নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"মস্তিষ্ক বিকৃত, কিন্তু বিক্রীত নয়\" (never care for what they say......)

পুরোনো পাপী

"তোমার মনের মইধ্যে আলেকের বাস, সে না কাউরে শোনে, না কাউরে বোঝে। তুমি যা বোঝাও সে তাই বোঝে।"

পুরোনো পাপী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তার উপরে সদর কোঠা আয়না মহল তায়

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৫৭



"খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়
তারে ধরতে পারলে মনো বেড়ী দিতাম পাখির পায়"


পাখিটারে ধরাটাই তো অসম্ভব হইয়া দাড়াচ্ছে, আস্তে আস্তে সকল মানুষের জন্যেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় আসলে পাখির পায়ে বেড়ি দেয়াটা।

এইখানে "পাখি" আর "খাঁচা" সম্পর্কে যদি কারো ধারণা না থাকে অল্প করে বলতে পারি "খাঁচা" আসলে আমাদের দেহকে বুঝানো হয়েছে যাতে শ্বাস প্রশ্বাস আসা যাওয়া করে। নিঃশ্বাস টাই "পাখি" র রূপকে গানে উঠে আসা।

এই পাখিটারে ধরতে পারলে বেড়ী দিয়ে বেধে রাখার কথা বলা হয়েছিল আসলে গানে। অমরত্ব হত তবে মানুষের।

"আটকুঠুরী নয় দরজা আটা, মধ্যে মধ্যে ঝরকা কাটা
তার উপরে সদর কোঠা আয়না মহল তায়"


দেহতত্ত্বের গান গুলোতে এমন করেই আসলে দেহের বর্ণণা দেয়া হয় সাধারণত। সবচাইতে গুরুত্ব পূর্ণ ব্যাপার হল সদর কোঠার ভিতরে আয়না মহল। এখানে আয়না মহল বলতে যা বুঝি নিজের মাথার ভিতরের মস্তিষ্ককেই বোঝানো হয়েছে।

"কপালের ফের নইলে কি আর পাখিটির এমন ব্যাবহার
খাঁচা ভেঙে পাখি আমার কোনখানে পালায়"


মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। সেটা আমরা যতই চেষ্টা করি তা ঠেকানোর ক্ষমতা অর্জন করি নাই এখনো হয়তো কখনো সম্ভবও না তা। ভাগ্যের দোষেই হোক আর অন্য কোন কারণেই হোক মানুষ অমর নয়। যে কোন সময়েই এই প্রাণ পাখি খাঁচা ত্যাগ করতে পারে। সেই কথাই বুঝানোর চেষ্টা।

"মন তুই রইলি খাঁচার আশে খাঁচা যে তোর কাঁচা বাঁশের
কোনদিন খাঁচা পরবে খসে ফকির লালন কেঁদে কয়"


আমরা আমাদের মণে মনে আসলে সারাজীবনই মানুষের বাহ্যিকতায় মজে থাকি। সহজ কথায় বলতে গেলে নিজেকে বাহ্যিকভাবে উপস্থাপন নিজের বাহ্যিকতা কিংবা অন্যের বাহ্যিক সৌন্দর্য্য আমাদের বিবেচ্য থাকে। কিন্তু দেহটা যে নশ্বর। দেহ কখনোই অপচনশীল নয়। এই নশ্বর দেহই আসলে কাঁচা বাঁশের খাঁচা যার ভেতরে যাওয়া আসা করে অচিন পাখি। পাখি টা যতটাই না চেনা ঠিক ততটুকুই অচেনা আমাদের সকলের কাছেই। পাখিটা ধরার মতন বেড়ী তৈরী হয়নি কখনো হবেও না।

দেহতত্ত্ব নিয়ে চিন্তাভাবনা আসলে আমার মূল বিষয় কখনোই না। দেহতত্ত্বে আমি কখনোই খুব বেশি আগ্রহী না। কয়েকদিন যাবত মন খুবই খারাপ যার কারণ এই দেহতত্ত্ব। নশ্বর মানুষ। মানুষের এই প্রাণ যদি কাউকে দান করা যেত আমার অংশ ভাগ ভাগ করে কয়েকজন ভাল মানুষকে দান করতাম। এটলিস্ট পৃথিবীতে আরো কয়েকদিন কিছু ভাল মানুষ বেঁচে থাকুক, আমি নাহয় না ই থাকলাম। আমার থাকা না থাকাতে পৃথিবীতে কোন ফারাক পরবে না। কিন্তু সেই ভাল মানুষগুলোর পৃথিবীত্যাগ অনেক গুলো মানুষের জন্যে দূর্ভোগের কারণ হবে হয়তো।

লালন সাঁই এমন একজন মানুষ তার কথার বিশ্লেষণ করতে যাওয়া আসলে ধৃষ্ঠতারই সামিল। মাঝে মাঝে মন বিক্ষিপ্ত থাকলে সেই চেষ্টা করি। ভুল ভ্রান্তি থাকা অস্বাভাবিক না। তার জন্যে ক্ষমাপ্রার্থী। আর কেউ ভুল ধরিয়ে সামনে আসতে চাইলে অবশ্যই স্বাগতম।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: লালন এর মানসিকতা রবীন্দ্রনাথের চেয়ে উত্তম ছিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.