নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পারিবারিক নাম পরিচয় থাকলেও নিজের কাছে আমি নাম-পরিচয়হীন । আমি খুব বন্য । আমার ধর্ম-সমাজ কেবলই \'আমি\' । আমি তথাকথিত সমাজের \'অসামাজিক\'...

নাফিয়া মারিয়া

আমি পথ ভোলা এক পথিক, তবু চলন্ত ঘূর্ণি...

নাফিয়া মারিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রহণের কথা : মধু এবং বিষ

২৫ শে মে, ২০১৬ রাত ১:২১

পুরোনো এক বন্ধুর সাথে বহুদিন পর দেখা । বন্ধুকে বেশ দেশপ্রেমিক বলেই জানি । খুব ইন্সপায়ার করতে জানে । কিন্তু ওর মাঝে একটা বিরাট দোষ (আমার চোখে)- সে খুব হিন্দি সিনেমা দেখে । আমার মতে, যা আমাদের সংস্কৃতি ও তরুণ সমাজকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে যাবার জন্য যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে ।

তো বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম যেই চোখ দেশপ্রেমের কথা বলে, দেশকে অন্য চোখে দেখে সেই চোখে আবার হিন্দি সিনেমা দেখা হয় কেন ওসব তো আমাদের সংস্কৃতি-তরুণ প্রজন্মকে গোগ্রাস করে ধ্বংস করছে?

ও একটা উত্তরই দিলো, "মৌচাকে মধু থাকে বিষও থাকে । কোনটা সংগ্রহ করবা সেটা তোমার ব্যাপার ।"

কথাটা খুবই পছন্দ হয়েছিল । ভেবে দেখলাম, আমিই ভুল ছিলাম । আসলে কিছু এড়িয়ে যাবার চেয়ে মোকাবেলা করাই উত্তম । তরুণ প্রজন্ম ইন্ডিয়ান সংস্কৃতি অ্যাডিক্টেড । হোক না! আমরা কেন খারাপ কিছু গ্রহণ করবো? বরং তাদের অনুসরণ করে আমরা উত্সাহ-উদ্দীপনা পেতে পারি । তা আদৌ কি হচ্ছে? ওরা যেভাবে অভিনয় করে, যেকোনো চরিত্রের সাথে একদম মিশে যেতে পারে, সেরকম কয়টা আমাদের দেশের সিনেমায় দেখা যায়? ধরুন হাতে গোণা কয়েকটা । ওদের 'তারে জামিন পার', 'থ্রি ইডিয়টস' কিংবা 'চলো পাল্টাই' থেকে কি নিজেদের আমরা পাল্টাতে পারি না? ওদের 'হ্যাপি নিউ ইয়ার', 'মেরি কম', 'চাক দে ইন্ডিয়া' কিংবা 'নিরজা'-তে নিজেদের দেশের প্রতি যতটা ভালোবাসা-দেশপ্রেম, দায়িত্বশীলতা দেখা যায় তা কি আমাদের একটুও বদলাতে সক্ষম না! অবশ্য সক্ষম কি করে হবে, যদি থাকি সানি লিওন বা যেকোনো পর্ণস্টারে বুঁদ!!! অন্যান্য সকল দেশের সিনেমার ক্ষেত্রতেও একই কথা প্রযোজ্য । দোষটা আমাদেরই, কিন্তু আমরা আসলে মাথাব্যাথায় ওষুধ না দিয়ে মাথা কেটে ফেলতে চাই । অবশ্য মাথাব্যাথা একদমই যখন না সারে, তখন সরকার মাথা কাটার আইন করলেও তাতে বিপক্ষে অবস্থান করবো না । তবে আশা রাখি, শুভ বুদ্ধির উদয় হোক... গ্রহণের গল্প মধুতেই মাখা থাকুক...

জানি না কতটুকু কি হবে, তবে আশা করতে তো আর দোষ নেই......

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৬ রাত ২:০০

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: আমাদের প্রজন্মতো ভালোটার দিকে গভীর দৃষ্টি দেয় কম,ভালোটা গ্রহণ করে এমন মানুষের পরিমাণ খুবই কম।হ্যাঁ,তবুও আশাবাদী...একদিন ভালোর সংখ্যাটাই অত্যধিক হবে যার বিপরীতে খারাপের অস্তিত্ব অনেকটাই বিলীন হতে বাধ্য

২৫ শে মে, ২০১৬ রাত ২:০৬

নাফিয়া মারিয়া বলেছেন: তা-ই আশা রাখি...

২| ২৫ শে মে, ২০১৬ রাত ২:০৪

পবন সরকার বলেছেন: সুন্দর লেখনি।

৩| ২৫ শে মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

অদৃশ্য বলেছেন:



এখানে একটি হেঁয়ালি প্রশ্ন করা যায়... কার কাছে কোনটি মধু আর কোনটি বিষ?
লিখাটি ভালো লেগেছে...
শুভকামনা...

২৬ শে মে, ২০১৬ রাত ১:২৪

নাফিয়া মারিয়া বলেছেন: যে যেভাবে নিবে তার কাছে সেটা.. যাই হোক, ধন্যবাদ

৪| ২৫ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভারতীয় ছবি ভারতীয় জনগণের জন্যে অর্ডার দিয়ে বানানো, সেখানে বঙ্গবাসি জনগণ সেটা দুই একবার চেখে দেখলে হয়তো রুচিবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে, কিন্তু সব বাদ দিয়ে ওই ছবিই গলাধঃকরণ করতে থাকলে- বদহজম অবশ্যম্ভাবী।

২৬ শে মে, ২০১৬ রাত ১:২৪

নাফিয়া মারিয়া বলেছেন: সেটাই তো মূল সমস্যা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.