নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাবিশ্বের সৃষ্টি ও মহাকাশ গবেষণয় যুগান্ত-করি পরিবর্তন নিয়ে আসবে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ টির পূর্ণ চিত্র

আজ ২৫ শে ডিসেম্বর পৃথিবীর বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে অন্যতম ও সম্ভবত সবচেয়ে জটিল ও ব্যয়বহুল বৈজ্ঞানিক যন্ত্র জেমস্‌ ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ মহাকাশে পাঠানো হবে।

রকেটের সাহায্য মহাকাশে উৎক্ষেপণের পরে যে প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করবে আগামী ২ সপ্তাহে

এই টেলিস্কোপটি তৈরি করেছে যুগ্ম ভাবে আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (NASA), কানাডার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ( CSA) ও ইউরোপিয়ান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ESA) এই টেলিস্কোপ পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরতে মহাকাশে অবস্থান করে (Sun-Earth Lagrange Point (L2)) মহাকাশ গবেষণার কাজ করবে।

মহাকাশে যে স্থানে অবস্থান করবে টেলিস্কোপটি

এই টেলিস্কোপটি তৈরি করতে প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা (বাংলাদেশের সকল সরকারি ও আধা-সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২ বছরের বেতনের সমান)। এই টেলিস্কোপটি ১৪ টি দেশের কয়েক হাজার বৈজ্ঞানিক ও ইঞ্জিনিয়ার মিলে প্রায় ২০ বছর সময় নিয়ে তৈরি করেছে। প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছে ১৯৮৯ সালে, চূড়ান্ত পরিকল্পনা করা হয় ১৯৯৬ সালে। এই টেলিস্কোপের যন্ত্রগুলো তৈরির জন্য গবেষণা শুরু হয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে ও যন্ত্রগুলো তৈরি শুরু হয় ২০০৪ সাল থেকে। ২০২১ সালের শুরু দিকে এই টেলিস্কোপটি তৈরি শেষ হয়।

টেলিস্কোপটি যেভাবে আলোক তরঙ্গ সংগ্রহ করবে

টেলিস্কোপের বিভিন্ন যন্ত্র যেভাবে সংগৃহীত আলোক তরঙ্গ বিশ্লেষন করে মহাকশের বিভিন্ন বস্তু সম্বন্ধে তথ্য উদ্ধার করবে (পঞ্চম ছবি)

১) এটি পৃথিবীর ইতিহাসে তৈরিকৃত সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ যা স্থাপন করা হবে পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ১০ লক্ষ মাইল বা ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে ল্যাগরান্জ ২ নামক একটি স্থানে। এই টেলিস্কোপ এর উচ্চতা প্রায় ৩ তলা উঁচু বিল্ডিং এর সমান ও আকারে একটি ব্যাডমিন্টন খেলার মাঠের সমান।



এই টেলিস্কোপটি পূর্বের টেলিস্কোপ অপেক্ষা কত বড় সক্ষমতার দিক দিয়ে

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এর পূর্বে সবচেয়ে শক্তিশালী স্পেস টেলিস্কোপ ছিলও হাবল স্পেস টেলিস্কোপ যার প্রতিফলক আয়নার অপেক্ষে ১০০ গুন বেশি শক্তিশালী জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ।



ঈগল নেবুলার নিম্নোক্ত ছবিটি তুলেছে বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ হাবল। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটির সক্ষমতা হাবল টেলিস্কোপ অপেক্ষা ১০০ গুন বেশি। এবারে কল্পনা করুন এই একি নেবুলার ছবি যদি জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে তুলা হয় তবে সেই ছবি আরও কত বিস্তারিত হবে এই নেবুলটির বিভিন্ন অংশ তুলে ধরবে।

ছবি: ঈগল নেবুলা (হাবল টেলিস্কোপ দিয়ে ধারণকৃত)

