নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বের বিশালতা, স্রষ্টার উদারতা, মানবতার মহিমা ....., সব কিছুতেই আমি মুগ্ধ।

প্লাবন২০০৩

জীবনের সবচেয়ে বড় সুবিধা জীবনকে কখনো চালাতে হয় না, এ চলতেই থাকে, চলতেই থাক...

প্লাবন২০০৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-১২ (লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৯


ডিসেম্বর মাসের কোন এক দিন, ১৪৮৭ সাল। ইতালীর মিলান। অতি সাধারণ একটা বাজার, সাধারণ দোকান পাট, সাধারণ ক্রেতা আর তারচেয়েও সাধারণ সব দোকানদার। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চলল। রঙবেরঙের পাখিগুলো নিয়ে পাখী বিক্রেতা পাওলো গোমরা মুখে বসে আছে। চোখে কিছুটা হতাশা। মাঝে মাঝেই পাখিগুলি থেকে চোখ তুলে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। পাশেই বউ অ্যানার মশল্লার দোকান। অ্যানার দিকে তাকালেই বলে দেওয়া যায় আজ ওর মন খুব ভালো, সকাল সকাল এক কাস্টমার এসে একগাদা রোজমেরী কিনে নিয়ে গেছে। গত কয়েকদিন ধরে রোজমেরী গুলো নিয়ে অ্যানা খুব দুশ্চিন্তায় ছিল, আজকাল আর কেউ রোজমেরী কিনতে চায় না। মানুষগুলোর খাবারের স্বাদে আর আগের মত উৎসাহ নেই, কোনমতে সিদ্ধ করলেই, ব্যস্‌ হয়ে গেল!

এদিকে বিকেল গড়িয়ে আসতেই পাওলোর কথা খেয়াল হোল অ্যানার, পাওলোর সেই বিখ্যাত পাগলাটে কাস্টমারটা এখনও আসেনি। পাগলটা কি আসবেনা? কিছুটা দুশ্চিন্তাও হয় অ্যানার। পাগলটা পাওলোর কাছে প্রতি সপ্তাহেই এই দিনটাতে আসে, বেশ কিছু পাখি কিনে নেয় একেবারে নগদ ফ্লোরিন (Florin, তখনকার মুদ্রা। প্রতিটা মুদ্রাতে প্রায় সাড়ে তিন গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণ থাকত) দিয়ে। কিন্তু এই প্রথমবার এত দেরী হচ্ছে। একটু দুঃশ্চিন্তা হয় অ্যানার। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেখতে দেখতে লোকটার প্রতি একটা মায়া তৈরী হয়ে গিয়েছে। লোকটার চোখগুলো অ্যানাকে মুগ্ধ করে বেশী, সব কিছুই দেখে কিন্তু খেয়াল করে না কিছুই। অন্য এক জগৎ নিয়ে যেন মত্ত থাকে চোখ দুটো!

আরেকটা জিনিস অ্যানাকে টানে, লোকটার পাগলাটে স্বভাব। চুপচাপ পাখিগুলো কিনবে, পাওলো যা দাম চায় সেটাতেই! তারপর সবার সামনে সেগুলোকে এক এক করে খাঁচা থেকে বের করে আকাশে উড়িয়ে দেবে। অ্যানা তখন খুব ভালো করে লোকটাকে লক্ষ্য করে, প্রতিবার আশা করে পাখিগুলোকে ছেড়ে দেবার সময় ওর চোখদুটোতে এক ঐশ্বরিক আনন্দ ভেসে উঠবে, কিন্তু প্রতিবারই হতাশ হয়। চোখদুটো তেমনই থাকে, কিছু যেন খুঁজে বেড়ায়।

হঠাৎ অ্যানার খেয়াল হয়, ঝিমানো বাজারটা একটু নড়ে চড়ে উঠলো যেন! হ্যাঁ, ওইযে আসছে লোকটা, অ্যানার মনে এক প্রকার প্রশান্তি ভর করে।

অ্যানা আর পাওলোর গল্প এখানেই শেষ।

সমস্যা হচ্ছে পাগলাটে লোকটাকে নিয়ে, তাঁর সম্পর্কে কি বলব? পাগল? নাহ্‌। তা বলার মত কোন তথ্য নেই। তাহলে পাখি প্রেমিক? তা তো অবশ্যই! নইলে এমন কাজ করতে পারেন? এ ছাড়াও আরও কিছু তথ্য আছে লোকটার সম্পর্কে বলার-

অনেক কিছুর পাশাপাশি ইনি ছবিও আঁকতে পছন্দ করতেন। ইনি মারা যাবার প্রায় ৪৪৩ বছর পর ১৯৬২ সালের ১৪ই ডিসেম্বর ইনার আঁকা একটি ছবি ফ্রান্সের ল্যুভে মিউজিয়াম থেকে আমেরিকার ওয়াশিংটন ডি সি এবং নিউইয়র্কে বিশেষ প্রদর্শনীর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ছবিটি তার আশ্রয়স্থল, মানে ল্যুভে মিউজিয়াম থেকে মোট ৮৭ দিন বাইরে ছিল, অবশ্য এর জন্য মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ একটি ইন্স্যুরেন্স করেছিলেন। আর এই ইন্স্যুরেন্স মূল্য কত ছিল জানেন? বেশী না, মাত্র দশ কোটি ডলার! আর ছবিটির মূল্য? নির্ধারণ করা অসম্ভব, এক কথায় – অমূল্য।

আর, গিনেজ রেকর্ড অনুযায়ী এটিই এ পর্যন্ত কোন ছবির জন্য সর্বোচ্চ অংকের ইন্স্যুরেন্স। আর তা হবেই না বা কেন? ছবিটার নাম যে- মোনালিসা!

