নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

।হই আমি বীর অথবা হই আমি ধীর,আমি শুধু বাংলাদেশের নয়,আমি সমগ্র পৃথিরীর ।।হই আমি বীর অথবা হই আমি ধীর,আমি শুধু বাংলাদেশের নয়,আমি সমগ্র পৃথিরীর ।

মো: নিজাম গাজী

আমি ঐ সৃষ্টিকর্তারই সৃষ্টি,আমি তারই বান্দা, আমি শুধু বাংলাদেশের নয় আমি সমগ্র পৃথিবীর বাসিন্দা। গাজী পরিবারে আমি জন্মগ্রহন করেছি বলে আমি শুধু গাজী পরিবারের নয়, আমার জন্ম এই পৃথিবীর সর্বময়। শুধুমাত্র সোনাখালী গ্রামে আমার জন্ম নয়, আমার জন্ম পৃথিবীর সর্বময়। এই গ্রাম এই দেশের নয় আমি শুধুমাত্র, আমি এই সারা দুনিয়ারই ছাত্র। শুধুমাত্র একটি মহল্লায় আমার আগমন নয়, আমার আগমন বিশ্বময়। হই আমি ধীর হই আমি মহাবীর, আমি শুধু বাংলাদেশের নয় আমি সমগ্র পৃথিবীর।

মো: নিজাম গাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করুন।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৭



আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় যথেষ্ট বৈষম্য পরিলক্ষিত। বিশেষ করে এটি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বেশি পরিলক্ষিত। আমাদের দেশে পাবলিক বিশ্বিবিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী ডিপার্টমেন্টের মধ্যে ভালো ফল করে থাকলে তাকে পদ খালি থাকা সাপেক্ষে এবং শর্ত সাপেক্ষে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক(প্রভাষক) করে নেওয়া হয়। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী যতই ভালো ফল করুক না কেনো তাকে ঐ কলেজের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কোনো বিধান নেই। এক কথায় বলা যায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় একজন শিক্ষার্থীকে শিক্ষকে রুপান্তরিত করে। অপরদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একজন শিক্ষার্থীকে বেকারে রুপান্তরিত করে। আমার মতে এটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের এক প্রকার স্বেচ্ছাচারিতা। উচ্চ শিক্ষার প্রত্যেকটি স্তরে শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি একই হওয়া উচিত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি কলেজের শিক্ষক হতে হলে কঠিক বিসিএস পরীক্ষা দিতে হয়। অপর দিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হলে কোনো ধরনের বিসিএস পরিক্ষা দিতে হয়না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ব্যবস্থা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেকটাই সহজ। এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ব্যবস্থা যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ ও বটে। তাহলে এটি কি একটি বড় ধরনের বৈষম্য নয়? তাছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিসিএস ক্যডার শিক্ষকদের রাষ্ট্র কতটুকু সম্মান করে? তাদের চেয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নন ক্যডার টিচারদের আমাদের দেশের মানুষ,রাষ্ট্র,গনমাধ্যম সবাই বেশি সম্মান করে থাকে। যদিও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক পিএইচডি ডিগ্রীধারী। কিন্তু ক্যডারের উপরে কোনো ডিগ্রীকে প্রাধান্য দেওয়া যায় কি?

আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সবক্ষেত্রে সমমানের কথা বলা হলেও বাস্তবে সেটি প্রয়োগকৃত নয়। যেমন বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধীকার দেওয়া হয়। এমনকি আমাদের দেশের সংবাদপত্রগুলোও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাগুলোও সহজে ছাপতে চায়না। অথচ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাগুলো অহরহ ছেপে যাচ্ছে। এটি আসলে অনেকটাই দুঃখজনক একটি ব্যাপার। তাছাড়া সাধারন মানুষও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তুলনায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেশি সম্মান করে থাকে। আসলে আমাদের এহেন ভুল ধারনা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উচিত উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে শিক্ষক নিয়োগ ব্যবস্থা হতে শুরু করে সবকিছুতে সমতা আনয়ন করা। এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু নীতি পরিবর্তন করে সবকিছু একই কাঠামোর মধ্যে আনয়ন করা জরুরী। কেনোনা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাপদ্ধতি এখনও যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা বৈষম্য চাইনা বরং সমতা চাই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.