নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ডায়রি

ইব্রাহীম সাজ্জাদ

নিজের সম্পর্কে বলার মতো তেমন কিছুই নাই

ইব্রাহীম সাজ্জাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নূর হোসেনঃ বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৪


১০ নভেম্বর নূর হোসেনের আত্নাহুতি দিবস। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর গনতন্ত্র প্রতিষ্টার সংগ্রাম করতে গিয়ে ঢাকার জিরোপয়েন্টে মিছিল চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন নূর হোসেন। নূর হোসেন আজও হয়ে আছেন বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে অমর এই শহীদের নামানুসারে জিরোপয়েন্টের স্কোয়ারের নামকরণ করা হয় নূর হোসেন স্কোয়ার। বাংলাদেশের ডাকবিভাগ ১৯৯১ সালে তাঁর নামে প্রকাশ করে স্মারক ডাকটিকেট।
----------------------------------------------------------------------

বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়
শামসুর রাহমান

সারারাত নূর হোসেনের চোখে এক ফোঁটা ঘুমও
শিশিরের মতো জমেনি, বরং তার শিরায় শিরায়
জ্বলেছে আতশবাজি সারারাত, কী এক ভীষণ
বিস্ফোরণ সারারাত জাগিয়ে রেখেছে
ওকে, ওর বুকে ঘন ঘন হরিণের লাফ,
কখনো অত্যন্ত ক্ষীপ্র জাগুয়ার তাকে
প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে জ্বলজ্বলে
চোখে খর তাকিয়ে রয়েছে ওর দিকে,
এতটুকু ঘুমাতে দেয়নি।

কাল রাত ঢাকা ছিল প্রেতের নগরী,
সবাই ফিরেছে ঘরে সাত তাড়াতাড়ি।
চতুর্দিকে নিস্তব্ধতা ওঁৎ পেতে থাকে,
ছায়ার ভেতরে ছায়া, আতঙ্ক একটি
কৃষ্ণাঙ্গ চাদরে মুড়ে দিয়েছে শহরটিকে আপাদমস্তক।
মাঝে মাঝে কুকুরের ডাক নৈঃশব্দকে
আরো বেশি তীব্র করে তোলে
প্রহরে প্রহরে, নূর হোসেনের চোখে
খোলা পথ ওর
মোহন নগ্নতা দিয়ে আমন্ত্রণ জানায় দুর্বার।
অন্ধকার ঘরে চোখ দুটি অগ্নিঘেরা
জানালা, কব্জিতে তার দপদপ করে ভবিষ্যৎ।

এমন সকাল তার জীবনে আসেনি কোনোদিন,
মনে হয় ওর; জানালার কাছে পাখি এ-রকম সুর
দেয়নি ঝরিয়ে এর আগে, ডালিমের
গাছে পাতাগুলি আগে এমন সতেজ
কখনো হয়নি মনে। জীবনানন্দের
কবিতার মায়াবী আঙুল
তার মনে বিলি কেটে দেয়। অপরূপ সূর্যোদয়
কেমন আলাদা,
সবার অলক্ষে নূর হোসেনের প্রশস্ত ললাটে
আঁকা হয়ে যায়,
যেন সে নির্ভীক যোদ্ধা, যাচ্ছে রণাঙ্গনে।

উদোম শরীরে নেমে আসে রাজপথে, বুকে-পিঠে
রৌদ্রের অক্ষরে লেখা অনন্য শ্লোগান,
বীরের মুদ্রায় হাঁটে মিছিলের পুরোভাগে এবং হঠাৎ
শহরে টহলদার ঝাঁক ঝাঁক বন্দুকের সীসা
নূর হোসেনের বুক নয়, যেন বাংলাদেশের হৃদয়
ফুটো করে দেয়; বাংলাদেশ
বনপোড়া হরিণীর মতো আর্তনাদ করে, তার
বুক থেকে অবিরল রক্ত ঝরতে থাকে, ঝরতে থাকে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: উদোম শরীরে নেমে আসে রাজপথে, বুকে-পিঠে
রৌদ্রের অক্ষরে লেখা অনন্য শ্লোগান,
বীরের মুদ্রায় হাঁটে মিছিলের পুরোভাগে এবং হঠাৎ
শহরে টহলদার ঝাঁক ঝাঁক বন্দুকের সীসা
নূর হোসেনের বুক নয়, যেন বাংলাদেশের হৃদয়
ফুটো করে দেয়; বাংলাদেশ

................................................................................
গনতন্ত্র নিরপেক্ষ ভাবে মুক্তি পাক

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



নূর হোসেনের জন্য খারাপ লাগছে। গণতন্ত্র মুক্তি পাক। +++

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৭

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: কবিতাটা ভালো লাগলো।

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০৪

ইব্রাহীম সাজ্জাদ বলেছেন: আমাদের এই দেশে আদৌ গণতন্ত্র আসবে কি না জানিনা!!!

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

হাবিব বলেছেন: অসাধারন++++

৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

আলআমিন১২৩ বলেছেন: ইব্রাহীম সাজ্জাদ বলেছেন: আমাদের এই দেশে আদৌ গণতন্ত্র আসবে কি না জানিনা!!---গণতন্ত্র আসবেই...আসতেই হবে।

৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: নূর হোসেন বেচারা খামাখা জীবন দিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.