নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঐক্য এবং সংগ্রাম= মুক্তি

পাঠক লাল গোলদার

শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।

পাঠক লাল গোলদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিমানে ভ্রমণ এবং আমার একটি ভয়াবহ অভিজ্ঞতা!

১০ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১২

যাদের নিয়মিত বিমানে চড়তে হয়, শুধুমাত্র তারাই হয়তো বিষয়টা অনুভব করতে পারবেন। বিমানে চলাচল বেশ ঝুকিপূর্ণ হলেও ঝুকির পরিমাণ নিশ্চয়ই বাংলাদেশের দুরপাল্লার বাস জার্নির থেকে বেশ কম। বিমানে চড়ার মূল সমস্যা হচ্ছে দুরপাল্লার বিমান জার্নি খুবই বিরক্তিকর। এমনকি বিজনেস ক্লাসে হলেও সেটা বিরক্তিকর। বিমান ভ্রমণের দ্বিতীয় সমস্যা হিসাবে আপনি ঝুকির বিষয়টা আনতে পারেন। এক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, বাস দুর্ঘনা হলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনাটা থাকে, কিন্তু বিমানে সেই সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়।

বিমানে চড়ার একটা ভয়াবহ স্মৃতি আমাকে সব সময়ই তাড়া করে। মালয়েশিয়ার বিমান নিখোঁজের ঘটনা শুনে আমার সেই অভিজ্ঞতার কথাই মনে পড়ছে।

