নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বের বিশালতা, স্রষ্টার উদারতা, মানবতার মহিমা ....., সব কিছুতেই আমি মুগ্ধ।

প্লাবন২০০৩

জীবনের সবচেয়ে বড় সুবিধা জীবনকে কখনো চালাতে হয় না, এ চলতেই থাকে, চলতেই থাক...

প্লাবন২০০৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ই-কমার্স (E-Commerce) সমস্যা ও সমাধান, তুলনামূলক বিশ্লেষণ ও প্রস্তাবনা-একটি গবেষণাধর্মী পোষ্ট (কিছু ধনাত্মক প্রস্তাবনা পাইলে খুব উপকার হয়, লেখাটা কমপ্লিট করতে............)

২২ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৪১


বর্তমান বিশ্বে দ্রুত ও ব্যস্ততম জীবন ব্যবস্থায় ব্যবসা ও বাণিজ্যের সুবিধার্থে আধুনিক টেকনোলোজির এক অনন্য অবদান “ই-কমার্স”। কিন্তু শুধুমাত্র যথাযথ জ্ঞান, এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য ও সমস্যা সমাধানে গবেষণার অভাবে আমরা দিন দিন পিছিয়েই পড়ছি। ফলে এক সময় দেখা যাবে মোবাইল অপারেটরগুলোর মত বিদেশ থেকে বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এদেশে এসে আমাদেরই সামনে আমাদেরই পণ্য আমাদের কাষ্টমারদের কাছে বিক্রী করে আমাদের ভাগের লভ্যাংশ নিয়ে তাদের দেশে চলে যাচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে এ রকম পরিস্থিতি শুরু হতে আর বেশী দেরি নেই। আশার কথা হচ্ছে আমাদের দেশের কিছু ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সমস্যার কারণে তারাও পুরোদমে এদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না। এ পরিস্থিতিতে আমরা যদি এখনই ই-কমার্স সেক্টরে লিড নেয়া শুরু না করি, তবে ভবিষ্যতে আমাদের শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না।

ই-কমার্স (E-Commerce) কি?
ইলেক্ট্রনিক্স কমার্স (Electronic Commerce) বা বৈদ্যুতিক বাণিজ্যের সংক্ষিপ্ত রূপ “ই-কমার্স”। এটি গতানুগতিক বাণিজ্য বা ট্র্যাডিশনাল কমার্স (Traditional Commerce) এর প্যারালাল একটি প্রক্রিয়া। যদিও ই-কমার্স কে এখনও অনেকে “স্রেফ এক ধরণের ওয়েব সাইট আর কয়েকশ ডলারের ফেইসবুক এ্যাড” মনে করে। প্রকৃতপক্ষে ই-কমার্স পূর্ণাংগ একটি ব্যবসার ইলেক্ট্রনিক রূপ।

ট্র্যাডিশনাল কমার্স যেমন “পণ্য বা সেবা অথবা উভয়ের লেনদেন বা বেচাকেনা বুঝায়”, ই-কমার্সও ঠিক তেমনই, তবে সম্পুর্ণ কাজটা ইলেক্ট্রনিক সিস্টেম অর্থাৎ ইন্টারনেটের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এটি একটি উভমুখী (Both side) প্রক্রিয়া। বিক্রেতা এবং ক্রেতা উভয়ের অংশগ্রহণ ছাড়া ই-কমার্স ট্রানজ্যাকশন সম্পন্ন হয় না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ব্যবসায়ী বা বিক্রেতা তার পণ্য বিক্রয়ের জন্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে ই-কমার্স সাইটে পণ্যের বিস্তারিত পোষ্টিং দেয় আর একজন ক্রেতা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেই সাইটে গিয়ে পণ্যটি ক্রয় করে, এভাবে ই-কমার্স ট্রানজ্যাকশনটি (Transaction) সম্পূর্ণ হয়।

শুধু পণ্যাদি বেচাকেনা ছাড়াও আরো অনেক ট্রানজ্যাকশনই ই-কমার্সের অন্তর্ভুক্ত, যেমনঃ
• অনলাইনে বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল পরিশোধ
• অনলাইনে হোটেল ও প্লেনের টিকেট বুকিং
• মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন
• ক্রেডিট কার্ড ও এটিএম কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট ইত্যাদি।

ই-কমার্সের আওতা
এক কথায় বলতে গেলে ইলেক্ট্রনিক সিস্টেমে অর্থাৎ ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা সকল ব্যবসা, বাণিজ্য ও লেনদেনই ই-কমার্সের আওতাভুক্ত।

