নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯ (১) ও ৩৯ (২)(ক) এবং মানবাধিকার সনদ(UDHR) এর অনুচ্ছেদ-১৯ ও অনুচ্ছেদ-২৭ বিশেষভাবে উল্লেখপূর্বক; “অন্ধবিন্দু”- ব্লগ পাতাটির লেখককর্তৃক গৃহীত ও ব্যবহৃত একটি ছদ্মনাম মাত্র।

অন্ধবিন্দু

.

অন্ধবিন্দু › বিস্তারিত পোস্টঃ

"কবি ও বৈজ্ঞানিক"

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৬


কবি ও বৈজ্ঞানিক দুজনই সাধক, দ্রষ্টা ও স্রষ্টা। এ দু’য়ের সাধনা যেমন বিভিন্ন, দৃষ্টি ও সৃষ্টিও তেমনি পৃথক। কবির দৃষ্টিতে তিনি কেবল বস্তু বা ঘটনা দেখেন না; এ সবের ভিতর দিয়ে কি যেন এক অস্পষ্ট আভাস বা ইঙ্গিত দেখতে পান। সে ইঙ্গিত অনেক সময় সাধারণ মানুষের মনের কল্পনাকেও আলোড়িত ক’রে তোলে, এবং কল্পনা উদ্বুদ্ধও করে। সে কল্পনার ছায়ায় পৃথিবীর চিত্র বেশ স্নিগ্ধ মনোহর উজ্জ্বল হ’য়ে ফুটে ওঠে। তখন পৃথিবীটা আর আমাদের নিত্য-গোচর পৃথিবী থাকে না; কল্পনার স্বর্গে পরিণত হয়। সেই স্বর্গরাজ্য কল্পনাকে আশ্রয় ক’রেই গড়ে ওঠে, কিন্তু কবির কাছে তা কিছু কম বাস্তব নয়, আর সাধারণ লোকের মনে যে আনন্দের সৃষ্টি করে, সেটাও কিছু তুচ্ছ ব্যাপার নয়। জড়পিণ্ড সংসারটা প্রাণের স্পন্দনে সচকিত হয়ে ওঠে, প্রত্যেক তুচ্ছ ঘটনা অর্থপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাতে করে কবির সহানুভূতি ও আত্মীয়তার পরিধি শতগুণ বেড়ে যায়।

কবির সত্য শুধু বর্তমানের নয়, তা অতীতের সুখস্মৃতি উদ্দীপনা করে, আর ভবিষ্যতের অপ্রাপ্ত মোহনীয় যুগের আগমনী জানায়। এই আগমনী সুরের রেশ ধ’রে ধ’রে জগৎ ক্রমে ক্রমে উন্নতির দিকে অগ্রসর হয়। এই ভাবে কবি যুগে যুগে জগৎকে পঙ্কিলতা হতে বাঁচিয়ে, সুমার্জিত করে নৈতিক ও মানসিক চেতনার সঞ্চার ক’রে মহাকল্যান সাধন করেছেন।

দার্শনিকও নতুন নতুন ভাবের বন্যা এনে জগৎকে ভাবের দিক দিয়ে আরও নিবিড় ক’রে দেখতে শিখাচ্ছেন। কিন্তু তিনি অনেকটা কবি-প্রকৃতির হ’লেও কবির সঙ্গে তাঁর পার্থক্য এ যে তিনি কবির মত অত বিপুল ও চিত্তাকর্ষকভাবে লোককে বুঝাতে পারেন না। দার্শনিক সাধারণ লোকের মনের মানুষ বা চিন্তার মানুষ; আর কবি যেন তার ঠিক হৃদয়ের মানুষটি। তাই দার্শনিকের চেয়ে কবির বাণী আরও প্রত্যক্ষভাবে লোকের চিত্ত অধিকার করে।