আর আঁকিয়ে? – লিওনার্দো দা ভিঞ্চি! শুধু আঁকিয়ে নয়, একজন বাস্তবিক - সুপার হিউম্যান।

অনেকেই লিওনার্দো দা ভিঞ্চিকে শুধু একজন আঁকিয়ে হিসেবেই জানেন, এতে আসলেই তাঁর প্রতি অসম্মান হয়। সিগমুন্ড ফ্রয়েড এই অসামান্য প্রতিভা সম্পর্কে লিখছেন - “like a man who awoke too early in the darkness, while the others were all still asleep.” আজকে তাঁর বিষয়ে গবেষণা করতে গেলে গবেষকরা কোন বিষয়ে সবচেয়ে বেশী সমস্যায় পড়ে জানেন? সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় এটা নির্ধারণ করতে – তিনি আসলে কি ছিলেন না !!!

ভাস্কর্যশিল্পী(Sculptor)

ইতালীর মিলানের ডিউকের বাবার সম্মানে তিনি একটি ভাস্কর্য তৈরী করেন। ভাস্কর্য টি ছিল ২৪ ফুট উঁচু একটি ঘোড়া। এই ভাস্কর্য তৈরি করতে লিওনার্দো তাঁর শৈল্পিকতা আর প্রকৌশলিক জ্ঞান দুটোই কাজে লাগিয়েছিলেন। প্রকৌশলিক জ্ঞান এজন্যেই প্রয়োজন ছিল যে, বিশাল একটি কাঁদামাটির ডামির ওপর ব্রোঞ্জের কাস্টিং ততটা সহজ নয়, যতটা সহজ মনে করা যায়। তাঁর ওপর এটাই ছিল তখনকার সময় পর্যন্ত সবচাইতে বৃহদাকৃতির ব্রোঞ্জ ভাস্কর্য। বিস্তারিত বিষয়টা পরে ব্যাখ্যা করছি। এর আগে একটা মজার ঘটনা বলে নিই।

ভাস্কর্যটির (Il Cavallo) ওপর ব্রোঞ্জের কাস্টিং করার জন্য যে ব্রোঞ্জ দরকার হয়েছিলে সেটা যোগাড় করা হয়েছিল কিছু কামান থেকে। কামান গুলো তখন রাখা হয়েছিল মিলানকে ফ্রেঞ্চ আর্মির আক্রমন থেকে রক্ষা করার জন্য। দূর্ভাগ্য বশতঃ ফ্রেঞ্চ আর্মি কিছুদিন পর মিলান দখল করে নেয়। মিলান দখল করার পর ফ্রেঞ্চ আর্মিরা এই অমূল্য ভাস্কর্যটিকে তাদের গুলির টার্গেট প্র্যাক্টিসের জন্য ব্যবহার শুরু করে, এবং এক সময় প্রায় ধংসস্তুপে পরিণত করে।

চার্লস সি ডেন্ট নামক ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একজন পাইলট ১৯৭৭ সালে আবার ভাস্কর্য টি সম্পূর্ণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। প্রথমে তিনি এটিকে অন্যান্য ভাস্কর্যের মতই সাধারণ ভাস্কর্য মনে করলেও আস্তে আস্তে তার ভুল ভাঙতে থাকে।
এক পর্যায়ে এসে তিনি ভাস্কর্যটি তৈরিতে অর্থ সংস্থানের জন্য “লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি হর্স ইনকর্পোরেটেড (Leonardo da Vinci's Horse, Inc. (LDVHI)” নামক একটি নন-প্রফিট প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে বাধ্য হন, যা শুধু এই প্রজেক্টের অর্থ যোগানের জন্য।

১৯৯৪ সালে চার্লস সি ডেন্ট মারা গেলে পিটার সি ডেন্ট, তাঁর ভাগনে, প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তখন পর্যন্ত প্রজেক্টের কাজ সম্পূর্ণ হয় নি।

১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি “টালিক্স আর্ট ফাউন্ড্রি (Tallix Art Foundry)” নামক নিউ ইয়র্কের আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে ভাস্কর্যটি ব্রোঞ্জ কাস্টিং করার কন্ট্রাক্ট হস্তান্তর করে। টালিক্স আর্ট ফাউন্ড্রির সাজেশন অনুযায়ী তখনকার বিখ্যাত প্রাণী ভাস্কর্যবিদ “নীনা আকামু (Nina Akamu)” কে প্রজেক্টের কাজ সম্পন্ন করার জন্য আনা হয়। কয়েক মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করার পর নীনা আকামুর মত বিখ্যাত ভাস্কর্য শিল্পীও ঘোষণা দেন “নাহ্‌ সম্ভব না”।

লিওনার্দোর অরিজ্যিনাল ভাস্কর্যটি সম্পন্ন করা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব না, বরং এর মতই আরেকটি ভাস্কর্য তৈরী করা যাক। সব দিক বিবেচনা করে নীনা আকামু প্রথমে লিওনার্দোর চিন্তা ভাবনা ও ভাস্কর্যের স্কেচ গুলোর ওপর প্রাথমিক গবেষণা শুরু করেন। এই প্রথম নীনা আকামু আবিস্কার করেন যে, দেখতে সাধারণ একটি ভাস্কর্যের মত মনে হলেও অসংখ্য স্কেচ আর দূর্বোধ্য ব্যাখ্যা সমূহের মধ্যে লিওনার্দো একটি ভাস্কর্যের মধ্যে সন্নিবেশ ঘটিয়েছেন - এনাটমি, পেইন্টিং, ভাস্কর্য শিল্প আর প্রকৃতি তত্ত্বের! মানুষ এতটা জিনিয়াস হয় কি করে ???

