নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের লাগি কলম ধরি\nমিথ্যাকে করি বিনাশ,\nসত্যের বাধা যতই থাকুক\nমিথ্যার হবে সর্বনাশ।

এন এম মিলন

সত্যের লাগি কলম ধরি মিথ্যাকে করি বিনাশ,সত্যের বাধা যতই থাকুক মিথ্যার হবে সর্বনাশ।

এন এম মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবি নুরমোহাম্মদ মিলনের ৫০+ কোবিতা

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১০

জাগ্রত বিবেক চাই-
নুরমোহাম্মদ মিলন

জাগ্রত বিবেক চাই
ঘুমন্তের ঠাঁই নাই,
জেগে উঠে কলম ধরো
বদ সনে পাঞ্জা লড়ো।

সাদা কাফন পরে নাও
সত্য পথে ঝাঁপ দাও,
দূর করো মনের ত্রাস
মিথ্যাকে করবে গ্রাস।

বাঁধন ভীতি খুলে ফেলো
সাহস নিয়ে আগে চলো,
দানব বুকে লাথি মারো
লাল চোখে বর্শা ছুড়ো।

অন্যায়ের হবে লয়
দুর্জয়কে করো জয়,
জয় পতাকা হাতে নাও
বিজয় সুরে গান গাও।


মুক্তির পক্ষী-
নুরমোহাম্মদ মিলন

বঙ্গ জনতার বুকেতে গুলি
ঢাকার রাজপথে লাশের ঝুলি।
সবুজ ঘাস হলো রক্তে লাল
পাক হায়নাদল হলো মাতাল।
চারদিক গভীর তিমির কালো
নেই কোনো আশার মুক্তি আলো।
সর্ব বাংলায় রোদনধ্বনি
জনতার আসিল কঠোর শনি।
এখানে অত লাশ,হায়-হুতাশ!
ওখানে অত লাশ,হায়-হুতাশ!
এ যেন মনে হয় অগ্নিবাস
কে করিবে মুক্ত এই আবাস?

হুপ কালুরঘাট বেতার থেকে
বীর মেজর জিয়া বলছে ডেকে,
স্বাধীনতার বানী করলো ঘোষণা
মুক্তিকামীগণ পেলো প্রেষণা।
বাতাসে বিদ্রোহী কন্ঠ ধ্বনি
যেন নজরুলের কবিতাখানি।
মুক্তির পক্ষী জিয়ার ডাক
সারা বাংলা করিলো হাঁক।
তখনি বেজেছিলো রণ ডঙ্কা
বুকেতে হিম্মত,নেই শঙ্কা।
সকলের হৃদয়ে আসিল অভী
উদয় হলো রবি,জাগিলো সবি।
মুক্তি সংগ্রাম মুক্তি চাই
প্রিয় বঙ্গ মোর স্বাধীন চাই।

শত পাহাড় বাধা উপড়ে ফেলে
অজস্র রক্ত দিয়েছে ঢেলে।
লক্ষ্যাধীক প্রান শহীদ হলো
মা-বোনের শ্লীলতা ছিনিয়ে নিলো।
বিনিময়ে বাজিলো জয়ের বাঁশি
বাংলার আকাশে উঠিলো শশী।
মুক্ত হলো আজ পরাধীনতা
অবশেষে পেলাম এ স্বাধীনতা।



দেশের আর্তনাদ-
নুরমোহাম্মদ মিলন

আমার সাগরে অথই পানি
যে সাগরের পানি রক্ত মিশ্রিত
ঝরনার মত আমার বুক ফাটা
যে বুক দিয়ে অবিরত রক্ত ঝরছে।

আমি দেখতে সবুজ-শ্যামল
কেন এত লাল করলে আমায়?
এত রক্তে রঞ্জিত করলে আমায়?
যে লাল বিসর্জন দিয়ে
আমি স্বাধীন হয়েছি
আমার জন্ম হয়েছে
আমার আকাশে সুর্য উঠেছে
সে লালেই ভিজালে আমায়?

ক্ষমতা লোভে উম্মাদ হয়ে
গনতন্ত্রকে ক্ষত-বিক্ষত করেছো
গনতন্ত্রের লাল রক্ত দিয়ে
আমায় স্নান করাচ্ছো।
সে লালেই তোমায় নিধন করবে
টেনে হেঁচড়ে-ঘষটে উচ্ছেদ করবে।

গনতন্ত্রকামীরা জেগে উঠো
জেগে উঠো,জেগে উঠো।
এই তোমাদের দেশের আর্তনাদ।
স্বাধীনতা কামনায় জেগে উঠবে
গনতন্ত্রের প্রদীপ জ্বালাবে।
অজস্র লালের বিনিময়
আমি আবার সবুজ হবো।
পূর্বে যেমনটি হয়েছিলাম।


অদ্ভুত স্বাদের কাব্য-
নুরমোহাম্মদ মিলন

মানুষ চেনা বড় দায়!
এতো এক অদ্ভুত স্বাদের কাব্য
নেই কোনো ছন্দ
নেই কোনো অন্ত্যমিল।
যা ইচ্ছে হয় করে বেড়ায়
এদিক ওদিক চষে বেড়ায়
আটকানোর সাধ্য কার।

কখনো কাঁদে
কখনো হাসে,
কখনো আবার ক্রোধে-রোষে।
কখনো নিজের সুখ খুঁজতে গিয়ে
অন্যকে কষ্টের স্রোতে ভাসায়।
আবার কখনো অন্যের সুখে
নিজেই বিলীন হয়ে রয়।

মানুষ চেনা বড় দায়!
কিছু মানুষ জীবনের টানে
যা ইচ্ছে তাই করে বেড়ায়।
ইচ্ছে যদি হয় অস্তিত্ব ভুলতে,ভুলতে।
ইচ্ছে যদি হয় হিংস্র হতে,হতে।
জীবন ক্ষনিকের তা ভুলে রয়।

আবার কিছু মানুষ জীবন ভুলে
মানবতার সেবায় নিজেকে
ভাসিয়ে বেড়ায়।
নিজে অনলে পুড়ে-পুড়ে
পৃথিবীকে সাজাতে চায়।
ক্ষনিকের জীবন ভুলে
স্থায়ী জীবনের আশায় রয়।

মানুষ চেনা বড় দায়!
এতো এক অদ্ভুত স্বাদের কাব্য।



শহীদ আনোয়ার-
নুরমোহাম্মদ মিলন

আকাশ নীলিমায় আমি
চেয়ে থাকি রোজ,
খোদার কাছে খুঁজি
আনোয়ার ভাইয়ের খোঁজ।

খোঁজে খোঁজে আমি
শান্ত হয়ে যাই,
আসবেনা ফিরে তুমি
শহিদ আনোয়ার ভাই।
ফুলেল-সুবাসিত কন্ঠে
ডাকতে নামাজে রোজ।

শহীদ আনোয়ার তুমি
ছিলে মুজাহিদ,
তাইতো তুমি হলে
দ্বীনের পথে শহীদ।
দ্বীনের তরে সাজলে
রক্তে রঞ্জিত সাজ।

