নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা স্বপ্ন ভঙ্গের কারখানা এবং মৃত্যুর মিছিল

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪




“ সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ” কথাটি ব্লগার চাঁদগাজী স্যারের । এটা কতটা সত্য । আমাদের দেশের দিকে তাকালে তা বুঝে ওঠা মুশকিল । কেননা আপনি আমাদের দেশে মেধার বা শিক্ষার গুরুত্ব মানুষ কে বলে বুঝিয়ে মানাতে পারবেন না । যদিও এটা আমাদের মেনে নিতে কষ্ট হয় । তবে এটাই সত্য । আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার কোন কাঠামো নেই । কোন সুন্দর ব্যবস্থাপনা নেই । কোন সিলেবাস বা নিয়ম নেই । শুধু বছরের শুরুতে আপনি সবার হাতে বই পৌছে শিক্ষার সঠিক মান আনতে পারবেন না । মান বাড়াতে আপনাকে সেই অনুযায়ী কাজও করতে হবে । সেটার উপর কতটা নজরদারী রাখছেন । আপনি বছর বছর এ প্লাস আর গ্রাজুয়েট বের করছেন কিন্তু তাদের মানের দিকে কতটা খেয়াল রাখছেন । শুধু পাস দিয়ে আপনি যাচাই করছেন শিক্ষার মান । কোয়ান্টিটির দিকে না তাকিয়ে কোয়ালিটির দিকে তাকান ।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দিন দিন ভেঙ্গে পরছে । এর দায় ভার কার । ছাত্র ছাত্রীরা শুধু পাস করার জন্য ছুটে বেরাচ্ছে । জিপিএ সিজিপিএ নিয়ে হতাশায় ভুগছে । এগুলো একজন মানুষের মানসিক বিকাশ বাধা গ্রস্থ হচ্ছে । আর সে থেকে ছাত্রছাত্রীরা অন্ধকারে চলে যাচ্ছে যার মধ্যে তারা সুইসাইড এবং মাদকাসক্তি সহ বিভিন্ন ভাবে তাদের নিজের জীবন কে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে । তারা বুঝেই উঠতে পারছে না আসলে তাদের জীবনের লক্ষ্য কি । আর একজন শিক্ষক হিসেবে এবং শিক্ষার জন্য আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে ছাত্রছাত্রীর এই দিকে লক্ষ্য রাখা । তাদের মানসিক দিক্কের প্রতি খেয়াল রেখে আপনাকে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে । আপনি শিক্ষক তাই বলে যা খুশি তাই আপনি করতে পারেন না । ছাত্রছাত্রীরা আপনার কাছ থেকে শিখবে ক্ষমা আর দয়াশীলতা । অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করে ন্যায়ের পথে থেকে অন্যায়ের সাথে লড়াই করা ।

গত কিছু দিনে ছাত্রছাত্রীদের আত্মহত্যা বেড়েছে । একজন মানুষ কখন আত্মহত্যা করে বা সেই পর্যায়ে চলে যায় সেটা একবার আমাদের ভেবে দেখা উচিত । আমি নিজেও এই পড়াশুনা নিয়ে অনেক হতাশ । কারন যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়েছে সে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার পদে চাকরি করে । ডাক্তার মন্ত্রনালয়ে জব করে । তাহলে সে ডাক্তারি কেন পড়েছে । আচ্ছা এসব বাদ দেই । কারন সবার ই নিজস্ব পছন্দ থাকে । তবে যারা ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার তারা কেন সাধারন চাকরিতে ঢুকে যায় সেটাই আমি বুঝতে পারি না । আবার কোম্পানিরা বলে তারা নাকি যোগ্য লোক পায় না । আচ্ছা যোগ্যতার মাপ কাঠি তো আপনারা ঠিক করেছেন রেজাল্ট দিয়ে তবে কেন তারা যোগ্য নয় ।

