নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১
পাখিদের ঠান্ডা লাগছে
আমার প্রাণবন্ধু পাখিরা হিমায়িত হয়ে যাচ্ছে চোখের সামনে
কীভাবে সেলাই করি লাল নীল কমলা রঙের চাদর...
আমার হাতখানি যে পুড়ে গেছে
চাঁদের বুড়ি
ছোট ছোট চাদর বানিয়ে দে
আমি পাখিদের শরীরে পরিয়ে দেবো পাখিবস্ত্র, স্বর্গের পরিধান।
২
পুরনো বইয়ের পাতা উল্ঠে চোখে পড়লো
মমি হয়ে আছে কয়েকটা মাছি ও অচিন বৃক্ষের পাতা...
মমি হয়ে আছে পাতার স্পন্দন আর মাছির উড়াল
সাঁতার কাটি
নয়'শ বছরের পুরনো সমুদ্রে একা...
এ-কোন বিস্মৃতির জল কেবল ফেটে ফেটে যায়
এ-কোন কাহিনী-গাঁথা শবযাত্রী, সানাই আর ঘোড়ার ক্ষুরের শব্দ
স্বর্গের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে
চুম্বন শেষে কেন তারা ঠোঁটগুলো ছুঁড়ে দিলো নরকের দিকে!
দু'চোখ ঝাপসা হয়ে আসে
দু'চোখে জন্ম নেয় অজস্র রক্তের ডালপালা...
মেহেকানন্দা নদীতীরে অহ ঈশ্বর
কোনো এক কুয়াশাভোরে তুমি কি রক্তডুমুরের ডালগুলো কেটে দেবে!
৩
কে যেন রাস্তার পাশে মলীন চাঁদটাকে রেখে গেছে
চাঁদের গায়ে হুচট খেলাম
শুধু পা নয়, সমস্থ "আমি" ভেঙ্গে গেলে চাঁদের শরীর থেকে চাঁদনী ও আগুন বের হয়...
জন্ম হয় দাউ দাউ চিতার...
মহাআনন্দে পুড়তে থাকি পৃথিবীর প্রথম মানুষ
ওহে শ্রীমতি. ঠাকুর মা আমার
আমিও চিতা জ্বালানোর কৌশল শিখে গেছি।
৪
জানালার দিকে তাকিয়ে দেখি
রাস্তার সব গাড়িগুলোকে যেন কেউ সাদা কাপড় দিয়ে মুড়ে দিয়েছে
চারদিকে বিধবার রূপ স্থির হয়ে আছে।
আমি বেরিয়ে পড়ি...
দাঁড়িয়ে থাকি ত্রিশ বছর...
ওগো কন্যা হিমানী,
আর কী করে চিনবে আমায়
আমি তো শীতার্ত ভূ-খণ্ড এক, কেবলই ধারণ করি তুষারের নক্সা
আমি এখন মানুষ নই, তুষারমানমবী...
৫
আয়না হতে পিছলে পড়েছে মুখগুলো
আজ তোমার মুখের গভীরে দেখি ভেঙ্গে-যাওয়া সেই আয়নার দাগ।
বিবর্ণ থৈ থৈ
বিধবার শাদা থানের মতো চারদিক...
হে দিন, হে রাত্রি, হে বসন্ত, হেমন্ত মৌসুম
হে প্রজাপতির ডানা, পাখির পালক, হে বৃন্দাবনের সিঁদুর
কোথাও কোনো রঙ নেই
আমাদের মেহদীবাগান কালো কুয়াশার নীচে ঢাকা পড়ে আছে I
শুনেছি পাথরে মেহদীপাতা ঘষলে রঙের হলাহল বের হয়ে আসে
আমি আজ হৃৎপিন্ডকে পাথর বানিয়ে নিয়েছি।
৬
আজ এই শুক্লা দ্বাদশীর চাঁদ ফেটে গিয়ে
নীল-বর্ণ আলো ঝরছে
নরক প্রদেশে।
নরকের নয় দরজা খুলে বসে আছি আমি আর একটা অন্ধ হরিণী...
