নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সব সময় সুন্দর ■ www.facebook.com/niazuddin.sumon

নিয়াজ সুমন

ভালোলাগে ভ্রমন করতে। প্রকৃতির সাথে মিশে গিয়ে ছবির ফ্রেমে নিজেকে আবদ্ধ করতে। অবসর কাটে সাহিত্যের আঙিনায় পদচারনা করে। ব্যস্তময় যান্ত্রিক জীবনের মাঝেও চেষ্টা করি নিজের অব্যক্ত কথামালা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে।

নিয়াজ সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

⌂ ভ্রমণ » পুঠিয়া ■ চলুন ঘুরে আসি উত্তরবঙ্গের অসাধারণ কারুকার্যময় পুরাকীর্তি » গোবিন্দ মন্দির (Gobinda Temple)

১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৫


বর্ষার ঝুম বৃষ্টি উপেক্ষা করে ইতিহাস ঐতিহ্য দেখার অভিলাষে উত্তরবঙ্গে অবস্থিত চমৎকার সব স্থাপনা আর নিদর্শন দেখতে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল গত বছর। হাতে ছাতা কাধেঁ ব্যাগ সাথে রাস্তায় জমে থাকা অপরিষ্কার পানির টইটুম্বর ও দমাতে পারেনি সেই দিনের পথচলা। কখনও বৃষ্টির ঝাপটায় হয়েছি ভিজে সিক্ত । কখনও বা যথাসমযে গাড়ি না পেয়ে অপেক্ষায় হয়েছি বিরক্ত । রোদ বৃষ্টির এমন খেয়ালিপনা সত্ত্বেও সেদিন শেষ করে এসেছিলাম রাজশাহী ভ্রমণ । রাজশাহী ভ্রমণের প্রথম ঐতিহাসিক স্থান চাঁপাইনবাবগঞ্জ্ এর ছোট সোনামসজিদ ইতোমধ্যে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আজ আপনাদের নিয়ে যাবো পুঠিয়া উপজেলায় অবস্থিত গোবিন্দ মন্দির আঙিনায়। অসাধারণ কারুকার্যময় গোবিন্দ মন্দিরের সাথে মিল রয়েছে দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দিরের।



● ইতিহাস:
পুঠিয়া পাঁচআনি জমিদার বাড়ি অঙ্গনে অবস্থিত গোবিন্দ মন্দির একটি গুরুত্বপূর্ণ পুরাকীর্তি। একটি উচু বেদীর উপর প্রতিষ্ঠিত বর্গাকার নির্মিত মন্দিরের কেন্দ্রস্থলে আছে একটি কক্ষ ও চার কর্ণারে রয়েছে ৪টি বর্গাকৃতির ছোট কক্ষ। গর্ভগৃহের চারপাশে ৪টি খিলান প্রবেশ পথ আছে। এটির উপরে একটি ফিনিয়েল বিশিষ্ট চুড়া আকৃতির ছাদ আছে ও কার্নিশ ধনুকের ন্যায় বাকানো। দেয়ালের ফলক গুলোতেও যুদ্ধের কাহিনী, বিভিন্ন হিন্দু দেব দেবীর চিত্র, সংস্কৃত ভাষায় রচিত পোড়ামাটির ফলক দ্বারা সজ্জিত। গোবিন্দ মন্দির ১৮২৩ থেকে ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে মহারাণী ভুবনময়ী দেবী কর্তৃক নির্মিত হয়। গোবিন্দ মন্দিরের অবস্থান পুঠিয়া রাজবাড়ির ছয়টি মন্দিরের মধ্যে সর্বনিকটতম।



● অবস্থান:
রাজশাহী শহর থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিখ্যাত পুঠিয়া রাজবাড়ির সবচেয়ে কাছে এই মন্দিরের অবস্থান। রাজবাড়ির পেছনের অংশে এই মন্দিরের একমাত্র মূল প্রবেশপথ। মন্দিরের পেছনে মহারাণীর গোসল-ঘাট। অন্যপাশে রাজবাড়ি, এবং রাজবাড়ির বিপরীত পাশে বর্তমানে রয়েছে ভূমি অধিদপ্তরের কার্যালয়। মন্দির এলাকার ভেতরেই রয়েছে কাছারিঘরের কর্মচারিদের জন্য প্রস্তুতকৃত ভবনের ধ্বংসাবশেষ।



