নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোপনে সে আমায় ভালোবাসে- পর্ব ১৩ - নুরুন নাহার লিলিয়ান

২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০৮


আগের পর্বের লিংক গোপনে সে আমায় ভালোবাসে -১২- নুরুন নাহার লিলিয়ান
আজ ও বিশ্বাস হয় না অভিনন্দন পৃথিবীতে নেই । এই কথাটা মনে হলেই আমার বুকের ভেতরের স্পন্দন বেড়ে যায় । শরীরের রক্ত চলাচল থেমে যায় ।আমার পুরো পৃথিবী থেমে থাকে।বিশ বছর পরও মানুষটার চেহারা, অবয়ব, চলন বলন আর চিন্তা ভাবনা সব কিছুই কেমন স্পষ্ট!
কিছু কিছু একান্ত কষ্ট থাকে যা মানুষ ইচ্ছে করেই ভুলতে চায় না! হয়তো সে কষ্ট গুলোই তাঁর মনের কোণে থাকা এক টুকরো সুখের সমুদ্র!
হয়তো অভিনন্দনকে আমিও ভুলে যেতে চাইনি।ওর সাথের স্মৃতি, ওর মানবিক ভালোবাসা, ওর ব্যক্তিত্ব আমার কাছে একটা নীল আকাশ৷ যে আকাশে আমার মন ছুঁয়ে থাকে নিরন্তর।
কিছু মানুষ মরে যায়! পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে! কিন্তু সে মানুষ গুলো রেখে যায় এক পৃথিবী মায়ার পাহাড়! সে মানুষের মায়ার পাহাড়ের ছায়া তাঁর ভালোবাসার মানুষ গুলোকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে আঁকড়ে রাখে।
ওর আচমকা রহস্যময় মৃত্যুর খবরে আমিও মরে গিয়েছিলাম। সময়ের সাথে সাথে আবার নিজেকে নিজে বাঁচিয়ে তুলেছি। আমি যে দু'টো সন্তানের মা। একজন মাকে সব কষ্ট সয়ে সন্তানের জন্য বেঁচে থাকতে হয়। কিংবা নিজের জন্য বাঁচতে হয়।
বেঁচে থাকার চেয়ে সুন্দর আর কিছু হতে পারে না।
আমি দু'দিন হয় মুন্সিগঞ্জ থেকে লৌহজং এসেছি। তখন নুশমার বয়স প্রায় এক বছর। ভেবেছিলাম নুশমার জন্মদিনে ওকে দাওয়াত করব।এরমধ্যে ওর ঢাকায় ট্রান্সফার অর্ডার হয়ে গিয়েছে।হয়তো সব কিছু গুছিয়ে নিয়েছিল।কী অদ্ভুত নিয়তি।
সন্ধ্যায় টাকিয়া ভাবি জনকণ্ঠ পত্রিকা নিয়ে এল। মাওয়া হাইওয়ে রোডে ইঞ্জিনিয়ার অভিনন্দন মাহমুদের রহস্যময় মৃত্যু। তাঁর বাবা অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর আশফাক মাহমুদ।পত্রিকার প্রথম পাতায় মাঝখানে ছোট করে ছবি সহ খবরটা! আমার চিনতে অসুবিধা হল না। একটা সাদা রঙের প্রাইভেট কার ডুমরে মুচরে আছে। ছোট করে রক্তমাখা অস্পষ্ট অভিনন্দনের মুখটা।
টাকিয়া ভাবি খুবই উত্তেজিত। কারন অভিনন্দন লৌহজং ছেড়ে যাওয়ার আগে আমরা আবাসিক এরিয়ার সবাই পদ্মার চরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। বলা যায় একটা অফিশিয়াল ট্যুর। টাকিয়া ভাবি খুবই আবেগ আপ্লুত হয়ে বার বার বলছিল, " কি সুন্দর ছেলেটা! আহারে কি অমায়িক ব্যবহার! এখনও বিয়ে করেনি। কতো সুন্দর জীবন হতো! "
টাকিয়া ভাবি কিছু মনে মনে ভেবেছিল কিনা জানি না। তবে আমি তাঁর সামনে কেমন নির্বিকার নিস্তব্ধ ছিলাম।