২) এই টেলিষ্টোপে ৪ টি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র রয়েছ যে যন্ত্রগুলো বিভিন্ন দৈঘ্যের আলোক তরঙ্গ পরিমাপ করবে। যন্ত্র ৪ টি হলো: ১) Mid-Infrared Instrument (MIRI, ইউরোপিয়ান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ESA) আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এ অবস্থিত জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি যুগ্ম ভাগে তৈরি করেছে) ২) Near-Infrared Camera (NIRCam, আমেরিকার অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছে) ৩) Near-Infrared Spectrograph (NIRSpec, ইউরোপিয়ান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ESA) তৈরি করেছে) ৪) Near-Infrared Imager and Slitless Spectrograph/Fine Guidance Sensor (NIRISS/FGS, কানাডার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ( CSA) তৈরি করেছে)। প্রতিটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রে রয়েছে: Cameras, Spectrographs, Coronagraphs, Filters, Detectors

এই টেলিস্কোপে যে ৪ টি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্র রয়েছে

নিচের লিংক থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন এই ৪ টি যন্ত্র সম্বন্ধে।

৪) এই টেলিস্কোপের সাহায্যে মহাবিশ্ব সৃষ্টির একদম শুরুর অবস্থা থেকে (বিগ ব্যাং (মহা বিস্ফোরণ) এর ২০০ মিলিয়ন বছর পর থেকে বর্তমান অবস্থা পর্যন্ত) বর্তমান পর্যন্ত সৌরজগৎ এর বিভিন্ন গ্রহ, নক্ষত্র এর সৃষ্টি, গঠন উপাদান, ইত্যাদি সম্বন্ধে জানা যাবে।
৫) এই টেলিস্কোপটি একটি বড় আয়নার পরিবর্তে ছোট-ছোট ১৮ টি আয়নার সমন্বয়ে গঠিত যার দৈর্ঘ্য ২১ ফুট। এই আয়নাগুলোর পৃষ্ঠ কাঁচের পরিবর্তে স্বর্ণের প্রলেপ দিয়ে তৈরি কারণ কাঁচ অপেক্ষা স্বর্ণের প্রতিফলন ক্ষমতা বেশি। সৌরজগতের বিভিন্ন বস্তু থেকে আগত ইনফ্রারেড বা আবলোহিত আলোক তরঙ্গ (এই আলো মানুষ দেখতে পারে না কিন্তু অনুভব করতে পারে) এই টেলিস্কোপের আয়নায় প্রতিফলিত হয়ে টেলিস্কোপের সামনে ছোট একটি আয়নায় জড়ো হয়ে এর পরে ৪ টি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে যাবে। যে যন্ত্রগুলো আগত আলোকতরঙ্গগুলো বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন গ্রহ, নক্ষত্র এর সৃষ্টি, গঠন উপাদান, ইত্যাদি সম্বন্ধে তথ্য দিবে।

এই টেলিস্কোপটি যে আলোক তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বস্তু সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করতে পারবে

৬) এই টেলিস্কোপের পিছনের দিক থাকবে সূর্যের দিকে (সূর্য থেকে আগত আলো ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে যন্ত্রটি চালানোর জন্য) ও সামনের দিক লক্ষ রাখবে সূর্যের বিপরীত দিকে (এই দিকটি থাকবে সবসময় অন্ধকার)। সূর্যের দিকে যে প্রান্ত মনিটর করবে সেই প্রান্তের যন্ত্রগুলো ১২৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা ও সামনের দিকে মাইনাস ২৩৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার বস্তু চিহ্নিত করতে পারবে। এই টেলিস্কোপ কত সূক্ষ্মভাবে তৈরি হয়েছে তা জানা যাবে নিচের উদাহরণ থেকে। আপনার বাড়ির উঠানে যদি কোন প্রজাপতি তার ডানা নড়ায় তবে এই টেলিস্কোপের যন্ত্র তাও ধরতে পারবে।

৭) কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ কিংবা পূর্বে মাহকাশে পাঠানো টেলোষ্কোপ গুলো পৃথিবী পৃষ্ঠের সেট করে মহাশূন্যে পাঠানো হতো। কিন্তু এই টেলিস্কোপের আকার এত বড় যে এটি মহাকাশে পাঠানোর জন্য এত বড় রকেট নাই। ফলে এই টেলিস্কোপ টি এমন ভাবে তৈরিকরা হয়েছে যেমন করে আপনি দোকান থেকে ভাজ করা নতুন শার্ট কিংবা প্যান্ট কিনে বসায় গিয়ে ভাজ খুলে পড়েন। এই টেলিস্কোপটি মহাকাশে পাঠানোর পরে নিজে ভাজ খুলে গঠন করবে। পৃথিবীর ইতিহাসে এত জটিল বৈজ্ঞানিক যন্ত্র সম্ভবত আর তৈরি হয় নি। পৃথিবী পৃষ্ঠে তৈরি জটিল কোন যন্ত্র কাজ না করলে তা ঠিক করার উপর বের করা যায়; কিন্তু পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার কিলোমিটার দূরতে মহাকাশে টেলিস্কোপ পাঠানোর পরে যদি কোন যন্ত্র কাজ না করে তবে তা সংশোধন করার আর কোন উপায় থাকে না।

