নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাইমিনুল ইসলাম বাপ্পী-র ব্লগ

একলা চলো রে

ভালো নাম মোহাইমিনুল ইসলাম বাপ্পী।কল্পবিজ্ঞান, সাইকোলজিক্যাল গল্প এবং ফ্যান্টাসি নিয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। এসব নিয়েই লিখছি অল্পবিস্তর।

একলা চলো রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুঃস্বপ্ন থেকে গল্পঃ ব্যাঙমানবী

১৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১১



ব্যাঙমানবীদের আমি প্রথম দেখেছিলাম খুব ছোটবেলায়। তখনো আমাদের শহর সেভাবে মজবুত হয়ে গড়ে ওঠেনি। মাত্র কয়েক বছর আগে হয়েছে শহরের গোড়াপত্তন। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে যখন চারিদিকে প্রচন্ড বিশৃঙ্খলা চলছিল, তখন আমরা ডজনখানেক পরিবার মূল জনপদ থেকে অনেক, অনেক দূরে সরে এসে এখানে বসতি গড়েছিলাম। পরে লোকমুখে খবর পেলাম, জনপদগুলোও যুদ্ধে গুড়িয়ে গেছে। জীবিত মানুষের সন্ধান পাওয়াই এখন দুষ্কর। নগরীর পর নগরী, জনপদের পর জনপদ শুধুই ধ্বংসলীলা, কোথাও জীবনের সন্ধান নেই। সেই সময়টাতে আমরা সবকিছু ছেড়েছুড়ে জঙ্গলের ভেতরের দিকে চলে আসি বসতি গড়ার জন্য। পেয়েও যাই একটি সবুজ উপত্যকা। একটি ঝর্ণা রয়েছে উপত্যকার ধারে, রয়েছে একটি গভীর কুয়ো। পানির জন্য আমাদের তেমন চিন্তা করতে হয়নি। খাবারের জন্যও না। জঙ্গলে শিকার করে কিংবা ফলমূল সংগ্রহ করে খেতাম আমরা। কেউ কেউ চাষবাষও শুরু করে দিয়েছিল।
কিছুদিন পর আমাদের সাথে আরো কিছু পরিবার এসে যোগ দেয়। দেখতে দেখতে জঙ্গলের মাঝখানে অনেক খানি জায়গা উজার করে একটি ছোটখাটো শহর, একটি ছোটখাটো সভ্যতা গড়ে তুললাম আমরা। আমাদের সাথে অনেক অস্ত্রশস্ত্র ছিল। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীতে এই একটি জিনিসের তেমন অভাব নেই, আগ্নেয়াস্ত্র। যে কোন ধ্বংস জনপদের আনাচে কানাচে চাইলে অনেক অস্ত্রশস্ত্র খুঁজে পাওয়া যাবে।
তখনই হঠাৎ একদিন ওদের দেখতে পাই আমরা। আমার মা উপত্যকার ধারে যে কুয়োটা রয়েছে, সে কুয়া থেকে পানি তোলার জন্য দড়ি বেঁধে বালতি ছুড়েছিল পানির ভেতর। অমনি ভেতর থেকে অদ্ভুত ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ আওয়াজ শোনা গেল। মা চিৎকার করে উঠল। আমরা সবাই ছুটে গেলাম তার চিৎকার শুনে। শহরের প্রহরার দায়িত্বে থাকা তরুণ ছেলেরা বন্দুক বাগিয়ে দৌড়ে এল। কুয়োর ভেতর থেকে লাফ দিয়ে উঠে এল একটি অদ্ভুত জন্তু। আমরা কেউ এমন কিছু আগে কখনো দেখিনি। পিচ্ছিল শরীর তার। ব্যাঙের মতো অনেক দীর্ঘ, ভাজ করা হাত এবং পা। কিন্তু মুখমণ্ডল, গলা এক ধরনের মেয়েলী গড়নে তৈরি। এক রকম কলা পাতার আবরণে শরীর ঢাকা তার, যেন পাতার তৈরি পোশাক পরেছে। মাথায় বেশ ঝাঁকরা চুলও আছে। শুধু চোখগুলো টকটকে লাল রঙা। চোখের মনির চারিদিকে সাদা অংশের জায়গায় অদ্ভুত রকম সুন্দর লাল রঙ, যেন মাছের কানকোর লাল। প্রাণীটা আমাদের দেখে সাপের মতো লকলকে, তিন ভাগে চেরা জিভটা বের করে অদ্ভুত রকম ফোঁস ফোঁস শব্দ করল। তারপর তীব্র গতিতে ছুটে পালাল লম্বা লম্বা হাত পা ব্যবহার করে।