ওদিকে বৈজ্ঞানিক সচরাচর দৃশ্যমান জগতের প্রত্যেক বস্তু ও ঘটনাকে বিশেষভাবে পরখ ক’রে দেখতে চান। তাঁর কাছে ইন্দ্রিয়ের অগোচর বিষয়াদি প্রাধান্য নাই। ইন্দ্রিয়াতিরিক্ত কোনো জিনিস নাই, বৈজ্ঞানিক কোনো দিন এমন কথা বলেন না; কিন্তু তার সম্ভাব্যতা স্বীকার করলেও, তা নিয়ে মাথা ঘামানোর চেয়ে ও বিষয়ে চুপ থাকা বা উপেক্ষা করাটাকেই বেশী বুদ্ধিমানের কাজ মনে করেন। তিনি কাজের লোক, যা সামনে আসছে তারই রহস্য নিয়ে ব্যস্ত, মাথা খাটিয়ে রহস্য সৃষ্টি করে আর আপদ বাড়ানো শ্রেয় জ্ঞান করেন না। কিন্তু তাই বলে, নতুন রহস্য যখন সত্যি সত্যিই আসে, বৈজ্ঞানিক সে সময় কস্মিনকালেও উদাসীন থাকেন না। নতুন নতুন রহস্য নির্ণয় ক’রেই তো বৈজ্ঞানিক জ্ঞানভাণ্ডার পূর্ণ ক’রে চলেছেন। বৈজ্ঞানিক হাজার হাজার সমস্যার সমাধান করতে অপারগ, এ কথা তিনি ভাল রকমেই জানেন। এজন্য তাঁর মনে গর্বের ভাব কখনও আসে না। বৈজ্ঞানিক জানেন, তিনি কিছু করেছেন, সংসারের জ্ঞানভাণ্ডারে অনেক সম্পদ দান করেছেন, কিন্তু তাতে তিনি সন্তুষ্ট নন। তিনি যে অনন্ত কোটি রহস্যের উদ্দেশ পান নাই এবং যে সমস্ত উপস্থিতি রহস্যের স্বরূপ নির্ণয় ক’রতে পারেন নাই, তার জন্য অত্যন্ত বিনীত ও নম্রভাবে সাধনা ক’রে যাচ্ছেন। তিনি নিজের মনে নিজেই সঙ্কুচিত; এর পরও যদি কেউ বলেন, “অমুক সাধারণ ব্যাপারটাই যখন সৃষ্টির আদিকাল থেকে এ পর্যন্ত কোনো বৈজ্ঞানিক মীমাংসা করতে পারলেন না তখন আর বিজ্ঞানের মূল্য কি?” তা হ’লে বোধ হয় অনেকখানি অন্যায় ও অবিচার করা হবে।

বৈজ্ঞানিক বস্তু বা ঘটনাকে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিশ্লেষণ করেন, তাকে ছিন্ন ভিন্ন করে অশ্রদ্ধার সঙ্গে ফেলে দেবার জন্য নয়; তার ভিতরকার সত্যটি আবিষ্কার করে জগতের অন্যান্য সত্যের সঙ্গে তাকে শ্রেণীবদ্ধ করে যথাযথভাবেই গাঁথবার জন্যই। এর জন্য বৈজ্ঞানিকের ‘নির্দয়’ ‘পাষাণ’ প্রভৃতি অনেক আখ্যা মিলেছে। কিন্তু বৈজ্ঞানিক যদি কখনও নিষ্ঠুরও হন, তবু সে সত্য-সুন্দরের জন্য; সে রকম নিষ্ঠুরতা তুলনা বিশ্বস্রষ্টার জাগতিক নিয়মে অনবরতই দেখতে পাচ্ছি।

কবি দেখতে চান জগৎ-ব্যপারের অতীত সৌন্দর্য, আর বৈজ্ঞানিক দেখতে চান তার অন্তর্নিহিত সত্য। কবির সৌন্দর্য যেমন সত্য, বৈজ্ঞানিকের সত্য তেমনি সুন্দর। কবির কল্পনা-তুলিকার স্পর্শে মানুষ অতীন্দ্রিয় লোকে উঠে গিয়ে আত্মভোলা হয়ে যায়, আর বৈজ্ঞানিকের পরিমাপরজ্জু তার কল্পনার-ফানুস টেনে ধরে ব’লে আবার তার স্থায়ী আত্মানুভূতি ফিরে আসে। কবি, স্থল সংসারটাকে অনেকখানি উপেক্ষা ক’রে কল্পলোকের অমৃতের লোভে আকাশে বিচরণ করেন। তাঁর সে বিচরণ নিরর্থক হয় না; তিনি সত্যি সত্যিই কিছু না কিছু অমৃত বা সুধা পান ক’রে জগৎবাসীর জন্যও কিছু নিয়ে আসেন। আবার বৈজ্ঞানিক, পৃথিবীর স্থায়ী প্রাপ্তিকে সর্বদা মুঠোর ভিতর রেখে, নিশ্চিতকে না ছেড়ে, ঐরূপ নিশ্চিত আরও সত্যসুধার সন্ধানে ফেরেন। এখানে তিনি কল্পনা-প্রিয় দার্শনিকের মত। কিন্তু এঁর কল্পনা প্রধানতঃ মস্তিষ্কের উপর নির্ভর করে না; বৈজ্ঞানিকের কল্পনা যেমন শরীরী; তার অন্তর বাহিরের সমস্ত ইন্দ্রিয় দিয়ে জড়জগতের সমস্ত উপাদান দিয়ে তিনি তাঁর কল্পসুন্দরীর মন যোগাচ্ছেন। তার ফলে তিনি সুন্দরী প্রকৃতির কাছ থেকে অতি সঙ্গোপনে যে গোপন রহস্যবাণী শুনতে পাচ্ছেন, তা’ সোনার থালায় সাজিয়ে জগজ্জনের সামনে ধরছেন।

জগ্যৎ এজন্য কবি ও বৈজ্ঞানিক দুইজনের নিকটই কৃতজ্ঞ। বৈজ্ঞানিক না থাকলে কবির কল্পনা, খেয়াল হয়ে ধোঁয়ার মত শূন্যে মিলিয়ে যেত, আর কবিচিত্ত না থাকলে, বৈজ্ঞানিকের সাধনা পৃথিবীর ধূলামাটির মধ্যে কুটে মরতো।

