নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.সমাজ নিজস্বতাকে প্রশ্রয় দেয় না।। তবু ও নিজ প্রশ্রয়ে নিজস্বতা যৌগিক হয়। যৌগিক নিজস্বতাই মৌল নিজস্বতা- ক্রমশ পরিবর্তনশীল।

খাটাস

অস্তিত্ব আর অনস্তিত্ব সব কিছুই সুত্র মেনে চলে। সুত্র যেখানে, সুত্র স্থাপনে সৃষ্টির প্রসঙ্গ সেখানে। দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়ার সুত্র অজানা হলেও, তা সৃষ্টি তত্ত্বের বাহিরে নয়।

খাটাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

০ পোশাকের ভূমিকা অবশ্যই মুখ্য, তবে ভিক্টিমের নয় ০

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৭

দীর্ঘদিনের ব্লগ পাঠক হিসেবে অনেক গুণী মানুষের লেখা পড়ার সুযোগ হয়েছে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গির থেকে সব সময়ই কিছু না কিছু শেখার চেষ্টা করেছি। কত টুকু ধারণ করতে পারছি জানিনা, তবে এটুকু শিখেছি, নিজের মত ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করতে। যে কোন ধর্ষণ ইস্যুর মত তনু ধর্ষণেও পোশাকের ভুমিকা নিয়ে আবার সেই পুরান দ্বন্দ্ব। এক দিকে প্রগতিশীল কাম নারী বাদী এবং অনেক সাধারণ মানুষের মত- ধর্ষণে পোশাকের কোন ভুমিকা নেই। অন্যদিকে এক শ্রেণীর ধর্মান্ধের সেই পুরাতন জাবর কাটা - পোশাক হইল ধর্ষণের কারণ।



ক্রিমিনলোজি - অপরাধ তত্ত্ব। অপরাধ নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলে ক্রিমিনলজিতে। সাধারণত ক্রাইমের যে কোন ব্যাখ্যা প্রায় সবাই দেয়। সবারই একটা যৌক্তিক পয়েন্ট অফ ভিউ থাকে। একজন আরেকজনের টা শোনেনা, বা অযৌক্তিক মনে করে। তবে ক্রিমিনলজির ভিত্তিতে ব্যাখ্যাটা একটু অন্যরকম হতে পারে। অন্তত আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যত টুকু জানার সুযোগ হয়েছে। সেই ধারণা থেকেই বিশ্লেষণ।

ক্রিমিনোলজি বলে, যে কোন ক্রাইমের পূর্বশর্ত ট্রায়াঙ্গেল স্ট্রাকচার।

১) opportunity - অপরাধীর অপরাধ করার সুযোগ পেতে হবে। উদাহরণ হতে পারেঃ চার পাঁচ জন বখাটে রাতে ঘুরছে। যে আশেপাশে কেও নেই। যে কোন অপরাধ করার সুযোগ আছে। অর্থাৎ opportunity আছে।

২) tendency - অপরাধ করার প্রবণতা থাকতে হবে মনে। উদাহরণ হতে পারেঃ বখাটে গুলোর মনে যে কোন ধরণের অপরাধ করার ইচ্ছা ও প্রবণতা আছে। অর্থাৎ tendency আছে।

৩) motivated victim- যখন সুযোগ হাতে আছে, তখন ভিক্টিমকে নাগালে পাওয়া। উদাহরণ হতে পারেঃ বখাটে গুলোর সামনে কোন বিফকেস ওয়ালা মানুষ এসে পড়ল। যার কাছে টাকা আছে মনে হচ্ছে। অথবা কোন নারীকে দেখল, যাকে ধর্ষণ করতে পারে। অর্থাৎ motivated victim পাওয়া গেল। তবে একটু কথা আছে, motivated victim মানে ভিক্টিমের ওপর দায়ভার বর্তানোর চেষ্টা সম্পূর্ণ অদূরদর্শিতা হবে। পরবর্তীতে তা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হবে।

এ তো গেল অপরাধের স্ট্রাকচারের কথা। এবার একটু অন্য প্রসঙ্গ।
ধর্ষণ প্রসঙ্গে বললে অনেকে বলে থাকে পোশাকের কথা। প্রগতিশীল আর নারীবাদীরা তুড়িতে উড়িয়ে দেন। আবার কিছু ধর্মান্ধের পোশাক নিয়ে ব্যাপক চুলকানি দেখা যায়।

পোশাকের ব্যাপারটা অবশ্যই মুখ্য। তবে তা ভিক্টিমের না। সোশ্যাল স্ট্রাকচারের। এই ব্যাপারটা অনেকে ভুল করে থাকেন বলেই অন্তত ক্ষুদ্র জ্ঞানে মনে হয়। একটু বলে নেয়া দরকার।

we are in a economic war with India and America. এটা লুকোছাপার কিছু নেই।
ইকনোমিক ওয়ারের মূল উদ্দেশ্য আর কিছুই নয় উপনিবেশ সৃষ্টি। যার উপনিবেশ হয়ে যাবে, তার পণ্যের জন্য বাজার সৃষ্টি হবে।
যুদ্ধ সে রণক্ষেত্রেই হোক, আর অর্থনীতির বাজারেই হোক স্ট্রাটেজি অনুসরণ করেই স্টেপ বাই স্টেপ এগিয়ে যাওয়া হয়।

