নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯ (১) ও ৩৯ (২)(ক) এবং মানবাধিকার সনদ(UDHR) এর অনুচ্ছেদ-১৯ ও অনুচ্ছেদ-২৭ বিশেষভাবে উল্লেখপূর্বক; “অন্ধবিন্দু”- ব্লগ পাতাটির লেখককর্তৃক গৃহীত ও ব্যবহৃত একটি ছদ্মনাম মাত্র।

অন্ধবিন্দু

.

অন্ধবিন্দু › বিস্তারিত পোস্টঃ

হ্যান্স জিমারের সাইলেন্স সিম্ফনি

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৪



(বিশ্ব চলচ্চিত্রের হাই-টেক সঙ্গীতায়ন বিশেষ করে হ্যান্স জিমারের মতো একজন সঙ্গীতজ্ঞের কম্পোজিশন; শব্দ-বাক্যে ধরতে পারাটা বেশ দুরূহসাধ্য। ব্লগ পাতাটি শ্রোতা-অভিজ্ঞতালব্ধ ভালোলাগার লিখিতরূপ মাত্র)


হ্যান্স জিমার’স মিউজিকের সাথে আমার পরিচয় গ্ল্যাডিয়েটর সিনেমায়। সিনেমায় রোমান সংস্কৃতির ঐতিহাসিক অনুবন্ধ আর সাউন্ডট্রেকে মিডল ইস্টার্ন সঙ্গীতের প্রভাব ছিলো মুগ্ধ করার মতো। “নাও উই আর ফ্রি” থিম সং টির কথাই ধরুন- ইউফোরিক ট্রান্সে নাটকীয় পিচ্ বিজড়িত সুর ও গ্রুভ-সেন্ট্রিক স্তুতির ক্বণন, আপনাকে মোহিত কি করেনা ? জিমারের আরেকটি সুন্দর কাজ হচ্ছে রেইন ম্যান। আত্মবাদী উডওয়াইন্ডস এর সাথে হালকা রক ঘষে দিয়েছেন। এতে, প্রতিবন্ধী চরিত্র রেমন্ডের মানসিক দোলাচলতার স্বরূপ প্রনোদিত হয়েছে ততোধিক।

মূলত ফিল্ম-স্কোর বা সিনেমার আবহ সঙ্গীত লেখা হয় চিত্রনাট্য, সিনেমাটোগ্রাফির ঠাট, শুটিং লোকেশন, ক্যারেক্টার অভিব্যক্তি ইত্যাদিকে ভিত্তি ধরে। যা বন্দিকৃত দৃশ্যে সুরারোপ পর: দৃশ্যবস্তুর কথা পরিস্ফুট করে প্রার্থিত আবহ দর্শক মনে পৌঁছে দেয়। দর্শন-শ্রবণের ঐকতান যতো সফল হবে, সিনেমাও স্পর্শ করবে দর্শকের অনুভূতি তন্ত্রীতে। ঋত্বিক ঘটক বলতেন- “চলচ্চিত্রে সঙ্গীতের একটা বিশেষ ভঙ্গি আছে, সাধারণ পায়ে চলার পথে তার আনাগোনা নয়”। অতি সাধারণ সিকুয়েন্সও অভিজাত ভাবে প্রকাশ করা সম্ভব সুর-স্লোগান নামক অদৃশ্য তুলির ছোঁয়ায়। যেমন ধরা যাক “দ্যা লায়ন কিং” এনিমেটেড মুভিটির কথা। আফ্রিকান ভোকালস এবং আফ্রো-ক্যারিবিয়ান ছন্দের মিষ্ট কল্লোল এঁটে, গল্পটিকে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে গেছেন কিন্তু এই হ্যান্স জিমার সাহেব !



