নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.

ইতিহাসের পাতিহাঁস

ইতিহাসের পাতিহাঁস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডেস্টিনি ডিসরাপ্টেড- মুসলিমদের চোখে বিশ্বের ইতিহাস (০০৫)

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫

মধ্য- পৃথিবী (২)

ইসলাম আসার আগে কেমন ছিল মধ্য-পৃথিবী

পৃথিবীর প্রথম সভ্যতাগুলো গড়ে উঠেছিল বিভিন্ন বড় আর ধীরে বহমান নদীর তীরে তীরে, যে নদীগুলোতে বাৎসরিক বন্যা হতো। চীনের হোয়াঙ-হো উপত্যকা, ভারতের সিন্ধু নদের অববাহিকা, মিসরের নীল নদের অববাহিকা- এই জায়গাগুলোতে প্রায় ছয় হাজার বছর বা তারও বেশি আগে যাযাবর শিকারী এবং পশুচারকরা থিতু হয়, গ্রাম তৈরি করে এবং কৃষকে রূপান্তরিত হয়।

প্রাগৈতিহাসিক মানব সংস্কৃতির সবচেয়ে গতিময় ধারাটি সম্ভবত ছিল টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস (দজলা এবং ফোরাত) নদের মাঝের উর্বর জায়গাটিতে যাকে আমরা মেসোপোটেমিয়া নামে জানি। এই মেসোপটেমিয়া শব্দটির মানেই হলো ‘নদীর মধ্যবর্তী স্থান’। এটা উল্লেখ্য যে, এই দুই নদীর মাঝখানের যে সংকীর্ণ জমিটুকু, তা আজকের ইরাকের ঠিক মাঝ বরাবর অবস্থিত। ইতিহাসের বইয়ে ‘সভ্যতার সূতিকাগার’ হিসাবে যে একটি ‘উর্বর অর্ধচন্দ্রাকৃতী’ জায়গার (The Fertile Crescent) কথা বলা হয় তা আসলে ইরাক-কেই বোঝায় (এবং এর আশেপাশের কিছু এলাকা, নিচের ম্যাপ দেখুন)- এই হলো সেই জায়গা যেখান থেকে সবকিছুর শুরু।


মানচিত্রঃ The Fertile Crescent

পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতাসমুহের অন্যান্য লীলাভূমির সাথে তুলনায় মেসোপটেমিয়া ভৌগোলিকভাবে একটি বিশেষ দিক দিয়ে অনন্য ছিল। এর বিশিষ্ট নদী দুটি সমতল ও বাসযোগ্য সমভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল এবং এদের সবদিক থেকেই উন্মুক্ত ছিল। এখানকার ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যে এমন কিছুই ছিলনা যা এর অধিবাসীদের প্রাকৃতিক কোন সুরক্ষা দিতে পারত। উদাহরণস্বরূপ, আমরা যদি আফ্রিকার নীলনদের কথা বলি, এর পূর্বদিকে ছিল জলাভুমি, পশ্চিমে ছিল বসবাসের অনুপযুক্ত সাহারা মরুভূমি, আর এর উজানের দিকে ছিল এবড়ো থেবড়ো পাহাড়। এরকম ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য মিশরকে ধারাবাহিকতা দিয়েছিল ঠিকই কিন্তু তা একই সাথে অন্যান্য সংস্কৃতির সঙ্গে তার মেলামেশার সুযোগও কমিয়ে দিয়েছিল- এর ফলে সেখানে একরকমের স্থিতাবস্থা বিরাজ করছিল।

মেসোপটেমিয়ার ক্ষেত্রে ঘটনা সেরকম ছিল না। এখানে শুরু থেকেই একটি প্যাটার্ন তৈরি হয়, এক হাজার বছরেরও বেশী সময় জুড়ে যার অনেক অনেক বার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। এ ছিল যাযাবর আর নগরবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে জটিল এক সংগ্রাম- যা বড় থেকে আরও বড় সাম্রাজ্যের জন্ম দিয়েছিল। প্যাটার্নটা ছিল এরকমঃ

