নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেভাবে তারেক রহমানকে বিদেশে পাঠানো হয়েছিল।

০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩

তারেক রহমানকে দেশ থেকে বের করে দিতে ১-১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হয়ে নিগোসিয়েশনে জামাতে ইসলামের আলী আহসান মুজাহিদের ও একটা ভূমিকা ছিল।

বিষয়টি তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে স্বীকার করেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান এবং গোলাম কাদের। একটি তারবার্তায় এমনটাই লিখেছিলেন মি. মরিয়ার্টি।

তাঁর বর্ণনা অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ২৮শে অগাস্ট তৎকালীন বিএনপি মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে পাঠানো হয়েছিল। কারাগারে খালেদা জিয়ার সাথে একটি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা বা ডিজিএফআই-এর তৎকালীন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার এটিএম আমিন। দু'হাজার আট সালের ৩রা সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রদুত মি. মরিয়ার্টি ওয়াশিংটনে যে তারবার্তা পাঠান, সেখানেও এ কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
মি. মরিয়ার্টি জানান, কারাগারের ভেতর ওই বৈঠকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে মুজাহিদ ও ব্রিগেডিয়ার আমিনের আলোচনা হয়। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মুক্তি এবং মুক্তির পর তারেক রহমানকে নিরাপদে বিদেশে পাঠানোর বিষয় ওই আলোচনায় উঠে আসে। এছাড়া, রাজনীতি থেকে তারেক রহমানের কিছু সময়ের জন্য বিরতি (নির্বাসন) যাওয়ার কথাটিও তখন আলোচিত হয়।

কারাগারে খালেদা জিয়ার সাথে খন্দকার দেলোয়ার হোসেন এবং আলী আহসান মুজাহিদের উপস্থিতি ও বৈঠকের বিষয়টি মওদুদ আহমদও নিশ্চিত করে তাঁর বইয়ে লিখেছেন।
বই লিখে পরবর্তীতে বিএনপির ভেতরেই সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন মওদুদ আহমদ।

"খন্দকার দেলোয়ার হোসেন এবং আলী আহসান মুজাহিদকে সাব-জেলে খালেদার সঙ্গে দু'ঘণ্টার জন্য দেখা করতে দেয়া হয়েছে। এতে বোঝা যায় যে, এখন সিরিয়াস ধরণের রাজনৈতিক দেন-দরবারের পালা চলছে।" এবং জামাতের 'আলী আহসান মুজাহিদ'ছিলেন তত্তাবধায়ক সরকারের একটা গুরুত্বপুর্ন পার্ট।

শুধু দুই ছেলের মুক্তি নয়, তাদেরকে নিরাপদে বিদেশে পাঠানোর বিষয়েও খালেদা জিয়া ছিলেন অনড়। এবং শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে।

তবে খালেদা জিয়ার সাথে ১-১১ সরকারের আর কী ধরণের সমঝোতা হয়েছিল, সে সম্পর্কে বিস্তারিত বিএনপির নেতারাও জানেন না বলে মনে হচ্ছে। ওয়াশিংটনে পাঠানো বার্তায় মরিয়ার্টি এই বিষয়টিও উল্লেখ করেছিলেন।
বিবিসি থেকে কপি। view this link

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৪৯

কামাল১৮ বলেছেন: বিএনপির সিনিয়র নেতারা চায় না তারেক দেশে আসুক।কারণ সে একটা বেয়াদপ।সিনিয়র নেতাদের সে সম্মান দিয়ে কথা বলে না।

০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


খালেদা জিয়া তার ছেলে তারেক রহমানের অপরাধ সম্বন্ধে ভালোভাবে অবগত ছিলেন।
ভেবেছিলেন সোনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়তো তারেককে ফাঁসি দিয়ে ফেলতে পারেন।
তাই ভয় পেয়ে তারেককে বিদেশে পাঠাতে মরিয়া হয়ে ব্যবস্থা নেন

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি হাছান মাহমুদ?

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হাছান মাহামুদ কে নিয়ে হাসাহাসির কিছু নেই।
হাছান মাহমুদ বাংলাদেশের এজাবৎ সব মন্ত্রীদের ভেতর সবচেয়ে উচ্চ শিক্ষিত ও মেধাবী।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই লেখা আওয়ামীলীগের কোন লেখা না।
সেই সময় বিবিসি এই রিপোর্ট ছাপিয়ে ছিল। অরিজিনালটা পড়ুন। তাহলে বিভ্রান্তি কেটে যাবে।
পড়ুন view this link

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঐ সময় তো ওনারা অঙ্গিকার করেছিলেন যে তারেক জিয়া আর রাজনীতি করবে না। খালেদা জিয়া কান্নাকাটি করেছিলেন। কিন্তু এখন সেই কথা ভুলে গেছে।

০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

কিন্তু তারেকের উচিত ছিল এই বিদেশযাত্রার বা মুচলেকার ব্যাপারে বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করা।
তার রাজনীতির সুবিধার জন্য হলেও ব্যাপারটা কিভাবে কি কি হলো সব সাংবাদিকের সামনে উত্থাপন করা। কিনু সে করেনি কখনো।

এই খাম্বা জীবনে একবারও লাইভ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়নি। যা বলেছে, নিজস্ব গন্ডির ভেতরে কিছু লিখিত বক্তব্য, বা মোখস্ত বক্তব্য। রাজনীতি করলে সাংবাদিক ভীতি ক্যামেরা ভীতি থাকলে কেমনে হয়?
লন্ডনে বিবিসি ও আলজাজিরা টিভি সেই সময়টায় বহুবার তারেকের সাক্ষাৎকার নিতে চেয়ে পায়নি,
বিবিসি বাংলা রেডিও বহুবার সাক্ষাতকারে তাকে কথা বলাতে চেয়েছে, এমনকি বিবিসির ফোন ইন অনুষ্ঠানে ফোনেও সাক্ষাৎকার দিতে চায়নি, সাংবাদিকের সামনে কোন কথাই বলতে চায় না তারেক। এই আবাল নাকি দেশের হবু প্রধানমন্ত্রী!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.