নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

সেলিম জাহাঙ্গীর

সেলিম জাহাঙ্গীর যে দ্যাশে নাই জীন মরণরে আমার মন ছুটেছে সেই দ্যাশে গুরু লওনা আমায় তোমার সে দ্যাশে

সেলিম জাহাঙ্গীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশে আইএস-নেই, দেশীয় জঙ্গীরাই হামলায় জড়িত।

১২ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

দেশে আইএস-নেই । দেশীয় জঙ্গীরাই হামলায় জড়িত। আমি দেশের রাষ্ট্র প্রধানের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই। আইএস আছে কিংবা নেই-দেশীয় জঙ্গীরাই হামলায় জড়িত এই দিয়ে দেশবাসি কে সরকার কি বোঝাতে চাচ্ছেন? রাফেল স্নাক ও কিংকোবরা- একটি বিদেশী সাপ অন্যটি দেশী সাপ, দুটোই বিষধর এর মধ্যে আবার ভালো মন্দ কি? কেউটে সেতো সাপ। দুটোয় বিষধর মানুষের জন্য বিপদজনক এর মধ্যে আবার দেশী-বিদেশী! একটি গল্প উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, “পদ্মাপাড়” নামে রাজধানী ঢাকার একটি সংগঠন আছে। এই কেন্দ্রীয় সংগঠন দেশের কোন উপজেলায় বা জেলায় নেই। এখন কয়েকজন মিলে কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করে “পদ্মাপাড়” নামের একটি সংগঠন জেলা কিংবা উপজেলায় গঠন করলো। এখনকি সেই সংগঠনটির শাখা বিস্তার করলো না? নাকি রাজধানী ঢাকা’র সংগঠনের মানুষেদের সেই জেলা উপজেলাতে গিয়ে থাকতে হবে, বসবাস করতে হবে? নিশ্চয় নয়। কারন যেহেতু ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করে সংগঠন খোলা হয়েছে সেহেতু এখন এই সংগঠনের সদস্য জেলা উপজেলাতেও বিস্তার হলো। বিধায় বলা যাবে যে এই সংগঠন এখন জেলা উপজেলাতে আছে, এর সদস্যও রয়েছে। এই গল্প দিয়ে আমি যা বোঝাতে চাইছি তা হলো: রাষ্ট্র বলছে দেশে আইএস নেই। তবেকি ভিনদেশ থেকে আইএসের সদস্য এই দেশে আসলে তবেইকি বলতে হবে দেশে আইএস আছে।বিদেশী আইএসের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেশের তরুন-যুবকরা তাদের আদলে এই দেশে একটি আইএস সংগঠন খুললো, সদস্য সংগ্রহ করলো; সংগঠন করলো মানেই এই দেশে আইএসের ভিত্তি স্থাপন হলো; তার মানে আইএস তৈরী হলো। আরেকটি উদাহরণ: আমরা জানি জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদী পাকিস্তানে জামায়াতে ইসলাম সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে। এই দেশের কিছু মানুষ সেই একই আদলে, একই নামে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলাম সংগঠন প্রতিষ্ঠা করলো। পাকিস্তানী জামায়াতের নামে সংগঠন হলো বলে কি সেটাকে আবুল আলা মওদুদীর জামায়াতে ইসলাম বলা যাবে না? জামায়াতের সদস্য বাংলাদেশে আছে এটাও বলা যাবে না? নিশ্চয় বলা যাবে দেশে মওদুদীর আদলে জামায়াতীরা আছে, এরাই জামাতের সদস্য বা কর্মী। তবে দেশে আইএস গঠন করা হলে কেন বলা যাবেনা যে দেশে আইএসের অস্তিত্ত নেই। আইএসের সংগঠন আছে এমন দাবীতো জঙ্গীরা নিজেরই করে আসছে। জানি না দেশে আইএস-নেই সেটা বলে সরকার কি বোঝাতে চাচ্ছে । এভাবে বিষয়টিকে উড়িয়ে দিলে সামনে বিপদ আরও ঘনিভূত হবে। চার দলীয় জোট সরকারও এক সময় উচ্চ স্বরে বলেছিলো বাংলা ভাই বলে কিছু নেই এটা মিডিয়ার সৃষ্টি। সেই বাংলা ভাই যখন মরণ কামড় দেওয়া শুর করলো তখন সরকার তাকে গ্রেফতার করে প্রকাশ্যে এনে দেখালো, এমনকি ফাঁসি পর্যন্ত কার্যকর করলো। তায় বলি সময় থাকতে জঙ্গী কিংবা আইএসের শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে। সত্যকে অনুসন্ধার করুন, তানাহলে সেদিন আর বেশী দূরে নয় যেদিন জঙ্গিরা তাদের মতের বাইরের কাউকে বাঁচতে দেবে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.