আমার এখনও মনে আছে সেদিন দু'ঘন্টা ধরে গোসল করেছিলাম।চোখের কোণে পানি জমে গিয়েছিল। আমি চোখ বন্ধ করতে পারতাম না। আমার মাথার ভেতরে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত হচ্ছিল। আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না যে আমি ও বেঁচে আছি।
সময় আপন নিয়মে ছুটে চলে। কিছুদিন পত্রিকায় নিয়মিত আসে খবরটা। কারন মাওয়া হাইওয়েতে ওর ডেড বডিটা যেভাবে পড়েছিল অনেকেই ধারণা করছে অন্যমনস্ক হয়ে ড্রাইভ করছিল। আবার কেউ বলছে পেছন থেকে ট্র‍্যাক ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে গেছে। আবার কেউ বলছে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
আসলে আমি জানি না সত্যিটা কোথায় লুকিয়ে আছে। সত্যটা আসলে কার জানা আছে।
মুন্সিগঞ্জ থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে লৌহজং উপজেলা। চারিদিকে পদ্মা নদী যেন পুরো উপজেলাটাকে কার্পেটের মতো মুড়িয়ে রাখে। অদ্ভুত প্রাকৃতিক নৈসর্গিকতা। তবে প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও আছে।
প্রমত্তা পদ্মার পাড়ের মানুষের নদী ভাঙা গড়ার, বসতভিটার অস্তিত্বের লড়াইয়ের গল্পটা কম বেশি সবারই জানা। কিন্তু জানা হয় না ইঞ্জিনিয়ার অভিনন্দন মাহমুদের মতো মানুষ গুলো কেন মরে যায়!
পদ্মা নদীর পাড়ে অনেক লোভী মাটি দস্যু আছে। যারা পদ্মা নদীর পাড় ও অসহায় মানুষের জমিও কেটে নিয়ে যায়। নদী পাড় কাটার কারণে পদ্মা নদী ও প্রতিবাদি প্রতিশোধপরায়ন হয়ে উঠে। অনায়াসে হয়ে উঠে রাক্ষুসী। গ্রাস করে নেয় বসতবাটি, ফসলি জমি আর বেঁচে থাকার সকল অবলম্বন।
একটা সময়ে কোদালে মাটি কাটা হলেও এখন নদী পাড়ের নরম মাটিতে শক্ত ভেকু মেশিন ব্যবহার করে মাটি কাটা হয়।
এসব মাটি দস্যুদের হাতে অসহায় সাধারণ মানুষ ও। বসতবাটি আর জমিজমার অস্তিত্বের ভয়ে কেউ কিছু বলেনা।
পদ্মা নদীতে চর জাগার পর বেশ কয়েকবার মাটি দস্যুদের সাথে অভিনন্দনের রেষারেষি হয়। নদীর তীরের মাটি কাটা রোধে তেমন কোন প্রশাসনিক পদক্ষেপ, জনসচেতনতা কিংবা প্রকৃতির প্রতি মায়া মমতা কারওই তেমন ছিল না। অভিনন্দন নিজ থেকেই এসব অন্যায় মেনে নিতে পারত না। তাই সে পরিবর্তন চাইতো। নিজে একা একাই প্রতিবাদ করত।
অনেকের ধারণা মাটি দস্যুরাই তাকে ঢাকায় ট্রান্সফার করেছে। আশেপাশের অনেকেই মাটি দস্যুদের কারও নামে দোষারোপ ও করেছে। অভিনন্দনের মৃত্যুর পেছনে কোন মাটি দস্যুর হাত আছে।
কিন্তু আমার ভাবনায় আসে অন্য কিছু। কিছু অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির অমিমাংসিত প্রশ্ন।
যখন কোয়ার্টারে ভাঙন শুরু হল অভিনন্দন আমাকে কোলে তুলে নামিয়েছিল আসাদের পারমিশন ছাড়া, নুশমার জন্মের সময় অভিনন্দনের ভুমিকা! কিন্তু আজ অবধি আসাদ এটা নিয়ে কোন একটা টু শব্দ করেনি।
যে মানুষটা সামান্য ভাত পুড়ে গেলে, দুধ পুড়ে আমার গায়ে হাত তুলতো। মারধর করতে দ্বিধা করতো না।
গালিগালাজ করা আর কটুক্তি করতে মুখে বাধতো না সে এমন সেনসিটিভ বিষয় নিয়ে আজও কোন কথা বলেনি।