চৈনিক যুদ্ধ বিশারদ সাঞ্জুর " আর্ট অফ ওয়ারে" যুদ্ধ বিষয়ে অনেক কৌশলের কথা আছে, যা বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনীর অনেক অফিসার তো বটেই; এমনকি অর্থনীতির স্ট্রাটেজিস্টরাও এখনও পড়েন।
সাঞ্জুর মতে একটা কৌশল হল, "এটাক বাই স্ট্রাটেজাম।" নিজের রসদের আর সৈন্যের কোন ক্ষতি না করে কৌশলে শত্রুকে পরাস্ত করা। উপনিবেশ বানাইতে এই পদ্ধতি খুবই প্রচলিত। শত্রুর দেশের তরুণ যুব প্রজন্মের মধ্যে মাদক ছড়িয়ে দেয়া, আর ক্ষতিকর সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়া। যার বাই প্রোডাক্ট হল টার্গেট করা দেশে ক্রাইম বেড়ে যাওয়া। কারণ মাদক আর সামঞ্জস্যহীন ক্ষতিকর সংস্কৃতি tendency develope করে।

আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে অপরাধের tendency গড়ে ওঠার ব্যাপারটা একটু ভালভাবে বোঝা দরকার।

দেশের অনেক অংশে সংস্কৃতি চর্চার বিভিন্ন রুপ দেখা যায়। একদিকে ভারতীয়, অন্যদিকে পাশ্চাত্ত্য, কোথাও সেই পুরাতন বাঙালি আবার কোথাও জগাখিচুরি সংস্কৃতি। আর্থিক অবস্থার ভিত্তির সাথে এই সংস্কৃতির তারতম্যের একটা যোগসুত্র একটু ডানে বায়ে পর্যবেক্ষণ করলেই সহজেই বোঝা যায়।
-মোটামুটি উচ্চ বিত্তরা পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে প্রভাবিত, সামান্ন্য ভারতীয় সংস্কৃতির ছোঁয়াও আছে
-মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে ব্যাপকভাবে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
-নিম্ন বিত্তের মধ্যে প্রভাব ফেলে আছে আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির মননের সাথে ভারতীয় সংস্কৃতির মিলনে এক বিকৃত সংস্কৃতি।

এক শ্রেণীর সাথে আরেক শ্রেণীর মানসিক মূল্যবোধের দূরত্ব দ্রুত বাড়ছে। মিডিয়ার প্রভাব এখানে অপরিহার্য। আর সার্টিফিকেট নির্ভর দেশিয় শিক্ষাব্যবস্থার অবদানে শিক্ষিত (!!!) সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতেও তেমন স্বচ্ছতার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না।

সংস্কৃতির সাথে জীবন ধারণের একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
- চাইলেই নিম্নবিত্তরা যেমন পাশ্চাত্যের বিলাসী বস্তুবাদী সংস্কৃতিতে জীবন ধারণের সামর্থ্য রাখে না। আবার উচ্চবিত্তের কাছে নিম্ন বিত্তর সংস্কৃতি গেয়ো সেকেলে। ব্যাপারটা এমন, নিম্ন বিত্তরা এখনও বাংলা সিনেমা দেখে যা উচ্চ বিত্ত মহলে হাস্যকর- কারো কারো কাছে ঘৃণার।
- উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে সামাজিক সম্মানের প্রতিযোগিতা বেশ ভালই। হতে পারে তা অবচেতনেই এই সম্মান অবশ্যই কার কাছে কতটা আধুনিক সামগ্রি আছে- তার ভিত্তিতে।
- অন্যদিকে মধ্যবিত্তরা তাদের আর্থিক অবস্থার ভিত্তিতে একটা মিশ্র সংস্কৃতির আকার দিচ্ছে- যার প্রভাবের জীবন সাধ্যের মধ্যে। আবার তাদের চোখে সম্মানজনক। যেমন একটা ভাল বাড়ি, যতটা সম্ভব আধুনিক মাল সামাল।

এই সাংস্কৃতিক বিভাজনে এক শ্রেণীর সাথে আরেক শ্রেণীর বিদ্বেষ বাড়ছে। মুখে মনে যতটুকুই বিদ্বেষ থাক, নিম্নবিত্তরা মধ্যবিত্তে যাওয়ার, মধ্যবিত্তরা উচ্চবিত্তে যাওয়ার, উচ্চবিত্তরা তাদের সামাজিক অবস্থা ধরে রাখার চেষ্টা করছে। এই অবস্থান পরিবর্তনের জন্য দরকার টাকা। যে যেখান থেকে পারে, সেখান থেকে টাকা কামানোর চেষ্টা করছে।

