নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বহুদিন একটি হিন্দি সিনেমার কিয়েদাংশ দেখার সুযোগ হয়েছিল। এমনিতেই সিনেমা দেখি না তার উপর হিন্দি সিনেমাতো আরো দেখি না। বলতে পারেন হিন্দির প্রতি এক ধরনের এ্যালার্জি আছে। হিন্দিতো উর্দূরই আর একটি রূপ। শুধুমাত্র লেখার ক্ষেত্রে ভিন্নতা ছাড়া হিন্দি আর উর্দূর মাঝে খুব একটা পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় না। ভাষাতত্ব ছেড়ে যা লিখতে বসেছি সেদিকে যাই।
সিনেমাটির নায়ক ছিলেন ববি দেওল। ববি দেওল একজন এ্যাডভোকেট। অনেকদিন ধরেই তিনি একটি মামলা লড়ে যাচ্ছেন। উপমহাদেশের সিনেমাগুলোতে যা হয়ে থাকে আরকি। ববি দেওল গরীব এবং সত্যের পক্ষ্যে লড়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত বারবার রায় প্রদানের তারিখ পরিবর্তন করছেন। তখন ববি দেওল বিজ্ঞ আদালতকে বিরাট এক বক্তব্য শুনিয়ে দিলেন। তিনি বললেন, আমরা এই আদালতে আসি ন্যায় বচার পাবার আশায়। অথচ এই বিজ্ঞ আদালত কিনা তারিখের পর তারিখ পেরিয়ে গেলেও বিচারের দিনটিকে ধার্য করতে পারছেন না। তবে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে কি করে?
নারায়নগঞ্জের সেই আলোচিত সেভেন মার্ডারের মামলাটিও তারিখের পর তারিখ পেরিয়ে অবশেষে বিজ্ঞ আদালন রায় প্রদানের দিনটি ধার্য করেছেন। ওহ! তার আগে বলে নেই, আপনাদের হয়তো সেই সেভেন মার্ডারের কথা স্মরনই নেই। স্মরণ না থাকারই কথা। ছোট্ট একটি দেশ বাংলাদেশে হলেও সেখানে ঘটনা দূর্ঘটনার অভাব নেই। সাগর-রুনি পেরিয়ে মিতু আক্তার বাবুল আক্তার হলি আর্টিজেন বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুুরির মাঝে সেই সেভেন মার্ডারের কথা কি আর স্মরণ থাকে। যে সেভেন মার্ডারে উঠে আসে মন্ত্রী মহাশয় মোফাজ্জল হোসেন মায়ার জামাই কর্ণেল তারেক এবং নূর হোসেনের নির্মমতার করুন বর্ণনা। তাদের নির্মমতার কাছে পিশাচও হয়তো হার মানতে বাধ্য হবে। সেই মায়ার জামাই এবং নূর হোসেনের বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারী রায় প্রদান করা হবে।
কর্ণেল তারেক র্যাবের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হলেও মায়ার জামাই হবার কারণে ডিপার্টমেন্টে তার ভূমিকাও মন্ত্রীর জামাই এর মত। সেই কদর আমরা জেলখানাতেও দেখতে পেয়েছি। কারাগারে মায়ার জামাইকে বেশ মায়া দেখানো হইছে। সেখানে নাকি তিনি জামাই আদরেই ছিলেন। মন্ত্রীর জামাই বলে কথা তাই সবখানেই জামাই আদর।
সেই জামাই মার্কা মায়া কি বিচার ব্যাবস্থাতেও বলবৎ থাকবে? অসম্ভব নাহ। বাংলাদেশে অসম্ভব বলে কোন শব্দ নেই। কারণ যে দেশে ১৫ টা মার্ডার কেসের আসামীকে রাষ্ট্রপতির আইনি ক্ষমতার মাধ্যমে সাজা মওকুফ করা হয় আর কোন আদিকালের সাক্ষিবিহীন মামলাতেও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই মন্ত্রী মায়ার জামাইকে মায়া দেখানোটাও অস্বাভাবিক নয়।
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬
ডার্ক ম্যান বলেছেন: তিনি একজন সাবেক সেনা এ পরিচয়টা যথেষ্ট, জামাই আদরে থাকার জন্য।
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বাংলাদেশে সবই সম্ভব!
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মায়ান সভ্যতার মত এরাও একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে।