নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.

ইতিহাসের পাতিহাঁস

ইতিহাসের পাতিহাঁস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডেস্টিনি ডিসরাপ্টেড- মুসলিমদের চোখে বিশ্বের ইতিহাস (৩)

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮

ভূমিকা- ৩

যদি আমরা post-industrialized, পশ্চিমা গণতান্ত্রিক সমাজের আদর্শ-ভবিষ্যৎ (আইডিয়াল ফিউচার) কে ইতিহাসের শেষবিন্দু বা লক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করি, তখন ‘আজ’ এবং ‘এখানে’ পৌঁছানোর যে আখ্যান (অর্থাৎ, ইতিহাস) তার আকৃতি নিম্নলিখিত কয়েকটা ধাপের মতো দেখায়ঃ

১. সভ্যতার জন্ম (মিশর ও মেসোপটেমিয়া)
২. ক্লাসিক্যাল যুগ (গ্রিস ও রোম)
৩. অন্ধকার যুগ (খ্রিস্টান ধর্মের উত্থান)
৪. নবজন্ম: রেনেসাঁ এবং সংস্কার
৫. জ্ঞানালোকের যুগ (অনুসন্ধান ও বিজ্ঞান)
৬. বিপ্লব (গণতান্ত্রিক, শিল্প, প্রযুক্তি বিপ্লব)
৭. জাতি রাষ্ট্রের উত্থান (বিশেষত ইউরোপ এ) এবং ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য বিস্তারের লড়াই
৮. বিশ্বযুদ্ধ- প্রথম এবং দ্বিতীয়
৯. দ্য কোল্ড ওয়ার (১৯৪৫-১৯৯০)
১০. ডেমোক্রেটিক পুঁজিবাদের জয়।

কিন্তু যদি আমরা ইসলামিক চোখ দিয়ে বিশ্বের ইতিহাসের দিকে তাকাই তাহলে কি দেখব? আমরা কি পশ্চিমের প্রতিবন্ধী (stunted) সংস্করণ হিসেবে নিজেদেরকে বিবেচনা করবো?- যারা পশ্চিমের সাথে একই লক্ষ্যে একই উন্নয়ন যাত্রায় ধাবিত, কিন্তু কম পারঙ্গমশীল (less effectual)? আমি তা মনে করি না। একটা কারণ হল, আমরা যখন সমগ্র সময়কে (কাল) ‘পূর্বে’ আর ‘পরে’ এই দুটো ভাগে ভাগ করতে যাই, তখন দেখতে পাই আমাদের মাপকাঠি আলাদা। আমাদের জন্য শুন্য বছর (year zero) হলো যে বছর রাসূল মুহাম্মাদ (সঃ) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন, যা ‘মুসলিম সম্প্রদায়’ (উম্মাহ) নামক জিনিসটার জন্ম দিয়েছে। আমাদের জন্য, সেই সম্প্রদায়টিই হচ্ছে ‘সভ্যতা’ শব্দটির বিমূর্ত প্রতীক। এবং এই আদর্শকে নিখুঁত করার যে আকাঙ্খা তাই আমাদের ইতিহাসকে তার আকৃতি এবং অভিমুখ দিয়েছে।

কিন্তু সাম্প্রতিক শতাব্দীগুলোতে, আমাদের মনে হবে ইতিহাসের এই পথে কিছু একটা গড়বড় হয়ে গেছে। আমরা জানতে পারি যে এই সম্প্রদায়টির সমৃদ্ধি বন্ধ হয়ে গেছে, এতে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে, এর মাঝে সংহতিনাশক নানান স্রোতের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে- এটি একটি প্রতিদ্বন্দ্বী ঐতিহাসিক ডাইরেকশনের মুখোমুখি। মুসলিম ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী হিসেবে আমাদেরকে ইতিহাসের মানে খুঁজতে হবে পরাজয়ের মধ্যে, জয়ের বদলে। আমরা দুই পরস্পরবিরোধী মনোবৃত্তির মধ্যে দোটানায় পড়বো: ‘সভ্যতা’ জিনিসটার যেই সংজ্ঞা আমাদের কাছে এতদিন ছিল সেটা পরিবর্তন করে ইতিহাসের প্রবাহের সাথে এক লাইনে আসতে হবে। অথবা ইতিহাসের প্রবাহের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে যাতে ইতিহাসকে পুনর্নির্মাণ করে আমাদের কাছে ‘সভ্যতা’-র যে সংজ্ঞা সেদিকে নিয়ে আসতে পারি।

