নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী দিবসে হিলারি ক্লিন্টন বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে কিছু বললেন।

১১ ই মার্চ, ২০২২ ভোর ৫:১০




অবশেষে হিলারি ক্লিনটন। বাংলাদেশের প্রসংসা করলেন।
মানে বাংলাদেশের রাজনিতি নিয়ে একটি ইতিবাচক মন্তব্য করলেন। ওনার বন্ধুরা বাংলাদেশকে নিয়ে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করলেও উনি এতদিনে বুঝে গেছেন। বাংলাদেশ ম্যাটার্স।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গতকাল (৮ মার্চ) ৩৭ টি দেশ থেকে আগত নারীদের নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে The Forbes 30/50 Summit বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস আয়োজিত প্রথম ৩০/৫০ শীর্ষ সম্মেলনে হিলারি ক্লিনটন নারীদের ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন দেশের নারী সংগঠন প্রতিনীধীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। অনুষ্ঠানে লিঙ্গ সমতার লড়াইয়ে হিলারির কৃতিত্বকে স্মরণ করার জন্য ফোর্বস তাকে 'ইন্টারন্যাশনাল উইমেনস ডে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড' প্রদান করে। এর একটি পর্বে হিলারি বাংলাদেশ নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়েও কিছু মন্তব্য করেছেন।

বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সব দেশেই রাজনীতির সর্বস্তরে নারীদের জন্য আরো সুযোগ থাকা উচিত বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ফার্স্ট লেডি এবং দেশটির অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন।

বাংলাদেশ থেকে সম্মেলনে অংশে নেওয়া ইউনুস-বিএনপি সমর্থক (সম্ভবত আগাখান বা মধ্যপ্রাচ্যের কোন ফান্ডেড) সামাজিক সংগঠন 'আমাল ফাউন্ডেশন' এর প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক ইশরাত করিম ইভ হিলারিকে প্রশ্ন করেন, "যে দেশে নারীদের রাজনীতিতে স্বাগত জানানো হয় না সে দেশে রাজনীতি করা নিয়ে আপনার পরামর্শ কী?"

এই প্রশ্নের উদ্যক্তারা খুব কৌশলেই সময় নিয়ে প্রশ্নটি তৈরি করেছিল। বাংলাদেশ বিরোধী বলে পরিচিত হিলারিকে প্রশ্নটা করা হয়েছিল। যাতে নাইটভোটের দেশের রাজনীতি নিয়ে একটা বাজে মন্তব্য করে। (ও বাংলাদেশ? ব্যার্থ নাইটভোটের দেশে আবার রাজনীতি আছে নাকি? তুমি বরং অন্য কোন দিকে চেষ্টা কর)
ইসরাত প্রশ্ন করলে
হিলারি জিজ্ঞেস করেন, তুমি কোন দেশ? জবাবে বাংলাদেশ বলা হল।
হিলারি বলেন "আমি জানি যে, বাংলাদেশের নারীদের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার একটা ইতিহাস রয়েছে। তোমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও একজন নারী। তবে, আমি মনে করি, রাজনীতির সর্বস্তরে মেয়েদের জন্য আরো সুযোগ থাকা উচিত। সেটা তোমাদের দেশেই বলো, আর অন্য যেকোন দেশের কথাই বলো, এটা অবশ্যই শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নয়।
তুমি যদি তোমার দেশের রাজনীতিতে আগ্রহী হও, আমি মনে করি এ সম্পর্কে নিজেকে রাজনৈতিক ভাবে শিক্ষিত করে তোলাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে আরও শিখতে এবং নিজে প্রার্থী হতে কী কী লাগে তার জন্য ইতিমধ্যেই তোমাদের দেশে যারা রাজনীতিতে আছেন তাদের অনুসরণ করতে পারো বা তাদের সাথে কাজ করতে পারো অথবা স্বেচ্ছাসেবকও হতে পারো। সরকারের সংগে থেকে কাজ করার সুযোগ থাকলে (রাজনীতির) নীতিগুলো সম্পর্কে আরও বেশি জানতে পারবে, যা তুমি সরকারে থেকে বা ভিন্ন রাজনীতিতে থেকেও প্রচার করতে পারবে। রাজনৈতিক ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে সেটা শেখা ভিন্ন অন্য কোন বাস্তব বিকল্প নেই। যারা প্রভাবশালী এবং ক্ষমতার অবস্থানে রয়েছেন তাদের ওই ব্যবস্থায় নিজের অংশগ্রহণের সুযোগ আছে কিনা সেটাও খুঁজে দেখতে পারো। আমি মনে করি যে, তোমাদের জন্য এখনো সুযোগ রয়েছে তবে তা যে সহজ নয় আমি সেটা ভালোমতোই জানি। তবে, আমি মনে করি, চেষ্টা করে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।"





