নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন রণবীর

মামুন রণবীর

আমি খুব সাদাসিধে মানুষ ।কবিতা,গল্প,লিরিক লিখার চেষ্টা করি মাত্র ।মাঝে মাঝে জীবনকে রহস্যেঘেরা বৃত্ত মনে হয় । যে বৃত্তে আমরা একদিক থেকে অন্যদিকে পরিভ্রমন করি ।কখনো কখনো জীবনের কথাগুলো অলীক ভাবনাদের স্পর্শ করতে ব্যাকুল হয় ।কিন্তু ভাবনাগুলো কখনোই স্পর্শ করা হয়না ।হয়তো কিছু কথা রাখতে গিয়েও রাখা হয়না ব্যাপারটির সাথে একমত পোষণ করে ।রাখা না রাখার ক্যানভাসে জীবন নি:শেষের পথে হাঁটে ।একসময় সেটাও ফুরোয় ।এরমাঝে অনেক কথার মিছিলে একটি প্রশ্ন মনে বারবার আঁচর কাটে...........আমরা কি কখনো পরিপূর্ণ হতে পারি.................আমরা মুগ্ধ হই...........কিন্তু মুগ্ধতাকে ছুঁতে পারিনা,খুব কাছ থেকে............

মামুন রণবীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্যাটেলাইট চ্যানেল হাঁটছে সামনে আর বিটিভি পেছনে

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩

মানহীন অনুষ্ঠান সম্প্রচার,সংবাদে নিরপেক্ষতার অভাব এবং গতানুগতিক ধারা চলার ফলে প্রতিনিয়তই কমছে বিটিভির দর্শক।
দেশের স্যাটেলাইট চ্যানেলসমূহ যখন প্রতিমুহূর্তের আপডেট প্রচার করতে ব্যস্ত বিটিভি সেখানে পুরোনো শিরোনামেই আবদ্ধ।তাই দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন এই সরকারী চ্যানেল থেকে।এছাড়া টিআরপিতে ক্রমশই পিছিয়ে পড়ার কারণে এর বিজ্ঞাপনও কমে যাচ্ছে।তাই লোকশানের মুখে পড়ছে চ্যানেলটি।২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে লোকসানের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০১ কোটি টাকা।যা অতীতের সব রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে।
এই লোকসানকে সঙ্গী করেই বিটিভি আরও পাঁচটি পুর্ণাঙ্গ চ্যানেল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।যেগুলো হবে রাজশাহী,রংপুর,সিলেট,খুলনা এবং বরিশালে।এতো লোকসানের মধ্যেও কেন এই সিদ্ধান্ত?
তথ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায় সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরতেই এটি করে হচ্ছে।বিটিভি ছাড়াও বিটিভি ওয়ার্ল্ড এবং সংসদ টিভি নামে দুটো সরকারী চ্যানেল চালু আছে।যার কোনটিই লাভের মুখ দেখছেনা।নতুন চ্যানেল স্থাপন প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী সম্প্রতি সাংবাদিকদের জানান,সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের চিত্র অন্যান্য চ্যানেলগুলো ঠিকমতো তুলে ধরছেনা।তাই এর পাশাপাশি বৈচিত্রময় সংস্কৃতির চিত্র,গ্রামীণ অর্থনীতির বহুমুখীকরণ,নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডের ব্যাপারগুলো তুলে আনাই এর মূল লক্ষ্য।
তবে কতটা যৌক্তিক এই পদক্ষেপ এ ব্যাপারে প্রশ্ন রয়েছে মিডিয়া বিশ্লেষকদের মনে।তারা বলছেন বিটিভির দর্শক কমার ব্যাপারেও।কেন কমছে এই একই প্রশ্ন তাদের মনেও।উত্তর খুঁজলে দেখা যায় বিটিভির নিজস্ব প্রোডাকশনে নিম্নমানের অনুষ্ঠান নির্মাণ ও তা প্রচার,নান্দনিক গ্রাফিক্স এবং এনিমেশনের অভাব,সময়মতো সংবাদ আপডেট প্রচার করতে না পারা,পুরনো অনুষ্ঠান শৈলী,সংবাদের একমুখীতা,অতিমাত্রায় দলীয়করণ এসব কারণগুলোই চ্যানেলটিকে পিছিয়ে দিচ্ছে দিনকে দিন এবং দর্শক আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।
এই অচলাবস্থায় এসব উদ্ভট সিদ্ধান্ত কিছু লোকের পকেট ভরানোরই নামান্তর।নাকি নিয়মের ভেতর অনিয়মকে প্রশ্রয় দেবার জন্য এসব কার্য?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

ফ্রিটক বলেছেন: বিটিভির দর্শক থাকলে তো কমবে। যারা সকাল থেকে রাত অবধি সরকারের চামচামি( প্রশংসা) করে,তারা সুধু বাংলাদেশ কে আমেরিকা বলে চালাতে বাকি রেখেছে। এদের কি কোন লজ্জা আছে,?

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই অচলাবস্থায় এসব উদ্ভট সিদ্ধান্ত কিছু লোকের পকেট ভরানোরই নামান্তর।নাকি নিয়মের ভেতর অনিয়মকে প্রশ্রয় দেবার জন্য এসব কার্য?

নয়তো আর কি?????

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হায় বিটিভি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.