কবি ও বৈজ্ঞানিক
প্রবন্ধ: কাজী মোতাহার হোসেন
কৃতজ্ঞতা, কাজী মোতাহার হোসেন ফাউণ্ডেশন।

*** *** *** *** *** * *** *** *** *** ***

কাজী নজরুল ইসলাম তাঁকে আদর করে 'মোতিহার' ব’লে ডাকতেন। ১৯২৮-এ কাজী মোতাহার হোসেনের কাছে লেখা কাজী নজরুল ইসলাম এর একটি চিঠিতে কবি আকুতি মাখা ঐকান্তিকতায় জিজ্ঞাসা করছিলেন-

“আমায় সবচেয়ে অবাক করে নিশুতি রাতের তারা। তুমি হয়তো অবাক হবে, আমি আকাশের প্রায় সব তারাগুলোকেই চিনি। তাদের সত্যিকারের নাম জানিনে কিন্তু তাদের প্রত্যেকের নামকরণ করেছি আমার ইচ্ছে মত। সেই কত রকম মিষ্টি মিষ্টি নাম, শুনলে তুমি হাসবে। কোন তারা কোন ঋতুতে কোন দিকে উদয় হয়, সব বলে দিতে পারি। জেলের ভিতর সলিটারি সেলে যখন বন্দি ছিলাম, তখন গরমে ঘুম হত না। সারারাত জেগে কেবল তারার উদয় অস্ত দেখতাম। তাদের গতিপথে আমার চোখের জল বুলিয়ে দিয়ে বলতাম, বন্ধু, ওগো আমার নাম না জানা বন্ধু, আমার এই চোখের জলের পিচ্ছিল পথটি ধরে তুমি চলে যাও অস্ত পাড়ের পানে। আমি শুধু চুপটি করে দেখি। হাতে থাকতো হাতকড়া, দেয়ালের সঙ্গে বাঁধা চোখের জলের রেখা আঁকাই থাকতো মুখে, বুকে। আচ্ছা বন্ধু, ক'ফোঁটা রক্ত দিয়ে এক ফোঁটা চোখের জল হয়, তোমাদের বিজ্ঞানে বলতে পারে ? এখন শুধু কেবলই জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা করে যার উত্তর নেই, মিমাংসা নেই - সেই সব জিজ্ঞাসা।”

*** *** *** *** *** * *** *** *** *** ***

আমেরিকান কবি ও দার্শনিক হেনরি ডেভিড থ্যরু; চারপাশের প্রাকৃতিক ঘটনাবলির পর্যবেক্ষণ ধারাক্রমে তার জার্নালে প্রায় প্রতিদিন রেকর্ড করে রাখতেন। এভাবেই তিনি একজন প্রকৃতিবিদ লেখক হয়ে ওঠেছিলেন। স্ব-দেশে তাকে পরিবেশ আন্দোলনের জনক ‍হিসেবে গণ্য করা হয়। থ্যরু, শেষ জীবনে এসে নয়া-বায়োলজির সাথে সম্পর্ক গড়েন। তাঁরই একটি প্রবন্ধ থেকে স্ফুরিত হয়ে পদ্য-রচনাটি―

আশংকা হয়
আমার জানা-শোনার স্বভাব
বছর থেকে বছর
ক্রমেই পৃথক ও বৈজ্ঞানিক হয়ে পড়ছে-
যেনো স্বর্গের মস্তকাবরণে মম
বু্যঢ় দৃষ্টির বিনিময়।

অণুবীক্ষণের ময়দানে
নিজেকে সঙ্কুচিত করে দেখি
ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণার কিছু।

না, তাতে গোটা টা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না
এমনকি তার লেশটিও নয়।

তবে গণনা করতে পারছি, তার
কতক অংশ এবং এতেই বলেছি-
আমিও জানি?


মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৪

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন: ছড়াকারও যদি ধন্যবাদ কইয়ে কাইটে প’ড়ে। কেমন হবো ? দু’টা কথা কি কওন যায় না। তাতে করে তো মনে হয়; যে-না, ব্লগে আসছি ! এইখানে কথা বলার লোক আছে।

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সুন্দর পোস্ট! প্রথিতযশা সাহিত্যিকদের মধ্যে কাজী মোতাহার হোসেন অামারও খুব প্রিয় ব্যক্তিত্ব ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন:

রূপক,
তাই! তবে যে খুব খুশি হলেম সাক্ষাৎ পেয়ে। কি খনির ভাণ্ডার রয়েছে বাংলা সাহিত্যে; খোঁজ করার মতো পাঠক-লেখক কমে আসছে। আমি শঙ্কিত। লেখক হবার সখ করে অথচ বই পড়তে চায় না ...

