নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইরানের হামলায় ইসরায়েল কি ধ্বংস হয়ে গেছে আসলেই?

১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৯


ইসরায়েলে ইরানের মিসাইল হামলার একটি ভিডিও দেখতে পাচ্ছেন অনলাইনে। যাতে দেখা যাচ্ছে হাজার হাজার মিসাইল ইসরায়েলের আকাশে উড়ছে আর সাইরেন বেজেই চলেছে! ভিডিওটি দেখে আপনি ভাবতে পারেন, হাজার কোটি ডলার খরচ করে ইরানের পরিচালিত এই হামলায় ইসরায়েলে ধ্বংসযজ্ঞ হয়ে গেছে, লাখে লাখে ইহুদি মারা গেছে, অচিরেই হাউমাউ করে কেঁদে নেতানিয়াহু মুসলিম বিশ্বের কাছে ক্ষমা চাইবেন, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করে দিবেন। বাংলদেশ ও মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ মিডিয়াতেও তাই প্রচার করছে। কিন্তু আসলেই কি তাই?

না, আসলে তা ঠিক নয়। ইরানের এই হামলায় ইসরায়েলের একটা পাখিও মরেনি, মানুষ তো দূরের কথা। ভিডিওতে যে মিসাইলগুলো দেখতে পাচ্ছেন, খেয়াল করলে দেখবেন সেগুলো আতশবাজির মতো আকাশেই জ্বলে উঠছে অর্থাৎ আকাশেই নিজে নিজে বিস্ফোরিত হয়ে যাচ্ছে, মাটিতে আর নামছে না। মাটিতে যেহেতু নামছে না, তাই মানুষের বা অবকাঠামোর ক্ষতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। দেশে দেশে ইরানের হামলায় অতিরঞ্জিত উচ্ছাস আসলে বোকামির পরিচয় দিচ্ছে।

এমনটা কেন হচ্ছে? এর কারণ 'আয়রন ডোম' নামের একটি অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, যা কেবল ইসরায়েলের হাতেই আছে। এর কাজ হলো, দূর-দূরান্ত থেকে আসা মিসাইলসহ শত্রুর বিমান রাডার দ্বারা সনাক্ত করে আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া। তাই, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে বানানো উপরের ছবিটি দেখিয়ে যারা দাবি করছে এটা ইসরায়েলের বুকে ইরানের হামলার ছবি, তা ভূয়া দাবি। কেননা এর একটা বিমান বা ড্রোনও ইসরায়েলের আকাশে ঢুকতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরায়েলের হাতে আয়রন ডোমের মতো প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আছে। গতকালও ৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি হত্যার খবর এসেছে, কিন্তু ইরানের হামলায় ইসরায়েলিদের কারো মৃত্যুর বা আহত হওয়ার খবর কি কেউ দিয়েছে? নাহ, আল-জাজিরাও দেয়নি। মুসলিম বিশ্ব এক হয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেও দুবারের দুবারেই পরাজিত হয়েছে ইসরায়েলের কাছে। ইতিহাস তাই বলে। ইসরায়েল এখন একা নয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশ গুলো তাদের সাথে আছে। রাশিয়া যতই ইরানের পক্ষ নিক, তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবে না। চীনও আজ সেই ইঙ্গিতই দিয়েছে। তারা জানিয়েছে এই যুদ্ধে ইরান একাই যথেষ্ট। অর্থাৎ 'আমরা যুদ্ধে যাচ্ছি না, গেলে তোমরা একলা যাও'।

এই অপ্রিয় সত্যিকথাগুলো দেশের কোনো মিডিয়া আপনাকে বলবে না। কারণ কেউই আপনাদের বয়কটের শিকার হতে চায় না। কোনো খবর আপনাদের বিরুদ্ধে গেলেই তো শুরু করবেন বয়কট গেইম! বাধ্য হয়ে তারা আপনাদের পছন্দের খবর প্রচার করছে! কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছেন কি, এতে আপনার কাছে সঠিক খবরটি পৌঁছাচ্ছে না? আপনি এই মিথ্যা বা আংশিক সত্য খবর জেনে সাময়িক আনন্দ পাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু সেটা হচ্ছে বাস্তবতাবিবর্জিত।

বরং ভেতরের খবর হচ্ছে এই, পাল্টা হামলার জন্য প্রস্তুত ইসরায়েল। আজ রাতেই হামলা হতে পারে। ইতিমধ্যেই বিশ্বের এক নম্বর গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ(ইসরায়েলের) ও আমেরিকার সি,আই,এ মিলিতভাবে ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিকে গোপন এক অভিযানে ধরে আনার মিশনে নেমেছে, যেমন করে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করেছিলো আমেরিকা পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে, শুধু আমেরিকার সর্বোচ্চ মহল ছাড়া দুনিয়ার আর কেউ যে মিশনের কথা লাদেনের মৃত্যুর খবর হোয়াইট হাউজ থেকে প্রচারের আগে জানতেই পারেনি, এমনকি খোদ পাকিস্তানও না!