যাইহোক সুইসাইড নিয়ে কথা বলছিলাম । ভিকারুন্নিসা স্কুলের যে ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে সেটার দায়ভার এখন কে নেবে । সে কেন আত্মহত্যা করেছে সেটার দিকে নজর দেয়া যাক । সে তার বাবা মায়ের অপমান সহ্য করতে পারেনি তার ছোট্ট মন । আর কিভাবেই বা নেবে, সেও তো মানুষ । মার খেয়ে সহ্য করা যায় কিন্তু কথার বান আপনি কিভাবে সহ্য করবেন । যে ছাত্রীর বাবা মায়ের বুক আপনি খালি করলেন তা পূরন করতে পারবেন ।




শিক্ষকের দায়িত্ব ছাত্রছাত্রীকে তার ভুল ধরিয়ে দিয়ে সঠিক পথে নিয়ে আসা । তাদের ন্যায় আর অন্যায়ের পার্থক্য তুলে ধরা । ভাল মন্দ বোঝানো । এখন এখানে দেখা যাচ্ছে মেয়েটা মোবাইল ফোন নিয়ে স্কুলে এসেছে এবং পরীক্ষার হলে বসেছে । এটা বড় ধরনের অপরাধ স্কুলের ক্ষেত্রে । আমি এটাকে অপরাধ ই বলব । কারন মোবাইল ফোন ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই একটা বয়সে দরকার আছে । আমি এবং আমার ছোট বোন কলেজে ওঠার পর ফোন ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছি । তবে এটা সবার পারিবারিক ব্যাপার । এটা যে পরিমানের অপরাধের পর্যায়ে পরে তাতে বাবা মায়ের কাছে নালিশ দেয়া পর্যন্ত যাওয়া লাগে না । তাকে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বা হালকা ধমক দিয়ে ছেড়ে দেয়া যেত । এছাড়া বাবা মা কে ডাকার পর মোবাইল ফোন তাদের কাছে হস্থান্তর করতে পারত । তারা সেটা না করে উলটো বাবা মা কে অপমান করে টিসির হুমকি দেয় । কারন তারা জানে ক্ষমতা তাদের হাতে ।

আবার অন্য দিকে এটা লঘু পাপে গুরু দন্ডের মত হয়ে গিয়েছে । আমার মতে শুধু ছাত্রীকে শাস্তি দিয়ে ছেড়ে দিলেই হতো তার বাবা মা কে টেনে আনাটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছে । স্কুল কতৃপক্ষের কি এতটুকু ধারনা নেই যে তারা ছাত্রছাত্রীদের কি শিখিয়েছে । তারা শিক্ষক কিন্তু আসলে তারা কি শিক্ষা দিচ্ছে । তারা শিক্ষক তাদের কাছ থেকে সবাই শিখবে । কিন্তু তারাই যখন নিজেদের মুর্খতা প্রমান করেন তখন আসলেই মনে হয় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা হচ্ছে স্বপ্ন ভাঙ্গার কারিগর ।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা গত কিছু দিনে অনেক গুলো প্রান কেড়ে নিয়েছে । স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সব জায়গাতেই মৃত্যুর মিছিল থামছে না । আপনাদের কি মনে হয় না এরা কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে । কেন তারা নিজের জীবন নিয়ে এত হতাশ । এই দায়ভার কি একটুও আপনাদের উপর বর্তায় না ।

শিক্ষা ব্যবস্থায় কোয়ালিটি দরকার কোয়ান্টিটি না ।

ভাল থাকুন । সুস্থ থাকুন । আপনার চারপাশ পরিস্কার রাখুন ।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভালো লিখেছেন :)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


ধন্যবাদ । এসব নিয়ে লিখতে গেলে নিজের কাছেই খারাপ লাগে তাও আজ লিখলাম ।

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: শিক্ষাব্যবস্থায় কোয়ালিটি দরকার কোয়ান্টিটি না, সহমত

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



ধন্যবাদ ভাই ।

আমরা আজও এটা নিশ্চিত করতে পারিনি ।

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

হাবিব বলেছেন: এখনতো স্কুল কলেজের মান বিবেচনা করা হয় রেজাল্টের ভিত্তিতে..............