প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন আসতে পারে, যে কত গুলো উচ্চ বিত্ত, নিম্ন বিত্ত বা মধ্যবিত্তকে আমি দেখেছি। সবাইকে দেখিনি। সত্যি। ব্যতিক্রম আছে। যে যার অবস্থানে সুখি। এমনও অনেক আছে। তবে এর বাহিরেও যে আরেকটু ভাল থাকার চেষ্টা- সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে এই সাংস্কৃতিক বিভাজনে এক শ্রেণীর সাথে আরেক শ্রেণীর ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া বুঝতে কষ্ট হবার কথা না।



এবার সরাসরি ধর্ষণ নামক অপরাধে ফিরে আসি।
মনস্তত্ত্ববিদ্যার অন্যতম পথিকৃৎ সিগমুন্ড ফ্রয়েড বলেন, "যৌনতার তাড়না এমন একটা ক্ষমতা যা যে কোন মানুষকে বুদ্ধি, বিবেক, নিজের জীবনের মায়া বা যে কোন কিছু ভুলিয়ে দিতে পারে।" এই প্রবৃত্তির ওপর বিধিনিষেধের মাত্রার ওপর একটা সমাজের গঠন নির্ভর করে।
এটা বলার কারণ অপরাধীর পক্ষে সাফাই নয়। সম্ভাব্য অপরাধীর সাইকোলজি বুঝে এখনই ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করা; যাতে ভবিষ্যৎ এর সম্ভাব্য অপরাধ রোধ করা যায়।


সমাজের কোন রক্ষণশীল কোনায় পড়ে থাকা সম্ভাব্য অপরাধী, যখন কোন ছোট পোশাকের মডেলকে দেখে তার tendency develope হয়। এক দিনে না ধীরে ধীরে। সম্ভাব্য অপরাধি যখন কোন ফাঁকা স্থানে কোন ভিক্টিমকে পায়, স্বভাবই ক্রাইমের তিনটা শর্তই পূরণ হয় - opportunity, tendency, motivated victim.

সহজ ভাষায় হয়ত মফঃস্বলের কোন অপরাধী নায়লা নাইমকেই দেখে দেখে কাম জাগায়, কিন্তু তার স্বীকার হয় হয়ত খুব সাধারণ একটা মেয়ে। আবারও প্রশ্ন আসতে পারে, তবে তুলনামুলক প্রাচীন পন্থি মানসিকতার পাশাপাশি কি তথাকথিত আধুনিক মানসিকতার মানুষ ধর্ষণের মত অপরাধ করে না? অবশ্যই করে। " লাইফ ইজ ফান" থেরাপিতেও এই অপরাধের tendency গড়ে ওঠে। নৈতিকতার কোন ভিত্তি থাকে না।


সোসাইটির তথাকথিত আধুনিক অংশের সাথে আর রক্ষণশীল অংশের দূরত্ব অনেক বাড়ছে। বলা যায়, পোলারাইজেসন হচ্ছে। মিডিয়ার কল্যাণে তা বেড়েই যাচ্ছে। আধুনিকতার নামেও নারী পুরুষের দেহতাত্তিক ভালবাসার ভুলভাল আবেগে ট্রিগার করা হচ্ছে। সম্ভাব্য অপরাধীর অপরাধের tendency বাড়ছে।

ক্রাইম ঠেকাতে crime triangle এর এই tendency টা নষ্ট করে ফেলতে হয়।

প্রথমত, উদাহরণ দেয়ার মত শাস্তির ব্যবস্থা। যাতে সম্ভাব্য অপরাধী tendency গড়ে ওঠার সময় , " অপরাধ করলে এদেশে কিছুই হবে না" - এই মানসিকতা তাকে প্রভাবিত না করে tendency একটা শক্ত বাধা দিতে পারে।

দ্বিতীয়ত, ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সংস্কৃতি। যাতে সমাজে সংস্কৃতির ভিত্তিতে নানা বিভাজন হয়ে একে অন্যের মধ্যে বিদ্বেষ না ছড়ায়। নিজেকে সুপিরিওর ভেবে সমাজে প্রচলিত সংস্কৃতির মিশ্র রূপ গুলো সুপিরিওটি কমপ্লেক্সে না ভোগে। আমাদের ঐতিহ্য আর অর্থনীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সংস্কৃতি আমাদের জীবন ধারণে " চাই আর চাই" প্রবনতাকে হয়ত কমিয়ে আনতে পারবে।

তৃতীয়ত, একটা সুসম শিক্ষা ব্যবস্থা। যেখানে কোন বিশেষ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তোলার পাশাপাশি একটা নৈতিক শক্ত ভিত্তি গড়ে তোলা যায়। যাতে ভিন্ন মত পন্থায় সহনশীল হতে পারে। যদিও প্রচলিত লেখাপড়া শিখে আসলেই মানুষ হওয়া যায়, সে বিশ্বাস জন্মায় নি। আশেপাশে অনেক অনন্য মানুষ দেখেছি। আমি বিশ্বাস করি, হয় তা তাদের পারিবারিক শিক্ষা অথবা নিজের চেষ্টা। প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থা যে স্বচ্ছ চিন্তার মানুষ গড়ে তুলতে পারে- তেমন দৃষ্টান্ত খুব বেশী চোখে পড়েনি বলেই হয়ত এ বিশ্বাস জন্মেছে। আমার সীমাবদ্ধতা।