এই টেলিস্কোপের সাহায্যে মহাবিশ্ব সৃষ্টির একদম শুরুর অবস্থা থেকে (বিগ ব্যাং (মহা বিস্ফোরণ) এর ২০০ মিলিয়ন বছর পর থেকে বর্তমান অবস্থা পর্যন্ত) বর্তমান পর্যন্ত সৌরজগৎ এর বিভিন্ন গ্রহ, নক্ষত্র এর সৃষ্টি, গঠন উপাদান, ইত্যাদি সম্বন্ধে জানা যাবে।

৮) আপনি প্রশ্ন করতে পারেন কেন মহাকাশ গবেষণার জন্য স্থাপিত টেলিস্কোপগুলো সাধারণ স্থানে না বসিয়ে পাহাড়ের শীর্ষে কিংবা মহাশুন্যে স্থাপন করা হয়ে থাকে?

উত্তটা আপনার পড়া স্কুল জীবনের সাধারণ বিজ্ঞান কিংবা ভূগোল বই এ পড়েছেন। মনে করিয়ে দিচ্ছি। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের অন্যতম উপাদান হলও জ্বলিয় বাষ্প। যে জ্বলিয় বাষ্প সময়ে সময়ে ঘনীভূত হয়ে প্রথমে মেঘে পরিণত হয় ও এর পরে বায়ু সম্পৃক্ত হলে বৃষ্টি আকারে ভূ-পৃষ্ঠে পতিত হয়। বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তরকে বলে ট্রপোসফেয়ার যার উচ্চতা পৃথিবী পৃষ্ট থেকে প্রায় ১২ থেকে ১৬ কিলোমিটার। পৃথিবী পৃষ্ট থেকে যদি ১২ কিলোমিটার উচ্চতার মই তৈরি করা হয় ও সেই মই মেয়ে আপনি উপরে উঠতে থাকেন তবে প্রতি কিলোমিটার উপরে উঠার ফলে তাপমাত্রা প্রায় ১০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড কমতে থাকবে। এই একই কারণে প্রায় ৯ কিলোমিটার উচ্চতার হিমালয় পর্বতের উপরে তাপমাত্রা থেকে মাইনাস ৪০ থেকে ৬০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড। বিজ্ঞান বইতে আপনারা আর একটা বিষয় শিখেছেন যে গরম বাতাসের জ্বলিয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা বেশি ঠাণ্ডা বাতাস অপেক্ষা। যেহেতু বহু-পৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে বাতাসের তাপমাত্রা কমতে থাকে তাই বহু-পৃষ্ঠ অপেক্ষা উপরের বাতসে জ্বলিয় বাষ্পের পরিমাণও কমতে থাকে। মাইনাস ২০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় বাতাসে জ্বলিয় বাষ্পের পরিমাণ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসে।

কোন স্থানে মহাকাশ গবেষণার জন্য স্থাপিত টেলিস্কোপগুলো বসানোর প্রধান শর্ত হলও ঐ স্থানের বাতাসে জ্বলীয় বাষ্পের পরিমাণ কত কম। যে কারণে প্রতিটি দেশ মহাকাশ গবেষণার জন্য টেলিস্কোপগুলো স্থাপন করলে সেই দেশের সবচেয়ে উঁচু স্থানটি নির্বাচন করে যাতে করে অন্য গ্রহ-উপগ্রহ থেকে আগত মহাকর্ষীয় তরঙ্গ বাতেসে অবস্থিত জ্বলিয় বাষ্প দ্বারা সর্বনিম্ন পরিমাণ শোষিত হয়। পৃথিবী পৃষ্ঠের যে কোন স্থানে টেলিস্কোপ স্থাপন করা হউক না কেন অন্য গ্রহ-উপগ্রহ থেকে আগত মহাকর্ষীয় তরঙ্গ বাতেসে অবস্থিত জ্বলিয় বাষ্প দ্বারা শোষিত হওয়ার সমস্যা থেকেই যায়। ভূ-পৃষ্ঠের জ্বলিয় বাষ্প সমস্যার জন্য এড়িয়ে খুবই সঠিক ভাবে খুবই সুক্ষন সিগনাল ধরার জন্য আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আজ ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে মহাকাশে পাঠাচ্ছে James Webb Space Telescope।


