নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকে (১৭ ডিসেম্বর) সিডনীতে জেরুসালেম নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে র্যালি। দুপুর একটায় শুরু। গত কয়েকদিনে অস্ট্রেলিয়ার বাকি সব রাজ্যের রাজধানীতেও একইরকম কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
বেলা তখন ১ টা ৪৫। অস্ট্রেলিয়ান প্রধান বিরোধী দল, লেবার পার্টির প্রতিনিধি (নীল গেঞ্জি পরা) সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেয়া শেষ করলেন। যেই ভবনটির সিঁড়িকে মঞ্চ হিসাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে সেটি হল সিডনী টাউন হল।
টাউন হল চত্বরে সমবেত নানা জাতী ও বর্ণের জনগন, স্বাভাবিকভাবেই অধিকাংশ ফিলিস্তিনি বা আরব। সব মিলিয়ে ৪-৫ শত লোক হয়েছিল। অর্ধেকই মনে হল নারী। আরও জনগণ।
সংহতি জানাতে ব্যানার নিয়ে হাজির কিছু ইহুদী মহিলা। যেই দুইজন ব্যানার ধরে আছে তারা ছাড়াও ছবিতে একদম ডানে যে 'মাসলম্যান' মহিলা সেও এদের সাথের। ব্যানারে ইংরেজিতে লেখা "দখলদারীত্বের বিপক্ষে ইহুদিরা" (আরবী এবং হিব্রুতেও সম্ভবতও একই জিনিস লেখা)। এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আরও কিছু ইহুদী থেকে থাকতে পারেন।
বক্তৃতার পালা শেষে মিছিল শুরু হল। দুজন পথচারী চাইনিজকে দেখা যাচ্ছে। বেচারারা সম্ভবতও শপিং এ যাওয়ার পথে একটু দেরি হচ্ছে দেখে চিন্তিত। আর ১৯৮৯ সালে বেইজিং এ তিয়েনানমেন স্কোয়ারে কম্যুনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের উপর ট্যাংক উঠিয়ে দেয়ার স্মৃতি মনে থাকলে মিছিল টিছিল থেকে থেকে দূরে থাকারই কথা।
শহরের প্রাণকেন্দ্রে ব্যাস্ত রাস্তা ফাঁকা করে রেখেছে পুলিশ।
ল্যাটিন/ সাউথ আমেরিকান বামপন্থী দলের প্রতিনিধিরা হাজির সমর্থন জানাতে। প্যালেস্টাইন এর মুক্তির সংগ্রামে অমুসলিমদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী লড়াই করেছে ও সমর্থন দিয়েছে বামপন্থীরাই (লেফটিস্ট/ সোশ্যালিস্ট / সমাজবাদী মোটা দাগে যাই বলেন না কেন)। বাংলাদেশের চিড়িয়াদের অবশ্য চিত্র ভিন্ন। এই ব্যাপারে বেশি হাঊকাঊ করলে হুজুরদের সাথে তাদের গলা মিলে যাবে, লোকে তখন তাদেরকেও ক্ষেত বলবে- এই ভয়েই মনে হয় উনারা একটু নীরব থাকেন।রাস্তার পাশে তিন তলা অ্যাপল ষ্টোরের সামনেটা পুরাই কাঁচের। সেখান থেকে লোকজন মিছিল দেখছে।
রাস্তার উপর যে তোরণ দেখা যাচ্ছে এগুলো হোলো ক্রিসমাস (২৫শে ডিসেম্বর) উপলক্ষে আলোকসজ্জা/ সৌন্দর্যবর্ধন। খুব একটা সুন্দর মনে হল না। হয়তো রাতের বেলা দেখতে একটু ভালো লাগবে। ব্যানার এর পিছনে হলুদ জ্যাকেট পরা যেই লোকটি উলটো দিকে ঘুরে (হ্যান্ডমাইকে স্লোগান দিচ্ছে), সে হল এই সমাবেশের মাঠপর্যায়ের প্রধান নেতাদের একজন। খ্রিস্টান ঘরের ছেলে, ভার্সিটি মাত্র পাশ করেছে বা এখনও পড়ছে এরকম কিছু। গত বছর আরেক মিছিলের শেষে কথা হয়েছিল। প্রথম ছবিতে মঞ্চেও তাঁকে দেখতে পাবেন। মিছিল একটু থামিয়ে পথচারী পারাপার করিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। এই ফাঁকে হয়তো সামনের রাস্তাও খালি করছে। এই ঘোড়াগুলো কি খেয়ে হাতির মত বড় হয় কে জানে। অথবা অন্যভাবে ভাবলে এই হাতিগুলো কি মেখে ঘোড়ার মত সুন্দর হয়! যাই হোক দাঙ্গা লাগলে সেটা থামানোর জন্য এই জিনিস মনে হয় ভালই কার্যকরী (কম জনসংখ্যার দেশে)।
রাস্তা খালি করা হয়েছে, মিছিল চলছে।
মিছিল মার্টিন প্লেস এ পৌঁছেছে। এখন বোঝা যাচ্ছে গন্তব্য কি হতে পারে। আমেরিকান এমব্যাসি আশে পাশেই কোথাও।
বাকিটা আরেকটি পোস্ট এ দেয়ার ইচ্ছা আছে, সময় পেলে।
১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০০
রাজীব নুর বলেছেন: আরেকটা পোষ্ট দেন। ছবি গুলো দেখে ভালোই লাগলো।