একটা সময় সিরিয়ার একনায়ক সাদ্দামকে মুসলিম বিশ্ব ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে অনেক উপরে তুলেছিলো। সেই সাদ্দামের ডেরায় একদিনের মধ্যে হামলা করে বড় কোনো ক্যাজুয়াল্টি ছাড়াই আমেরিকা সাদ্দামের পতন ঘটিয়েছে এবং সিরিয়ার পরিণতি এরপর কী হয়েছে তা সবারই জানা। কাজেই, খামেনি সাহেবকেও যে তারা ধরে আনার সামর্থ রাখে, তা বলাই বাহুল্য। এটা হলে বরং ইরানের সাধারণ জনগণ বা সেনাবাহিনীতে হত্যাযজ্ঞ না চালিয়েই বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবে ইসরায়েল-পশ্চিমা জোট।

আচ্ছা, আপনারা কি 'পেগাসাস'--এর নাম শুনেছেন? এটা ইসরায়েলের বিজ্ঞানীদের বানানো একটি গোপন সফটওয়ার, যা দিয়ে চাইলে যে কারো মোবাইলের সব তথ্য দূর থেকে নিয়ে নজরদারি করা যায়। আপনি কার সাথে কথা বলছেন, কোথায় যাচ্ছেন, এমনকি আপনি ফেসবুক-হোয়াটস্যাপে কার সাথে কী আলাপ করছেন, কী ম্যাসেজ দিচ্ছেন সবই দূরে বসে দেখা সম্ভব। জানেন তো ফেসবুক আর হোয়াটসয়্যাপ এর মালিক একজন ইহুদি, যার নাম মার্ক জাকারবার্গ এবং যিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনীদের মাঝে ৪র্থ অবস্থানে আছেন? আপনি কি আরও জানেন, এবার অনেকগুলো ক্ষেত্রে অস্কারজয়ী ছবি 'ওপেনহেইমার' এর মূল চরিত্র বিজ্ঞানী ওপেনহেইমার একজন ইহুদি, যিনি পারমাণবিক বোমা বানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছিলেন? সেই বোমা জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে ফেলার পরেই জাপান আত্মসমর্পণ করে। যার ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।

ভাবছেন ওপেনহেইমার একটা অসুর, একটা ইবলিশ? নাহ, তিনি যা করেছেন তা তাঁর কমিউনিটির জন্য করেছেন। জাপানের মিত্রদেশ জার্মানির একনায়ক হিটলারের নাৎসি বাহিনী ইহিদিদের উপর যে নির্মম গণহত্যা চালায়, তা ইতিহাসের সবচেয়ে নৃসংশতম গণহত্যা (সম্ভব হলে Schindler's list ও A boy in the stripped pajamas এর মতো ছবিগুলো দেখবেন)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জয়লাভ ও বিশ্বের নতুন পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভাবের কারণ এই ওপেনহেইমারের বোমা। পুরস্কারস্বরূপ যুক্তরাষ্ট্র ওপেনহেইমারকে ইহুদিদের জন্য প্রতিশ্রুত দেশ দেয়, যা নিয়ে এখনও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ চলছে। তাহলে বুঝলেন তো, ইসরায়েলের সাথে সবসময় কেন যুক্তরাষ্ট্র থাকে? এমনকি ফিজিক্সের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানী বলা হয় যাকে, সেই অ্যালবার্ট আইন্সটাইনও একজন ইহুদি।

এসব বলার মানে এই নয় যে আমি ইহুদিদের পক্ষ নিচ্ছি। আমি তাদের প্রকৃত শক্তিমত্তার সাথে আপনাদের কিছুটা পরিচয় করিয়ে দিতে চাইলাম। আপনারা যে অবাস্তব স্বপ্ন দেখছেন, তা বুঝাতে চাইলাম। ইসরায়েল-পশ্চিমাদের পরাজিত করতে হলে তাদের চেয়েও বড় লেভেলের বিজ্ঞানী আপনাদের মাঝ থেকে উঠে আসতে হবে। এইসব হাজার হাজার মিসাইল মেরে ইসরায়েলের কিছুই করতে পারবেন না। মশার ঝাক যেমন গুড নাইট চালালে পালিয়ে যায় বা মরে যায়, তেমন করে আয়রন ডোমে আকাশেই সেইসব মিসাইল ধ্বংস হয়ে যাবে। পাল্টা হামলায় আপনি বাঁচবেন তো? আপনার বাচ্চা-স্ত্রী বাঁচবে তো?