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



সেটাই তো দুঃখের । আমার কাছে শিক্ষা মানে মানুষ হওয়া ।

৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

রাজীব নুর বলেছেন: বন্ধুগণ, হতাশ হবেন না। বাংলাদেশ একটি পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে। শুধু কিছু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। আপনারা ধর্য্য ধরুন।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৮

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



হতাশ হচ্ছি না ভাই । আস্থাও রাখতে পারছি না ।

দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তাই বলে ।

৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



শিক্ষা যখন পণ্য হয়; প্রাণ তখন নগন্য হিসেবে গণ্য হয়। শিক্ষা এদেশে ব্যবসা ব্রান্ড।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



আসলেই শিক্ষা এখন ব্যবসার অন্যতম মাধ্যম । শিক্ষাকে টাকা আয়ের উৎস হিসেবে নেয় ।

৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪

নতুন-আলো বলেছেন: আসলেই তাই.......... আমাদের বোধ কবে হবে?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২০

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



আমরা চাইলেই হবে । কিন্তু আমাদের চুলকানি বেশি তাই আমরা চাই না ।

৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

আরোগ্য বলেছেন: বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা পঙ্গু।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২০

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




আসলেই পঙ্গু । কেউ ঠিক করার দায়িত্ব নিচ্ছে না ।

৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: এই দায় কেউ এড়াতে পারে না। স্কুল, শিক্ষক, সমাজ বা বাবা-মা। যে শিক্ষাব্যবস্থায় বাবা-মা, পরিবার, শিক্ষক, সমাজ সবাই মিলে শিক্ষার্থীদের এটা মনে করতে বাধ্য করে যে জিপিএ ফাইভ পাওয়াই শিক্ষাজীবনের একমাত্র লক্ষ্য, না পেলে কর্মজীবনের সব পথ বন্ধ, যে শিক্ষাব্যবস্থা চরম চাপের মুখে একজন শিক্ষার্থীকে বাবা মার অপমানের বোঝা নিয়ে পৃথিবী ছাড়তে বাধ্য করে, সেই শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২১

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




আমাদের পুরো সিস্টেমকে নতুন করে সাজাতে হবে । শিক্ষা নিয়ে গবেষনা না করে গবেষনার অনেক বিষয় আছে ।

৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


দরিদ্র জাতি থেকে উত্তরণ করার একমাত্র পথ হলো শিক্ষা; শিক্ষায় আমাদের প্রচুর বাজেট আছে, দক্ষ লোকজন নেই; নাহিদ সাহেব থেকে উনার মন্ত্রনালয়ের কেরাণী অবধি সবাই চাকুরী করছে নামে মাত্র, কেহ শিক্ষার জন্য সময় ও শ্রম দিচ্ছেন না; নাহিদ সাহেব অনেক মন্ত্রী থেকে ভালো, তবে উনার দক্ষতা প্রয়োজনের তুলনায় রাখাল ছেলে থেকেও কম, রাখাল গরু হারায় না, উনি নিজেই গরুর দলে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩২

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




ধন্যবাদ স্যার আপনার মন্তব্যের জন্য ।

জানিনা নাহিদ সাহেব কেমন মানুষ । তবে দেখতে শুনতে ভাল মনে হয় । তবে হয়ত উপরের চাপে উনি কিছুই করতে পারেন না । আবার এমনও হতে পারে যেমন ভাল ছাত্র ভাল শিক্ষক হতে পারে না ঠিক তেমন ।

১০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

তারেক_মাহমুদ বলেছেন, " শিক্ষাব্যবস্থায় কোয়ালিটি দরকার কোয়ান্টিটি না, সহমত "

-এটা মুখস্হ করতে সমর্থ হয়েছেন, মনে হচ্ছে! শিক্ষার বেলায়, আমাদের "কোয়ান্টিটি"ও ১০০% হওয়ার দরকার ছিলো ১৯৮০ সালের মাঝেই।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:





যেহেতু স্যার আমরা কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে পারিনি । তাহলে আগে কোয়ালিটি নিশ্চিত করে তারপর কোয়ান্টিটির দিকে এগোনো যাবে ।

