নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সব সময় সুন্দর ■ www.facebook.com/niazuddin.sumon

নিয়াজ সুমন

ভালোলাগে ভ্রমন করতে। প্রকৃতির সাথে মিশে গিয়ে ছবির ফ্রেমে নিজেকে আবদ্ধ করতে। অবসর কাটে সাহিত্যের আঙিনায় পদচারনা করে। ব্যস্তময় যান্ত্রিক জীবনের মাঝেও চেষ্টা করি নিজের অব্যক্ত কথামালা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে।

নিয়াজ সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শান্ত সবুঝ সিআরবি হিল ( CRB Hill )

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৮


বন্দরনগরী চট্টগ্রাম শহরের অতি প্রাচীনতম স্থাপনার নাম সি.আর.বি (CRB) এর পূর্ণ রূপ হচ্ছে সেন্ট্রাল রেলওয়ে ভবন। কালজয়ী ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে সিআরবি ভবন চট্টগ্রাম ঠিক তেমনি নাগরিক জীবনের কোলাহল থেকে কিছুটা স্বস্তি, আরাম আর মানসিক প্রশান্তির খোঁজে সময় পেলে মানুষ জমায়েত হয় এই সিআরবি শান্ত নিরিবিলি পরিবেশে। পুরো এলাকায় দৃষ্টিনন্দন আঁকা-বাঁকা, সর্পিল রাস্তা উঁচু নিচু সবুজ পাহাড় টিলা, বন-বনানী ছায়া সুনিবিড় এই বিরাট এলাকাটি অঘোষিত ভ্রমনের জায়গা হিসেবে যুগ যুগ ধরে চট্টগ্রামের মানুষদের দিয়ে আসছে বিনোদনের আস্বাদন।


বাংলাদেশের প্রথম বাষ্প ইঞ্জিন


১৮৬২ সালে তৎকালীন বৃটিশ সরকার তদানিন্তন পূর্ববঙ্গের দর্শনা থেকে জাগতি পর্যন্ত ৫৩.১০ কি.মি. ব্রডগেজ রেলপথ স্থাপনের মাধ্যমে এতদ্বাঞ্চল রেলপথের গোড়াপত্তন করে। ১৮৯১ সালে সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে তখন ১৬/১১/১৮৯২ইং, গেজেটমূলে ফেনী থেকে রেলওয়ে চট্টগ্রামের বটতলী পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্যই কেন্দ্রীয় রেল ভবন প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন পূর্ববঙ্গের চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের ভৌগোলিক অবস্থান ও চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবহন সুবিধাকে রেলওয়ের সাথে সমন্বিত করার প্রয়াসেই ১৮৯৯ইং সালে সি.আর.বি প্রতিষ্ঠা করা হয়।


চট্টগ্রামের সিআরবির সাত রাস্তার মোড় ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে। পাহাড় ঘেরা মনোরম পরিবেশে নির্মাণ করা হয়েছে শিরীষতলা সহ বেশ কিছু নান্দনিক স্থাপনা। শিরীষতলায় বসে জমিয়ে আড্ডা দেয়া যায়, মাঠে খেলা যায়। সাথে দেখবেন, মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতি দেয়া শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম স্মৃতিফলক, তারপর নজরে আসবে ১৮৯৯ সালের তৈরি বাষ্পীয় রেল ইঞ্জিনের মডেল।


ভবনের দক্ষিণ দিকে বিরাট আঙিনায় দায়সারা গোছের ফুলের বাগান দেখলে অব্যবস্থাপনার ছাপ ফুটে উঠবে। সি.আর.বির পূর্ব দিকে রাস্তার পূর্ব পার্শ্বে রেলওয়ে হাসপাতাল অবস্থিত। এটা একসময় ছিল ফিরিঙ্গি অফিসারদের ক্লাব, কর্মক্লান্ত কর্মকর্তারা কাজের বাইরের সময়টুকু এখানে আমোদ-প্রমাদ করে কাটাতেন, আড্ডা দিতেন, নিজ দেশে ফেলে আসা আত্মীয়স্বজনের গল্প করতেন। গেল চার/পাঁচ বছর ধরে সি.আর.বি পাহাড়ি জনপদের এ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার আশপাশ ও পাহাড়ের তলদেশে বাঙালির সর্ববৃহৎ বৈশাখী উৎসব, বসন্ত উৎসব ও ঐতিহ্যবাহী সাহাবুদ্দিনের বলীখেলায় লক্ষাধিক লোকের জমায়েত ঘটে। বলা যেতে পারে বর্তমান সময়ে চট্টগ্রামে সাহিত্য সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্র এই সি.আর.বি।


