নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বকবক আমার স্বভাব।\n

কবঠ

মোস্তাক খসরু

শয়তানের সংখ্যা তিন ছয় বাইবেলে আছে।

মোস্তাক খসরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি মুসলিম রাষ্ট্রের চিত্রকল্প।।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০০

আসুন আজ আমরা ইসলামের আলোকে একটি আর্দশ মুসলিম রাষ্ট্র কল্পনা করি। রাষ্ট্রপ্রধান একজন খলিফা। তিনি রসুল সাঃ এর অনুসারী। পবিত্র কোরান শরীফ রাষ্ট্রের সংবিধান। তাই এখানে অন্যকোন মত, দল বা রাজনৈতিকমত পার্থক্যের কোন সুযোগ নাই। অনেকটা বঙ্গবন্ধুর বাকশালের মত একটি শাসন ব্যাবস্থা। বাকশালে নির্বাচনের একটা বিধান থাকলেও ইসলামি রাষ্ট্রে এই্ প্রথা রাখার সুযোগ নেই। সয়ং আল্লাহ যাকে যোগ্য ভাবিবেন তিনিই রাষ্ট্রের খলিফা নির্বাচিত হইবেন। খলিফা নিজেও স্বপ্নে আদিষ্ট হইয়া খলিফা র্নিবাচিত হইতে পারেন অথবা তার অনুসারীরাও সেই স্বপ্নটি দেখিয়া তাহাকে খলিফা নির্বাচিত করিতে পারেন। কোরান ও সুন্নার আলোকে দেশটা পরিচালিত হইবে।

এই মুসলিম রাষ্ট্রে স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদৌও কোন প্রয়োজন নাই। থাকবে ইসলামী শিক্ষা ব্যাবস্থা। প্রাথমিক শিক্ষার স্তরে কায়দা, মাধ্যামিক স্তরে আম পাড়া ও উচ্চতর শিক্ষায় কোরান শিক্ষার ব্যাবস্থা থাকিবে। কোরানে হাফেজ কোরানশরীফের ব্যাখ্যা বা তফশির সমুহ উচ্চতর শিক্ষায় পাড়ানো হইবে। মুসলিম গবেষকরা উচ্চতর ক্ষেত্রে কোরানশরীফের নানারকম গবেষনায় নিযুক্ত থাকিবেন কারন কোরান শরীফই সমস্ত শিক্ষার উৎসস্থল। হাসপাতালগুলি মসজিদের তত্ববধানে পরিচালিত হইবে। আয়ুবর্দিয় চিকিৎসা শাস্রের গাছ গাছরার, শিকর বাকর, পাতা, ফল ও্ পানি পড়াই একমাত্র বৈধ চিকিৎশা বলিয়া ধরিয়া লইতে হইবে।

আজকের বাস্তবতায় আজ যা কিছু বিজ্ঞানের কল্যানে মানুষ ব্যাবহার করিতেছে বা যে সকল বৈজ্ঞানিক সুবিধা সমুহ ব্যাবহার করিয়া আসিতেছে তা মুসলিম রাষ্ট্রের জন্য জায়েজ, কেননা এই সব কিছুই আল্লাহ সাড়ে ১৪০০ বছর আগেই কোরানের মাধ্যমে রসুল সাঃ কে অবগত করাইয়া ছিলেন। শুধুমাত্র ব্যাবহারের দিকটা কোরান ও সুন্নার আলোয় আলোকিত করিয়া নিলেই চলিবে। বিজ্ঞান শিক্ষা নিষিদ্ধ থাকিবে কেননা বিজ্ঞান মহান আল্লাহ তায়ালাকে অস্বীকার করিবার সাহস যোগাইতে পারে।

যেহেতু ইহা একটি আর্দশ মুসলিম রাষ্ট্র। এখানে নারী শিক্ষার অবকাশ নাই। নৃত্যকলা, গান বাজনা ও অভিনয় শিল্প সম্পুর্ন নিশিদ্ধ। নারী গৃহকর্ম পরিচালনা, সন্তান প্রসব ও তাদের দেখভালের দায়িত্ব পলন করিবেন। এটা ছাড়া নারী আর কোন র্পাথিব কাজে অংশগ্রহন করিতে পারিবে না। হত দরিদ্র নারীরা আবস্থাপন্ন আলেম, ওলেমা বা মাশায়েখদের বাসায় পয়সার বিনিময়ে গৃহকর্মে অংশগ্রহন করিতে পারিবেন। যাহাতে দাসী ব্যাবহারে জ্ঞানী ও মানি লোকের কোন অসুবিধা না থাকে।