শহরের সবাই হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম এমন প্রাণী দেখে। কেউ বাপের জন্মে এমন কোন প্রাণী দেখেনি কিংবা এমন কোন প্রজাতির কথা শোনেনি।
শহরে কোন জীববিজ্ঞানী ছিল না। তাই কেউ প্রাণীটা আসলে কি, সে সম্পর্কে কেউ ধারণা দিতে পারল না। দু’জন ডাক্তার ছিল, তারাও এ সম্পর্কে কিছু বলতে পারল না।
সে রাতে শহরে আলোচনা সভা বসল। এই প্রাণীটি নিশ্চয়ই একা নয়, এর মতো আরও আছে এখানে। থাকলে তারা আমাদের জন্য হুমকি কিনা সেটা ভেবে দেখবার বিষয়। এরা কতটা বুদ্ধিমান সেটাও একটা প্রশ্ন। এদের গায়ে কাপড়মতো কিছু ছিল, তার মানে শুধু বুদ্ধিমত্তাই নয়, সমাজবদ্ধ জীবনও হয়তো তাদের আছে।
আমাদের ধারণা ভুল প্রমাণ হলো পরে। আস্তে আস্তে আমরা আবিষ্কার করলাম, এই প্রাণীগুলো শুধু এখানে না, আশেপাশে সব জায়গায় ছড়িয়ে আছে এবং তারা তেমন বুদ্ধিমানও নয়। আমাদের উপত্যকার পেছনে একটি কচু গাছে ছেয়ে যাওয়া জঙ্গল ছিল। বড় বড় কচুগাছ সেখানে, চার-পাঁচ ফুট হবে। কয়েক কিলোমিটার জায়গা জুড়ে আছে কচুগাছগুলো। এই কচুবনে আমরা প্রচুর ব্যাঙমানবী আবিষ্কার করলাম। প্রতিটি কচু পাতার নিচে একটি করে ব্যাঙ। এটাও বুঝতে পারলাম তারা আমাদের জন্য মোটেও হুমকি নয়। তারা চুপচাপ থাকে। পোকা মাকড় ধরে খেয়ে বেড়ায়। জলায়, ডোবাতে কিংবা কোন কুয়োর ভেতর ব্যাঙের মতো হাত পা ছড়িয়ে ঘুমায়। তাদের মধ্যে নারী পুরুষ আলাদা আছে কিনা বোঝা গেল না। কারণ সবার চেহারাই মেয়েলী। কেঁচোর মতো উভলিঙ্গ নিশ্চয়ই নই। তবে কোনটা ছেলে, কোনটা মেয়ে সেটা বোঝার উপায় নেই।
ব্যাঙমানবীরা যে সুখাদ্য হতে পারে সেটা একদিন শহরের কিছু ডানপিটে ছেলে আবিষ্কার করে ফেলল। তারা শিকারে বেরিয়েছিল সেদিন। শিকার টিকার না পেয়ে শেষে একটা ব্যাঙমানবী ধরে আনে এবং শহরে এসে আগুনে পুড়িয়ে খায়। অদ্ভুত সুস্বাদু নাকি সেই মাংস। ব্যাঙ-মানবীদের মানবী বললেও তারা তো আর মানুষ নয়, হয়তো উন্নত প্রজাতির কিছু ব্যাঙ। তাই দুয়েকজন আপত্তি জানালেও একসময় গা সওয়া হয়ে যায়। অনেকেই ব্যাঙমানবীদের ধরে ধরে খেতে থাকে।
একটা ব্যাঙমানবীকে আমার তখন খুব ভালো লেগে যায়। আমি যেখানে খেলাধুলো করতে যেতাম, সেখানে প্রায়ই আসত সেটা। লাফ ঝাপ দিয়ে আমার আশেপাশে ঘুরত। ছোট ছিলাম, একা একা খেলাধুলো করতাম, আমার বয়সী তেমন কেউ ছিল না, তাই ব্যাঙটাকে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে ভালোই লাগত। আস্তে আস্তে আমি বড় হতে থাকি, ব্যাঙ মানবীর সাথে আমার বন্ধুত্ব গভীর থাকে। একসময় সে সারাক্ষণ আমার সাথেই থাকত। বাবা মা কিংবা বড় কেউ তেমন কিছু বলত না। ব্যাঙটাকেও কেউ ঘাঁটাত না।
শহরে পড়াশোনার ব্যবস্থা ছিল, ছোটখাটো স্কুল ছিল একটা। আর বই ছিল প্রচুর। বড়রা যে যেভাবে পেরেছে, দূর দূরান্তের পরিত্যক্ত জনপদে গিয়ে বই পুস্তক সংগ্রহ করে এনেছে, নিজেদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে। সে সব বই পড়ে আমি গণিত, সাহিত্য, বিজ্ঞান, ভূগোল, সমাজ ইত্যাদি শিখতে থাকি। আমার সঙ্গে সেই ব্যাঙমানবীও থাকত সারাক্ষণ। আমার দেখাদেখি আরও অনেকে ব্যাঙ পোষা শুরু করল, আর সেটাই ছিল কাল। ব্যাঙমানবীরা তুলনামূলক ভাবে অন্য প্রাণীদের থেকে বুদ্ধিমান তা আঁচ করে নিয়েছিলাম আমরা, কিন্তু এতটা বেশি তা আশা করিনি। আমরা যা শিখতাম, যা করতাম, ওরাও আস্তে আস্তে সব শিখে নিতে লাগল, অথচ আমাদের বুঝতেও দিল না। আগের মতোই শান্ত, নির্বিরোধী, বোকা সেজে থাকত।
তারপর একদিন হলো সেই সামরিক অভ্যুত্থান। আমরা যেমন বিভিন্ন পরিত্যক্ত-ধ্বংস জনপদ থেকে অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করে আনতাম, বই সংগ্রহ করে আনতাম, ওরাও আনত। আমাদের জানতে দিত না। ওরা নিজেরা সে সব অস্ত্র শস্ত্র পরিচালনা শিখে নেয়। তারপর একদিন আক্রমণ করে বসে। ব্যাঙদের অগঠিত হাত দিয়ে অস্ত্র পরিচালনা সম্ভব সেটা আমরা কেউ কল্পনাও করিনি। সেদিন প্রথম জানলাম। তবে দেরি হয়ে গিয়েছিল, করার কিছু ছিল না তেমন। রাতের অন্ধকারে আক্রমণ করে ওরা, কয়েকশো ব্যাঙ এক সাথে, সাথে ভারী আগ্নেয়াস্ত্র। প্রথমে যতটুকু সম্ভব প্রতিহত করে পাল্টা আঘাত হানার চেষ্টা আমরা করেছিলাম বটে আমরা, তবে সফল হইনি। আমাদের ১৪ বছরের গড়া নগরী ধ্বংস হয়ে যায় একরাতেই। শহরের প্রতিটি মানুষ মারা যায় সে রাতে।
সবাই যদি মারা যায় তাহলে এই গল্পটি বলছে কে? কেউ কি সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিল? না, কেউ বাঁচেনি। এই গল্পটি আমি সেই ছেলেটার মতো করে বলতে চেষ্টা করেছি, যে প্রথম ব্যাঙমানবীদের সাথে বন্ধুত্ব করেছিল। আমি হলাম সেই ব্যাঙ মানবী, যে মানুষের প্রথম বন্ধু, প্রথম পোষ্য ছিলাম।
মানুষের পর এই নগরীতে আমরা বসবাস করছি, মানুষের ইন্টেলেকচ্যুয়াল কাজগুলো সব আমরা শিখে নিয়েছি। এ ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। মানুষ যখন আমাদের ধরে ধরে খাওয়া শুরু করল, তখন এটাই বাঁচার একমাত্র উপায় ছিল আমাদের। শক্তিশালীরা টিকে থাকবে, দুর্বলরা বিলীন হবে, এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
পৃথিবীতে আর কোথাও কোন মানুষ অবশিষ্ট আছে কি না জানি না, তবে তারা যদি কখনো এই নগরীতে আসে, আমাদের সাথে লড়াই করে নগরীর দখল আদায় করতে হবে তাদের। নতুবা পৃথিবী ছেয়ে যাবে ব্যাঙমানবীতে।
(সমাপ্ত)

