নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলার মত তেমন কোনো গুন নেই এমনকি কোনো কিছুতেই সেরা নই কিন্তু সব সময় সেরাদের আশে পাশে থেকে সব সময় শিখতে চাই...\n

মাহদি (এক জন মেরুদণ্ডী প্রাণী)

মাহদি (এক জন মেরুদণ্ডী প্রাণী) › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুজগসন্ধানী জিয়া , বাকশাল আর বোকা আওয়ামিলীগের শাসনামল

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০২

সাল ১৯৭৫।

বাকশাল গঠন হচ্ছে। কে. এম. শফিউল্লাহ, খালেদ মোশারফ প্রমুখ বাকশালের সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন কিন্তু জিয়াউর রহমান তখন উপসেনাপ্রধান। নিয়মানুযায়ী তাই তিনি বাকশালের সদস্য হতে পারছেন না।
কিন্তু সুযোগ সন্ধানী জিয়াও মরিয়া।
তার জীবনের মূলনীতি যে''যেখানে দেখিবে ছাই, উড়ায় দেখো তাই ''

বাকশালে যোগ দেওয়ার জন্য জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করেন। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করেও তিনি বাকশালের সদস্য হওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেন।

শুধু তাই নয়, আজকে আশেপাশে জিয়ার সৈনিক যারা বাকশালের কথা বলে টেবিল চাপড়ে বিষাদগার করেন,
চাটুকার জিয়া যে বাকশাল সরকারের দেশের প্রত্যেক জেলা গভর্নরকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন - তা জানেন????
জানেন,, বাকশালের অনুষ্ঠানে পরিচিত মুখ ছিলেন জিয়া ও মেডাম জিয়া??

প্রমাণস্বরূপ আমরা এখানে ১৯ জুলাই, ১৯৭৫ সালে পাবনার সদ্য নিযুক্ত জেলা গভর্নর অধ্যাপক আবু সায়ীদকে লেখা জিয়ার একটি চিঠি উপস্থাপন করছি।

চিঠিতে লেখা ছিল-

"প্রিয় অধ্যাপক সায়ীদ,
পাবনা জেলার গভর্ণর নিযুক্ত হওয়ায় আমার আন্তরিক অভিনন্দন গ্রহণ করুন।

দোয়া করি যাতে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আপনার কর্মক্ষমতাকে উৎসর্গ করার জন্য আল্লাহ আপনাকে সাহস ও শক্তিদান করেন।

আন্তরিকতার সহিত

জিয়া"

এখানে দেশপ্রমিক মুশাতাক, জিয়া ও পরবর্তী ক্যান্টনমেন্ট থেকে আসা এরশাদের সুশাসনের!!! সাথে তথাকথিত স্বৈরাচার শেখ মুজিবের কিছু তুলনামূলক পরিসংখ্যান তুলে দিলাম......

১৯৭২-৭৫ বাংলাদেশ সরকারের পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে এ সময়ে আয় বৃদ্ধির বার্ষিক হার ছিল ৭ শতাংশ।
১৯৭৬-১৯৮০ সালে (মুশতাক-জিয়া আমল) জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়ায় ৪.৭ শতাংশ এবং
১৯৮০-৮১ হতে ১৯৮৫-৮৬ সালে (জিয়া-এরশাদ আমল) জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার আরও হ্রাস পেয়ে মাত্র ৩.৬ শতাংশে দাঁড়ায়

১৯৭২-৭৩ সাল হতে ১৯৭৫-৭৬ সাল পর্যন্ত খাদ্য উৎপাদন ৮.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায় আর
১৯৮০-৮১ সাল পর্যন্ত উৎপাদন ২.১ শতাংশ হারে নেমে যায়।



বঙ্গবন্ধুর আমলে যেখানে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৬ কোটি ডলার সেখানে জেনারেল জিয়া ও এরশাদের আমলে তার পরিমাণ বেড়ে যথাক্রমে ৩৮০ কোটি ডলার ও ১০৩৫ কোটি ডলারে দাঁড়ালেও দুর্নীতি-অনিয়ম ও অপচয়ের কারণে প্রবৃদ্ধির হার কমে যায়, দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি পায় এবং অর্থনীতি প্রায় ভেঙে পড়ে।
আওয়ামী লীগের সময় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশেও দারিদ্র্যের হার ছিল ৫০ শতাংশ সেখানে জিয়া ও এরশাদের আমলে দারিদ্র্যের হার যথাক্রমে ৬৫ এবং ৮৬ জনে দাঁড়ায়।

বঙ্গবন্ধুর আমলে ভূমিহীনের সংখ্যা ছিল ৩৫ শতাংশ, জেনারেল জিয়ার আমলে ভূমিহীনের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৫৫ শতাংশ।

আওয়ামী লীগের আমলে যেখানে বেকার সংখ্যা ছিল শতকরা ১৫ জন, সেখানে জিয়ার বিএনপি আমলে তা দ্বিগুণ হয়ে ৩০ জনে দাঁড়ায়।

শেষে একটা কথাই বলব, সামরিক সৈরাশষনের বেড়াজাল থেকে বাকশাল বা আওয়ামীলীগই কি ভালো ছিলো না ????
অন্তত দালাল আইনের ১১ হাজার সাজাপ্রাপ্ত রাজাকার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে আজ আমাদের ঘাড়ের উপর বিষ নিঃশ্বাস ফেলতো না.।
আমাদের ১ হাজার ৪০০্+ সৈনিক ও অফিসার কেও ফাঁসিতে ঝুলে কিংবা ফায়ারিং স্কোয়াডে মরতে হত না
বা শাহ আজিজের মত বেইমানকেও প্রধানমন্ত্রী দেখতে হত না ।
যে শাহ আজিজুর রহমান ’৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জাতিসংঘে গিয়ে বলেছিল, ‘পাকিস্তানি সৈন্যরা পূর্ব পাকিস্তানে হামলা চালিয়ে অন্যায় কিছু করেনি। স্বাধীনতা নামে সেখানে যা চলছে, তা হলো ভারতের মদদপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন। বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের উচিত সেটাকে পাকিস্তানের ঘরোয়া ব্যাপার হিসেবে গ্রহণ করা।’

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


সেনাপ্রধান ও কয়েকজন জেনারেল বাকশালে যেতে পারলে, জেনারেল জিয়া কেন বাকশালে যেতে পারেনি?

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনি যদি কথা বলতে না পারেন, ঘুমাতে না পারেন এমনি খেতেও না পারেন তখন প্রবৃদ্ধি দিয়ে কি করবেন? মানুষ আগে চাই শান্তি।

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

খাঁজা বাবা বলেছেন: এই তথ্য নতুন।
বংগ বন্ধু যখন জীবিত ছিলেন, জিয়া তখন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল।
চিঠির প্যাডে লেখা মেজর জেনারেল।
এটা কিভাবে ব্যখ্যা করবেন?

আপনি আয় বৃদ্ধির একটা পরিসংখ্যান দিলেন। সেটা ৬৫-৭০ এর সাথে কম্পেয়ার করে দেখালে ভাল করতেন। কারন ৭১ এ সব উলটো দিকে চলা শুরু করেছিল।

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত একটাই দুর্ভিক্ষ হয়েছে। সেটা কত সালে জানেন কি?

সামরিক শাসন কখনোই উদাহরন হতে পারে না, তেমনি বাকসাল ও।

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম কিন্তু মন্তব্য থেকে নিজেকে বিরত থাকলাম।

৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.