নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯ (১) ও ৩৯ (২)(ক) এবং মানবাধিকার সনদ(UDHR) এর অনুচ্ছেদ-১৯ ও অনুচ্ছেদ-২৭ বিশেষভাবে উল্লেখপূর্বক; “অন্ধবিন্দু”- ব্লগ পাতাটির লেখককর্তৃক গৃহীত ও ব্যবহৃত একটি ছদ্মনাম মাত্র।

অন্ধবিন্দু

.

অন্ধবিন্দু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নামমাত্র মুসলমান থেকে কাজের মুসলমান হবার প্রথমধাপ: জ্ঞানার্জন

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১১



((( সুধী স্বজন, ব্লগ পাতাটিতে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আপনার আলোচনা/সমালোচনা/প্রতিক্রিয়া লিখতে কুণ্ঠাবোধ করবেন না। আমরা কেউই সবজান্তা নই। তবে আমার আস্থা রয়েছে; আন্তর্জালের তীক্ষ্ণ মেধাবী ও স্বশিক্ষিত অংশটির প্রতি। যাঁরা দায়িত্বসহকারে পড়েন-লিখেন, ব্লগিং করে থাকেন; তাঁরা কমজান্তাও নন! কামনা করি, আমাদের মধ্যকার এই ব্লগ-মিথস্ক্রিয়া সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর থাকুক )))

বিছমিল্লা-হির রাহ মা-নির রাহীম।
কোরআন, হাদীস-সুন্নাহের জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য অত্যাবশ্যকীয় অর্থাৎ ফরজে আইন। ইসলাম গ্রহণ করার পর ইসলামের সকল বিধি-বিধান পালন করার চেষ্টাটি তাই অপরিহার্য; এখানে উপযুক্ত কারণ ব্যতিরেকে ঐচ্ছিকতার কোনও স্থান নেই। আর পালনের জন্যই জানার/শিক্ষা করার বাধ্যবাধকতা আসে। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে ‘যার ইলম নাই তার ঈমান নাই’। আমরা যারা পাঁচ কলেমা মুখস্থ করে বা নামায রোযার দু-চারটা মাসালা-মাসায়েল জেনেই নিজেকে মুসলমান দাবী করছি; এ দাবী টি যৌক্তিক ? না অনেক বড় মূর্খতার শামীল !! বাপ-দাদার উত্তরাধিকার সূত্রে পৃথিবীতে মুসলমানের সংখ্যা রোজই বাড়ছে। কিন্তু দ্বীনি-শিক্ষা এবং জীবনাশ্রিত ও যাপনঘনিষ্ঠ ইসলামি হুকুম-আহকাম-শরীয়াহ্-ফেকাহ্ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান না-থাকার দরূন আমাদের মুসলমানের বিশ্বাস― অসচেতন/দূর্বল থেকে যাচ্ছে। এই অচেতনতার প্রতি ইঙ্গিত করে সূরা ইউসুফে(১০৬) সর্বশক্তিমান আল্লাহ তা’য়ালা বলছেন― ‘ওয়ামা ইউ’মিনু আকছা রুহুম বিল্লা-হি (অনেক মানুষ আছে যারা আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করে) ইল্লা ওয়াহুম মুশরিুকূন (কিন্তু তারা মুশরিক)।। এছাড়া আমরা এমনও আছি যারা কোরআনের আরবী-বানী উচ্চারণ করে পাঠ করতে শিখলেও মাতৃভাষায় তার অর্থ ও সাহিত্য উপলব্ধি করার তাগিদ করি নে। যার ফলে, মহান আল্লাহ তায়ালা রচিত মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের সহিত আমাদের আত্মিক(জ্ঞান-প্রজ্ঞাগত রূহানী হুঁশ) যোগাযোগ গড়ে ওঠতে, বাধা হয়ে দাঁড়ায় ভাষার দূরুত্ব। তেমনি, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রেখে যাওয়া হাদীস-সুন্নাহ-আদর্শে মনোদৈহিক, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক তথা সার্বিক-সার্বজনীন অতলস্পর্শ গভীরতার তাৎপর্য অনুধাবনে ব্যার্থ আমরা; একদল― খাবারের পর মিষ্টি খাওয়া সুন্নাত, দাড়ি রাখা, লম্বা জামা, তিনি নুরের তৈরি, তার বৈবাহিক অবস্থা, মনগড়া গাল-গপ্প আর বিচ্ছিন্ন দৃষ্টিকোণে উৎসুক থাকি। একদল― ইসলামের বাস্তবায়ন মানুষের চিন্তা-চেতনায় নয় বরং তরোবারি/অস্ত্রের জিহাদে ভর করে মুসলমানিত্বের মৌলিক সংজ্ঞা প্রকাশে মশগুল হই। একদল আছি― রাব্বুল আলামিনের আহবানকৃত মধ্যপন্থার কথা ভুলে, মাজহাবের ভ্রাতৃত্ব ত্যাগ করে মারপ্যাচের সেলাই ধরেছি। আরেকদল মনে করি― যা হবার তা তো হবেই। এসব দলাদলির সমন্বয়হীনতা দেখে, পবিত্র কোরআনের সূরা আল জুমআ’র আয়্তটি মনে পড়ে যায় বারবার―“কামা ছালিল হি’মা-রি ইয়াহ মিলু আছফা-রাং (তাদের উপমা সেই গাধা, যে পুস্তক বহন করে)”।। পরিণামস্বরুপ― যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টিতে মুসলিমদের অজ্ঞানতা-ঐক্যহীনতা, বিশ্বকেন্দ্রিক দ্বীনি দাওয়াতের পরিবর্তে জাহেলী তাকলিদ বা অন্ধানুকরণ যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে যাওয়া, আধুনিক অপবস্তুবাদ-ভোগবাদে নিজেদের অস্তিত্বসংকট/আত্মদৈন্যতা সহ বিজ্ঞান শিক্ষায় শোচনীয়রকম পিছিয়ে পড়ার ইত্যাদি ইত্যাদিতে অষ্টপ্রহর মরছি।

আজকের পাশ্চাত্যের সাথে আমার/আমাদের মধ্যে অনেকেরই শিক্ষা ও গবেষণামূলক নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে, অস্বীকার নেই। কিন্তু যখন তথাকথিত আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো ফ্যাব্রিক্যাটেড টেরোরিজম অব্যক্ত রেখে জার্নালিজমের কোড এন্ড কোন্ডাক্টস ভঙ্গ করে ইসলামের মডারেট, র‌্যাডিক্যাল, ট্যারোরেস্টিক ব্যাখা-বিশ্লেষণের উদয় ঘটায় ! তবুও যতোটানা দোষ ওই ষড়যন্ত্রকারীদের ছুঁড়ে দিতে ইচ্ছে; তার চাইতেও বহুগুন আমি নিজেদের করছি। কারণ ১৪শ বছর আগে থেকে পবিত্র কোরআন আমাদের স্পষ্টত সাবধান করে আসছে এবং করনীয় দিক-নির্দেশনায় নবীজি পাক (সা.) অত্যন্ত দৃঢ় উদাহরন ও কৌশল (উসওয়াহে হাসানাহ) উপস্থাপন করে গেছেন। সর্বোত্তম অগ্রদূত, অবিকৃত-কালজয়ী-শ্বাশ্বত আল-কুরআন আর সর্বশক্তিমান আল্লাহর নিশ্চিত অভয়বানী পাওয়ার পরও আমাদের এহেন পতন, চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়― আমরা নামের মুসলমান ঠিক কী অর্থে।

কুরআন আল-কারীমের সূরা সূরা হা-মীম সেজদা’য় আল্লাহ তা’য়ালা নবীজিকে সম্বোধন করে বলছেন―
“আর ভাল ও মন্দ সমান হতে পারে না। মন্দকে প্রতিহত কর তা দ্বারা যা উৎকৃষ্টতর, ফলে তোমার ও যার মধ্যে শত্রুতা রয়েছে সে যেন হয়ে যাবে তোমার অন্তরঙ্গ বন্ধু। / সমান নয় ভাল ও মন্দ। জওয়াবে তাই বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার সাথে যে ব্যক্তির শত্রুতা রয়েছে, সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু।” (৪১:৩৪)