হিলারিকে এমন প্রশ্ন করার কারণটা কী জানতে চাইলে আরব আমিরাত থেকে আমাল ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক ইশরাত করিম ইভ মানবজমিনকে বলেন, "এখানে অনেক দেশ থেকে অনেক মেয়েরা এসেছে। তাদের সাথে আমার রাজনীতি বিষয়ে, মেয়েদের সামাজিক অবস্থান, তাদের অধিকার ইত্যাদি নিয়ে অনেক কথা হয়। তখনই আমার মাথায় আসে যে, বিশ্বের অনেক দেশেই মেয়েদের রাজনীতিতে মেয়েদের আসাটাকে ভালো চোখে দেখা হয় না পরিবার বা সমাজ থেকে স্বাগত জানানো হয়। তারা কিছু করতে চাইলেও তাদের জন্য পথটা অতোটা কন্টক্মুক্ত সুগম না। যাদের কোন পারিবারিক রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড নেই তাদের জন্য এটা অনেক সময় খুব চ্যালেঞ্জিং হয়। শুধু বাংলাদেশে না, অনেক দেশেই। আমি তাই উনাকে এই প্রশ্নটা করেছিলাম যেনো সম্মেলনে আগত অন্য যাদের মনেও এমন প্রশ্ন রয়েছে তারা যেনো এই উত্তরটা উনার কাছ থেকে পান।"

তবে প্রশ্নটা হুট করে করা হয়নি।
ইশরাতের কথায় - পুরো সম্মেলনের মধ্যে বিভিন্ন দেশের সিলেক্টেড মাত্র ৫জন তরুণ প্রজন্মের নারীকে প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়া হয়েছিলো এবং তাদের মধ্যে আমিও একজন। আমাকে কয়েক মাস আগেই প্রশ্নটা করতে হয়েছিলো, তারপর বিভিন্ন পর্যায়ে ভেরিফিকেশনের ভেতর দিয়ে প্রশ্নটা নির্বাচিত হয়েছে। তাছাড়া হিলারির পারসোনাল চিফ অফ স্টাফ হুমা (হুমা আবেদিন) তার সাথে এই প্রশ্ন নিয়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে সেখানে দেশের রাজনীতি বিষয়ে, মেয়েদের ক্ষমতায়নের বিষয়েও ব্যাপক আলোচনা হয়েছে এর পর প্রশ্নটি ফাইনাল হয়েছে। হয়েছে।