ক্যান্টনমেন্টের মত সুরক্ষিত জায়গায় তনু নামের তরুণীর ধর্ষণ। যে কোন ধরণের ধর্ষণকে সামাজিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবুও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই ঘৃণ্য অপরাধ নিয়ে দেশের নানা প্রান্তে প্রতিবাদ, কানাঘুষা চলছে। একটা কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার এখনই সময় সরকারের।
সরকার তনুর পরিবারের প্রতি সুবিচার করতে এবং ভবিষ্যতে ধর্ষণ ঠেকাতে অন্তত প্রথমটা গ্রহণ করতে পারে। দ্রুত অপরাধীদের সনাক্ত করে তাদের আইনের আওতাও নিতে হবে। সাথে ধর্ষণ বিষয়ক আইনও পরিবর্তন জরুরী। সরকারের উচিত ধর্ষণের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন- যেখানে ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

নাহলে একই রকম ঘটনা আবার ঘটবে। ঘটতেই থাকবে। ভারতে বাসে ধর্ষণ করতে দেখে এদেশেও একই ঘটনার পুনরাবৃতি ঘটেছে। একই পুনরাবৃতি দেখা গেছে শিশু হত্যার ক্ষেত্রেও। অতীতে এসিড সন্ত্রাসের আধিক্ক্যের সময়ও দেখা গেছে। দৃষ্টান্তই সব সময় মানব ইতিহাসকে পরিচালিত করেছে। করবে। মানুষের মানসিক গঠনই এমন। অতীত তাই বলে।


যদি এখনই ধর্ষণের শাস্তির কঠোর দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করা না যায়, তবে ক্যান্টন্মেন্টের মত জায়গায় ধর্ষণ
করে হত্যা করলেও কিছু হয় না- এটাই দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

বিশেষ নোটঃ তনু ধর্ষণ বিষয়ে পোস্ট স্টিকি করে সামু অনেকবারের মতই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। পোস্টদাত্রীর ব্যক্তিগত আবেগের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এদেশের একটা সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রেণী কাঠমোল্লাদের প্রভাবাধীন। যদিও ধর্মের দিকপাল সেই অনেক কাঠমোল্লার নানা কুকর্মের রেকর্ড আছে। তবুও দেশের একটা বিরাট শ্রেণী তাদের দ্বারা প্রভাবিত। আবার দেশের সেনাবাহিনী যেমন জাতির গর্ব। সেই গর্বিত সন্তানদের পাহাড়ে অনেক অন্যায়ের রেকর্ড আছে। যা বইপত্র, পত্রিকা থেকে দেশের সচেতন শ্রেণীর অনেকেই কম বেশী জানেন। কিন্তু ধর্ষণ এমন একটা ইস্যু যেখানে ধর্ম, রাজনীতি, মতবাদ নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষকে সচেতন করে তোলা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে আবগীয় আক্রোশে ভরপুর এমন একটা পোস্ট স্টিকি করায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হয়ত আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে পোস্টের কন্টেন্টের সাথে সহমত। তবে অনেক মতের মধ্যে মৈত্রী কূটনীতি দিয়ে হয়, নির্জলা আবগে শুধু বিভাজনই বাড়ায়। সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মানুষদের প্রতিই অন্তত এই মুহূর্তে সাম্প্রদায়িক মনোভাব মূল ইস্যুকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেবে আশঙ্কা প্রকাশ করছি। তথাকথিত প্রগতিশীল আর মৌলবাদী ধর্মান্ধদের কলহে পরিণত হোক অভাগি তনু- তা মেনে নিতে পারছি না।

পোস্টে আমি তনু ধর্ষণ হত্যার প্রাসঙ্গিক আলোচনাকে এড়িয়ে গেছি। তা এই কারণে নয় যে তা গুরুত্বহীন। আমি তাত্ত্বিক ব্যাক্ষার আশ্রয় গ্রহণ করেছি ভবিষ্যৎ এর কথা মাথায় রেখে। নিন্দুকেরা বলতে পারেন, তত্ত্ব দিয়ে সব চলে না। হ্যাঁ ব্যক্তিগত জীবন তত্ত্ব দিয়ে না চললেও জাতীয় জীবনের অনেক সিদ্ধান্তগুলোই তত্ত্ব দিয়েই চলে।

তনুর প্রতি ন্যয় বিচার তখনই হবে- যে বিচারে ভবিষ্যতে কাওকে তনুর মত নির্মম পরিনতিতে পড়তে হবে না।
তনুর ধর্ষক ও হত্যাকারীদের দ্রুত শনাক্ত ও খুঁজে বের করে গ্রেফতার করা হোক।
ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক।



ক্ষুদ্র জ্ঞানের আলোকে বিশ্লেষণ- যে কোন ভুলের দায়ভার সম্পূর্ণ আমার।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

তনুর পর এই কদিনে যে অনেকে ধর্ষিত হলো তাদের নিযে তো কেঊ লেখে না।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৭