৯) আপনি প্রশ্ন করতে পারেন পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে ল্যাগরান্জ পয়েন্টে স্থাপন করা হচ্ছে কেন এ টেলিস্কোপটি?

টেলিস্কোপটি সূর্যকে কেন্দ্র করে তার চারপাশে ঘুরতে থাকবে। এই ঘুর্নয়নের সময় সূর্য ও পৃথিবীর টেলিস্কোপটিকে নিজের দিকে টানতে থাকবে অভিকর্ষ বলের প্রভাবে। একই সময় টেলিস্কোপটি বৃত্তের কেন্দ্র বিমুখী বলের প্রভাবে নিজের পথ থেকে দুরে সরে যেতে চাইবে। এই ল্যাগরান্জ পয়েন্ট টি এমন একটি স্থান যেখানে টেলিস্কোপটির কেন্দ্র বিমুখী বল ও সূর্য ও পৃথিবীর মিলিত কেন্দ্রমুখী বল একটি অন্যটিকে ক্যান্সেল করে দিবে যার কারণে টেলিস্কোপটি সবসময় সূর্য থেকে একই দূরত্বে অবস্থান করে তার চার পাশে ঘুরতে থাকবে প্রাকৃতিক ভাবে। টেলিস্কোপটি যদি ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে ল্যাগরান্জ পয়েন্ট ২ এ স্থাপন না করে যদি ১০ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্বে স্থাপন করা হতো তবে সূর্য ও পৃথবীি মিলিত কেন্দ্রমুখী বল টেলিস্কোপটিকে অনেক বেশি বলে নিজেদের দিকে আকর্ষণ করতো। ফলে এই আকর্ষণের কারণে টেলিস্কোপটি পৃথিবীর দিকে চলে আসতো অর্থাৎ নিজের কক্ষচ্যুত হতো। এই কক্ষ বিচ্যুতি এড়ানোর জন্য টেলিস্কোপের নিজস্ব ইঞ্জিন চালিয়ে আবারও পূর্বের অবস্হানে সরে যেতে হতো নির্দিষ্ট সময় পর-পর যার জন্য টেলিস্কোপের ইঞ্জিনের অনেক বেশি জালানি দরকার হতো। কিন্তু এই ল্যাগরান্জ পয়েন্টে স্থাপন করার কারণে টেলিস্কোপটি পৃথিবী ও সূর্যের দিকে চলে আসবে না বললেই চেল। ফলে টেলিষ্কোপটিকে নির্দিষ্ট সময় পর-পর ওর্বিটাল কারেকশন (আবারও পূর্বের কক্ষপথে ফেরত আসা) সবচেয়ে কম জালানি ব্যবহার করতে হবে। ফলে টেলিষ্কোপটি দীর্ঘ সময় ধরে কার্যকর থাকবে ও গবেষণা কাজ চালিয়ে যাবে। আশাকরি এবারে বুঝতে পরেছেন পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে ল্যাগরান্জ পয়েন্টে স্থাপন করা হচ্ছে কেন এ টেলিস্কোপটি?



খুব সহজ ভাষায় বলতে হয় ল্যাগরান্জ পয়েন্টে টেলিষ্কোপটির কেন্দ্রমুখী ও কেন্দ্রবিমুখী বল প্রায় সমান হওয়ার টেলিষ্কোপরি নিজের কক্ষপথে একই গতিতে প্রতিনিয়ত ঘুরতে থাকবে।






মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৫

সাসুম বলেছেন: ধন্যবাদ পলাশ ভাই মানব জাতির ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির টেলিস্কোপ টা নিয়ে ব্লগে লিখার জন্য। আমি যদিও লিখেছিলাম ফেবুতেই বেশ ক দিন আগেই।