ই-কমার্সের প্রকারভেদ
দুঃখ জনক ভাবে আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষ মনে করে ই-কমার্স মানে অনলাইনে জামা-কাপড় আর ইলেক্ট্রনিক্স আইটেম কেনা বেচা করা, যা অনলাইন স্টোর নামে পরিচিত। বাস্তবে ই-কমার্স অনেক প্রকারের হয়ে থাকে। ইন্টারনেট ঘাটলে বিশ্বব্যাপি যে কয়েক প্রকার ই-কমার্স ব্যবসার প্রকারভেদ বেশী চোখে পড়ে সেগুলো হচ্ছেঃ

১। Business-to-Business (B2B)/ ব্যবসা-থেকে-ব্যবসা
এক্ষেত্রে ই-কমার্স সংঘটিত হয় একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে। শতকরা ৮০ ভাগ ই-কমার্স B2B এর অন্তর্ভুক্ত। এরকম কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হচ্ছেঃ
ক) GRAINGER; http://www.grainger.com/
খ) ALIBABA; http://www.alibaba.com/
গ) STAPLES; http://www.staples.com/
ঘ) MEDLINE; http://www.medline.com/
ঙ) QUILL; http://www.quill.com/

২। Business-to-Consumer (B2C) / ব্যবসা-থেকে-ভোক্তা
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভোক্তার মধ্যে সংঘটিত। অনলাইন স্টোরগুলো এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ, যেমনঃ
ক)http://skinnyties.com/
খ)http://folksy.com
গ) http://unitedpixelworkers.com/
ঘ) http://global.tommy.com
ঙ) https://www.cocosa.co.uk

৩। Consumer-to-Consumer (C2C) / ভোক্তা-থেকে-ভোক্তা
এখানে বিক্রেতা এবং ক্রেতা উভয়েই ভোক্তা। ব্যাবহৃত কিংবা অব্যবহৃত দুই ধরণের পণ্যই কেনা বেচা করা হয়। এই ই-কমার্স সাইটকে ‘ক্লাসিফাইড এ্যাড’ সাইটও বলা হয়। যেমনঃ
ক) http://www.craigslist.org
খ) http://www.ekhanei.com/

এ ছাড়াও আরও কয়েক প্রকারের ই-কমার্স হয়, যেমনঃ Business-to-Government(B2G)/ব্যবসা-থেকে-সরকার, Consumer-to-Business(C2B)/ভোক্তা-থেকে-ব্যবসা, Consumer-to-Government(C2G)/ভোক্তা-থেকে-সরকার ইত্যাদি। আমাদের দেশে এগুলোর উপস্থিতি একেবারে নেই বললেই চলে।

আমরা এখানে B2B(Business-to-Business/ব্যবসা-থেকে-ব্যবসা) এবং B2C(Business-to-Consumer/ব্যবসা-থেকে-ভোক্তা) এই দুই ধরণের ই-কমার্সের উপর আলোকপাত করব।

ই-কমার্স জগতের শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ অংশ B2B দখল করে আছে, অবশিষ্ট ২০ ভাগের মধ্যে প্রায় ১১ ভাগ B2C, প্রায় ৫ ভাগ C2C এবং বাকী ৪ ভাগ দখল করে আছে অন্যান্য প্রকারের ই-কমার্স গুলো। সুতরাং B2B এবং B2C এই দুই প্রকারের ই-কমার্সের উপর দখল নিতে পারলে আমরা ই-কমার্সের প্রায় ৯১ ভাগ অংশ আমাদের দখলে নিয়ে আসতে পারব।

ই-কমার্সের মাধ্যম, উপকরণ ও সম্পর্কিত ক্ষেত্র সমূহ

বিক্রেতার জন্য

১। প্রাথমিক
ক) ই-কমার্স ওয়েবসাইট
খ) দ্রুত ও কার্যকরভাবে ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য দ্রুতগতির ইন্টারনেট ও সার্ভার

২। মাধ্যমিক
ক) ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার, অনলাইনে পণ্যের মূল্য গ্রহণ
খ) ভোক্তা আকর্ষণ
গ) মার্কেটিং

৩। চূড়ান্ত
ক) পণ্য ডেলিভারি
খ) ওয়াদা রক্ষা (ওয়্যারেন্টি/গ্যারান্টিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে)


ক্রেতার জন্য

৪। ক) ইন্টারনেট সুবিধা সম্পন্ন ডিভাইস
খ) ইন্টারনেট চালানোর অভিজ্ঞতা ও প্রাথমিক জ্ঞান

একটি সফল ই-কমার্স
একটি সফল ই-কমার্স সাইট কি? যে সাইটে বেশী ট্রানজ্যাকশন হয় সেটি? নাকি ই-কমার্সের সকল শর্ত অনুসরণ করে যে সাইট সেটি?