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ছিলো কিছুদিন। হঠাৎ একদিন গাজা থেকে ইসরায়েলে শয়ে শয়ে মিসাইল মেরে যুদ্ধটা আবার শুরু করেছে হামাস। তারা ভাবেনি এসব মিসাইলের ৯৯%+ ধ্বংস হয়ে যাবে ইসরায়েলের আকাশেই, কিন্তু ইসরায়েল পালটা হামলা চালালে তাদের কী হবে! ফলে, পাল্টা হামলা যখন চালাচ্ছে ইসরায়েল, তখন হামাস শিশু ও নারীদের হামলাস্থলে ফেলে পালাচ্ছে। তারপর সারা বিশ্বের কাছে দেখাচ্ছে এটাকে গণহত্যা হিসেবে। অথচ কেউ বলছে না, যদি ইসরায়েলের আকাশে আয়রন ডোম না থাকতো, তাহলে অনেক আগেই ঐ দেড় কোটি ইহুদি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত হামাসের মিসাইলে পুড়ে!

ফেসবুকে বয়কট গেইম প্রচার করছেন আপনি, বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন আপনি, ধর্মের প্রচার করে নিজে পালন না করেও বড় ধর্মযাজক হয়ে উঠছেন আপনি, সাময়িকভাবে লাইক-কমেন্ট পাচ্ছেন, বাহবা পাচ্ছেন.. তাতেও লাভ হচ্ছে ইহুদি জাকারবার্গেরই। আপনি কী করছেন না করছেন সবই দেখছে ফেসবুক মানে ঐ একজন। তিনি চাইছেন না, তাই আপনি ফেসবুক থেকে ব্যানড হচ্ছেন না। তিনি চাইলে এখনই আপনাদের কোটি ফলোয়ারযুক্ত আডিটি স্রেফ গায়েব করে দিতে পারেন। আপনি কোক বয়কট না করে পারলে ফেসবুক-হোয়াটস্যাপ বয়কট করেন। কেননা আপনি দিচ্ছেন ফেসবুকে নিজের জীবনের মূল্যবান সময়, প্রচার করছেন ধর্ম, বয়কট করতে বলছেন কোক, কিন্তু এতে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে এক ইহুদিই। আপনাকে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে, ইন্টারনেটে রেখে তিনি বিলিয়নিয়ার হয়েছেন। তিনি চাইলে একাই অমন গাজা উপত্যকা কয়েকটা কিনেই নিতে পারেন। বাকি ইহুদি ধনকুবেরদের কথা না হয় বাদই দিলাম।

মধ্যপ্রাচ্য সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক, এটাই চাই। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হোক সবাই মিলে বসে। ফিলিস্তিনকেও স্বাধীনতা দেওয়া হোক। না হলে আবারও বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে। ইতিমধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ চলমান। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। নিরীহ মানুষ হত্যা বন্ধ হোক। দেব দুলাল গুহ

#IsraelPalestineWar #IsraelPalestineConflict #Israel #palestine #hamasattackonisrael #iran

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১০

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: মানে লিখাটি আপনার নয়? দেব দুলাল গুহ ভাইয়ের? ভালো লিখেছেন। আরো বিষয় তুলে আনলে সমৃদ্ধ হতো। ইরানের শক্তি খারাপ না। তবে পশ্চিমা শক্তি পরাজিত করার পদ্ধতি খোঁজতেছে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:২৫

...নিপুণ কথন... বলেছেন: আমিই দেব দুলাল গুহ। ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসরাঈলের সাথে যুদ্ধ জয় মুসলিমদের পক্ষে আপাতত সম্ভব নয় বলেই মনে হচ্ছে। একমাত্র আমেরিকাই পারে তাদেরকে শিক্ষা দিতে। কিন্তু আমেরিকা তাদের বন্ধু। সুতরাং আমেরিকা ও ইসরাঈল আপাতত অপ্রতিরোদ্ধ শক্তি।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৫৩

কলাবাগান১ বলেছেন:
দুবাই এয়ারপোর্টে প্লেনের বদলে নৌকা চললেই কোন অসুবিধা নাই ..ঝামাতিদের কাছে এটা ন্যাচারাল..।আর ঢাকার রাস্তায় পানি উঠলে...সরকারী উন্নয়ন এর কথাকে কে তুলোধুনা করা ছাড়ে এই জামাতি আর তার সাপোর্টার রা