তার অর্থ - হিলারি ৫ জনের প্রশ্ন সহ এই প্রশ্নের কি জবাব দিবে সেটা সময় নিয়ে স্টাডি করেছে, শুধু ইউনুসের উপর নির্ভর না করে তার নিজস্ব চ্যানেল দিয়ে বাংলাদেশের সরকার ও রাজনীতি অর্থনীতি নিয়ে ব্যাপক খোজখবর নিয়েছে। দেখেছে কার নেতৃত্বে একটি মুসলিম প্রধান দেশ হওয়া সত্তেও জঙ্গি উথ্যান হতে দেয় নি, এই রিজিয়নে অন্যান্ন দেশ যখন অর্থ সংকটে ধুকছে সেখানে এই দেশটি দারিদ্র কমিয়ে বিদেশী ঋন না নিয়েই তর তর করে উঠে যাচ্ছে, এখন আর বিদেশী সাহায্য লাগেনা উলটো অন্য দেশকে সাহায্য দেয়। কোন দৃশ্বমান বিরোধিতা ছাড়াই একটানা ৩ বার ক্ষমতায়। রক্তপাত না করে বন্দুক কামান ব্যাবহার না করেই। মিডিয়াও ওপেন ফ্রী লাইভ যা ইচ্ছে বলছে, লিখছে।
বিরোধীতা হয়েছে সেটা ইসলামিষ্টরা কতিপয় ব্লগারের বিরুদ্ধে বা প্রতিবেশী দেশের একজনের বিরুদ্ধে, স্কুল ছাত্ররা রাস্তার দুর্ঘটনা বন্ধ করতে বা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্ররা গুটিকয় সরকারি চাকুরির কোটা বাদ দিতে। এ সবের আন্দোলন কোনটিই সরকারের বিরুদ্ধে নয়।
ফোর্বস, ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স, ওয়ার্ল্ডব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ফোর্কাষ্ট নিশ্চিত করে আগামীতে বড় কোন দুর্ঘটনা না হলে আগামি বিশ বছর বাংলাদেশে উত্থান এই মাত্রায়ই অব্যাহত থাকার সমুহ সম্ভাবনা।
নো ডাউট। হিলারি নিশ্চিত। বর্তমানে বাংলাদেশ ম্যাটার্স, শেষ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাজনীতিও ম্যাটার্স।

সুত্র - বাংলাদেশে নারীদের প্রধানমন্ত্রী হওয়া

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০২২ ভোর ৬:১৬

সোনাগাজী বলেছেন:



হিলারী কি মার্কেল যে, উহা কিছু বললেই মেনে নিতে হবে? এত বুদ্ধিমতী হলে, নির্বাচিত হওয়ার ৭০% সম্ভাবনার পরেও হারলো কেন?

১১ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মেনে নেওয়া না নেওয়ার কিছু নেই।
হিলারির জানামতে বিশ্বে তাবৎ দেশের রাজনীতিতে নির্বাচন ভিন্ন অন্য কোন উপায়ে সরকার পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। পৃথিবীতে একমাত্র জিয়া পন্থী রাজনীতিকরা মনে করে আরেকটা ১৫ ই আগস্ট বা একুশে আগস্ট বাদে সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়।
হিলারি হেরে গেলে কি হবে উনিত দলে আছে ওনার দল তো জিতেছে।

২| ১১ ই মার্চ, ২০২২ ভোর ৬:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশে যেই ২ মহিলা আজীবন প্রাইম মিনিষ্টার হলো, ইহা স্বাভাবিক রাজনীতির ফলাফল, নাকি অস্বাভাবিক রাজনীতি ও হত্যাকান্ডের ফলাফল?

১১ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হাসিনার সঙ্গে অন্য কোন মহিলার তুলনা হয়না।
হাসিনা একটি রাজনৈতিক পরিবার থেকে এসেছেন, রাজনীতি বুঝেন, ছাত্র রাজনীতি করেরেছেন মাঠে-ঘাটে ঘুরেছেন ছাত্ররাজনীতির নেতা নেতা হয়েছেন। হিলারি পর্যন্ত বুঝে গেছেন, বাংলাদেশের কেউ রাজনীতি বুঝলে একমাত্র হাসিনাই বোঝেন। উনি মনে করেন হাসিনার সঠিক পথে আছেন।