বেতার, টিভি ও রাষ্ট্রিও চ্যানেল সমুহ শুধুমাত্র খবর, টক শো ও খলিফার গুনকৃর্তনে সদা সর্বদা নিয়জিত থাকিবে। মানুষের আত্মিক উন্নতির জন্য রেডিও টিভিতে কবরের আযাব ও বেহেস্তের সুখের বয়ান সিরিয়াল আকারে প্রচার বাধ্যতামুলক। ইহাই হইল প্রকৃত অর্থে একটি মুসলিম রাষ্ট্রের চিত্রকল্প। যা বাস্তবে সম্ভব কি না তা আপনারাই বিবেচনা করবেন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৫

বিবেক ও সত্য বলেছেন: মুসলমানদের একটি অংশ আল্লাহর আইন কায়েমের প্রচেষ্টায় তাদের জীবন-অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে থাকে। মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি, তার সৃষ্টিতে তার আইন চলবে, এতে তো কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। সমগ্র মানবজাতীর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ, সুতরাং তার আইন সবার জন্য কল্যাণকর হবে এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু আল্লাহর আইনের নামে নির্দিষ্ট কিছু মানুষের আইন রচনা করে জাতীর উপর চাপিয়ে দেয়া সবচেয়ে বড় প্রতারনা ও ঠকবাজী ছাড়া কিছু নয়।
কুরআনকে বলা হয় আল্লাহর আইনের পুস্তক। যদি যুক্তির খাতিরে ধরেই নেই যে কুরআন সৃষ্টিকর্তার বানী তথাপিও রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য আল্লাহর আইন পাওয়া যায় না্ ।কারন আল কুরআনে মাত্র ১০% আইন আছে।
আর আল্লাহর আইনের নামে যে রাষ্ট্র হবে তাতে মুসলমানদের যেই ফেরকা ক্ষমতাই যাবে সেই ফেরকার মনমত হাদিস থেকে বাকি ৪0% আইন রচিত হবে। লক্ষ লক্ষ হাদিস বানোয়াট হওয়াই এ ৪০% আইনও মানবরচিত।
এরপর বাকি ৩০% আইন ক্বিয়াস তথা রাষ্ট্রপরিচালনাকারী হুজুরদের তৈরি আইন যার গ্রহণযোগ্যতার জন্য বলা হয়ে থেকে কুরআন-হাদিস সামনে রেখে তৈরি।
বাকি ২০% হবে রাষ্ট্রপরিচালনাকারী হুজুরদের ইচ্ছামত। কুরআনে বলেছে
”আর তোমরা আনুগত্য কর তোমাদের সরকারের(উলিল আমর এর)”
প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর আইনের কোন অস্তিত্ব নেই। যারা আল্লাহর আ্ইনের নামে নির্দিষ্ট কিছু মোল্লাদের আইন কায়েম করতে চেষ্টা করে সেটা চরম হীনতা ও প্রতারনা।

