নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

।হই আমি বীর অথবা হই আমি ধীর,আমি শুধু বাংলাদেশের নয়,আমি সমগ্র পৃথিরীর ।।হই আমি বীর অথবা হই আমি ধীর,আমি শুধু বাংলাদেশের নয়,আমি সমগ্র পৃথিরীর ।

মো: নিজাম গাজী

আমি ঐ সৃষ্টিকর্তারই সৃষ্টি,আমি তারই বান্দা, আমি শুধু বাংলাদেশের নয় আমি সমগ্র পৃথিবীর বাসিন্দা। গাজী পরিবারে আমি জন্মগ্রহন করেছি বলে আমি শুধু গাজী পরিবারের নয়, আমার জন্ম এই পৃথিবীর সর্বময়। শুধুমাত্র সোনাখালী গ্রামে আমার জন্ম নয়, আমার জন্ম পৃথিবীর সর্বময়। এই গ্রাম এই দেশের নয় আমি শুধুমাত্র, আমি এই সারা দুনিয়ারই ছাত্র। শুধুমাত্র একটি মহল্লায় আমার আগমন নয়, আমার আগমন বিশ্বময়। হই আমি ধীর হই আমি মহাবীর, আমি শুধু বাংলাদেশের নয় আমি সমগ্র পৃথিবীর।

মো: নিজাম গাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশা দূর করুন

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৫



বর্তমান বাংলাদেশের আকাশে বাতাশে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে তা সত্যিই হতাশাব্যঞ্জক। এটি বিচার বিভাগ ও সরকারের প্রতি সাধারন মানুষের আস্থাহীনতার অন্যতম কারন। ষোড়শ সংশোধনীর আপিলের রায়কে ঘিরে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে যে ধোঁয়াশা সষ্টি হয়েছে সেটি জাতির নিকট সরকারের স্পষ্ট করা উচিত। আসলে ঐ ঘটনাটি আদৌ কোনো নাটকীয়তা ছিল কি ছিলনা সে ব্যাপারে সরকারের স্পষ্ট করা উচিত। কেননা সরকারের সকল প্রতিনিধি জনগনের ভোটে নির্বাচিত। তাই দেশের বিচার ব্যবস্থার এই বিষয়টির ব্যাপারে সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে যে টানাপোড়ন সৃষ্টি হয়েছে, সেটি কী আসলে কোনো নাটক বা নাটক নয় সেটি দেশের জনগন জানতে চায়। প্রধান বিচারপতির এ বিষয়টি জনসাধারণের নিকট সরকারের স্পষ্ট করা অত্যাবশ্যকীয়। কেননা জনগনই সকল শক্তির উৎস।

অবশ্য বিচার বিভাগের যদি কোনো রায় সরকারের বিপক্ষে যায়, তাহলে তা মোকাবেলা করা সরকারের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। ষোড়শ সংশোধনীর অন্যতম একটি ধারা হলো বিচারপতিদের অপসারণ কার হাতে থাকবে-সংসদ নাকি সুপ্রিম জুড়িশিয়াল কোর্ট। প্রধান বিচারপতির উক্ত রায়ের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারনের ক্ষমতা সংসদের হস্তচ্যুত হওয়ার উপক্রম হয়। অথচ বাংলাদেশের আইন বিভাগ জাতীয় সংসদ দেশের রাষ্ট্রপতিকে পর্যন্ত অভিসংশের মাধ্যমে অপসারন করতে পারে। সে অর্থে এবং সে যুক্তিতে অবশ্যই বিচারপতিদের অপসারণ করার ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত থাকা উচিত। কেননা যে সংসদ অভিসংশের মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে পর্যন্ত অপসারণ করতে পারে, সে সংসদ অবশ্যই রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত প্রধান বিচারপতি সহ অন্যান্ন বিচারপতিদের অপসারণ করার এখতিয়ার রাখে। যদি সংসদের হাত থেকে এমন ক্ষমতা চলে যায় তাহলে বাংলাদেশ আর মন্ত্রীপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থা থাকবেনা বরং বাংলাদেশ হবে বিচারপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা। আর এতে বাংলাদেশে গনতন্ত্র বলে কিছুই থাকবেনা। যা থাকবে তা হলো বিচারতন্ত্র। এককথায় বিচারপতিদের অপসারণ করার ক্ষমতা যদি সংসদের হস্তচ্যুত হয় তাহলে দেশে গনতন্ত্র বলে কিছুই থাকবেনা। কেননা বাংলাদেশের আইন বিভাগ জাতীয় সংসদের সদস্যগন জনগনের ভোটে নির্বাচিত। আর বিচারপতিগন তাদের মেধা ও দক্ষতা দ্বারা অধিষ্ঠিত। তাই জনগন ও জনগনের প্রতিনিধি ব্যতিত কখনও গনতন্ত্রকে কল্পনা করা যায়না।

