নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন রণবীর

মামুন রণবীর

আমি খুব সাদাসিধে মানুষ ।কবিতা,গল্প,লিরিক লিখার চেষ্টা করি মাত্র ।মাঝে মাঝে জীবনকে রহস্যেঘেরা বৃত্ত মনে হয় । যে বৃত্তে আমরা একদিক থেকে অন্যদিকে পরিভ্রমন করি ।কখনো কখনো জীবনের কথাগুলো অলীক ভাবনাদের স্পর্শ করতে ব্যাকুল হয় ।কিন্তু ভাবনাগুলো কখনোই স্পর্শ করা হয়না ।হয়তো কিছু কথা রাখতে গিয়েও রাখা হয়না ব্যাপারটির সাথে একমত পোষণ করে ।রাখা না রাখার ক্যানভাসে জীবন নি:শেষের পথে হাঁটে ।একসময় সেটাও ফুরোয় ।এরমাঝে অনেক কথার মিছিলে একটি প্রশ্ন মনে বারবার আঁচর কাটে...........আমরা কি কখনো পরিপূর্ণ হতে পারি.................আমরা মুগ্ধ হই...........কিন্তু মুগ্ধতাকে ছুঁতে পারিনা,খুব কাছ থেকে............

মামুন রণবীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কতটুকু অশ্রু গড়ালে হৃদয় জলে সিক্ত

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:২২

মামুন রণবীর : কতটুকু অশ্রু গড়ালে হৃদয় জলে সিক্ত,কত প্রদীপ শিখা জ্বালালে জীবন আলোয় উদ্দীপ্ত?কন্ঠশিল্পী হায়দার হোসেনের এই গান বেশ পুরনো হয়ে গিয়েছে ।পুরনো হয়ে গিয়েছে গানের সাথে জড়িয়ে থাকা দিনগুলো ।কিন্তু পুরনো হয়ে যায়নি স্মৃতি ।তাইতো ২৫ ফেব্রুয়ারী এলেই হৃদয়ের মানসপটে ভেসে ওঠে বিডিআর বিদ্রোহের দিনলিপি ।

আজ বিডিয়ার বিদ্রোহের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি ।২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারীর এই দিনেই ঘটে ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকান্ড ।নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে ।সেদিন পিলখানা ও তার আশপাশের এলাকার অনেকের সকাল শুরু হয়েছিলো গুলির শব্দে ।ঘড়িতে তখন সকাল ৯ টা ২৭ মিনিট।মুহুর্মুহ গুলির শব্দে কেউ বুঝে উঠতে পারছিলেননা ভেতরে কি হচ্ছে ।কেউ ভেবেছিলেন নিয়মিত মহড়া ।কিন্তু ভেতরে যে হত্যাকান্ডের চিত্রনাট্য রচিত হচ্ছে তা কল্পনাতেও কেউ ভাবেননি ।ভাবেননি জেনারেল শাকিলও ।

ঘটনাচক্রে সেদিন বিডিআর সদর দফতরে ছিল বার্ষিক দরবার। বৈঠক শুরু হবার কিছুক্ষণ পরই অস্ত্র হাতে বিদ্রোহের সূচনা করে এক জওয়ান ।তাকে অনুসরণ করে আরেকজন ।অস্ত্র তাক করে বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের দিকে ।বৃথা যায় তাকে থামানোর চেষ্টা ।এরপর ক্রমশই বড় হতে থাকে ঘটনার আকার ।মুখে লাল কাপড় বেঁধে, বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে বিডিআর জওয়ানরা ছড়িয়ে পড়ে গোটা পিলখানায়। তারা জানায়, তাদের ক্ষোভের কথা।সকাল পৌনে ১১টার দিকে সেনাবাহিনীর প্রথম আর্মড পার্সোনাল ক্যারিয়ার পৌঁছায় ধানমন্ডিতে। বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন , স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ দুইজন সংসদ সদস্য শান্তি পতাকা নিয়ে পিলখানায় যান । বিদ্রোহী সদস্যরা তাদের দাবির কথা জানাতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আসে। চলে বৈঠক।রাতে কতিপয় বিডিআর সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র সমর্পন করে ।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিম্মি দশা থেকে মুক্ত করে আনেন সেনা কর্মকর্তা ও তাদের স্বজনদের ।পরদিন বিদ্রোহের পথ থেকে সরে আসার জন্য রেডিও-টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে বিডিআর সদস্যদের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।নানা নাটকীয়তার পর জওয়ানরা অস্ত্র সমর্পণে সাড়া দেয় ।২৭শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পিলখানার মূল ফটক মাড়িয়ে ভেতরে ঢুকে পুলিশ। উদ্ধার করে সেনা কর্মকর্তাদের মৃতদেহ। মাটি খুঁড়ে পাওয়া যায় গণকবর। বিদ্রোহীদের হাত থেকে রেহাই পাননি বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ,তার স্ত্রী এবং তার বাসায় বেড়াতে আসা লোকজনও ।

এ ঘটনার ছয় বছরেও শেষ হয়নি এ মামলার বিচার। বিশেষ বেসামরিক আদালতে চলমান এ মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৮৩৪ জন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ হাজার সদস্যকে সাজাসহ চাকরিচ্যুত করা হয়।তবে লঘুদণ্ড পাওয়া ৮ হাজার সদস্য চাকরিতে বহাল আছেন। এ হত্যা মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন ও ২৬২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে ।ঘটনার পর বিডিআরের নাম পরিবর্তন করে বিজিবি রাখা হয় ।

বিজিবি মহাপরিচালক আজিজ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, "এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ইতিমধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্সে শুনানি চলছে। এই বিদ্রোহে যারা জড়িত ছিল তাদের সাজা হয়েছে। বিজিবি পুনর্গঠনের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিজিবি’র গোয়েন্দা শাখার দুর্বলতার দিকগুলোকে গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।পুনর্গঠন করা হয়েছে এ শাখার ।এছাড়া বিজিবির সদস্যদের জন্য বাড়ানো হয়েছে বিভিন্ন সুবিধাদি" ।

পুরনো ঘা মুছে বর্তমান বিজিবি যেন নতুন রূপে সজ্জিত । নতুন রূপে সজ্জিত পিলখানা চত্বর । দিনশেষে এখানটাতেও নেমে আসে নীরবতা ।যে নীরবতায় লিখা থাকে মজলুমের আর্তনাদ ।

প্রকাশ : Newstimes-24.com

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.