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৭

বিবেক ও সত্য বলেছেন: এখন অনেকটা কমেছে, গত দু’দশক আগেও এদেশে কন্যা সন্তান জন্মদানের কারনে স্বামীরা স্ত্রীকে প্রহার করত এবং এমনকি তালাকও দিত।কন্যা সন্তানের প্রতি অনাগ্রহের মূল কারন ইসলামিক পারিবারিক নীতি।ইসলামি পারিবারিক নীতির কারনে ছেলেরা সংসারের হাল ধরে এবং অরথো উপারজন করে আর অপরদিকে মেয়ে সন্তান সংসারের জন্য বোঝা হয়ে দাড়ায়।
আমার এ কথার প্রতিবাদে অনেক মুসলিম বলবে যে ইসলাম কন্য সন্তানের গুরুত্ব বেশি দিয়েছি, কারন কন্যা মায়ের মরযাদা পায়, একাধিক কন্যা সন্তান থাকলে নবীজি জান্নাতের ঘোষনা দিয়েছেন, নারী নামে কুরআনে একটি সুরা আছে ইত্যাদি। সচেতন ও বিবেকবান পাঠকদের বলবো- নারীর অধিকার সংক্রান্ত সব কথাগুলো প্রায় পাম-পট্টিমূলক। উদাহরণ স্বরুপ যদি বলি যে গ্রামের চেয়ারম্যন বা অফিসের গুরুত্বপূরন পদবিগুলো সাদা চামড়ার মানুষের অধিকার। কারন তারা এর জন্য বেশি যোগ্য, তাদেরকে এ বৈশিষ্ট্য দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ------। আর কালো চামড়ার মানুষের এজন্য মন খারাপের কোন কারন নেই, কালো চামড়ার মানুষের জন্য বেশি জান্নাত, তাদের ইবাদতে অনেক বেশি সওয়াব, তাদের মরযাদা বেশি ইত্যাদি ইত্যাদি। এভাবে কিছু ভোগাছ তেল মারা কথাদ্বারা কিছু বোকা কালো মানুষকে বোকা বানানো যায় ঠিকই, বাস্তব যুক্তি ও বিশ্লেষনে বুদ্ধিমানের কাছে এ বোকা বানানোর ছল চাতুরি সহজেই ধরা খায়।
ইসলাম যেভাবে নারীকে ঠকিয়েছে তার বিস্তারিত লিখেছি নিম্নের পোষ্টে, যে যুক্তি কেউ এখন পরযুন্ত খন্ডন করতে পারেনি।
আল কুরআনের আলোকে নারী অধিকার (সত্য উম্মোচিত)/আল কুরআন মানব রচিত নাকি স্রষ্টার তার বিচারের দায় পাঠকের বিবেকের উপর
নারী-পুরুষ বৈষম্যর মূল কারন ও প্রতিকার
লিঙ্গভিত্তিক গর্ভপাতের কবলে পড়ে ২০০৫ সালে প্রায় ৯ কোটি মেয়ে শিশু জন্মের আগেই মারা গেছে ?

৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ছাগলেরও স্বপ্ন থাকে হয়তো, দেখে ছোট কাঁঠাল গাছ, লাফ দিয়ে গাছের মাথায় উঠা যায়, শিং দিয়ে গুতায়ে মানুষকে ভয় লাগানো যায়!

৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মোল্লা শফি, রাজাকার সাইদি, জল্লাদ নিজামীকে আল্লাহ স্বপ্ন দেখাতে থাকবেন "খলিফা" হতে, আপনাকেও দেখাবেন; দেশ দেখছি আগাছায় ভরে গেছে!

৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


খলিফা ওমর, আলী, ওসমানকে আল্লাহ খলীফা হতে স্বপ্ন দেখাননি, তলোয়ারের ভয়ে মানুষ স্বপ্ব দেখেছে দিনের বেলায়!

৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

কানিজ রিনা বলেছেন: আপনি আশায় থাকুন অতিসত্তর ইসলামিক
রাষ্ট্র কায়েম ইইবেক, আর যত পারবেন
বহু বিবাহ কায়েম করিয়া পতিতা লয়ের
নারী গুল উদ্ধার করিবেক। আশায় থাকলাম
ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হইবেক।

৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫১

মাহবুব উল হাসান নাফি বলেছেন: আগে ইসলামকে জেনে আসুন, এরপর ইসলামি রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখবেন । আপনি বলেছেন, ইসলামী রাষ্ট্রে নারী শিক্ষার কোন অবকাশ নাই! এই এক বাক্যই বলে দেয় ইসলাম সম্পর্কে আপনি কতটা কম জানেন । আপনি বলেছেন, "এটা ছাড়া নারী আর কোন র্পাথিব কাজে অংশগ্রহন করিতে পারিবে না।"- যে ইসলাম নারীকে এত সম্মান দিয়েছে, সেই ইসলামের নাম নিয়ে আপনি নারীদের অসম্মান করেন কোন সাহসে? আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুন, আমীন ।

৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আজাইরা পোস্ট প্রসব...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.