২০০৭ সালের কথা। যাচ্ছিলাম ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায়। ট্রানজিট ছিলো সিঙ্গাপুর। বেশ কয়েক ঘন্টা ট্রানজিট বিরতির পর ভোরে সিঙ্গাপুর ছেড়েছিলাম ম্যানিলাগামী বিমানে। পথে বেশ কয়েকবার ছোটখাটো টার্বুল্যান্স সিচুয়েশন পার করতে হয়েছিলো। কিন্তু বিমানযাত্রীদের কাছে সেগুলো ছিলো অনেকটা স্বাভাবিক ঘটনা। এরপর একটা সময়ে যথারীতি পাইলট ঘোষণা করলেন, অল্প কিছুক্ষণ পরেই বিমান ম্যানিলা নামবে। বেল্ট বেঁধে নিন, টেবিল উঠিয়ে রাখুন, সিট সোজা করুন, ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম বন্ধ করুন ইত্যাদি নিয়মিত ঘোষণাও হলো। সাধারণত বিমান অবতরণের আধাঘন্টা আগে এ ধরণের ঘোষণা দেয়া হয়। ঘোষণার কয়েক মিনিট পরই আবার ঘোষণা হলো, ম্যানিলার আকাশের অবস্থা বেশ খারাপ। সবাই ভালভাবে বেল্ট বাধুন এবং সিট সোজা করে বসুন। টয়লেটে যাওয়াটাও এখন বন্ধু করুন!সাধারণত বিমান নামার প্রথম ঘোষণার পরে অনেকেই টয়লেট সেরে নেন। তাই তখন টয়েলেটের লাইনে দাঁড়ানোরাও দ্রুত ফিরে সিটে বসলেন। এরপর শুরু হয়ে গেলো ঝড়। প্রথম দিকে মনে হলো বিমান কোন উঁচু-নিচু জায়গার উপর দিয়ে যাচ্ছে। ভাঙ্গাচোরা রাস্তায় যেমন গাড়ি লাফাতে লাফাতে যায়? অনেকটা সেই রকম। কিন্তু এর কয়েক মিনিট পরেই শুরু হলো সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক ঘটনা। বিমান একবার সোজা উপরে উঠে যায়, আবার হঠাৎ করে সোজা নিচেয় নেমে যায়। উপরে উঠার সময় খুব সমস্যা হচ্ছিল না। শুধু অনুভব হচ্ছিল যে খাড়া হয়ে উঠছে বিমান। পিঠ খুব শক্ত করে ছিটে বেঁধে থাকছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে যখন নিচেয় নামছিলো, মনে হচ্ছিল এটাই শেষ! আমরা পড়ে যাচ্ছি সাগরে! এই বিমান আর উপরে উঠবে না! অনুভুতিটা হচ্ছিল অনেকটা শুন্যে ভেসে থাকার মতো। সবারই শরীর একটা ঝাকা দিয়ে সিট থেকে কিছুটা উপরে উঠে যাচ্ছিল। বেল্ট দেওয়া বলে মাত্র ইঞ্চি খানেক উঠছিল বোধহয়। এবং ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে বেশ কয়েক সেকেন্ড শূন্যেই বসে থাকতে হচ্ছিল। বিমান নিচেয় পড়া থেমে যেতেই ধপ করে শরীরটা বসে পড়ছিলো সিটের উপর। সে এক মহা-ভীতিকর অনুভূতি। চারপাশে তখন কান্নার রোল। আমার পাশের যাত্রাটি একেবারে হাউমাউ করে কাঁদতে আরম্ভ করলো। মহিলারা তো একেবারে চিল্লায়ে চিল্লায়ে কাঁদতে লাগলো। আমারও মনে হয়েছিলো, শেষ পর্যন্ত ম্যানিলায়ই জানটা খোয়াতে হচ্ছে! অতিরিক্ত চল্লিশ মিনিট উপরে ছিলাম আমরা। দশ থেকে বারো বার খুবই দ্রুত গতিতে নিচেয় পড়েছিলো বিমান। জানি না কতো উপর থেকে পড়ে কত নিচ পর্যন্ত এসেছিলো। ঝড়ের গতিতে ছুটে আসা ঘন মেঘ খন্ডই নাকি বিমান ধ্বসিয়ে দিতে পারে। তাই পাইলট সর্বোচ্চ চেষ্টা করছিলো ঘন মেঘ এ্যাভয়েড করে অপেক্ষাকৃত হালকা মেঘের মধ্যে দিয়ে চলার। কিন্তু যেহেতু অস্বাভাবিক ঘতিতে ঘন মেঘমালা সামনে চলে আসছিলো তাই তখন বিমান সোজা নিচেয় নামিয়ে দিচ্ছিলো বা সোজা উপরে উঠিয়ে দিচ্ছিল। প্রায় ১০ থেকে বারো বার সপাটে নিচেয় পড়েছিলো আমাদের ঐ বিমানটি।

ঝড় একটু কমতেই মুসলধারা বৃষ্টির মধ্যে সিঙ্গাপুর এয়ারয়েজের বিমানটি যখন ম্যানিলার রানওয়ে স্পর্শ করলো, বিমানের ভিতর সে কি অবস্থা! মনে হলো সবাই যেন বেহেস্তে এসে নেমেছে। কান্নাকাটির মধ্যেই কত কোলাকুলি, কত চুমোচুমি। আমাদের পাইলট তখন ঘোষণা করছিলেন, ঝড়ের গতিবেগ নিয়ে! এ ধরণের ঝড়ে অতিতে অনেক বিমানই দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের পাইলট সেদিন সামাল দিতে পেরেছিলেন সেই ঝড়।