আরবী গুণবাচক শব্দ “আহ্সান বা আফ্দাল” এর বাংলা অর্থ হচ্ছে উৎকৃষ্টতর/সেরা/শ্রেষ্ঠ্য। সূরাটিতে আল্লাহ নির্দেশ করছেন― ইদ্ফা’ বিল্লাতী হিয়া আহ্সানু―উৎকৃষ্টতর ব্যবহার দ্বারা মন্দ আচরণের নিবৃত্তকরন। ঈমানদার চরিত্রকে আল্লাহ তা’য়ালা এভাবেই উত্কর্ষ/এহ্সান(আরবী নামপদ) দিয়ে থাকেন। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে―ক্বাদ আফলাহা মান জাক্কাহা (যারা আত্মার উৎকর্ষ সাধান করে তাঁরাই মুক্তি পাবে) ওয়া ক্বাদ খাবা মান দাসসাহা (আর যারা আত্মাকে কুলষিক করে তারা ধংস্বপ্রাপ্ত)। আমাদের প্রাণের চাইতেও প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.) এর ব্যক্তিত্বে যা ছিলো প্রতিনিয়ত উদ্ভাসিত; নবীজি (সা.) মুশরিকদের কতোনা ঠাট্টা-বিদ্রুপ, অপমান-অপদস্থ, বঞ্চনা-নির্যাতন সহ্য করেছেন দিনের পর দিন, প্রতিক্রিয়ায় তবু মন্দ আচরণ করেন নি। সূরা আল-হিজরে আল্লাহ তা’য়ালা সহানুভূতি প্রকাশ করে এরশাদ করছেন― “আমি জানি, তারা যেসব কথা-বার্তা বলে তাতে আপনার মন সংকুচিত হয়” আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত― নবী কারীম সা. কে বলা হল ‘হে রাসূল ! মুশরিকদের বিরুদ্ধে দুআ করুন, উত্তরে তিনি বললেন ‘আমাকে অভিসম্পাতকারী হিসেবে প্রেরণ করা হয়নি। আমাকে রহমত, দয়া ও করুণা হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে’ (সহীহ মুসলিম:২৫৯৯) আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত―তিনি বলেন, রাসুল সা. কে বলতে শুনেছি ‘হে আল্লাহ, আমার উম্মতের মধ্যে কেউ যদি ক্ষমতাশীল হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তুমি তার উপর কঠিন আচরণ করো। আর যে ক্ষমতাশীল হওয়া সত্বেও তা অন্যায়ভাবে প্রয়োগ না করে মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার ও নম্র-ভদ্র আচরণ করে তুমি তার সাথে ভাল ব্যবহার এবং তার প্রতি দয়া কর। (মুসলিম:১৮২৮)


বর্তমান জমানায় জীবিত আদর্শ দেখে শেখার সুযোগ খুবই কম বা সে মানুষের সংখ্যা গুটিকত; সময়টাতে আবার সন্ত্রাসীরাও নিজেকে খলিফা দাবী করে বসছেন। তাই কোরআন-হাদীসের প্রকৃত শিক্ষা হাসিল করতে চাইলে- বিজ্ঞ আলেম বা ইসলামী স্কলারদের যথাসম্ভব সাহচর্যে থাকার পাশাপাশি পঠন ও অনুসন্ধানের বিকল্প নেই। থাকা চাই আল্লাহর ভয়, সদিচ্ছা এবং রসুলপ্রেম। হাদীসে জানা যায়, “মানবমন্ডলীর মধ্য হতে আল্লাহর কিছু বিশেষ লোক আছে; আহ্লে ক্বুরআন। ক্বুরআন বুঝে পাঠকারী ও তদানুযায়ী আমলকারী ব্যাক্তিরাই হলো আল্লাহর বিশেষ/খাস লোক।(আহমাদ, নাসাঈ, বাইহাক্বী, হাকেম)” পবিত্র কোরআন, হাদীস বা সিহা-সিত্তাহ, ফেকাহশাস্ত্র, ইজতিহাদ, ইসলামের ইতিহাস-জীবনচরিত নিয়মিত অধ্যয়ন করার সহিত এও মনে রাখা জরুরী, মহান আল্লাহর অন্যতম প্রধান অনুগ্রহ― মহান জীবন ব্যবস্থা 'আল ইসলাম কেবল দ্বীনি ইলম গ্রহনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে বলে নি বরং জ্ঞানের অন্যান্য শাখা-প্রশাখা বিষয়ক বিদ্যা/পাণ্ডিত্য অর্জনের মধ্য দিয়ে সর্বব্যাপক মহাজ্ঞানী আল্লাহ তা’লার সান্নিধ্য লাভের পথটিকে আরও সুগম করে তোলে। বিদ্যার সাগর (জ্ঞান-তাপস) হওয়া তাই মুস্তাহাব। কোরআনের আয়াত তো বটেই, মুহাম্মাদ (সা.) এর বহু কথামালায় জ্ঞানের প্রতি অতি মহামূল্যবান আগ্রহের কথা ওঠে এসেছে।

পবিত্র কোরআনের সূরা ফাতির এ আল্লাহ বলেন― আল্লাহকে তার বান্দাদের মধ্যে সেই-তো ভয় করে, যে জ্ঞানের অধিকারী (‘ইন্নামা-ইয়াখ্শাল্লা-হা মিন্ ইবা-দিহিল্ ঊলামা-য়’:২৮)

হযরত আনাস (রা) বর্ণনা করেন― রাসূলে আকরাম সা. বলেছেন: যে ব্যাক্তি জ্ঞানের সন্ধানে বের হলো, সে ফিরে না আসা পর্যন্ত আল্লাহর পথে অবস্থান করে (তিরমিযী)

সূরা যুমারে (৩৯:৯), আল্লাহ কত চমৎকার করে উত্তর দিচ্ছেন―“কুল হাল ইয়াসতাবি ল্লাযীনা (বলুন, তারা কি সমান হতে পারে? যারা জানে) ইয়া’লামূনা ওল্লাযীনা (এবং যারা জানে না) ইন্নামা-ইয়া তাযাক্কারু (চিন্তা-ভাবনা/অনুধাবন কেবল তারাই করে) উলুল আলবা-ব (যারা বুদ্ধিমান)” নবী করিম সা. থেকে জ্ঞানার্জন সম্পর্কে উদ্ধৃত হয়― “আত্তা লিবূল ইল্ম ফারিদাতুল কুলি মুসলিমিন” তিনি আরও বলেছেন “আল্লাহ যার কল্যান কামনা করেন তাকে দীনের ইলম দান করেন। আর অধ্যয়নের মাধ্যমেই জ্ঞান অর্জিত হয়(বোখারী)”

সূরা মুল্ক এ আলাহ তা’য়ালা বলছেন―“ওয়া কা-লূ লাও কুন্না- নাছমা’উ (তারা আরও বলবে, যদি আমরা শুনতাম) আও না কি’লূ (অথবা বিবেক-বুদ্ধি প্রয়োগ করতাম) মা কুন্না ফী আছহা-বিছ্ছা’ঈর(তবে আমরা জাহান্নামবাসীদের মধ্যে থাকতাম না)” আল্লাহপাক য়াকল শব্দটি ব্যাবহার করেছেন। বাংলায় একে বিবেক বা মানুষের অন্তর্নিহিত বিচারবোধ ধরে ভাষান্তর করলে আরবীর মূলভাবটি সঠিক থাকে। কেননা, মস্তিস্ক সৃষ্টিগতভাবেই য়াকল যুক্ত।

জ্ঞান মানুষের জন্য মঙ্গল-অমঙ্গল দুটোরই কারণ হতে পারে। রাসুলূল্লাহ সা. শিখিয়েছেন― “তোমরা আল্লাহর কাছে উপকারী জ্ঞান প্রার্থনা করো এবং অপকারী জ্ঞান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাও” হাদিসটি ইব্ন মুহাম্মাদ (রা) ও জাবির (রা) থেকে বর্ণিত (সুনানে ইবন মাজাহ্:৩৮৪৩)