ইহকালে তুমি করোনি
কোনো ভুল,
সত্যের পথে জীবন দিয়ে
হলে জান্নাতী ফুল।
আহার সামনে চোখের অশ্রু ঝরে
মুখেতে যায়না ভোজ।
আকাশ নীলিমায় আমি
চেয়ে থাকি রোজ।।



প্রেম বিচ্ছেদ-
নুরমোহাম্মদ মিলিন

একদিন তুমি হারিয়ে যাবে
নদীর স্রোতে তুমি ভেসে যাবে
ঝোড়ো বাতাসে তুমি উড়ে যাবে
আমার থেকে দূর-বহুদূরে।

তবুও তুমি পাবে'গো আমায়
উড়ে উড়ে খুঁজে খুঁজে'গো হায়!
তোমার ঘৃণার কালো আভায়
থাকবোযে আমি বছর ধরে।

মাঝে মাঝে তুমি খবর নিও
ইচ্ছে হলে তুমি গাল দিও
ধিক্কার জানাতে কাছে আসিও
থাকবো আমি নিশ্চুপ করে।

তোমার হৃদয়ে আগুন জ্বলে
আমার প্রেমের ধোঁকার ছলে
আমিও আছি কষ্ট অনলে
বুঝাবো তোমায় কেমন করে।

আমি কেন আজ হলাম পর
ভাঙ্গলাম তোমার হৃদ ঘর
থাক অজানা সে প্রশ্ন ঘোর
সাজিও জীবন নতুন সুরে।



পাখি বলে ডাকি তোমায়-
নুরমোহাম্মদ মিলন

পাখি বলে ডাকি তোমায়
আমায় ডাকো অরণ্য,
প্রেমের শয্যায় লুটোপুটি
হইওনা'গো অন্য।

আমার বনে তুমিই শুধু
একটি মাত্র পাখি,
ক্ষনে ক্ষনে ভেসে উঠে
তোমার হরিণী দুই আঁখি।

ভালোবাসার গান গাই
তোমারি জন্য।

যাই চাইবে তাই দিবো
দিতে রাজি এই প্রান
উড়াল দিয়ে যাইওনা'গো
পরানেরই পরান।

তোমায় পেয়ে হয়েছি
আমি ধণ্য।

প্রেমিক এখন বলদ চোর-
নুরমোহাম্মদ মিলন

আসবে'গো প্রিয়া বলেছিলে
লুকিয়েছি'গো গোয়াল ঘরে,
আসি বলে আসলেনা আর
বলদ লাথি খেলাম জোরে।

চোর চোর করলো ধাওয়া
আমি দিলাম জোরছে দৌড়,
এদিক ওদিক ছুটা-ছুটি
প্রেমের মজা ভয়ংকর।

ইচ্ছে ছিলো হিয়ার মাঝে
প্রিয়ার সনে কাটবে ভোর
প্রেম বিলাতে এসে এখন
আমি হলাম বলদ চোর।

প্রেম তৃষ্ণা-
নুরমোহাম্মদ মিলন

ভালো লাগেনা গৃহ-প্রকোষ্ঠ
চোখে নেই নিদ্রা-ঘুম
পিঠ ছুঁয়েনা শয্যায়
প্রণয়নী বিনা একা একা
মম শুষ্ক হৃদয়ে প্রেমতৃষ্ণা।

মনোবাঞ্ছা নিদ্রাহীন রজনীতে
মৃদু প্রেম আদান-প্রদান।
মনভরে ফুলের গন্ধ নিবো
সেই ফুলে প্রেম ছিটাবো
ফুলদানিতে ফুল সাজাবো
আমি হবো ফুলদানি।
প্রেম শয্যায় হবে লুটো-পুটি
হবে দু'জনের মধুর আলিঙ্গন।

পাখি হতে ইচ্ছে করে
পাখা মেলে উড়ে গিয়ে
চুপিচুপি প্রেম বিলাতাম।
আকাশ হতে ইচ্ছে করে
হারানোর নেই সংশয়
প্রেমের ছায়ায় ঢেকে দিতাম।

তুমি নেই কাছে নেই
দূর বহুদূর...
শূন্য হৃদয়ে নৈরাশ্য
আছে প্রেম তৃষ্ণা।

ভাঙ্গা প্রেম -
নুরমোহাম্মদ মিলন

প্রেমের শুরু রঞ্জিত
শেষ হয় বঞ্চিত,কষ্টই সঞ্চিত!

রাত্রি নিশীথে তুমি আমি চ্যাটে
চোখে নেই ঘুম,ক্ষিদে নাই পেটে।
মনে পড়ে সেই পুরোনো সময়?
ছিলাম দু'জন রাত্রিতে আনন্দময়।
এখন মোরা চূর্ণ-বিচূর্ণ,ক্ষত-বিক্ষত।
হৃদয় জুড়ে কষ্ট অত,নেই অক্ষত!

কষ্টের দেয়াল পাড়ি দিয়ে
বৃক্ষ্য চড়ে ছাদে গিয়ে
মুখ পানে তাকিয়ে জড়িয়ে ধরেছিলাম,
ভালোবাসি বলেছিলাম।

এ যেন মনে হয় বাস্তব নয়
এখন সবি যেন সপ্ন-সপ্ন মনে হয়।
মনে হয় একটা সপ্ন এলো
ঘুম ভাংলো চলে গেলো।

জানি নতুন সাজে সাজবে
বিয়ের পিঁড়িতে বসবে
অনেক সুখেই থাকবে
ভুলবেনা,ঘৃনার রাজ্যে রাখবে।

সুখি হও সুখে রও এই কামনা।
কেন দূরে তা থাক অজানা।
যা হবার হয়ে গেছে
নতুন করে থাকো বেচে।

আনমনা-
নুরমোহাম্মদ মিলন

আমি আনমনা-উদাসী
চোখে নেই নিদ্রা-তন্দ্রা
নির্ঘুম রাত জাগা।
কাজ আমায় ঘেন্না করে
আমি নাকি তাকে স্পর্শ করিনা।

ঐ চাঁদের পানে তাকিয়ে থাকি
জোনাকিরা মিশে একাকার।
চাঁদও এখন আমায় অবজ্ঞা করে
চাঁদের পানে তাকাইনা কেন আর।

তুমি হারালে দূর অজানা
হৃদপিন্ড আমার ঝট-পট
কিছুই ভালো লাগছেনা
ভালো লাগেনা হাটতে,হাটতে।
ভালো লাগেনা বসতে,বসতে।

মুঠোফোনে রেকর্ড গানটি শুনো?
যা তুমি শতবার শুনেছো!
তুমি বলেছিলে আমার কন্ঠ নাকি
তোমার হৃদয় ছুঁয়ে যায়
তোমার পুলক লাগে গায়ে।

শুনবেইবা কেন?
তুমিও আমায় উপেক্ষা করো।
আমি আনমনা-উদাসী
তোমার অবহেলা-অবজ্ঞা
আমার উদাসীনতা।



তুমি বলেছিলে-
নুরমোহাম্মদ মিলন

তুমি বলেছিলে
তুমি বলেছিলে
আমায় ছেড়ে যাবেনা কোথাও
যাবেনা কোথাও
যাবেনা কোথাও!

তবে কেন আজ দূরে গেলে?
পাহাড় সমান কষ্ট দিলে!
বলো আমাকে কাদিয়ে কি সুখ পাও?
কি সুখ পাও?
কি সুখ পাও?


