নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমোদাচির ব্লগবাড়িতে স্বাগতম!!

তোমোদাচি

শিকড়ের টানে শিকড় গেড়ে বসতে শিকড়ের কাছে ফিরছি .।

তোমোদাচি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের আইপ্যাড টা চোর নিয়ে গেছে ... ... ... !!! :|:((/:):P

২৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১০

বছর তিনেক আগে বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে একটা আইপ্যাড কিনেছিলাম। ছেলে কে দিয়ে তার মা’কে গিফটটা দেওয়ালাম। উদ্দেশ্য ছিল, এটা সে পার্সোনাল কাজে ইউজ করতে পারবে এবং তার স্কুলের বাচ্চাদের বিভিন্ন ছবি বা ভিডিও দেখিয়ে শেখাতে। কিন্তু ফল হলো উল্টো! ছেলে নাম মাত্র তার মা’কে আইপ্যাডটটি হস্তান্তর করল ঠিকই কিন্তু পরক্ষনে তা নিজের দখলে নিয়ে নিল! ;)



এই থেকে শুরু। প্রথম প্রথম আমাদের একটু ধরতে দিত, কিন্তু দিন দিন সে সেটা পুরাপুরি নিজের দখলে নিয়ে নিল। আমরাও খুব একটা বাধা দিইনি, শুধু খেয়াল রেখেছি যেন খারাপ কিছু না দেখে। শিক্ষামূলক গেইম-কার্টুন গুলো খুজে খুজে বের করে দিতাম; এক সময় সে নিজেই এক্সপার্ট হয়ে গেল। এখন আর আমাদের সাহায্য লাগে না, নিজে নিজেই ভিডিও বের করে,অ্যাপেল ষ্টোর থেকে গেইম ডাউন লোড করে। ডিস্কোভারীর শিক্ষামূলক ডুকুমেন্টরী গুলো তার খুব পছন্দ। আমরাই এগুলো দেখতে তাকে উতসাহিত করতাম। দিন দিন ছেলে বিশাল বিদ্বান হয়ে উঠল, ইংলিশ কার্টুন দেখে তার ইংলিশ এক্সেন আমাদের থেকেও ভাল হইয়ে গেল, অনেক এক্সক্লুসিভ ইনফরমেসনে সে বাবা-মা কেও হারিয়ে দিতে লাগল ... বাবা-মা ছেলের পাণ্ডিত্যে গর্বিত!! B-)



কিন্তু একসময় মনে হলো ছেলে আইপ্যাডের প্রতি আসক্ত হয়ে উঠছে। প্রথম প্রথম পাত্তা দিইনি - কি আর করবে সারাদিন, খেলার সাথি নেই, খেলার মত পরিবেশ নেই, তাছাড়া ও আইপ্যাড নিয়ে থাকলে আমরাও আমাদের কাজকর্ম নিরঝঞ্জাট ভাবে করতে পারি। আমি আমার পিএইচডি থিসিসের কাজে খুব ব্যস্ত; ওর মা’ও স্কুল সংসার নিয়ে ব্যস্ত। ছেলেকে সময় দেওয়া হচ্ছে কিন্তু সঙ্গ দেওয়ায় হচ্ছে না। সেই সুযোগে ছেলের আইপ্যাড দেখার নেশা আরো বেড়ে গেল। তারচেয়ে বড় কথা ও অন্য সকল বিষয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছিল। ওর গাড়ি ফ্যাসিনেশনের কথা এই ব্লগে অনেকেরই জানা। সেই গাড়ী নিয়েও তার উতসাহে ভাটা পড়ল। ঘুম থেকে উঠে আইপ্যাড ধরত আর ঘুমানো আগে জোর করে হাত থেকে আইপ্যাড নিতে হতো। এমনও হয়েছে ৩/৪ ঘন্টা ধরে আইপ্যাড খেলছে কিন্তু তারপর যখন ওকে সেটা রাখতে বলা হচ্ছে তখন কথা শুনছে না, জোর করে নিতে গেলে জীদ করে বেয়াদবী করে বসছে। ওর সব কিছুর কেন্দবিন্দু তখন আইপ্যাড। নাওয়া, খাওয়া, খেলা, ঘুম, বেড়াতে যাওয়া ... কোন কিছুতেই আর ওর খেয়াল নেই। কোথাও ঘুরতে গেলে অস্থির হয়ে যেত কখন বাসায় ফিরব, মানে আওইপ্যাড খেলতে পারব। শখের বই পড়াতে মনোযোগ নেই, রেস্পন্স কমে গেল, ৪/৫ টা ডাক দিলে একটার উত্তর দিত তাও যদি সেটা মায়ের ডাক হয়, বাপের কোন পাত্তাই নেই! আগে যেখানে ল্যাব থেকে ফিরে দরজায় টোকা দেওয়ার সাথে সাথে পড়ি মড়ি করে ছুটে আসত... “আমার জন্য কি এনেছ” বলে। এখন সেখানে দরজা নক করতে করতে হাত বেথা হয়ে যায়, ওর মা চিল্লাতে চিল্লাতে গলা ফাটিয়ে ফেলে ... ছেলের খোজ নেই। অনেকক্ষন পরে যদিও আসে এক হাতে আইপ্যাড ধরা, আর চোখ থাকে চলমান ভিডিওতে! X(



