নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিচিত্র চরিত্রের সন্ধানে…

বিচিত্রতায় উপস্থিত হলেই কেবল বিচিত্র চরিত্রের সন্ধান পাওয়া যায়।

পৃথ্বীর পরিব্রাজক

কিছু প্রস্ফুটিত স্বপ্নের প্রয়াণ, যেখানে স্বাপ্নিক আমি! কারো অযত্নের, অবহেলার ও অনাদরের পাত্র, সেও এই অপরিত্‌যক্ত আমি!!!

পৃথ্বীর পরিব্রাজক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বদরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:২৭

…..সত্তর জন যুদ্ধ বন্দী হলো। বন্দীদের

সঙ্গে কোনো ধরণের নির্দয় ব্যবহার না করার জন্য

সাহাবীদের নির্দেশ দিলেন রাসূল (সাঃ। তাঁর এরুপ

আচরণে বিস্মিত হয়ে যুদ্ধ বন্দিরা রাসূল (সাঃ)-এর

তরে জীবন পর্যন্ত বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত হয়ে গেল।

হ্যাঁ, আমি এখানে বদর যুদ্ধের যুদ্ধ বন্দি প্রসঙ্গেই বলছি…



.....রাসূল (সাঃ)মাত্র অল্প সংখ্যক সৈন্য

নিয়ে যাত্রা করলেন। দলে উট ছিল মাত্র ৭০টি অর্থা্ৎ

প্রতি তিন জনের জন্যে একটি। ফলে তাঁর বাহন উটেরও অপর

দুজন অংশিদার ছিলেন। তারা হলেন আলী (রাঃ) ও আবু

লুবাবাহ (রাঃ)। যখন রাসূল (সাঃ)এর হেঁটে চলার পালা এল, তখন তারা বললেন- “হে আল্লাহর রাসূল!

আপনি উপরেই থাকুন, আপনার পরিবর্তে আমরা হেঁটে চলব।”

তিনি বললেন, “না আমরা পালাক্রমেই আরোহণ করব।”...



শুধুমাত্র বদর যুদ্ধে এমন অসংখ্য ঘটনা ছিল।যার থেকে এখানে আমি মাত্র ছোট্র দুইটি ঘটনা আপনাদের

কাছে শেয়ার করলাম।



উপরোক্ত দুইটি ঘটনা থেকে কি প্রতীয়মান?

জানি, উত্তর জানেন তবুও প্রশ্ন রইল আপনাদের কাছে…



মানবতা আজ কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে? প্রতিনিয়ত তথাকথিত

যুদ্ধের নামে বর্তমান বিশ্বে এসব কি ঘটছে?



নির্যাতিত, নিপীড়িত, অসহায় ফিলিস্তিনের দিকে একটু তাকান আর ভাবুন কি হচ্ছে এসব...!!!



ইদানিং এসব কথা কেউ

গলা উচিয়ে কিংবা নামিয়ে ভার্চুয়াল বা রিয়েল

লাইফে বললেই তারা সুশীলদের চোখে মধ্যযুগীয় ভর্বরতায় চলে যায়। আমি তাদের চুলকাতে আজকের

দিনে অন্তত এসব দিকে যাচ্ছি না।



দ্বিতীয় হিজরীর ১৭ রামাদ্বান তথা আজকের এই

দিনে ইসলামের প্রথম সশস্ত্র যুদ্ধ বদর যুদ্ধ

সংঘটিত হয়েছিল। যাহা ইতিহাসে গাযওয়াতুল বদর

বা Battle of Badr বা বদর যুদ্ধ নামে পরিচিত

এবং পবিত্র কুরআনে ইয়াউমুল ফুরক্বান তথা সত্য

মিথ্যার মাঝে পার্থক্যকারী দিন হিসাবে পরিচিত।এ যুদ্ধ একটি অসম যুদ্ধ ছিল কারণ মুসলমান সৈন্য

সংখ্যা ছিল মাত্র ৩১৩ জন যার বিপরীতে কাফির সৈন্য

সংখ্যা ছিল ১০০০ জন।



সত্য-মিথ্যার তুমূল যুদ্ধ চলছে। কাফিরদের সাথে সোরাকা ইবনে মালেক রুপী এক শয়তানী বাহিনী এসেছিল যার দরুণ যুদ্ধে ভাগ্য বিপর্যয় দেখা দিচ্ছিল, এসময় আল্লাহ তাঁর হাবিবকে সাহায্যের জন্য জিব্রাইল (আঃ) এর নেতৃত্বে একদল ফেরেস্তা বাহিনী প্রেরণ করলেন যা দেখে সোরাকা ও তার সাথীরা আতঙ্কিত হয়ে পালিয়ে গেল।



মুজাহিদগণ আর আসমানি ফেরেস্তাদের আঘাত সহ্য করতে না পেরে এভাবে কাফিররাও পালাতে লাগল। এ যুদ্ধে আবু জেহেল, উতবা, শায়বা ও হানজালা প্রমুখ সহ শতাধিক কাফিররা নিহত হলো, সত্তর জন বন্দী হলো।

যার ফলে মুসলমানরা এই অসম যুদ্ধে জয়লাভ করল তবে শাহাদতের অমীয় সুধা পান করেছিলেন ১৪জন সাহাবী (রাঃ).



গাযওয়াতুল বদর বা বদর যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয়ের

ফলে আনসার আর মুহাজির তথা গোটা মুসলমানদের

ঈমানি শক্তি, মনোবল ও উৎসাহ- উদ্দীপনা বহুগুণে বেড়ে গেল। মহান প্রতিপালকের

প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস এবং তাঁর প্রিয় হাবিব পাক (সাঃ)-

এর প্রতি তাদের প্রেম-ভালোবাসা আরো শক্ত-পক্ত হলো।

তাদের অন্তরে এ ধারণা বদ্ধমূল হলো যে, ন্যায়ের

পথে চললে, জীবন বাজি রাখলে এবং তাঁর হাবিব (সাঃ)

কে ভালোবাসলে পৃথিবীতে এমন কোনো শক্তি নেই, মুসলমানদের পরাজিত ও পরাভূত করতে পারে।

এ যুদ্ধে বিজয় অর্জন মুসলমানদের পরবর্তী যুদ্ধে ও

যুগে প্রেরণা দিয়ে চলছে…



আসুন রাসুল (সাঃ) এর রঙ্গে নিজেদের রাঙ্গায় এবং মহান বদর থেকে শিক্ষা নিয়ে বদরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.