খাটাস বলেছেন: ধন্যবাদ। একক ভাবে বা দলীয় ভাবে একে অন্যকে দোষ দিয়ে আসলে লাভ নেই। কিছু হচ্ছে না। ওকে ফাইন। যে কোন একজন শুরু করলেই হল।

২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কালকে দেখলাম জার্মানীতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রাপ্ত এক প্রাক্তন ব্লগার ফেসবুকে এমন ভাবে স্ট্যাটাস দিয়েছে যেন সেনাবাহিনীই এই ধর্ষণের সাথে সরাসরি জড়িত। এদিকে ব্লগের স্টিকি পোষ্টে এসে দেখি প্রগতিশীল বনাম প্রতিক্রিয়াশীলদের রেষারেষির উপাত্ত সম্বলিত পোষ্ট স্টিকি করা। যা তনু হত্যার বিচার চাই ইস্যু থেকে "তুই চোখ ঠিক কর, তুই কাপড় ঠিক কর" জাতীয় ইস্যুতে উল্লেখিত দুই দলের বাকযুদ্ধে ডাইভার্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এবং ইনফ্যাক্ট সেটা কিছুটা শুরুও হয়েছে বলা যায়।

সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মানুষদের প্রতিই অন্তত এই মুহূর্তে সাম্প্রদায়িক মনোভাব মূল ইস্যুকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেবে আশঙ্কা প্রকাশ করছি। তথাকথিত প্রগতিশীল আর মৌলবাদী ধর্মান্ধদের কলহে পরিণত হোক অভাগি তনু- তা মেনে নিতে পারছি না।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮

খাটাস বলেছেন: সামুর দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে জনসচেতনতায় ভূমিকা রাখছে। কিন্তু এবারের ভূমিকা যথোপযুক্ত বলে মনে হচ্ছে না।
স্টিকি পোস্টটা যত দ্রুত সম্ভব আনস্টিকি করা প্রয়োজন। এরে ওরে কাঁদা ছোড়াছুড়ি আরও বাড়বে না হলে সম্ভবত।
"তুই চোখ ঠিক কর, তুই কাপড় ঠিক কর"

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:


স্টিকি পোষ্ট পড়া হয়নি, পড়ে আসলাম। স্টিকি পোষ্ট নিয়ে তোর বক্তব্যের সাথে পুর্ন সহমত।
পোষ্টে +

প্রথম আর শেষটা অর্থাৎ উদাহরণ দেয়ার মত শাস্তির ব্যবস্থা এবং একটা সুসম শিক্ষা ব্যবস্থা। এই দুটো কাজ যদি করা যায় তাহলেই অনেক অপরাধ কমে যাবে এবং শ্রেনী বিভাজনের মধ্যেও দুরত্ব কমে আসবে ... সর্বোপরি দুটো ব্যবস্থা চাইলেই সরকার করতে পারে হয়ত আমাদের বর্তমান অবস্থা থেকে একটু কঠিন ও সময় সাপেক্ষ কিন্তু বাস্তবায়ন ১০০% সম্ভব।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪১

খাটাস বলেছেন: সংস্কৃতির পালে হাওয়া দিতে হলে ভাল মানের সাহিত্য চর্চা, নাটক, সিনেমা, গানে জাতীয়ভাবে উৎসাহ দেয়া যেতে পারে। যদিও তাতে অনেক বেশী সময় লাগবে। তবে সম্ভব। কিন্তু শাস্তির আর শিক্ষার ব্যবস্থাটা সরকারের হাতে। যা এখনই সম্ভব। শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় বড় মনিষীদের জীবনের ইতিবাচক চমৎকার ঘটনা গুলো যোগ করার ব্যবস্থা করা উচিত।
মানুষ লোহা নয় যে পানিতে গলবে না। বেশী বেশী পজিটিভের মধ্যে রাখলে মানব মন ইতিবাচক হতে বাধ্য।

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: বিষয়টি নিয়ে আর কিছু বলতে চাচ্ছি না। আটশ কোটি টাকা সেনানিবাসে গেল নাকি ক্যাসিনোতে তনু নামের হিজাব পরিহিত নাট্যকর্মী ধর্ষণের স্বীকার হয়ে মারা গেল আর এই ইস্যুতে তাসকিনের মুক্তির দাবী নিয়ে জামাত শিবির রাস্তায়। কি জানি ভাই রাষ্টধর্ম ইসলাম বজায় রাখার জন্য রাস্তায় রাস্তায় মোম্বাতির মিছিলে শতশত ফেসবুক সেলিব্রেটি দেখছি নাকি চোখে সরষের ফুল দেখছি কিছুই বুঝতেছিনা, তবে অনেক দিন পরে আপনার একটা ঝাক্কাস পোষ্ট।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪

খাটাস বলেছেন: আসলে যখন সমস্যা অনেক গুলো হয় তখন জাতির তাল গোল পাকিয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তারপরও একটা ইস্যুতে যেহেতু জাগছে, সেখানে সম্পূর্ণ এফোর্ট দেয়ার চেষ্টা করছি উচিত। আর পোস্ট তো তাত্ত্বিক। ঝাক্কাস হইছে শুনে প্রীত হলাম। সিরিয়াস ইস্যু তাই হাসলাম না। শুকরিয়া মৃদুল ভাই।

৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১১

নেফার সেটি বলেছেন: ব্যাখ্যাটা অনেক ভালো লেগেছে। পড়ে বেশকিছু জানতে পারলাম।

আর "পোস্টদাতা" হবে, আমি ছেলে।
ধন্যবাদ আপনাকে।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬

খাটাস বলেছেন: প্রথমের ক্ষমাপ্রার্থী নেফার ভাই। নাম দেখে বুঝতে পারিনি।
আর যে কোন ব্যাপারেই নানা ব্যাখ্যা থাকতে পারে। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের আলোকে একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর চেষ্টা করলাম। আপনার সমর্থন পেয়ে ভাল লাগল। আমরা নানা জন নানা মতের হলেও বেশীরভাগের অবস্থান অন্যায়ের বিরুদ্ধে। নাথিং পার্সোনাল।
আপনাকেও ধন্যবাদ।

৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: শুধু ব্যাখ্যায় কী হবে...আইনের প্রয়োগ আর কঠিনতম শাস্তির ব্যবস্থার উপর কিছু নাই!
ঠিকমত ডলা দিলে আর এত ব্যাখ্যার দরকার হয় না!

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯

খাটাস বলেছেন: যখন মূল ইস্যুর চেয়ে অগৌণ ব্যাপার গুলো মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়, তখন অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ সবই ঝাপসা হয়ে যায়। মূল সমস্যাটা বোঝার জন্য একটা ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়। আর কঠিন তম শাস্তি আসলেই কেন প্রয়োজন- তা শুধু আবেগিয় কথায় হয়ত সব সময় বোঝা যায় না। যদিও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আবেগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডলা কেন দিতে হবে, তার জন্যই এই পোস্ট।
ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯

নতুন বলেছেন: মাইরের উপরে ঔষুধ নাই এটা প্রমানিত সত্য...

আমাদের সমাজের ভন্ডামীর সাইডইফেক্ট এই সব সমস্যা....

যদি এখনই ধর্ষণের শাস্তির কঠোর দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করা না যায়, তবে ক্যান্টন্মেন্টের মত জায়গায় ধর্ষণ
করে হত্যা করলেও কিছু হয় না- এটাই দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

খাটাস বলেছেন: হুম সেটাই। মাইরের উপরে ঔষুধ নাই এটা প্রমানিত সত্য...
তবুও মাইয়ার কোন অংশ ঢাকা আর কোন অংশ খোলা- এটা নিয়ে যারা তর্ক বিতর্কে মেতে আছেন- তাদের কারো দৃষ্টিভঙ্গি সঠিক বলে মনে হয়নি। তাই এই পোস্ট। এ পোস্টের চেয়েও ভাল ব্যাখ্যা এবং দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্যই থাকতে পারে, আছে- আমার জানা নেই। তবে মনে করি, তা অবশ্যই "তুই চোখ ঠিক কর, তুই কাপড় ঠিক কর" টাইপ সংকীর্ণ দৃষ্টির মধ্যে পড়বে না।

যদি এখনই ধর্ষণের শাস্তির কঠোর দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করা না যায়, তবে ক্যান্টন্মেন্টের মত জায়গায় ধর্ষণ
করে হত্যা করলেও কিছু হয় না- এটাই দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
ধন্যবাদ নতুন ভাই।

৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: পোস্টের বক্তব্যের সাথে ১০০% এর উপরে সহমত। সবাইকে অনুরোধ করছি পোস্টটি পড়তে এবং অনুধাবন করে নিজের করনীয় ঠিক করতে। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া, সমস্যার গোড়া থেকে ঠিক না করা ছাড়া, তনু ধর্ষন কোন দিনও বন্ধ হবে না।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

খাটাস বলেছেন: আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া, সমস্যার গোড়া থেকে ঠিক না করা ছাড়া, তনু ধর্ষন কোন দিনও বন্ধ হবে না।
ঠিক সেটাই সবাইকে অনুধাবন করতে হবে। সবাই সবাইকে কিছুটা ছাড় দিতেই হবে। কারণ নানা মতের মানুষ নিয়েই দেশ।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


এরকম একটি আলোচনার দরকার ছিল, খাটাস!
অনেক দিন পর এলেন :)

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

খাটাস বলেছেন: ধর্ষণ ইস্যু নিয়ে বিভিন্ন আলোচনায় তেমন কিছু খুঁজে পাইনি উগ্রতা ছাড়া; যদিও তাদেরও কোন না কোন পয়েন্ট অফ ভিউ ছিল। তবে আলোচনাকে সেদিকেই নিয়ে যাওয়া উচিত যার বাস্তবিক ভিত্তি আছে। সে হিসেবে চেষ্টা করেছি।