এই সিরিজটা শুরু করেছিলাম বছরখানেক আগে। ঘুমোলে প্রায়ই দুঃস্বপ্ন দেখতাম বলে স্বপ্নগুলো লিখে রাখতাম ঘুম থেকে উঠে। সেখান থেকে গল্প লিখতাম। এভাবে চারটা পর্ব লিখেছিলাম। কাজে এসেছিল লেখাগুলো। আমার দুঃস্বপ্ন দেখা শূন্যের কোঠায় নেমে আসে তখন। আজকাল আবার দুঃস্বপ্ন দেখা শুরু করেছি। অনেক রকম দুঃস্বপ্ন। বেশিরভাগই জীবনের নানা ধরনের জটিলতা সংক্রান্ত। তবে কিছু কিছু বেশ ভয়ংকর। যেমন গতকাল স্বপ্নে দেখলাম-একটা পাহাড়ের উপর আমরা কয়েক জন মানুষ বসে আছি, সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, বৃষ্টি পড়ছে প্রচন্ড। পাহাড়ের নিচে মেয়েলী চেহারার বড় বড় কিছু ব্যাঙ কচুপাতার নিচে বসে আছে। আমাদের মধ্যে একজন বলে উঠল-আমাদের খাবার ফুরিয়ে এসেছে, এগুলো খাওয়া যায়। বলেই বল্লম দিয়ে ব্যাঙটাকে গেঁথে ফেলল মাটির সাথে। বাকী ব্যাঙগুলো পালিয়ে গেল। ঘুম ভেঙে গেল।
ভাবছি সিরিজটা নতুন করে শুরু করব আবার।