মুহাম্মাদ বাকির মজলিসির, বিহার আল্ আনওয়ার গ্রন্থে(ভল.২) একটি ঘটনার বর্ণনা করা হয়েছে― একদা রাসুলূল্লাহ সা. কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: জ্ঞানার্জন কি?
তিনি উত্তরে বললেন: চুপ থাকা।
প্রশ্নকর্তা: তারপর ?
তিনি বললেন: মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করা।
প্রশ্নকর্তা: তারপর ?
তিনি বললেন: স্মৃতিতে ধারণ করা।
প্রশ্নকর্তা: তারপর ?
তিনি বললেন: যা শেখা হলো তার ওপর আমল করা।
প্রশ্নকর্তা: তারপর ?
তিনি বললেন: অর্জিত শিক্ষা/জ্ঞান সকলের মাঝে প্রচার করা।

অন্য এক হাদীসে এসেছে―বিশ্বনবী সা. কে জিজ্ঞসা করা হলো, সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী কাহারা ? তিনি জবাব দিলেন, যারা মৃত্যুকে সবচেয়ে বেশী স্মরণ করে থাকে। সর্বোপরি পরহেজগারী ও জীবনের রহস্য সম্পর্কে যে ব্যক্তি সর্বাপেক্ষা বেশী অনুভূতি রাখে। কুরআন মাজীদে(৫:১৫) আরও এরশাদ হয়েছে― “ক্বাদ জা আকুম মিনাল্লাহি(নিশ্চয়ই তোমাদের কাছে এসেছে আল্লাহর পক্ষ হতে) নূরুন ওয়া কিতাবুন মুবীন(উজ্জল জ্যোতি এবং একটি সহজবোধ্য/সুস্পষ্ট গ্রন্থ)” এই সুস্পষ্টতাকে অর্ন্তচুক্ষ দ্বারা এক্সপিরিয়েন্স করতে পারলেই তো সে উজ্জল জ্যোতির/অনুভূতির বোধি পাওয়া যায় এবং উলিল আবসার হওয়া সম্ভব।

আবু সায়ীদ খুদরি হতে বর্ণিত― রাসূল সা. বলেছেন, ‘জ্ঞান অর্জনের জন্য তোমাদের কাছে অনেক সম্প্রদায় আসবে। যখন তোমরা তাদের দেখবে, স্বাগত জানিয়ে বলবে, রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নির্দেশক্রমে তোমাদের স্বাগত জানাই। এবং তাদের শিক্ষা দেবে। শিক্ষায় সাহায্য করবে। (তিরমিযী ২৬৫০, ইবনে মাজাহ)

লিখাটির শেষ করছি সহীহ্ ইবনে ৬২০নং হাদীসটি দিয়ে― রাসুলুল্লাহ সা. রাতের তাহাজ্জুদ নামাযে আল্লাহ তা’য়ালার ভয়ে প্রায়ই কান্নাকাটি করতেন, একদিন বেলাল রা. জিজ্ঞাসা করলেন, হে রাসূল !, আপনি কাঁদছেন কেন ? আল্লাহ তো আপনার পূর্বাপর সকল গুনাহ মাফ করে দিয়েছেন। নবীজি সা. বললেন, আমি কি তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হবো না ? রাতে আমার উপর একটি আয়াত অবতীর্ণ হলো, দুর্ভাগ্য তার, যে পাঠ করলো কিন্তু চিন্তা করলো না। সে আয়াতটি হলো সূরা আলে-ইমরানের ১৯০নং স্তবক―
ইন্না ফী খালকি ছ্ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি(নিশ্চয় আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে) ওয়াখতিলা ফিল লাইলি ওয়ান্নাহা-রি(রাত্রি ও দিনের আবর্তনে) লা আ-য়া-তিল্ লিঊলিল আলবা-ব (নিদর্শন রয়েছে সেসব লোকেদের জন্য যারা বোধশক্তি সম্পন্ন/চিন্তা করে)

পাঠকগণ, আপনাদের মূল্যবান সময়ের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। পরম দয়ালু অসীম করুণার আধার মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাকে সহ আমাদের সবাইকে বুঝার ও আমল করার তৌফিক দিন। আমিন। ৥আস্ সালামু আলাইকা আইয়্যুহান্'নাবিয়্যু ওয়া রহ্ মাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ৥ আল্লাহুম্মা ইন্নী আস য়ালুকা ইলমান নাফিয়ান ওয়া রিযকান ত্বইয়্যিবান ওয়া আমালান মুতা কাব্বালান৥



১৪ অগ্রহায়ণ ১৪২২
অন্ধবিন্দু | সামহোয়‍্যার ইন...ব্লগ

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৪

আজমান আন্দালিব বলেছেন: খুবই ভালো লেগেছে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত করুন। আমিন।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আন্দালিব ভাইটি আমার,
লিখাটিতে আপনার মূল্যবান সময় এবং সুচিন্তিত ভালোলাগায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত করুন। আমিন। আমিন। আমিন।

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।
জ্ঞান সমৃদ্ধ একটি ইসলামি উম্মাহর জন্য যে তাগিদ আপনি অনুভব করেছেন,তার সাথে একমত।

সমসাময়িক সমাজ,দেশ ও বিশ্ব পরিস্থিতির আলোকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট।
সামু পোস্টটাকে স্টিকি করলে ভাল লাগবে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪১

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
শামছুল ভাইটি আমার,
আপনাদের মতো সচেতন-ঋদ্ধ পাঠক যখন কোনও লিখাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মূল্যায়ন করেন, জেনে ভরসা পাই। ব্লগটিতে দেয়া সময় অন্তত বৃথা যাচ্ছে না। ইসলামের যে সোনালী সূর্য আলোকিত করেছিলো বিশ্ববাসীকে। সূর্যটি তো কখনো ডুবে যায়নি। নিজ কর্মদোষে আমরা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছি ঠিক। ইনশাল্লাহ, চোখ খুললে সে আলোর পরশ আমাদের সরল ও শান্তির পথ দেখাতে সর্বদা প্রস্তুত আছে। মহান আল্লাহ সহায় হোন। আমিন।

আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩২

আবু শাকিল বলেছেন: জ্ঞান সমৃদ্ধ পোষ্ট ।
আল্লাহ যেন সবাই কে হেদায়েত দান করেন ।
পোষ্টে আবার আসব ।
ধন্যবাদ ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
শাকিল ভাইটি আমার,
অবশ্যই আসবেন। আপনাদের মতামত রেখে লিখাটিকে আরও সমৃদ্ধ করবেন। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, আপনার মূল্যবান সময়ে থেকে কিছুটা এখানে দেয়ার জন্য। শুভ কামনা।

আল্লাহ যেন সবাই কে হেদায়েত দান করেন। আমিন।

৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১০

কিরমানী লিটন বলেছেন: চমৎকার ভালোলাগা আর প্রয়োজনীয় পোষ্টের জন্য অভিবাদন রইলো,ভালোবাসা জানবেন- অনেক শুভকামনা রইলো...

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৬

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
কিরমানী ভাইটি আমার,
আন্তরিক মন্তব্য-ভালোবাসায় প্রীত হলেম। দোয়া করি আপনিও অনেক অনেক ভালো থাকুন। শুভ কামনা।

৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: একদা রাসুলূল্লাহ সা. কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: জ্ঞানার্জন কি?
তিনি উত্তরে বললেন: চুপ থাকা।
প্রশ্নকর্তা: তারপর ?
তিনি বললেন: মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করা।
প্রশ্নকর্তা: তারপর ?
তিনি বললেন: স্মৃতিতে ধারণ করা।
প্রশ্নকর্তা: তারপর ?
তিনি বললেন: যা শেখা হলো তার ওপর আমল করা।
প্রশ্নকর্তা: তারপর ?
তিনি বললেন: অর্জিত শিক্ষা/জ্ঞান সকলের মাঝে প্রচার করা।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ভাইটি আমার,
সময় করে কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সমস্যা নিয়ে মাতামাতি করতে বহু লোক পাওয়া যায়। কিন্তু কাজের কথায় কারো মন নাই ... অধঃপতন এইভাবেই ... আমরা শিক্ষিত হচ্ছি না চরম-মূর্খ !! ভেবে হতাশ হলেও প্রার্থনা করি- দূর হোক যতো অন্ধকার।

৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


পোষ্টের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে। আমিও এমনটাই মনে করি। ধর্ম কর্ম যেমন পালন করা জরুরী তারচেয়ে বেশী জরুরী ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। আইন মানবে লোকে তখনই যখন আইন সম্পর্কে জানবে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
পরিষ্কার বলেছেন কান্ডারি ভাইটি। আপনার মূল্যবান সময় ও নিকষিত সমর্থন পেয়ে খুশী হলেম। দোয়া রাখবেন, যেনো ইলেম ও আমল বরাবর রাখতে পারি; তবেই না শুদ্ধি ঘটবে … আসসালামু আলাইকুম। অনেক ভালো থাকুন। শুভ কামনা।

৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,



কার্য্যকরী ও সহজে বোধগম্য হয় এমন একটি পোষ্ট । মোটেও গতানুগতিক ভাবে লেখা নয় ।
এই কথাগুলো একেবারেই সঠিক ----- ক্বুরআন বুঝে পাঠকারী ও তদানুযায়ী আমলকারী ব্যক্তিরাই হলো আল্লাহর বিশেষ/খাস লোক।
----- আমরা এমনও আছি যারা কোরআনের আরবী-বানী উচ্চারণ করে পাঠ করতে শিখলেও মাতৃভাষায় তার অর্থ ও সাহিত্য উপলব্ধি করার তাগিদ করি নে।
তাই আগে আমাদের ক্বুরআন এর ভাষা বুঝতে হবে । বুঝতে পারা গেলেই তা আমল করা সহজ হয়ে উঠবে ।

ভালো লাগা ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জী এস ভাইটি,
ধর্ম বিষয়টিকে এতোটাই স্পর্শকাতর করা হয়ে গেছে যে বলতে-লিখতে সাবধানতার চাইতেও অতিরিক্ত পারিপার্শ্বিক মনস্তত্বের ওপর খেয়াল রাখতে হয়(হয়তো ইহাই স্বাভাবিক)। বোধগম্যতা ঠাওরের পাশাপাশি থাকে ক্বুরআনের পবিত্র আয়াতগুলোর সর্বোচ্চ সঠিক ভাষান্তর-জ্ঞাত; এছাড়াও তাওহীদের গাম্ভীর্যতা রক্ষা, হাদীসের দলিল বা সহীহ, যয়ীফ, বানোয়াট ইত্যাদির মূল্যায়নসহ মূল বার্তাটি স্বচ্ছ রাখা… দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। আল্লাহ ভুল-ক্রুটি ক্ষমা করুন।

“তাই আগে আমাদের ক্বুরআন এর ভাষা বুঝতে হবে । বুঝতে পারা গেলেই তা আমল করা সহজ হয়ে উঠবে” খুব সুন্দর ও যথার্থ বলেছেন ভাইটি। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দিন। আমিন।

আসসালামু আলাইকুম।

৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ব্লগে এইধরনের লেখা দেখলে খুব ভালো লাগে, আজ মুসলিমরা কল্যাণ চায় কিন্তু জ্ঞান চায় না। অথচ সুরা বাকারা আয়াত ২৬৯ তে বলা আছে,

"তিনি যাকে ইচ্ছা বিশেষ জ্ঞান দান করেন এবং যাকে বিশেষ জ্ঞান দান করা হয়, সে প্রভুত কল্যাণকর বস্তু প্রাপ্ত হয়। উপদেশ তারাই গ্রহণ করে, যারা জ্ঞানবান।"

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫২

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আসসালামু আলাইকুম, মুদ্ দাকির ভাইটি। আপনাদের মূল্যবান উপস্থিতি পেয়ে আমারও অনেক ভালো লাগছে। কল্যাণ নিহিত রয়েছে সরল পথে। কিন্তু এই সরলতার জ্ঞানটি অর্জন করে নিতে হয়। চাইতে হয় আল্লাহর দরবারে যিনি আমাদের সে পথে চলার শক্তি-সামর্থ্য-হেদায়েত দেন।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে উত্তম মন্তব্যটির জন্য। ভালো থাকবেন ভাইটি।

৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

//একদা রাসুলূল্লাহ সা. কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: জ্ঞানার্জন কি?
তিনি উত্তরে বললেন: চুপ থাকা।//


মন্তব্যে এর চেয়ে বেশি কিছু যোগ করার মতো আমি পেলাম না।

অন্ধবিন্দুকে অনেক শুভেচ্ছা :)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:

মইনুল ভাইটি,
মোদ্দা ব্যাপারটি লিফ্ট্ করে মন্তব্যে যা যোগ করেছেন এর যথা-উত্তর লিখতে ভাবনায় পড়ে গেলুম। মনের সব ভাষা শব্দ-বাক্যে আনা যায় না; আমার মতো সামান্য লেখকের পক্ষে তো আরও সম্ভব নয় ........

আল্লাহ আপনার সহায় হোন, আপনার প্রজ্ঞা বৃদ্ধি করতে থাকুন।আমিন।
আসসালামু আলাইকুম।

(উত্তর করছি কিন্তু ডাটা রেসপন্স পাচ্ছি নে :( আবারও চেষ্টা করলাম)

১০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক মূল্যবান পোষ্ট,খুব ভালো লাগলো।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
বোন তনিমা,
আপনাদের সময় এবং সুচিন্তিত মতামত লিখাটির উদ্দেশ্যকে আরও মূল্যবান করেছে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

ভালো থাকুন সবসময়। শুভ কামনা।

১১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই সময়ের সবচে প্রয়োজনীয় বিষয়টির সারংশ যেন নিংড়ে শুষে আমাদের পাতে তুলে দিলেন।

অসাধারন।

কিন্তু যারা ইসলামের আলখেল্লা গায় আপাত মতুব্বরী নিয়ে আছে তারা যদি এই ভাবে বুঝতো উপলদ্ধি করতো! আল্লাহ তাদের হেদায়েত নসীব করুন।

প্রিয়তে রেখে দিলুম।

দূরদর্শী ব্রিটিশরা যে ইসলামের খন্ডিত জ্ঞানচর্চায় আলীয়া সৃস।টি করে গেল- এরপরই ইসলামের জ্ঞানের ধারা বহু বিভাজিত হয়ে গেল। একদল ব্রিটিশ বিরোধীতা করতে গিয়ে ইলমের বিরুদ্ধে কওমী নামে পৃথক হয়ে গেল! আরেকদল শুধু আক্ষরিক হিফজে (যদিও এটাও প্রয়োজনীয়.. ভাবুন সাথে অর্ত উপলদ্ধি সহ হলে তা আরও কত শক্তিশালী হতো) চলে গেল..এবাবে বহুধা বিভক্তি ক্রশশ আরও অন্ধ গোড়া আর জ্ঞানহীন আংশিক পন্ডিতের দল ভারী হতে লাগল!

সমন্বয়ের জন্য যে উদ্যোক্তা তারাও ভয়ে পিছীয়ে যায়! কি জানি যদি আবার গুনাহ হয়! এটাও জ্ঞানহীনতারই আরেকটি ধাপ!
ইলমে লাদুন্নী বা প্রকৃত জ্ঞানার্জন বহু পিছে পড়ে রইল!