১১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু দ্যা গ্রেট,




আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অনেক আগেই এতিম হয়ে গেছে। এর না আছে শেকড়, না আছে ডালপালা। শুকনো, হাড় জিরজির হয়ে ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে আছে।
কর্মসংস্থানের জায়গা তৈরী না করে লাগামহীন ভাবে স্কুলকলেজের বেঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তাই চাকুরী নামের সোনার হরিন ধরতে সার্টিফিকেট সর্বস্য শিক্ষাব্যবস্থাই কায়েম হয়েছে। এতে জ্ঞানের প্রয়োজনও ফুরিয়েছে।

আর আপনার লেখার বাকী প্রতিপাদ্যের জন্যে বলি -
এই নির্মম ও ক্ষমার অযোগ্য ঘটনাটি আবারও প্রমান করলো যে, আমাদের শিক্ষাদানে নিয়োজিত শিক্ষক শিক্ষিকারা কেউই শিক্ষাদানকে একটি সুস্থ্য ধারায় মানুষ গড়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবে না নিয়ে , কেরানীর চাকুরীর মতো আর দশটা চাকুরী পেশা হিসেবেই দেখেন এবং নিয়েছেন। যেন আলু-পটল বিক্রি শেষে মাসকাবারী কিছু পয়সা পকেটে নিয়ে ঘরে ফেরা, এমন কিছু!
এই সব আবাল শিক্ষক শিক্ষিকারা কোনও দিন "চাইল্ড সাইকোলোজী" বিষয়ে পড়েছেন কিনা কিম্বা আদৌ তারা এমন বিষয়টি জানেন কিনা, সন্দেহ একশতভাগ ! " টিচার'স বিহেভ্যিয়র' ব্যাপারটিও তারা কোনওদিন শুনেছেন বলে মনে হয়না!

স্কুল, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশিক্ষন দেয়ার মতো কোনও প্রতিষ্ঠান নয় যে সামান্য ভুলের জন্যে একজন ছাত্রছাত্রীকে ব্যাকপ্যাক সহ রাইফেল কাঁধে নিয়ে মাঠে রোদ্দুরের ভেতরে দশ চক্কর মারার মতো শাস্তি দিতে হবে। শিক্ষক শিক্ষিকারা ছাত্রছাত্রীদের শেখাবে আদরে ভালোবাসায়, তাদের ত্রুটিগুনো শুধরে দিতে চেষ্টা করবেন মোলায়েম ভাষায় ও ব্যবহারে। ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ক হবে বন্ধুর মতো।
এই যদি হয় স্বনামখ্যাত (?) একটি স্কুলের শিক্ষিকাদের চরিত্র এবং বোধবুদ্ধি - বিবেচনা, যারা শিশুকিশোরদের নিয়ে কাজ করলেও তাদের কে ভর্ৎসনা আর শাস্তি ছাড়া আর কিছু দিতে জানেন না, যা একজন ছাত্রীকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয় তবে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উঠিয়ে দেয়া ভালো। বাকী শহর আর গ্রামগঞ্জের শিক্ষক শিক্ষিকাদের মানসিকতার কথা না হয় না-ই বললাম।
শিক্ষাব্যবস্থায় কোয়ালিটি দরকার কোয়ান্টিটি নয়। সহমত। কিন্তু "দিল্লী হনুজ দূরস্ত..."।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১১

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



@আহমেদ জী এস

আপনার গুরুত্বপূর্ন মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । জানিনা আজ কাল স্বনাধ্য স্কুল গুলো তাদের শিক্ষকদের কিভাএ গড়ে তুলছে । আমি মফস্বল আর গ্রামের শিক্ষকদের কাছে পড়েছি । তারা অনেক রাতে সাইকেল চালিয়ে আমার বাসায় এসে খোজ নিয়ে গেছেন । রাস্তা দেখা হলে দুষ্টামি করতে নিষেধ করতেন । তাদের কাছে আমরা সন্তানসম ছিলাম ।

তারা আমাদের বকতেন বা শাস্তি দিতেন কিন্তু আবার পরে সেটা বুঝিয়ে দিতেন । মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন । তাদের দেখলে আমার কাছে মনে হতো শিক্ষক তার শ্রদ্ধা অর্জন করে নিতে জানেন ।