সিন্থেসায়যারের চার মাত্রার ওয়েব কষে প্রথাগত অর্কেস্ট্রার সাথে জুড়ে দিতে জিমার পাক্কা ওস্তাদ বটে। সংগীততত্বের প্রাযুক্তিক উন্নয়ন, ইলেকট্রনিক মিউজিকের সাথে বাদ্যযন্ত্রীদের সুষম যুগলবন্দি, ওর স্কোরগুলোকে আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ করে চলেছে। রচনাশৈলী/শব্দ কাঁপুনি সমসাময়িক হলেও ধ্রুপদী পটভূমির সংযোজন ঘটিয়ে, ডিপথ্ অব পার্সপেকটিভে নিজের স্বাতন্ত্র্যসূচক পরিচয়টি ঠিক বজায় রাখেন। যেনো শুনলেই ধরা যায় এটা জিমারের সাক্ষর। স্বদেশী লুডভিগ বেটোফেনের উত্তরসূরির প্রতিটি সৃষ্টি অত্যন্ত মার্জিত ও নিগূঢ়রকম। যদিও তার বেশিরভাগ কাজই এ্যাকশন থ্রিলারধর্মী সিনেমায়। দ্যা লাস্ট সামুরাই এর স্কোরে- জাপানিজ লয়ের আঞ্চলিকতা অটুট রাখার পাশাপাশি, যোদ্ধা-দামামায় দারুণ কিছু ধ্যানমগ্ন ক্যালিবার থ্রো করেছেন ! তাতে সামুরাই কিং হবার ইচ্ছে জাগতেই পারে।

“দ্যা জোকার” থিমটিতে উত্তাল সাউন্ড ইফেক্টের যে নিনাদ তিনি শুনিয়েছেন সেটি নিঃসন্দেহে মনোবিকারগ্রস্ততার আরেক আন্দাজ। তবে জিমারের স্ট্রোক অফ জিনিয়াস কৃতিটি হচ্ছে- ইনসেপশন মুভির “টাইম”। ক্রিস্টোফার নোলানের যুগান্তকারী এক সৃজন !! এখানে জিমার-মোটিফের বিচক্ষণ বিশ্লেষণ রয়েছে, রয়েছে নতুনত্বের স্বাদ। বাজারে কথিত আছে, জিমারের ফিল্ম-সঙ্গীত নাকি সবসময়ই কেতাব-বিরোধী অর্থাৎ আবেগপ্রবণ জাতের। আমার মতামত- সুরকারের বৃহত্তর স্বাধীনতা তার শিল্পসমগ্রতার কল্পনা-প্রতিভায় শোধিত হতেই পারে। যাইহোক “টাইম” এর ঝুলন্ত ট্যাম্পো সিনেমার চিত্রকল্পে একটু একটু করে অদমনীয় আকাঙ্ক্ষা জমায়। একদিকে তীব্রতার ক্রমবৃদ্ধি সহদিকে পিয়ানোর একক নোট ভং... ভং...। আরেকটি ট্র্যাক “ড্রিম ইজ কলাপসিং” তো দুর্ধর্ষ। আমাদের স্মৃতি-স্বপ্ন-আশার পরতে পরতে রিয়ালিটির উদ্ভাসন; গম্ভীর টিউনে হৃদয় গহনে ব্লক হতে থাকে। যাকে আমি বলছি- মিউজিকের হিপনোটিক লাবণ্যতা।

হ্যান্স জিমার’স স্কোর/সাউন্ড ট্র্যাকে আর যা পছন্দের; প্রায়ই শুনি এবং মনে করতে পারছি-

১.ওয়ে অফ লাইফ-দ্যা লাস্ট সামুরাই
২.এ স্মল মেজার অফ পিস-দ্যা লাস্ট সামুরাই
৩.জার্নি টু দ্যা লাইন-থিন রেড লাইন
৪.রোল টাইড-ক্রিমসন টাইড
৫.ভিদে ক্যর মিওম-হানিব্যল
৬.মাদার আফ্রিকা-দ্যা পাওয়ার অফ ওয়ান
৭.সলোমন- টুয়েল্ভ ইয়ারস এ স্লেভ
8.চেস-দ্যা পিস মেকার
৯.শ্যাডো বিট্রে য়্যু-ডার্ক নাইট রাইসেস
১০.আই সি ইবরেথিং-শার্লক হোমস্
১১.যেদ- দ্যা রক