ওই রাতের আকাশে চাঁদ ছিলো
চাঁদ আজ হারিয়ে গেলো।
আকশের মত আজ আমি একেলা
তোমায় ছাড়া কাটেনা বেলা।
বইঠা ছাড়া পথা হারা আমার নাও।

বলো আমাকে কাদিয়ে কি সুখ পাও?
কি সুখ পাও?
কি সুখ পাও?


ভাবছি তোমায়-
নুরমোহাম্মদ মিলন

ভাবছি তোমায় একা একা
বৃষ্টি ভেজা রাতে,
আসোনা ফিরে ও'প্রিয়
হাত রাখো এই হাতে।

চাঁদকে বলি আলো দিতে
চাঁদ আলো দেয়না,
তারাকে বলি দেখা দিতে
তারা দেখা দেয়না।
তুমিও করো লুকোচুরি
আমারি সাথে।

জড়িয়ে ধরে গানের সুরে বলেছিলে
আমিযে তোমারি প্রান,
পুরোনো সৃতি কি ভুলে গেছো?
ভুলে গেছো সেই গান?
অপেক্ষায় কাটায় প্রহর
তোমার দেখা পেতে




শ্রেয়সী-
নুরমোহাম্মদ মিলন

শ্রেয়সী তোমার কষ্টকে
নিস্তব্ধ করতে চাই,
তোমার শুকনো গোলাপকে
সুখ দিয়ে সতেজ করতে চাই।

তোমার দু:খের আকাশে
সুখের ঘুড়ি উড়াতে চাই,
আমার সপ্নগুলোকে
বাস্তবে রুপ দিতে চাই।
চলনা দু'জনে সুখ পাখি হয়ে
দুর-দুরান্তে ঘুরে বেড়াই।

হাত বাড়িয়ে দিলাম তোমায়
বিশ্বাস করো আমায়।
মনের দুয়ার খুলে
কাছে টেনে বুকে তুলে
ভালোবাসার জলে ভাসিয়ে দাও
আমাকে তোমার করে নাও।


কামনা-
নুরমোহাম্মদ মিলন

সোহাগ দিতে মন চায়
প্রেম অনলে পুড়ে সায়,
আমার বুকে দাউদাউ
ও'গো প্রিয়া প্রেম দাও।

তোমায় ভালোবাসবো
তোমার কাছে আসবো,
তোমার চোখে তাকাবো
প্রেমের মালা পরাবো।

জড়িয়ে ধরে গন্ধ পাবো
প্রেম সাগরে ডুবে যাবো,
সেই সাগরের তলদেশে
থাকবে তুমি বধূর বেশে।



গাঁয়ের ললনা-
নুরমোহাম্মদ(মিলন)

গাঁয়ের ললনা তার নেই তুলনা
ললনার বুলিতো নয় বুলি
ফুটন্ত গোলাপ ফুলের পাপড়ির ঝুলি।

ললনার চুড়ো-খোঁপায়
লাল গোলাপ ফুল,
কানে ঝুলন্ত ঝুমকো দুল।
ললনার কন্ঠে গান,
চরণে রক্ত আলতা।
পাদুকা মুক্ত নগ্ন পায়ে
মধ্যাহ্ন বেলায়
লালশাড়ীর আঁচল নেড়ে নেড়ে
সবুজ শ্যামল গাঁয়ের
মেটে বাট দিয়ে হেটে যায়।
হাতে রক্তবর্নের চুড়ির শব্দ,
নাকের নলক টল-মল,
তখনি করে মোর
মনের প্রদিপ ঝল-মল।

ললনার হাসিমাখা লাবণ্যময়
মুখপানে তাকাতেই স্বপ্নের
আকাশে প্রেমপাখি হয়ে রঞ্জিত
ডানা মেলে উড়তে থাকি।
আর ললনার সনে প্রেম খেলা খেলি।
গাঁয়ের ললনা তার নেই তুলনা।


যুদ্ধে যাবে যুদ্ধে?-
নুরমোহাম্মদ মিলন

যুদ্ধে যাবে যুদ্ধে?
যদি থাকতে না চাও বদ্ধে।
যুদ্ধে যাবে যুদ্ধে?

মনে পড়ে সেদিনের কথা?
যেদিন অশ্রু ঝরিয়েছে
প্রানহীন শাপলা ফুলটা।
সেইদিনের পায়ে পেসা
রক্তমাখা টুপি,ছেঁড়া পাঞ্জাবী,
ছেঁড়া শার্ট,রক্তে রঞ্জিত লাশগুলি
আজ আর নেই রাজপথে।
আছে শুধু হৃদয়ের রক্ত ক্ষরনে,
চোখের অশ্রু স্রোতে।

মায়ের সামনে ছেলেকে
খুন করেছিলো,করছে।
ভাইয়ের বক্ষ মাঝে গুলি
করেছিলো,করছে।
ওরা কেড়ে নিয়েছে মুখের বুলি
কেড়ে নিয়েছে স্বাধীনতা
এ কেমন বর্বরতা!
মনে হয় এই বুঝি জাহেলিয়াত
নামক কালো মেঘ।

ক্ষমতা লোভে আসক্ত হয়ে
অন্ধকার সাগরে হাবুডুবু।
মিথ্যার ঝুলি থেকে বুলি নিয়ে
গনতন্ত্র বলে বেড়ায়।
আসলে এক নায়ক যন্ত্র,
করিবো বিনাশ এই তন্ত্র,
হবে নাশ।

ঘরে ঘরে মায়ের কান্না
চোখ দিয়ে অশ্রুধারা।
ঘর ছাড়া বাড়ী ছাড়া
লক্ষ্য লক্ষ্য তরুন-যুবক।
অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলো
তাই তারা যে আজ রুদ্ধ।
যুদ্ধে যাবে যুদ্ধে ?
যদি থাকতে না চাও বদ্ধে।
যুদ্ধে যাবে যুদ্ধে ?






আমি গণতন্ত্রের ক্ষুধার্ত-
নুরমোহাম্মদ মিলন

দিবে আমায় গণতন্ত্র?
আমি চাই না রাজতন্ত্র।
যে দিকে তাকাই সবি যেন
লাল মনে হয়,
সাগরের ঢেউ লাল,
আকাশ লাল,পাহাড় লাল,
বাতাসও লাল রক্তের গন্ধ ছড়াচ্ছে,
ঐ ঝরনা দিয়েও লাল রক্ত ঝরছে,
যেন লাল রক্ত ঝরানোই
রাজতন্ত্রের মূলমন্ত্র।

আমি রাজতন্ত্র চাইনা
গণতন্ত্র নিয়ে অভিনয় চাই না।
আমি রক্ত চাই না
সত্যের ফাঁসি চাই না
আমি চাই গনতন্ত্র।
চাই শান্তিতে একটু নিশ্বাস
থাকবে অটাল বিশ্বাস।
মাথা উচু করে বলবো স্বাধীন
আমিতো নয় পরাধীন।

আমি গণতন্ত্রের ক্ষুধার্ত
যা হয়েছে যথার্থ।
আর কত প্রান বলি দিবি?
আর কত রক্ত নিবি?
ফিরিয়ে দাও আমার গণতন্ত্র
আমি চাই না রাজতন্ত্র।

বৃষ্টির মত ফুল
নুরমোহাম্মদ মিলন

মাথার উপর ঝরে পড়ে
বৃষ্টির মত ফুল,
বাগান হলো তোমার
মাথার চুল।
তোমার দিকে তাকালে
পড়েনা আর দৃষ্টি,
এত সুন্দর এত সুন্দর
তুমি সৃস্টিকর্তার সৃষ্টি

খেজুর গাছ-
নুরমোহাম্মদ মিলন

ও খেজুর গাছ ও খেজুর গাছ
উচু কেন এত?
কে মেরেছে তোমায় বলো?
গায়ে কেন ক্ষত?