ইসলামী সমাজ আজকে যেই স্থবির বাস্তবতা অনুভব করছে তাকে যদি আমরা ইতিহাসের ‘এখানে’ এবং ‘এখন’ হিসাবে ধরে নেই, আর কিভাবে আমরা এখন এখানে এসে পৌঁছালাম তাকে যদি বিশ্ব ইতিহাসের ধারাবাহিকতা দিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি, তাহলে গল্পটা নিম্নলিখিত কয়েকটা পরিচ্ছেদে আমাদের সামনে উঠে আসবেঃ

১. সুপ্রাচীন কাল (মেসোপটেমিয়া ও পারস্য)
২. ইসলামের জন্ম
৩. খিলাফত: সার্বজনীন/বিশ্ব ঐক্যের সন্ধান
৪. ফ্র্যাগমেন্টেশনঃ সুলতানি আমল
৫. বিপর্যয়ঃ ক্রুসেডার এবং মঙ্গোল
৬. নবজন্মঃ তিন সাম্রাজ্যের যুগ
৭. পূবের দুনিয়াতে পশ্চিমের ঢুকে যাওয়া
৮. সংস্কার আন্দোলনসমূহ
৯. ধর্মনিরপেক্ষ আধুনিকতাবাদীদের বিজয়
১০. ‘ইসলামপন্থী’দের প্রতিক্রিয়া

সাহিত্য সমালোচক এডওয়ার্ড সাঈদ যুক্তি দিয়েছেন যে শত শত বছর ধরে পশ্চিমারা ইসলামী বিশ্বকে নিয়ে এমন একটা ‘অরিয়েণ্টালিস্ট’ ফ্যান্টাসী তৈরি করে নিয়েছে, যেখানে একটি অশুভ ‘পর/অন্যরা’ দৃষ্টিভঙ্গি মিশে আছে ঈর্ষনীয় প্রাচুর্য আর ডেকাডেন্স এর সাথে। পশ্চিমা কল্পনায় ইসলাম যতটুকু ঢুকতে পেরেছে তাতে কমবেশি এই চিত্রটাই বর্ণিত হয়েছে।

কিন্তু আমার কাছে তারচেয়েও বেশী অবাক লাগে যে ব্যাপারটা তা হল পশ্চিমা ইতিহাসে ইসলামের আপেক্ষিক অনুপস্থিতি। উদাহরণস্বরূপ, শেক্সপিয়ার এর সময় প্রধান বিশ্বশক্তি ছিল তিনটি ইসলামী সাম্রাজ্যের মাঝে ছড়ানো। কিন্তু তাঁর লেখায় মুসলিমদের উপস্থিতি কোথায়? নিখোঁজ। আপনার যদি আগে থেকেই না জানা থাকে যে মূর (স্পেন এর মুসলিম সাম্রাজ্য)-রা মুসলমান, তাহলে আপনি শেক্সপিয়ারের ওথেলো পড়ে এটা বুঝতেই পারবেন না।

সেই সময় দুটি বিরাট দুনিয়া পাশাপাশি চলছিল, কিন্তু এটা সত্যিই অসাধারণ যে কিভাবে তাদের একজন আরেকজনকে খেয়ালই করলো না। পাশ্চাত্য ও ইসলামী দুই বিশ্বকে দুইজন মানুষের সাথে তুলনা করলে আমাদের মনে হতে পারে আমরা অবদমনের লক্ষণ দেখছি। আমরা হয়তো জিজ্ঞেস করতে পারি, এই দুইজন এর মধ্যে হয়েছেটা কী? তারা কি ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়া প্রেমিক-প্রেমিকা? সেখানে নির্যাতনের কিছু ইতিহাস আছে কি?

কিন্তু আমার মনে হয় এটার আরেকটু সাদামাটা কোনও ব্যাখ্যা ছিল। ইতিহাসের অনেকটা জুড়েই পশ্চিমা দুনিয়া আর আজকের ইসলামী বিশ্বের যেই কেন্দ্রটা, এরা দুটি পৃথক বিশ্বজগতের মত ছিল- যার যার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আচ্ছন্ন। উভয়েই আবার নিজেকেই মানব ইতিহাসের কেন্দ্র বলে মনে করত, প্রতিটিরই একটি ভিন্ন ন্যারেটিভ ছিল- সপ্তদশ শতাব্দীর শেষের দিক পর্যন্ত, যখন দুটো বিশ্ব একে অপরের সাথে মিলতে শুরু করল। সেই মুহুর্তে, এদের একজনের অন্যজনকে জায়গা ছেড়ে না দিয়ে আর উপায় ছিল না, কারণ এই দুটো মতবাদ ছিল একে অন্যের বিপরীত। পশ্চিমের শক্তি বেশী থাকায় তাদের মতবাদটাই টিকলো আর অন্যটাকে ছিন্নভিন্ন করে পিষে ফেললো।