এবং সবচেয়ে প্রিয়টি হলো, ইন্টারস্টেলারের রাজোচিত স্কোর "S.T.A.Y."। সত্যি করে বলতে ইন্টারস্টেলারের সবগুলো ট্রেক্‌ই ভীষণভাবে চমৎকৃত করে। সাম্প্রতিক সময়ে এহেন আবহ সঙ্গীত ও সাউন্ড ট্র্যাক খুব কমই পেয়েছি। পরিচালকের উদ্দেশ্য ছিলো, সিনেমাটিক অভিজ্ঞতায় দর্শকদেরকে স্পেস ও সময়ের স্পিরিচুয়াল বা ঐশ্বরিক ভ্রমণে ধ্বনিত করা। যেখানে চরিত্রগুলোর বিপরীত পার্শ্বে, ছন্দরসায়ন সৃষ্ট মোশন-সিকনেসে দর্শকগণ আত্মহারা হবেন। মৃদু-মন্থর সিন্থস, ক্লকওয়ার্ক টিক্ টক্, মহাজাগতিক সন্নিধির অজানা-অতলে প্রবেশকালীন নৈশব্দ আর বিস্ময়ের চরম মুহূর্তে ক্লাসিক্যাল সিম্ফোনি; সব মিলিয়ে এক অসামান্য সংক্রমিত আবাহন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন হ্যান্স জিমার।


সবশেষে আপনাদের জন্য একখানা বোনাস থাকলো-







২৪ কার্তিক ১৪২২
অন্ধবিন্দু | সামহোয়‍্যার ইন...ব্লগ

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কোথায় যেন অনেকদিন আগে পড়েছিলাম চিকিৎসা বিজ্ঞানে এনেস্থেসিয়া দেয়ার বদলে মিউজিকের মাধ্যমে হিপ্নোটাইজ করে অপারেশন করা যায় কিনা তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। আসলেই মিউজিক এমন একটা জিনিস যা আমাদের মানসিক অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে যায়। আবার প্রকৃতিও এক অদ্ভুত মিউজিক তুলে যাচ্ছে সর্বক্ষণ। এইটাকে রপ্ত করাটা অবশ্যই একজন জিনিয়াসের কাজ।

আমাদের দেশের কথা যদি বলি আমার চিরজীবন সংশপ্তক নাটকের আবহ সঙ্গীতের কথা মনে থাকবে।

চমৎকার পোষ্ট। এই বিষয় নিয়ে যে ভেবেছেন তাতেই মুগ্ধ হোলাম। +++ অসাধারণ পোষ্ট বললেও কম বলা হবে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

অন্ধবিন্দু বলেছেন:

জনাব কান্ডারি,
মিউজিক থেরাপি নিয়ে উইকিতে বেশ বিস্তর একটা লেখা আছে। তাই গবেষণার ব্যাপারটাতে এখানে আর নাই বললেম। অতি সুন্দর বলেছেন- “আসলেই মিউজিক এমন একটা জিনিস যা আমাদের মানসিক অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে যায়। আবার প্রকৃতিও এক অদ্ভুত মিউজিক তুলে যাচ্ছে সর্বক্ষণ”

মহান আল্লাহ আমাদের সেন্সোরি প্রসেসিং এর সাথে মস্তিষ্কের যে তাল তুলে দিয়েছেন তাতে প্রকৃতির ছন্দ হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে সৃজিত অকৃত্রিম সঙ্গীত; বিযুক্ত থাকার উপায় নেই। প্রকৃতির কাছাকাছি যতো যাওয়া যায়, সে সুশৃঙ্খলিত সুললিত সুরের ধারা মানুষে-প্রাণীতে ততোটাই প্রভাব বিস্তার করতে থাকে।

