নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন রণবীর

মামুন রণবীর

আমি খুব সাদাসিধে মানুষ ।কবিতা,গল্প,লিরিক লিখার চেষ্টা করি মাত্র ।মাঝে মাঝে জীবনকে রহস্যেঘেরা বৃত্ত মনে হয় । যে বৃত্তে আমরা একদিক থেকে অন্যদিকে পরিভ্রমন করি ।কখনো কখনো জীবনের কথাগুলো অলীক ভাবনাদের স্পর্শ করতে ব্যাকুল হয় ।কিন্তু ভাবনাগুলো কখনোই স্পর্শ করা হয়না ।হয়তো কিছু কথা রাখতে গিয়েও রাখা হয়না ব্যাপারটির সাথে একমত পোষণ করে ।রাখা না রাখার ক্যানভাসে জীবন নি:শেষের পথে হাঁটে ।একসময় সেটাও ফুরোয় ।এরমাঝে অনেক কথার মিছিলে একটি প্রশ্ন মনে বারবার আঁচর কাটে...........আমরা কি কখনো পরিপূর্ণ হতে পারি.................আমরা মুগ্ধ হই...........কিন্তু মুগ্ধতাকে ছুঁতে পারিনা,খুব কাছ থেকে............

মামুন রণবীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই সময়ে সেই সব ভাবনারা

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

সেই সময়ে অতোশতো বুঝতাম না শুধু ছুটতাম,এই সময়ে কিছুটা হলেও বুঝি কিন্তু ছুটি না ।সেই সময়ে আবেগ ছিলো পাহাড়সম তাই অনেক কষ্টের কাজ করতে গিয়েও একদমই কষ্ট মনে হয়নি ।এই সময়ে অনেক সহজকাজেও মন বসেনা ।

সেই সময়ে একটা স্টোরি করলে খুশির অন্ত ছিলোনা ।এই সময়ে খুব ভালো কিছু করলেও মন ভেজেনা ।সেই সময়ে কোন ক্লান্তি ছুঁতে পারতোনা ।এই সময়ে মনের অবচেতনেই খানিকটা ক্লান্তি এসে ভর করে ।সেই সময়ে অনেক কিছুকেই পাত্তা দিতাম। এই সময়ে সেটাকেই পাত্তা দেই যেটা পাত্তা দেওয়া উচিত ।সেই সময়ে আড্ডা হতো সময় না মেনে ।এখন আড্ডা হয় ঠিক সময় জেনে ।সেই সময়ে চা পানের বিরতির মাঝে তোমার কথা ভেবে ফেলতাম ।এই সময়ে অনেক অবসরেও ঠিক ভাবা হয়ে ওঠেনা ।

সেই সময়ে দুপুরে লাঞ্চ করেছি কিনা তা ভুলে গিয়ে নিউজরুমে ব্যস্ত থাকতাম।কবিতার আড্ডা হলেই ছুটে যেতাম।প্রিয় মানুষদের সান্নিধ্য পেতে জ্যাম ট্যামকে পাত্তা না দিয়ে পায়ে হেঁটেই উপস্থিত হতাম।এই সময়ে এক মিনিটের পথেও রিক্সা না হলে চলেই না । সেই সময়ে রাতের পর রাত জেগে প্রুফ রিড করতাম ।নিজ গর্জেই লেখা সংরহ করতাম সাহিত্য পত্রিকা বের করতে ।নিঃসঙ্কোচে মঞ্চে ওঠে নিজের কথাগুলো বলতাম । এখন আমি খুব হিসেবি ।যুক্তি ছাড়া চলতে চাইনা । উক্তিতে সীমাবদ্ধ থাকতে পারিনা ।সেই সময়ে নস্টালজিয়া কিছুটা স্পর্শ করতো ।এই সময়ে অবচেতনেই নস্টালজিক হয়ে যাই ।

সেই সময়ে শহর ছিলো খুব আপন । এই সময়ে শহর বড্ড আধুনিক ।আধুনিকতা আমার আর শহরের মধ্যে কিছুটা শূন্যতা তৈরী করেছে ।সেই সময়ে মানুষগুলো বড্ড আপন ছিলো ।এই সময়ে মানুষগুলো বড্ড যান্ত্রিক ।সেই সময়ে সেলফির ঝড়ে আমাদের গল্পগুলো হারিয়ে যেতোনা । এই সময়ে সেলফিই যেনো সব আনন্দ কেড়ে নিয়েছে ।আর সেলফোন আমাদের করেছে বৃত্তবন্দী ।সেই সময়ে সাইকেল চালিয়ে আনন্দনগরে ছুটতাম ।এই সময়ে বাইকের চাকা বিন্দুমাত্র সেই নগরকে স্পর্শ করতে পারেনা ।সেই সময়ের অনুভূতিগুলো সত্যিই অসাধারণ ছিলো ।আড্ডা শেষে আড্ডার গল্পই আমাদের আঙিনাকে মুখরিত রাখতো ।রাতজেগে রেডিও না শুনলে ধুমই হতোনা ।শুক্রবার বিকেলে বিটিভির সিনেমা না দেখলে আফসোস ভর করতো ।সিনেমার মধ্যবর্তী বিরতিতে কারেন্ট চলে গেলে বিরক্তিন অন্ত ছিলোনা । এই সময়ে হাতের কাছে শত শত সিনেমার সংগ্রহ থাকলেও দেখতে ইচ্ছে করেনা ।সেই সময়ে কলম দিয়ে পাতার পর পাতা লিখতাম ।এই সময়ে কীবোর্ড থাকলেও অনেক কম লিখা হয় ।সেই সময়ে একমুহূর্তের সিদ্ধান্তেই চলে যেতে পারতাম বহুদূরের পথে ।এই সময়ে অনেক প্ল্যান করেও যাওয়া হয়না ।সেই সময়ে প্রিয় লেখকের বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যেতাম।বই বুকে নিয়েই সকাল হতো ।এই সময়ে পিডিএফ অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে সেই সুখাবেশগুলোকে ।

সেই সময় আর এই সময়ের মধ্য বিস্তর ফারাক।আমরা নগরকেন্দ্রিক হচ্ছি কিন্তু ততোটা কাজ করছিনা যতোটা করা উচিত ।সেই সময়ে ফিরে যেতে চাইলেও অসম্ভব।তার চেয়ে বড় কথা এই সময়কে আমরা নিজেদের রঙে সাজাতে পারলে আমাদের পৃথিবীটা হবে সেই সময়ের চেয়েও রঙিন ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.