কিন্তু পরাজিত সেই ইতিহাস কখনোই ঠিক শেষ হয়ে যায় নি। এটা তলদেশে ঠিকই প্রবাহিত হতে থাকল, একটি চোরা স্রোতের মত। এবং এটি সেখানে এখনও বহমান। আপনি যখন মানচিত্রে পৃথিবীর ঝামেলাপূর্ণ জায়গাগুলোকে চিহ্নিত করেন- কাশ্মীর, ইরাক, চেচনিয়া, বলকান, ইসরাইল-ফিলিস্তিন, ইরাক- আপনি যা দেখছেন তা আসলে ওই হারিয়ে যাওয়া বিশ্বটির সীমান্ত, যা এখনও মোচড় দেয়, মরে না যাওয়ার প্রচেষ্টায়।

এই হচ্ছে সেই ‘গল্প’ যা আমি সামনের পৃষ্ঠাগুলিতে বলতে চেষ্টা করেছি, এবং আমি এই ‘গল্প’ শব্দটির উপর জোর দিচ্ছি। ডেস্টিনি ডিসরাপ্টেড কোনও পাঠ্যপুস্তক নয় কিংবা একটি পাণ্ডিত্যপূর্ণ থিসিস ও নয়। আপনার সাথে কোনও এক কফিশপে যদি আমি বসি আর আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাস করেন, ভাই এই ‘আরেক দুনিয়ার ইতিহাস’ জিনিসটা কি?- তখন আমি আপনাকে যেরকম করে বলতাম, এটা অনেকটা সেই জিনিস। আমি যেই যুক্তিগুলি এখানে উপস্থাপন করবো তা আপনি আজকের দিনে দুনিয়াজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির আলমারিতে ভুরি ভুরি বইয়ে পাবেন। এটা ওইখানে গিয়েই পড়ুন যদি আপনি একাডেমিক ভাষা এবং রেফারেন্স এর ভক্ত হয়ে থাকেন। আর এটা এখানে পড়ুন যদি আপনি গল্পের ধারাটা শুধু চান। যদিও আমি নিজে কোনও পন্ডিত নই, আমি পন্ডিতদের কাজ থেকে ধার করেছি, যারা ইতিহাসের কাঁচামাল নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করে উপসংহারে পৌঁছেছেন। আর নিয়েছি শিক্ষাবিদদের কাজ থেকে, যারা ওই পাণ্ডিত্যপূর্ণ গবেষকদের কাজ ঘেঁটে মেটা-কনক্লুশন ড্র করেছেন।

কয়েক হাজার বছরের একটি ইতিহাস বলতে গিয়ে আমি অনেক অনেক আগের কোন এক ছোট্ট অর্ধশতাব্দীর উপর সীমাহীন জায়গা খরচ করেছি বলে মনে হতে পারে, কিন্তু আমি ওইখানে এত সময় দেয়ার কারণ হলো ওই সময়টা নবী মুহাম্মাদ (সঃ) এবং তার প্রথম চার উত্তরাধিকারীর কর্মজীবনের সময়- ইসলামের প্রতিষ্ঠার আখ্যান (the founding narrative of Islam)। আমি এই গল্পটাকে একটা ইন্টিমেট মানবিক নাটক হিসেবে বর্ণনা করবো, কারণ এইভাবেই মুসলমানরা এটাকে জেনে আসছে। (পশ্চিমা) শিক্ষাবিদগণ এই কাহিনীকে অনেক সন্দেহ নিয়ে দেখেন, তাঁরা অমুসলিম সূত্রের উপর বেশী জোর দেন, তথাকথিত ‘কম-নির্ভরযোগ্য’ মুসলিম সূত্রের তুলনায়। কারণ তাদের প্রধান লক্ষ্য হল ‘আসলেই কি ঘটেছিল’ তা খুঁজে বের করা (আসলে তারা মুসলিমদের ইতিহাস লিখতে চায়, কিন্তু মুসলিমরা নিজেরা সেই ইতিহাসটা সত্য বলবেন এটা মানতে চায় না)। কিন্তু আমার লক্ষ্য হলো মুসলমানরা কি হয়েছিল বলে বিশ্বাস করে সেটা বলা, কারণ সেটাই মুসলমানদেরকে এতদিন ধরে মোটিভেট করেছে আর এটাই হচ্ছে সেই জিনিস যা বিশ্বের ইতিহাসে মুসলিমদের ভূমিকা বুঝতে সাহায্য করে।