আমাদের বাংলার কথাই বলুন বা উপমহাদেশের- সমৃদ্ধির শ্রেষ্ঠত্বে ভরপুর ছিলাম আমরা। সংশপ্তক নাটকের আবহ সঙ্গীত মনে করিয়ে দিয়ে নস্টালজিক করলেন। প্রখ্যাত সুরকার আনিসুর রহমান তনুর অনেক কাজই কিন্তু আমাদের মুগ্ধ করেছে।

হুম !না ভেবে উপায় আছে। ক্ষুধা নিবারণ আর-কী। পৃথিবীর বিভিন্ন কালচারের মিউজিক শুনি আবার কখনো নিজেই বুনি সুরমালা ! হাহ হা। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের প্রতি আছে বিশেষ দুর্বলতা। ভালোলাগলো আপনার নিমগ্ন-পাঠ ও আন্তরিক মন্তব্য।


অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো।

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,



মিউজিকের হিপনোটিক লাবণ্যতা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই তাদের কাছে যারা আসলেই সঙ্গীত পছন্দ করেন ।
তবে আপনার এই নন-বাঙলা সঙ্গীত আমার তেমন পছন্দ নয় । কারন ভাষার গভীরে যেয়ে একাত্ম হতে পারিনে খুব একটা যেটা সহজেই পারি নিজ ভাষার সঙ্গীতে । এমনকি হিন্দী গান ও তেমন ভালো লাগেনা যদি তার সুর আপনার হিপনোটিক লাবণ্যতা না ছড়ায় ।
তবুও কেন এটাতে মন্তব্য করছি ? ঐ যে "হিপনোটিক লাবণ্যতা" শব্দটি চোখে পড়লো তাই । অবশ্য দুরূহসাধ্য এই কাজটি আপনি শব্দ-বাক্যে ধরে রেখেছেন টানটান , বেহালার ছড়ের মতো , সেটাও একটা কারন ।
শুভেচ্ছান্তে ।



০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জনাব আহমেদ জী এস,
মন্তব্যে লাইক দিয়েছি ! হুম, ভাষার গভীরে যেয়ে একাত্ম হতে পারাটা অবশ্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে সঙ্গীতের নিজস্ব ভাষা রয়েছে যা দেশ-কাল-জাতি থেকেও অনেক অনেক ঊর্ধ্বে। আমারা এখানটাতে একাত্ম হয়ে যাই চেতনে বা অবচেতনে। নন-বাঙলা সঙ্গীত আপনার পছন্দ না-ই হতে পারে। সব নন-বাঙলা যে আমিও নিতে পারি; তাও নয়। তবে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের ক্ষেত্রে আপনাকে বলবো সবটাতেই খুঁজে/শুনে দেখুন। দে অ্যল আর ইন্টার-কানেকটেড। অনেক ভালোলাগা পাবেন আমার বিশ্বাস, কারণ আপনি সুবিজ্ঞ একজন শ্রোতা-দর্শক।

হিন্দি গানগুলোর কথা/বাণী খুব ফালতু হয়েছে ইদানীং। সুরে তারা যা ইনহেরিট করে আছে; শেকড় ভুলে পাশ্চাত্য থেকে সবটা ধার করার কিন্তু প্রয়োজন পড়ে না। আর আমাদের কথা এখানে বলা থেকে বিরত থাকি।

হ্যা ! বেশ দুরূহসাধ্য। খেয়াল করলে দেখবেন- খোদ আন্তর্জাতিক/ইংরেজিতেও স্ট্রাকচারাল-লেখালেখি খুব কম হয়। সঙ্গীতের কথা স্টেজেই ভালো মানায়.... অনেক অনেক শুভ কামনা করছি।

৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

অগ্নি সারথি বলেছেন: সাউন্ড ট্র্যাক গুলোর অডিও লিংক দিতে পারেন?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
অগ্নি সারথি,
খুব ব্যাস্ততার মধ্যেও পোস্টখানা আপনাদের সাথে শেয়ার করলেম। লিংক দেয়া তো সম্ভব হচ্ছে না। আপনি ইউটিভবে খোঁজ করলেই পেয়ে যাবেন। ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইলো।