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:২৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: ইরান কি আসলেই এত গর্দভ ? অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে হামাসের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা মোসাদের এজেন্টরা ইরানের অভ্যন্তরেও প্রবেশ করেছে।

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:০৬

কামাল১৮ বলেছেন: হামাসের মতো অতর্কিতে হামলা করলে অবশ্যই ধ্বংশ হয়ে যেতো।কিন্তু ইরান সেটা চায়নি।তাই দিন খন জানিয়েই আক্রমন করেছে এটা জানান দিতে যে ইরান চাইলে ইলরায়েলের মূল ভূখন্ডে আঘাত হানতে পারে।ইসরায়েলকে রক্ষায় ছিলো আমেরিকা ইংলান্ড ফ্রান্স জার্মানী সৌদী জর্ডান সহ আরো কিছু দেশ।তার পরেও ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:২০

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন: ইরান কি আসলেই এত গর্দভ ? অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে হামাসের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা মোসাদের এজেন্টরা ইরানের অভ্যন্তরেও প্রবেশ করেছে।

আমি এখন পর্যন্ত হামাস ও ইরানের একটা কাজও পাইনি যা ইসলাম বা মুসলিমদের পক্ষে যায়। বরং হামাসকে দেখেছি শত শত অবস্থা তৈরী করতে যা মূলত ইস্রাইলের সুবিধার জন্য হয়।

আম্রিকা আর ইস্রাইল এত বছর ধরে ম্যাও ম্যাও করছে ইরান আক্রমন করবে বলে, মাগার কিচ্ছু হয় না। এখন গিয়া চরম ক্রুশিয়াল মোমেন্টে ইরান চকলেট বোম ফুটায় আম্রিকা ও ইস্রাইলের সেই কথাটাকে একদম মাউন্ট এভারেষ্টের মত শক্তপোক্ত করে দিলো! এই ঘটনার জেরে মধ্যপ্রাচ্যে বড়সড় কোন ক্যাচাল লাগলে সেটায় অবাক হবার কিছু থাকবে না।

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:২২

অহরহ বলেছেন: চমৎকার লেখা, তথ্য বহূল উপস্থাপনা। ধন্যবাদ দুলাল ভাইয়া, আপনাকে।

আমাদের মুসলমানদের এই এক সমস্যা! সারা ক্ষণ যুদ্ধের উস্কানি দেয়। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই জিতে যায়। অতপর যথারীতি যুদ্ধে গো-হারা হেরে যায়। এরপর শুরু হয় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, নিজেদের হেরে যাওয়া পার্টিকে disown করে। উহা প্রকৃত ইসলাম নহে, উহা আমেরিকার তৈরি, মোসাদের তৈরি, ভারতের র এর তৈরি, পশ্চিমা ষড়যন্ত্র................ এসব। শেষমেষ বয়কট কোকাকোলা, বয়কট ইন্ডিয়া, বয়কট ইসরাইল, বয়কট আমেরিকা।

এখানেই শেষ না। সত্য গোপন করে, ভুয়া তথ্য দিয়ে, জাল-জালিয়াতি সার্টিফিকেট ক্রয় করে আমেরিকা, ভারত, ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার ভিসা অফিসে ধরনা দেয়

৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩১

বাকপ্রবাস বলেছেন: ভাল পোষ্ট

৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০১

রাােসল বলেছেন: ইরানের, তাদের বিরুদ্ধে যেকোনো অন্যায় পদক্ষেপের প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। এটাও সত্য, ইসরাঈলের সাথে যুদ্ধে আপাতত দৃষ্টিতে ইরান জয়ী হবে না। তবে ইসরায়েল ও ইরান উভয়েরই এই যুদ্ধে যোগদানের খরচ বহন করতে হবে। এই অবস্থায়, কে এই যুদ্ধ থেকে লাভবান হবে? কে এই ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করছে? আমি বলতে চাই না যে, মানুষ নাস্তিকদের মত ধর্ম পালন করবে না। অবশ্যই একজন ঈশ্বর আছেন, যিনি সব সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করা উচিত নয়।

আমি বিশ্বাস করি, ইসরায়েল মুসলিমদের জেরুজালেমে থাকতে দেবে না। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের মানুষের বেঁচে থাকার এবং ফিলিস্তিনে থাকার সমস্ত অধিকার রয়েছে।