আমি অবশ্য ইসলামের উদ্ভব সম্পর্কে বলার আগে এখানে একটি জিনিস পরিষ্কার করে নেব। অন্যান্য পুরোনো ধর্মগুলোতে-যেমন ইহুদী, বৌদ্ধ, হিন্দু এমনকি খ্রিস্টান ধর্মে- যেটা হয়নি, মুসলমানদের ইতিহাসে যখন ঘটনা ঘটছিল তখন তখনই তারা তা সংগ্রহ, মুখস্থ, আবৃত্তি ও সংরক্ষণ শুরু করেন। এবং তারা শুধু এটা সংরক্ষণই করেনি, বরং প্রতিটি ঘটনাকে অনেকগুলো সূত্রে বেঁধে ফেলেছে, প্রতিটি ঘটনার সাক্ষীদের নাম দিয়েছে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না কেউ এটা প্রথমবারের মতো লিপিবদ্ধ করেছে, কার কার মাধ্যমে ঘটনার বর্ণনাটি সেই পর্যন্ত এসেছে তাদের তালিকা তৈরি করেছে। এটা অনেকটা মামলার আলামতের চেইন অফ কাস্টডির মতো, যা কিনা আদালতে ব্যবহার হয়।

এই থেকে শুধু এতটুকুই বোঝা যায় যে মুসলিমদের মূল (core) যে গল্পগুলো সেগুলোকে উপকথা (parable) হিসাবে দেখাটা শ্রেষ্ঠ পন্থা হবে না। উপকথার ক্ষেত্রে আমরা ঘটনাটি যে আসলেই ঘটেছে সেই প্রমাণ চাই না, কারণ সেটা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নয়। গল্পটি সত্য কিনা তার খুব একটা গুরুত্বও আমরা দেই না, আমরা শুধু ওই গল্পের নীতিকথাটি সত্য কি না তার ব্যাপারেই আগ্রহী। মুসলিমদের গল্পগুলো ঠিক ওরকম কোনও নীতিবাক্য সাথে নিয়ে আসে না (যেমনটা ঈশপ এর গল্পে হয়), এগুলো কোনও আদর্শ জগতে শুধু আদর্শ মানুষেরই গল্প নয়। বরং এগুলো আমাদের কাছে এসেছে বাস্তব মানুষের ইতিহাসের কাঁদাপানির মাঝে বাস্তব ইস্যুতে ডিল করার গল্প হিসাবে। সেখান থেকে কি শিক্ষা আমরা নেই, তা আমাদের সিদ্ধান্তের বিষয়।

এর মানে এই না যে মুসলিম গল্পগুলোতে কোনও রূপক নেই, কিংবা কিছু কিছু বানোয়াট/ভেজাল জিনিসের অনুপ্রবেশ ঘটেনি, বা এমন না যে কিছু কিছু কিংবা সবগুলোই বর্ণনাকারীদের বা ওই সময়ের যে এজেন্ডা ছিল সে অনুসারে পরিবর্তিত রূপ ধারণ করেনি। আমি বলতে চাচ্ছি যে মুসলিমদের গোড়াপত্তন এর সময়ের গল্পটা তারা ঐতিহাসিক ঘটনা যেভাবে বর্ণনা করা হয় সেই স্পিরিট এই প্রচার করেছে। এতে বর্ণিত মানুষগুলোকে আমরা প্রায় সেভাবেই চিনি এবং জানি যেভাবে আমরা জানি প্রাচীন রোমের Sulla এবং Marius এর মধ্যে কি ঘটেছে সে সম্পর্কে। এই কাহিনীর অবস্থান ইতিহাস এবং পৌরাণিক আখ্যান এর মাঝামাঝি কোথাও। এর মানবিক নাটকীয়তা বাদ দিয়ে বর্ণনা করলে মুসলমানদের কাছে এর যে অর্থ সেটা বোঝা যায় না আর শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মুসলিমদের কার্যকলাপ ও অ-বোধগম্য থেকে যায়। তো এভাবেই আমি এই গল্পটা বলার পরিকল্পনা করছি। যদি আপনি আমার সাথে থাকতে চান তাহলে আটঘাঁট বেঁধে ফেলুন, আর চলুন শুরু করি।

// অধ্যায় সমাপ্ত//

[তামিম আনসারী’র Destiny Disrupted: A History of the World Through Islamic Eyes বইয়ের অনুবাদ।
https://www.goodreads.com/book/show/6240926-destiny-disrupted
https://www.amazon.com/Destiny-Disrupted-History-Through-Islamic/dp/1586488139]

শুরুর পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আগের পর্ব এখানে
পরবর্তী পর্ব এখানে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.