ও খেজুর গাছ ও খেজুর গাছ
কাদছো কেন এত?
তোমার অশ্রু নিচ্ছে সবাই
খাচ্ছে সবাই অত!

কে কেটেছে তোমার শরীর?
কে দিয়েছে ব্যাথা?
কত কষ্ট পাচ্ছো তুমি
বলো তুমি কথা?

তোমার অশ্রু মিষ্টি অনেক
খাচ্ছে সবাই অত,
কেউ বুঝেনা তোমার ব্যাথা!
কষ্ট দিচ্ছে কত!


দাদু-
নুরমোহাম্মদ মিলন

আমি পড়ি রাত্রি জেগে
দাদু নাকে ডাকে,
দাদুর নাকে মোটা বাঁশি
এখন দিবো বকে।

দাদু আমার অনেক ভালো
আমায় দিলো ক্যান্ডি,
কানে কানে বললো দাদু
না বলার ফন্দি।

আমার দাদু সেরা দাদু
অনেক আদর করে,
দাদু আমার দুই গালে
চুমু দেয় প্রান ভরে।


মায়ের আশা-
নুরমোহাম্মদ মিলন

পড়া-লেখা করবে
আমার খোকন,
মাদ্রাসাতে খোকন
যাবে যখন।

খোকন হবে আলেম
আমার চাওয়া,
আলেমের মা হবো
এটাই পাওয়া।

বড় আলেম হবে
খোকন যখন,
আল-কোরানের পক্ষী
হবে তখন।

দূর গগনের দিকে
অক্ষ্যি মেলি,
সৃষ্টিকর্তার কাছে
দু'হাত তুলি।

খোকন বড্ড বড়
আলেম হওয়া,
স্রষ্টার কাছে আমার
একটাই চাওয়া।


কাঁদিয়েছো তুমি মোরে-
নুরমোহাম্মদ মিলন

কাঁদিয়েছো তুমি মোরে!
আরো কি কাঁদাবে মোরে?
যদি এতই সুখ পাও
কাঁদাও যতো পারো কাঁদাও!
তোমার কষ্ট পেয়ে আমি হয়েছি পর্বত,
আমার চোখ হয়েছে ঝরনা!
তোমা কষ্ট পেয়ে আমি হয়েছি বর্ষা,
চোখ দিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বর্ষন!

আমার অভিপ্রায় তোমার ভালোবাসা,
যা সাগরের মত শুকাবার নয়
যা এতই বেশি যে শেষ হবার নয়।
তুমি আমার চাওয়া পূরন করোনি
নেই ক্ষতি,কষ্টতো দিয়েছো অতি!
আর তাই আমার জীবনের সবচেয়ে
অতি মুল্যবান সৃতি।

যা কখনো ভুলার নয়, ভুলবোনা।
যদি পারো আরো দাও প্রবঞ্চনা,
তোমার প্রবঞ্চনাই আমার জন্য
বড় পাওনা,কষ্ট দিবে?দাওনা!

তোমা কষ্টের ছুরিকাঘাতে
যদি আমায় ক্ষত-বিক্ষত রক্তাত্ব করে দাও!
সেই রক্ত চিৎকার দিয়ে বলবে
তোমায় ভালোবসি,ভালোবাসি,ভালোবাসি!


প্রেম-
নুরমোহাম্মদ মিলন

প্রেম,তুমি অবিরাম-অবিরত
যেথায় খুশি সেথায় অনবরত।
প্রেম,তুমি সাত সাগর পাড়ি
তোমাকে নিয়ে নাই কোনো আড়ি।
প্রেম,তুমি লুকোচুরি মিষ্টি আদর
আদর দিয়ে পলায়ন মুখে চাদর।
প্রেম,তুমি প্রিয়কে জড়িয়ে নীলিমায় দৃষ্টি
হটাৎ করে ঝরে পড়ে মাথার উপর বৃষ্টি।
প্রেম,তুমি মুঠোফোনে ব্যস্ত থাকা
রাত্রি জেগে সকালে কলেজ ফাঁকা।
প্রেম,তুমি বাবার পকেট কেটে যাওয়া
রেস্তোরাঁয় গিয়ে চাইনিজ খাওয়া।


প্রেমের সাথে চলে কথা কাটা-কাটি
পকেটে নাই টাকা মাথায় চিন্তার ঘাঁটি।
প্রেম,তুমি চলে গেলে দূর- বহুদূর...
এখন শুনিনা তোমার কন্ঠ সুমধুর ।
প্রেম,তুমি বৃক্ষের মরা শুকনো ছাল
কখন যে ঝরে পড় নাই কোনো তাল।
প্রেম,তুমি কোমল হৃদয়কে করো ঠোসা
তুমি আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার রক্ত চোষা।
প্রেম,তুমি রঞ্জিত মাটির কলসী
চূর্ণ হয়ে বন্ধ করে দাও বংশী।


কবি হবো ভাই-
নুরমোহাম্মদ মিলন

কবি হবো কবি হবো
প্রত্যাশা ভাই,
অনেক সুন্দর সুন্দর পদ্য
লিখিতে চাই।

তুমি কবি হতে পারো
নাই যে ক্ষতি,
খোলা মনে খোলা প্রানে
লিখো অতি।

লিখে লিখে পদ্যের ছন্দ
খুঁজে বেড়াই,
খুঁজে খুঁজে পাইনা কোনো
ছন্দের মিল ভাই।

ছন্দ চিন্তার গগনেতে
খেলা করে,
ছন্দ যত চাও তত নাও
ইচ্ছে করে।


ভয় কেন পাও? -
নুরমোহাম্মদ মিলন

ভয় কেন পাও?
উদ্যমশীল হও,
মনটা কেন এত হীন?
মনোবল বাড়াও।
স্বদেশ মোদের স্বাধীন হলো
স্বাধীনতা নাই,
স্বাধীনতা ব্যাবসায়ীদের বেড়াজালে
আমরা সবাই।

লাখো ভাইয়ের রক্ত,বোনের ইজ্জত।
অশ্রু জলে মায়ের কাকুতি,
মায়ের পিঠে জালিমদের লাথির বিনিময়ে
পেলাম স্বাধীনতা।
বছরের পর বছর গেলো
স্বাধীন দেশে স্বাধীনতা নামে চলছে বর্বরতা।

মুক্ত আকাশে স্বাধীন পাখি উড়ে
নাই কোন নাই বাধা।
আমরা চেয়েছিলাম উড়তে
স্বাধীন পাখির ন্যায়,
তাই স্বাধীনতা চেয়েছিলাম
করেছিলাম যুদ্ধ।