তার এই লেখাটি থেকে কোট করে আমার একটি লেখা (বিজ্ঞান ও কবিতা বিষয়ক) পোস্ট করার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু পুরোটাই তুলে রাখলুম। লেখাটা সম্ভবত অনলাইনে নেই; সেজন্যই।

ভাল থাকা হোক। শুভ কামনা রইলো।

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৭

সুখী পৃথিবীর পথে বলেছেন: শুধু একজন সাহিত্যিক এবং বিজ্ঞানীই ছিলেন না। ছিলেন একজন সাধু পুরুষ। পোস্টের জন্য লেখককে ধন্যবাদ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৯

অন্ধবিন্দু বলেছেন:

সাধু ছিলেন বলেই না অমোন করে দীপ্ত-বলিষ্ঠ-সুচেতনা সমৃদ্ধ কথা তিনি বলে যেতে পেরেছেন। আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই।

৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আশংকা হয়
আমার জানা-শোনার স্বভাব
বছর থেকে বছর
ক্রমেই পৃথক ও বৈজ্ঞানিক হয়ে পড়ছে-
যেনো স্বর্গের মস্তকাবরণে মম
বু্যঢ় দৃষ্টির বিনিময়।

অণুবীক্ষণের ময়দানে
নিজেকে সঙ্কুচিত করে দেখি
ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণার কিছু।


না, তাতে গোটা টা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না
এমনকি তার লেশটিও নয়।

তবে গণনা করতে পারছি, তার
কতক অংশ এবং এতেই বলেছি-
আমিও জানি?



ভাই,
কবি ও বৈজ্ঞানিক লেবেল দিয়ে যে আলোচনার উপস্থাপন করলেন সেটা নিঃসন্দেহে চিন্তার খোরাক। আমি যদিও উভয়ের পথকে এক করে দেখি না তারপরও কারো উপযোগীতা ও প্রয়োজনীয়তাকে খাটো করে দেখছি না।
মন থাকার কারণেই মানুষ। তা না হলে প্রাণির অন্যান্য প্রজাতি থেকে বিচ্ছিন্ন ও অনন্য অসাধারণ হবার কোন দরকার ছিল না। আমার অভিমত হলো, এই মন-ই আমাদের কবিসত্তা বলেন আর দার্শনিক সত্তা বলেন সবকিছুর ধারক। নিজে বস্তুগত অস্তিত্ব বজায় না রেখেও বস্তুসত্তাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
আবার বুদ্ধিমত্তা ও জ্ঞান বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও মন-ই আমাদের পথ দেখিয়ে টার্মিনাল পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। এরপর জ্ঞানের বা নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর যৌক্তিক ও সুত্র/গণিতভিত্তিক পথচলা শুরু হয় আমাদের। এটাই বস্তুগত উন্নতির প্রধান ও সম্ভবত একমাত্র অবলম্বন, মানুষের ইতিহাসে।
এর পর বিজ্ঞান ও ভাবনা আলাদা হয়ে গেল আর আমি আপনি সেগুলো নিয়েই আছি। কোন সময়ে চাই এদের একত্রিকরণ করতে। কোন সময়ে বিভক্তকরণে, আবার কোন সময় অন্য কিছু।

যাইহোক,
আপনার কবিতার একটি অংশের মেটাফোর হলেও কেমন যেন তালগোল পাঁকিয়ে ফেললাম। অণুবিক্ষণ যন্ত্রে আমরা তো ক্ষুদ্র পদার্থ/জীবকে বৃহৎ করে দেখি। মানে আপনার কাব্যাংশের সাথে উল্টো হয়ে গেল।
থাক, আপনার যদি অন্য দৃষ্টি থাকে সেটা নাহয় আমি না-ই ধরতে পেরেছি। মাফ করবেন।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
গেম চেঞ্জার,
গুরুগম্ভীর গ্রহণযোগ্য একটি মন্তব্য লিখে আবার নিজেই বলছেন, তালগোল পাঁকিয়ে ফেলার কথা। আপনার পাঠক-দৃষ্টি মোটেই তালগোল পাঁকায় নি। যা উল্টো লাগছে তার উদ্যোক্তাই হচ্ছে পদ্য। এবং বৃহৎ করে দেখছেন; সেটাই বিজ্ঞান।

এই যে আপনি এমত-সুক্ষ একটি মেটাফোরে প্রশ্নদদ্ধ হলেন। কেনো সম্ভব হলো ? কারণ আপনি জানেন অণুবিক্ষণ প্রক্রিয়া টা কি, আপনি জানেন বিজ্ঞান ও ভাবনা/আবেগকে আলাদা করতে। আমিও সে কথাই বলছিলুম-
ক্রমেই পৃথক ও বৈজ্ঞানিক হয়ে পড়ছে-

আপনি সময় করে কাজী মোতাহার হোসেন এর লেখা অন্য প্রবন্ধগুলোও পড়েন (যদি না পড়ে থাকেন)। অনেক অনেক উত্তরে উন্নত হবেন নিশ্চিত। আমরা তো মুক্তচিন্তা-মুক্তমত-মুক্তবুদ্ধি এসব বলে বলেই কাজ-কম্ম শেষ করি। কিন্তু চিন্তা করতেই শিখি নে! হাহ হাহ হাহ। তিনি বাঙালিদের সহ বিশ্ববাসীকে সুন্দর-পথ দেখিয়ে গেছেন...

আপনি যে একত্রিকরণ বিভক্তকরণে কথা বললেন। সেটা তো হবেই, হয়ে আসছে। কেউ জেনে-বুঝে করে। আবার কেউবা বুদ্ধিহীনতা/অচেতন থেকেই। এখন কথা হলো আপনি/আমি কোনটা গ্রহন করবো। কিভাবে যাচাই করবো ?