বিষয়টা আমার একান্ত মনে প্রশ্ন তৈরি করে। প্রায়ই উল্টা স্রোতের মতো মস্তিস্কে ঘুরপাক খায়। কেন আসাদ এসব নিয়ে আজও আমায় কোন কথা বলেনি? পুরো বিষয়টাই সে নীরবে ও কৌশলে এড়িয়ে গেছে।
তাহলে কি আমার আর অভিনন্দনের সম্পর্কটা জেনে গিয়েছিল?
হতেও পারে। আসাদই কৌশলে নীরবে অভিনন্দনকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছে। কিংবা কোন মাটি দস্যুর ষড়যন্ত্র। অথবা হতে পারে আমাকে না পাওয়ার তীব্র যন্ত্রনা থেকে মুক্তির উপায়। সবাই বলতো সে সব সময় অন্যমনস্ক থাকতো।
হয়তো মাওয়া হাইওয়েতে ড্রাইভিং টাইমে ভাবতে ভাবতে অন্যমনস্ক হয়ে গিয়েছিল।
একবার একটা চিঠিতে লিখেছিল। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হলে সে সাদা রঙের গাড়ি কিনবে তারপর আমাকে পাশে বসিয়ে পুরো মুন্সিগঞ্জ ঘুরবে। মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর আর মাওয়া হাইওয়েতে শাঁই শাঁই করে গাড়ি চলবে। দুই পাশের সবুজ দেখতে দেখতে আড়িয়ল বিলে গিয়ে থামবে। সেখানে নেমে আমাকে নিয়ে নৌকায় চড়বে। শাপলা তুলে আমার মাথায় গুজে দিবে।
চারিদিকের দিগন্ত জোড়া সবুজে আমাকে নিয়ে হারিয়ে যাবে। আড়িয়ল বিলের ফুটে থাকা অজস্র শাপলা কচুরিপানা আমাদের স্বাগত জানাবে। বিলের ডাহুক, কানিবক, মাছরাঙা,শঙ্খচিল ও পাতিহাঁসেরা আমাদের ভালোবাসায় সঙ্গী হবে। বিলের স্বচ্ছ পানিতে থাকা ছোট ছোট মাছেরা আনন্দে আত্মহারা হবে।পানির নিচের জলজ উদ্ভিদ গুলো আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে আমাদের সঙ্গ দিতে।
সেই পানিতে লাজুক মুখের ছায়া ফেলবে মাথার উপরের সাদা ও নীল ভেলায় ভেসে বেড়ানো মেঘেরা। তাদের শুভ্র সুন্দর অনাবিল সৌন্দর্য দিয়ে আমাদের যান্ত্রিক পৃথিবী থেকে আগলে রাখবে।
আমি ওর চিঠি পড়তাম আর মনের অজান্তেই হো হো করে হেসে উঠতাম।
মানুষ প্রেমে পড়লে কিংবা কাউকে ভালবাসলে কতো রকমের পাগলামি করতে চায়।
আজকে সেই আড়িয়ল বিলে মন ছুটে গেছে। কৃত্রিম দুনিয়ায় সুউচ্চ ভবনের দাম্ভিকতা আর যান্ত্রিক দালান কোঠার জটিলতায় মাথার উপরের উদার আকাশ ঢেকে গেছে। ধেয়ে চলা সময়ের স্রোতে মানুষের অনাদিকালের অস্তিত্বের লড়াই। নাগরিক নিরাবেগ জীবনে নিজেকে নিয়ে ভাবনার সময় কোথায় মানুষের!
বহু বছর ঘর সংসারের ফাঁকে নিজের হারিয়ে অস্তিত্ব খুঁজে বেড়াই।
পদ্মা ও ধলেশ্বরী নদীর ছায়ায় আপন নৈসর্গিক সৌন্দর্য নিয়ে মুন্সিগঞ্জের আড়িয়ল বিল বহু বছরের মানুষের জীবনের ইতিহাস লিখে চলেছে।প্রায় ১৩৬ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিশাল এক আবাদি ভূমি আড়িয়ল বিল।এখানে কমপক্ষে পাঁচশ ব্যক্তির মালিকানাধীন দিঘি আছে৷
আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে বিল অথৈজলে ডুবে থাকে। বর্ষা মৌসুম এই বিলে আনন্দ নিয়ে আসে।