স্বাধীনতাকামী মুখোশধারীরা
স্বাধীনতাকে করেছে গ্রাস,
স্বাধীনতাকামী মুখোশধারীর
এবার করবো সর্বনাশ।
অনেক হলো আর হবেনা
আর দিবোনা সুযোগ।
ভয়ের বাঁধন খুলে,
আয় সবি আয় সাহস নিয়ে,
করবো আবার যুদ্ধ।
স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনবো
থাকবোনা আর বদ্ধ।




প্রিয় মোহাম্মদ-
নুরমোহাম্মদ মিলন

তুমি মোদের প্রানের স্পন্দন
ও প্রিয় রাসুল,
তোমার প্রেমে দিশেহারা
আমরা বেকুল।

তুমি মোদের মহামানব
দয়াল নবী,
তুমি মোদের শ্রেষ্ট নবী
দিলের ছবি।

উম্মত উম্মত করে নবী
খোদার পানে,
অশ্রু জলে বুক ভাসিয়ে
থাকতো ধ্যানে।

ত্রিভুবনের এই শেষ নবী
প্রিয় মোহাম্মদ,
আমরা সবাই গর্ব করি
তাহার উম্মত।

শান্তির দূত এই শ্রেষ্ট মানব
প্রিয় মোহাম্মদ,
সত্যের বানী করতো প্রচার
প্রিয় মোহাম্মদ।

হাশরের এই কান্ডারি সে
প্রিয় মোহাম্মদ,
নূরের রবি ধ্যানের ছবি
প্রিয় মোহাম্মদ।

জান্নাতের ওই দলপতি সে
প্রিয় মমোহাম্মদ।
আমরা সবাই গর্ব করি
তাহার উম্মত।




কোরানের পক্ষী-
নুরমোহাম্মদ মিলন

কোরআনের পক্ষী,
তুমি সত্যবাদী,
সত্যের বানী ছিল তোমার মুখের বুলি।
দম্বকারী সর্পনারী করেছে তোমায় বন্দী।
কোরআনের পক্ষী,
তুমি অবরুদ্ধ ঐ রক্তপিপাসীতা
সর্পনারী মুসলিম মুখোশধারিনীর।
ক্ষমতার মস-নদে বসা
ইসলাম নস্যাত্ কারী জালিমের বন্দিশালায়।

কোরআনের পক্ষ্যি,
মুক্ত হবে হবেই তুমি,
জিহাদের ডাক দিয়েছে,
নারে-তাকবীরের শ্লোগানে-শ্লোগানে
কম্পন দিয়ে উঠেছে দেশ।
মৃত্যুর ভয় নাহি নাহি মোদের,
জিহাদী কামনায় মাথায় কাফন বাধাঁ
হাতে নিয়েছি লাঠি,
অশীবিষ নারীর বিষদন্ত ভেঙে দিয়ে
করিবো দেশে কোরআন প্রেমিকদের গাটি।

ক্ষমতা লোভি রাক্ষুসি তার নাই নাই ক্ষমা,
দুনিয়ার রানী নরকের লাঠি
পরকাল মনে আছে কি তার জানা।



কলম-
নুরমোহাম্মদ মিলন

এই কলম যেন না থামে
এই কলম যেন না ঘুমে,
এই কলম যবে চলিবে
এই ভুবন তবে সাজিবে।

এই কলমে হলো শক্তি
এই কলমে হলো মুক্তি,
এই কলমে রণ-যুদ্ধ
এই ভুবন হবে শুদ্ধ।

এই কলমে সফল সিঁড়ি
এই কলমে বিফল গুঁড়ি,
এই কলম যার আপন
বড় হওয়া তার স্বপন।

কলমকে যে করে ঘেন্না
তার জীবনে ক্লেশ বন্যা,
কলমের যে সৎ চালক
তাহার পথ হবে আলোক।

প্রিয় কবি বুল-বুল-
নুরমোহাম্মদ মিলন

ওগো প্রিয় কবি বুল-বুল
আমি খুঁজে-খুঁজে বুকে তুলি
তোমার পদ্য-ছড়া ফুল।

তুমি সাম্যের গান গাও
তুমি সত্যকে প্রান দিয়ে
মিথ্যাকে নাশ করে দাও

তুমি বিদ্রোহী বল বীর
তোমার কলমে সৎ কালি
তোমা উন্নত মম শির।

চলে গেছো এই ধরা হতে
হৃদয় বক্ষে তুমি আছো
হৃদ দোলনায় দোল খেতে।

ওগো প্রিয় কবি বুল-বুল
প্রেরণা-প্রেষণা তুমি মোর
তোমার নাইতো কোনো তুল।


তোমাকে না পেলে পাগল হবো-
নুরমোহাম্মদ মিলন

তোমাকে না পেলে পাগল হবো
শুধু হাসবোরে আর হাসবো,
মুখে নিবোনারে কোনো আহার
শুধু কাঁদবোরে আর কাঁদবো।

হাসবো নাচবো আর বলবো
প্রিতি-ভালোবাসা তুমিই আশা,
তুমি যদি চাও দিবোই আজি
তোমার জন্য গলায় ফাঁসা।

তোমাকে না পেলে পাগল হবো
দেহের রক্ত সব ঝরাবো,
সাগর জলেতে মরবো ডুবে
তোমার জন্য সব হারাবো।

কাটবো সাঁতার প্রেমের জলে
হৃদয়ে আমার বড্ড আশা,
ফিরিয়ে আমায় দাওগো যদি
শুনবে আমার মরণ-নাশা।


আমি এক দুরন্ত পথিক-
নুরমোহাম্মদ মিলন

আমি এক দুরন্ত পথিক
দুর্লভ বাট সীমা নেই সঠিক।
যাচ্ছি দূরের পথে
যেতে হবেই গন্তব্য ছুঁতে।

টিপ-টিপ বারিবর্ষণ
গুড়ুম-গুড়ুম বজ্র-গর্জন।
বৃক্ষের হেলে দুলে নাচন
তম-তিমির পৃথিবী-ভুবন।
গগনে প্রদীপ চমক
বাতাসের শন-শন দমক।

পথে-পথে বাঁধা মোর
কখনযে হবে ভোর।
অন্ধকারের ভিতর দিয়ে
মনের সাহস সংঙ্গ নিয়ে।
ক্লান্তিকে ছুড়ে দিয়ে
হাটছি দুর্গম পথ দিয়ে।
আমি শান্ত হবো তবে
গন্তব্যে যাবো যবে।

আমি দূর পথভ্রমণকারী
দিতে হবেই এই পথ পাড়ি।
সকল বাঁধা উপড়ে ফেলে
অলসতার বোঝা দূরে ঠেলে।
জীবনের স্বাদ ভুলে গিয়ে
জীবন মায়া সংঙ্গ নিয়ে।
যাচ্ছি দুরের পথে
যেতে হবেই গন্তব্য ছুঁতে।

যত্রাপথ ঘোর তিমির কালো
নেই কোনো জ্যোত্স্না আলো।
নেই কোনো তারার ঝিলি-মিলি
দুস্তর বাট দিয়ে সত্বর চলি।
আমি এক দুরন্ত পথিক
পথ চলতে হবে মোর অধিক।


লোডসেঢিং-
নুরমহাম্মদ মিলন

লোডসেঢিংরে লোডসেঢিং
ঘন ঘন লোডসেটিং,
আমাদের এই স্বদেশে
অত অত লোডসেঢিং।

লোডসেঢিং এর কারনে
সবি লাগে যে অন্ধ,
পাইনা কোন খোঁজ-খবর
টেলিভিশন যে বন্ধ।

কারেন্ট মামা বিজলীর ন্যায়
উকি দিয়ে চলে যায়,
পাখাটা যে চলছে না
গরমে গা পুড়ে সায়।

বাংলাদেশের দেশ নেতা
একের পর এক আসে যায়,
লোডসেঢিং হীন বাংলাদেশ
কারো কি আর করা হয়।



ঝরা পাতার প্রেম গল্প-
নুরমোহাম্মদ মিলন

ঝরা পাতাকে বললাম,
ঝরা পাতা তুমি এত হলুদ কেন?
ঝরা পতা ক্রন্দন-রোদনে বললো:
গায়ে হরিদ্রা প্রলেপ
কাল আমার বিয়ে জানো?