অবশ্যই মন, বুদ্ধিমত্তা এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোকে ...

৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,


যাকে দিয়ে লেখাটির শুরু তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই আগেই ।

কবি দেখেন হৃদয়ের চোখে , বৈজ্ঞানিক দেখেন লেন্সের ফাঁকে চুলচেরা চোখে । কবির অদৃশ্যমানতাকে বৈজ্ঞানিক দৃশ্যমান করে তোলেন । কবি সাজিয়ে যান , বৈজ্ঞানিক তাকে কেটেছিঁড়ে আবার মালায় গেঁথে তোলেন । দোহে মিলে যেন গেয়ে যান জীবনেরই গান ।
তাই পৃথিবীকে বড় বেশী সুন্দর মনে হয় তার সব বস্তুসম্ভারের ভেতর বাহিরের স্বরূপখানি দেখে দেখে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
যেন গেয়ে যান জীবনেরই গান
আহা! কত সুন্দর করে বললেন, আহমেদ জী এস।

কবি যেমনি চাইলে বৈজ্ঞানিক হতে পারেন; বৈজ্ঞানিকও কবি হতে পারেন। আর ভাষার গৃহে কবি মাত্রই বৈজ্ঞানিক। আপনি বলতে পারেন, যে কেউই কবিতা লিখতে পারে, তাকে বৈজ্ঞানিক হবার প্রয়োজন নেই। তখন আমার প্রশ্ন, ভাষাটাই যদি কবিরা না-শিখলেন। তার পক্ষে কবিতা রচনা করা কতদূর সম্ভব ? কিন্তু ভাষা শেখার জন্য তাকে স্কুল-কলেজ-থিউরীতে যেতে হবে, এমনটি নয়। কবিরা শিখেন প্রকৃতি থেকে... হৃদয়ের চোখে...

পাশাপাশি বিজ্ঞানের জ্ঞান আয়ত্ত করা গেলে কবিতাকে আরও বেশি স্বরূপ-চকিত করা যায়। সে উদাহরণ বহু আছে।

বরাবরের মতোই ভাল লাগল কথা বলে ও শুনে। ধন্যবাদ আপনাকে সময় দেবার জন্য।

৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

সুমন কর বলেছেন: পুরোটি পড়িনি....জানান দিয়ে গেলাম.... !:#P

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৯

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
সুমন,
আপনি আছেন সাথে, সে জানান না দিলেও জানি। বিশ্বাস আছে আর-কি, হুম। :)

আশাকরি সু-চিন্তার খোরাক পাবেন।

৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার পাঠক-দৃষ্টি মোটেই তালগোল পাঁকায় নি। যা উল্টো লাগছে তার উদ্যোক্তাই হচ্ছে পদ্য। এবং বৃহৎ করে দেখছেন; সেটাই বিজ্ঞান।
এই যে কথাটি লিখেছেন, এটা আমার জন্য একটি নতুন উপলদ্ধি, নতুন কিছু, যেটা আমার কনসেপশনের ধারেকাছে থাকলেও আসেনি। অনেক ধন্যবাদ ভাই, এই মূল্যবাণ কথাটি আমি মনে রাখার চেষ্টা করবো। :)

কাজী মোতাহার হোসেন এর কয়েকটি প্রবন্ধ পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে। বাংলাদেশের তথা বাংলার যে কয়জন মনীষী আমাদের পথ দেখিয়ে দিয়ে গেছেন নিঃসন্দেহে তিনি অন্যতম একজন। মন্তব্যে উনাকে নিয়ে কিছু বলা উচিত ছিল। আমি উনার বইগুলো ঘেটে দেখার সময় আসলে পাইনি। যথাসম্ভব প্রবীর ঘোষ, আরজ আলী মাতুব্বর, মুন্সী মেহেরউল্লাহ, পূরবী বসু, ভবানীপ্রসাদ সাহু, দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় উনাদের থেকে কিছু ধারণা নিয়েছি।
তবে মোতাহের হোসেনের আরো লেখা পড়তেই হবে আমি নিশ্চিত।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জনাব গেম চেঞ্জার,
বড় বিনয় করলেন আপনি।

আমি সবসময়ই আপনাদের মতামত গুরুত্বসহকারে পড়ি এবং উত্তর দেবার চেষ্টা করি(যদিও হাতে সময় কম থাকে)। আসলে কবিতা নিয়ে কি বলবো। কবিতা লেখাও যে সাধনা-অধ্যাবসায়-পরিশ্রমের কাজ, কবিতার ছড়াছড়ি দেখে আমরা তাতো কবেই ভুলে গেছি।

আগের মন্তব্যে উনাকে নিয়ে কিছু বলেন নি; ভাল হয়েছে। আপনিও বেশ ভাল পড়ুয়া আছেন জানতে পারলেম। শ্রদ্ধেয় আরজ আলী মাতুব্বররের জ্ঞানস্পৃহা এক অনন্য-দৃষ্টান্ত ...

