নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে না "চোর ধাইলে বুদ্ধি বাড়ে"!
কথাটা আসলেই সত্যি। যার প্রমাণ প্রতিনিয়ত হাতে নাতে পাচ্ছি।
আমাদের এই ছোট্ট দেশটাতে কদিন পরপরই বড়বড় দূর্ঘটনা ঘটে। দূর্যোগ, দূর্ঘটনা নামক শব্দগুলো কিছুদিন পরপরই আমাদের দেশ থেকে চুরি করে নিয়ে যায় শতশত তাজা প্রাণ। এতে করে বুদ্ধি বাড়ে সরকারের আর গঠন করে তদন্ত কমিটি।
পরিবারকে দেয় ক্ষতি পূরণের আশ্বাস। ১০,২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে লাখ দেড়েক পর্যন্ত পাওয়ার আশ্বাস পায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।
কিন্তু এরপর........
এরপর........
এরপর........
আমিও জানি না আপনেও জানেন না।
কি ছিল তদন্ত কমিটির রিপোর্টে?
কি হল সেই দোষীদের যাদের কারণে এতগুলো তাজা প্রাণ ঝরে গেল?
কি ব্যবস্থা নিল সরকার তাদের বিরুদ্ধে?
কি ব্যবস্থা নিল সরকার অত্র ঘটনা প্রতিরোধ কল্পে?
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো আদো কোন সাহায্য পেল নাকি সরকারের অনুদানের টাকা সরকারি লোকেরাই লুটে পুটে খেল?
বিষয়টা আমিও জানিনা আপনিও জানেন না।
কিন্তু তাতে কি! এইসব হাংকি বাংকি মার্কা তথ্যগুলো না জানতে পারলেও প্রতিনিয়ত জেনে যাচ্ছি "তথ্য অধিকার আইন" নামে যে একটা আইন আছে তা। তাও আবার যেই সেই ব্যক্তির মাধ্যমে নয় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর ফোন কলের মাধ্যমে।
খবরের জন্য টিভি খুললেই সর্বপ্রথম যে জিনিসটা চোখে পড়ে তা হল বিভিন্ন মন্ত্রী মহোদয়ের তত্পরতা। সে কি দেশপ্রেম! সে কি কমিকমেন্ট! যে যেই মন্ত্রণালয়ে নেই সে সেই মন্ত্রণালয়ে গিয়েও চাপাবাজি। ওয়াট এ বায়োলজি!
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিচ্ছে মাদ্রাসার ফতোয়া।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় দিচ্ছে সন্ত্রাস নিমূলের ঘোষণা।
নৌ মন্ত্রী দিচ্ছেন গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন দেয়ার ঘোষণা।
বাহ!! ভালো তো ভালো না!
End of the day মন্ত্রণালয়ের অর্জনের খানা ঠনঠন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী পতিতালয় রক্ষায় ব্যস্ত - এদিকে সমাজ নষ্ট হতে হতে দেশ চলে যাচ্ছে রসাতলে।
শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাখাত থেকে সন্ত্রাস দূরীকরণে ব্যস্ত - এদিকে নকলে নকলে দেশ যাচ্ছে রসাতলে।
নৌ মন্ত্রী গার্মেন্টস শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার চাপা মারামারিতে ব্যস্ত - এদিকে নৌ সেক্টরে অব্যবস্থাপনার জন্য মানুষ মরে মরে দেশকে নিয়ে যাচ্ছে রসাতলে।
ভালো তো, ভালো না!
ভাইরে ভাই আমি আর নাই। মাথাটা প্রচন্ড ধরছে এবার আমি যাই
©somewhere in net ltd.