আমরা দুজনেই বুঝতে পারছিলাম, আইপ্যাড ছেলেটার খুব ক্ষতি করছে, ও এডিক্টেড হয়ে যাচ্ছে। ওর কাছ থেকে যখন আইপ্যাড কেডে নেওয়া হতো তখন ওর এক্টিভিটি দেখে নেশাগ্রস্থ ছেলেমেয়েদের কথা মনে হতো। গতানুগতিক ভাবে আমরা দু’জন দু’জন কে দোষ দিচ্ছিলাম ছেলের এই অবস্থার জন্য। অনেক ভাবে চেষ্টা করছিলাম ওর এই নেশা কাটানোর, কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না।



চিন্তা করলাম জাপান থেকে যখন দেশে যাব তখন অনেক মানুষের মধ্যে থাকব; তখন আইপ্যাডের নেশা ছাড়ান যাবে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আইপ্যাড লাগেজে তালা দিয়ে রাখা হলো। খুব একটা সমস্যা হয়নি, তারপরো মাঝে মাঝে নেশাটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠত; তখন খুব কান্না কাটি করত।



দু’মাস দেশে থাকার পর চাকুরী নিয়ে মালয়েশিয়া চলে আসলাম। নতুন জায়গা, নতুন ইউনিভারসিটি, মানিয়ে নিতে আবার ব্যস্ততা বেড়ে গেল। সেই সুযোগে একদিন দুইদিন করে আবার ছেলে চলে গেল আইপ্যাডের দখলে। বুঝতে পারছি আইপ্যাড ছেলেটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। মাঝে মাঝে মনে হতো আইপ্যাডটা আছাড় দিয়ে ভাঙ্গি! তাও করতে পারতাম না, এত টাকার জিনিষ!!! নিজেদের খুব অসহায় মনে হতে লাগল !



একদিন এই বুদ্ধিটা ওর মা দিল ... আমাদের আইপ্যাডটা চুরি হয়ে যাবে! ওটা অনির্দিষ্ট কালের জন্য চোর চুরি করে তার অফিসে নিয়ে যাবে। ;) ওকে বিশ্বাস করানোর জন্য ওর আইপ্যাড আর ডি-এস এর সাথে আমাদের নষ্ট ল্যাপটপটাও চোর নিয়ে যাবে। কিন্তু কাজটা খুব একটা সহজ ছিল না; অনেক প্রিপারেশন এর ব্যাপার ছিল; ওকে ব্যাপারটা পুরাপুরি বিশ্বাস করাতে হবে। ওর একটা প্রতিক্রিয়া হবে সেটা সামাল দেওয়ার জন্য ওকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে, সর্বপরি আমরা অনিরদিষ্টকালের জন্য আইপ্যাডটার মায়া ছাড়তে পারব কি না।



যা-ই হোক একদিন সেই সুদিন এল... ছেলে স্কুল থেকে এসে দেখল আর আইপ্যাডটা চোর নিয়ে গেছে; সে তাড়াতাড়ি তার বাবাকে ফোন দিল, বাবা অফিসের কাজ ফেলে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে এল... পুলিশ কে ফোন করা হলো... পুলিশ বল্ল তারা চোর কে খুজে বের করবে এবং কয়েক দিনের মধ্যে আইপ্যাড টা ফেরত দিয়ে যাবে।। :P