থিতু হওয়া কৃষকরা সেচ ব্যবস্থা তৈরি করেছিল যা সমৃদ্ধ গ্রাম ও শহর গড়ে তুলতে সাহায্য করছিল। একসময় কোন এক শক্ত নেতা, বা কিছু সুসংগঠিত পুরহিতদের দল বা এই দুয়ের সংমিশ্রণে কোন একটি জোট এরকম দু-চারটি শহরকে একটি একক ক্ষমতার শাসনাধীনে নিয়ে আসত। এভাবে একটি বড় রাজনৈতিক সত্ত্বার উদ্ভব হতো- একটি কনফেডারেশন, একটি রাজ্য বা একটি সাম্রাজ্য। তারপর একদিন বাইরে থেকে কোনও একদল কষ্টসহিষ্ণু যাযাবর উপজাতি এসে হানা দিত, সেই রাজ্যটা আর তার সম্পদ দখল করে নিত আর আরেকটু যুদ্ধবিগ্রহ করে রাজ্যটির সীমানাও একটু প্রসারিত করে নিত। আস্তে আস্তে এই কষ্টসহিষ্ণু যাযাবরেরা নরম, বিলাসপ্রেমী নগরবাসীতে রুপান্তরিত হতো, ঠিক সেরকম মানুষদের মতো যাদের কাছ থেকে এক কালে তারা রাজ্য ছিনিয়ে নিয়েছিল। তারপর আবার বাইরে থেকে কোন এক কষ্টসহিষ্ণু যাযাবর উপজাতি হানা দিত এবং এদের রাজ্যটা দখল করে নিত।

দখল, একত্রীকরণ, সম্প্রসারণ, অধঃপতন, আবার দখল- এই ছিল প্যাটার্ন। চতুর্দশ শতকের মহান মুসলিম ইতিহাসবিদ ইবনে খালদুন এই বিষয়টি লিখে রেখে গিয়েছিলেন, তাঁর নিজের সময়ের বিশ্বের পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে। ইবনে খালদুনের মতে এই প্যাটার্নের মাঝেই ছিল ইতিহাসের অন্তর্নিহিত হৃৎস্পন্দন।

একই সময়ে এই প্রক্রিয়া একাধিক জায়গায় ঘটছিল। এক সাম্রাজ্য এখানে জন্মাচ্ছিল, আরেকটি অন্যখানে বেড়ে উঠছিল। উভয় সাম্রাজ্যই বড় হতে থাকত যতক্ষন পর্যন্ত না তারা একে অপরের সাথে ধাক্কা খেত। তখন এদের একটি অন্যটিকে দখল করে নিত আর একটি একক, নতুন এবং আগেরটার চেয়ে বড় সাম্রাজ্যের জন্ম হতো

প্রায় ৫,৫০০ বছর আগে, ইউফ্রেটিস নদের তীর বরাবর ডজনখানেক শহর একত্র হয়ে সুমেরিয়া নামক একটি একক নেটওয়ার্কে পরিনত হয়। এখানেই আবিষ্কৃত হয় লিখনী, চাকা, কার্ট/ঠেলাগাড়ি, কুমার এর চাকা এবং একটি প্রাথমিক সংখ্যা সিস্টেম। এরপর Akkadian নামের আরেক অপেক্ষাকৃত কঠিন জাতি উজানের দিক থেকে এসে সুমেরিয়া দখল করে নেয়। এদের নেতা সারগণ (Sargon) ইতিহাসের প্রথম উল্লেখযোগ্য বিজেতা ছিল যাকে নাম ধরে চিহ্নিত করা যায়। সারগণ ছিল সব দিক দিয়েই এক হিংস্র মানুষ এবং the ultimate self-made man. কারণ, যদিও শুরুতে সে ছিল দরিদ্র ও অখ্যাত, সে তার চিহ্ন পৃথিবীর বুকে রেখে গিয়েছিল কাদামাটির টুকরায় কুনিফরম হরফে লিখা নথির আকারে। এতে সে যা লিখে গিয়েছে তার সারবস্তু ছিল মোটামুটি এরকম- ‘অমুক একটু বেড়ে গিয়েছিল, আমি তাকে শেষ করে দিলাম। তমুক খুব বেড়ে গিয়েছিল, আমি তাকে মাটিতে মিশিয়ে দিলাম’।


চিত্র- প্যারিস এর ল্যুভ জাদুঘরে রাখা সারগন এর কুনিফরম লিখা ট্যাবলেট (সংগৃহীত)

সারগণ তার সেনাদলকে দক্ষিণে এতদূর পর্যন্ত নিয়ে যেতে পেরেছিল যে তারা সমুদ্রে নেমে তাদের অস্ত্র ধুতে সক্ষম হয়েছিল। সেখানে সে ঘোষণা করে যে, ‘আজকে থেকে যদি আর কোনো রাজা নিজেকে আমার সমকক্ষ ডাকতে চায়, তবে আমি যত জায়গায় গিয়েছি তাকে ওই সবগুলো জায়গায় গিয়ে দেখাতে বল’। যার তর্জমা হলো- ‘আমি যে পরিমান জায়গা জয় করেছি আর কেউ পারলে সেটা করে দেখাক!’ আজকের দিনে আমরা জানি যে তার সাম্রাজ্য আসলে আয়তনে কত ছোট ছিল- যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের চেয়েও ছোট।