বেশী ট্রানজ্যাকশন হওয়া একটি ই-কমার্স সাইটের মূল বৈশিষ্ট থাকে ৫ টি, যেমনঃ

১। সাইটের সহজবোধ্যতা
কাস্টমাররা সাইটটিতে ভিজিট করতে অনেক বেশী স্বাচ্ছন্দ বোধ করে, ফলে অর্ডার পরে বেশী।

২। সাইটের আকর্ষনীয়তা
সাইটের গেটআপ কাস্টমারদের আকর্ষণ করে।

৩। পণ্যের আধিক্য
যত বেশী পণ্য, যত বেশী ভ্যারিয়েশন, তত বেশী অর্ডার।

৪। আকর্ষণীয় মূল্যছাড়
মুল্যছাড়ের আকর্ষণ কেই বা এড়াতে পারে, ফলে অর্ডারও বেশী।

৫। গুডউইল
সাইটটির গুডউইল ভাল, ফলে কাস্টমাররা অর্ডার করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে।

অন্যদিকে একটি আদর্শ ই-কমার্স সাইটের শর্ত ১১ টি, এগুলো হচ্ছেঃ
১। কাস্টমার টার্গেটকরণ
আপনার ই-কমার্স সাইটের টার্গেট কাস্টমার কারা? তারা কি যুবক সম্প্রদায়? তবে আপনার সাইটটি কালারফুল করুন। অথবা আপনার টার্গেট কাস্টমাররা কি বেশিরভাগ মোবাইল ইউজার? তাহলে আপনার সাইটটি মোবাইল রেসপন্সিভ করুন। এভাবে আপনার টার্গেট কাস্টমারদের মূল্যায়ন করুন।

২। এরিয়া টার্গেটকরণ
আপনার ই-কমার্সের টার্গেট এরিয়া কোনটি? বাংলাদেশ? তাহলে ই-কমার্সটি বাংলায় করুন। যদি বহির্বিশ্ব হয় তাহলে কমন ভাষা হিসাবে ইংরেজীতে করুন। আর যদি বাংলাদেশ+বহির্বিশ্ব হয় তাহলে বাংলা+ইংরেজী দুটি ভাষার অপশনই রাখুন। সেই সাথে কারেন্সির বিষয়টাও খেয়ালে রাখুন।

৩। নিজের সম্পর্কে জানান
আপনার কাস্টমাররা কার কাছ থেকে পণ্য কিনছে, বা কেন কিনবে সে বিষয়টী তাদের বিস্তারিত জানান, অনেক কাস্টমারই এ বিষয়টি জানতে চায়।

৪। পণ্যের পরিস্কার ও বোধগম্য ছবি
মনে রাখবেন আপনার কাস্টমাররা কিন্তু পণ্যের শুধু ছবি দেখছে, পণ্যটি দেখছে না। সুতরাং পণ্যটির ছবি যতটুকু পারা যায় পরিস্কার ভাবে প্রদর্শন করুন। দরকার হলে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে পণ্যটির ছবি দিন। বিভিন্ন কালারের পণ্য হলে সবগুলো কালারের ছবি দিন। এক্ষেত্রে দরকার হলে কোন প্রোডাক্ট স্টুডিও থেকে পণ্যটির ছবি তুলে প্রফেশনাল কোন এডিটর দিয়ে এডিট করিয়ে নিন, খরচের কথা চিন্তা করবেন না কারণ খরচ তো মাত্র একবারই করবেন।

৫। পণ্যের বিস্তারিত
মনে রাখবেন, একটি পণ্যের বিস্তারিত শুধু তার স্পেসিফিকেশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না। পণ্যটি কাস্টমার কেন কিনবে? এটা তার কি কি উপকারে আসবে? পণ্যটির সবচাইতে আকর্ষণীয় দিকগুলো কি কি? এসব ভাগ ভাগ করে উল্ল্যেখ করার পরই পণ্যের ডিটেইল স্পেসিফিকেশনে যাবেন। মনে রাখবেন পণ্যটি ক্রেতাকে আকর্ষণ করার পরই ক্রেতা পণ্যের ডিটেইল স্পেসিফিকেশন জানতে আগ্রহী হবে, অন্যথায় শুধুমাত্র ডিটেইল স্পেসিফিকেশন ক্রেতার মধ্যে শুধু বিরক্তিই তৈরী করবে।