দু-ই মাস হতে চলল, এখনো পুলিশ আইপ্যাডটি খুজে পাইনি; ;) প্রথম দিকে প্রায়ই জিজ্ঞাসা করত- পুলিশের আর কয়দিন লাগবে? আমি একটু পুলিশের সাথে একটু কথা বলতে পারি?? ... কিন্তু পুলিশ তো আবার ইংলিশ, বাংলা বা জাপানীজ বুঝেনা!! মালেশিয়ান পুলিশ তো জাপানের পুলিশ এর মত এতটা এক্সপার্ট না তাই মনেহয় তারা খুজে পাচ্ছে না! সেদিন আমাকে জিজ্ঞাসা করছে, আচ্ছা বাবা চোর কি আইপ্যাডটা নিয়ে খেলতে পারবে? আমি বললাম না, কারণ ওটা তো পাসওয়ার্ড প্রটেক্টেড! ও নিশ্চিত হলো তাহলে তার আইপ্যাড নষ্ট হবে না! :((



এখনো সে আশা করে আছে পুলিশ তার আইপ্যাড খুজে বের করে দিবে ... কিন্তু দিনে দিনে সে আইপ্যাডের কথা ভুলে যাচ্ছে। সবচেয়ে ভাল কথা, আল্লাহর রহমতে ছেলে আবার আগের অবস্থানে ফিরে যাচ্ছে ... ... ... ... ... ওর জন্য দোয়া চাইছি!

মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২৪

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ! অনবদ্য এক শিক্ষামূলক বাস্তবতা।

২৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩৩

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ, শরৎ ।

আসলে নিজের ঘটনাটা এখানে লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার মত অন্য বাবা-মা কেও সতর্ক করা।

আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের অনেক কিছু দিচ্ছে ঠিকই কিন্তু তার অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার আমাদের কাছ থেকে আরো বেশী কিছু কেড়ে নিচ্ছে। আমরা তা অনেকেই বুঝতে পারছি না; বা বুঝতে পারলেও, ঠেকাতে পারছি না ।

২| ২৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বাহ! ভালো লাগলো , যেভাবেই হোক আপনার ছেলেটা আসক্তি থেকে মুক্ত তো হতে পারলো। ওর জন্য অনেক শুভকামনা।
যেভাবে ওকে আসক্তিমুক্ত করলেন প্রবাদটা মনে পড়লো, ''সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে...।'' ;)
তাও মা বা যা কিছু করেন সন্তানের ভালোর জন্যই তা করেন।

২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

তোমোদাচি বলেছেন: মা বাবা যা কিছু করেন সন্তানের ভালোর জন্যই তা করেন...


কারন


সন্তান কে বাবা-মায়ের চেয়ে আর কেও বেশী ভাল কখনই কেও বাসতে পারে না।

৩| ২৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫০

আধখানা চাঁদ বলেছেন: আইপ্যড কাজের জিনিস সন্দেহ নেই, কিন্তু বাচ্চাদের আসক্ত হতে সময় লাগে না। একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা এই লেখাটা। বাচ্চার জন্যে শুভকামনা।

২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০১

তোমোদাচি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চাঁদ ;)

৪| ২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩

আমি স্বর্নলতা বলেছেন: আপনার ছেলের জন্য দুয়া রইল অনেক। ফিয়াআমানিলাহ!

২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯

তোমোদাচি বলেছেন: নেক ধন্যবাদ স্বর্নলতা

৫| ২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫

আরহাসান বলেছেন: আমার মেয়েকে নিয়ে একি সমস্যাই আছি, গেম খেলার প্রচন্ড নেশা। তার দক্ষতাও মুগ্ধ করার মত-যে কোনো কঠিন গেম সে বেশ ভাল খেলে। আমিও বুদ্ধি করে বলেছিলাম নষ্ট হয়ে গেছে :)
ওনেক বোঝানোর পর এখন একটু নেশা কমেছে।

২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০১

তোমোদাচি বলেছেন: হ্যাঁ, বাচ্চারা খুব তাড়াতাড়ি আসক্ত হয়ে পড়ে!

বাচ্চাদের কি দোষ দিব; গেইম গুলো এত আকর্ষণীয় করে বানানো থাকে যে বড়রাই নেশায় পড়ে যায়!

৬| ২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯

শায়মা বলেছেন: আহারে বাচ্চাটা! ওর দুঃখ আমি বুঝতে পারছি!

২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩

তোমোদাচি বলেছেন: আহহ রে ... :| :|


আমার ও খুব খারাপ লাগছিল ওর এত পছন্দের জিনিষ্টা চুরি করতে, কিন্তু কি আর করা!!