▪ সংরক্ষনের অভাবে ধ্বংস হওয়ার উপক্রম পাশে অবস্থিত স্থাপনা ▪

● অবকাঠামো:
মন্দিরটি মূলত ইট দ্বারা নির্মিত, বহিঃ দেওয়ালে রয়েছে পোড়ামাটির চিত্রফলক। এসব চিত্রফলকে রামায়ণ ও মহাভারতের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। বর্গাকার এ মন্দিরের প্রতি বাহু ১৪.৪৭মিটার এবং উচ্চতায় প্রায় ১৮.২৮ মিটার। পঞ্চরত্ন স্থাপত্য পরিকল্পনায় এ মন্দিরের চারকোণে চারটি ও কেন্দ্রে একটি করে মোট পাঁচটি শিখর বা রত্ন আছে। শিখরগুলো ক্ষুদ্রাকার, চৌচালা আকারে নির্মিত। প্রথম তলার প্রতি পাশে ৩টি করে প্রবেশ পথ রয়েছে, প্রতিটি প্রবেশপথের উপরাংশে রয়েছে বহুমুখী খিলান। মন্দিরের ছাদের কোণগুলো আংশিক বাঁকানো। ২৫০ বছর পুরানো বলে প্রচলিত থাকলেও এর গায়ে চিত্রফলক দেখে ধারণা করা হয়, স্থাপনাটি ঊনবিংশ শতাব্দীতে নির্মিত৷



▪ পোড়া মাটির ফলক ▪

● কোথায় থাকবেন:
পুঠিয়াতে তেমন ভাল কোন থাকার ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। রাজশাহী সদর খুব কাছে হওয়াতে রাজশাহীতে থেকে পুঠিয়া ঘুরতে গেলে বা পুঠিয়া ঘুরে রাজশাহীতে গিয়ে থাকা যাবে খুব সহজে। রাজশাহীতে বিভিন্ন মানের অনেক আবাসিক হোটেল রয়েছে। পুঠিয়া যদি থাকতেই চান তবে, থাকার জন্য বেছে নিতে পারেন পুঠিয়া জেলা পরিষদের ডাক-বাংলো। জেলা পরিষদ থেকে ডাকবাংলোর কক্ষ বরাদ্দ নিতে হবে আগে থেকে। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়া পুঠিয়া বাসস্ট্যান্ডের পাশে একটি বেসরকারী আবাসিক হোটেল রয়েছে।



▪ অসাধারণ কারুকার্যময় দেয়াল ▪


▪ পোড়ামাটির ফলক দ্বারা সাজানের যুদ্ধের কাহিনী, বিভিন্ন হিন্দু দেব দেবীর চিত্র ▪





রাজশাহী ভ্রমণের অন্যান্য দর্শনীয় স্থান সমূহঃ

রাজশাহীর আরেকটি ঐতিহাসিক স্থান ছোট সোনা মসজিদ (Choto Sona Mosque)
এশিয়ার বৃহত্তম কানসাট আম বাজার
পতিসর রবীন্দ্রকুঠি বাড়ী
কবি গুরুর নাগর নদী
নাটোরের চলনবিল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস (রাবি)

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

নীল প্রজাপ্রতি বলেছেন: পোস্টে ভালোলাগা রইলো।

১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভ কামনা।

২| ১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮

কল্পদ্রুম বলেছেন: এখানে যাওয়া হয়নি।ছবিগুলো শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।এ ধরণের স্থাপনার পোড়ামাটির কাজ আমাকে সবসময় মুগ্ধ করে।

১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫

নিয়াজ সুমন বলেছেন: সবকিছু যদি আবার ঠিকঠাক হয়। পৃথিবী যদি আবার শান্ত হয়। তবে সময় নিয়ে একদিন ঘুরে আসবেন। শুভ কামনা আপনার জন্য।

৩| ১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। আপনার বর্ণনা বিশেষজ্ঞদের মতো। আপনি কি আর্কিওলজি বা এই জাতীয় কোন পড়ালেখা করেছেন? কিংবা এ জাতীয় কোন পেশায় আছেন?