হীম হীম শীতল বাতাসের সাথে কখনও মিষ্টি রোদ আবার কখনও মেঘ করা বৃষ্টি। বৃষ্টিতে ভিজে কৃষকেরা নৌকা চালিয়ে যাচ্ছে। ভেজা শরীর যেন তাদের কাজের গতি বাড়িয়ে দেয়।
চারিদিকে অগণিত সাজানো শাপলার পসরা ভিন্ন সৌন্দর্যে চোখ ছুঁয়ে যায়। কৃষকেরা বর্ষা মৌসুমে এই শাপলা তুলে বিক্রি করে। আবার কোন কোন জায়গায় কচুরিপানা ঢেকে রাখে বিলের পানি। কৃষকেরা এই কচুরিপানা বাড়ির উঠানে তুলে রাখে। বিল থেকে পানি চলে গেলে জমানো কচুরিপানা জমিতে পঁচিয়ে সার তৈরি করে। তারপর শুকনো মৌসুমে সেখানে সবজি চাষ করে।
আড়িয়ল বিলে বর্ষা মৌসুমে নারীরা এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি যেতে নিজেরাই নৌকা চালায়। এছাড়াও বাঁশ ও কলা গাছের ভেলা বানিয়ে পানিতে পারপার হয়৷ আড়িয়ল বিলের আশেপাশের বাড়ি গুলো কাঠের তৈরি। এই এলাকার কাঠের দুতলা, একচালা, চৌচালা ঘর বাড়ি গুলো আলাদা সৌন্দর্য যোগ করে।
যখন ক্লান্তির দিন শেষে রাত নেমে আসে আড়িয়ল বিলে।বিস্ময়কর সৌন্দর্যে প্রকৃতি আপন মহিমায় সেজে উঠে।
মনেহয় দক্ষ হাতে ক্যানভাসে কোন শিল্পীর আকা ছবি। যেন অপার্থিব কোন সৌন্দর্য।এই অপার্থিব সৌন্দর্য দেখার জন্য কতো শত মানুষের আকর্ষণ কাজ করে। বিলের যতো গভীরে যাওয়া যায় ততো বেশি সৌন্দর্য চোখকে ছুঁয়ে যায়।
অভিনন্দন বলতো সে নৈসর্গিক নিস্তব্ধ রাতে আমার হাত ধরে নৌকায় শুয়ে পূর্নিমা দেখবে।
গভীর গ্রামে ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঝিঝিপোকারা ডাকবে। জোনাকিরা আলো ছড়াবে। দূর থেকে নাম না জানা কৃষকের চৌচালা ঘর থেকে দরদী সুরে মায়া মাখা কন্ঠের গান ভেসে আসবে।
কৃষ্ণ প্রেমে পোড়া দেহ কি দিয়ে জুড়াই বলো সখি?
কে বুঝবে অন্তরের ব্যথা কে মোছাবে আঁখি?
যে দেশেতে আছে আমার বন্ধু চাঁদ কালা,
সে দেশেতে যাব নিয়ে ফুলের মালা।
নগর গাঁয়ে ঘুরবো আমি যোগিনী বেশ ধরি।
তোমরা যদি দেখে থাকো খবর দিও তারে,
নইলে আমি প্রাণ ত্যাজিব যমুনারই নীরে,
কালা আমায় করে গেল অসহায় একাকী।
কালাচাঁদকে হারাইয়ে হইলাম যোগিনী,
কত দিবা নিশি গেল কেমনে জুড়াই প্রাণী?
লালন বলে, যুগল চরণ আমার ভাগ্যে হবে কি?
আমি অভিনন্দনের বর্ণনায় আড়িয়ল বিলকে অনুভব করেছি। কিন্তু কোন দিন আমার যাওয়া হয়নি বিলের ভেতরে। তবে অনেক বার পাশ দিয়ে যাওয়া হয়েছে। গাড়ি থেকে দেখেছি আর স্বপ্নে হারিয়ে গেছি।
পর্ব -১৩
নুরুন নাহার লিলিয়ান

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ম্যাডাম একটু ছোট করে লিখলে পড়তে সুবিধে হয়।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩২

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: দুঃখিত এই উপন্যাসটি প্রকাশ হয়ে গেছে । ছোট করা সম্ভব না । ধন্যবাদ ।

২| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: যতই পড়ছি ততই ভালো লাগছে।

০৮ ই মে, ২০২১ রাত ২:৪৯

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.