নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বের বিশালতা, স্রষ্টার উদারতা, মানবতার মহিমা ....., সব কিছুতেই আমি মুগ্ধ।

প্লাবন২০০৩

জীবনের সবচেয়ে বড় সুবিধা জীবনকে কখনো চালাতে হয় না, এ চলতেই থাকে, চলতেই থাক...

প্লাবন২০০৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মার্ট ফোন, স্মার্ট জেনারেশন আর আনস্মার্ট(!) মা। (আমার ছোট ব্লগ)

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭


আমার মেয়ে বলে আমি নাকি সেকেলে। এ যুগের ছেলে-মেয়েদের আবেগ, মানসিকতা, চাহিদা আমি কিছুই বুঝিনা।

আসলেই আমি বুঝি না। মাঝে মাঝে মনে হয়, ওরাও কি বুঝে?

সেদিন আমার কাছে আবদার করল, ওকে একটা স্মার্ট ফোন কিনে দিতে হবে। এ যুগের মেয়ে বলে কথা! আবদার যখন করেছে রাখতেই হবে।

পরদিনই মেয়েকে নিয়ে মার্কেটে গেলাম। ওমা! ও যে মোবাইল গুলোতে হাত দেয় সবগুলোই পঁচিশ-ত্রিশ হাজার টাকার ওপরে! আমি আমার হাতের মোবাইলের দিকে তাকাই, সাড়ে পাঁচ হাজার টাকায় পাঁচ বছর আগে কেনা। দিব্যি এখনো কাজ করে যাচ্ছে। আসলেই আমি সেকেলে মা। এ যুগের ছেলে-মেয়েদের আবেগ, মানসিকতা, চাহিদা আমি কিছুই বুঝিনা।

এতগুলো টাকা আমার কাছে ছিল না। তাই কয়েকদিন পর কিনে দিব বলে কোন মতে ওকে টেনে হিঁচড়ে মার্কেট থেকে বের করে নিয়ে আসলাম।

আমি চিন্তায় পড়ে যাই। আসলে কি আছে ঐ মোবাইলে? মেয়েকে ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করি। সাথে সাথে বুঝিয়ে দেয় আসলেই আমি সেকেলে মা। এ যুগের ছেলে-মেয়েদের আবেগ, মানসিকতা, চাহিদা আমি কিছুই বুঝিনা।

তারপরও আমি জিজ্ঞেস করি ঐ মোবাইলে এমন কি আছে, যেটা আমার এই মোবাইলে নেই? “ওফ্‌ও মা, ঐ মোবাইলে কত্ত গেমস্‌ খেলা যায় জানো তুমি? তোমার মোবাইলে কি ঐসব গেমস্‌ খেলা যাবে? আসলে না মা! তোমাকে নিয়ে কিছুতেই পারি না”।

হুম, বুঝে যাই আমি। কে বলে আমি আনস্মার্ট মা? এ যুগের ছেলে-মেয়েদের আবেগ, মানসিকতা, চাহিদা কিছুই বুঝিনা?

পরদিনই মার্কেটে চলে যাই আমি, একা একা। ওকে বিশাল একটা সারপ্রাইজ দিব ঠিক করি। আমি নাকি সেকেলে মা? আনস্মার্ট!

দোকানীকে বলে একগাদা গেমসের সিডি কিনি। সবই লেটেস্ট। ওর বাবার পিসি তে বসে সবগুলো গেমস্‌ই খেলতে পারবে। কে বলে আমি আনস্মার্ট মা? আসার সময় দোকানীকে বলে আসি, “কোন গেমস্‌ না চললে ফেরৎ দেবো কিন্তু”।

মেয়ে আমার গেমসের সিডি গুলো দেখে তিন হাত সাইজের চিৎকার দেয়। “ওফ্‌ও মা! কে তোমাকে গেমসের সিডি কিনতে বলেছে”?

-কেন! তুইই না বললি ঐ মোবাইলে গেমস্‌ খেলা যায়? তাই তো আমি তোর জন্যে গেমস্‌ গুলো কিনে আনলাম। আমার কি দোষ? আর অত্তটুকুন স্ক্রীণের চেয়ে পিসির মনিটর কত বড় না?