যথাসময়ে, উচ্চভূমি থেকে যাযাবর গুন্ডাদের আরেকটি নতুন ঢেউ নেমে এসে Akkad জিতে নিল। এবং তারা অন্যদের দ্বারা বিজিত হলো, এবং তারা আরেক দলের দ্বারা - Guttians, Kassites, Hurrians, Amorites- এই ধারা চলতেই থাকল। ঘনিষ্ঠভাবে খেয়াল করলে আপনি দেখবেন যে নতুন নতুন শাসকরা মূলত সেই একই অঞ্চলে রাজত্ব করছিল, কিন্তু সবসময়ই আগেরজনের চেয়ে তাদের এলাকা একটু বড় ছিল।

Amorite-রা এই চক্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের জন্ম দেয় যখন তারা ব্যাবিলনের বিখ্যাত শহর তৈরী করে এবং এই রাজধানী থেকে প্রথম ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্য শাসন করে। ব্যাবিলনীয়দের থেকে ক্ষমতা যায় আসিরিয়ানদের কাছে, যাদের শাসনের কেন্দ্র ছিল আরও বড় এবং জৌলুশপূর্ণ এক শহর, যার নাম নিনেভেহ। তাদের সাম্রাজ্য মিশর থেকে ইরাক পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। আপনি শুধু কল্পনাই করতে পারেন যে এমন একটা রাজত্বকে তখনকার দিনে কি বিশাল মনে হতো, যখন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে ঘোড়াই ছিল সবচেয়ে দ্রুততম উপায়।

আসিরিয়রা ইতিহাসে নির্দয় জালেম শাসক হিসাবে এক কদর্য খ্যাতি অর্জন করেছিল। এটা ঠিক করে বলা মুশকিল সমসাময়িক অন্যান্যদের তুলনায় তারা আসলেই খুব খারাপ ছিল কিনা। কিন্তু তারা এমন একটি কৌশল অনুশীলন করত যেটা বিংশ শতাব্দীতে এসে রাশিয়ার স্তালিনের কারণে নতুন করে কুখ্যাতি লাভ করে। তারা পুরো একটা জনগোষ্ঠীকে উপড়ে ফেলতো এবং তাদেরকে অন্য জায়গায় সরিয়ে দিত। এটা এই তত্ত্বের উপর করা হতো যে- যেই জনগোষ্ঠী তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে অপরিচিতদের মধ্যে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে, এবং যখন তারা বেঁচে থাকার পরিচিত সম্পদসমূহ থেকে বিচ্ছিন্ন, তারা এত বিভ্রান্ত আর অসুখী থাকবে যে তাদের পক্ষে কোনও বিদ্রোহ সংগঠিত করা সম্ভব হবে না।

এই কৌশলটি কিছু সময়ের জন্য কাজ করল, কিন্তু চিরদিনের জন্য নয়। আসিরিয়রা শেষ পর্যন্ত তাদেরই এক প্রজা জনগোষ্ঠীর কাছে পরাজিত হলো যাদের নাম ছিল Chaldeans। Chaldean-রা ব্যাবিলন পুনর্নির্মাণ করে এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান, চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং গণিতে তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক অবদানের জন্য ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল স্থান অর্জন করে নেয়। তারা একটি ১২-ভিত্তিক গণনা সিস্টেম ব্যাবহার করত (যেমন আমাদের এখন বেস-১0 সিস্টেম)। তারা সময়ের পরিমাপ এবং বিভাজনের পদ্ধতির অগ্রদূত ছিল- আর এজন্যই বছরে বারো মাস আর ঘন্টায় ষাট মিনিট (বার গুন পাঁচ) হয়েছে। তারা অসাধারণ শহর-পরিকল্পক এবং আর্কিটেক্ট ছিল। এক কালদেরীয় রাজাই ব্যাবিলনের সেই ঝুলন্ত উদ্যান নির্মাণ করেছিলেন, যা প্রাচীনকালের মানুষ বিশ্বের সপ্তাশ্চর্য্যের মধ্যে একটি বলে গণ্য করত।

খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ সাল পর্যন্ত দুই হাজার বছরে মধ্য-পৃথিবীর পটপরিবর্তন অ্যানিমেশন এর মাধ্যমে দেখতে চাইলে এখানে। যাদের ভূগোল নিয়ে মোটামুটি আগ্রহ এবং ধারণা আছে তারা ইন্টারেসট পেতে পারেন। অন্যরা সময় নষ্ট না করে এগিয়ে যান প্লীজ।