যাওয়ার উপযুক্ত সময়ঃ
সারা বছর যাওয়ার উপযুক্ত সময়। কিন্তু বিকালের টাইমের মানুষের ভিড় বেশি থাকে এবং পরিবেশটা খুব ভাল লাগবে । বিশেষ করে সরকারি বন্ধের দিনগুলিতে মানুষের আনাগোনা বেশি থাকে।


কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকেঃ বিআরটিসি এর বাসগুলো ছাড়ে ঢাকা কমলাপুর টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছাড়ে, আর অন্যান্য এসি, ননএসি বাস গুলো ছাড়ে সায়দাবাদ বাস ষ্টেশন থেকে।


অন্য শহর থেকেঃ দেশের প্রায় সব কয়টি জেলার সাথে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। আপনি আপনার শহর থেকে নিজের পছন্দ মত বাসে এসে চট্টগ্রাম শহরে এ কে খানে নামবেন এবং সেখান থেকে সি এন জি বা সিটি বাসে করে চলে যাবেন সি আর বি ।


নদী পথেঃ
বরিশাল, খুলনা পটুয়াখালী ইত্যাদি জেলার সাথে চট্টগ্রামের রয়েছে লঞ্চ/ইস্টিমার সার্ভিস। সুতরাং আপনি নদী পথে ও চট্টগ্রাম আসতে পারেন।


রেলওয়েঃ
ঢাকা থেকে আশুগঞ্জ, ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আখাউড়া, কুলিল্লা, চান্দপুর, ফেনী হয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ট্রেন সার্ভিস রয়েছে। তাছাড়া সিলেট থেকে ও ট্রেন সার্ভিস রয়েছে।

একেখান মোড় বা অলংকার মোড় বা জি.সি মোড় থেকে থেকে সিএনজিচালিত বেবি টেক্সিতে ৮০-১০০ টাকা নিতে পারে। টাইগারপাস মোড় থেকে হাঁটলে পাঁচ মিনিটের পথ। এম এ আজিজ স্টেডিয়াম গেট থেকে ও একই সময় লাগবে।


অপুর্ব স্থাপত্য নিদর্শন ঐতিহ্যবাহি সিআরবি ভবন চট্টগ্রাম। ১৮৭২ সালে সম্পূর্ণ হওয়া ভবনটি, বন্দর নগরীর প্রাচীনতম ভবন।

সর্তকতা:
এক বা দুই জন সিআরবি বন্ধের দিন ব্যতিত যাওয়া বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে যাওয়া নিরাপদ নয়। গ্রুপ থাকলে তেমন অসুবিধা হবে না। পুরো এলাকাটি একটু নিরিবিলি আর নিস্তব্দ থাকায় কিছু অসৎ সুযোগ সন্ধানে থাকে।

*সর্বশেষের ছবিটি নেট থেকে

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার ছবি সহ দারুণ ভ্রমণ লেখা !
কখনো যাওয়া হয় নি, পরের বার নিশ্চয়ই দেখে আসব।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ইনশাল্লাহ, সম্ভব হলে আমাকে আসার আগে নক দিয়েন। আপনার গাইড হিসেবে কাজ দিবে।

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সো সুইট অফ উ নিয়াজ সুমন !
অবশ্যই চেষ্টা করবো জানাতে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯

নিয়াজ সুমন বলেছেন: আল্লাহ আপু মনির ইচ্ছা পুরন করুক। আমিন।

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকা থেকে শুধু সিআরবি হিল দেখতে গেলে পোষাবে না।
তবে চিটাগাং কোনো কাজে গেলে একফাকে দেখা যেতে পারে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৫

নিয়াজ সুমন বলেছেন:
শহরের মধ্যেঃ

ফয়েজ লেক
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
চট্টগ্রাম কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রি
বাটালী হিল
চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিং
বড়তলি রেলওয়ে স্টেশন (পুরাতন )
প্রজাপ্রতি র্পাক
জাম্বুরী র্পাক
লালদিঘি
ডিসি হিল
অভয়মিত্র ঘাট
পারকি সমুদ্র সৈকত
কর্ণফুলী ব্রিজ
বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার
মিনি রাংলাদেশ
বিপ্লব উদ্যান (জিয়া উদ্যান )
জিয়া স্মৃতি জাদুঘর
শিশু র্পাক


রাজীব ভাই আপনি ঠিক বলেছেন। আপনার কথা চিন্তা করে উপরের তালিকা দিয়ে দিলাম।

৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গাছগুলির বয়স মনে হয় অনেক। এই ধরনের গাছ ভালো লাগে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫১

নিয়াজ সুমন বলেছেন: আপনার ধারণা সঠিক। শতায়ুবর্ষী বড় বড় গাছগুলির জন্য পুরো এলাকাটি ভিন্নরকম সৌন্দয্যে আবৃত ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.