এই সিরিজের অন্য গল্পগুলোঃ
দুঃস্বপ্ন থেকে গল্পঃ শয়তানবিদ্যা
দুঃস্বপ্ন থেকে গল্পঃ অবসেশন
দুঃস্বপ্ন থেকে গল্পঃ আয়না-ভীতি
দুঃস্বপ্ন থেকে গল্পঃ কুকুরের ডাক


মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনি প্রতিদিন দু:স্বপ্ন দেখুন আর প্রতিদিন এমন গল্প আমাদের উপহার দিন।
অসাধারণ বললেও কম বলা হবে।
আমরা যেভাবে ধ্বংস করছি প্রাণিজগত, এতে যদি তারা বাঁচার নিমিত্তে কোনদিন বিদ্রোহ করে বসে, তাদের অপরাধ হবে না

১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

একলা চলো রে বলেছেন: হা হা হা! আপনার দৃষ্টিভঙ্গী ভালো লাগল বেশ। একটা মজার স্যারক্যাজম ছিল যে- কিল হিউম্যান, সেইভ দা আর্থ। এরকম কিছু মনে হলো।
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা আপনার জন্য রাখাল। ভাল থাকুন।

২| ১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০১

সুমন কর বলেছেন: বর্ণনা ভালো লাগল।

১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

একলা চলো রে বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর।

৩| ১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪

রঙ্গীন ঘুড়ি বলেছেন: বাহ।। বেশ ভাল লাগল পড়ে। ভাল লাগা রেখে গেলাম।

১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২১

একলা চলো রে বলেছেন: ভালো লাগা গ্রহণ করলাম, ধন্যবাদ।

৪| ১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

পুলহ বলেছেন: এইটা পড়লাম, বাকিগুলাও পড়ে ফেলবো ইনশাল্লাহ।
এই গল্পটাকে কি বলবো- সায়েন্স ফিকশান, ফ্যান্টাসি নাকি অন্য কিছু?? অ-স-ধা-র-ণ.... ব্লগে এতো ইউনিক সায়েন্স ফিকশান/ ফ্যান্টাসি টাইপ গল্প পড়েছি বলে মনে পড়ে না।
আর এতো ছোট পরিসরে কিভাবে এতো কোহেরেন্ট এবং সম্পূর্ণ একটা গল্প বলে গেলেন- সেটাও ব্যাংমানবীদের জীবনের মতই রহস্যময়!!
ভালো থাকবেন গুণী লেখক!

১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

একলা চলো রে বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পুলহ। এটাকে ফ্যান্টাসি গল্প বললেই ভালো। সায়েন্স ফিকশানে কিছু এবস্ট্রাক্ট সায়েন্স থাকতে হয়, এটাতে নেই। কাজেই ফ্যান্টাসি কিংবা সায়েন্স ফ্যান্টাসি বললেই ভালো।
অনেক শুভকামনা আপনার জন্য। ভালো থাকবেন।

৫| ১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:২৯

ঈশান আহম্মেদ বলেছেন: সবগুলা পড়া আছে।এটাও দুর্দান্ত ও চমৎকার।

১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫৯

একলা চলো রে বলেছেন: বাহ! সবগুলো পড়া আছে জেনে অনেক ভালো লাগল। শুভকামনা।

৬| ১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:১১

ফাতিমা মনি বলেছেন: পৃথিবীতে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ হল কবে???? জানলাম নাতো

১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২৫

একলা চলো রে বলেছেন: সত্যি জিজ্ঞেস করলেন নাকি স্যারকাজম করলেন বুঝলাম না! যাই হোক, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ তো কাল্পনিক। এটা ভবিষ্যতের গল্প, কাল্পনিক গল্প। গল্প মানেই তো কাল্পনিক। তাছাড়া বিষয়গুলো তো ব্যাখ্যা করেছি শেষে।
পাঠে কৃতজ্ঞতা।

৭| ১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: দারুণ গল্প। আমি দুঃস্বপ্ন দেখতে ভীষণ ভালোবাসি। একসময় অনেক দেখতাম। এখন আর দেখি না। দেখলেও ফালতু টাইপের সস্তা দুঃস্বপ্ন। যেমন কাল রাতে দেখলাম আমার মোবাইল হারায়া গেছে /:)

১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

একলা চলো রে বলেছেন: হা হা! আপনার মোবাইল সংক্রান্ত দুঃশ্চিন্তা আরও কয়েকবার শুনেছি, আপনার ফেসবুক স্ট্যাটাসে। কামনা করি আপনি মাঝে মাঝে উচু দরের, ক্ল্যাসি দুঃস্বপ্ন দেখবেন এখন থেকে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
আমি মাঝে মাঝে দু:স্বপ্ন দেখি কিন্তু সকাল হলে ভূলে যাই।

গল্পে ভাল লাগা। :)

১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮

একলা চলো রে বলেছেন: আমরা যা স্বপ্ন দেখি তার বেশিরভাগই ভুলে যাই ঘুম থেকে উঠে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৯| ১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি ফেসবুকে কি নামে আছেন যেন?

১৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

একলা চলো রে বলেছেন: ফেসবুকে আমার নাম Mohaiminul Islam Bappy

১০| ১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পটা ছোট্ট কিন্তু অদ্ভুত সুন্দর। দুঃস্বপ্ন সিরিজের বাকি গল্পগুলোও পড়ে ফেলব সময় করে।

১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১১

একলা চলো রে বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রোফেসর শঙ্কু। শুভেচ্ছা।

১১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৫১

রা জ্য বলেছেন: গল্পটা যে ব্যাংমানবী বলবে ভাবতেও পারি নি,ক্লাইমেক্সটা অসাধারন লেগেছে...