আধুনিক যুগের সেরা সব ভাস্কর্য শিল্পীদের ভাস্কর্য শিল্পটি সম্পূর্ণ করতে সময় লেগেছিল মাত্র ১৫ বছর! আর খরচ হয়েছে মোট ২৫ কোটি ডলার! আর নীনা আকামু? তিনি এখন ন্যাশনাল স্কাল্পচার সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, তাঁর বিখ্যাত সব কর্মের মধ্যে লিওনার্দোর ভাস্কর্যটিই সব চাইতে সেরা।

স্থপতি (Architect)
দূর্মুখ(!) বিশেষজ্ঞরা বলে বেড়ান তাঁর বেশিরভাগ স্থাপত্য কীর্তি গুলো সব থিয়োরির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, বাস্তবতার আলো দেখেনি একটিও। আমি বলি তা হবে না? উনি কি আর মুঘল সম্রাজ্য কিংবা আধুনিক স্থাপত্যের জন্য ডিজাইনগুলো করেছিলেন নাকি? উনি যখন স্থাপত্যগুলোর ডিজাইন করেছিলেন তখন মধ্য ইউরোপে সবেমাত্র রেঁনেসা শুরু, নয়ত উনার পেশ করা ডিজাইনগুলো বাতিল হবার আর তার পেছনে কমেন্ট কি কি থাকত শুনুন - "How to set up a framework for making decorations in the shape of a building." অথবা "How to decorate a platform which has been erected for celebration." এদিকে তাঁর স্থাপত্য ড্রয়িঙয়ে যে জিনিসগুলো দেখে আধুনিক যুগের স্থপতিরাও অবাক হয়ে যান সেগুলো হচ্ছে অগনিত ডোম, চ্যাপেল, চতুর্মূখি স্টেয়ারকেস, ডাবল স্পাইরাল স্টেয়ারকেস, মাল্টি লেভেল থ্রোফেয়ার ফর প্যাডেস্ট্রেইন্স এ্যান্ড কমার্শিয়াল ট্রাফিক ইত্যাদি।
তিনি তাঁর স্থাপত্য কলায় এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে একবার তিনি ল্যুদভিক ইলমোর (Ludovico il More) কে সমস্ত মিলান নগরী পুনঃগঠনের নকশা তৈরি করে দিয়েছিলেন।

গণিতবিদ (Mathematician)
গণিত সম্পর্কে লিওনার্দো আকর্ষণ অনুভব করেন বিখ্যাত ইতালীয় গণিতবিদ ফ্রা ল্যুকা প্যাসিওলি (Fra Luca Pacioli) এর সাথে পরিচয়ের পর, বিশেষ করে প্যাসিওলি যখন তাকে জ্যামিতিক ব্যপারটা বুঝাতে সম্মত হন। বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায় প্যাসিওলির বিখ্যাত বই - On Divine Proportion সম্পাদনের ক্ষেত্রে লিওনার্দোর বিশেষ অবদান ছিল।

"There is no certainty where one cannot apply any of the mathematical sciences." বর্তমান যুগে বিশ্বব্যাপি এটি একটি স্বীকৃত তত্ত্ব। এই তত্ত্বের উৎকর্ষক লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি। তখনকার সময়ে কেউ এরকম তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করতে পারে এটা এক চরম বিস্ময়।

বিজ্ঞানী এবং আবিস্কারক (Scientist and Inventor)
অনেকে আবার বিজ্ঞানী হিসেবে তাঁকে স্বিকৃতি দেবার ক্ষেত্রে দুই কদম এগিয়ে থাকেন। প্রথ কদমে বলেন – “হ্যাঁ, উনি বিজ্ঞানী ছিলেন”, দ্বিতীয় কদমে বলেন – “উনিই আধুনিক বিজ্ঞানের পিতা”। নিন, এবার সামলান ঠেলা। আর সামলেবেন না কেন? আমিই কিছু ঠেলা দেই, দেখি সামলান তো-
উনি সেই ১৫ শতকেই যেসব আধুনিক জিনিসের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে দিয়েছিলেন, সেগুলো হচ্ছে- ট্যাঙ্ক, হেলিকপ্টার, মেশিন গান, প্যারাস্যুট (প্লেন তখনও আবিষ্কার দূরের কথা, মানুষের কল্পনাতেও আসেনি), রোবট, বাইসাইকেল (এর ৩০০ বছর পর বাইসাইকেল প্রথম রাস্তায় নামে), এ্যারোপ্লেন, ঘূর্ণায়মান ব্রিজ, হাইড্রলিক পাম্প, পানিতে ভাসারযোগ্য জুতো, স্কুবা গিয়ার, এক প্রকার ডাইভিং বেল যেটি প্রয়োজনের সময় পানির নীচ দিয়ে অন্য জাহাজ আক্রমন করতে পারবে (অনেকটা আধুনিক যুগের টর্পেডোর কাছাকাছি), প্যাডেল বোট, পাইল ডাইভার, রিভলবিং ক্রেইন, পুলি, লেগুন ড্রেজ, এবং মোটর গাড়ি। তৈরি করে ফেলেছিলেন পানিতে ভাসার জন্য সর্বপ্রথম ইনফ্ল্যাটেবল টিউব। তিনিই সর্বপ্রথম আবিস্কার করেন আকাশ কেন নীল দেখায়।

আরেকটি মজার ব্যপার বলি, আড্রিয়ান নিকোলাস নামক একজন স্কাইডাইভার সাউথ আফ্রিকাতে ২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে আকাশ থেকে একটি প্যারাস্যুটে মাটিতে অবতরন করেন। এই প্যারাস্যুটটি ছিল লিওনার্দোর ডিজাইন অনুযায়ী তৈরি করা।

কবি, সঙ্গীতশিল্পী এবং মিউজিশিয়ান (Poet, Singer and Musician)
তিনি ছিলেন একজন সুপঠিত কবি, শ্রুতিমধুর সঙ্গীতশিল্পী আর একজন মিউজিশিয়ান। ভাসারী (Vasari) তাঁকে একজন এক্সিলেন্ট মিউজিশিয়ান টাইটেলে ভূষিত করেছিলেন। মিউজিক চর্চার পাশাপাশি তিনি মিউজিকাল ইন্সট্রুমেন্ট এর উৎকর্ষ সাধনও করেছেন। গুজব আছে ভায়োলিন ও নাকি তিনিই আবিস্কার করেছিলেন।

শারীরবিদ(Anatomist)
১৫০৬ সালে তাঁর সামনে যখন একজন বৃদ্ধ ১০০ বছর বয়সে মারা গেলেন তখনই শরীর তত্ত্ব বিষয়ে তাঁর আগ্রহ শুরু হয়। তাঁর অজস্র স্কেচ পাওয়া গেছে এই শরীর তত্ত্ব বিষয়ে, কি নেই এতে?