৩| ১১ ই মার্চ, ২০২২ ভোর ৬:২০

সোনাগাজী বলেছেন:


নতুন নারীদের আসতে হলে, আরেকটি হত্যাকান্ডের দরকার হবে।

১১ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:২৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জ্বী জনাব। আপনারা ও জিয়া পন্থী রাজনীতিকদের সেটাই বদ্ধমূল ধারণা।

১১ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিএনপির রাজনৈতিক জন্মগ্রহণও ১৫ ই আগষ্ট ১৯৭৫,
সেই দিনটি ঘটা করে পালন করার জন্য প্রধান নেত্রীর জন্মতারিখও পরিবর্তন করে ১৫ ই আগষ্ট।

৪| ১১ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:১৭

সোবুজ বলেছেন: নারীর ক্ষমতায়নে পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে বাংলাদেশের অনেক এগিয়ে। এই সরকার আরো কয়েক বছর ক্ষমতায় থাকলে আরো অনেকটা পথ এগিয়ে যাবে নারীরা।

১১ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নারীর ক্ষমতায়নে মুসলিম প্রধান দেশসমুহ থেকে বাংলাদেশ অনেকটা অগ্রগামী থাকলেও এখনো একটি সন্তোষজনক পর্যায়ে আসতে অনেক দেরি।

৫| ১১ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:৩৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সোনাগাজী বলেছেন:হিলারি কি মার্কেল যে, উহা কিছু বললেই মেনে নিতে হবে? এত বুদ্ধিমতী হলে, নির্বাচিত হওয়ার ৭০% সম্ভাবনার পরেও হারলো কেন?
@সোনাগাজী আসলে হিলারি তো হারেননি, হেরেছে তো আমেরিকার জনগণ, এটা কি আপনি দেখতে পাননি?

১১ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকার জনগণের হারাজিতার কি আছে?
হিলারি সেবার জিতলে এমনকি হাতি ঘোড়া হয়ে যেত আমেরিকার? আর ৪ বছর পরই তো হিলারির দল জিতে ক্ষমতায় এসেছে।
হিলারির দল ক্ষমতায় এসে কি এমন হাতিঘোড়া করে ফেলেছে জনগণের?

৬| ১১ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৩৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্র নায়ক। এ কথা আমি হরহামেশা বলে থাকি। তবে এখন দেশে জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল নয়। মাথা পিচু আয় বাড়লেও তাতে সাধারণ জনগণের কোন লাভ হয়নি। কিছু সংখ্যকের অত্যাধিক আয় মাথাপিচু আয় বাড়িয়ে দিয়েছে।

১১ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এখন দেশে জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল নয়।

বর্তমান ক্রাইসিসটা শুধু বাংলা দেশের না, এটা গ্লোবাল মুল্যস্ফিতি।
এসব সামাল দেয়া এইসময়ে পৃথিবীর কোন শক্তির পক্ষে সম্ভব না।
ইউক্রেন ক্রাইসিসে কোন পন্য সংকট নেই সর্বারহ চেইনও অটুট এরপরও সব জিনিষের দাম বেড়ে গেছে। আতংকেই বেড়েগেছে। আমেরিকায় সয়াবিন তেল দাম আড়াই গুন ৩ গুন বেড়েছে। ২ডলার গ্যালনের পেট্রল হয়েছে ৫ডলার, ক্যলিফোর্নিয়াতে ৬ ডলার।
বাংলাদেশে বাড়েনি। সরকার ২০০% ভর্তুকি দিয়ে সামাল দিচ্ছে। পর্যাপ্ত জমা টাকা্র তহবিল আছে তাই দিচ্ছে।
বেসরকারিদের হাতে ঢাকার বাজারে ১০০টাকার সয়াবিন বর্তমানে ১৬৮, আমি বলব হিসেবে খুব কমই বেড়েছে। পাগল হওয়ার কিছু নেই। বরং উন্নত দেশে এই তেলের দাম ৩ গুন বেড়ে বাংগালীদের কঠিন অবস্থা।
এধরনের ক্রাইসিসে মানুষ কি করে? কান্নাকাটি করে না। রাজনীতি করে না। লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় দৌরাদোউরি করে না।
বরং বাস্তবতা বুঝে কেনাকাটা কমায়, অপচয় কমায়, রান্নায় তেল দশ লিটারের যাগায় ৬ লিটার বা আরো কম খরচ করে। গাড়ী ব্যাবহার কমায়।

