নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সব সময় সুন্দর ■ www.facebook.com/niazuddin.sumon

নিয়াজ সুমন

ভালোলাগে ভ্রমন করতে। প্রকৃতির সাথে মিশে গিয়ে ছবির ফ্রেমে নিজেকে আবদ্ধ করতে। অবসর কাটে সাহিত্যের আঙিনায় পদচারনা করে। ব্যস্তময় যান্ত্রিক জীবনের মাঝেও চেষ্টা করি নিজের অব্যক্ত কথামালা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে।

নিয়াজ সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাম জাদী ৷ পাহাড় চূড়ার দেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ ধাতুতে একদিন

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:১৯


সুনশান নিরবতার মাঝে শনশন বাতাসের ঝাপটায় ১৫০০ ফুট উঁচু পাড়াড়ের চূড়ায় দাড়িয়ে যখন আপনি সবুজ প্রকৃতির সতেজ অক্সিজেন গ্রহণ করছেন কিংবা অসীম আকাশের নীল-সাদার সম্মিলনের অর্পূব দ্যুতি পলকহীন নয়নে দেখছেন কিংবা চারপাশে সবুঝ প্রকৃতির মাঝে আকাঁ-বাঁকা, উচুঁ-নিচু ঢেউ খেলানো পাহাড়ের সৌন্দেয্যে যান্ত্রিক জীবনের সকল ক্লান্তি একমুহুর্তে ভুলে যাচ্ছেন। চোখ বন্ধ করে একটি বার অনুভব করুন তো এমন পরিবেশ এখন আপনি আছেন। নিজের কাছে তখন কেমন অনুভুতি হবে। নিশ্চয়ই অভিভুত হয়ে এই কথাটিই বলবেন – “এককথায় অসাধারণ, অসাধারণ” !


ঠিক ধরেছেন। এমন ঘোরলাগা চমৎকার অভিজ্ঞতার জন্য আপনাকে আসতে হবে এই জাদী মন্দিরে। বান্দরবানে আসার পর বেশির ভাগ মানুষ এই জায়গায় তেমন আসে না হতে পারে সঠিক অবস্থান চিনতে না পারার জন্যে বা দুরত্বের কারনে । অন্যসবার মতো আমিও অনেকবার বান্দরবন বেড়াতে গেলেও এই জায়গা সর্ম্পকে জানতাম না। যখন জানলাম ঘুরে আসার পর অভিভুত না হওয়ার উপায় ছিলো না।


দেড় হাজার ফুট উঁচু পাহাড়, তার চূড়ায় বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মন্দির, যাকে বান্দরবানের রাম জাদী বৌদ্ধমন্দির বলা হয়। জাদীটি পর্যটকদের কাছে এখন সবচেয়ে আকর্ষণীয়। এই জাদী মন্দিরে ছোট-বড় সব মিলিয়ে ১০০টি বুদ্ধমূর্তি রয়েছে । এটি নির্মাণে সময় লেগেছে ১১ বছর।


২০০৫ সালে জেলা শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে রোয়াংছড়ি উপজেলা সড়কের হুদা বাবুর ঘোনা এলাকায় পাহাড়ের চূড়ায় ১৭৫ ফুট উচ্চতার রাম জাদির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। ২০১২ সালে জাদিতে স্থাপন করা হয় বুদ্ধমূর্তি ও ধাতু। মিয়ানমারের দক্ষ নির্মাণ প্রকৌশলীরা জাদীটি নির্মাণ করেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে প্রায় দেড় হাজার ফুট উঁচুতে গড়ে তোলা রাম জাদীটি অনেকের কাছে রামা জাদী নামে পরিচিত।


জাদীকে আকর্ষণীয় করতে স্বর্ণাভাব রং দেওয়া হয়েছে। এটির অভ্যন্তরে রয়েছে ছোট-বড় পিতলের ১০টি বুদ্ধমূর্তি এবং জাদির ওপরের অংশে রয়েছে আরও ৯০টি বুদ্ধমূর্তি। দেশের অন্যতম বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু দি ওয়ার্ল্ড বৌদ্ধ শাসন সেবক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা উপঞ ঞা জোত মাহাথেরো রামা জাদিটি নির্মাণ করেছেন। মিয়ানমার, চীন, থাইল্যান্ডের বৌদ্ধমন্দিরগুলোর আদলেই রামা জাদী নির্মাণ করা হয়েছে।


জাদীর কাছেই রয়েছে বিহার। এটি এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ও দেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ জাদী । জাদীর উচ্চতা প্রায় ১৭৫ ফুট। দক্ষ স্থাপত্য প্রকৌশলীর হাত দিয়ে অনন্য নির্মাণশৈলীর এ স্থাপনা তৈরিতে ১১ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা মৌজায় বান্দরবানের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উদ্যোগে নির্মিত রামা জাদি বৌদ্ধ মন্দির।


অবস্থানঃ
এটি বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কের ৪র্থ কিঃমিঃ এলাকায় পাহাড়ের উপর অবস্থিত ।