-দরকার নাই আমার গেমস্‌ খেলার, আমি গান শুনব। তোমার ঐ গেমসের সিডি দিয়ে গান শোনা যাবে? বল গান শোনা যাবে? কেন যে মা এত পাকনামো কর? আমি বুঝি না।

-ঠিক আছে। আমি ব্যবস্থা করছি, আপাতত গেমস গুলো খেল। কয়েকটা দিন সময় দে আমাকে।

-বললাম না, দরকার নাই আমার গেমস্‌ খেলার! গেমস্‌ তুমি খেল। আমি গান শুনব।

এ যুগের ছেলে-মেয়ে! কখন কি চায় কিছুই বুঝা যায় না। মাসটা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করি আমি। বেতন টা হাতে পাবার সাথে সাথেই মার্কেটে চলে যাই । দোকানদারকে অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে জেনুইন একটা আই-পড মিনি কিনি। সাথে বেশ কিছু গান আপলোড করে নেই। মেয়ে যদি এবার খুশী হয়!

এবারের চিৎকারটা হয় সাড়ে তিন হাত সাইজের। “কে বলেছে মা তোমাকে এসব কিনে আনতে? কেন? যে জিনিসটা তোমার নাই, সে জিনিসটা খাটাও কেন”?

“কি নাই আমার?”-ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করি আমি।

“কি আবার? মাথা। তুমি বুঝ না?”

আমি আসলেই বুঝিনা, আনমনে হাত চলে যায় ঘাড়ের ওপর গোলাকার বস্তুটির দিকে। নাহ্‌, আছে। জিনিসটার অস্তিত্ব অনুভব করি আমি। আসলেই আমি বোধ হয় সেকেলে, এ যুগের ছেলে-মেয়েদের আবেগ, মানসিকতা, চাহিদা আমি কিছুই বুঝিনা।

“তাহলে তুই চাস কি”? এতক্ষণে আমার ধৈর্য্যের বাঁধ ভাংতে শুরু করেছে। কত্তগুলি টাকা!

-কেন তুমি জাননা কি চাই? একটা মোবাইল ফোন চাই।

-ঠিক আছে আমারটা নিয়ে নে।

-আরে বাবা ওটাতো স্মার্ট ফোন না, তোমার মতই আনস্মার্ট। সেকেলে।

-কিন্তু স্মার্ট ফোন দিয়ে যা যা করা যায় সবই তো তোর আছে, তাহলে আবার স্মার্ট ফোন কেন?

-কি? সবই আছে মানে? ওটা দিয়ে ছবি তোলা যায়? নেট চালানো যায়? বল যায়?

-নেট চালানোর জন্য তো তোকে মোবাইল দেয়া যাবে না। নেট তো তোর বাবার পিসি দিয়েই চালাস, তাতে হয় না?

-আরে বাবা, আমি নেট চালানোর জন্য মোবাইল চাইছি তোমাকে কে বলল?

-তাহলে কিসের জন্য? ছবি তোলার জন্য?

-এই, এই, খবরদার। ছবি তোলার জন্য চাই নাই কিন্তু। দেখা যাবে কোত্থেকে আবার এক ক্যামেরা এনে হাজির করেছে।

-তাহলে কিসের জন্য চাইছিস? বল আমাকে?

-কেন আমার বান্ধবীদের সাথে কথা বলতে হতে পারে না? সে জন্যে দরকার লাগতে পারে না?

-ঠিক আছে বাবা, কিন্তু সে জন্যে স্মার্ট ফোন কেন? কথা তো যে কোন মোবাইল দিয়েই বলা যায়। কেন? তুই ল্যান্ডফোন দিয়ে কথা বলিস না?

-মা, তুমি না? তোমাকে আমি আসলে কিছুই বুঝাতে পারব না।
এই বলে এক ঝটকায় আমার ঘর থেকে বের হয়ে নিজের ঘরে দৌড়ে চলে যায়।

আমার মন টা খারাপ হয়ে যায়। আসলেই বোধহয় আমি সেকেলে মা। এ যুগের ছেলে-মেয়েদের আবেগ, মানসিকতা, চাহিদা আমি কিছুই বুঝিনা।

ল্যাপটপটা হাতে নিয়ে যাই ওর ঘরে। দেখি বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে কাঁদছে। মনটা খারাপ হয়ে যায় আমার।

হঠাৎ আমার কি যেন হয়ে গেল, কোত্থেকে এক স্মার্ট মা এসে ভর করল আমার ওপর। আমি আর দেরী করলাম না। মেয়েটাকে আমার ল্যাপটপটা দিয়ে দিলাম। হুম, আমার সবচাইতে পছন্দের যে জিনিসটা, সে ল্যাপটপটা ওকে দিয়ে দিলাম। একেবারে স্বর্বস্বত্ত ত্যাগ করে।

প্রথমে কিছুটা অবাক হলেও সাথে সাথেই নিজেকে সামলে নেয় মেয়েটা। “মা, সত্যি তোমার ল্যাপটপটা দিয়ে দিচ্ছ আমাকে”? বিশ্বাস হতে চায় না ওর।

-কেন? কোন সন্দেহ আছে?

