নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নোয়াখালি ইজ দ্যা গ্রেট!

সত্য পথের সন্ধানী

নোয়াখাইল্যা হোলা

সাধারণের মধ্যে সাধারণ হয়ে থাকতে চাই।

নোয়াখাইল্যা হোলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মীয় অনুভূতিঃ প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫২

আমার জানামতে বাংলাদেশে মউদুদিবাদের প্রচারক হিসেবে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর পরেই আসে তারেক মনোয়ারের নাম।



কে কোন মতবাদ পালন করবে সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।এইসব ব্যাপারে কখনোই আমার কোন বাড়াবাড়ি ছিল না।কিন্তু,কেউ যদি কোন মতবাদ প্রচারে নেমে আমার দেশের সরলপ্রাণ মানুষের বৃহৎ একটি অংশের ধর্ম ইসলামকে বিকৃত করে তাহলে অবশ্যই আমার সে ব্যাপারে চুপ করে বসে থাকা চলে না!



আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনের সূরা হুজুরাতের ১১ নাম্বার আয়াতে বলেছেন,



"তোমরা একে অপরকে দোষারোপ করো না এবং মন্দ নামে ডেকো না।"



কিন্তু,এই লোক ইসলামের আবরণে মউদুদিবাদের প্রচার করতে গিয়ে প্রকাশ্য মাহফিলে যেভাবে মানুষের নামের বিকৃতি করেন,অঞ্চলভেদে মানুষকে নানাভাবে হেয় করেন,জগন্য মিথ্যাচার করেন আমার সরল দৃষ্টিতে স্পষ্টভাবেই এটা ইসলামের বিকৃতি,বাকীটা স্রস্টা ভালো জানেন।



সম্প্রতি ইউটিউবে তার একটা মাহফিলের ভিডিও দেখছিলাম।সেখানে সে বলছে, "সাঈদীকে শুধুমাত্র 'ইসলাম প্রচারের' অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে।তার বিরুদ্ধে যারা আদালতে সাক্ষী দিতে এসেছিল তারা সবাই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।যখনই সাঈদীর চেহারার দিকে চোখ যায় তাদের মুখে আর কথা আসে না। বোবা হয়ে,অবস হয়ে নিচে পড়ে যায়।অধিকাংশ সাক্ষীগুলো কথা বলতে পারে নাই,অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। এবং শুধু অসুস্থ্য নয়,এজলাস থেকে ভেগে পালিয়ে গেছে।৭২ এ জন্মগ্রহণকারীকে দিয়ে নাকি সাঈদীর যুদ্ধাপরাধের ব্যাপারে সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে!"



মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রথম থেকেই অনেকেই পর্যবেক্ষণ করছেন।আমি নিজেও কমবেশী খোঁজ-খবর রাখার চেষ্টা করি।কই,কখনোতো এই ধরনের কিছু দেখলাম না!



আমার কথা হল,আমরা না হয় কিছুটা পড়াশোনা করি,সোশ্যাল মিডিয়া,টিভি,পেপার,নানা সভা-সেমিনার থেকে কোনটা ভুল,কোনটা শুদ্ধ সেটা সম্পর্কে কিছুটা হলেওতো জানতে পারি। কিন্তু,এই যে দেশের নানাপ্রান্তের এই সহজসরল মানুষগুলো,অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তো তাদের কোন তথ্য বিচার করার সুযোগ কম থাকে।তার উপর দাড়ি-টুপি দেখলে তাদের বিশ্বাসের পরিধি অনেক বেড়ে যায়,যা বলা হয় তাই বিশ্বাস করে!



ইসলাম প্রচারকদের ভুয়া বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে - এই ম্যাসেজ দিয়ে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে বিভ্রান্ত করে হরতাল-অবরোধে নাশকতার কাজে লাগানো হচ্ছে আর চিহ্নিত মানবতাবিরোধীদেরকে বানানো হচ্ছে 'ইসলামপন্থী নেতা'।



এইভাবে ইসলামের নামে মিথ্যা ছড়ালে সেটা কি ধর্মীয়ানুভুতিতে আঘাত হয় না!নাকি,এই অনুভূতি শুধু কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.