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: দারুন একটা পোস্ট। ভালোলাগা রইলো ভাই। :)

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
শতদ্রু একটি নদী,
পোস্টখানা সাধারণ। তবে আমার পাঠকেরা দারুন। কারণ তাঁরা সাহিত্যমনস্ক, সঙ্গীতনুরাগী এবং তথ্য সচেতন। শতদ্রু একটি নদীর প্রতি আমার আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো ও অনেক অনেক শুভ কামনা। :)

৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

গোর্কি বলেছেন:
প্রাণবন্ত সংগীত শরীরের স্নায়ুতে ও মাংসপেশীসমূহে মনোবৃত্তির প্রভাব তরঙ্গিত করতে সক্ষম। তাই সংগীত নিজের উত্তেজনা প্রকাশের উপায় ও অপরকে উত্তেজিত করার উপায়। রবি ঠাকুরের একটি উদ্ধৃতি তুলে দিলাম,
য়ুরোপের প্রত্যেক গান একটি বিশেষ ব্যক্তি, সে আপনার মধ্যে প্রধানত আত্মমর্যাদাই প্রকাশ করে। ভারতে প্রত্যেক গান একটি বিশেষ-জাতীয়, সে আপনার মধ্যে প্রধানত জাতিমর্যাদাই প্রকাশ করে। য়ুরোপীয় ওস্তাদকে সাবধানে গানের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখিয়া চলিতে হয়। আমাদের দেশের গানে ব্যক্তিত্ব আছে, কেবল সে কোন্‌ জাতি তাই সন্তোষজনকরূপে প্রমাণ করিবার জন্যে। য়ুরোপে গান সম্বন্ধে যে কর্তৃত্ব গান-রচয়িতার, আমাদের দেশে তাহাই দুইজনে বখরা করিয়া লইয়াছে-- গানওয়ালা এবং গাহনেওয়ালা। যেখানে কর্তৃত্বের এমন জুড়ি হাঁকানো হয় সেখানে রাস্তাটা চওড়া চাই। গানের সেই চওড়া রাস্তার নাম রাগরাগিণী। সেটা গানকর্তার প্রাইভেট রাস্তা নয়, সেখানে ট্রেস্‌পাসের আইন খাটে না।
জ্ঞানী পোস্টে অগণিত তারা। স্বর্ণপ্রজ হোক আপনার কী-বোর্ড। শুভকামনা রইল।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:

জনাব গোর্কি,
সঙ্গীত এবং রবি ঠাকুরের দর্শনের বিষয়বস্তুটি স্ব স্ব অবস্থানে বিশাল বড় ক্যানভাস। উত্তর লিখে কুলানো যাবে না। আর সময়ও হাতে খুব কম। ছোট করে বলতে- রবীন্দ্রনাথের অন্য একটি উদ্ধৃতি স্মরণ করছি: “বাংলা পদগান জলেরই মতো যৌগিক সৃষ্টি, তা দুইয়ে মিলে অখণ্ড। হিন্দুস্থানী গান রূঢ়িক, তা একাই বিশুদ্ধ। সৃষ্টি ব্যাপারে রূঢ়িক শ্রেষ্ঠ না যৌগিক শ্রেষ্ঠ এ তর্কের কোনো অর্থ নেই। ভালো যা তা ভালো বলেই ভালো–রূঢ়িক বলেও না, যৌগিক বলেও না” (সংগীতচিন্তা)