সবার আগে এখন যেটা প্রয়োজন বলে আমার মনে হয়- বোধের সেই সাধারন স্তরকে জাগ্রত করা, উন্নত করা, এবং সকল বিশ্বাসীদের এক ছায়াতলে আসা- আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় এই অনুভবে। ইবাদতে পালনে ভিন্নতা, রকমফেরকে এড়িয়ে এক আদমের সন্তান, এক ইব্রাহিম আ: এর পুত্র এক মুহাম্মদ সা: এর উম্মত এই মিনিমাম ঐক্যটুকুতে একমত হওয়া।
সাথে আপনার মূল বক্তব্য প্রকৃত জ্ঞানার্জনে ব্রতী হওয়া।
এরপর পথ আপনাতেই খুলে যাবে ইনশাল্লাহ- কারণ জ্ঞানই তখন আলোকবর্তিকা হিসাবে কাজ করবে।

আপনার লেখা এতটাই আলোড়িত করেছে খারি বলতেই ইচ্ছে করছে :)

++++++++++++

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩১

অন্ধবিন্দু বলেছেন:

বিদ্রোহী ভৃগু ভাইটি আমার,
এখন ট্রেন্ড চলছে মাইক্রো-ব্লগিংয়ের। বিষয়ভিত্তিক বড় লেখা পোস্ট করলে পাঠকের সময় পাওয়া দুষ্কর। অল্প কথায় তাই ইম্প্রেশন রাখতে বাধ্যই হচ্ছি বটে। আপনার মন্তব্যটি পড়ে আশ্বস্ত হলেম-গো ভাইটি।

প্রিয় কবি নজরুলে কবিতা―
“বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে আমরা তখন বসে
বিবি-তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি ফেকা ও হাদিস চ’ষে
হানফী ওয়াবী লা-মজহাবীর তখনো মেটেনি গোল,
এমন সময় আজাজিল এসে হাঁকিল “তোলপী-তোল !”
ভিতরের দিকে যত মরিয়াছি, বাহিরের দিকে তত
গুনতিতে মোরা বাড়িয়া চলেছি গুরু-ছাগলের মত”


কবিতায় আবার ঘাইটা মারছে কোথায় দেখেন !!―
শত্রুর হাতে শির দিয়া ওরা শুধু হাতে পায়ে লড়ে !

আমাদের এদিকটার পিছেয়ে পড়ার কারণ উল্লেখে আপনার বক্তব্য-বিশ্লেষণ যথেষ্ট পক্ব, যৌক্তিক ও তথ্যনির্ভর। এমতাবস্থায় প্রয়োজন যা মনে করছেন, একমত না হয়ে উপায় নেই। মিনিমাম ঐক্যটুকুতে আসতে যতো বিলম্ব করবো, শত্রুর হাতে শিরটা ততদিন মার খেতেই থাকবে। আর যদি মাথাটা বেচে বা ইজারা দিয়ে রাখা হয়- সে অন্যহিসেব; আমাদের সাধারণ মুসলমানদের প্রতি আল্লাহ তা’য়ালার খাস সাহায্য দরকার।

যেহেতু নিরাশ হতে মানা আছে, তাই আশাবাদীই থাকলাম। পরিবর্তন একদিনে আসবে না, আল্লাহর হেদায়েত প্রাপ্তরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন ঠিক। তাদেরকে হয়তো সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারছি নে। তবে দোয়া করি প্রতিনিয়ত। সর্বশক্তিমান আল্লাহ সহায় হোন। শক্তি বৃদ্ধি করে দিন। আমিন।

মূল্যবান সময়ের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম।

১২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

জেন রসি বলেছেন: প্রথমেই বলে নিচ্ছি আমি যেভাবে ব্যাপারগুলো বুঝেছি সেভাবেই আলোচনা করব। আশা করি যৌক্তিক ভাবেই আমার যুক্তিগুলোকে পর্যালোচনা করবেন।

ধর্মীয় মতবাদের সাথে বৈশ্বিক কিংবা ষ্টেট মেকানিসমের দ্বন্দ্বের কারনে যে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, তা নিয়েই আপনি আপনার মতবাদ ব্যক্ত করেছেন। আর এই ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করতে গেলেই স্বাভাবিক ভাবেই ধর্মের সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কথা চলে আসে। এখানে আপনি ইসলাম ধর্মের কথা বললেন। এখন যদি আর্থ-সামাজিক অবস্থান থেকে ইসলামকে ব্যাখ্যা করা হয় তবে দেখা যাবে ইসলাম ধর্মের একটি ঐতিহাসিক এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। ইসলামের প্রচারকরা শুধু ধর্মীয় মতবাদ প্রচারেই সীমাবদ্ধ থাকেনি বরং প্রথম থেকেই তারা এই মতবাদকে ষ্টেট মেকানিসম বানিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতার কেন্দ্রে পৌঁছতে চেয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছিল শুধু মতবাদ প্রচার করে ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না। তাই তাদের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে প্রয়োজনে ক্ষমতা প্রয়োগের দরকার ছিল। অর্থাৎ সর্বস্তরে শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠিত করা। একটা সময় বিজ্ঞানের উৎকর্ষের সময় চার্চের সাথে যেমন প্রগতিশীলরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে তেমনি পরিবর্তিত আধুনিক বিশ্বেও ইসলামের অপরিবর্তিত মতবাদের সাথে অনেক সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পলিসি দ্বান্দ্বিক অবস্থানে চলে আসে। এবং সেটাই স্বাভাবিক। কারন যখন পরম সত্য বলে কোন সত্য আরোপ করা হয় তখন আসলে জ্ঞানের বিকাশকেই রুদ্ধ করে দেওয়া হয়। তাই কেউ যদি তার বিশ্বাসের জায়গা থেকে ইসলাম ধর্ম পালন করতে চায় তবে সে স্বাভাবিক ভাবেই রাষ্ট্রের আর্থসামাজিক পলিসিগুলোর সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পরবে।কারন ইসলামের রীতিনীতি যুগের সাথে পরিবর্তিত হয়নি। সেটা একটা পরম সত্যের মতবাদ আঁকড়ে ধরে আছে। আর এই গ্যাপটাকে কাজে লাগিয়েই কিছু মুনাফালোভী সাম্রাজ্যবাদী চরিত্র বাজার দখলের জন্য মুসলিমদের এই ডিলেমাকে কাজে লাগাচ্ছে। কারন তারা এটাও ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে যে, যারা মোডারেট মুসলিম তারা হচ্ছে সবচেয়ে সংশয়ী অংশ। এবং এই অংশটা সংস্কার যেমন ভয় পায় তেমনি আবার উগ্র হতেও ভয় পায়। তাই তারা এই ভয়ের যায়গা থেকেই চুপ থাকবে।

মুহাম্মাদ বাকির মজলিসির, বিহার আল্ আনওয়ার গ্রন্থে(ভল.২) একটি ঘটনার বর্ণনা করা হয়েছে― একদা রাসুলূল্লাহ সা. কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: জ্ঞানার্জন কি?
তিনি উত্তরে বললেন: চুপ থাকা।
প্রশ্নকর্তা: তারপর ?
তিনি বললেন: মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করা।
প্রশ্নকর্তা: তারপর ?
তিনি বললেন: স্মৃতিতে ধারণ করা।
প্রশ্নকর্তা: তারপর ?
তিনি বললেন: যা শেখা হলো তার ওপর আমল করা।
প্রশ্নকর্তা: তারপর ?
তিনি বললেন: অর্জিত শিক্ষা/জ্ঞান সকলের মাঝে প্রচার করা।


যখন কোন পরমসত্যের নামে কোন মতবাদ কারো উপর আরোপ করে ফেলা হয় তখন তাকে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবেই সত্যের অনুসন্ধান থেকে বিরত করা হয়। তখন সে যেটা করতে পারে সেটা হচ্ছে অন্ধ অনুকরন।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

অন্ধবিন্দু বলেছেন: জেন রসি ভাইটি,

যেহেতু, তাওহীদে বিশ্বাসী ও ইসলাম ধর্মের অনুসারী একজন মানুষ/মুসলমান হিসেবে আমি আমাদের আত্মসমালোচনা করছিলাম। স্মরণ করছিলাম আল্লাহর আদেশকৃত পথের কথা ও আমাদের নেতা হয়রত মুহাম্মাদ (সা:) এর উপদেশমালা। তাই, লিখাটিতে আপনার এই মন্তব্য হলো আমার মেহমান। “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস করে সে যেনো তার মেহমানকে সম্মান করে(বুখারী ও মুসলিম)”।। এবং, এজ এ ম্যান অব সায়েন্স; আপনার শুভউদ্দেশ্যমূলক যুক্তিগুলোকেও আমি স্বাগত জানাচ্ছি।

