নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে হামলা চালায় , এর আগে আফগানিস্থানে হামলা করে। এই দুটি স্থানে যুদ্ধরত মার্কিন সৈন্যদের মধ্যে ১১%ই নারী যোদ্ধা। নারী সৈনিকরা বলেছে-
গেরিলাদের চাইতে বড় শত্র“ হল তাদের নিজেদের সৈন্যরা।
ছুটিতে দেশে ফেরা এসকল নারীদের ৯০% ‘পেন্টাগন’কে অভিযোগ জানিয়েছে যে, তারা তাদের সহযোদ্ধা কর্তৃক যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে এবং ৩৩% নারী যোদ্ধা বলেছে তারা সহযোদ্ধা কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছে। বেশীরভাগ নারীই ভয়াবহ মানসিক সমস্যায় জর্জরিত। ধর্ষিতা সৈন্যদের অনেকেই
ডায়াবেটিস,এ্যাজমা,দীর্ঘকালিন পেটব্যাথা,অরুচী ও বিভিন্ন রোগ ব্যাধীতে আক্রান্ত এবং প্রচুর গর্ভপাতের ঘটনা ঘটছে,অনেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে। তারা ছুটি কাটিয়ে যখন আবার কাজে ফিরে আসে তখন আবার পূর্বে ইউনিটে নিয়োগ দেওয়া হয় ফলে তারা দু-দিকে যুদ্ধ করছে।
তাদেরকে সম্মুখ যুদ্ধে বাধ্য করা হয়। ‘র্যাড কর্পোরেশন’ নামক একটি
কোম্পানী ১৯৯১সাল থেকে সৈন্যদের উপর জরিপ চালিয়ে থাকে। কিন্তু তারা যুদ্ধ ক্ষেত্রে নারী সৈন্যদের মানসিক চাপের ব্যাপারটিকে মোটেও আমলে আনেনি। ২০০১ সাল থেকে ইরাক ও আফগানিস্থান থেকে ১লাখ ৯১ হাজার নারী সৈন্য দেশে ফিরেছে,এদের একটা বড় অংশ “যুদ্ধ ফেরৎ সৈনিক বিষয়ক অধিদপ্তর”এর কাছে তাদের শারিরীক-মানুষিক বিপর্যয়ের কথা জানিয়ে সাহায্য চেয়েছে। ১৯৫০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যুদ্ধ ফেরৎ পুরুষ সৈন্যদের জন্য একটি হাসপাতাল আছে কিন্তু নারী সৈন্যদের জন্য নেই।’ (সূত্রঃ ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউন)
একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে, লন্ডনের প্রায় অর্ধেক তরুণী জনসমক্ষে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। অনেককে এমনকি বাসে এবং ট্রেনেও নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। End Violence Against Women (EVAW) নামে একটি সংস্থার একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ৩৪ বছরের নিচে ৪১ শতাংশ মহিলাকেই রাস্তায় যৌন হয়রানির শিকার হয়ে হয়েছে। এর মধ্যে ২১ শতাংশ বলেছেন যে, তাদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল মন্তব্য ও অংগভংগি করা হয়েছে এবং ৪ শতাংশ বলেছেন তাদের শরীরে হাত দেওয়া হয়েছে। যারা গণপরিবহনে যাতায়াত করেন তাদের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা আরো ভয়াবহ। ১০৪৭ জনের মধ্যে চালানো একটি জরিপের মধ্যে এক তৃতীয়াংশই বলেছে যে তাদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল মন্তব্য করা হয়েছে। ৫ শতাংশ বলেছেন বাসে এবং ট্রেনে তাদের শরীরে হাত দেওয়া হয়েছে।
উত্যক্তকারীরা আক্রমন করলে আপনি যদি তাদেরকে থামতে বলেন তো পরিস্থিতি খুব শীঘ্রই উত্তপ্ত হয়ে উঠে-এক ভুক্তভোগীর মন্তব্য ছিল এমন। “আমরা রাস্তার মুল সড়কে ছিলাম। আমি যখন ছোট একটা রাস্তায় উঠলাম তারা আমাকে তিনটা রাস্তা পর্যন্ত অনুসরণ করতে থাকে। আমি তাদের পিছে ফেলার জন্য দৌড়াতে থাকি। তারা চিৎকার করে নানারকম অশ্লীল কথা বলতে থাকে আমাকে লক্ষ্য করে। আমি খুবই আতংকে ছিলাম।”
‘সাউথ লন্ডন রেপ ক্রাইসিস’ থেকে ফিওনা এলভিনস জানান, রাস্তায় কোনপ্রকার যৌন হয়রানির শিকার হননি এমন মহিলার সাক্ষাত পাওয়া এখন রীতিমত সৌভাগ্যের ব্যাপার। মহিলারা প্রত্যেকদিনই তাদের নিজের রুটিন, সিদ্ধান্ত ইত্যাদি পরিবর্তন করেন এর জন্য। কিন্তু এটা তাদের আত্মবিশ্বাসে অনেক বড় প্রভাব ফেলেই চলেছে। জানা যায় শুধুমাত্র গত বছরেই লন্ডন পুলিশের কাছে ৪৫০০০টি ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স আর ৩০০০ টি ধর্ষনের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে!
আমেরিকা, ইউরোপের মিডিয়া নিজেদের দেশের নারীদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার এই রূপ কখনো উল্লেখ করে না, বরঞ্চ নারী স্বাধীনতার মডেল হিসেবে নিজেদের তুলে ধরে। নিজেদের দেশের নারীদের নিরাপত্তার এমন দশা অথচ অন্য দেশের নারীদের স্বাধীনতার জন্য তাদের হইচইয়ের শেষ নেই।
ডাবলস্ট্যান্ডার্ড
রেফারেন্স-
1) Click This Link
2) Click This Link
3) Click This Link
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হিপোক্রেসি!
আর লেজকাটা শৈয়ালের চেতনা!
তারা আধুনিকতার নামে যে বিষ সইছে- বিশ্বাসীদের মধ্যে সে জ্বালা নেই দেখে তা ছড়িয়ে দিতেই বিভীন্ন অধিকার আর বেপর্দা করার যত আয়োজনে তাদের বিনিয়োগ! অনেকটা আমার লেজ কাটা- তোমাদেরটা থাকবে না টাইপ! নয় কি!
আর মুসলিম দেশগুলোর কুলাঙ্গার মিরজাফর টাইপ নেতৃত্বেসঅনদের হাত ধরেই তারা প্রবেশ করছে নীতি নির্ধারনী অন্দর মহলে!
সচেতন হতেই হবে। নইলে তারা তাদের মতো না করা পর্যন্ত থামবে না।
৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯
বাউন্টি হান্টার বলেছেন: নারী সৈনিকরা বলেছে-
গেরিলাদের চাইতে বড় শত্র“ হল তাদের নিজেদের সৈন্যরা।
এই কথাটা কোথায় পাইছেন তার লিংক দেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪
নাবিক সিনবাদ বলেছেন: হুম ডাবলস্ট্যান্ডার্ড