নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ডায়রি

ইব্রাহীম সাজ্জাদ

নিজের সম্পর্কে বলার মতো তেমন কিছুই নাই

ইব্রাহীম সাজ্জাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলে গেলেন বীরপ্রতীক তারামন বিবি........

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫



তারামন বিবি ১৯৫৭ সালে কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর উপজেলার শংকর মাধবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তার বাবার নাম আবদুস সোহবান এবং মায়ের নাম কুলসুম বিবি।
তারামন বিবি ১১ নং সেক্টরে নিজ গ্রাম কুড়িগ্রাম জেলার শংকর মাধবপুরে ছিলেন। তখন ১১ নং সেক্টরের নেতৃত্বে ছিলেন সেক্টর কমান্ডার আবু তাহের। মুহিব হাবিলদার নামে এক মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবিকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন।যিনি তারামনের গ্রামের পাশের একটি ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি তারামনকে ক্যাম্পে রান্নাবান্নার জন্য নিয়ে আসেন। তখন তারামনের বয়স ছিলো মাত্র ১৩ কিংবা ১৪ বছর। কিন্তু পরবর্তিতে তারামনের সাহস ও শক্তির পরিচয় পেয়ে মুহিব হাবিলদার তাকে অস্ত্র চালনা শেখান।
পরবর্তীতে সহকর্মীদের কাছ থেকে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের সাথে অনেক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭৩ সালে তৎকালীন সরকার মুক্তিযুদ্ধে তারামন বিবিকে তার সাহসীকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য “বীর প্রতীক” উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তাকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। ১৯৯৫ সালে ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক বিমল কান্তি দে প্রথম তার সন্ধান পান।এ কাজে বিমল কান্তিকে সহায়তা করেন কুড়িগ্রামের রাজীবপুর কলেজের অধ্যাপক আবদুস সবুর ফারুকী।
এরপর নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ কার কয়েকটি সংগঠন তাকে ঢাকায় নিয়ে আসে। সেই সময় তাকে নিয়ে পত্রিকায় প্রচুর লেখালেখি হয়। অবশেষে ১৯৯৫ সালের ১৯শে ডিসেম্বর তৎকালীন সরকার এক অনাড়ম্বর পরিবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে তারামন বিবিকে বীরত্বের পুরস্কার তার হাতে তুলে দেন।তারামন বিবিকে নিয়ে আনিসুল হকের লেখা ‘বীর প্রতীকের খোঁজে’ নামক একটি বই রয়েছে। আনিসুল হক রচিত ‘করিমন বেওয়া’ নামক একটি বাংলা নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন তারামন বিবি।
তারামন বিবির স্বামীর নাম আবদুল মজিদ।এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তারামন বিবি কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করেন।
তারামন বেগম যিনি তারামন বিবি নামে অধিক পরিচিত হলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। ১৯৭৩ সালের সরকারি গেজেট অনুযায়ী তার বীরত্বভূষণ নম্বর ৩৯৪। গেজেটে নাম মোছাম্মৎ তারামন বেগম।
তারামন বিবি
মৃত্যু
১ই ডিসেম্বর, ২০১৮

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বীরপ্রতীক তারামন বিবির মৃত্যুতে শোকাহত আমরা।
আল্লাহ তাকে বেহেসত নসীব করুন। আমিন

২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ তাকে বেহশত নসিব করুন।

৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: তাঁর জন্য শ্রদ্ধা

৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনার অনদানের প্রতি সন্মান রলো, উনার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা রলো

৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: একজন বীরপ্রতীককে ৭৩ সাল থেকে ৯৫ সাল পর্যন্ত খোঁজে রাখা হয়নি! সত্যি কি বিচিত্র!!

৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

মাহের ইসলাম বলেছেন: শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা।
আল্লাহ্‌ তাকে বেহেশত নসীব করুন।

৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০

ইব্রাহীম সাজ্জাদ বলেছেন: আমিন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.