১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৫

নতুন বলেছেন: যারা উপরের এই ছবি সেয়ার করে জজবা দেখাচ্ছেন তারা বোঝেনাই এই ছবি বানানো।

কিছু মূর্খ ইরান/হামাসের আক্রমনে জজবা দেখায়।

ইরানের এমবাসিতে আক্রমনের জবাব দেওয়া দরকার ছিলো তাই তারা জবাব দিয়েছে।

যুদ্ধ সব সময়েই সাধারন মানুষের জন্য ক্ষতিকর। সুধু কিছু ব্যবসায়ীদের লাভ হয় মানবজাতীর ক্ষতি হয়।

আমার মনে হয় না আমেরিকা ইরানের সাথে যুদ্ধে গিয়ে চায়নার কাছে সম্রাজ্য হারানোর প্রকৃয়া ত্বরান্নিত করবে...

১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১২

খাঁজা বাবা বলেছেন: আপনার পোষ্ট গুলিতে বোঝা যাচ্ছে, একটা এজেন্ডা নিয়ে আপনি প্রচার করছেন।

১২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভালো লেখার স্টাইল। লেখা অব্যাহত থাকুক।

১৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি যে বড় মাপের দালালী করছেন সেটা ভালোভাবেই বোঝ যাচ্ছে। আমি বলি ইরান কি ইসরাঈলের জনগন হত্যা করার জন্য বোমা হামলা করেছে নাকি জাষ্ট সচেতন করার জন্য? যদি জনগন হত্যা করার জন্য করতো তাহলে কি দিন তারিখ ঘোষনা করে বোমা হামলা করতো? কোথাও জনবসতি এলাকাতে কি একটাও বোমাও পড়েছে? আর আকাশে কয়টা ধ্বংশ করেছে? তাহলে ইসরাইলের বিমানঘাটিতে যে বোমা গুলো পড়েছে সেগুলো আইরন ডোম ঠেকাতে পারলো না কেনো? দালালী কম করুন। বোঝার চেষ্টা করুন সঠিক সত্যটা। আইরন ডোম বেশি ঠেকাতে পারে না। জর্ডান থেকে আমেরিকান প্রযুক্তি সমেত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশি বোমা জর্ডানে ধ্বংশ করেছে। কারন ইরান দিন তারিখ সময় ঘোষনা করেছে বোমা হামলা করার জন্য আর ওরা দিন তারিখ অনুসারে বসে ছিলো বোমা হামলা করলে প্রতিরক্ষা করবে বলে।
আপনি লিখেছেন আমরা যুদ্ধ চাইনা । যদি এক পক্ষ হয়ে থাকেন এবং আপনার লেখার মধ্যে সেটার বর্হিপ্রকাশ ঘটে থাকে তবে আপনি এভাবে লিখতেন না। ইরানকে এতটা হালকা ভাবছেন সেটা ঠিক নয়। আর আপনাকে আমি বলছি দেখে নিবেন মধ্যপ্রাচের অবস্থিত আমেরিকান সেনাবাহিনীর সকল ঘাটি িএকদিন বন্দী হয়ে যাবে। ইরান রাশিয়ার হতে। আপনি দেখে নিবেন। সকল স্থানে যেমন রাজাকার থাকে ঠিক তেমন মধ্যপ্রাচ্যেও সৌদিআরব জর্ডানের মতো ২/১টি রাজাকার থাকবে এর কিছুই করতে পারবে না। ইরান কিন্তু হালকা শক্তি নেই।

১৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ইজ্জত বাঁচাতে এই হামলা করা ছাড়া উপায় ছিল না ইরানের। এখন মুখরক্ষা হয়েছে। ইরান বলছে, আপাতত বিষয়টা এখানেই সমাপ্তি টানছে তারা। তারা ভালো মতোই জানে বিপদে কেউ এগিয়ে আসবে না। আমেরিকাসহ অনেক দেশ এযুগের হিটলারকে (নেতানিয়াহু) রক্ষা করতে বুক পেতে আছে। আমাদের হুজুগে বাঙালিরা খেলা দেখে যেমন আনন্দ পায়, ইরান-ইসরায়েলের এই হাঙ্গামা দেখে আনন্দ পাচ্ছে। হামাস ইসরায়েলে হামলার পর যেমন আলহামদুলিল্লাহ পড়েছে, ইসরায়েল গাজায় হামলার পর যেমন ইন্নালিল্লাহ পড়েছে; এরা ইরান-ইসরায়েলের চলমান ইস্যুতে একই কোরাস গাইবে। এরা শক্তি-সামর্থ নিয়ে ভাবাভাবির মধ্যে নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.