৬। পণ্যের মূল্য
মনে রাখবের ক্রেতাদের মধ্যে এখনও ই-কমার্স নিয়ে যথেষ্ট ভীতি আছে, বেশিরভাগ ক্রেতাই মনে করেন ই-কমার্স অনেক ব্যয়বহুল একটি বিষয়, সুতরাং অতিরিক্ত ব্যয় সমূহ পণ্যের মূল্যের সাথে যোগ করা আছে। অথচ বাস্তব ব্যপার ঠিক উল্টো। ই-কমার্সের ফলে আপনি সরাসরি চূড়ান্ত কাস্টমারের নিকট পণ্য বিক্রয় করতে পারছেন এখানে মাঝে কোন মিডিয়া লাগছে না, সুতরাং অন্ততঃ মিডিয়ার কমিশনটুকু হলেও তা কাস্টমারকে ছেড়ে দিন। কাস্টমারকে আস্তে আস্তে ই-কমার্সের দিকে আগ্রহী করে তুলুন।

৭। পণ্যের ক্যাটাগোরাইজেশন
পণ্যের সঠিক ক্যাটাগোরাইজেশন করুন। মনে রাখবেন শুধুমাত্র সঠিক ক্যাটাগোরাইজেশনের অভাবে আপনার অনেক ভালো পণ্যটি ক্রেতার দৃষ্টির আড়াল হয়ে যেতে পারে। ক্যাটাগোরাইজেশন করার সময় টার্গেট এরিয়া বিবেচনায় আনুন। মনে রাখবেন এক কোকা কোলাকেই এক দেশে সফট্‌ ড্রিঙ্কস তো আরেক দেশে বেভারেজ ক্যাটাগরিতে উল্লেখ করা হয়। সুতরাং এ দিকটাও মাথায় রাখুন।

৮। ডেলিভারি
ডেলিভারির বিভিন্ন অপশন রাখুন, কাস্টমার কিভাবে ডেলিভারি চায় সেদিকটায় মূল্যায়ণ করুন। প্রয়োজনে ডেলিভারি অপশন ওপেন রাখুন। কাস্টমারই সিদ্ধান্ত নিক কোন ডেলিভারি তার জন্য সুবিধাজনক হবে, তিনি কি হাতে হাতে ডেলিভারী চান? নাকি কুরিয়ারে ডেলিভারি চান? অনেক সময় দেখা যায় একই পণ্য যাত্রাবাড়ি থেকে উত্তরায় হাতে হাতে পাঠাতে যে খরচ হয় তার চাইতে অনেক কম খরচে পণ্যটি কুরিয়ারে রাজশাহীতে পাঠানো যায়। দরকার হলে ডেলিভারী খরচ আলাদা ভাবে উল্লেখ করুন, খেয়াল রাখবেন ডেলিভারী খরচ যাতে এমন বা হয় যে তাতে হয় বিক্রেতা বা ক্রেতা কাউকে কোন ক্ষতির সম্মুখীন না হতে হয়।

৯। পেমেন্ট
সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের দেশে এখনও তেমন ইনফ্রাস্ট্রাকচার গড়ে উঠেনি যে কাস্টমার আপনাকে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পে করবে আর তা আপনার ব্যাংক এ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে। অন্যদিকে আমাদের দেশে কতজন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে? আপনি কি চান আপনার ব্যবসা শুধুমাত্র ক্রেডিট কার্ড হোল্ডারদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকুক? যদি এমনটিই হয় তাহলে এক ধাক্কায় আপনার কাস্টমার শতকরা ১ ভাগেরও নীচে চলে আসবে। অন্যদিকে আমাদের দেশে এখন মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং, কুরিয়ারে কন্ডিশনে পণ্য উত্তোলন, এসব ভালোই সুবিধা দিচ্ছে। এগুলোর সুবিধা আদায় করুন। কাস্টমারকে পেমেন্টের বিষয়টি ওপেন রাখুন। দরকার হলে অর্ডার পরার পর কাস্টমারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে পেমেন্টের বিষয়টি নিশ্চিত করুন।

১০। লোকাল অফিস বা লোকাল এজেন্টের নাম ঠিকানা উল্লেখ করুন
অনেক সময় এমন হয় যে সবকিছু ঠিক ঠাক থাকার পরও কাস্টমার পণ্যটি সামনা সামনি দেখতে আগ্রহী হয়, সেক্ষেত্রে হয়ত তার এলাকাতেই আপনার একটি শোরুম বা আপনার কোন লোকাল এজেন্ট আছে, সুতরাং তার নাম ঠিকানা উল্লেখ করুন।