সাহিত্য ও সভ্যতায় তিনি বলছেন–সৃষ্টির সহিত সাহিত্যের তুলনা হয়। এই অসীম সৃষ্টিকার্য অসীম অবসরের মধ্যে নিমগ্ন। চন্দ্রসূর্য গ্রহনক্ষত্র অপার অবসরসমুদ্রের মধ্যে সহস্র কুমুদ কহ্লার পদ্মের মতো ধীরে ধীরে বিকশিত হইয়া উঠিয়াছে। কার্যের শেষও নাই, অথচ তাড়াও নাই। বসন্তের একটি শুভ প্রভাতের জন্য শুভ্র চামেলি সৃষ্টির কোন্‌ অন্তঃপুরে অপেক্ষা করিয়া আছে, বর্ষার মেঘস্নিগ্ধ আর্দ্র সন্ধ্যার জন্য একটি শুভ্র জুঁই সমস্ত বৎসর তাহার পূর্বজন্ম যাপন করিতেছে। সাহিত্যও সেইরূপ অবসরের মধ্যে জন্মগ্রহণ করে। ইহার জন্য অনেকখানি আকাশ, অনেকখানি সূর্যালোক, অনেকখানি শ্যামল ভূমির আবশ্যক। কার্যালয়ে শান-বাঁধানো মেজে খুঁড়িয়া যেমন মাধবীলতা উঠে না, তেমনি সাহিত্যও উঠে না

গোর্কি আপনি অত্যন্ত প্রাজ্ঞ একজন পাঠক। তাই শুধু বোল্ড করেই দৃষ্টি আকর্ষন করলুম। আশা করছি বুঝে যাবেন ঠিক কোথায় আমি নক্ করতে চাইছি।।।

(কী-বোর্ড যদি নিজের প্রচার-প্রসার করতে না জানে তাহা স্বর্ণপ্রজ হয়ে যা ধুলোবালি হয়েও তা ! হাহ হা হা।)

কৃতজ্ঞতা, মূল্যবান মন্তব্যটির জন্য। আপনার সতত মঙ্গল কামনায়, অন্ধবিন্দু।

৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৭

জুন বলেছেন: অনেক ভালোলাগা অন্ধবিন্দু

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জুন,
অতি সামান্য লিখায় অনেক ভালোলাগা রাখলেন ! কী লিখি উত্তরে...
সে পুরনো কথাই বলে যাচ্ছি- ভালো থাকুন সতত।।

শুভ কামনা।

৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো। অডিও লিংকগুলো দিলে প্রিত হইতুম।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫২

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
গেম চেঞ্জার,
ভাল যেহেতু লেগেছে, বিনিময়ে খানিকটা কষ্ট কি করা যায় না ? হুম, আলসেমি পেয়েছে বুঝি। হাহ হা। সময় পাচ্ছি নে তাই আপাত একটি লিংক দিলুম; কারণ আপনাদের প্রীত করার সুযোগটি মিস করতে চাইনে। কে জানে আগামীকাল্য বেঁচে থাকি, কি না ...

শুভকামনা। অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হ্যান্স জিমারের মিউজিক ফার্স্ট শুনেছিলাম গ্ল্যাডিয়েটরস মুভিতে।
দ্যা লাস্ট সামুরাইয়ে জিমার উঁচু মাপের মিউজিকের খেলা দেখিয়েছে। ঐসময় সে ফিল করেছিল, জাপানীজ সঙ্গীতে তার বিশেষ জ্ঞান নেই। তাই, জাপানীজ মিউজিক নিয়ে রিসার্চ করে মিউজিক বানালো।

আমার ফ্যাভারিট অবশ্য হ্যান্স জিমার ইন্টারস্টেলার মুভিতে করা 'স্টে'।

আপনার পোষ্টটা অনেক বেশি ভাল লাগলো। আমি ব্লগে অনেকদিন পর মিউজিকের প্রতি আগ্রহ থাকা কারো দেখা পেলাম।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন:


রক্তিম দিগন্ত,
হ্যান্স জিমারের কাজ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন ও ভালোলাগা এখানে শেয়ার করার জন্য বিশেষে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাতাটিতে আপনিই প্রথম মন্তব্যকারী যিনি হ্যান্সের সাথে পরিচিত আছেন। তো বুঝুন এবার, অনেকদিন পর পর কেনোও দেখা পেতে হয় ! হাহ হা হা।

পার্সোনাল ব্লগ, ফেসবুক, অনলাইন পত্রিকা, মিউজিক/সিনেমা বিষয়ক ব্লগ, ছাপার অক্ষর ইত্যাদি ইত্যাদি ... যারা এতদ বিষয়ে লিখালিখিতে সিরিয়াস; তাঁরা এখন আর কমিউনিটি ব্লগগুলোতে থাকার প্রয়োজন মনে করছেন না হয়তো। এটিও কারন হতে পারে।