ধর্ম বনাম মতবাদ, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ব্যক্তি অস্তিত্ব, ইসলামের সাথে রাষ্ট্র ক্ষমতার পারস্পরিক/পরিপন্থী অবস্থান; বিশাল ক্যানভাস চলে আসছে। উত্তর লিখে বা শুধু ব্লগ-পোস্ট করে আমার সবটা মতামত/পর্যালোচনা উপস্থাপন করা যে সম্ভবপর নয়, সে তো আপনি জানেন। আংশিক প্রকাশও যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। তাই, হালকা করে টাচ্ করে যাচ্ছি- মতবাদকে সায়েন্সসূত্রে বিচার করলে সেটা অবশ্যই পরিবর্তনশীল অথবা পরবর্তী বিরোধ-প্রমাণ-সহউন্নতি আসা/আবিষ্কার না পর্যন্ত স্থায়ীও হতে পারে। এমতবিচারে আমরা কিন্তু ইসলাম ধর্মটিকে গ্রহন করি নে/করার আদেশ নেই। কেননা ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর মনোনীত ও প্রেরনকৃত জীবন-বিধান। এবং যাতে শেষনবী রাসুলূল্লাহ সা. এর মাধ্যমে পরিপূর্ণতা দেয়া হয়েছে। মানুষ এর এবসুলট ট্রুথ যাচাই করতে পারে, আবার আমাদের মতো বিশ্বাসের পথেও চলতে পারে। বিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে আল্টিমেট পুরস্কার। মনে রাখতে হবে বিশ্বাস অবিশ্বাসে কোনও জবরদস্তি/জুলুম আল্লাহ নিষেধ করেছেন।

ইসলামের রীতিনীতি যুগের সাথে কেনো পরিবর্তিত হয়নি; এখানেই আপনি যথার্থই ইঙ্গিত করেছেন। আল্লাহ ক্বুরআনে যা আদেশ করেছেন এবং নবীজি পাক সা. যেভাবে পালন করতে শিখিয়েছেন; সেগুলোর আত্মিক, ব্যবহারিক অর্থাৎ হৃদয় ও কর্ম সংক্রান্ত নানান স্তর রয়েছে― মন থেকে বিবেক হয়ে মস্তিষ্ক অতঃপর দেহ তেমনি, ব্যক্তি থেকে পরিবার হয়ে রাষ্ট্র অতঃপর বৈশ্বিক। এরা যেমন পরস্পর সম্পর্কযুক্ত একইভাবে স্থান ও সময়ও তা থেকে বিচ্ছিন্ন কিছুতো নয়। এখন যদি প্রশ্ন করা হয়, মানুষ সময়ের পরিবর্তন করতে পারে কি ? সময় বলতে সময়ের কোন অবস্থা/রুপ ? ভালো সময়-মন্দ সময় ? আমি মন্দ বলছি কেউ ভালো বলছে। কেউবা অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ অথবা আপনি বলছেন ৬০ সেকেন্ডে এক মিনিট সময়ের কথা বলছেন। এখানে পরম কোনটি ? সাধারণ একজন চিৎকার করে বলে উঠলেন এতো কিছু বুঝতে চাই না, বেঁচে থাকতে চাই। বেঁচে থাকা মানে জীবনের কথাই গণ্য হলো।

ইসলাম মনুষ্য-জীবনের জন্যই এসেছে। যুগ মানুষের আচার-বিচার-মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠে। যা মানুষের জন্য এসেছে তার তো যুগের সাথে পরিবর্তিত হতে নেই। বরং চিন্তা-কর্মে রীতি-নীতি দ্বারা পরিবর্তন এনে অন্যান্য সকল উপাদানের মতো সময়/যুগ/সমাজ/রাষ্ট্রের পরিবর্তন সাধন করতে হবে।

আপনার মন্তব্যটিতে আমার মুসলমান ভাই-বোনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলবো― সমালোচনা গ্রহণ করুন। ভুলক্রটি-বিচ্যুতি থেকে শিক্ষা নিন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইটি পাশে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, শুভ কামনা রইলো।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৮

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
দুঃখিত। অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রতিউত্তরটিতে একটি ইমো টাইপ হয়ে গেছে।

১৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

নীলসাধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইসাব।
বেশ ভালো লেগেছে লেখাটি। আপনার লেখার ধরন ভাল।
বক্তব্যে সহমতা রইল।

পরম দয়ালু অসীম করুণার আধার মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাকে সহ আমাদের সবাইকে বুঝার ও আমল করার তৌফিক দিন। আমিন।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৯

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
নীলসাধু ভাইটি আমার,
আপনাকেও ধন্যবাদ মূল্যবান সময় ব্যয় করে লিখাটিতে পাঠক-দৃষ্টি ও বক্তব্যে সহমত রাখার জন্য।

আমিন। আসসালামু আলাইকুম।

১৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: জিনি ভাইয়ের মন্তব্যে আমি কিছু যোগ করতে চাই-

জগতে সবকিছু লজিক্স দিয়ে যেমন নিরুপণ করা যায় না ঠিক তেমনি একটি ব্যবস্থা তথা মানুষের জীবন নির্দেশিকা প্রণয়ন করতে হলে কতিপয় ধ্রুবক কেবল বিবেচনা করাই নয় বরং বাস্তবিকভাবেই ধরে নিতে হয়।

যেমন মহাকর্ষীয় ধ্রুবক জি(6.674 08 x 10-11 m^3 kg^-1 s^-2) এর মান একটি স্থির সংখ্যা ঠিক তেমনি ইলেক্ট্রিক কনস্ট্যান্টও একটি ধ্রুবক। (8.85418782 × 10^-12 m^-3 kg^-1 s^4 A^2)

আমরা যদি মহাকর্ষীয় গণিতে হাত দিই তবে নিশ্চিতরুপে জি এর স্থির মান'কে অবলম্বন করেই এই হিসেব করবো। তাই না? একই ব্যাপার তড়িৎবিদ্যায়ও খাটে।

আমি গণিতের ন্যায় একই উপায়ে বস্তু জগতের বিচার বিশ্লেষণ করলে মোটেও অবাক হই না। কারণ বাস্তবিক জগতের পরতে পরতে গণিতের সুক্ষ কারসাজি রয়েছে যার অধিকাংশই কিন্তু আমরা জানি না। যেগুলো জানি সেগুলোকে নিয়েই পরে প্রতিপাদ্য/উপপাদ্য/থিওরেম লেখা হয়।

এখন আসি বাস্তবিক জীবন নির্দেশনার অংকে। মানুষের কোডগুলো লিখতে হলেও সুনির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য ও ভিত্তি বিবেচনা আবশ্যক। ইসলামকে কেবলমাত্র ধ্রুব সত্য হিসেবে না দেখে আমি তাতে মুক্তভাবে চিন্তার সূযোগ আছে কি না সেটা অনুসন্ধান করি। কারণ মুক্তচিন্তার পথ রুদ্ধ করে কেবলমাত্র সেইসব শক্তি যাদের আদর্শিক দূর্বলতা নিয়ে শংকিত। এখানে ব্যাপারটা কাজ করে এমনভাবে যে কষ্টিপাথরে ঘষা দিয়ে যাচাই করার মতোই আরকি।

আমি ইসলামকে কোনই দোষ দিই না যে, ইসলাম মানুষের মুক্তচিন্তার পথ বন্ধ করে রেখেছে। আমি যতদূর জানি ইসলাম মানুষকে চিন্তাভাবনা করাকে উৎসাহিত করেছে। তবে যারা ধর্মকে অবলম্বন করে, ধর্মের লেবাস পরে পুরো ব্যাপারটাকে নিজেদের টিকে থাকা, রুটি রুজি, সম্মানার্জনের পন্থা হিসেবে বিবেচনা করে ঠিক তখনই বিপদ।

@অন্ধবিন্দু ভাই,
আপনার লেখাটি নিঃসন্দেহে তথ্য ও যুক্তিপূর্ণ। এইরকম লেখা মানুষের চিন্তার জগতে একটা আলোড়ন/তাড়না সৃষ্টি করে। এই তাড়না থেকে যদি সুবিন্যস্ত তরঙ সৃষ্টি হয় তবে ব্যাপারটা মানবিক অগ্রগতির চিরন্তন সেই পথে ধাবিত হয় যেটা মানুষকে মুক্তির দিকে নিয়ে যায়।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
চিন্তা-উদ্দীপক, প্রফিশ্যান্ট একটি মন্তব্য করেছেন ভাইটি আমার। এবং আপাতঃ উপসংহারও টেনেছেন অতি চমৎকারভাবে। পাঠকেরাও আপনার মন্তব্যটিকে পছন্দ করেছেন- দেখতে পাচ্ছি। তাই, চত্তড়া প্রতিউত্তর লিখে এর প্রতিপাদিত ভাবটিকে পণ্ড করতে চাই নে। কৃতজ্ঞতা.... ভাইটি। বিশেষ কৃতজ্ঞতা