১১। ওয়ারেন্টি/গ্যারান্টি পণ্যে বিস্তারিত উল্ল্যেখ করুন
আপনার পণ্য কি ওয়্যারেন্টি/গ্যারান্টি সম্পন্ন? তাহলে পণ্যের সাথে ওয়্যারেন্টি/গ্যারান্টির শর্তাবলী উল্ল্যেখ করুন। পণ্যে সমস্যা হলে সে পণ্যটি নিয়ে কি করবে, কোথায় যাবে, কার সাথে যোগাযোগ করবে এসব বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করুন। লোকাল সার্ভিস সেন্টার থাকলে তার বিস্তারিত উল্ল্যেখ করুন।

ই-কমার্সের সুবিধা
আগেই বলা হয়েছে ট্র্যাডিশনাল কমার্সের প্যারালাল প্রক্রিয়া হচ্ছে ই-কমার্স। আধুনিক সিস্টেম হিসাবে এর সম্ভাবনা অসীম এবং তা শুধু বাংলাদেশ নয় বরং সমস্ত বিশ্বে। ট্র্যাডিশনাল কমার্সের তুলনায় ই-কমার্স বিক্রেতা এবং ক্রেতা উভয়ের দিক দিয়ে যে তিনটি ক্ষেত্রে অধিক সুবিধা প্রদান করে সেগুলো হচ্ছে - সময়, অর্থ ও শ্রম।

একথা অনস্বীকার্য যে, আমাদের বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থা এবং দ্রুত ও ব্যস্ততম জীবন যাত্রায় ‘সময়’, ‘অর্থ’ ও ‘শ্রম’ কতখানি গুরুত্বপূর্ণ।

ই-কমার্সের প্রতিবন্ধকতা
এত গুরুত্বপূর্ণ তিনটে মৌলিক সুবিধা থাকার পরও শুধুমাত্র কিছু ইনফ্রাস্ট্রাকচার জনিত কিছু সমস্যা এবং অজ্ঞতা জনিত সাধারণ কিছু সমস্যার জন্য আমরা এখনও ই-কমার্সে অনেকখানি পিছিয়ে আছি।

ইনফ্রাস্ট্রাকচারজনিত সমস্যা

১। অর্থনৈতিক খাত
আমাদের দেশে ব্যাংকগুলো এখনও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে পেমেন্ট সুবিধা দিয়ে উঠতে পারেনি, ফলে উন্নত বিশ্বের তুলনায় আমরা ই-কমার্সের ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছি। উল্লেখ্য ই-কমার্সের ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে পেমেন্ট একটি বড় বিষয়।

অন্যদিকে উন্নত মানের ই-কমার্স সফট্‌ওয়্যার এবং বিভিন্ন মডিউল দেশের বাইরে থেকে কিনতে হলে সেক্ষেত্রেও অনলাইনে বিদেশে টাকা পাঠানো আমাদের দেশ থেকে সম্ভব না।

অজ্ঞতা জনিত সমস্যা

১। বিক্রেতার দিক দিয়ে
• বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের মালিকেরই ই-কমার্স সম্পর্কে কোন সুস্পষ্ট ধারণা নেই।
• বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের মালিকই মনে করেন ই-কমার্স অনেক ব্যয়বহুল একটি সিস্টেম
• বেশীর ভাগ প্রতিষ্ঠানের মালিকের প্রোগ্রাম বা সফট্‌ওয়্যার সম্পর্কে ধারণা নেই

ক্রেতার দিক দিয়ে
• বেশীর ভাগ ক্রেতার ই-কমার্স সাইটগুলোর ওপর আস্থা নেই
• বেশীর ভাগ ক্রেতা ই-কমার্স ব্যবহারে অভ্যস্ত নয় এবং এ সম্পর্কে ঝুব একটা ভালো ধারণা পোষণ করে না।