ভালো লাগলো আপনার সাথে কথা বলে। অনেক অনেক শুভ কামনা।

৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৭

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: চলচিত্রে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যদিও তারা সেভাবে হাই লাইটে আসেন না। একটা সাধারণ দৃশ্যও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এর কারণে অসাধারণ হয়ে উঠে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া চলচিত্র পানসে হয়ে যাবে। কিছু ব্যতিক্রম অবশ্য আছে। অস্কার বিজয়ী নো কান্ট্রি ফর ওল্ড ম্যান মুভি সে রকম একটা মুভি।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
প্রবাসী পাঠক,
ফিল্ম স্করগুলো চলচিত্রের সাথে একাধিক লেয়ারে সংযুক্ত থাকে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এখানে ফোরপার্ট মাত্র। থাকে সে কারিগরি কথা। ভালো লাগলো- আপনি ফিল্ম বিষয়ক খোঁজ-খবর রাখেন দেখছি !

নো কান্ট্রি ফর ওল্ড ম্যান মুভিটি ভিন্নধারার সৃষ্টি। এবং নাইস ওয়ান।

অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো।

১০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩

মানবী বলেছেন: and I knew it & got it right!

:-)

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
মানবী,
তাহলে যে খুশী হতেই হয়; লিখাটিতে আপনার দেখা পেয়ে :)

শুভ কামনা ও ধন্যবাদ রইলো।

১১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রিয় অন্ধবিন্দু, আপনার পোস্টে 'লাইক' দেবার পর সামু আমারে কইলো:
"আপানার লাইকটি গৃহীত হয়েছে"

-অতএব 'লাইক' এর বিষয়ে কোন সন্দেহ করার অবকাশ রইলো না।

দ্বিতীয়ত, আপনার বোনাস পেলাম। কিন্তু পরিবেশ অনুকূল না হওয়ায় আওয়াজ করার সাহস হলো না। পরে দেখে নেবো।


তৃতীয়ত, আবহসঙ্গীত এমন এক বিষয়, যা বুঝতে পারি কিন্তু ঠাওর করতে পারি না। কাহিনির ভেতর এমনভাবে প্রবেশ করি যে, আবহ সঙ্গীতকে সচেতনভাবে খেয়াল করতে পারি না। আমার মনে হয়, এটিই আবহসঙ্গীতের (এবং সৃষ্টিকর্তার) কৃতীত্ব।

'বিশেষ একটি বিষয়ে' আপনি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
একজন গুণী ব্যক্তিকে তথ্য প্রমাণ দৃষ্টান্তসহ চিনিয়ে দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জনাব মাঈনউদ্দিন মইনুল,
লাইক/ডিসলাইকটি যখন পাঠকেরা জেনে-বুঝে অত্যন্ত বিচার-বিবেচনা করে প্রদান করেন। আমি সেটি কৃতজ্ঞ চিত্তে গ্রহন করি। আপনার মূল্যবান সময় ও মতামতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

খুব ছোট করে একখানা ভারী উত্তর দেবার চেষ্টা করলাম। আশাকরি, আপনি হৃদয়ঙ্গম করে নিতে বরাবরের মতোই অকৃত্রিম থাকবেন। অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো।।

১২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:



একশন-থ্রিলার মানেই হলো হ্যান্স জিমার । রেইন ম্যানের পর থেকে তাকে প্রথম জানি ... দ্যা লায়ন কিং থেকে তাকে জানি তবে নিয়মিত শুনি না ... হঠাত হঠাত শোনা হয়।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জনাব আমিনুর,
জিমারের সাথে আপনার পরিচয়/ভালোলাগার কথা জানতে পেয়ে খুশি হলাম। একশন-থ্রিলার জাতীয় সিনেমার মামলায় ওর ক্লিকটা সবসময়ই পারফেক্ট হয়। ডার্ক বা রহস্যেও কিন্তু কম না !!

শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ রইলো।

১৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ধইন্যা!! ;)

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
রাখলেম :)

১৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: দারুন লিখা । কাজের পোস্ট ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
শান্তনু চৌধুরী,
আপনার মূল্যবান সময় ও মতামতের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।

১৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩

সোমহেপি বলেছেন: চমৎকার লেখা । এসব সিনেমাটিক মোনটাজ ই সিনেমাকে অন্ধদের কাছেও অর্থবহ করে তোলে । ভাললাগা রইল ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আপনিও অর্থবহ একটি মন্তব্য রাখলেন, সোমহেপি। অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

শুভ কামনা।

১৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৭

কিরমানী লিটন বলেছেন: অনেক ভালোলাগা রেখে গেলাম, প্রিয় অন্ধবিন্দু, শুভকামনা...

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০১

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ভালোলাগা রাখলেম, কিরমানী লিটন। ধন্যবাদ আপানাকে।

শুভেচ্ছা।

১৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩২

আরজু পনি বলেছেন:

আপনার লেখাটি পড়তে পড়তে ভাবছিলাম আমার একজন বন্ধু দরকার যার সাথে আমার শুধু গান নিয়েই কথা হবে...
বোনাস শুনছি... :D

এবং অবশ্যই দারুণ লাগছে...
হয়তো সকালে প্রায়ই এটা আমার ঘরের পরিবেশকে অন্যরুপ দিবে ।

++++++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আরজুপনি,
আপনার আন্তরিক মন্তব্যটিতে ভালোলাগা পেলাম। ধন্যবাদ জানাই।

শুভ কামনা রইলো।

১৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
আমজনতার দায় কালচার ইমপ্যারিজম আঙিনায় মোহগ্রস্ত ছায়া দর্শনের সমাপ্তির ক্রেডিটটুকু হয়ত অদৃশ্যায়ন থেকে যায় ৷ নিবিড় ক্ষণটুকুই ক্যামেরার পিছনের কলাকৌশলীর দক্ষতার বোধ স্বীকৃতি ৷


উনার পারকাসন্সের টিউনগুলো অভিনব ও চমকপ্রদ নিঃসন্দেহে ৷

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জাহাঙ্গীর আলম,
হঠাৎ করে বাক্য গঠন জটিল করে দিলেন। ব্যাপারটা কি ? সাধারণ কথা অতো কঠিন ক’রে বললে, কঠিন কথা পরে কেমনে বলবেন! যাইহোক, আমজনতা ভাবাভাবির মধ্যে নাই। কিন্তু যারা বিশেষ জনতা আছে তাঁদের উচিত আমজনতাকে সবটুকুরই স্বাদ দেবার চেষ্টা করে যাওয়া। আমরা আগুন/তাপে খাবার রান্না করি, তাপে নিশ্চয়ই জিহবা পুড়তে যাই নে! এভাবে ভেবে দেখুন ...

শুভ কামনা রইলো। :)

১৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

এহসান সাবির বলেছেন: আনন্দ শংকর কে নিয়ে আমি একটা পোস্ট দেব।

he is the best of the best......!!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
তাই ! অপেক্ষায় থাকলেম তবে :)

২০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মাঝে মাঝে ছবিতে বিরক্তি জাগলে প্লট থেকে নজর সরিয়ে মিউজিকে কান ঢোকাই। জিমারকে ভাল লেগেছিল গ্ল্যাডিয়েটরের শেষটায়। অদ্ভুত আবেশ জড়িয়ে দিয়েছিল।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৯

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
হাহ হা। এটা কিন্তু ভাল বুদ্ধি! মিউজিক অনেক বাজে প্লটও কাভার করে যায় এভাবে। প্রোফেসর শঙ্কু, ব্লগে সক্রিয় হয়েছেন দেখে খুশি হলেম। আশাকরছি শীঘ্রই নতুন লেখা পোস্ট করবেন।


অনেক অনেক শুভ কামনা জানাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.