নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য ও ন্যায়ের কথা সহজ করে বলি

সরল কথা

সহজ করে বলি

সরল কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধান বিচারপতি আপনি সত্য বলে বড় ভুল করেছেন। এবার ঠেলা সামলান...................

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

ছোটবেলায় আমরা যখন দু’ভাগে ভাগ হয়ে ক্রিকেট খেলতাম তখন ব্যাটিং দলের দু’জনকে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করতে হতো। ছোটবেলায় আবেগটা একটু বেশিই থাকে। আমিও অনেকবার সেই আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছি। আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করার সময় নিজ দলের প্রতি টানটা সুস্পষ্ট রূপে ফুটে উঠত! যেমন,ব্যাটসম্যান চার কিংবা ছক্কা মারলেই হাতে তালি দিতাম। কিংবা ব্যাটসম্যান রান করতে না পারলে আম্পিয়ারের জায়গা থেকেই বলতাম, আগে বলটা দেখ তারপর ব্যাট চালা! এরকম আরও কত কি(!) ব্যাটিং দলের আম্পিয়াররা স্বাভাবিক কারণেই নিজের দলের দিকে বেশি টানে। যেমন বল একটু বাহির দিয়ে গেলেই নিজের দু’হাত প্রসারিত করে বলে ওয়াইট বল(!) বলার আর কিপার যতোই বলুক এটা ওয়াইট হয়নি,কিন্তু কোন কাজে আসে না। আম্পিয়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কখনও ব্যাটের কোনায় লেগে কিপারের হাতে ক্যাচ গেলেও আম্পিয়ার চেষ্ঠা করত আউট না দেবার জন্য। আর যদি কখনও এলবিডব্লিউ এর আবেদন করা হয় তাহলে তো আম্পিয়ার চোখ বন্ধ করে জানিয়ে দেয়, নট আউট।

এটাতো ছোট বেলার কথা বললাম। জানি এই দৃশ্যটা অধিকাংশ মানুষেরই পরিচিত। যারা ক্রিকেট খেলেছেন তাদের কে এমন দৃশ্য হর হামেশাই দেখতে হতো! কিছুটা বড় হবার পর এসব ছেলে মানুষি অন্ত্যত আমার কাছে ভালো লাগত না। দেড় বছর আগে আমরা বন্ধুরা একত্রিত হয়ে,আমাদের জুনিয়র ব্যাচের সঙে ক্রিকেট ম্যাচ খেলি। ৪৭ রান করে আউট হবার পর বাহিরে এসে ছায়ায় বসে পড়লাম। আমার আউটের পর যে আম্পিয়ার ছিল সে পরবর্তি ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে নেমে পড়ল। আম্পিয়ারের জায়গাটা ফাঁকা। এই কাঠ ফাটা রোদে কেউ আর আম্পিয়ার যেতে চায় না। সবাই ঘুরে তাকালো আমার দিকে! ৩ রান করে ফিফটি করে আউট হইতি কেউ তোরে কিচ্ছু বলতাম না! কিন্তু তুই তো পারিস নাই। এখন শাস্তি স্বরূপ তোরে আম্পিয়ার যাইতে হবে! কি আর করা সে পর্যন্ত আমাকেই উটতে হলো!

দেখতে দেখতে খেলা শেষ অভারে পৌছে গেছে! এক ওভারে ১২ রান লাগবে। ওভারের ১ম বল ফুলটাস ধরনের বল ছিল! ব্যাটসম্যান শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে ব্যাট চালাল কিন্তু বল সোজা উপরে উঠে গেল! কিপার দৌড়ে গিয়ে ক্যাচটা লুফে নিল। বাহির থেকে আমার বন্ধুরা চেঁচিয়ে বলতেছিল, ঐ নো বল দে,নো বল দে! কিন্তু বলটা মোটেও নো বল হয় না। কি করব তাই ভাবতেছি! একদিকে বন্ধুরা অন্যদিকে বিবেকের কাছে প্রশ্ন! ভাবলাম যা হবার হবে,সত্যকে সত্য বলতে হবে। আউট দিয়ে দিলাম। তারপর বন্ধুরা বাহির থেকে বলল,তোর আম্পিয়ার থাকা লাগব না। তুই চইলা আয়!

এবার ছোটবেলা থেকে বাস্তবতায় আসা যাক। আমাদের প্রধান বিচারপতি যখন নির্দিধায় আন্তজার্তিক আদালতের বিচার কার্য সম্পাদন করলেন তখন কামরুল হাসানরা দূর থেকে পিঠ চাপড়িয়ে গেলেন। কিন্ত যখনই প্রধান বিচারপতির মুক ফসকে সত্য কথা গুলো বেরিয়ে এলো ঠিক তখনই কামরুলরা বলল,তার পদত্যাগ করা উচিত। ঠিক যেমন করে আম্পিয়ার কে সরিয়ে দেয়া হল ঠিক তেমনি করে আমাদের কামরুলরা প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দিতে চাইছেন।

এদিকে গমরুলদের ব্ক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে নিয়ে দুই মন্ত্রীর বক্তব্য সরকারের নয় বলে মন্ত্রিসভার বৈঠকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তাদের নাম উল্লেখ করেননি প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে মন্তব্য করা সেই দুই মন্ত্রী এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটি সংগঠনের অনুষ্ঠানে গিয়ে দুজন মন্ত্রী যে ধরণের বক্তব্য দিয়েছেন, এতে মনে হয় যেন ওই সংগঠনটি সরকারের কোনো সংগঠন এবং এই বক্তব্য যেন সরকারের বক্তব্য। তিনি বৈঠকে স্পষ্ট করেন, মন্ত্রীদের এ ধরণের বক্তব্যে তিনি বিব্রত হয়েছেন, তাঁর সরকারও বিব্রত।

প্রধান বিচারপতি সরকারি কৌঁসুলিদের সমালোচনা করে বলেন, তাঁরা ঠিক মতো কাজ করছেন না। প্রসিকিউটররা রাজনীতিকদের মতো আচরণ করছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। কথাগুলো তো মিথ্যা নয়। তার প্রমাণ ডয়েচ ভেলেকে দেয়া সরকারী প্রসিকিউটর ‍তুরিন আফরোজের সাক্ষাৎকার তার প্রমাণ। তুরিন আফরোজের বক্তব্য শুনুন

টকশো গুলোতে তুরিন আফরোজের ভূমিকা দেখে তেমনি রাজনৈতিকই মনে হয়েছিল সরকারী প্রসিকিউটর নয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:




আইন ও বিচার নিয়ে লিখার মতো এনালাইসিস ক্ষমতা আপনার নেই।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

বিজন রয় বলেছেন: সামলান ঠেলা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.