পীতবর্ন ঝরা পাতাকে বললাম,
আচ্ছা ঝরা পাতা তুমি ক্রন্দন-
রোদনে অশ্রু ঝরাচ্ছো কেন?
ঝরা পাতা বললো:
সে বৃক্ষশাখায় ছিলো
এক ক্ষুদ্র পক্ষীর সনে তার প্রেম ছিলো,
ক্ষুদ্র পক্ষী সর্বসময় বৃক্ষশাখায় বসে
তার সনে হেসে-হেসে
প্রেম খেলা খেলতো।
পক্ষীটা কিচির-মিচির করে
তার প্রণয়নীকে ভালোবাসি
ভালোবাসি বলতো।

পাতার সনে পক্ষীর বিয়ে ঠিক হলো।
পাতা পক্ষীকে বললো:
তুমি খুশিতো?দু'জনই অতি উল্লাসিত!
কিন্তু পাতাকে বাতাসও ভালোবাসতো,
প্রায়সময় পাতার অভিপ্রায় না থাকা সত্ত্বেও
পাতাকে মৃদ হাওয়াতে দোলা দিয়ে
কানে কানে ভালোবাসি বলতো।

তাই বাতাস পাতার সনে
ক্ষুদ্র পক্ষীর বিয়ে সয্য করতে না পেরে
প্রখর ক্রোধে ঝড়ো বাতাস হয়ে
হলদে আয়জন ভেঙ্গে দিলো।
সেই ঝড়ো আঘাতে পাতাটা
মাটিতে ঝরে পড়লো,
পাখিটা হারিয়ে গেলো,
হৃদয়হীন ঝড়টা চলে গেলো।



মা হারা রুপা-
নুরমোহাম্মদ মিলন

ছোট বেলায় কপাল পুড়লো
মা মরে যাই,
সত্মা'র আগুন জ্বালায় পুড়ে
হলামরে ছাই ।

বাবা আমার চোখের মণি
অতি আপন,
আমি বাবার ছোট্ট রুপা
বাবার স্বপন।

বাবা তুমি দূরে গিয়ে
হলেযে পর,
ছোট বেলায় মা' হারালাম
পাইনি আদর।

বাবা তুমি কাছে টেনে
করো আপন,
আমি তোমার ছোট্ট রুপা
তোমার স্বপন।

ভুল-ত্রুটিতে থাকি যদি
করিও মাফ,
না করিলে দিবো বাবা
আগুনে ঝাঁপ ।

এ দুনিয়ায় তুমি বাবা
আর কেউতো নাই,
তোমার আদর ছোঁয়ায় বাবা
সুখ খুঁজে পাই।


বন্ধু চোর-
নুরমোহাম্মদ মিলন

বন্ধু চোর,বন্ধু চোর
লেপটপ,কেমেরা নিয়ে
বন্ধু আমার অগোচর
বন্ধু চোর,বন্ধু চোর।

গ্রাম বাড়ি নাই জানা
কোথায় গেলো অজানা।
ক্ষনিকের তরে এসে
ক্ষনিকেই গেলো ভেসে
প্রবঞ্চনা দিলো শেষে!

সকালে খাওয়াইলি নাস্তা
দুপুরে হারাইলি আস্হা।
করলি বন্ধুর অভিনয়
বিশ্বাসের করলি ক্ষয়
এই প্রানেতো নাহি সয়!

কষ্ট তুই দিলি অত
হৃদয় আমার হলো ক্ষত
যা নয়তো ভুলার মত!

তোকে ছাড়া ফাঁকা-ফাঁকা
কোথায় গেলে হবে দেখা
আমি এখন রুমে একা
তুই দিলি আমায় ধোঁকা!



নীল গগনে হস্তী উড়ে-
নুরমোহাম্মদ মিলন

ঐ দেখো ঐ নীল গগনে
হস্তী উড়ে যায়রে,
খিল খিলিয়ে হাসছো তুমি
দন্ত দেখা যায়রে।

হাসতে থাকো হাসতে থাকো
হি হি-হা হা করে,
পেটে তোমার ব্যাথা হবে
হাসলে বেশি করে।

হাসার কথায় হাসবে মানুষ
হবেনা ভুল-ত্রুটি,
তোমার কথা শুনলে পরে
পাগল যাবে ছুটি।

আমার চোখটি তোমার চোখে
লাগাও যদি ভাইরে,
নীল গগনে হস্তী উড়ে
দেখবে তুমি তাইরে।


কামিনী-
নুরমোহাম্মদ মিলন

কামিনী,তুমি আমায় দিয়েছো
অগণিত মুঠো তম,
আমি চেয়েছি তোমা সমীপে
এক মুঠো আলো।

তোমায় বউ করে নিবো আমার
ঘরে ছিল অভিপ্রায়,
কামিনী,তুমি আশীবিষ হয়ে
দংশন করলে আমার কলিজায়।

কামিনী,তোমার শশীমাখা মুখখানি
ভালোবেসে মন দিয়েছিলাম।
কামিনী,তোমার শশীমাখা
হাসি দেখে আপন করে নিয়ে ছিলাম।

তুমি আমায় অবহেলায়
ছোড়া দিলে তম-তিমিরে,
চাইনি বেশি কিছু তোমার কাছে,
চেয়েছি এক মুঠো আলো।

কামিনী,তোমার প্রবঞ্চনায়
ভালোবাসা না পেয়ে কস্টের অনল-শিখায়
পুড়ে-পুড়ে ভস্ম হয়ে যাচ্ছি,
আর বলছি ভালোবাসি,

কামিনী,ফিরে এসে দাওনা আমায়
তোমার সুখের আলো হতে
এক মুঠো আলো।



মৃত স্বাধীনতার দিবো প্রান -
নুরমোহাম্মদ মিলন

ভয় পাই শুধু আল্লাহ
যতই দাও হামলা-মামলা।
জেলে যাবো শতবার
তোর কাছে দিবোনা ধার।
সত্য থেকে নড়বোনা এক বিন্দু
দিতে রাজি রক্ত এক সিন্ধু।
তুই নাস্তিক সরকার
করবো বিনাশ তোর দরবার।

করবি কত বুকে গুলি?
লাগবে কত লাশের ঝুলি?
উড়িয়ে দিচ্ছে মাথার খুলি
তোর চরন-চাটা বাহিনী!
দমন-পীড়ন,গুম-খুন করবি
মস-নদ তোর শক্ত রাখবি।
রাক্ষসী এই কি তোর
আসল কাহিনী?