ই-কমার্সের সমস্যাগুলো

১। যথার্থ জ্ঞানের অভাব
ই-কমার্সে যথার্থ জ্ঞানের অভাবে বেশীরভাগ উৎপাদক এবং আমদানি কারক এই সেক্টরে আসতে উৎসাহ বোধ করেন না। এক্ষেত্রে আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত কোন ই-কমার্স প্রমোশন কাউন্সিল গড়ে উঠেনি। ফলে দেখা যায় তৃতীয় কোন উদ্যোক্তা পক্ষ ই-কমার্স সম্পর্কে সাধারণ কিছু ধারণা নিয়ে এই সেক্টরে চলে আসছেন। এ ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা থেকে যাচ্ছে, প্রথমত তারা ই-কমার্স সাইটটি ক্রয় করে নিচ্ছেন অন্য কোন প্রতিষ্ঠান থেকে, যাদের কাজ শুধুমাত্র একটি সাইট তৈরী করে বিক্রী করা এবং তা থেকে মুনাফা অর্জন করা। সাইট ডেভেলপমেন্ট বা বিক্রয় বাড়ানোর জন্য কোন প্রকার আইডিয়া তারা দিতে পারেন না। এর সাথে সাইটটির মার্কেটিং এর বিষয়েও তারা কোন সহযোগিতা করেন না। তাদের কাজ বলতে সাইটটি তৈরী করা, বিক্রী করা আর মেইনটেন্যান্স এর নামে পিরিয়ডিকাল কিছু মুনাফা অর্জন করে নেয়াই মূল উদ্দেশ্য থাকে। এদিকে তৃতীয় যে উদ্যোক্তা পক্ষ এই ব্যবসায় আসল তিনি কি করবেন? কত দিক সামলাবেন? পণ্য সোর্সিং করা, সেগুলো পোষ্টিং দেয়া, পেমেন্ট কালেক্ট করা, সাপ্লায়ার মেইনটেইন করা, ই-কমার্স ডেভেলপারের পেছন পেছন দৌড়ে বেড়ানো (কারণ একবার ই-কমার্স ডেভেলপার তার পেমেন্ট পেয়ে গেলে তাকে আর পায় কে? এত দিন যে আপনার পেছনে ঘুরত, এখন আপনি তার পেছন পেছন ঘুরেন), এদিকে যে মুনাফার আশা নিয়ে এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন তার সিকি ভাগেরও দেখা নেই, কারণ সাইটে ভিজিটরই আসে না, এরকম কতদিক সামলাবেন? তার ওপর আবার সাইট ডেভেলপমেন্ট? ফলে কিছুদিন পরই পাততাড়ি গোটানো ছাড়া আর কোন রাস্তা থাকে না। এদিকে এ কয়দিনে তার সাইটের যে কয়জন কাষ্টমার হয়েছিল তারা হঠাৎ করে দেখে সাইটটি একেবারে উধাও, ফলে তারাও ভাবতে লাগে ই-কমার্স মানে ভূয়া কোম্পানি।

২। যাদের আসা দরকার তারা আসে না
আসলে ই-কমার্স সেক্টরে যাদের আসা দরকার তারা আসে না, আসে তৃতীয় পক্ষ। এদের বেশীরভাগ যৎসামান্য জ্ঞান নিয়ে কোনমতে একটি সাইট তৈরী করে উৎপাদক বা আমদানীকারকের কাছ থেকে পণ্য কিনে নেমে পড়ে এ ব্যবসায়। ফলে তাদের ইস্টাবলিশমেন্ট খরচ যোগানোর জন্য যে পরিমাণ বিক্রী হবার কথা তা না হওয়াতে পণ্যের দাম দেয় বাড়িয়ে, ফলে বিক্রী আরও কমে যায়। অন্যদিকে সরাসরি উৎপাদক বা আমদানীকারক যদি এ সেক্টরে আসেন তাহলে তাদের চ্যানেল বিক্রয়ের কমিশন ছেড়ে দিলেও পণ্যের দাম বাজার মূল্যের চেয়ে কমে আসবে, ফলে এই সেক্টর সম্বন্ধে ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়বে, বিক্রীও বাড়বে। কিন্তু তাদের আবার একটাই কথা-কি দরকার এই সেক্টরে যাবার? এমনিইতো বিক্রী হচ্ছে। হায়! তারা যদি বুঝত এমনিইতো বিক্রী হবার বিনিময়ে কি কি ছুটে যাচ্ছে! এমনিইতো বিক্রী হওয়াই শ্রেয় হলে আর বিশ্বব্যাপি ই-কমার্স নিয়ে এত মাতামাতি হয়?

৩। খরচের ভয়
উৎপাদক ও আমদানীকারকেরা আরেকটি কারণে ই-কমার্স সেক্টরে আসতে চায় না, কারণ খরচের ভয়। একটি মোটামুটি ভালো ই-কমার্স সাইট তৈরী, ডেভেলপার পোষা, আলাদা সেলস্‌ এ্যান্ড মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট খোলা, খুচরা বিক্রয়ে হাতে হাতে ডেলিভারী করার লোক, কাষ্টমার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট খোলা, এসব কম খরচের ব্যপার নয়। অন্যদিকে এতদিন ধরে শুনে আসছে কত মানুষ ই-কমার্স ব্যবসা করতে গিয়ে ধরা খেয়ে বসে আছে! সুতরাং? -দরকার নেই বাবা ওসব লাইনে যাবার, এর চেয়ে ঐ টাকা ব্যবসায়ে ইনভেষ্ট কর, নিশ্চিত আরও দুটা পয়সা আসবে।