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

একলা চলো রে বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে রাজ্য।

১২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

জেন রসি বলেছেন: দুঃস্বপ্ন থেকে গল্প লিখে ফেলার আইডিয়াটা দারুন। আপনার এই সিরিজের প্রতিটি গল্পই ইন্টারেস্টিং। লিখে চলুন।

১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪৬

একলা চলো রে বলেছেন: আচ্ছা।

১৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩

সিগনেচার নসিব বলেছেন: গল্পটি দারুন লাগল

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৫১

একলা চলো রে বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

১৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

Anik Ahmed বলেছেন: চমৎকার :-D

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

একলা চলো রে বলেছেন: ধন্যবাদ

১৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৩৪

নাসের গ্যাং ০০৭ বলেছেন: বাহ।। বেশ ভাল লাগল পড়ে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

একলা চলো রে বলেছেন: ধন্যবাদ

১৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩

তারেক মাহমুদ ২২ বলেছেন: অদ্ভুত এক গল্প। কথাগুলো খুবই সাধারণ। কিন্তু গল্পটি অসাধারন। আমরা কোথায় এসে পৌছালাম? পৃথিবীতে নাকি কোন মানুষ অবশিষ্ট নেই?

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

একলা চলো রে বলেছেন: ফ্যান্টাসি গল্প এমনই হয়। :) ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: খুব চমৎকার লাগলো ব্যাঙমানবির গল্প, কিছু মনে করবেন না আপনার দুঃস্বপ্ন দেখাই আমার কাম্য এর ফলপ্রসূ হিসেবে দু চারটা ভালো গল্প পড়ার সৌভাগ্য হবে .....

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

একলা চলো রে বলেছেন: সবারই এমন বক্তব্য। :)

১৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

চন্দ্রনিবাস বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো। আপনার সাথে কথা বলার ছিলো কিছু বিষয়ে। মেইল এড্রেস পেলে উপকৃত হতাম। ধন্যবাদ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

একলা চলো রে বলেছেন: দুঃখিত, আমি একমাস পর লগ ইন করলাম। এতদিন পর দেখলাম আপনার মন্তব্য।

১৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৩০

মাইন্ড বুক বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

একলা চলো রে বলেছেন: ধন্যবাদ।

২০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: বাহ।। বেশ ভাল লাগল পড়ে।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০০

একলা চলো রে বলেছেন: ধন্যবাদ।

২১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:২৯

পথঘাটের কথা বলেছেন: সত্যি, আপনার চিন্তার গভিরতা আর বর্ণনা কৌশলের প্রশংসা না করে পারা যায় না। শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০২

একলা চলো রে বলেছেন: অনেক ভাল লাগল আপনার এপ্রিসিয়েশন। ধন্যবাদ।

২২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০২

কালীদাস বলেছেন: চমৎকার লেখনি। ভাল লেগেছে আপনার এক্সপেরিমেন্ট।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৪

একলা চলো রে বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭

ফারিয়া আলম বলেছেন: গল্পটি অসাধারন। বেশ ভাল লাগল পড়ে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

একলা চলো রে বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: দুঃস্বপ্ন দেখি, সেগুলো রিয়েলিটির সাথে মিলে কিন্তু এত অদ্ভুত কিছু দেখি না কেন! :|| ??

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪

একলা চলো রে বলেছেন: বয়স বাড়ার সাথে সাথে বোধহয় কমে আসে ব্যাপারগুলো।

২৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৫১

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: দারুণ গল্প। অসাধারন।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:০০

একলা চলো রে বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

নিভা ইয়ামা বলেছেন: বেশ মজার লেগেছে। সব চেয়ে ভাল যেটুকু লেগেছে সেটুকু হল খুব সাবলীলভাবে গল্পটা বলে ফেলা আর নতুন কিছু।

০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ২:৪৭

একলা চলো রে বলেছেন: ধন্যবাদ ইয়ামা। ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। :)

২৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০১

মুন্সি শেখ মুহাম্মদ হাসনাত জামান সৈকত বলেছেন: অসাধারন! চমৎকার একটি গল্প যার মধ্যে একটি গম্ভীর ভাব অন্তর্নিহিত।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৯

একলা চলো রে বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.