(মুক্তচিন্তা হচ্ছে অনেকটাই দর্শন। দর্শন মানেই নানা মুনির নানা মত। পার্সপেক্টিভ অব সায়েন্স; মুক্তচিন্তা এবং বিশ্বাস মুখোমুখি দাঁড় করানোটা বরং অবৈজ্ঞানিক)

১৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ওয়াইলাইকুম আসসালাম ।

খুব সুন্দর পোস্ট । হে আল্লাহ, সবাইকে বুঝে আমল করার তৌফিক দান করুন । আমিন ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
কথাকথিকেথিকথন ভাই/বোনটি আমার,
আমিন। শুকরিয়া আপনার মূল্যবান সময়, সুন্দর পাঠ ও দোয়াটির জন্য। আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় হোন।

অনেক ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইলো।

১৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৮

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: " প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.) এর ব্যক্তিত্বে যা ছিলো প্রতিনিয়ত উদ্ভাসিত; নবীজি (সা.)মুশরিকদের কতোনা ঠাট্টা-বিদ্রুপ, অপমান-অপদস্থ, বঞ্চনা-নির্যাতন সহ্য করেছেন দিনের পর দিন, প্রতিক্রিয়ায় তবু মন্দ আচরণ করেন নি।"

কয় জন মহানবী (সা.) এর উপড়ে উল্লেখিত আদর্শটি জানে অথবা নিজের জীবনে অনুসরণ করে ? ধর্ম সম্পর্কে গভীর জ্ঞান নেই, তবে ছোট বেলায় আমাদের হুজুর বলতেন , " জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীনেও যাওয়া যাবে । " এই কথাটির একটি অন্তর্নিহিত অর্থ আছে - সেটা হোল , জ্ঞান অর্জনে দুর্গম জায়গায়ও যাওয়া যাবে । তো আমি মনে করি , ইসলাম জ্ঞান অর্জনকে অনেক বেশী গুরুত্ব দিয়েছে । কিন্তু , আমরা তো সেটা বুঝিও না কিংবা বোঝার চেষ্টাও করি না । অযথাই কেউ কেউ না বুঝে ইসলামকে দোষারোপ করে , আবার কেউ কেউ না বুঝেই ইসলামকে ভুল পথে ব্যবহার করে ।

অনেক ভালো লেগেছে আপনার এই আলোকিত মনের বুদ্ধিদীপ্ত বিশ্লেষণ । লেখাটি প্রিয়তে রইল ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
নজরুল বড় আক্ষেপ করেই হয়তো লিখেছিলেন-

“তুমি চাহ নাই ধর্মের নামে গ্লানিকর হানাহানি,
তলোয়ার তুমি দাও নাই হাতে, দিয়াছ অমর বানী
মোরা ভুলে গিয়ে তব উদারতা, সার করেছি ধর্মান্ধতা
বেহেশত হতে ঝরে নাকো আর তাই তব রহমত
ক্ষমা করো হযরত।।”


বোন গুলশান কিবরীয়া,
আপনার সবিনয় পাঠ ও সুন্দর প্রাসঙ্গিক মন্তব্য পেয়ে খুশী হলেম। মহানবী (সা.) এর আদর্শ মেনে চলতে হলে যে সততার পথে হাটতে হবে; পথটি বক্রতাহীন তবে অত্যন্ত প্রতিকূল। আরামপ্রিয়-সুবিধাবাধী আমরা আপোষ করে চলি অনুকূল আশপাশ.....



ভালো থাকুন অনেক। শুভ কামনা রইলো।
আসসালামু আলাইকুম

১৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

মানবী বলেছেন: অসাধারণ লেখা!

তবে অন্ধবিন্দু এমন বিষয়বস্তু নিয়ে লিখেছেন এখনও বিশ্বাস হতে চাইছেনা :-) (অবশ্যই ইহা একটি কম্পলিমেন্ট)

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা স্মরণ রকিয়ে দিয়েছেন। তারপরও অনেকের বোধোদয় হবেনা "সুম্মুব বুকমুন 'উমি'য়ুন, লা উগাদিরু সসাকা'মা"

পোস্টটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
বোন মানবী,
উত্তর করতে দেরী হলো; ক্ষমা-প্রার্থী। নিজেকে নিজে স্মরণ করিয়ে দেয়া। আমলে পারছিনে অনেক কিছুই, মানি। তবুও ইলমে-চর্চায় থাকার চেষ্টা, যদি বদলে নিতে পারি... আত্মশুদ্ধির খোঁজ করছি তাই।

হুম। বিশ্বাস কেনও হচ্ছিলো নে, বুঝতে পারছি। বিশ্বাস রাখুন... মাধ্যমটা অনলাইন এবং মানুষ আমি অতি ক্ষুদ্র/নগন্য হলেও, ভাবনা-চিন্তা-তথ্য-যুক্তি-বিজ্ঞান ছাড়া দু-লাইনও লিখিনে। সে আমার মন্তব্য হোক বা পোস্ট।

বোধোদয় আমার ...আমাদের। প্রার্থনা করি মহান আল্লাহর নিকট। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মূল্যবান সময়, সুচিন্তিত মতামত ও কম্পলিমেন্ট জানানোর জন্য। আসসালামু আলাইকুম।

১৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২২

জুন বলেছেন: জ্ঞ্যানার্জনের জন্য চুপ থাকা। অত্যন্ত্য গভীর কিছু বানী অন্ধবিন্দু।
+

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
বোন জুন,
গভীরে আমি/আমরা অনেকেই ডুব দিতে চাইনে। উল্টো- আলসেমি, অজ্ঞতা, স্বার্থভয়, কু-সংস্কারে ভেসে থাকাটা উপভোগ করি ... গভীরতায় আপনার পাঠক-দৃষ্টি পেয়ে বরাবরের মতোই প্রীত হলেম।

আসসালামু আলাইকুম।

১৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩২

বাংলার ফেসবুক বলেছেন:







ভাসে চোখে কেয়ামতে—আল্লাহর দরবার
হজ ইসলামের পঞ্চম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। হজের একটা ঈমান উদ্দীপনা ঐতিহাসিক পটভূমি রয়েছে। এর প্রতি লক্ষ্য না রাখলে হজের মহত্ব, তাৎপর্য ও মূল উদ্দেশ্যে অনুধাবন করা সম্ভব নয়। কুফর ও শিরক পরিবেশিত এক শক্তিশালী পরিবেশে এক মুমিন বান্দাহ খালেস তাওহীদের ঘোষণা করেন। তারপর বাতিল যালেম শক্তির চরম বাধা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও ঈমান, তাকওয়া, ইখলাস, লিল্লাহিয়াত, এশক ও মহব্বত, ত্যাগ ও কুরবানী নির্ভেজাল নিরঙ্কুশ আল্লাহর আনুগত্য ও পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণের নজিরবিহীন প্রেরণা ও আমলের দ্বারা ইসলামের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস তৈরি করেন এবং তাওহীদ ও এখলাসের এমন এক কেন্দ্র তৈরি করেন, যা দুনিয়ার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার থেকে বিশ্ব মানবতা তাওহীদের পয়গাম পেতে থাকবে।

এ ইতিহাসকে নতুন করে স্মরণ করার জন্যে এবং মানুষের মনে আবেগ উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করার জন্য প্রতি বছর দূর-দূরান্ত থেকে তাওহীদের প্রেম পাগল পতঙ্গসমূহ ওই কেন্দ্রে জমায়েত হয়ে ওইসব কিছুই করে, যা তাদের নেতা ও পথ প্রদর্শক হযরত ইবরাহীম (আ) করেছিলেন। উঠতে বসতে চলতে ফিরতে সকাল সন্ধ্যায় তাদের এ একই ধ্বনিতে হেরেমের গোটা পরিবেশ গুঞ্জরিত হতে থাকে আয় আল্লাহ! তোমার দরবারে তোমার গোলাম হাজির আছে। প্রশংসা ও স্তুতি একমাত্র তোমারই, দয়া করা তোমারই কাজ, তোমার প্রভুত্ব কর্তৃত্বের কেউ শরিক নেই। এই অনুভূতির উত্তুঙ্গ মেছাল বর্তমান লেখাটি। এখানে সদ্য হজ করে আসা প্রবাসী এক দম্পতির তীব্র অনুভূতি ব্যক্ত হয়েছে। সেই অনুভূতিমালা ধারাবাহিকভাবে পত্রস্থ করা হল এখানে। বি.স]