এসব লেখকদের লেখা পড়ার পর নিজেকে লেখক কেনো; লেখকদের ‘ল’ এর সাথেও তুলনা করি নে।

ভাল থাকবেন। :)

৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: পোস্টে ভালোলাগা।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জেনে ভাল লাগল, অগ্নি সারথি। ব্লগের জন্য সময় করতে পারছি নে। আপনাদের লেখাও পড়া হচ্ছে নে :(

৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাল লাগলো খুব। +++

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ভাল লাগা পেলাম, কান্ডারি। কাজী মোতাহার হোসেনের লেখার আমিও কিন্তু খুব ভক্ত।

১০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৩

কিরমানী লিটন বলেছেন: প্রথিতযশা সাহিত্যিকদের মধ্যে কাজী মোতাহার হোসেনকে বিনম্র শ্রদ্ধা, আপনাকেও অনেক অভিবাদন প্রিয় অন্ধবিন্দু , সতত শুভকামনা জানবেন...

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ, কিরমানী।
ভাল থাকা হোক।

১১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: তুমি হয়তো অবাক হবে, আমি আকাশের প্রায় সব তারাগুলোকেই চিনি। তাদের সত্যিকারের নাম জানিনে কিন্তু তাদের প্রত্যেকের নামকরণ করেছি আমার ইচ্ছে মত।সেই কত রকম মিষ্টি মিষ্টি নাম, শুনলে তুমি হাসবে। কোন তারা কোন ঋতুতে কোন দিকে উদয় হয়, সব বলে দিতে পারি।জেলের ভিতর সলিটারি সেলে যখন বন্দি ছিলাম, তখন গরমে ঘুম হত না। সারারাত জেগে কেবল তারার উদয় অস্ত দেখতাম। তাদের গতিপথে আমার চোখের জল বুলিয়ে দিয়ে বলতাম, বন্ধু, ওগো আমার নাম না জানা বন্ধু, আমার এই চোখের জলের পিচ্ছিল পথটি ধরে তুমি চলে যাও অস্ত পাড়ের পানে। আমি শুধু চুপটি করে দেখি। হাতে থাকতো হাতকড়া, দেয়ালের সঙ্গে বাঁধা চোখের জলের রেখা আঁকাই থাকতো মুখে, বুকে। আচ্ছা বন্ধু, ক'ফোঁটা রক্ত দিয়ে এক ফোঁটা চোখের জল হয়, তোমাদের বিজ্ঞানে বলতে পারে ? এখন শুধু কেবলই জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা করে যার উত্তর নেই, মিমাংসা নেই - সেই সব জিজ্ঞাসা।”
লেখাটা পড়ে মন কেমন করে উঠল।কত নরম, কত মিঠে, কত বেদনাবহ। নজরুলের লেখা এমনই।কখনো একদম নির্মল হাসির ফল্লুধারা, কখনো পৃথিবী অভিমুখে অসীম বেদনাবোধের প্রকাশ। বুঝদার লোকেরাই চরম সরল স্তরে পৌছাতে পারেন। খাটি লেখকের লেখার সরলতা সম্পূর্ণ ভেতর থেকে আসে।নির্মল মনের অধিকারী না হলে সরলশিশু থাকা অসম্ভব।নজরুল প্রাজ্ঞ ব্যক্তির মত বুঝেছেন, শিশুর মত করে প্রকাশ করেছেন।ইউরোপীয় মানস কাঠামোর চরচাকারিরা এসব বুঝতে পারেননি,
বুঝতে পারার কথাও নয়। তবে যা করেছেন,তা হল - নিজেরাও কল্কে পাননি,নজরুলও যাতে না পান সে চেষ্টা করে গেছেন।

অনেক সমালোচকের মতে, (ইনক্লুডিং হায়াত মামুদ) কবি নজরুলের গদ্য নাকি দুর্বল। দুঃখের বিষয় কেন দুর্বল কোথায় দুর্বল তা যথাযথ বিশ্লেষণ করার মত শক্তি তাদের নেই। ইলিয়াস একবার শামসুর রহমানের গদ্য দুর্বল বলেছিলেন। কেন দুর্বল তাও দেখিয়ে দিয়েছিলেন। নজরুল অসাধারণ প্রাণ শক্তিময় একজন মানুষ। কোন কিছুই তার রোমান্টিকতাকে নিস্তেজ করতে পারেনি।

মোতাহার হোসেনের লেখাটি আগে পড়েছিলাম। তিনটি অংশের যোগসূত্র আছে। সেটা কি ? ( কবি এখানে নিরব) হাহাহা B-)
শেষ কবিতা টা পড়ে বিনয় মজুমদারের কথা মনে পড়ে গেল/

কয়েকমাস ধরে আপনি অসাধারণ সব পোষ্ট করে যাচ্ছেন। কৃতজ্ঞতা রইল। আপনি এই প্ল্যাটফর্মের সেরাদের একজন সন্দেহ নেই।
ভাল থাকবেন ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

অন্ধবিন্দু বলেছেন:

কবিত্ব হচ্ছে আল্লাহর দান, খাস নেয়ামত। নজরুলকে আল্লাহ সে কবিত্বে সমৃদ্ধ করেছেন। যে যাই সমালোচনা করুক, ‘নজরুল’ কিন্তু পৃথিবীতে খুব কমই এসেছে। আলহামদুলিল্লাহ, যে বাংলা সাহিত্যে আমরা এমন একজন পেয়েছি।

হায়াত মামুদ, কবি নজরুলের মূল্যায়নে বলছেন-
“সমগ্র নজরুল কাব্যশরীরের একচ্ছত্র অধীশ্বর তাঁর সংগ্রামচৈতন্য ও প্রেমিক মানস। এই দুই প্রত্যন্ত মেরুতেই তাঁর কবিতার সীমা চিহ্নিত। আর উক্ত দ্বৈত মানসিকতারই যোগফল তাঁর মানববীক্ষা ও মনুষ্যত্ববোধ।। অন্য যা-কিছু উপশাখা দেখি তাঁর কাব্যভাবনায়; হিন্দু-মুসলিম অবিভাজ্যতা, শ্যামাসংগীত ও ইসলামী গান, সুফি মরমিয়াবাদ ও হিন্দু-তন্ত্রসাধনায় আসক্তি, সবকিছুই ঐ দুই পরম বিক্রমশীল অনুভব ও বোধের সংশ্লেষণ। আধুনিক বাংলা দেশে তিনিই একমাত্র বাণীশিল্পী যার কর্মে ও চিন্তায় এ যুগের অভিশাপ- ক্ষুদ্র জাতীয়তাবাদ ও ধর্মান্ধতা বিন্দুতম রেখাপাতে সক্ষম হয় নি। সমস্ত মানিন্য ও বিভেদচেতনাকে পৌরুষ ও প্রাণাবেগে জয় করেছিলেন তিনি। বিক্ষুব্ধ বিংশ শতাব্দীতে এই বাঙালি কবিচৈতন্য শুধুমাত্র মনুষ্যত্বেরই বরণ করে নিয়েছিলেন তাঁর দীক্ষা যদি সংগ্রামের হয় তবে তা মনুষ্যত্বেরই জন্য; তাঁর আর্তি যদি প্রেমের জন্য হয়, তবে তা একান্তই মানুষী প্রেম।”

জনাব মাহমুদ,
লেখক/কবির মৌলিক প্রবণতার বিষয়ে একাডেমিক্যালি যথাযথ বিশ্লেষণ করাটাও সাহিত্যেরই অংশ। সেটা সবাইকে দিয়ে হয় না। সমালোচকের চিন্তায় যদি স্বচ্ছতা থাকে, হোক সমালোচনা। আর কবিদের গদ্য নিয়ে বিশ্বসাহিত্যও নানান কথা হয়েছে। আমি বলি- আঁচ বাদ দিয়ে উত্তাপটা উপলব্ধি করতে ক’জনই বা পারেন ? আমাদের বৃহৎ প্রেক্ষাপটে দেখতে হবে; আঙ্গিক কোনও ব্যাপার না। সাধারণ মানুষকে, বাণীই স্পর্শ করে যায়...

বলার থাকে অনেক; কিন্তু ইচ্ছে গেছে কমে। ব্লগে তাই আর পোস্ট লেখাটেখা হয় না। ব্লগে লগিন করলে এই-সেই পোস্ট মাঝে মধ্যে করে দিই আরকি। (তিনটি অংশের যোগসূত্রে নিরব থাকি নাই। মন্তব্যের প্রতিউত্তরগুলোতে ইঙ্গিত আছে কিন্তু)

ভাইটি, কিসের সেরা!! নগণ্য এক পাঠক মোটে; আর কিচ্ছু না। আপনার পড়ুয়া শক্তি ভাল, আলাপ করে মজা আছে। কানেক্ট হয়া যায়। কৃতজ্ঞতা জানাই সাথে থাকার জন্য।

১২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

নেক্সাস বলেছেন: জগ্যৎ এজন্য কবি ও বৈজ্ঞানিক দুইজনের নিকটই কৃতজ্ঞ। বৈজ্ঞানিক না থাকলে কবির কল্পনা, খেয়াল হয়ে ধোঁয়ার মত শূন্যে মিলিয়ে যেত, আর কবিচিত্ত না থাকলে, বৈজ্ঞানিকের সাধনা পৃথিবীর ধূলামাটির মধ্যে কুটে মরতো।

চমৎকার আর্টিকেল প্রিয় বিন্ধু। আমি বরাবরই কবিকে দার্শনিক ভাবে মানি। তবে আলোচ্য প্রবন্ধের কথার সাথে আমার সহমত।এটা বলা যায় যে সব কবি দার্শনিক কিন্তু সব দার্শনিক কবি নয়।

কবি দার্শনিক আর বিজ্ঞানীর তুলনামূলক আলোচনা চিন্তার খোরাক।

ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
সুচিন্তিত মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, জনাব নেক্সাস।