৪। এত উৎপাদক? এত সাইট? কাস্টমারের মাথা খারাপ হবার দশা
এদিকে আরেক সমস্যা, ধরা যাক শুধু বাংলাদেশেই দশ হাজার উৎপাদক আছে, এর মধ্যে যদি পাঁচ হাজার উৎপাদকও নিজস্ব ই-কমার্স সাইট ওপেন করে তাহলে কাষ্টমারের কি দশা হবে চিন্তা করেছেন? একেক ঘন্টা যদি একেক সাইটে ভিজিট করতে সময় লাগে তাহলেও পাঁচ হাজার ঘন্টা! এদিকে অফিস, ঘুম, বাচ্চার স্কুল, বাজার সদাই তো আছেই! দেখা যাবে সবগুলো সাইট ভিজিট করে আসতে আসতে প্রথম কোম্পানি ততদিনে হাঁড়ির ব্যবসা বাদ দিয়ে গাড়ির ব্যবসা শুরু করে বসে আছে। এরমধ্যে তো আরেকটি বড় ঝামেলা আছেই, একেক কোম্পানীর একেক রকম সাইট, কারও লাল তো কারও নীল্, কারও পণ্য খুঁজতে হবে ডান দিকে তো কারও বাম দিকে, এদিকে একেক সাইটের নিয়ম একেক রকম, ইত্যাদি ইত্যাদি। সুতরাং ওসব বাদ, এরচেয়ে বাজারে গিয়ে একটু কষ্ট করে পণ্যটি কিনেই নিয়ে আসি না কেন? বউটাকেও অনেকদিন কোথাও ঘোরানো হয় না।

এরকম হাজারো সমস্যা পাওয়া যাবে খুঁজতে গেলে। কিন্তু তাই বলে কি আমরা ই-কমার্সে পিছিয়েই থাকব? প্রতিটা ক্ষেত্রেই কিছু না কিছু সমস্যা থাকেই, ট্র্যাডিশনাল কমার্সে কি সমস্যা কম? মোটেই না, বরং সেখানে সমস্যা আরও অনেক বেশী। আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে গতানুগতিক কমার্সে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি, আর ই-কমার্স নতুন, তাই ওটাকে অনেক বেশী নিখুঁত হতে হবে, একেবারে একশত ভাগ নিখুঁত। এ যেন আমাদের বাসায় কাজ করতে আসা কাজের বাচ্চাটির মত, নিজের সন্তান হাজারো দোষ করলে সমস্যা নেই কিন্তু ওর বেলায় পান থেকে চুন খসলেই – নাহ্‌ একে দিয়ে কিস্‌সু হবে না।

সমাধান
আগামী পর্বে। পাঠক কমেন্ট ও সাজেশন পাবার পর।


রেফারেন্স বই সমূহঃ
১। One-click: Jeff Bezos and the Rise of Amazon.com - Richard Brandt
২। The Complete E-Commerce Book: Design, Build & Maintain a Successful Web-Based Business - Janice Reynolds
৩। Electronic Commerce: A Managerial Perspective - Efraim Turban, Michael Chung, Jay Lee
৪। Content Rules - Ann Handley, C.C. Chapman and David Meerman Scott

রেফারেন্স সাইট সমূহঃ
১। Click This Link
২। http://bduddokta.com/ecommercebusiness.html
৩। Click This Link

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:১৭

প্রামানিক বলেছেন: ভাই আপনার লেখা পুরোটাই পড়লাম। ধন্যবাদ, আপনি অনেক পরিশ্রম দিয়া লেখা সাজাইছেন।

২২ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:২৬

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০১

আমিনুর রহমান বলেছেন:


কাজের পোষ্ট +

২২ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ আমিনুর ভাই।

আপনাদের মন্তব্য ভালোই লাগতেছে, কিন্ত মন্তব্যের কোথাও যেন কিছু নাই নাই মনে হয়
এইবার বুঝছি, ধনাত্মক কোন প্রস্তাবনা নাই। আল্লাহ্‌'ই জানে লেখাটা আবার ঝুইলা যায় কিনা।

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫

জুন বলেছেন: বেশীর ভাগ প্রতিষ্ঠানের মালিকের প্রোগ্রাম বা সফট্‌ওয়্যার সম্পর্কে ধারণা নেই
+
বেশীর ভাগ ক্রেতা ই-কমার্স ব্যবহারে অভ্যস্ত নয় এবং এ সম্পর্কে ঝুব একটা ভালো ধারণা পোষণ করে না।