দুর্জয়কে করবো জয়
হবেই হবে রাক্ষসীর প্রলয়।
যত যাবে রক্ত,আমরা হবো শক্ত।
মা'গো তোর ক্রন্দন থামবে
বিজয় মিছিল হবেই হবে,
তোর ডাক খোদা শুনবেই শুনবে।
নিপাত হবেই ঐ নক্ত।

আল্লাহ মহান,আল্লাহ মহান
রাজপথে গাইবো জয়ের গান।
মৃত স্বাধীনতার দিবো প্রান,
বাধার প্রাচির করিবো চূর্ণ।
তোর গদিতে অগ্নি দিবো
পালাবি কোথায়?ডাণ্ডা দিবো।
তোর যবে নিপাত হবে
স্বাধীনতা হবে পূর্ন।

ফাইনাল খেলা-
নুরমোহাম্মদ মিলন

কুৎসিত পাপ চারদিক খেলা করে
আমায় ডাকে আয় একটু খেল
আমাদের সাথে।

পাপের খেলায় অনেক মজা
আমায় চুম্বকের ন্যায় ক্রমাগত টানে।

খেলতে খেলতে একদিন
নি:শেষ হয়ে যাবো
আবার সতেজ হবো
আবার খেলতে হবে
শুরু হবে ফাইনাল খেলা।
সে খেলায় কোনো দর্শক থাকবেনা
সবাই খেলোয়াড় সবাই জিততে চায়।


মা-
. নুরমোহাম্মদ মিলন

দেখিলে মায়ের চাঁদ মুখ
লাগে আমার হৃদয়ে সুখ,
মায়ের মায়া ভরা দু'আখি
চরণ দু'টি জড়িয়ে রাখি

আমার মায়ের মুধুর হাসি
যেন আকাশের চন্দ্র-শশী,
আমার মায়ের অশ্রু জল
বুকে আমার ব্যাথার নল।

মাথা রাখলে মায়ের কোলে
দু:খ-কষ্ট যাইযে ভোলে,
জড়িয়ে ধরে আপন করে
দোয়া করে প্রান ভরে।

আমাদের পানে চেয়ে
দিন-রাত না খেয়ে,
মানুষ করার আশায়
কষ্টের জীবন কাটায়।

কত আদর কত সোহাগ
করিতোনা কোনো রাগ,
একটি নামে শান্তি পাই
মায়ের মত কেহ নাই।



আকাশ সনে কথা-
নুরমোহাম্মদ মিলন

আকাশ সনে কথা
আকাশ বর্ণ লঘু নীল
হটাৎ শুভ্র বর্ন,
হটাৎ কৃষ্ণবর্ণ আকাশ।
হুপ করে বজ্র চিৎকারে
অশ্রু ঝরায় নিরব-কাশ!

ও আকাশ তোমার কষ্ট অত!
তাই বুঝি ক্রন্দন এত?
তমা বেদন কেউ বুঝেনা!
তোমা টিপ টিপ অশ্রুতে
ভিজে ভিজে মধ্যস্থল আঙিনায়
রমণী আনন্দে আত্মহারা।
এক-কাট্টা বালক
তোমা অশ্রু মিশ্রিত
কাদায় উল্লসিত লুটু-পুটি।
তাই বুঝি ক্রোধে-রোষে
বুক ফাটা আর্তনাদে
বজ্র চিৎকার দিয়ে উঠো?
ও আকাশ তোমার কষ্ট অত!
তাই বুঝি ক্রন্দন এত?

তোমার যখন রোদন থেমে
অশ্রু মুক্ত খুশির মেলা।
দিন আকাশে সূর্যকিরণে
বাঁশবনের পাকে হাসির দোলা।
রাত আকাশে শশীর হাসি,
তারার ঝিলি-মিলি খেলা।
সমগ্র ভুবন আনন্দের মেলা।



কলম যোদ্ধা-
নুরমোহাম্মদ মিলন

আমার কলম থামার নয়
অন্যায়ের প্রতিবাদি প্রকাশ
করবোই করবো।
মানি নাকো কারো,করি নাকো ভয়।
জেল জুলুম যতই আসুক
লেখা আমার থামার নয়।

আমি অর্থ নিয়ে বুঝার নয়
আমি হুমকি শুনে থামার নয়।
বাধা আশুক যত,
নষ্ট লোকের নষ্ট মুখোশ
খোলা হবে তত।

অন্যায়ে করবি কত আর?
সামনে চেয়ে দেখনা তোরা
কলম হাতে কার।
অন্যায়ে করবি কিনা বন্ধ?
না করিলে ভাঙ্গবো এবার
পিঠের মেরুদণ্ড।


হাহাকার!
নুরমহাম্মদ মিলন

শান্ত সাগর
নেই কোনো উত্তাল ঢেউ
নেই কোনো মস্ত জাহাজ
নেই কোনো সাগর পাড়ে
মানুষের ছুটা-ছুটি

নিরব বৃষ্টি
নেই কোন কালো মেঘ
নেই কোনো গগন গর্জন
নেই কোনো বৃষ্টিতে ভিজা
মানুষের উল্লাস।

হাহাকার!
আছে শুধু সংশয়
আছে শুধু ভীতি-ভয়
আছে এদিক ওদিক
মানুষের পালিয়ে বেড়ানো।

বাচতে চায়
দানবের গদি উলটানো
দানবের শেষ কোথায়
দানব নিপাতে গনতন্ত্র এসে
মানুষের মুক্তির দরজা খুলবে বলে।

কাটাহীন ফুল-
নুরমোহাম্মদ

আমার আছে প্রেম ফুল
যখন ইচ্ছে গন্ধ নিবো
সে ফুলে প্রেম ছিটাবো
কাটাহীন সে অম্লান ফুল।


নিশীথে চালাই তোমায়
নুরমোহাম্মদ মিলন-

চারদিক নীরব নিস্তব্ধ
নেই কোনো শব্দ।
আকাশটাও আজ শান্ত
পৃথিবীটাও আজ শান্ত।
যদি না হতো রাত্রির অন্ত
চালাবোই হবোনা ক্ষেন্ত।
মুখের ঢাকনা খুলে নিলাম
চেপে দরলাম,ভাবতে লাগলাম।
নিশীথে চালাই তোমায়
মুখ দিয়ে লালা পড়ে যায়।
কৃষ্ণবর্ণ তোমার লালা
তুমিতো নয়তো বালা।
তোমাকে নিয়ে করি যুদ্ধ
তুমি চলবেই হবেনা রুদ্ধ।
তুমি সত্যের পক্ষে শক্ত
তুমি লিপিকার ভক্ত।
চালিয়েছে তোমায় কবি গুরু রবি
চালিয়েছে তোমায় বিদ্রোহী-অভী।
চালায় তোমায় সাংবাদিক
আরো চালায় সাহিত্যিক।
তোমাকে দিয়ে হয় পদ্য
আরো হয় অনবদ্য গদ্য।
তুমি অন্যায়কারীর ভয়
তুমি সত্যকে করো জয়।
তুমি সত্যের অস্ত্র শক্তি
সত্য লেখকের ভক্তি।



