নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলার মত তেমন কোনো গুন নেই এমনকি কোনো কিছুতেই সেরা নই কিন্তু সব সময় সেরাদের আশে পাশে থেকে সব সময় শিখতে চাই...\n

মাহদি (এক জন মেরুদণ্ডী প্রাণী)

মাহদি (এক জন মেরুদণ্ডী প্রাণী) › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাদ্য অপচয়রোধে সুস্পষ্ট বিধিমালা প্রয়োজন

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

লেখার শুরুতেই একটা চমক লাগানো ইনফরমেশন দিয়ে নেই,
FAO এর সমীক্ষা মতে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশের অপচয় ৩১ হাজার কোটি ডলার
যুগান্তর ডেস্ক ০৬ জানুয়ারি ২০১৮,
যেখানে আমাদের মেগা প্রজেক্ট পদ্মা সেতুর বাজেট মাত্র ৩০ হাজার কোটি টাকা..

আরেকটু স্পেসিফিক ভাবে যদি বলি,দেশে উৎপাদিত গমের ১৮ দশমিক ২ শতাংশ,
মাছের ১২ দশমিক ৪ শতাংশ, ধানের ১২ শতাংশ আর ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত সবজি ও ফল নষ্ট হয়।
অপচয় না হলে এই খাদ্য দিয়ে দেশের বাড়তি ১ কোটিরও বেশি মানুষকে খাওয়ানো সম্ভব.
শুধু ধানের যে অপচয় হয় তা দিয়ে ৭০ লাখ লোককে খাওয়ানো সম্ভব।
( সূত্র : বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট)


বাংলাদেশের অতি দারিদ্র্যের হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ২ কোটি মানুষ ।
(সূত্র : বাংলাদেশ বুরো অফ স্টাটিক্স)
আরেকটু ভাল ভাবে বললে, আমাদের প্রতি ৮ জনে ১ জন 'অতি দরিদ্র '
এমন পরিস্থিতিতে বিয়ে বাড়ি, ফুড কোর্ট, শপিংমল বা ট্রান্সপোর্টেশনে কারো অবহেলায় খাদ্যের এমন অপচয় জনগনের মৌলিক খাদ্য অধিকারকে অপহরণ করার সামিল।

আমাদের দেশে যদি ধূমপানের জন্য আইন থাকে, হেলমেট কিংবা সিটবেল্টের জন্য জেল জরিমানা হয় তবে খাদ্য অপচয়ের জন্য নয় কেন?

আইন কি নেই? আইন আছে কিন্তু তা সুস্পষ্ট নয়..

ধারা ৪৩৫। কোন ব্যক্তি যদি একশত টাকা বা তদূৰ্ব্ব মূল্যের অথবা যেক্ষেত্রে সম্পত্তিটি হচ্ছে কৃষিজ পণ্য সেক্ষেত্রে দশ টাকা বা তদূৰ্ব্ব মূল্যের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে বা তদ্বারা সে সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করতে পারে জানা সত্ত্বেও #অগ্নি বা #বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করে অনিষ্ট সাধন করে, তবে উক্ত ব্যক্তি সাত বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত হবে।

অর্থাৎ আগুন' বা বিস্ফোরক দিয়েই নষ্ট হতে হবে!!

৪২৮। দশ টাকা মূল্যের প্রাণীকে হত্যা কিংবা বিকলাঙ্গ করে ক্ষতি সাধন (Mischief by killing or maming animal of the value of ten Taka) কোন ব্যক্তি যদি দশ টাকা বা তদূৰ্ব্ব মূল্যের কোন একটি বা একাধিক প্রাণী হত্যা করে, বিষ প্রয়োগ করে, বিকলাঙ্গ করে বা অকেজো করে ক্ষতি সাধন করে, তবে উক্ত ব্যক্তি দুই বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে, অথবা অর্থ দণ্ডে, অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।

মানে, আপনি যদি পাইকারী/খুচরা ব্যাবসায়ী/ সুপারশপের ম্যানেজার হন,
ইচ্ছামত মাছ,মাংসের চড়া দাম রেখে মনুফা লাভ করবেন,, খাবার নষ্ট করবেন তবু মানুষকে সঠিক দামে বিক্রি করবেন না, আপনাকে কেউ কিছুই বলবেনা!!
আপনি যে বিষ প্রয়োগ করেন নি।


আমাদের সবাইকে বুঝতে হবে, বাংলাদেশের মত ছোট ভৌগলিক অবস্থানে আমরা জতই GMO, nano technology, কৃষকের ঋন প্রদান,দুর্যোগ মোকাবিলা কিংবা স্কুল গুলোয় মিড ডে মিলের ব্যাবস্থা করি না কেন.. এ দেশে ক্ষুধা মুক্তি কখনোই সম্ভব না, যদি না আমরা আমাদের খাদ্য নষ্ট হওয়ার / বা অবহেলার /খাদ্য নিয়ে দুর্নীতির এ সংস্কৃতি না বদলাই।

তাই জনগনের খাদ্য অধিকার আদায়ের জন্য আমাদের অবশ্যই খাদ্য অপচয়রোধে সুস্পষ্ট বিধিমালা 'খাদ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩

হাবিব বলেছেন: সুন্দর বিষয় নিয়ে লিখেছেন। ভালো লাগলো। আশা করি সবাই সচেতন হবেন।

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আইন কেবল পাশই হচ্ছে কিন্তু প্রয়োগ হচ্ছে না।কারনটা কি?

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: ফলাফল শূন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.