আর হ্যাঁ মইনুল ভাই। অনেক দিন পরই বলা যায়। মাঝে মাঝে যে আসা হয়না, তা না। একটু উকি দিয়ে দুই একটা পোস্ট পড়ে যাই। এতদিন পর এসেই প্রিয় মুখের দেখা পেয়ে ভাল লাগছে। :)

১০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪১

বিদগ্ধ বলেছেন:

মূল বিষয়ে কারও দৃষ্টি নেই। কেউ সাহসের অভাবে, কেউবা সদিচ্ছার অভাবে।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

খাটাস বলেছেন: আপনার কথা ঠিক বুঝতে পারলাম না। একটু খোলাসা করে বললে ভাল হত। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে বিদগ্ধ ভাই।

১১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

আব্দুল্যাহ বলেছেন: সমাজের যুবকরাই কেমন জানি অনিহা নিয়ে কাজ করে। আমার মতে সচেতনার মতো কাজগুলো আমাদের হাত ধরেই হওয়া উচিৎ

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

খাটাস বলেছেন: হ্যাঁ যুব সমাজের হাতেই দেশের ভবিষ্যৎ। সবার মধ্যে অনীহা কাজ করলেও যে কোন এক জনের মধ্যে অনেক বেশী ইচ্ছা শক্তি থাকতে হবে। এভাবেই সব সময় এক জনই আলোর পথ দেখায়। কে করে ভুলে যান। নিজের মধ্যে নিজে জেগে উঠুন। বিবেকে যা সঠিক মনে হয় করুন। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

১২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪

খাটাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাখাল ভাই। স্টিকি পোস্টটা সামগ্রিকভাবে ক্ষতিকর মনে করছি। যদিও পোস্টের তথ্যগত ভুল নেই বলা যায়।
কিন্তু সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মানুষদের প্রতিই অন্তত এই মুহূর্তে সাম্প্রদায়িক মনোভাব মূল ইস্যুকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেবে আশঙ্কা প্রকাশ করছি। তথাকথিত প্রগতিশীল আর মৌলবাদী ধর্মান্ধদের কলহে পরিণত হোক অভাগি তনু- তা মেনে নিতে পারছি না।
সামুর এহেন কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

১৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

আবু শাকিল বলেছেন: অনেক দিন পরে আসলেন খাটাস ভাই ।
যৌক্তিক আলোচনা ।পড়লাম ।অনেক কিছু জানলাম ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

খাটাস বলেছেন: অনলাইনে আসতে খুব বেশী ভালোও লাগে না। সময়ই তেমন হয় না। তনু প্রসঙ্গে এই কথা গুলো মনে হল বলা দরকার। আর গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলতে চাইলে সামুর বিকল্প নাই। তাই আসা। এসেই আপনার সাক্ষাত পেয়ে অনেক ভাল লাগল শাকিল ভাই।
অনেল ভাল থাকবেন।

১৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

আব্দুল্যাহ বলেছেন: লেখাপড়া শেষে চাকরির যা দশা, তাতে কিছু মানুষ বইয়ের পাতা থেকেই মুখ তুলে না। বাকি যারা এই কাজগুলোতে আগ্রহী থাকে তারা আবার চাকরির বাজারে গিয়ে নিজেকেই হারিয়ে ফেলে। আমাদের যে উৎকৃষ্ট সমাজ তাতে বাবারা চাইলেও সমাজ কাউকে বেকার থাকতে দিতে চায় না, এই সমাজে আলোর বাতি নিয়ে কে দাঁড়াবে ভাই?

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮

খাটাস বলেছেন: সব সমাজেই কখনও না কখনও অন্ধকার হয়ে যায়, এর মধ্যে থেকেই কেও আলো হাতে আইসা দাঁড়ায়। তার জায়গায় তার সময়ে যে বাধা থাকে, তা সেই সময়ে তার জন্যই অনেক।
হিটলারের একটা কথা আছে মনে হয়, " যদি কিছু পালটাইতে চাও। সমাজ অনুসরণ কর, উচ্চে যাও। পালটাইয়া দাও। "
বেকার থাকতে হবে না। সমাজে বাঁচতে গেলে অনেক কিছু মেনে নিতেই হবে, ভাল লাগুক বা না লাগুক। এর মধ্যে যতটুকু সম্ভব নিজের জায়গায় ঠিক থাকলেই হয়ত এক জন কে দেখে আরও হাজার জনের মধ্যে একজন প্রভাবিত হবে।
সমাজ পালটানোর চেষ্টা মশাল রেসের মত। এক জন আরেকজনের মশালে আগুন লাগাইয়া দেয়া। রেস কে শেষ করবে, তার চিন্তা করে লাভ নেই।
হতাশা হবেন না ভাই আবদুল্লাহ। নিজের জায়গায় নিজে ঠিক থাকুন। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য

১৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৪

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: ধন্যবাদ খাটাস এই পোস্টের জন্য । । এতো এতো অযাচিত ঘটনা ঘটে চলেছে আর তার সাথে সেগুলো নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত্রার আবেগ নির্ভর পোস্টের বন্যা , ভিক্টিমের পক্ষে বিচার চেয়ে পাশে দাঁড়ানোর দাবীতে ,ভিক্টিম কেই যেন বারবার ভিক্টিমাইজ করা হচ্ছে , , কেউ ফায়দা লুটছে প্রতিবাদের ভাষায় আবার কেউ নিরাবতায় , অদ্ভুত এক জাতি আমরা , অদ্ভুত আমদের মানবিকতা , বেছে বেছে ইভেন্টের মত তা জাগ্রত হয় !!!!!