তবে সমস্যা ছিল অন্য জায়গায়! মানব শরীর নিয়ে গবেষণায় তিনি কবর থেকে লাশ চুরি করে ফেলতেন, হ্যাঁ, একদম সত্যি কথা! তাঁর এই গবেষণায় প্রায় ত্রিশটি লাশ তিনি চুরি করেছিলেন।

শিল্পী, ভাস্কর এবং প্রকৌশলী হিসেবে তিনি মানব দেহ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন, দেহ কিভাবে কাজ করে, আবেগ গুলো কোথায় লুকিয়ে থাকে, এইসব বিষয়ে তাঁর আগ্রহ ছিল বেশী। তাঁর গুরু প্রফেসর মারকানটোনিও ডেলা টোরে (Marcantonio della Torre) ১৫১১ সালে প্লেগে মারা যাবার দুই বছর পর লিওনার্দো শরীর তত্ত্ব বিষয়ে তাঁর আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। তবে তত দিনে তিনি বুঝে গিয়েছেন মানুষের আবেগ তাঁর হার্ট, লিভার বা রক্তে থাকে না, থাকে অন্য কোথাও।

ভূতত্ত্ববিদ (Geologist)
বাইবেলের বুক অব জেনেসিসে পৃথিবীর একটা অনুমানিক বয়সের ধারণা দেয়া আছে।
- না, ওটা ঠিক না। পৃথিবীর বয়স আসলে আরও বেশী। কিভাবে? এভাবে, এভাবে, আর এভাবে...
বিষয়টি একেবারে স্পস্ট করে দিয়েছেন লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি।

শুধু তাই নয়, ১৮০০ সালের গোড়ার দিকে আল্পস্‌ পর্বতমালার সুউচ্চে কিছু গুহায় মাছ এবং কিছু জলজ উদ্ভিদের ফসিল আবিস্কার হোল। বিজ্ঞানীরা উঠে পড়ে লাগলেন এর রহস্য সমাধানে, কিন্তু সমাধান আর পাচ্ছিলেন না। এত উঁচুতে মাছ আর জলজ উদ্ভিদ যাবে কিভাবে? কিন্তু সমাধান যে দিতেই হবে, নইলে কি আর ইজ্জত থাকে?

অতঃপর সহজ সমাধান! আরে বাবা ডারউইন সাহেব ছিলেন না? উনি কি আর এমনি এমনি বিবর্তনবাদ মতবাদ দিয়ে গেছেন নাকি? পৃথিবীর অর্ধেকের বেশী মানুষ যেটা বুঝে না, কিন্তু সবাই বলে বুঝি, সেটার ওপরই চাপিয়ে দাও! বলে দাও – দেখো হে মানব জাতি, বিবর্তনের কি নমুনা! আগে মাছেরাও পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে বেড়াত।

ঠিক এমনি সময়ে হাতে আসে লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির কিছু তত্ত্ব। ইউরেকা ইউরেকা! এই যে, দেখ ভাই এখানে দেয়া আছে, এগুলো আসলে মাছ আর জলজ উদ্ভিদই ছিল। ওরা সাঁতার কেটেই এখানে এসেছিল।
- আরে বাবা সাঁতার কেটে ওখানে যাবে কিভাবে? অত উঁচুতে কি সমুদ্র ছিল?
- আলবৎ ছিলনা, আরে বোকা পৃথিবী আস্তে আস্তে সংকুচিত হয়ে আসছে আর এই সব পাহাড় আগে সমতল ভূমির অন্তর্গত ছিল, সংকোচনের ফলে পাহাড়গুলো আস্তে আস্তে উঁচুতে উঠে যায়। মাথায় গেছে এবার ব্যপারটা? বোকা কোথাকার!
এটাতো গেল ১৮০০ সালের কয়েকশ বছর আগে আবিস্কার করা লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির গবেষণা লব্ধ ফলাফল। এরও প্রায় একশ বছর পর গবেষকরা আবিস্কার করেন যে, বাইবেলে বলা কিছু কথা যা প্রকৃতির সাথে মেলে না এমন কিছু তত্ত্ব আসলে ডারউইন সাহেব আবিস্কার করেন নি, আবিস্কার করেছেন লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি সাহেব।

জ্যোতিষবিদ (Astrologer)
আচ্ছা মানুষ কখন ভাগ্য নিয়ে সন্দিহান হয়? খুব সুখে? হঠাৎ করে লটারিতে একগাদা টাকা পেয়ে গেলে কেউ কি ভাগ্য গণণা করতে যায়? নাকি হঠাৎ করে ধনীর আদূরে দুলালী বউ যদি ঘোষণা দিয়ে বসে, সে আর সংসার করবে না, তখন যায়? অবশ্যই তখনি যাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মানুষ ভাগ্যে সন্দিহান হয় দুঃখে, সুখে না।

আধুনিক জ্যোতিষবিদ্যায় বিখ্যাত জার্মান জ্যোতিষবিদ থমাস রিং (১৮৯২-১৯৮৩) এক উল্লেখ যোগ্য নাম। তিনি তখন মানুষের জীবনে মানবিক সম্পর্ক বা বিচ্ছেদে গ্রহ রত্নের প্রভাব বের করার চেস্টা করছিলেন। এ বিষয়টা খুব জটিল এবং সেনসিটিভ। ঠিক তখনই তিনি সাহায্য পেয়ে যান লিওনার্দোর জ্যোতিষবিদ্যা বিষয়ক গবেষণা লব্ধ রিপোর্ট থেকে। হুবহু তিনি সেটিকে কপি করে দেন। পরবর্তীতে জ্যোতিষবিদ্যায় আরেক মহা গুরু নোয়েল টাইল লিওনার্দোর হরস্কোপ বিষয়ক লেখাগুলো নিয়ে গবেষণা শুরু করেন এবং প্রায় ৬০০ টি গবেষণার পর কৃতজ্ঞ চিত্তে স্বীকার করে নেন, নাহ্‌ ব্যাটার হরস্কোপ একেবারে নিখুঁত আর পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য। এখান থেকেই উৎপত্তি হয় কুইনডিসাইল (Quindecile) বা ১৬৫ ডিগ্রী অ্যাসপেক্ট (যারা জ্যোতিষবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন তারা ভাল জানবেন) ।

উদ্ভিদবিদ (Botanist)
ইতালীর বিখ্যাত বোটানিক্যাল জার্নাল - Nuovo Giornale Botanico Italiano, ফ্লোরেন্সে পাবলিশড্‌, এতে বিখ্যাত বোটানিক্যাল রিপোর্টার উজিয়েল কিছু ইন্টারেস্টিং তথ্য তুলে দিয়েছিলেন লিওনার্দোর একটি কাজ থেকে - On Trees and Vegetation, যা বোটানিক্যাল রিপোর্টিংয়ে পরবর্তীতে কিছু নিয়ম নির্দেশ করে যা এখনও বিশ্বব্যাপি বোটানিক্যাল রিপোর্টাররা মেনে চলছে।

লেখক (Writer)
লিওনার্দো ছিলেন বাঁ হাতি, তখনকার সময়ে বাঁ হাতে লেখা অস্বাভাবিকতা হিসেবে ধরা হোত, যে সব বাচ্চারা বাঁ হাতে লিখত ছোটবেলাতেই তাদেরকে জোর করে ডান হাতি বানানো হোত। নিজস্ব কিছু শর্টহ্যান্ড কোড ছিল লিওনার্দোর, যা সে নিজেই আবিস্কার করেছিল, অন্য কেউ জানত না। এ ছাড়া তাঁর আরেকটি স্বভাব ছিল উল্টো করে লেখার, যা পড়া সম্ভব ছিল আয়নার সামনে নিয়ে। এরকম অদ্ভুৎ স্বভাবের বেশ কিছু ধারণা পরবর্তীতে পাওয়া যায়, কিন্তু তিনি নিজে কোন ব্যখ্যা দিয়ে যান নি।

মানচিত্রকার (Cartographer)
মানচিত্র তৈরী করার ব্যাপারে লিওনার্দো এক অদ্ভুৎ ফিলোসফি ব্যবহার করতেন, সমগ্র এলাকা ভ্রমণের পাশাপাশি তিনি নিজের দৃশ্যমান অঞ্চলগুলোকে পাখির চোখের মত উপর থেকে দেখার চেস্টা করতেন। ফলশ্রুতিতে অঙ্কিত হয় একেকটা অসাধারণ মানচিত্র। কোন প্রকার যন্ত্রপাতি ব্যবহার ছাড়া তৈরি করা মানিচিত্র গুলো দেখুন। একেবারে নিখুঁত, আজ পর্যন্ত।




ফ্যাশন ডিজাইনার (Fashion designer)
ফ্যাশন ডিজাইনারও ছিলেন ইনি! মাত্র কিছুদিন আগে একটানা কয়েক মাস গবেষণার পর উদ্ধার করা যায় অনেক কিছুর পাশাপাশি তিনি ফ্যাশন ডিজাইনও করতেন। তাঁর দুর্বোধ্য আঁকা আকি থেকে উদ্ধার করা একটি হ্যান্ডব্যাগের ছবি। কতটা আধুনিক দেখুন!


তাহলে এবার বলুন তিনি কি ছিলেন না! তাঁর চিত্রকলার ব্যাপারটার মধ্য দিয়ে আর গেলাম না, কারণ ছোটবেলা থেকে তাঁর চিত্রকলা নিয়ে এত পড়ে এসেছি যে ওগুলো নিয়ে আরও লিখলে তা পাঠকের মনে হয়ত বিরক্তিরই উদ্ভব ঘটাবে। কিন্তু কিছু বিষয় আরও আছে যেগুলো হয়ত অনেকেই জানেন না।

১। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ছিলেন ইতালীর সর্বপ্রথম পেইন্টার, যিনি তৈল রং (oil paint) ব্যবহার করেছিলেন।

২। তিনি নিরামিষভোজী ছিলেন, আর তা ধর্মীয় কোন ব্যপার থেকে নয়, বরং জীবজন্তুর প্রতি ভালোবাসা থেকে।

৩। তিনি চিরকুমার ছিলেন এবং তাঁর কোন সন্তান ছিল না।

৪। নিজের কাজের বিষয়ে অত্যন্ত পারফেকশনিস্ট ছিলেন তিনি। মোনালিসার ঠোঁট আঁকা শেষ করতে তাঁর সময় লেগেছিল প্রায় দশ বছরের মত।

৫। দা লাস্ট সাপার ছবিটি আঁকার পেছনে তিনি নাটকীয় ভাবে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন যে, যীশু খৃস্ট যখন ঘোষণা করেন তাঁর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে তখন মোমেন্ট টি কেমন হয়েছিল।


৬। লিওনার্দোর আসল বাবা মা স্বামী-স্ত্রী ছিলেন না।

৭। ইউনিভার্সিটি অফ অ্যামস্টারডাম এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়েস এর একদল গবেষক ফেইস রিকগনিশন সফটওয়্যার দিয়ে মোনালিসার হাসি গবেষণা করে আবিস্কার করেছেন সেখানে ৮৩% খুশী, ৯% বিরক্ত, ৬% ভয় আর ২% রাগ আছে।

৮। ১৯৯৫ সালে বিল গেটস্‌ লিওনার্দোর একটি ম্যানুস্ক্রিপ্ট কিনে নেন। ম্যানুস্ক্রিপ্টটি ছিল হাইড্রলিক আর পানির মুভমেন্ট এর ওপর, এটি কিনতে বিল গেটস্‌ সাহেবের খরচ হয় তিন কোটি ডলার।


৯। মোনালিসা ছবিটিকে নিরাপদে সংরক্ষণ এর জন্য সাম্প্রতিক কালে ল্যুভে মিউজিয়ামের খরচ হয় প্রায় ৫৫ লাখ ডলার।

১০। ২০০৩ সালের অগাস্টে লিওনার্দোর আঁকা প্রায় সাড়ে ছয় কোটি ডলার সমমূল্যের “Madonna of the Yarnwinder” চুরি হয়ে যায়, স্কটল্যান্ডের ড্রুমলানরিগ ক্যাসেল থেকে ছবিটি চুরি করে ট্যুরিস্ট পরিচয়ে ঘুরতে আসা দুই জন লোক।


১১। লিওনার্দোর আঁকা মোনালিসা ছবিটি ৪০০০ ফ্লোরিন (বর্তমান মানে প্রায় দুই লাখ ডলার) দিয়ে প্রথম কিনে নেন কিং ফ্রান্সিস-১, তাঁর বাথরুমে টাঙ্গানোর জন্য।

কিং ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর নেপোলিয়ন মোনালিসা নিয়ে যান তাঁর বেডরুমের শোভা বর্ধনের জন্য। সেখানে প্রায় চার বছর থাকার পর ১৮০৪ সালে মোনালিসার স্থান হয় বর্তমানের ল্যুভে মিউজিয়ামে।

১২। ১৯১১ সালে মোনালিসা প্রথম চুরি হয় ল্যুভে মিউজিয়াম থেকে। ল্যুভে মিউজিয়াম থেকে কোন চিত্রকর্ম চুরির ওটাই প্রথম রেকর্ড। প্রায় দুই বৎসর লাপাত্তা থাকার পর ল্যুভের এক প্রাক্তন কর্মচারীর কাছ থেকে মোনালিসা উদ্ধার করা হয়। সে উফিজি মিউজিয়ামে সেটা বিক্রী করার চেস্টা করছিল।

১৩। ১৯৫৬ সালে মোনালিসার ওপর প্রথম আক্রমণ আসে, এক লোক মোনালিসার ওপর এসিড ছুরে মারে। একই বছর আরেক লোক পাথর ছুড়ে মারে।


লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি
জন্মঃ ১৫ই এপ্রিল, ১৪৫২, আচিয়ানো, টুসকান, ইতালী।
মৃত্যুঃ ২রা মে, ১৫১৯, ক্লস ল্যুসে, ফ্রান্স।


পুনশ্চঃ “কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন” এর পরবর্তী কয়কটি পর্ব বিখ্যাত কিছু ব্যক্তিদের মজার সব অজানা খবর পাঠকদের সামনে হাজির করতে চাচ্ছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় জগৎ সেরা বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের বিষয়ে কিছু তথ্য এর আগের পর্বে দিয়েছি। কিন্তু এই পর্বে লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির বিষয়ে তথ্য জোগাড় করতে গিয়ে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হোঁচট টা খাই। কি লিখব ইনার বিষয়ে? ইনার বিষয়ে লেখার কোন অভাব আছে? মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল ভুল জায়গায় হাত দিয়েছি, যেখানে শত শত নামকরা গবেষক তাঁকে নিয়ে এখন পর্যন্ত গবেষণা করে যাচ্ছে, যেখানে তাঁর সম্পর্কে এখন পর্যন্ত নিত্য নতুন তথ্য আবিস্কার হচ্ছে সেখানে এত বড় মাপের মানুষের বিষয়ে আমার মত এত ছোট মাপের লেখকের কোন প্রকার লেখার চেস্টা আসলেই চরম ধৃস্টতা। লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি এমনই এক ব্যক্তি যার সম্পর্কে জানা হয়ত কোন কালেই শেষ হবে না, তারপরেও ভাবলাম যাই হোক, যতটুকুই হোক শেয়ার করে ফেলি সবার সাথে। আমার এ লেখায় কোন প্রকার ভুল বা ভ্রান্তির জন্য আমি আগেই সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, আর সেই সাথে অতি অসাধারণ এক মানব, এক পারফেক্ট সুপার হিউম্যান, দা একজ্যাক্ট রেনেসাঁ ম্যান – লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির প্রতি লক্ষ কোটি শ্রদ্ধা।

চলবে-

এই সিরিজের অন্যান্য পোষ্টগুলিঃ

১। কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-১
২।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-২
৩।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৩
৪।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৪
৫।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৫
৬।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৬
৭।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৭
৮।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৮
৯।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৯
১০।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-১০
১১।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-১১

মন্তব্য ৫৭ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: :) :) :)

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৩

বাবুসোনা হক বলেছেন: এক কথায় দুর্দান্ত, অসাধারন এই ব্যক্তির জীবন সর্ম্পকে অনেক কিছু অজানা তথ্য পেলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার অনেক পরিশ্রম হয়েছে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই সময় নিয়ে পড়ার জন্য।

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। অনেক তথ্য জানা হলো। ধন্যবাদ প্লাবন ভাই। শুভেচছা রইল।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই সুন্দর কমেন্টের জন্য।

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৪

সিপন মিয়া বলেছেন: "কত কিছু জানিলাম রে! নিজ দ্বায়িত্বে হজমও করিলাম।" ধন্যবাদ লেখক।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।

৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫০

সুমন কর বলেছেন: লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি -- এতো কিছু জানতেন বা করেছেন।

সময় নিয়ে এমন একটি চমৎকার সিরিজ চালিয়ে যাবার জন্য ধন্যবাদ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: @সুমন ভাই, আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্টের জন্য।

৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার হচ্ছে প্লাবন ভাই! আপনার এই সিরিজটির জন্য শুভ কামনা রইল।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ @কা_ভা ভাই, আপনাদের সহযোগিতা ও উৎসাহের জন্যই তা সম্ভব হয়েছে।

৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮

মোহাম্মদ মুনতাসীর মামুন বলেছেন: যা জানতে পারলাম তা হজম করতে কয়েক বছর লেগে যাবে ৷ না ইনি মনে হয় মানুষই ছিলেন ৷ :(

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: হা হা হা, হজম করতেই কয়েক বছর? এ তো রীতিমত অবিশ্বাস্য!!

ধন্যবাদ ভাই।

৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫

খালেদ সাইফুল্লা বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। অনেক তথ্য জানা হলো। ধন্যবাদ প্লাবন । শুভেচছা রইল।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫০

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ @খালেদ ভাই, দোয়া করবেন।

৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

সাহসী সন্তান বলেছেন: দারুন পোস্ট! সোজা প্রিয়তে চালান করে দিলাম!

পৃথিবীতে যে কয়জন মহিয়ষী নারীকে আমার সব থেকে বেশি ভাল লাগে তার মধ্যে 'মোনালিসা' হলো অন্যতম। তাহলে তার সৃষ্টিকর্তাকে কতটা ভাল লাগে একবার ভাবুন?

ধন্যবাদ চমৎকার পোস্টের জন্য!!

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ @সাহসী সন্তান ভাই।

১০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট ভাই। অনেক অজানা তথ্য জানলাম।
ধন্যবাদ অনেক পরিশ্রমের ফসলটুকু আমাদের গোলায় তুলে দেয়ার জন্য।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: পরিশ্রমের ফসল গ্রহন করায় আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞ ভাই। দোয়া করবেন যাতে আরও ফসল ফলাতে পারি।

১১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

জেন রসি বলেছেন: জ্ঞানের কত শাখা একসাথে চর্চা করা যায় জানতে হলে ভিঞ্চিকে জানতে হবে।

চমৎকার পোষ্ট।

ধন্যবাদ ভাই।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ @জেন রসি ভাই।

১২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অবিশ্বাস্য! গো এ্যাহেড।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: @হাসান ভাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।
ধন্যবাদ প্লাবনভাই।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ @নড় মোহাম্মদ ভাই।

১৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

জুন বলেছেন: ভিন্চির আঁকা বিখ্যাত স্কেচ vitruvian man দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ভেনিসের আকাদেমিয়ায় ।
শত গুনে গুনান্বিত এই ব্যাক্তির প্রতি অসীম শ্রদ্ধা।
কিছু মনে না করলে একটি কথা বলি, তা হলো আপনার লেখার শিরোনাম আমাকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেয় লেখক । বয়সের দরুন সংখ্যাটা মনে থাকেনা। ফলে মন্তব্যের ঘরে একই শিরোনামের পোষ্ট দেখে ভাবি
' ওহ এতো আমি আগেই পড়েছি' :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য।

আপনার সমস্যাটা আমি বুঝতে পেরেছি। আমি যথাসম্ভব চেস্টা করব এ সমস্যাটা যেন আর না হয়। আসলে সিরিজ লিখছি তো তাই এই মূহুর্তেি মাথায় কোন সমাধান আসছে না।

আপনি যদি কোন সাজেশন দিতেন তাহলে উপকার হোত।

১৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০

জুন বলেছেন: আমার মনে হয় যদি একই শিরোনাম রাখে তবে পাশে যাকে নিয়ে লিখছেন তার নাম উল্লেখ করে দিলে আমার মতন লোকজনের সুবিধা হয় :)
আমার লেখায় খেয়াল করলে দেখবেন বেশিরভাগ সিরিজ লেখায় শিরোনাম পালটে দেই । এতে কনফিউশনের ভয় থাকে না । যেমন বার্মা নিয়ে ১০ পর্ব লিখেছি কিন্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিরোনাম ভিন্ন। আমি যদি বার্মা ১ , বার্মা ২ এমন ভাবে লিখতাম অনেকেরই বুঝতে ঝামেলা হতো । তাই নয় কি ? একটা বই লিখলে সমস্যা হতো না ।
আশা করি আমার সাজেশনে আপনি বিরক্ত হবেন না প্লাবন ।
ভালো থাকুন সব সময় আর সাথে থাকুন ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ভালো সাজেশন আপু, এখনই করে দিচ্ছি।
ধন্যবাদ।

১৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্লাবন২০০৩ ,




আমার খুব পছন্দের একজনকে নিয়ে লিখেছেন । আমি অবাক হয়ে ভিঞ্চির সব কাজ বিশেষ করে ছবি ও ভাষ্কর্য খুটিয়ে খুটিয়ে দেখি । নিখুঁত ।

ভালো লাগলো ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ @আহমেদ ভাই।

১৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। এমন চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০০

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ @তামান্না, আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য।

১৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৮

কালীদাস বলেছেন: লিও জ্যাঠারে নিয়া মুটামুটি জানতাম। আপনের লেখাটা ভারি সৌন্দর্য হইছে :) এইসিরিজের আরও লেখা ফাস্ট পেজে দেখছি, ঢুকার ইন্টারেস্ট পাই নাই টপিক দেইখা, আজকেরটায় পাইছিলাম আর ঢুইকা ঠকি নাই। কিপিটাপ :)

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২২

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ঠকেন নাই শুইনা উৎসাহ পাইলাম :)
ধন্যবাদ। উইল কিপিটাপ।

১৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬

সেচ্ছাসেবক বলেছেন: বছর তিন আগে আমার একটা সিরিজ ছিলো ," কত অজানা রে " পর্ব 1 - 44 , এখন সময় হয়ে উঠে না লেখার ।।। ব্লগে একটা ক্লাসিক টাইম পার করছি আমরা ।।। খুব ভাল লাগছে কেও এভাবে এখনো ব্লগে সিরিজ লেখছে দেখে ।।। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ।।। আমি 44 টা পর্ব লিখেছিলাম, দেখার অপেক্ষায় থাকলাম হেরে যাওয়ার ।।।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ভাই, আপনার পেজগুলি একবার ঘুরে আসলাম, পরে সময় করে আবার পুরোটা দেখব। এক কথায় অসাধারণ!

আর হারানোর কথা বলছেন? হারনোর কল্পনাও করি না, আপনাকে গুরু হিসেবেই আপনার চালু করা ব্যতিক্রমধর্মী লেখার উত্তরসূরী হিসেবে নিজেকে আবিস্কার করতে পারলে মর্যাদা বোধ করব।

আপনার কাছে একটাই মিনতি আপনার উত্তরসূরী হিসেবে সেই মর্যাদা টুকু দান করবেন, যাতে আরও লিখতে পারি। আপনার আশীর্বাদ কামনা করছি।

২১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০২

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: আরেকটা খুবই দারুন পোষ্ট। অনেক ভাললাগা জানবেন ভাইয়া :)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, আপু।

২২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একের ভিতর বহু!

আসলেই সময়কে কেউ জহুরীকে চেনে না! যখন হারিয়ে যায় তখন মূল্যায়নে উটৈ পড়ে লাগে! সে হোক আমাদের লালন কিংবা ভিঞ্চি!

তারা আসলেই সময়ের বহু আগে চলা মহা মানুষ ছিলেন।

++++++++++++++

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪২

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: আসলেই তারা সময়ের বহু আগেই চলা মহা মানুষ ছিলেন।
সুন্দর কমেন্ট ও প্লাসের জন্য ধন্যবাদ ভাই। দোয়া করবেন।

২৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: অসম্ভব,অসম্ভব-সুন্দর পোষ্ট।
আপনার কথার প্রতিধ্বনি তুলেই বলতে চাই,
তাহলে এবার বলুন তিনি কি ছিলেন না!
শুভ কামনা।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ @শামছুল ইসলাম ভাই।

২৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৮

টুইস্ট বলেছেন: তথ্যভুল লেখা,পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম,তবে কিছু তহ্যগত ভুল আছে।

লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি নন,আকাশকে কেন নীল দেখায় তা ব্যাখ্যা করার প্রথম উদ্যোগ নেন জন টিন্ডেল।
সূত্র-http://www.math.ucr.edu/home/baez/physics/General/BlueSky/blue_sky.html


আর যে জিনিসটা এখানে বার বার ভুল করা হয়েছে সেটা হলো 'জ্যোতির্বিদ্যা(Astronomy)' এবং 'জ্যোতিষবিদ্যা(Astrology)'.লেখক এই দুটোর মধ্যে গুলিয়ে ফেলেছেন।জ্যোতির্বিদ্যা হলো বিশুদ্ধ বিজ্ঞান,কিন্তু জ্যোতিষবিদ্যাকে অপবিজ্ঞান ধরা হয়।Astrologer এর বাংলা-জ্যোতিষি,জোতির্বিদ না,জ্যোতির্বিদ হলেন Astronomer,দুটোর মধ্যে অনেক পার্থক্য।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ @টুইস্ট, প্রথমেই ঈদ শুভেচ্ছা জানবেন।

আপনার প্রথম পয়েন্ট – “লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি নন,আকাশকে কেন নীল দেখায় তা ব্যাখ্যা করার প্রথম উদ্যোগ নেন জন টিন্ডেল।
সূত্র-http://www.math.ucr.edu/home/baez/physics/General/BlueSky/blue_sky.html

লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি (১৪৫২-১৫১৯) এর The Codex Arundel, British Library তে সংরক্ষিত - Leonardo devoted most of his life to understanding nature...............

(Fourth bullet point)
• He investigated optics and perception with subtle experiments, explaining why the sky is blue, arguing that light has a finite velocity and travels in straight lines, and deducing the existence of a surface within the eye that receives light from a wide field of view.
Source: Click This Link
আশা করি এর পর আর বলার কিছু নেই।

আপনার দ্বিতীয় পয়েন্ট যথাযথ। এখানে জ্যোতিষবিদ্যা আর জ্যোতির্বিদ্যার মধ্যে পার্থক্য গুলিয়ে ফেলা হয়েছিল, আর সেটা হয়েছিল এ ব্যপারে আমার যথাযথ জ্ঞানের অভাবে। এটা এ কারণে হয়েছিল যে Google Translator –এ Astronomer এবং Astrologer দুটোর অর্থই জ্যোতিষ দেখায়, আর আমার অজ্ঞতা বশতঃ জ্যোতিষবিদ্যা কে আমি জ্যোতির্বিদ্যাই মনে করেছিলাম।

এ বিষয়ে ভুলটি ধরিয়ে দেবার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। ভুলটি ঠিক করে দেয়া হয়েছে।

২৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৮

টুইস্ট বলেছেন: আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ ভাই :)

২৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৩

অমিয়েন্দ্র বলেছেন: ++++++ এবং পোস্ট প্রিয়তে :)

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: লেখা ছেড়ে দিয়েছেন না কি?? কিছু পাই না কেন??

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: না ভাই, ছাড়ি নি। জীবিকার্জনের জন্য কিঞ্চিৎ ব্যস্ত। তবে মাঝে মাঝেই ঘুরে যাই।

খবর নেবার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞ।

২৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
চমৎকার সব তথ্য।

লিওনাদোর্ আসলেই একজন জিনিয়াস।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
লিওনার্দোর মত মানুষেরা আসলে সচরাচর জন্মায় না।

২৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০

আহসান শামীম বলেছেন: ইউনিভার্সিটি অফ অ্যামস্টারডাম এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়েস এর একদল গবেষক ফেইস রিকগনিশন সফটওয়্যার দিয়ে মোনালিসার হাসি গবেষণা করে আবিস্কার করেছেন সেখানে ৮৩% খুশী, ৯% বিরক্ত, ৬% ভয় আর ২% রাগ আছে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৬

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: সুন্দর তথ্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.