নোটঃ লেগরাঞ্জ পয়েন্ট ( এল ২ ) তে বসানোর কাহিনী টা খুবই চমৎকার! একটা নতুন জিনিষ জানা হল এটা জানার পর থেকে।

আরো একটা জিনিষ, থার্মাল ইন্সুলেশান এর জন্য তাদের টেকনোলজিটা ও জটিল যাতে করে এক পাশ থেকে আরেক পাশে হিট ট্রান্সফার হতে না পারে। এই জিনিষ টার সিস্টেম পুরো মাথা নস্ট করার মত।

আমি খুব আগ্রহ ভরে অপেক্ষা করছি কবে নাগাদ ১ম নক্ষত্র সৃষ্টির ছবি দেখতে পাব!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: এই টেলিস্কোপের প্রতিটি যন্ত্রই একটি বৈজ্ঞানিক বিষ্ময়। বিশেষ করে এই আয়নাগুলো ও টেলিষ্কোপের দুই পাশের মাত্র কয়েক ইন্বি দুরত্বের দুই প্রান্তে প্রায় ৬০০ ডিগ্রী তাপমাত্রার পার্থক্য নির্নয় এর সক্ষমতা অবিশ্বাস্য।

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫২

জ্যাকেল বলেছেন: অভিভূত না হয়ে পারলাম না। আপনার মুখে ফুলচন্দন পড়ুক।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ নিজের ভালোলাগা জানানোর জন্য।

৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: আজকেই পড়েছিলাম এ বিষয় নিয়ে। বিস্তারিত জানলাম আপনার পোষ্টে
অনেক ধন্যবাদ

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকেও ধণ্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:





সর্বশেষ ছবি: এখানে দেখানো হচ্ছে যে, JWST পৃথিবীকে কেন্দ্র করেও ঘুরছে; কিন্তু আপনি ধারণা দিয়েছে যে, ইহা আপন কক্ষে থাকে সুর্যকে প্রদিক্ষণ করবে!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: এটি সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরবে যেহেতু এটি সূর্য থেকে আগত সৌরশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উদপাদন করবে নিজের যান্ত্রপাতি চালানোর জন্য।

৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সোবুজ বলেছেন: মানুষের ধর্ম বিশ্বাসের উপর যেন আঘাত না আসে।মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন আল্লাহপাক।বলছেন হও আর হয়ে গেছে।এর বেশি আর কি জানার আছে।সমস্ত কিছু বিস্তারিত লিখা আছে পবিত্র ধর্মগ্রন্থে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের কোন সংঘর্ষ নাই; সমস্যা হলো কিছু মানুষের মনগড়া ধর্মের ব্যাখ্যা যা মানুষকে বিভ্রন্ত করে।

৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



৪নং মন্তব্য:

আমার দেখার ভুল, উহা চাঁদ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
যাক আপনার ভুল ভেঙ্গেছে শুনে খুশু হালাম।

৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৯

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ১। শুধুমাত্র বাংলাদেশের সরকারী কর্মচারীদের ২ বছরের ঘুষের টাকায় এরকম ৭ /১০ টা ক্যামেরা বানানো যাবে ।
২। এই ক্যামেরা দিয়ে এলিয়েন দেখা যাবে ?

৮ নং পয়েন্টে ব্যাখাটা আমার কাছে সহজবোধ্য নয় ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
বাতস যদি ভেজা থাকে তবে সেই বাতাস অন্য গ্রহত-নক্ষত্র থেকে আগত আলোক তরঙ্গ শোষন করে নেয় ফলে তা পৃথিবী পৃষ্ঠে অবস্হিত টেলিস্কোপে ধরা পরে না বা পড়লেও সিগনাল খুবই দূর্বল হয়ে যায় যা থেকে তথ্য উদ্ধার করা যায় না। এই সমস্যা দূর করার জন্য মহাশুন্যে টেলিষ্কোপ পাঠানো হয় যেহেতু মহাশুন্যে কোন জালিয় বাষ্প থাকে না তাই অন্য গ্রহত-নক্ষত্র থেকে আগত আলোক তরঙ্গ শোষন ও হওয়ার কোন রিস্ক থাকে না।

৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্ট।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।

৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা কামাল পলাশ ,




সুখবর যে, আরিয়ান-৫ রকেটে চড়ে বড়দিনের সকালেই ফ্রেঞ্চ গিয়েনার ইয়োরোপের স্পেসপোর্ট থেকে এই টেলিস্কোপটি
মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে সাফল্যের সাথেই। আরো ২৯ দিন লাগবে টেলিস্কোপটির তার কক্ষপথে পৌঁছুতে। এই সময়ের মধ্যে সে তার আয়নাগুলোকে মেলে ধরবে । এরপরে তার ভেতরের যন্ত্রগুলোকে কমিশনিং করতে হবে মূল কাজ শুরুর আগে। এতে লাগতে পারে ৬ মাসের মতো সময়। ২০২২ এর শেষের দিকে হয়তো এর পাঠানো প্রথম ছবিটি আমরা দেখতে পাবো।

সুন্দর ও জেনে রাখার মতো পোস্ট।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আহমেদ জি এস ভাই,

আপনাকে ধণ্যবাদ খুব সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য যে মন্তব্যে টেলিষ্কোপটির আগামী ৬ মাসের কার্যক্রম উল্লেখ করেছেন যা পাঠকদের আগ্রহ মেটাবে যে এই টেলিষ্কোপ কবে থাকে কাজ করা শুরু করবে। আগামী ১০ বছরে হবে মহাকাশ গবেষক ও মহাকাশ গবেষনার স্বর্ন সময়।

১০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:৫৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: খুবই ভালো খবর । অনেক খুটিনাটি জানলাম এই লেখা হতে

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
জেনে খুশি হলাম যে এই পোষ্ট আপনার ভালো লেগেছে।

১১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫৯

বিটপি বলেছেন: পৃথিবীর মানুষের জন্য সত্যিকারের বড়দিন আজকে। কিন্তু কথা হচ্ছে, এটি কি পৃথিবী থেকে সর্বদা একই দূরত্বে অবস্থান করবে? নাকি সূর্যের আকর্ষনে এর দিক বদল হবে?

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
টেলিষ্কোপটি যে স্হানে স্হাপন করা হয়েছে (ল্যাগরান্জ পেয়ন্ট ২, উপরে ছবি দেওয়া হয়েছে) সেই স্হানে টেলিষ্কোপটির উপর সূর্য ও পৃথিবীর কেন্দ্রমুখি বল ও টেলিষ্কোপ টির নিজের কেন্দ্রবিূখী বল প্রায় সমান ও একটি অন্যটিকে ক্যান্সেস করে দিবে। ফলে টেলিষ্কোপটি প্রতিনিয়ত একই কক্ষপথে অবস্হান করে সূর্যের চারপাশে ঘুরতে থাকবে। আশাকরি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছে।

১২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
রাজীব নূর ভাই, পরেরবার আসার সময় ভাবিকে নিয়ে আসবেন। আচ্ছা ভাবি ব্লগিং করে না?

১৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: খুব সময় নিয়ে পড়লাম। এতো কষ্ট করে লেখেন কিভাবে?
দিনে দিনে আরো সব পরিষ্কার হবে।
সুন্দর পোষ্ট।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
এই টেলিষ্কোপ নিয়ে আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ৫ বছর পূর্ব থেকেই। সেই থেকে নিয়মিত খোজ-খবর রাখেছি উৎক্ষেপনের সময়টির জন্য। সেই সাথে নিজের জানার আগ্রহ থেকে এত টেলিস্কোপের বৈজ্ঞানিক কারিগরি দিক সম্বন্ধে জানার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে যেহেতু নিজে পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র ও নিজের পিএচডি গবেষনার জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে সবসময় ব্যবহার করি। বিশেষ করে এই টেলিষ্কোপটি ইনফ্রারেড বা অবলোহিত আলোক তরঙ্গ ব্যবহার করবে যা আমার গবেষনার কাজেও ব্যবহার করি সব সময়।

পোষ্ট ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

১৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:২৪

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আস্সালামুআলাইকুম, আপনাকে মেসেঞ্জারে রিকোয়েস্ট করেছিলাম। যদি সুযোগ হয় দেখবেন।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনি কোন নামে রিকুয়েষ্ট করেছিলনে ও কবে সেটি জানালে সুবিধা হতো আমার জন্য খুজে পেতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.