একটি পুরো জনগোষ্ঠীর মূলোৎপাটন করার আসিরিয়দের যে কৌশল ছিল কালদেরীয়রাও তা অনুসরণ করত, ডিভাইড এন্ড রুল করার জন্য। এদের সম্রাট নেবুচাদনেজার-ই ছিলেন প্রথম ব্যাক্তি যিনি জেরুজালেমকে গুড়িয়ে দিয়েছিলেন আর সেখানকার হিব্রু-দেরকে এনে বন্দী করেছিলেন। বালথাযার ছিলেন আরেক কালদেরিয় সম্রাট যিনি তার প্রাসাদে এক রাতে ভোজের সময় একটা কাটা হাতকে দেয়ালে আগুনের অক্ষরে লিখতে দেখেছিলেন- ‘Mene mene tekel upharsin’।

তাঁর চ্যালারা এই লেখার মাথামুণ্ডু কিছুই বলতে পারল না, কারণ সম্ভবত তারা বদ্ধ মাতাল ছিল, কিন্তু এই কারনেও বটে যে লেখাটা ছিল অদ্ভুত কোন এক ভাষায় (আরামাইক ভাষা, আসলে)। তারা হিব্রু বন্দী ড্যানিয়েলকে ডেকে পাঠালো, যে এই লেখার অর্থ বলে দিল- ‘তোমার দিন শেষ। তোমাকে মাপা হয়েছে এবং অনুপস্থিত পাওয়া গেছে, তোমার রাজত্ব ভাগ হয়ে যাবে’। অন্তত ওল্ড টেস্টামেন্ট (খ্রিস্টীয় বাইবেল এর প্রথম পার্ট, যা কিনা যীশুর জন্মের আগে লিখা! আবার যা কিনা একই সাথে ইহুদিদের বাইবেল এর একটা কপিও বটে) এর ‘বুক অফ ড্যানিয়েল’ অধ্যায় এই গল্পই বলে।

বালথাযার অবশ্য এই গায়েবী বাণী নিয়ে চিন্তা করার তেমন কোনও সময়ই পায়নি, যতক্ষণে এটা সত্যি হয়ে দেখা দিল। উচ্চভূমি থেকে নেমে আসা এক নতুন গুন্ডা উপজাতি আচমকা এক blistering রক্তগঙ্গা বইয়ে দিল ব্যাবিলনের উপর, এরা ছিল ফার্সি ও মাদীয়দের একটি জোট। এই দুটি ইন্দো-ইউরোপীয় উপজাতি মিলে দ্বিতীয় ব্যাবিলন সাম্রাজ্যের সমাপ্তি টেনে দেয় আর এর জায়গায় প্রতিষ্ঠা করে পারস্য সাম্রাজ্য।

এই পর্যায়ে এসে মধ্য-পৃথিবীতে ক্রমবর্ধমান সাম্রাজ্যের যে পৌনঃপুনিক প্যাটার্ন ছিল তা শেষ হয়, অথবা কমপক্ষে এতে একটি দীর্ঘ বিরতি পড়ে। একটা কারণ হল, ফার্সিরা যতদিনে তাদের কাজ শেষ করল, তখন বিজয় করার মতো খুব একটা কিছু আর বাকী ছিল না। মিশর ও মেসোপটেমিয়া- সভ্যতার দুটি সুতিকাগারই তাদের রাজত্বের অংশ হয়ে গিয়েছিল। তাদের প্রভাব বলয় পশ্চিমে এশিয়া মাইনর, দক্ষিনে নীল নদ, এবং পূর্বে ইরানের মালভূমি এবং আফগানিস্তান হয়ে সিন্ধু নদ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সুগন্ধিমাখা পলিশড ফার্সিরা সম্ভবত এর চেয়ে বেশী বিজয়ের আর কোনও অর্থ দেখেনি। কারণ সিন্ধু নদের দক্ষিণে ছিল ঘন ঘামানো জঙ্গল আর আফগানিস্তানের উত্তরদিকে ছিল এক বিশাল সমতলভূমি (steppes) যার উপর দিয়ে কর্কশ বাতাস খেলে যেত আর এর বাসিন্দা ছিল তুর্কী যাযাবর জনগোষ্ঠী যারা পশুর পাল দিয়ে কষ্টেসৃষ্টে জীবনধারণ করত। এমনসব জায়গা কে ই বা শাসন করতে চায়? অতএব ফার্সিরা বর্বরদের বাইরে রাখতে তাদের সীমান্তে এক সারি দুর্গ তৈরি করেই সন্তুষ্ট থাকল।
পরবর্তী পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

শুরুর পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আগের পর্ব এখানে

[তামিম আনসারী’র Destiny Disrupted: A History of the World Through Islamic Eyes বইয়ের অনুবাদ।
https://www.goodreads.com/book/show/6240926-destiny-disrupted
https://www.amazon.com/Destiny-Disrupted-History-Through-Islamic/dp/1586488139]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.