২০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: স্ত্রী, পুরুষের মধ্যে সম্পূর্ণ শালীনতা ও সুরুচি ও সংযত ভাব বজায় রেখে নারী পুরুষের মধ্যে কোনোরূপ বৈষম্য ছাড়ায় একই ধর্মীয় বোধে উদ্বুদ্ধ হওয়া ও একই ইবাদতে নিজকে মশগুল ও নিজ নিজ, ‘স্যালভেশন অব দি স্যোল এ্যান্ড সেলফের জন্য নিজকে চেষ্টিত ও বেষ্টিত রাখার দৃশ্য। খোদাতালার দরবারে ব্যক্তিক ও সামষ্টিক উপস্থিতিতে এমন এক ও অভিন্ন ইবাদাত বন্দেগী, ক্রন্দন ও প্রার্থনার মিলন ক্ষেত্র পৃথিবীতে আর দ্বিতীয় নেই।

পাশ থেকে গমনকারী হজ কাফেলাগুলো— ওরা কেউ আল্লাহর জিকির ছাড়ছে না। অনুচ্চস্বরে আমরাও যুক্ত হলাম, অনুসরণ করলাম, ‘লাব্বায়েক, আল্লাহুমা লাব্বায়েক, লাব্বায়েক লা শরিকালাকা লাব্বায়েক’…। আমদের হুজুর বলে দিয়েছেন যে, যত বেশী জিকির করবে, সে তত বেশী সওয়াব পাবে। অতএব অন্যকথা না বলে জিকিরে মশগুল হওয়া আজকের প্রধান কাজ। আজকের এই প্রাণপণ কষ্ট! জানিনা এ জীবনে আর ফেরা হবে কিনা— তাই বেশী বেশী জিকির করে নেওয়া ভাল। আল্লাহর জিকির করতে করতে মরতে পারলে তো কথায় নেই, এত সব মুসলমানের দিলের কামনা, আকাঙ্ক্ষা। আর সবচেয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত যা অথচ কঠিন সত্য যা মানুষ এড়াতে চায় তা হল— মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা। অথচ তা আসবেই, ঘরে বিছানার উপর শয়ন করে থাকলেও তা আসবে। সে যে কত কঠোর, কত অপ্রিয় সত্য, আজ এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া ছাড়া তার কিঞ্চিৎ উপলব্ধি করা মুশকিল বটে!

২১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: এক পা চলতে আমাদের কত কষ্ট হচ্ছে আর আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেঁটে এর থেকেও খরতাপ, শীত, কিম্বা বিরূপ পরিবেশের মধ্য দিয়ে মানুষকে আল্লাহর পথে ডেকেছেন। মানুষকে বুঝিয়েছেন, সমঝিয়েছেন, তবে তারা ধীরে ধীরে বুঝেছে। একবার এক পাহাড়ের পাদদেশে সবাইকে ডাক দিয়ে বল্লেন, (যার মোটামুটি অর্থ), হে মানুষ, আমি যদি বলি এই পাহাড়ের পিছে একদল শত্রু তোমাদের আক্রমণ করার জন্য ওঁৎ পেতে আছে আহলে কি তোমরা বিশ্বাস করবে, সবাই বল্ল, অবশ্যই। হযরত বললেন, তাহলে বল, লা ইলাহা ইল্লালাহ এবং সফল হয়ে যাও, এক আল্লাহ ছাড়া কেহ মাবুদ বা উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল। শুনে অনেকে মানল অনেকে মানল না। এমনি করে দিবসে পরিশ্রম, রাত্রে দোয়া খায়ের করে, আমাদের প্রিয় নবী হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলাম ধর্ম প্রচার করেছেন। আর আজ পাশ্চাত্য সমাজ ছড়ায়, ‘ইসলাম তরবারির জোরে প্রচার হয়েছে, কতবড় মিথ্যা, কতবড় মূর্খতা ছড়াচ্ছে তারা।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ভাইটি,
মূল্যবান লিখাটি শেয়ার/পড়ার সুযোগ করে দেবার জন্য ধন্যবাদ। লেখকের নাম ও লেখার মূল লিংকটি উল্লেখ করে দিলে মন্তব্যটি আরও ন্যায্য হতো। যাইহোক, আমি খুঁজে দেখছি। যিনি লিখেছেন তাঁর জন্যও অনেক দোয়া রইলো।

ভালো থাকুন সবসময়। শুভ কামনা।

২২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪২

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: বর্তমান জমানায় জীবিত আদর্শ দেখে শেখার সুযোগ খুবই কম বা সে মানুষের সংখ্যা গুটিকত; সময়টাতে আবার সন্ত্রাসীরাও নিজেকে খলিফা দাবী করে বসছেন। তাই কোরআন-হাদীসের প্রকৃত শিক্ষা হাসিল করতে চাইলে- বিজ্ঞ আলেম বা ইসলামী স্কলারদের যথাসম্ভব সাহচর্যে থাকার পাশাপাশি পঠন ও অনুসন্ধানের বিকল্প নেই। থাকা চাই আল্লাহর ভয়, সদিচ্ছা এবং রসুলপ্রেম।
একদম সঠিক কথা , আমরা নিজে জানার চাইতে অন্যের উপর নির্ভর করি বেশি এবং একটু ভুল ভ্রান্তি পেলেই আঙ্গুল তুলতে, এমনকি হেয় প্রতিপন্ন করতেও পিছপা হইনা ।

যদিও প্রকৃত মুসলমানের পরিচয় দিতে নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.). বলেছেন , যার জিহ্বা ও হাত থেকে অন্য মুসলিমরা নিরাপদ, সে-ই প্রকৃত মুসলিম। ইমাম মুসলিম (রহ.) এ হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, কোনো মুসলিম তার কথা কিংবা কাজের দ্বারা অপর মুসলিমকে কষ্ট দেয় না, মানুষের নিন্দা করে না, গালমন্দ করে না, ... সেই সঙ্গে কথার ব্যাপারে খুব সতর্ক ও সচেতন হতে হবে এবং ইসলামের বাহ্যিক আচার-অনুষ্ঠানকে যথার্থভাবে আদায়ের চেষ্টার পাশাপাশি অন্তরের অবস্থার দিকেও মনোযোগী হতে হবে।
দুঃখের বিষয়ের অনেক দূর দিয়েই চলি .। জ্ঞান অর্জন চল্লেও বাস্তবায়ন খুঁজে পাওয়া মুশকিল , নিজের অপারগতা স্বীকার করেই বলছি । আল্লাহ আমাদের সঠিক টা বোঝার এবং মেনে চলার তৌফিক দিক ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু পোস্টের জন্য

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
বোন সায়েদা সোহেলী,
আপনাকেও কৃতজ্ঞতা লেখাটিতে মূল্যবান সময় ও মন্তব্য প্রদান করার জন্য। বাস্তবায়ন অথাৎ আমল নিয়ে লিখবো, ইচ্ছে আছে। আপনি যথার্থে বাস্তবতা তুলে এনেছেন-

‘আমরা নিজে জানার চাইতে অন্যের উপর নির্ভর করি বেশি এবং একটু ভুল ভ্রান্তি পেলেই আঙ্গুল তুলতে, এমনকি হেয় প্রতিপন্ন করতেও পিছপা হইনা।। ‘দুঃখের বিষয়ের অনেক দূর দিয়েই চলি’

সমস্যা অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে। বলতে যেয়েও হতবুদ্ধি অবস্থায় পড়ে যাই। কোথা থেকে শুরু করি আর কোথায় করি শেষ। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

দোয়া রাখবেন যেনও ঈমান-আমল মজবুত করতে পারি।
আসসালামু আলাইকুম।

২৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

এহসান সাবির বলেছেন: পরে পড়ে নেব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.