোন উপকার পাইনি এটা বলতে পারি।

জাতির বোঝা

বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের সিরিয়াল নম্বর দিলে আমার নম্বরটা পড়বে সবার শেষে । আমি এক জন কামলা। দেশে কোন কাজ পাইনি। পেটের দায়ে বিদেশে কামলা দেই। আমি জাতির বোঝা। জাতি আমাকে কিছু দেয়নি। তবে আমি জাতিকে রেমিট্যান্স দিই।

জাতির বোঝা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিসে হরিলুট!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১



মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট সেবা দেয়ার নামে চলছে হরিলুট আর সরকারী টাকার শ্রাদ্ধ। সরকারী টাকা যে কত সস্তা তা এখানে একবার না গেলে কেউ বুঝতে পারবে না। তাদের দেশের প্রতি দরদ দেখে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম।

এখানে মূল দূতাবাসের সাথে কোন পাসপোর্ট অফিস নেই। পাসপোর্ট অফিসটি আলাদা একটি ৪ তলা ভবনে। যারা ভাড়া বাংলাদেশী টাকা মাসে ৭/৮ লাখ টাকা।


প্রায় বছর দুয়েক আগে অনেক ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রবাসী জনগণকে আরো বেশী করে পাসপোর্ট সেবা দেয়ার আব্দার করে দূতাবাসে খোলায় হয় পৃথক পাসপোর্ট বিভাগ। সেখানে বরাদ্দ করা হয় প্রায় ৩০ কোটি টাকা। দূতাবাসে পর্যাপ্ত জনবল থাকার পরও পাসপোর্ট বিভাগে ঢাকা থেকে আনা হয় প্রশাসন ক্যাডার থেকে এক জন সিনিয়ার সহকারী সচিব যিনি কিনা এখানে প্রথম সচিব নামে পরিচিত। সেই সাথে ঢাকা থেকে পাঠানো হয় আরো চার জন পদস্থ কর্মচারী। ফলে দূতাবাসে অতিরিক্তি জন বল হিসাবে যোগ হয় আরো ৫ জন। সরকারের খরচ বেড়ে যায় কোটি কোটি টাকা। কেননা তাদের বেতন-ভাতাদি ডলারে পরিশোধ করতে হয় সরকারকে।




এছাড়া ঢাকার আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস থেকে প্রায় প্রতি মাসেই কর্মকর্তারা নানা ছল ছুতোয় মালয়েশিয়া সফর করছেন। বিদেশ সফরের সময় কর্মকর্তারা নিয়মিত বেতন ভাতার বাইরেও প্রতিদিন প্রায় ৩০০ মার্কিন ডলার করে ভাতা নেন সরকারের কোষাগার থেকে। ফলে শ্বেতহস্তী পোষতে সরকারকে গুণতে হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

জানা গেছে, আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের বড় কর্তারাই নন, প্রায় সময়ই সেখান থেকে ২০/২৫ জন কর্মচারী বিশেষ সেবা দেয়ার নাম করে মালয়েশিয়া সফর করেন। প্রতিবার সফরে তারা ১ মাস ,২ মাস বা তার চেয়েও বেশী সময় কাটান। ফলে তাদের পেছনে নিয়মিত বেতন ভাতা ছাড়াও ডলারে ভাতা দিতে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে। জানা গেছে সেখানে তাদের কোন কাজই নেই। পাসপোর্ট অফিসের একটি সরকারী গাড়ী আছে। সরকারী গাড়ীতে সরকারী তেল খরচ করে তারা মালয়েশিয়াতে প্রমোদ ভ্রমন করে বেড়াচ্ছেন।


প্রতি মাসে ঢাকার আগারগাঁও থেকে সেবার দেয়ার নাম করে আবার পাঠানো হয়েছে ২৫ জন কর্মচারী আর ২ জন কর্মকর্তা।তারা নাকি ২ মাস ধরে প্রবাসী জনগণকে সেবা প্রদান করবে।