এই রকম একটা যুক্তিক বিশ্লেষণে ১৪ টা কমেন্ট মাত্র !! তার কারন কি শিরোনামে পোশাক কে দায়ী করা হয়েছে বলেই !! ৩০০ এর উপরে পঠিত হয়েও কারও পছন্দ হয়নি !!!! আজব !!! এখানে অস্বীকার করার মত ত আমি কিছুই পাইনি !!!

পোশাকের ব্যাপারটা অবশ্যই মুখ্য। তবে তা ভিক্টিমের না। সোশ্যাল স্ট্রাকচারের। এই ব্যাপারটা অনেকে ভুল করে থাকেন বলেই অন্তত ক্ষুদ্র জ্ঞানে মনে হয়। একটু বলে নেয়া দরকার।
we are in a economic war with India and America. এটা লুকোছাপার কিছু নেই।
ইকনোমিক ওয়ারের মূল উদ্দেশ্য আর কিছুই নয় উপনিবেশ সৃষ্টি। যার উপনিবেশ হয়ে যাবে, তার পণ্যের জন্য বাজার সৃষ্টি হবে।
যুদ্ধ সে রণক্ষেত্রেই হোক, আর অর্থনীতির বাজারেই হোক স্ট্রাটেজি অনুসরণ করেই স্টেপ বাই স্টেপ এগিয়ে যাওয়া হয়।

মিডিয়া আমাদের এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করছে , আমরা এখন এক রকম মিডিয়ার দাস এ পরিণত হয়েছি , একটু একটু করে নয় খুব দ্রুতই আমাদের নৈতিকতা , শিক্ষা , অর্থনীতি , সংস্কৃতি , (ধর্মের কথা নাহয় নাইবা বললাম ) সব কিছুকেই ধ্বংস করে দিচ্ছে , যা একটা জাতিকে তলিয়ে নেওয়ার জন্য যথেস্ট । সত্য বলতে গেলেই শুরু হয়ে যায় রাজনীতির নামে দলান্ধতা , চেতনার ভাউতা বাজি , দেশ রক্ষার বুলিতে যে যার স্বার্থ দলনীতি তে ব্যস্ত । এদিকে প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে , দেশ রসাতলে ।। তাদের কিছু যায় আসে বলে আমার মনে হয় না । যে যার ব্যনার এর সৌন্দর্য নিয়েই বেশি চিন্তিত

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

খাটাস বলেছেন: আমরা জাতি হিসেবে এখনও সেভাবে ম্যাচিউর্ড নই। সেকারণে আমাদের অনেকের কাজই অদূরদর্শী আবগে নিয়ন্ত্রণে। ভাল উদ্দেশ্য নিয়েও অনেক সময় অনেক ভুল পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেন অনেকে। আর যাদের উদ্দেশ্য অসৎ তাদের তো কথাই নেই। তারা জেনে বুঝে কোন একটা ইস্যু ব্যবহার করে ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক ফায়দা নিয়ে নেন। তবে বিশ্বাস করি, সময় লাগবে, তবে জাতি পালটাবে অবশ্যই ইতিবাচক ভাবে।
আর এই পোস্টের শিরোনাম টা একটু কটু। আবার আমার তেমন পরিচিতও নেই। ব্লগিয় ইন্টারেকশানও কম। আবার পোস্ট অনেক বড় এবং তাত্ত্বিক। এসব মিলিয়েই হয়ত পোস্ট পড়তে কেও আগ্রহ বোধ করেনি।
আর অনেক ধন্যবাদ সোহেলী আপু পোস্টে সমর্থন দেয়ার জন্য। শুধু তনুকে নিয়েও নয়, আবার তনুকে বাদ দিয়েও নয়, অতীতের ধর্ষণ ভুলে নয়, আবার ভবিষ্যৎ এর কথা ভুলেও নয়, সামগ্রিক ভাবে আমাদের আলোচনা প্রয়োজন। আমি সেদিকে নেয়ার একটা ক্ষুদ্র চেষ্টা করেছি মাত্র।
আর আমাদের দেশিয় সংস্কৃতির পরিচর্যা হচ্ছে না বা করতে কেও উৎসাহী নয় বলেই মিডিয়াতে অপ সংস্কৃতির আগাছা বাড়ছে। দেখা গেছে বড় বড় গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব সবার সামনে সংস্কৃতি রক্ষায় বড় বড় কথা বলেন, অথচ নিজেরাই ভেসে বেড়ান অপসংস্কৃতি। বড় বড় নীতি কথাকে ক্যারিয়ার ডেভলপ করা মনে করেন। আমাদের দেশিয় সংস্কৃতির চর্চা ও লালন- দুটোর খুব বেশী প্রয়োজন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.