৭| ১১ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব আসসালামু আলাইকুম।
আপনার কথা সব মানলাম। সব বুঝলাম।
তসলিমা নাসরিনকে দেশে ফিরিয়ে আনার হাসিনা সরকার কেনো নেয়নি? অন্তত তিন মাসের জন্য দেশে ফিরিয়ে আনিক। তিন মাস কি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সরকার? নাকি সরকার হুজুরদের ভয় পায়?

১২ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৮:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তসলিমা নাসরিন কখনো দেশে ফিরে আসতে জোরালো চেষ্টা করেছেন কি না জানি না।
তবে ওনাকে কেউ বের করে দেয়নি, উনি বিদেশীদের কথায় দেশ ত্যাগ না করলেই সবচেয়ে ভাল করতেন। কয়েকদিন জেলে থাকলে কি এমন হোত।

৮| ১১ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:১৯

সোনাগাজী বলেছেন:


হিলারীর একমাত্র গুণ ছিলো, সে প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের বউ; বড় বড় কাজ হলো,অকারণে লিবিয়াকে ধ্বংস করেছে, ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হয়েছে।

১২ ই মার্চ, ২০২২ রাত ২:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি কখনো হিলারির সমর্থক ছিলাম না। এখনো সমর্থক নই।
আমার পোষ্টের বক্তব্য হচ্ছে হিলারি এখন বাংলাদেশ বিষয়ে তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে।

৯| ১২ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১:৩৬

গরল বলেছেন: কিছুদিন আগে ব্লগে একজন উচ্চ শিক্ষিত ও উন্নত দেশে বসবাসকারী অভিভাবকের পাত্রী খোজাঁর বিজ্ঞাপণ দেখেই বুজতে পারছেন নিশ্চয় বাংলাদেশে এখনও নারীদের সমাজিক অবস্থান কোথায়। এখনও দেশের মানুষ ডাক্তার ইঞ্জিনীয়ার পাত্রী চায় নিজের স্ট্যাটাস বাড়ানোর জন্য। তারা যে সমাজ, দেশ বা অন্তত পরিবারের সমৃদ্ধি বা উন্নতিতে অবদান রাখতে পারে তা তারা বিশ্বাস করে না। যতদিন এই মনোভাব এর পরিবর্তন না হবে ততদিন নারী স্বাধিনতা সুদুর পরাহত। আর এতে সরকার বা রাজনীতির প্রভাব একেবারেই গৌণ, পারিবারিক শিক্ষাটাই মূখ্য বলে মনে হয়।

১২ ই মার্চ, ২০২২ রাত ২:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধর্ম কর্ম শো করা মানুষগুলো এতোটাই অহংকারি হয় যে অন্যদের মানুষ বলেই মনে করে না, সর্বদা মনে করে ওরাই শ্রেষ্ঠ আর বাকিরা সবাই জাহান্নামি।
মুখে বা লেবাসে যতই ধার্মিকতা দেখাক আসলে এরা মূলত কোন ধর্মই মানে না, চলে ব্যক্তিধর্মে। টাকার প্রশ্নে সবাই একই ধর্মাবলম্বী।
মুখে সারাক্ষন বলে সুদ হারাম। কিন্তু সুদের টাকা কখনো মিস করেনা। মিথ্যা তথ্য দিয়ে অনৈতিক সরকারি অর্থ নিচ্ছেই।
নিজেই ধর্ম মানে না অন্যকে গিলাতে উদগ্রীব। অসভ্য।
চারিদিকে অসভ্যের ছড়াছড়ি দেখা গেলেও এখনো অনেক উদার সভ্য পরিবার আছেন।

১০| ১২ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:২২

রানার ব্লগ বলেছেন: উনি ক্লিন্টনের স্ত্রী এটাই ওনার পরিচয় এর বাহিরে যে রাজনৈতিক পরিচয় ছিলো তা তিনি তার অপরিনামদর্শিতার কারনে খুইয়েছেন !!