জিকির-
নুরমোহাম্মদ মিলন

আল্লাহ আল্লাহ জিকির শুনি
বাড়ীর পথে যেতে,
জিকিরেতে অশ্রু ঢালে
খোদার দিদার পেতে।

নমাজিরা জিকির করে
নামাজের ঐ শেষে।
কলব তাদের হয়না কালো
শয়তানের ঐ বিষে।

জিকিরের ঐ ধ্বনি আমার
কানে লাগে মধুর,
বুকের ভিতর বাজে আমার
আল্লাহ আল্লাহ সুর।

খোদার সৃষ্টি আমরা সবি
তারে সবাই ডাকো।
হৃদ মাজারে তারে জপে
কাবার ছবি আঁকো।


প্রেম সাগরে ডুবে আছি-
নুরমোহাম্মদ মিলন

তোমায় দেখেছি এক পলক
ঝলমল-ঝলমল রুপের ঝলক।
প্রথম দেখাতে ভালোলাগা
চোখে নেই ঘুম রাত জাগা।
কেন এত মায়া তোমার মুখে
কেন এত ভালোবাসা আমার বুকে।
তোমার প্রেম সাগরে ডুবে আছি
হাত বাড়িয়ে বুকে নিলে আমি বাচি।
দিবে তোমার হাত?
নাকি কষ্টের আঘাত?


সৎ মানব হও
নুরমোহাম্মদ মিলন

সৎ মানব হওরে তুমি
সৎ মানব হও,
সৎ মানব হলে পরে
সত্য কথা কও।

মরার আগে ভেবে দেখো
তোমার কিছু নাই,
ধন সম্পদে ঘেরা তোমার
জাহান্নাম হবে ঠাঁই।

মদ জুয়াতে ব্যস্ত তুমি
নামাজ যাচ্ছে চলে,
কবরে গেলে আজাব পাবে
হাদীসে তা বলে।

কোরআন শরিফ হাদীস শরিফ
পূর্ণ জীবন ব্যবস্তা,
পালন করলে হবে তোমার
নাজাতের সুব্যবস্থা।

জিকির করো দমে-দমে
কলব করো পরিস্কার,
মানব কষ্টে থেকো পাশে
করোনা তুমি তিরস্কার।।


মায়ের দেওয়া উপহার
নুরমোহাম্মদ মিলন

মা আমাকে একটা চাঁদ
উপহার দিতে চায়,
মায়ের দেওয়া উপহার
না নিয়ে কি পারি!

আমি নাকি ওই চাদের আলোয়
জীবন আলোকিত করতে পারবো।

পারবোতো?



আবার শহিদ আনোয়ার-
নুরমোহাম্মদ মিলন

আনোয়ার আনোয়ার
শহিদী নাম
আনোয়ার আনোয়ার
আন্দোলনের নাম।

ঐ নামে সুখ জাগে
যখন থাকি আমি ময়দানে
ঐ নামে জেহাদী
চেতনা জাগে মনে।
আনোয়ার তুমি
চলে গেছো কি হয়েছে
আছিতো তোমার
জেহাদের প্রেষণা বুকে নিয়ে।

যে বাগানের লাগী তুমি
দিয়েছো তোমার প্রাণ
সে বাগানের ফুলেরা এখনো
ছড়ায় কালেমার ঘ্রাণ।

তুমি শহিদ,তুমি শহিদ
শহিদ আনোয়ার
যে দ্বীনের পথে জীবন দিলে
সে দ্বীন ফিরে আসবে আবার।

ভুলবোনা ভুলবোনা
তোমায় কখনো
চির অমর তুমি
হৃদয়ে গাঁথানো।

সবিযে তোমারি দান-
নুরমোহাম্মদ মিলন

আকাশ হতে বৃষ্টি পড়া
পাহাড়ের জলধারা
সবিযে তোমারি দান
ও' আল্লাহ তোমারি দয়া অফুরান।

দেখো দেখো পাখি ডাকে
ঝাকে ঝাকে উড়ে উড়ে,
ময়ূরে পাখনা মেলে
দেখো দেখো নৃত্য করে,
তোমারি সৃষ্টি অম্লান।

নাক সুন্দর,ঠোঁট সুন্দর
সুন্দর ঐ চোখ,
দিয়ছো তুমি আল্লাহ
কত সুন্দর মুখ।

জীবনও তোমার হাতে
মরণও তোমার হাতে
তোমারি দয়ায়
আছে দেহে প্রান।


বসে আছে সুন্দরী
নুরমোহাম্মদ মিলন

বসে আছো সুন্দরী-ললনা
কথা কেন বলোনা?
এলোমেলো খোলা চুল
চলনা একটু করি ভুল।

ও'গো রেগে তুমি যেওনা
ভয় তুমি পেওনা।
ধাওয়া তুমি করোনা
হাতে হাত রাখোনা।

তোমার রুপের নাইতো তুল
গ্রহন করো গোলাপ ফুল।
পাশে তুমি বসতে দাও
আপন করে কাছে নাও।


ডাষ্টবিনেতে দিলে-
নুরমোহাম্মদ মিলন

মা'গো তুমি কেন আমায়
তোমার গর্ভে নিলে?
প্রসব করে আমায় মা'গো
ডাষ্টবিনেতে দিলে।।

তোমার খানিক ভুলের জন্য
বাবা একটু-খানি সুখি,
বাবার মিথ্যে মিথ্যে প্রেমই
আমি হলাম দু:খি।।

আমার কি দোষ বলো মা'গো?
করিয়াছি কি পাপ?
এত দু:খ কষ্ট দিচ্ছো
এটা কেমন মা-বাপ।।

ডাষ্টবিনে মরতেছি আমি
মা'গো তুমি কোথায়?
একটু এসে মা'গো তুমি
বাঁচাওনা'গো আমায়।।

মা'গো তুমি আসলেনা আর
এলো আরেক প্রিয় মা,
যার উসিলায় বাচলাম আমি
দয়াময়ী সে মা।।

যে সমাজের ভয়ে মা'গো
অাবর্জনায় দিলে,
সে সমাজের মানুষ মা'গো
আমায় নিলো তুলে।।


সমাজকে ডর-ভয় পাও মা'গো
খোদাকে ভয় পাওনা,
লম্পট প্রেমি ক বিশ্বাস করো
খোদার দিদার চাওনা।।





আমি হতে চাই
নুরমোহাম্মদ মিলন

আমি ঝিনুক হতে চাই
মুক্তাকে বুকে নিতে।
আমি চাঁদ হতে চাই
তোমাকে আলো দিতে
আমি শিল্পী হতে চাই
তোমার সুরে গান গাইতে।

আমি পাখি হতে চাই
তোমাকে নিয়ে উড়বো বলে।
আমি জাহাজ হতে চাই
তোমার সাগরে ভাসবো বলে।
আমি বস্ত্র হতে চাই
তোমার শরীরে মিশবো বলে।

আমি পুষ্প হতে চাই
তুমি পুষ্পসুবাস নিবে বলে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

জেআইসিত্রস বলেছেন: অনাবিল শুভ কামনা।

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২

এন এম মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ জাহিদ ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.