এদিকে তারা পাসপোর্ট অফিসে সেবা দেয়ার নাম করে রাষ্ট্রের টাকার শ্রাদ্ধ করে চলেছেন। কারণ এই মুহূর্তে প্রায় ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়মিত বেতন ভাতা দেয়া ছাড়াও তাদেরকে প্রতিদিন জন প্রতি ২/৩ শত মার্কিন ডলার করে বিদেশ ভাতা দিতে হচ্ছে। যা আসছে গরীব দেশের গরীব মানুষের জন্য বরাদ্দ করা বাজেট থেকে। এর বিনিময়ে সাধারণ মানুষ কি পাবে। লাভের মধ্যে লাভ হবে এই সব কর্মকর্তা কর্মচারী সরকারী টাকায় বিদেশে ঘুরবে আর শপিং করে লাগেজ ভর্তি করবে। খুব্ই আনন্দের বিষয়।

সেবা দেয়ার নাম করে এতো মানুষ এক সাথে মালয়েশিয়াতে আসার কোন রেকর্ড নেই বলে জানা গেছে। কারণ দূতাবাসে এক সাথে এতো গুলো মানুষ কাজ করার মতো কোন জায়গা, মেশিন বা অবকাঠামোগত কোন সুযোগই নেই।

এ ব্যাপারে ভালো জানেন এমন এক জন সাবেক সরকারী কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে জানা গেছে যে, পৃথিবীর অনেক দেশের দূতাবাসে মোট স্টাফ সংখ্যাএ ৩০ জন হয় না।অথচ এখানকার পাসপোর্ট অফিসে মোট জনবল ৫০ এর অধিক। অথচ মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিসে জনগণের টাকার শ্রাদ্ধ আর হরিলুটের জন্য নানান রাজনৈতিক তদবির করে তাদেরকে পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে যে অফিসে থেকে পাঠানো হয়েছে সেই অফিসের কাজ কর্ম কি করে চলে এটাও একটা বিরাট প্রশ্ন। কারণ কোন একটি অফিস থেকে এক সাথে ২৫/৩০ জন কর্মকর্তা, কর্মচারী ২ মাসের জন্য বিদেশে চলে গেলে সেই অফিসটি কি ভাবে চলে।

আমার প্রশ্ন সবার কাছেঃ

এই সব লুটপাট আর সরকারী টাকার শ্রাদ্ধ দেখার মতো কোন লোক নেই বাংলাদেশে?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪

বলেছেন: সবকটি দূতাবাসের একই অবস্থা।।।
উওর হলো -- যেহেতু জবাবদিহিতা নেই সেহেতু তা দেখার কেউ নেই।।।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন: দূতাবাসে গেলে এদের থেকে যে ব্যবহার পাওয়া যায় তার থেকে বাড়ির চাকর বাকরের সাথে মানুষ ভালো ব্যবহার করে

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



দেশে চলছে হরিলুট সাথে মহাডাকাতি, ওখানে হরিলুট হতেই পারে। এসব দিকে খেয়াল না করে তারচেয়ে বরং বিটিভি দেখুন- উন্নয়ণের মহাসড়ক দেখতে পাবেন সাথে বাতাবী লেবুর বাম্পার ফলনতো আছেই।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০১

রাজীব নুর বলেছেন: যাত্রাবাড়ি বাস পোর্ট অফিসে লোকবল খুব কম। তাই এখানে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
সরকারী টাকা তো সরকারের না, দেশের মানুষের টাকা। বহু কষ্টের টাকা এইভাবে হরিলুট হওয়া খুব কষ্টের।

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: যাত্রাবাড়ি বাস পোর্ট অফিসে লোকবল খুব কম। তাই এখানে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
সরকারী টাকা তো সরকারের না, দেশের মানুষের টাকা। বহু কষ্টের টাকা এইভাবে হরিলুট হওয়া খুব কষ্টের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.