১৩ ই মার্চ, ২০২২ রাত ২:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
উনি ক্লিন্টনের স্ত্রী পরিচয় বাদেও রাজনৈতিক পরিচয় ছিল। এখনো ডেমক্রেটিক দলের একজন গুরুত্বপুর্ন নেতা।
আমেরিকায় নির্বাচনে পরাজিত হওয়া খুবই মামুলি ব্যাপার। আমেরিকার কোন প্রভাব পড়েনি। তবে উনি সেবার পরাজিত হয়ে বাংলাদেশের একটি পক্ষের বিশাল হতাশার কারন হয়েছিলেন। ওদের মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ইনভেষ্ট ধুলিস্যাত হয়ে গেছিল।

ক্লিন্টন নির্বাচিত হওয়ার আগেও হিলারি বাংলাদেশে এসেছিলেন।
বামপন্থি ইউনুস তখন নারী অধিকার নারী ক্ষমতায়ন নারী ভিত্তিক গ্রামীন ব্যাঙ্ক নিয়ে হাসিনার পক্ষেই কাজ করছিলেন, উনি এখনো বলেন গ্রামীন ফোনের লাইসেন্স পেতে কাউকে এককাপ চাও খাওয়াতে হয় নি। ২০০৫ এ উনি পক্ষত্যাগ করে বামপন্থি অবস্থান থেকে মৌলবাদি-জাতীয়তাবাদিদের ক্ষপ্পরে পড়েন। মৌলবাদিদের অর্থ নিয়ে হিলারির নির্বাচনি তহবিলে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার হাদিয়া দিতেন নিয়মিত। রেকর্ড আছে।
তবে ইদানিং হাদিয়া দেয়া বন্ধ হয়ে গেছে মনে হয়, কারন এখন বাংলাদেশ নিয়ে, হাসিনার রাজনিতি নিয়ে বর্তমানে ভাল ভাল পজেটিভ মন্তব্য করছেন।

১১| ২৪ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: হিলারী ক্লিনটনের কথাগুলো প্রাসঙ্গিক এবং যুক্তিযুক্ত।
নারীর ক্ষমতায়নের জন্য নারীদেরকেই আরও এগিয়ে আসতে হবে, নিজেদেরকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও প্রস্তুত করতে হবে।

২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই । সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সময়ের অভাবে অনেক মন্তব্যের জবাব দিতে পারি না। ভাল থাকবেন।

১২| ৩০ শে জুন, ২০২২ সকাল ৭:৪৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বাংলাদেশে যোগ্য নেতৃত্বের মারাত্মক অভাব রয়েছে। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ক্ষমতা, পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি আর কোটা দিয়ে আসন তৈরী করে আর যাইহোক যোগ্য নেত্রী পাওয়া সম্ভব নয়। সংরক্ষিত নারী আসন ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে নারীদের ছোট করে দেখা বলেই মনে হয়। সংসদে চাটুকার নয়, দরকার মূল ধারার রাজনীতি করে আসা যোগ্য ব্যক্তি। ই.ইউ এর প্রেসিডেন্ট, এলিজাবেথ ওয়ারেন, এঙ্গেলা মার্কেল এমন কি আমাদের স্পীকার ম্যাডামের মতো যোগ্য ব্যক্তির ক্ষমতায়ন প্রত্যাশিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.