শিক্ষকদের জন্য আসলে এখন সাইকোলজির ট্রেইনিং নেয়া দরকার ।

১২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অত্যন্ত সুন্দর আলোচনা করেছেন। খুব বিচক্ষণ লাগলো আজকের আলোচনা পর্বটি।


শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১১

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



ধন্যবাদ পদাতিক ভাই,

আশা করি গেট টুগেদারে দেখা হবে ।

ভালবাসা নেবেন ।

১৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

নজসু বলেছেন:





অরিত্রী আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার ভুল ও অন্যায়ের প্রতিবাদী ফুল হয়ে ফুটে থাকবে।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১২

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




তবুও ঠিক হবে না । তবে আশা হারাতে পারছি না ।

১৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

নীল আকাশ বলেছেন: অপু ভাই, চমৎকারভাবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার কালো দিক গুলি তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। চরম সত্য হলো আমরা সবাই নিজেদের স্বার্থের জন্য এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে তিলে তিলে ধংস করে দিয়েছি।

যাদের কে আমরা আজকে শিক্ষক বলে ডাকি এরা কি আসলেই এই নামের উপযুক্ত? টাকা পয়সা ছাড়া / মামা চাচা ছাড়া এদের কেউ আজকাল কেউ চাকরি পায় না। খোঁজ নিয়ে দেখুন এই সব শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে কিভাবে? বিচি লাগাবেন মরিচের আর ফল চাইবেন আম্রপালি, সেটা হয় নাকি।

গত দশ বার বছর ধরে যারা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে আছেন বা ছিলেন এর মাঠে গরু ছাগল চড়ানোরও উপযুক্ত নয়। দুর্নীতি এদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে, শিরায় শিরায়। এদের কাছে এই দায়িত্ব দেয়ার অর্থ হলো শিয়ালের কাছে মুরগি বরগা দেয়া। এরা নিজেদের ছেলেমেয়েদের দেশের বাইরে পাঠিয়ে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কে পুরাপুরি নষ্ট করে দিয়েছে। এদের কোন জবাবদিহীতা আছে, বলুন?

পাপ হয়েছে আমাদের এই দেশে জন্ম গ্রহন করে.....

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




ধন্যবাদ ভাই

অনেক দেরিতে হলেও আপনার কমেন্ট পেয়েছি । ভাল লাগল ।

শিক্ষা ব্যবস্থা কে পুরোপরি দায়ী করা যাবে না । আমরাও অনেকাঙ্ঘসে দায়ী । আমরা স্কুল বা ভাল উন্নত স্কুল বলতে বুঝি যাদের ১০০% এ প্লাস আছে । যারা গোল্ডেন বা এ প্লাস নিয়ে ভুরি ভুরি প্রতি বছর দিচ্ছে । আমাদের বাবা মায়েরা সেই সব স্কুলের পিছনে ছুটছে ।

আলীবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ম্যা এর একটা ভাল লেগেছে তুমি এভারেজ এমন একটা রেজাল্ট করো যাতে অন্যদের সাথে টিকতে পারো । নিজের জন্য কিছু সময় বের করো যাতে পৃথিবীর অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে তুমি জ্ঞান অর্জন করতে পারো । বই পড়ে তুমি সব জানতে পারবে না ।

চীন জাপান এই দুটি দেশে আমার যাওয়ার ইচ্ছে শুধু মাত্র তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ।

১৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৫

বলেছেন: অপু দা ইজ গ্রেট


কোয়ালিটি এডুকেশন দরকার নট কোয়ানটিটি।।




স হ ম ত!!! স হ ম ত!!! স হ ম ত!!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




ধন্যবাদ ভাই ।

আমরা কোয়ালিটি আনতে পারলে । কোয়ান্টিটি চলে আসবে ।

১৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: আমি আপনার সাথে সহমত ভাইয়া।
শুভ কামনা রইলো।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



ধন্যবাদ ।

আপনার জন্যও শুভ কামনা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.