তথসূত্রঃ সহায়তা ইন্টারনেট
সর্বশেষ দু’টি ছবি নেট থেকে নেওয়া বাকি সব নিজের তোলা।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৪০

মিরোরডডল বলেছেন:


নিসু, বান্দরবানে গিয়েছিলাম অনেক আগে ২০০০ এ । সেখানে কোনও এক টেম্পলে গিয়েছিলাম অনেক ওপরে, চারদিকে ভিউ খুব সুন্দর কিন্তু নামটা মনে নেই । ওখানেও সেপারেটলি অনেকগুলো মন্দির আর অনেক মূর্তি ছিল কিন্তু ২০১২ এর অনেক আগের ঘটনা । হয়তো অন্য কোনও মন্দির হবে ।

নিসু কি বান্দারবানে রাজবাড়ীতে গিয়েছিলো । সেখানে এক রাজাও ছিল । :)

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৪৯

নিয়াজ সুমন বলেছেন: আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনি হয়তো স্বর্ন মন্দিরে গিয়েছেন, স্বর্ন মন্দির থেকে ও চমৎকার ভিউ দেখা যায়। বান্দারবনের রাজ বাড়ীতে যাওয়ার সুযোগ হয়নি , তাই রাজাকেও দেখা হয়নি।

ডল আপুনি,
আপনি কি এই মন্দিরটির কথা বলছেন?

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:১০

মিরোরডডল বলেছেন:



স্বর্ণ মন্দির, বাহ নামটা সুন্দরতো । হতে পারে । অনেক আগে দেখা ঠিক মনে নেই । মন্দিরগুলো অনেকটা একই রকম দেখতে ।

রাজবাড়ী অনেক দেখেছি বিভিন্ন জায়গায় কিন্তু রাজা দেখিনি কখনও, তাই খুব আগ্রহ নিয়ে রাজার সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছি এক রাতে । পুতুলের মতো বৃদ্ধ এক রাজা, কথা বলে জেনেছিলাম উনি কলকাতা থেকে স্টাডি করেছেন । এডুকেটেড ছিলেন । অবশেষে বান্দরবানের রাজা । সেইসময়ে ওনার যে বয়স ছিল, এখন মনে হয় উনি বেঁচে নেই । অন্য কেউ হবে হয়তো । এ যুগেও যে রাজা থাকতে পারে বিষয়টা খুব ইন্টারেষ্টিং লেগেছিল । কতো বকবক করে ফেললাম :P
অনেক থ্যাংকস নিসু ।


০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:২৩

নিয়াজ সুমন বলেছেন: আপুনি,
আপনার রাজা দেখার অভিজ্ঞতা শুনে ভালো লাগলো, এখন তো আমার আগ্রহও বেড়ে গেলো,
পরবর্তীতে যদি কোন সুযোগ হয় অবশ্যই রাজার সাথে সাক্ষাত করার চেষ্টা করবো।
আপনি কিভাবে রাজার সাক্ষাৎ পেয়েছেন টিপস দিলে কাজে লাগতো...

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই মূর্তিগুলিগুলি কি ধাতুর তৈরি? এখানে কি এখনও এবাদত করে বৌদ্ধরা?

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:০১

নিয়াজ সুমন বলেছেন: মুর্তিগুলো ধাতুর তৈরী।
আমি গিয়েছিলাম ১৪ এপ্রিল ২০১৮ সালে। ছবি গুলো সেই সময়ের তোলা।
তখন কাজ প্রায় শেষের দিকে। এতদিন হয়তো পুরোপুরি কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:২৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: রামজাদী নাম দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম সামনে বুঝি একটা অক্ষর লিখতে ভুলে গেছিলেন। হা হা পরে সাইনবোর্ডে নামটা দেখে বুঝলাম ভুল হয়নি।

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪২

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ভাগ্যিস সাইনবোড এর ছুবি তুলেছিলাম।
না হয় তো ঘটনা উল্টো যাওয়ার সমূহ সম্বাবনা ছিলো...
(হা হা হা )
ধন্যবাদ ও ঈদ মোবারক জানবেন মেহরিন আপুনি।

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: রামজাদী নাম দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম সামনে বুঝি একটা অক্ষর লিখতে ভুলে গেছিলেন। হা হা পরে সাইনবোর্ডে নামটা দেখে বুঝলাম ভুল হয়নি। =p~ =p~

ভারতের জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভের অনুকরনে সিংহ ওইখানে কি করে? দেইখাই তো মিজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে! অশোক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছিল বলেই কি ওগুলো লাগাতে হবে? যাকগে, ছবিগুলো চমৎকার হয়েছে। গুড পোষ্ট!! :)

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪২

নিয়াজ সুমন বলেছেন: আপনার সাথে একমত, মেজাজ খারাপ হওয়ার মতো বিষয় ।
শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার জন্য শাস্তি হিসেবে তপ্ত রোদের উপর বসায় দিলো কিনা তা ভাবছি সিংহ দুটিকে !!
যাইহোক, ছবি দেখে মনে ধরেছে জেনে খুশি হলাম মফিজ ভাইয়া।

৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা যাকগা আমার নতুন গল্প পড়েন নিয়াজভাই। চিলেকোঠার প্রেম মানে বর্তমানে আমি চিলেকোঠাতেই আছি।

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২০

নিয়াজ সুমন বলেছেন: কবিতা আপু,
দুটো পর্ব পড়েছি। এত রোমান্টিক গল্প লিখতেছেন..
আপনার আশেপাশে তো রোমান্টিক পাঠকের আনাগোনা বেড়ে যাবে...
সাবধানে থাকবেন...
পাঠ প্রতিক্রিয়া পর্ব ২ এ পাবেন..।

৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: বান্দবান তিনবার গিয়েছি। কিন্তু রামজাদীতে যাওয়া হয়নি কখনও।

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

নিয়াজ সুমন বলেছেন: আগামীবার আসলে আমাকে নক দিয়েন। দুজন একসাথে যাবো।

৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: বর্ণনাসহ ছবিগুলো দেখে অনেক কিছু বোঝা গেল।
চট্রাগ্রামে বেশ কয়েকটি পাহাড়ে উঠেছি ১৯৮৯ সালে, বাটালী হিল, হনুমান পাহাড় আরো কি কি ছিল ভুলে গেছে।

আর বেশ কয়েক বছর আগে কক্সবাজারে অবস্থিত বৌদ্ধ মন্দির দেখেছি।

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:২০

নিয়াজ সুমন বলেছেন: আপনার দেখা মন্দিরটি আমিও ঘুরে এসেছিলাম। আর তা নিয়ে একটি পোস্টও দিয়েছি।
নিচে লিংক দিলাম। পোস্টে ঘুরে আসুন একবার, পুরোনো স্মৃতিগুলো না হয় আবার আপনার মনে আনন্দের দোলা দিয়ে উঠুক নতুন করে।

কক্সবাজার বৌদ্ধ মন্দির

১৯৮৯ সালের সেই চট্টগ্রাম আর আজকের চট্টগ্রাম আকাশ-পাতাল ব্যবধান হয়ে গিয়েছে।
পরিবর্তিত চট্টগ্রাম দেখার আমন্ত্রন রইলো...

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:২৪

নিয়াজ সুমন বলেছেন: সরি পুর্বের লিংকটি ভুল হয়েছে।
পোস্টের সঠিক লিংক নিচের টা...
কক্সবাজার বৌদ্ধ মন্দির

৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০১

মিরোরডডল বলেছেন:



আপনি কিভাবে রাজার সাক্ষাৎ পেয়েছেন টিপস দিলে কাজে লাগতো...

টিপস দেবার মতো কিছু নেই । সন্ধ্যা্র পর দেখার কিছু নেই তাই ওখানেই গেলাম । রাজা থাকলেও ওটা কোনও রাজবাড়ী না । মুকুটহীন রাজা । কথা বলে আর দেখে যা বুঝলাম বান্দরবান হিল ডিস্ট্রিকের যে চিফ তিনিই হলেন ওদের মনোনীত রাজা । ওনার আশেপাশে যাদের নিয়ে উনি থাকেন তারাও সবাই কাইন্ড অভ মঙ্ক, টেম্পলে যেমনটা দেখা যায় ।

ট্রেসপাসিং করে ঢুকেছি আর কি । হা হা হা ......
আসলে প্রথমে দেখা হবেনা বললেও পরেতো দেখলাম ভিতরে নিয়ে গেলো :)


০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫৬

নিয়াজ সুমন বলেছেন: বুঝতে পেরেছি।
উঞ্চ দুপুরের শুষ্ক শুভেচ্ছা রইলো।
ভালো থাকুন সর্বদা...

১০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪

জুন বলেছেন: আপনার ব্লগ দেখে নিজের দেখার কথা মনে হলো নিয়াজ সুমন । ছবিগুলো খুব সুন্দর উঠেছে । আমি যখন গিয়েছি তখন মোবাইল সহ ক্যামেরা ছিল না । বোঝেন কত আগে গিয়েছিলাম :)

আর সিংহের মুর্তিগুলো বুদ্ধ ধর্মের পৌরানিক প্রানী। তারা ঐ মঠের দ্বার রক্ষক । এটা আপনি শ্রীলংকার পতাকায় দেখতে পাবেন । আর অন্যান্য বুদ্ধিষ্ট দেশের বিভিন্ন মঠেও আছে ।
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো

০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২৪

নিয়াজ সুমন বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা আপনাকেও। শুভ হোক নতুন রর্ষ।
বুঝতে পারছি আপনি শুরুর পর্যায়ে গিয়েছিলেন। আমি যখন গিয়েছিলাম তখনও অনেক কাজ বাকি ছিলো । সিড়ি গুলো দেখে হযতো বুঝতে পেরেছেন। এতদিনে হয়তো কাজ সম্পুর্ণ হয়ে এখন আরো নান্দনিক হয়েছে স্থাপনাটি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.