যুগ বদলে গেছে গো ভাইটি, এখন যে কেউই কবি, যেকেউই দার্শনিক!! হাহ হা হা। তবে সত্যিকার অর্থেই ‍যিনি একই সাথে কবি দার্শনিক এবং বিজ্ঞানীও, তাঁদের কথা ভাবুন। কি থু’য়ে কি লিখে ... তিনটানা অবস্থা তখন। অবশ্য বের হয়ে আসার পথটা তারাই রচনা করে যান।

১৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

এহসান সাবির বলেছেন: দারুন শেয়ার।

শুভেচ্ছা।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
পড়েছেন জেনে খুশি হ’লেম। :)

১৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

লেখোয়াড়. বলেছেন:
"জগৎ এজন্য কবি ও বৈজ্ঞানিক দুইজনের নিকটই কৃতজ্ঞ। বৈজ্ঞানিক না থাকলে কবির কল্পনা, খেয়াল হয়ে ধোঁয়ার মত শূন্যে মিলিয়ে যেত, আর কবিচিত্ত না থাকলে, বৈজ্ঞানিকের সাধনা পৃথিবীর ধূলামাটির মধ্যে কুটে মরতো"
............ দার্শনিক। আপনি!

কাজী মোতাহার হোসেন........... আমার অন্যতম পছন্দের লেখক।

ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ওহে লোখোয়াড়,
সাধারণ নগণ্য সীমিত এক মানুষ আমি।
আমার পরিচয় সেতো আমার কর্মে... কথায় নয় ...


খুশি হ’লেম জেনে কাজী মোতাহার হোসেন আপনার পছন্দের একজন। এ বাংলার সাহিত্য বড় সমৃদ্ধ; যদি পাঠক হ’তে জানেন। শুভ কামনা রইলো।

১৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: জগ্যৎ এজন্য কবি ও বৈজ্ঞানিক দুইজনের নিকটই কৃতজ্ঞ। বৈজ্ঞানিক না থাকলে কবির কল্পনা, খেয়াল হয়ে ধোঁয়ার মত শূন্যে মিলিয়ে যেত, আর কবিচিত্ত না থাকলে, বৈজ্ঞানিকের সাধনা পৃথিবীর ধূলামাটির মধ্যে কুটে মরতো।

আপনি সুন্দর কথাই তুলে ধরেছেন। কবির কল্পনা সৌন্দর্য খুঁজে বেড়ায় আর বৈজ্ঞানিকের কল্পনা বাস্তব কিছু খুঁজে পেতে চেষ্টা করে।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
হ্যাঁ, জনাব প্রামানিক। আমাদের কাজী মোতাহার হোসেন খুব সরল-সুন্দর ভাষায় এই নিগুঢ় পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন।

ধন্যবাদ আপনাকে সাথে থাকার জন্য :)

১৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫২

এহসান সাবির বলেছেন: ইংরেজী নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
শুভেচ্ছা পেয়ে খুশি হলেম।

আপনিও অনেক ভাল ও সুস্থ-সুন্দর থাকুর -এ কামনা করছি।

১৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মোতাহার হোসেনের নাম শুনি আজকাল কম। আমরা কি তাকে ভুলে যাচ্ছি?

এরকম লেখাগুলি পাঠ্য হওয়া উচিত। নজরুলের গদ্য নিয়ে কি বলব, সেই ক্ষমতা বা স্কিল যাই হোক, নেই; কিন্তু এরকম লেখক পাঠককে লেখা থেকে তাড়িয়ে দিতে এবং টেনে নিতে- দুইই পারেন।

থ্যরুর কথা জানলাম।

সালাম তিনজনকেই।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
প্রোফেসর শঙ্কু,
আমার পাল্টা জিজ্ঞাসা, আমরা কি আদৌ মনে রাখছি !


ভাল লাগল আপনি লিখাটি গুরুত্বসহকারে পড়েছেন জেনে। হুম, আপনার কথাটা ভাবিয়ে গেলো ...

১৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

অবচেতনমন বলেছেন: বেশ ভাল লাগলো,
লেখাতে রইল ভালবাসা সহিত ++++++++++++++++++++++++++++++++++++

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৯

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ভালবাসা রাখলেম ও জানালেম, অবচেতনমন।

ভাল থাকবেন।

১৯| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: কাজী মোতাহার হোসেন এর এ চমৎকার প্রবন্ধটি স্কুলের পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকার কারণে তা পড়ার সৌভাগ্য আমার আগেই হয়েছিল। মনে পড়ে, প্রবন্ধটি আমি প্রথম পাঠে ভালবেসে ফেলেছিলাম এবং পুনঃপঠনের দ্বারা প্রায় মুখস্তই করে ফেলেছিলাম। তবে পরিণত বয়সে এসে আমি এ প্রবন্ধটিকে অনেক খুঁজেছি, কিন্তু পাই নি। আজ আপনার বদৌলতে পেলাম। কাজী মোতাহার হোসেন এর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং আপনাকে ধন্যবাদ।

"কবিত্ব হচ্ছে আল্লাহর দান, খাস নেয়ামত। নজরুলকে আল্লাহ সে কবিত্বে সমৃদ্ধ করেছেন" (১১ নং প্রতিমন্তব্য) - মুগ্ধ হ'লাম।

পোস্টটি "প্রিয়" তে তুলে রাখলাম। + +





আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.