দু'চোখ ছিদ্র করে
গলিত চোখের রঙে চন্দ্রের পিঠে এঁকে দিয়েছি গাছের ছবি
এই গাছ স্বর্গের গাছ
এক একটা শিশু মৃত্যুর পর সেই গাছে একটা করে ফুল ফোটে
ওহ ইশ্বর
সময় হলে কি তুমি দেখে যাবে
সেই গাছে অনেক অনেক ফুল ফুটেছে
তুমি কি একবারও শুঁকে যাবে না হাস্নাহেনা অথবা মুনিরাহেনার গন্ধ!
৭
চাঁদের শরীর থেকে বের হচ্ছে ধূয়া ও শিশির
দুই হাজার বছর আগেকার রাত ছাই হবে দুই হাজার পনেরো সালে
দু'চোখের অন্ধ ছায়া উড়ে যাচ্ছে অন্ধকারে
পাখিরা নৌকা চালায় বাতাসের নদে
নিঃশ্বাস ফেটে যাচ্ছে ধীরে গাছের, মানুষের
ফাটা-নিঃশ্বাসে তুমি কি একবারও আত্নহত্যা করতে আসবে না!
৮
সময় পেরিয়ে যাচ্ছে ছিপছিপে এক মাতামুহুরী নদী
নদী পেরিয়ে যাচ্ছে সময়
হাতের নীলবর্ণ রেখায় এ-কার ছায়া দেখা যায়!
ছাদের উপর বৃষ্টির গুঞ্জণ থামছে না কিছুতেই
তানপুরার হৃত্পিন্ডে আঙুল ফেটে গেলে বুজতে পারি না
এ-কান্না উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে নাকি মাতামুহুরীর
ঘরের জানালা কিছুতেই বন্ধ হয় না
আমাদের জানালায় আটকে রয়েছে নদীর দরজা।
৯
বিষ পান করছি না কি বিষের নি:শ্বাস নিচ্ছি
পান করছি পরমায়ু
প্রজাপতির ডানা লাগিয়ে দিয়েছি
ধীরে চলো
ধীরে চলো
নিমাই সন্ন্যাসীর গ্রাম যে বহু দূর
১০
কে যেনো আমার কন্ঠস্বর থেকে
নিদ্রাতুর কিছু শব্দ লুণ্ঠন করে নিয়ে যায় নিধুয়া পাথারে
অতঃপর কাচের করাত দিয়ে শব্দগুলো কুচি কুচি করে ভাসিয়ে দেয়
আড়িওল খাঁ'র বুকে
ভাসে গলাকাটা নদী
ভাসে নারী
ভাসে গলাকাটা নক্ষত্র
শকুনের ডানায় চিৎকার ভাসে জল ও স্থলভূমে...
মৃত্যুর গন্ধ চৌদিকে
দূরে যাই
দূরে যাই
পৃথিবীর কোনো এক রান্নাঘরে আলু-পটল কাটতে ভুলে যাই
আমি আমাকে কেটে ফেলতে ভুল করি না
ওহ পাখি, পরমাত্মা...
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২৯
ধ্রুবক আলো বলেছেন: কবিতা খুব সুন্দর লিখেছেন।
শেষের স্তবক টা একটু অন্যরকম ছিলো
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ। সদা মঙ্গলে থাকুন।
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭
সাহসী সন্তান বলেছেন: শিরোণামের অর্থটা কি বুঝাইয়া দিতে পারবেন? কবিতা কয়েকটা বেশ ভাল ছিল! স্পেসেফিক ভাবে ৫ এবং ৮ নম্বরটা খুব ভাল লাগলো! ৭ নং কবিতার রচনাকাল বোধহয় দুইবছর আগের তাই না?
পোস্টে ভাল লাগা! শুভ কামনা জানবেন!
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: মেহেকানন্দা নামে একটা নদী খননের চেষ্টা চলছে...
''৭ নং কবিতার রচনাকাল বোধহয় দুইবছর আগের'' এমন নিবিষ্ট পাঠের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬
বিজন রয় বলেছেন: মেহেকানন্দা মানে কি?
মানুষ এত এত কবিতা কিভাবে লেখে সেটা ভেবে আমি কোন কিনারা পাই না।
ভাবি আমিও যদি এমন পরতাম!!