শতভাগ সত্য প্লাবন ২০০৩
+

২২ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০৪

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: মতামত ও প্লাসের জণ্য ধন্যবাদ আপু।

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: ই-কমার্স ব্যাপার টা আগে আমার মাথার উপর দিয়ে যাইতো :P
তবে এখন বুঝি ব্যাপার টা। আমার "বোসকা" বিভিন্ন দেশের ই-কমার্স ওয়েব সাইড develop করে। বাংলাদেশে এখন ও ই-কমার্স সাইড নেই বললেই চলে যা আছে তাও দুইএকটা।

দেশের বাইরের ই-কমার্স সাইড গুলো দেখলে মাথা খারাপ হয়ে যাই। তবে যাই বলেন প্লাবন ভাই ই-কমার্স সত্যি আমাদের দেশে খুব দরকার হয়ে পড়েছে। জ্যাম ঠেঙিয়ে যাওয়ার থেকে ঘরে বসে বাজার করা খুব আরামের। আমার কাছে মনে হয় :)

২২ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০৫

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: আমদের দেশেও আসলে কিছু একট করা উচিত, খুব তাড়াতাড়ি।

৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪

মেহেদী হাসান ভূঁঞা বলেছেন: ভাল পোষ্ট...... পোষ্টে +++

২২ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০৭

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ মেহেদী ভাই।

৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

গোল্ডেন গ্লাইডার বলেছেন: দশ দোকান ঘুরে একশটা জিনিস উলট পালোট না করে বাংগালি জিনিস কিনবে B:-)
ভাবলেন কেমনে ভাই B:-/

৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ই কমার্স জনপ্রিয় হবার জন্য দেশে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে বর্তমানে অন্য ধারণা বিদ্যমান। জিরো ফেসবুক চালানো কে তথ্য প্রযুক্তির আওতায় ধরা হয়।

৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এই ব্যাপারে আগ্রহ কম, তাই পড়তে উৎসাহ পাইলামনা। কিছুদুর পড়েই কেমন জানি ঝিমানি আসলো। তাই পোস্টের অল্প কিছু পড়ে আর পড়িনাই।

যাইহোক্‌ দেশের বাইরে অনলাইনে কেনাকাটা কিংবা ব্যবসা খুব মজার একটা কাজ। তবে ভাই বাংলাদেশে অনলাইনে কেনাকাটায় সাবধান। খুব সাবধান। ধরা খাওয়ার চান্স ৮০%।

৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:১৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে ধন্যবাদ।

১০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

সুমন কর বলেছেন: এ বিষয়ে তেমন জ্ঞান নেই :( তাই পজিটিভ কিছু বলতে পারলাম না।

পরে সময় করে আসবো, জানতে এবং পড়তে।

১১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৮

কিচ বলেছেন: পুরনো লেখা অথচ এতো কম ভিজিটর ! আশ্চর্য হলাম। কাজের কথার আসলে দাম নাই। ই-কমার্স নিয়ে না লিখে সানি লিওনকে নিয়ে লিখতেন ভিজিটর হাজার ছাড়িয়ে যেত এতো দিনে।। ই-মেইল মার্কেটিং, ফোরাম মেকিং এন্ড মার্কেটিং, ফোরেক্স- এসব বিষয়গুলো নিয়ে যা কিছু জেনেছি সব ইংরেজীতে পাওয়া ফিচার পড়ে । ই-কমার্স নিয়ে বাংলায় পড়ে ভালো লাগলো। এসব নিয়ে আরো লিখতে প্লাবন২০০৩-কে অনুরোধ করছি।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৬

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। লিখব। একটু গুছিয়ে নেই, তারপর নিয়মিত লেখা যাবে।

১২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৫

বদ্ধ জলাশয় বলেছেন: পরের পর্ব টা কি পাবো নাকি উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন?? :(

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৫

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, খুব তাড়াতাড়িই পাবেন। ওটা নিয়েই কাজ করছি।

ই-কমার্স নিয়ে আপনার আগ্রহের কারণ জানতে পারি কি?

১৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১৫

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ ++++

১৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

মীর শাহেদুর রহমান বলেছেন: বর্তমান যুগ ব্যস্ততার যুগ। এখন মানুষের হাতে টাকা আছে কিন্তু সময় নেই এখানেই ই কমার্সের সম্ভাবনা। গ্রামের একটা লোক আইফোন কিনতে পারছে এক ক্লিকেই এটা শুধু সম্ভব হয়েছে ই কমার্সের জন্যই । অনলাইন শপ গুলো আগামীতে আরো ভাল করবে। এগিয়ে যাবে এ ইন্ডাস্ট্রি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.