-না, মা। থ্যাঙ্কু, থ্যাঙ্কু। ইউ আর গ্রেট। ইউ আর সো স্মার্ট!

স্মার্ট মায়ের গর্বে গর্বিত আমি চলে আসি আমার ঘরে। দরজাটা লাগাই। এর পর ওর বাবার পিসি টা অন করে এই লেখাটা লিখতে বসে যাই।

এই মাত্র দরজার ওপাশ থেকে ওর সাড়ে পাঁচ হাত সাইজের চিৎকারটা ভেসে আসল –

“মা-আ, তোমার ল্যাপটপের ওয়াই-ফাই কানেকশন কই”?

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪

বিজন রয় বলেছেন: স্মার্ট লেখা।
++++

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ওরা বলে, ওদের মায়েরা নাকি সেকেলে? ;)

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যি সময়ের সাথৈ সাথে চাহিদার যে বিস্তর ব্যবধান, অনুভব শেয়ারিং কেয়ারিং এর যে বিশালকার গ্যাপ ... দারুন ফুটেছে..

ব্যক্তি কেন্দ্রীকতার খোলনলচেতে বড় হওয়া এ জেনারেশন স্রেফ আপনাটুকুই বোঝে..সার্বিকতা, সামগ্রিকতা যেন উবে যাচ্ছে!!!

++++++++++++

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: "ব্যক্তি কেন্দ্রীকতার খোলনলচেতে বড় হওয়া এ জেনারেশন স্রেফ আপনাটুকুই বোঝে..সার্বিকতা, সামগ্রিকতা যেন উবে যাচ্ছে!!"
আসলেই উবে যাচ্ছে-সহমত।

সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাই।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: এটা কি নতুন সিরিজ ভাইয়া? ভাল হয়েছে। আপনার ছেলে কাজীম কেমন আছে?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: হায় হায়, বলেন কি?
এক সিরিজের কস্টে কুস্ট আমি। সিরিজের বাইরে অন্য লেখাগুলো কেউ যেন পড়তেই চায় না। ছোট বোন বলল, "ভাইয়া তুই সারাজীবন আজবই থেকে যাবি, তা সে স্বভাবেই হোক আর লেখায়ই হোক"।
চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করলাম। জানি লেখা ভালো হবে না। তাই ছোট ছোট করে শুরু করলাম, আর এ জন্যেই লেখার শেষে জুড়ে দিলাম -আমার ছোট ব্লগ।
এই হোল "আমার ছোট ব্লগ"-এর ছোট কাহিনী।

কাজীম আবার কেমন থাকবে? মহানন্দে আছে। কাল ওর জন্য ভ্যালেন্টাইন খুজতে বের হলাম। ও তো মহাখুশী। খুশীর চোটে কাঁধেই ঘুমিয়ে পড়ল।

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬

ইয়েলো বলেছেন: ভাল লিখেছেন

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, কস্ট করে পড়ার জন্য।

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অামি মায়ের কাছে কখনো কিছু অাবদার করিনি, এমনকি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসও না । কিছু প্রয়োজন হলে স্বেচ্ছায়ই মা কিনে দিতেন । স্মার্ট মেয়ের অানস্মার্ট মায়ের জন্য কষ্ট লাগলো ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: হুম, মা কিন্তু আনস্মার্ট না। বরং যথেস্ট স্মার্টলি মেয়েকে হ্যান্ডেল করেছে।
ঘটনাটা আমার পরিচিত একজনের জীবন থেকে নেয়া।

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

সুমন কর বলেছেন: হাহাহা...মজা করেই বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।

"এ যুগের ছেলে-মেয়েদের আবেগ, মানসিকতা, চাহিদা আমি কিছুই বুঝিনা।"

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন দা।

৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অসাধারণ লেখনীতে বাস্তবতা এঁকেছেন!!!! স্মার্ট লেখা -------
বাবা হয়েও মায়ের অনুভূতি বুঝতে পেরেছেন!!! :)

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু,
যতটুকু মনে হয়েছে, লিখেছি। যথার্থতা পরিমাপ আপনারাই করতে পারবেন।

৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪

বাকপ্রবাস বলেছেন: দারুণ

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ। অসংখ্য ধন্যবাদ।

৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

প্রামানিক বলেছেন: বাস্তবতার ভিত্তিতে চমৎকার লেখা, আমিও এই বিপদে আছি। । ধন্যবাদ ভাই পল্লব-