এক হিসেবে উক্ত রায়টি শুধুমাত্র সরকার বিরোধী নয়, বরং জনগন বিরোধী ও বটে। যদিও মহান আদালতের রায় মেনে নেওয়াটা সকলের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। তবুও দেশের স্বার্থে সরকারের উক্ত রায়টি মোকাবেলা করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু কথা হলো সরকার কোন পথে রায়টি মোকাবেলা করবে? আমরা যদি ভাবি বা বলি যে বিচার বিভাগ স্বাধীন, তাহলে সে অর্থে সরকার বিচার বিভাগের পূর্ন স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য উক্ত রায়টি মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে কখনও সুরেন্দ্র কুমার(এস.কে) সিনহার সাথে আলোচনায় বসতে পারেনা। সরকারের উচিত ছিলো তার প্রতিনিধি দিয়ে শুধুমাত্র আদালতে আইনানুযায়ী প্রধান বিচারপতির সাথে রায়কে মোকাবেলা করা। কিন্তু সরকার সেটি না করে সরকার ও সরকারের কিছু মহল আদালতের বাহিরে এস.কে সিনহার বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করেছে। মূলত আদালতের কোনো রায়কে বাহিরে নিয়ে চাপ সৃষ্টি করা সমীচীন নয়। আমাদের বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্নে মনে রাখতে হবে যে প্রধান বিচারপতি আর এস.কে সিনহা এক নয়। এখানে আরো সুস্পষ্ট করে বলা যেতে পারে যে প্রধান বিচারপতি হলেন একজন বিচারপতি। আর এসকে সিনহা হলেন একজন মানুষ। তাই আদালতের বাহিরে এস.কে সিনহার উপর চাপ বৃদ্ধি করা ও তার সাথে আলোচনায় বসা কতটুকু সমীচীন সেটা সরকারের বিবেকের নিকট প্রশ্ন রইলো? উদাহরনস্বরুপ আমার পিতা বাড়িতে আমার পিতা, কিন্তু বিদ্যালয়ে সে আমার শিক্ষক। যে প্রধান বিচারপতি পরিপূর্ণ সুস্থ ও দুর্নীতিমুক্ত ছিলেন, সেই প্রধান বিচারপতি রায়টি দেওয়ার পরেই তার ক্যান্সার হয়ে যায়,এবং তার নামে বেশ কটি অভিযোগ আনয়ন করা হয়। বিষয়টির মধ্যে কেমন যেনো নাটকীয়তার গন্ধ মেলে। মনে হয় যেনো শাক দিয়ে মাছ ঢাকা নয়, বরং মাছ দিয়ে শাক ঢাকার মতো এক নাটকীয়তা। রায়ের আগে প্রধান বিচারপতি ছিলেন নিষ্কলঙ্ক,নিরাপরাধী। অথচ রায়ের পরে সেই নিরাপরাধী প্রধান বিচারপতির নামে কতগুলো অভিযোগ আনয়ন করা হয়! তাই এ বিষয়টি সরকারের স্পষ্ট করা উচিত।