১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৫

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ও রকম কিছু নয়। বাংলাদেশ হলো সব সম্ভবরের দেশ !
ধন্যবাদ ভুয়া মফিজ ভাই, আপনার মতামত ব্যাক্ত করার জন্য।
ইন্জিনিয়ারিং পড়ে যদি বাংলা সাহিত্যিক হওয়া যায়। ইংরেজী পড়ে যদি স্বাস্থমন্ত্রী হওয়া যায়।
তাহলে আমার ক্ষেত্রে দোষ কোথায় !!

সামু পরিবারে যুক্ত হওয়ার পর থেকে এই প্রাচীন ঐতিহ্য বিষয়ে অনেককিছু জানার সুযোগ হয়েছে। সেইজন্য সামু পরিবারের প্রত্যেক কে অশেষ ধন্যবাদ ও ভালোবাসা জানাই। ব্যক্তিগত ভাবে আমি স্কুল পড়া অবস্থায় পুরাতন ইতিহাস ঐতিহ্য বিষয়ে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিলো।
সেই আগ্রহ থেকে এখনো জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি--- হোক তা বাস্তবিক কিংবা ভার্চুয়াল ।

৪| ১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: দারুণ উপভোগ্য একটি পোস্ট। চমৎকার এবং তত্যবহুল। ভালো লাগলো। ভ্রমণ নিয়ে আরো পোস্ট চাই।

১৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ গোফরান ভাই, ভ্রমণ নিয়ে ইতোমধ্যে অনেকগুলো পোস্ট করা হয়েছে। আপনি আমার ব্লগের ভ্রমণ পোস্টগুলো ঘুরে আসতে পারেন। আশাকরি উপকৃত হবেন।

৫| ১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৮

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লেগেছে।
ভাললাগা ও শুভকামনা রইল।

১৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫১

নিয়াজ সুমন বলেছেন: প্রিয় বিজন ভাই, আপনার জন্যও থাকলো শুভকামনা। সুস্থ থাকুন সবসময়।

৬| ১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চমৎকার

১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৯

নিয়াজ সুমন বলেছেন: প্রিয় আলি ভাই শুভেচ্ছা রইলো আপনার তরে।।।।

৭| ১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পুরাতন দিন দেখতে খুবই ভালো লাগে

সুন্দর পোস্ট

১৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ ছবি আপু। পুরাতনে আমারও আগ্রহ বেশ।

৮| ১৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: যাই নি। দেখি নি।
অথচ সময় কত দ্রুত চলে যাচ্ছে।

১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:১০

নিয়াজ সুমন বলেছেন: একমত রাজীব ভাই, সময় খুবই সংক্ষিপ্ত অথচ দেখার অনেক কিছুই বাকি।

৯| ১৭ ই জুন, ২০২০ ভোর ৫:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তাহলে আমার ক্ষেত্রে দোষ কোথায় !! না, আপনার ক্ষেত্রে কোন দোষ নাই, চালিয়ে যান। :)

শুধুমাত্র দেশের প্রাচীন ঐতিহ্য নিয়ে আপনার আগ্রহ থাকলে ঠিক আছে। তবে, 'বিশ্ব' নিয়ে আগ্রহ থাকলে আমার ইটালী আর ইস্তান্বুলের পোষ্টগুলো না দেখে থাকলে দেখতে পারেন সময় করে। ভালো লাগলেও লাগতে পারে।

২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৯

নিয়াজ সুমন বলেছেন: প্রিয় মফিজ ভাই, বিশ্ব নিয়ে আপনার ভ্রমণ ব্লগ গুলো দেখলাম, চমৎকার বর্ণনা সাথে দৃষ্টিনন্দন ছবিতে মুগ্ধ হয়েছি। আপনার আরো বিশ্ব ভ্রমণ দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

১০| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ভাল পোষ্ট, কত কিছু এখনো দেখা হল না!

২২ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫৫

নিয়াজ সুমন বলেছেন: জীবনের এই সংক্ষিপ্ত সময়ে পৃথিবীর বুকে জমে থাকা অফুরন্ত সুন্দর দেখে শেষ করা হয়তো সম্ভব নয় কখন !
ব্লগে প্রথম আগমনে রান্নার কারিগর উদরাজী ভাইকে অফুরন্ত ভালোবাসা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.