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: খুব স্মার্টলি ডিল করুন, আর আপনার স্মার্টনেসটা যাতে এই জেনারেশন ধরতে না পারে।
আল্লাহ্‌ আপনার সহায় হোন, এই কামনাই করি।

১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাল একটি ব্যাপার নিয়ে লিখেছেন। (+)

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাই।

১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৯

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: ওভার স্মার্ট মেয়ে বলে কথা! :(
মায়ের অনুভূতি চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: পুরো জেনারেশনটাই ওভার স্মার্ট হয়ে যাচ্ছে।
মায়ের অনুভূতিটা একজনের কাছ থেকে গিফট পাওয়া।

ধন্যবাদ ভাই।

১২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০২

আজাদ মোল্লা বলেছেন: সুন্দর করে বাস্তবতা তুলে ধরেছেন ,
ভালো থাকবেন ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫১

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই,
দোয়া করবেন।

১৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাস্তবতা , লেখায় ভালোলাগা ভাইয়া :)

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
দোয়া করবেন।

১৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: হা হা হা। এ কালের পুলাপাইন বলে কথা।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: "হা হা হা। এ কালের পুলাপাইন বলে কথা ।
এক্কেবারে ঠিক কথা ।

১৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: দারুণ গল্প.। ক্রমশ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠা এই সময়ের গল্প।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

১৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও সেকেলে। জীবনে এখন পর্যন্ত কোনো স্মার্টফোন ব্যবহার করা হলো না। টাচস্ক্রিন ইউজ করতে পারি না। আমার গুড ওল্ড নোকিয়া ২৩০'ই ভালো।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: আমার কথা কি বলব? একটা নোকিয়া ই-৬৩ চালালাম সাত বছর। গত বছর মৃত্যুবরণ করল। এখন কোনমতে উইন্ডোজ সেট চালাচ্ছি।

১৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

আবু শাকিল বলেছেন: চাহিদার দিন বদল।
অতি স্মার্ট পোলা-পানের বাস্তবতা ফুটে উঠেছে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: এরা আসলে কি চায়, নিজেরাই জানে না।

১৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দূর্দান্ত লেখনি আপনার। পড়তে পড়তে ভুলে গিয়েছিলাম, লেখিয়ে একজন পুরুষ! :P
মনে হচ্ছিল, এক মা-ই তার নিজের জীবনের ঘটনা লিখেছেন।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সাথে থাকবেন আশা করি।

১৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩২

আরজু নাসরিন পনি বলেছেন:
ইয়েসসস !
আমিও সেকেলে মা ।

অনেক ভালো লাগলো পড়তে ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: "ইয়েসসস" টা মনে হয় একটু লম্বা হয়ে গেল !
যাক্‌ ! তাহলে নিজেকে সফল মনে করতে পারি?

জানাবেন আপু।

২০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪২

আরজু নাসরিন পনি বলেছেন:

আমি ইচ্ছে করেই লম্বা করেছি...কারণ আমিও তেমনই করি...যদিও কন্যার এখনো সরাসরি মোবাইল চাওয়ার মতো সাহস বা বয়স কোনটাই হয়নি ।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩০

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: হাজারটা স্যালুট একজন মা কে।
এ যুগের ছেলেমেয়েরা মা-বাবাদের সেকেলেই মনে করে। তারা এটা বুঝে না যে, গাছগুলো ফলের ভারে নুইয়ে পড়া মানেই আত্মসমর্পণ করা না। এ নুইয়ে পড়া হয় গভীর ভালোবাসা, গভীর আবেগ আর সব বিপদ থেকে নিরাপদে রাখার ঐকান্তিক ইচ্ছা থেকে। গাছ আফটার অল গাছই, তার একেলে আর সেকেলে হয় না। বরং যত পুরনো হয় অভিজ্ঞতাও হয় তত বেশী।

আমার মনে হচ্ছে এই প্রথম আপনিই একজন যে আমার লেখার মর্মার্থটা ধরতে পেরেছেন।

আবারও হাজারটা স্যালুট।

২১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এককথায় দারুণ লিখেছেন। আসলে আমরা অনেক সময় নিজেরাই জানি না আমরা কি চাই, কেন চাই? আর এই রোগ প্রজন্মান্তরে গাণিতিক হারে বেড়ে চলেছে।

গল্পে +++ এর সহিত ভাললাগা রইল।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: "আমরা অনেক সময় নিজেরাই জানি না আমরা কি চাই, কেন চাই? আর এই রোগ প্রজন্মান্তরে গাণিতিক হারে বেড়ে চলেছে"
আসলেই ভাই খাঁটি কথা বলেছেন।

ধন্যবাদ, অতি সুন্দর কমেন্টের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.