প্রধান বিচারপতি তার চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়েছেন। অবশ্য তিনি বিদেশ যাওয়ার সময় গনমাধ্যমকে বলেছেন যে সে সম্পূর্ণ সুস্থ। এখানে প্রশ্ন হলো যে ক্যান্সার হওয়া সত্তেও কি প্রধান বিচারপতি জানেন না যে তার ক্যান্সার হয়েছে?? মরনব্যাধী ক্যান্সারের উপসর্গগুলোও কি প্রধান বিচারপতির মতো একজন সুশিক্ষিত,বিজ্ঞ ব্যক্তি উপলব্ধি করতে পারেননি? আমাদের সাধারন মানুষদের সামান্য জ্বর হলে আমরা বুঝতে পারি। তাহলে প্রধান বিচারপতি কি এতই অজ্ঞ যে তিনি বুঝতে পারবেন না যে তার ক্যান্সার হয়েছে?? যদি তিনি সত্যিই অজ্ঞ হয়ে থাকেন, তাহলে এই অজ্ঞ ব্যক্তিকে কেনো প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো??? তার মেডিকেল চেকআপ কোন হসপিটাল থেকে করানো হয়েছে, কোন চিকিৎসক করেছেন এটিতো নিশ্চয়ই প্রধান বিচারপতি জানেন। তাই সরকারের উচিত প্রধান বিচারপতির অসুস্থতা সম্পর্কে জনগনের নিকট স্পষ্ট করা। অবশ্য প্রধান বিচারপতির নিকট তার ক্যান্সারের বিষয়টি সরকার এবং তার পরিবার গোপন ও রাখতে পারে, যাতে তিনি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে না পরেন। কিন্তু কথা হলো যদি ক্যান্সারের বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নিকট গোপন রাখা হয়,তাহলে গনমাধ্যম সহ দেশের জনগনের নিকট কেনো তা প্রকাশ করা হলো? প্রধান বিচারপতির মতো একজন সচেতন ব্যক্তি কি গনমাধ্যমে একটুও চোখ বুলান না? নিশ্চয়ই বুলান। তাহলে তার ক্যান্সারের বিষয়টি তার নিকট আর গোপন থাকলো কই?

এখন কথা হলো সরকার বলেছে তার ক্যান্সার হয়েছে, কিন্তু প্রধান বিচারপতি বলেছেন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। তাই এ বিষয়টি সরকারের জনগনের নিকট স্পষ্ট করা উচিত। সরকার রিভিউ করেছে, আশা করি রায় সরকারের পক্ষেই আসবে, এবং গনতন্ত্র শক্তিশালী হবে। বিচারতন্ত্র নামক যন্ত্রটি ধ্বংস হবে। প্রধান বিচারপতি কি পদত্যাগ করেছেন স্বেচ্ছায়, নাকি কোনো মহলের চাপে পরে? এ বিষয়ে জনমনে যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে তা সরকারের সুস্পষ্ট করে দূর করা উচিত। যাহোক সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা রইলো যে সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতির যদি সত্যিকার ক্যান্সার হয়ে থাকে তাহলে সৃষ্টিকর্তা যেনো তাকে সুস্থতা দান করেন। সরকারের সৎ ইচ্ছা পূরন হয়ে রিভিউর রায় সরকারের পক্ষে তথা সমগ্র জনগনের পক্ষে আসুক- সেটাই প্রত্যাশা করি। একই সাথে প্রত্যাশা করি সরকার যেনো প্রধান বিচারপতির এই বিষয়টি জাতির নিকট স্পষ্ট করে, জনমনে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে সেটি যেনো দূর করে।।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: রাজনীতি বলে কথা।

কথা ঘটনা ঘটবে, রটনা রটবে তারপর পরিসমাপ্তি।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫

মো: নিজাম গাজী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ প্রিয় লেখক।

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আওয়ামী লীগ অকারণে সমস্যা সৃষ্টি করে, নিজেই উহার ভিকটিম হয়ে গেছে!

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪

মো: নিজাম গাজী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ প্রিয় লেখক।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার লেখা পেলাম।
ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
রাজনীতি খুব কঠিন জিনিস।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২

মো: নিজাম গাজী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় লেখক। হ্যা আসলেই রাজনীতি খুব কঠিন জিনিষ।

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৫

জাহিদ হাসান বলেছেন: ধূয়া কোথায় সব তো পরিস্কার ও প্রকাশ্যেই হচ্ছে ;)

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫১

মো: নিজাম গাজী বলেছেন: তারপরও একটা ধোঁয়াশা থেকে যাচ্ছে। ধন্যবাদ প্রিয় লেখক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.