অনেক অনেক ভাললাগা জানিয়ে গেলাম।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: ''মেহেকানন্দা'' নাউন।
নিজের মতো করে ভেবে নেয়ার অবকাশ আছে।
পাঠ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮
তারুবীর বলেছেন: "স্বর্গের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে
চুম্বন শেষে কেন তারা ঠোঁটগুলো ছুঁড়ে দিলো নরকের দিকে।"
ভাবিয়েছে লাইন দুইটা।
ভালো লিখেছেন।শুভ কামনা রইল
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৪১
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩
Mashkura বলেছেন: Valo laglo.
৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩
Mashkura বলেছেন: Valo laglo.
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: পাঠের জন্য ধন্যবাদ।
৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৪
বাংলার ডিলান বলেছেন: অনেক ভালো লাগল।বিশেষ করে ২ নং ।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৯
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ১ নং পড়েছি। ভালো লেগেছে।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০০
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: সদা মঙ্গলে থাকুন।
১০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০১
অতৃপ্তচোখ বলেছেন: দারুণ কাব্য পড়লাম।
পরান পাখি বুঝানো হয়েছে কি ? আমি বুঝে উঠতে পারছিনা।
'দূরে যাই
দূরে যাই
পৃথিবীর কোনো রান্না ঘরে আলু-পটল কাটতে ভুলে যাই
আমি আমারে কাটতে ভুল করি না।
ও পাখি , পরমাত্মা .....'
সুন্দর কাব্য। ভালো লাগা রেখে গেলাম।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০২
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মঙ্গলম...
১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৬
ভাবুক কবি বলেছেন: ভাল লাগলো কবিতাটি
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪১
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ।
সদা মঙ্গলে থাকুন।
১২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৯
শামীম সরদার নিশু বলেছেন: খুব ভালো লাগল।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৩
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মঙ্গলম...
১৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০২
ANIKAT KAMAL বলেছেন: সীমার মাঝে অসীম তুমি , সাধারনের মাঝে অসাধারণ এমন লেখা অাপনার তাছে চাই সারাক্ষন
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৮
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: আপনি নিজে আলোকিত বলেই আলো দেখছেন। মুগ্ধতা...
১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯
পলাশমিঞা বলেছেন: আপনাকে সালাম।
আপনার নাম দেখে মন বিশ্বাস করেছিল। পরে ছবি দেখে আশ্বস্ত হয়েছি।
১ নং খুব ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫০
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন:
পাঠের জন্য ধন্যবাদ। মঙ্গলম...
১৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৯
পলাশমিঞা বলেছেন: উত্তরের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
সবার মঙ্গল হোক।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২১
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: সদা মঙ্গলে থাকুন...
১৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪২
নবিনের আলো বলেছেন: খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মঙ্গলম...
১৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১
টুনটুনি০৪ বলেছেন: খুব সুন্দর করে লিখেছেন বইটি। ভালো লাগল।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৬
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৫১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: পাখি কাব্যে মুগ্ধতা রইল
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৭
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ। সদা মঙ্গলে থাকুন।
১৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩১
টুনটুনি০৪ বলেছেন: অনেক ভালো ।
১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৬
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২০| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ ভোর ৫:৪৩
মিঃ আতিক বলেছেন: ধন্যবাদ। সদা মঙ্গলে থাকুন।
১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৭
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।
সদা মঙ্গলে থাকুন।
২১| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ ভোর ৫:৫৫
আলী প্রাণ বলেছেন: সুন্দর সাবলীল বোধগম্য সুখপাঠ্য
ভালো লাগা রেখে গেলাম।
১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৭
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মঙ্গলম...
২২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১০
ফারিয়া এজাজ বলেছেন: লেখাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো
৩০ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:১২
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৬
শিহাব প্রামাণিক বলেছেন: ভাল লেগেছে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ। মঙ্গলম...
২৪| ০৩ রা মে, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: শকুনের ডানায় চিৎকার ভাসে জল ও স্থলভূমে...
মৃত্যুর গন্ধ চৌদিকে
অত্যন্ত উচ্চস্তরের দর্শন চিন্তা।
০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩২
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ। সদা মঙ্গলে থাকুন
২৫| ০৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:২৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন । আমার ব্লগে কবিতা পাঠের দাওয়াত থাকলো ।
০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৩
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ। মুগ্ধতা..
২৬| ১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭
ইসফানদিয়র বলেছেন: অসাধারণ
০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৯
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২৭| ২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৭
বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?
নতুন পোস্ট দিয়ে দিন।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬
মুনিরা চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ। নতুন পোস্ট দেবো ভাবছি..
২৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৭
জাহিদ অনিক বলেছেন: দূরে যাই
দূরে যাই
পৃথিবীর কোনো এক রান্নাঘরে আলু-পটল কাটতে ভুলে যাই
আমি আমাকে কেটে ফেলতে ভুল করি না
ওহ পাখি, পরমাত্মা...
দারুণ
২৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৬
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: মুনিরা
আজ আপনার ব্লগবাড়িতে বসে আছি।
আপনি এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন জেনেছি কাল সন্ধ্যায়।
অন্তহীন সেই যাত্রায় কতদূর চলে গেছেন কে জানে।
কবিদের অভিমান বড় বেশি। আপনার চলে যাওয়াতে ব্যাথিত হয়েছি এত বেশি।
আপনার ফেইসবুক ঘুরে এই কবিতার অংশটুকু পেলাম। মনে হলো এখানে রেখে যাই। যারা আপনার কবিতা ভালোবাসে ,এসে পড়বে।
মাঝে মাঝে ভাবি এই যে এত কবিতা ,লেখালেখি কি লাভ? কিছুই তো থাকেনা।
আজ দেখছি থাকে।
কবিতাকে আজ আরো ভীষন আপন মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে, কবিতাতেই বেঁচে থাকা প্রান পাবে।
আপনাকে এই কবিতাতেই খুঁজে পাচ্ছি। অথচ দেখেন যখন আপনি ছিলেন,কই এভাবে ভাবিনিতো!
আমার ভাষাতেই বলে যাই তবে,
"পাঁজরে চিৎকার করে কে ডাকে আয় ?
চোখ ভিতরে চোখ ডাকে, অন্তরের গহীনের অন্তর ডাকে!
হাসনাহেনা ফুঁটেছে কোনখানে?
আত্মার আত্মীয় চলে গেছে বলে ,কে যেনো চলে যায় বালিয়াড়ি পথে।
সমুদ্র নেয়নি তাকে।
কবিদের অভিমান ,সমুদ্র জানেনা।
কবিরা মেহেকানন্দানদীতীরে হেঁটে বেড়ায় রেশম গুটির মত
পৃথিবীর কার সাধ্যি সেই শোকের মাতম করে!
জলোচ্ছাসের মত,দাবানলের মত
দানবের মত প্রচন্ড হা থেকে পালাতে থাকে ওরা
মঙ্গলম।
শুনতে পাচ্ছেন?
মঙ্গলম"
মুনিরার ফেইসবুক থেকে পাওয়া কবিতার অংশ
আজ আমার কোনো কর্ম নেই
মেহেকানন্দানদীতীরে কেবলই রুপন করছি বৃষ্টি ও কৃষ্ণদাগ...!