তারপরও বর্তমান উন্নত বিশ্বে বিমানই প্রধান গণপরিবহন। প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ বিমানে যাতায়াত করে। দুর্ঘটনা একেবারেই হাতেগোনা। বিমানের ভাড়াও যেমন কম, তেমনি গন্তব্যে পৌঁছানোও যায় খুব দ্রুত। তাছাড়া অনেক জায়গায় তো বিমান ছাড়া অন্য কোন গণপরিহন চলেও না। ইউরোপ, আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়াতে আভ্যন্তরীণ পরিবহন হিসাবে বিমানই সাশ্রয়ী। একটা উদাহরণ দেই। অষ্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন থেকে সিডনি, আপনি বিমানে ৫০ থেকে ৬০ ডলারে সহজেই যেতে পারবেন। সিডনি পৌঁছাতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ দেঁড় ঘন্টা। কিন্তু এই জার্নিই যদি আপনি ট্রেনে করতে চান, সর্বনিম্ন টিকিট ১৩৫ ডলার। সন্ধ্যায় উঠলে নামতে হবে সকালে। বিমানে মাগনা খাবার পেলেও ট্রেনে আপনাকে পকেটের পয়সা দিয়েই কিনে খেতে হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে এত সুবিধা ফেলেও হাতে একটু সময় থাকলেই মানুষ বিমান বাদ দিয়ে ট্রেনের টিকিট খোঁজে। প্লেনের টিকিট যখন-তখন পেলেও ট্রেনের টিকিট সাধারণত দু’তিনদিন আগে থেকেই শেষ হয়ে যায়। এর মূল কারণ বিমান জার্নি যথেষ্ট বিরক্তিকর জার্নি আর ট্রেন জার্নি বেশ আরামদায়ক।

দুনিয়ার অনেক নামিদামি বিমানে চড়ার সুযোগ হয়েছে আমার। চড়েছি ট্রেন, বাস সহ অন্যান্য দুরপাল্লার ও উন্নত গণপরিহনেও। ক্রুজশিপ বা প্রমোদতরীতে উঠিনি কখনো। যদিও প্রমোদতরী ভ্রমনপরিবহন হলেও গণপরিবহন নয়! তবে দুনিয়ার সবচেয়ে আরামদায়ক ভ্রমণ আমার মনে হয়েছে, ঢাকা টু বরিশাল লঞ্চ ভ্রমন! এর চেয়ে আরামদায়ক এবং কম ঝুঁকির কোন গণপরিবহন দেশে বা বিদেশে আমি অন্তত এখনও দেখিনি। শুনেছি আন্দামান যাওয়ার জাহাজ যাত্রাও নাকি বেশ আরামদায়ক এবং রোমাঞ্চকর। যাওয়া হয়ে ওঠেনি এখনও তাই বলতে পারছি না।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭

বেঙ্গলেনসিস বলেছেন: বিমানে চড়ায় ঝুঁকি প্রায় নেই বললেই চলে। প্রতি বছর যতজন মানুষ বিমান দুর্ঘটনায় মারা যায় তার চেয়ে বেশী মারা যায় গাধার আক্রমনে!

২| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: B:-) B:-) B:-)

৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: একবার রিয়াদ যাওয়ার পথে মেঘের কারণে প্লেনে বেশ বাম্পিং হচ্ছিল! সে দিনের এক যাত্রীর মন্তব্য মনে পড়লে আজো হাসতে হয়। তার কথা যতদূর মনে পড়ে এরকম ছিল "এত্তুন তো হানির জাহাজ বালা আছিল্‌"! আলহামদুলিল্লাহ্‌ অনেকবার প্লেনে চড়লেও তেমন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয় নি।

৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: সুন্দর বরননার জন্য ধন্যবাদ ।খুব ভাল লাগল ।

৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

স্বপ্ন বাংলা বলেছেন: বিমানে চড়ার মূল সমস্যা হচ্ছে দুরপাল্লার বিমান জার্নি খুবই বিরক্তিক।
সত্যি কথা ।

৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

নীল ভোমরা বলেছেন: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা!

৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১১

ভোরের সূর্য বলেছেন: আপনার মতন অভিজ্ঞতা আমার হয়নি তবে প্রথম যখন দেশের বাইরে যাই ইন্দোনেশিয়াতে তখন মালেয়শিয়ান এয়ারলাইন্সে যেতে হয়েছিল এবং তখন ঝড়ের মধ্যে পড়েছিল প্লেন। ৩৫হাজার ফিট উপড়েও বৃষ্টির শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল আর পাইলট প্লেনটাকে আরো উপড়ে নিয়ে যাচ্চিল।এভাবেই প্রচুর বাম্পিং করতে হয়েছিল।

আর শেষ আমার এরকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল গত কুরবানির ঈদে রংপুর যাবার সময়।নরমালী ৫৫মিনট সময় লাগে কিন্তু সেদিন এত খারাপ আবহাওয়া ছিল যে এক্সট্রা ২৫ মিনিট আমাদের আকাশে থাকতে হয়েছিল এবং প্রচুর উঠা নামা করছিল। আর বেশি ভয় হচ্ছিল কারন সাথে আমার বাচ্চা ছিল মাত্র ৬মাস বয়স।

তবে ভাই আপনার একটা কথা মানতে পারলাম যে প্লেনে চলাচল বেশ ঝুকিপূর্ণ। কারণ প্রতি বছর সারা বিশ্বে হাতে গোনা কয়েকটা প্লেন দুর্ঘটনা ঘটে।
আর হিসাব করে দেখুন কত ট্রেন এবং বাস দুর্ঘটনা অহরহ ঘটছে। তবে হ্যা এটা বলা যেতে পারে যে খোদা না করুক প্লেন দুর্ঘটনায় একবার পড়লে বেঁচে আসার সম্ভবনা সবচেয়ে কম।

বিমানের ভাড়াও কম এটাও একটা ভুল ধারনা। আপনি অষ্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন থেকে সিডনির ভাড়ার কথা বলেছেন কিন্তু অনেক অনেক উদাহরণ দেয়া যায় যে প্লেনের ভারা অবশ্যি বেশী যেকোন গন পরিবহনের তুলনায়।

আর দুনিয়ার সবচেয়ে কম ঝুকিপূর্ণ পরিবহন হচ্ছে পানি পথে কিন্তু ঢাকা টু বরিশাল রুট যে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ সেটা বর্ষাকাল আসলেই বোঝা যায়। একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন প্রতিবছর কতগুলা লঞ্চ দুর্ঘটনায় পড়ে এবং শত শত লোক মারা যায়।

৮| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১৬

পথহারা নাবিক বলেছেন: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা!!

৯| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

সাইফুল আজীম বলেছেন: না, এখনও টার্বুলেন্সের শিকার হইনি তবে একবার ল্যান্ডিংয়ের সময় ল্যান্ডিং গিয়ার আটকে যাওয়ায় ইমার্জেন্সী সিচুয়েশন তৈরী হয়েছিল। প্রায় মিনিট দুয়েক ছিল ব্যাপারটা...খুব ভয় পেয়েছিলাম।

১০| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা!

১১| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০৪

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: ভালো লেখা। সৌভাগ্যবান পর্যটক।

১২| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:০২

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: বিশাখাপত্তম থেকে আন্দামানের জাহাজ যাত্রা মোটেই উপভোগ্য নয়, বরং চরম বিরক্তিকর।

১৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:১৬

হেডস্যার বলেছেন:

"এত্তুন তো হানির জাহাজ বালা আছিল্‌"! হা হা হা হাহ হাহ.....
হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পইড়া গেলাম

১৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭

পথহারা সৈকত বলেছেন: কান্নাকাটির মধ্যেই কত কোলাকুলি, কত চুমোচুমি। :P :P :P :P

১৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪

নক্‌শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: একবার সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় ফিরছি, পাশের সিটে বসা এক লোককে দেখলাম সিট বেল্ট বাধলোইনা ল্যান্ড করার সময়। সিট বেল্ট এমনভাবে কোমরের উপর রাখলো যেন এয়ার হোস্টেজরা দেখে মনে করে সেটা বাধা রয়েছে। ব্যাটার কোন ধারনাই নেই একটু এদিক সেদিক হলে সে সিট থেকে উড়ে কই গিয়ে পড়বে। তার ধারনা এসব সিস্টেম বোধহয় খামাখা করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.