হঠাৎ শরীরটা কোন একটা বিন্দুতে আটকে গেলে সে পেছন ফিরে তার পা দুটো ধরে দাঁত কামড়ে শক্ত মাটির ওপর দিয়ে টেনে নিয়ে ঢালু জমিন ধরে চলতে লাগলো৷ টেনে নেয়া শরীরের মাথাখানি এদিক-ওদিক দুলছিলো, যেন সে অবস্থান পাল্টানোর জন্য আনন্দ প্রকাশ করছে৷ হঠাৎ বাঁক নেয়া একখানা গাড়ির আলোর ঝলক আবর্জনা, ঝোপ আর আসমান ভূমির ওপর পড়ে চারপাশ উজালা করে তুললো৷ লোকটি তখন চট করে শুয়ে পড়ে অপরজনের পাশে৷ এক মুহূর্তের জন্য দুটো মুখের বৈশিষ্ট্য যেন আঁকা হয়ে রইলো, একটি ভয়ে নীলবর্ণ, অপরটি ধুলোয় ভরা, অনুভূতিহীন৷ আবার অন্ধকার গ্রাস করে নেয় দু'জনকে৷ লোকটি উঠে দাঁড়িয়ে আরোও কিছুদূর টেনে নিয়ে গেলো বোঝা, পথ রোধ করে দাঁড়ানো উঁচু ঝোপগুলো পর্যন্ত৷ তারপর আবর্জনা আর শুকনো ডালপাতা দিয়ে ঢেকে দিলো৷ যেন সে ভাগাড়ের দুর্গন্ধ আর আসন্ন বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করতে চাইছে৷ অতঃপর একটু থেমে কপালের ঘাম মুছে ক্রুদ্ধ ভঙ্গিতে শব্দ করে থুথু ফেলে৷ এমন সময় শিশুর কান্নার শব্দে সে চমকে ওঠে৷ আবর্জনার মধ্য থেকে উঠে আসা ক্ষীণ চাপা কান্না, যেন তার নিচে চাপা পড়া মানুষটিই শিশুর রূপ ধরে কেঁদে উঠে অভিযোগ জানাচ্ছে৷
সে পালাতে গিয়েও থেমে যায়৷ বিজলি চমকানোর আলোয় অন্ধকারে উদ্ভাসিত হয়ে উঠলো পুলের লোহার মাস্তুল; আর সে হতচকিত হয়ে দেখতে পেলো কী সামান্য পথই না পার হয়েছে৷ পরাজয়ের গ্লানিতে তার মাথা নত হয়ে আসে৷ সে হাঁটু গেড়ে বসে গন্ধ শুঁকে শুঁকে সেই একঘেয়ে ক্ষীণ কান্নার উৎসের দিকে এগিয়ে চলে৷ হঠাৎ তার চোখে পড়ে এক দলা শাদা বস্তু৷ হতবুদ্ধির মতো দাঁড়িয়ে থাকে সেখানে সে কিছুক্ষন৷ তারপর চলে যাবার জন্য ইতস্তত কয়েক পা এগিয়েও বেশিদূর যেতে পারলো না৷ কান্নার শব্দ তাকে পেছনে টেনে ধরে রাখলো৷ সে একটু একটু করে আবার ফিরে এলো, ঘন ঘন শ্বাস পড়তে থাকলো তার৷ আরেকবার হাঁটু গেড়ে বসলো সে, তখনো দ্বিধান্বিত৷ তারপর দু'হাত বাড়িয়ে দিলো৷ সেই শাদা পিন্ডের মোড়কটি নড়েচড়ে ওঠে৷ সেখানে ছোট্ট এক মানবশিশু কতগুলো খবরের কাগজের পাতার মধ্যে যুদ্ধ করছে৷ লোকটি তাকে কোলে তুলে নেয়৷ তার ভাবভঙ্গি অনিশ্চিত, অনেকটা যেন প্রবৃত্তি তাড়িতের মতো, যেন সে কী করছে নিজেই জানে না, অথচ না করেও পারছে না৷ সে ধীরে ধীরে সোজা হয়ে দাঁড়ায়, যেন তার এই আচমকা অপ্রত্যাশিত কোমল ভাবাবেগের জন্য নিজের ওপর বিরক্ত সে; তারপর নিজের অজ্ঞাতেই গায়ের জ্যাকেট খুলে সেই জলে ভেজা কান্নারত শিশুটির গায়ে জড়িয়ে দেয় এবং হঠাৎ গতি বাড়িয়ে দিয়ে অনেকটা দৌড়োনোর ভঙ্গিতে সে ঐ কান্নাকে সঙ্গে নিয়ে ভাগাড় থেকে বেরিয়ে অন্ধকারে মিলিয়ে যায়৷
অস্তিত্ব বিলীন হলো
অন্য কোনো সঙ্গ বা অনুষঙ্গে নয়
আমরা এক সঙ্গেই মারা যাবো...
(কৃষ্ণদাগের বাকি অংশ)
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০২
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
খুব সুন্দর লিখেছেন ।