৭| ২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪

ঘাসফুল বলেছেন: আমাদের বাবু দের ক্ষেত্রে ঘটনা সেম সেম :-B তবে পার্থক্য- মাঝে মধ্যে আপনার ভাবীর বস কাজ করার জন্য নেয়, আবার ফেরতও দেয় (অবস্থা বেশী খারাপ হইলে আরকি) B-)

২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪

তোমোদাচি বলেছেন: পার্থক্য খুব একটা নেই ... ঘটনা সেইম, প্রতিকার একটু ভিন্ন আর কি !!;)

৮| ২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫

মাথা ঠান্ডা বলেছেন:
অাপনার ছেলের জন্য শুভ কামনা।

আমার ছেলের ও একই অবস্থার দিকে যাচ্চে মনে হচ্ছে্

২৯ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮

তোমোদাচি বলেছেন: সাবধান হোন ভাই; ছেলেকে বেশী সময় দিন; এই নেশা যেন না ধরে; তাহলে ছাড়ান কঠিন হবে।

৯| ২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আসক্তি শুধু শিশু কিশোরদের নয়, বড়দের মধ্যেও দেখেছি। সারাদিন ফেসবুক, ব্লগ এসব নিয়ে কেটে যায়, এমন বয়স্ক মানুষ আমার আশেপাশেই আছে। তথ্যপ্রযুক্তি মানুষের কল্যানের সাথে সাথে অকল্যাণও বয়ে এনেছে। আমেরিকায় ইন্টারনেট আসক্তির ওপর গবেষণা করে ভয়াবহ খারাপ ফলাফল পাওয়া গেছে, যা কিছুদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম।
যাই হোক, আপনার সন্তান আসক্তিমুক্ত হতে পেরেছে, সে জন্য আপনারা তার বাবা মা যথার্থ পথই অবলম্বন করেছেন। আপনাদেরকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।

২৯ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১

তোমোদাচি বলেছেন: হ্যাঁ, ইন্টারনেট এর আসক্তি থেকে বড়রাও রেহায় পাচ্ছে না।

আধুনিক দুনিয়ায় ইন্টারনেট এর প্রয়োজন অনস্বীকার্য; কিন্তু
সতর্ক থাকা উচিত যেন এটা কোনভাবেই আসক্তির পর্যায়ে না যায়!

১০| ২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬

আকিব আরিয়ান বলেছেন: শেষ পর্যন্ত ছেলেও আপনার চতুর বুদ্ধির কাছগে হার মানলো =p~ =p~

২৯ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২

তোমোদাচি বলেছেন: কি আর করব ভাই, ডিজিটাল যুগের বাচ্চা-কাচ্চা মানুষ করতে গেলে একটু আধটু চতুর বুদ্ধিতো খাটাতেই হয়!!

১১| ২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭

মামুন রশিদ বলেছেন: একটা কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরলেন । যাক শেষ পর্যন্ত আইপ্যাড সংক্রান্ত জটিলতা থেকে মুক্তি পেলেন ।

২৯ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

তোমোদাচি বলেছেন: আপাতত মুক্তি ভাই, দেখা যাক ...

ধন্যবাদ আপনাকে

১২| ২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: কিছু বলার নাই, ভালোলাগা আপনার সুন্দর অনবদ্য রাইটিং স্কিলে, ভালো বিন্যাস ...
শুভকামনা জানবেন নিরন্তর ...

২৯ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

তোমোদাচি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুনতাসির ভাই

১৩| ২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:২১

আমি ইহতিব বলেছেন: বাহ্‌, দারুন বুদ্ধি বের করেছেনতো ভাইয়া। আসলে আমাদের একটু বুদ্ধিদীপ্ত প্যারেন্টিং ই পারে আমাদের আগামি প্রজন্মকে সুন্দর করতে। ভালো থাকুন এই দোয়া করি।

২৯ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

তোমোদাচি বলেছেন: হু, পোলাপান সঠিক পথে রাখাটা খুব কঠিন কাজ

১৪| ২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭

রাহুল বলেছেন: শুভকামোনা।

২৯ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ

১৫| ২৯ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সবচেয়ে ভাল কথা, আল্লাহর রহমতে ছেলে আবার আগের অবস্থানে ফিরে যাচ্ছে ... ... ... ... ... ওর জন্য দোয়া চাইছি!

আল্লাহ ওর মঙ্গল করুন।

আবার দেইখেন এই পোষ্ট খানা কোনভাবে যেন চোখে না পড়ে ;) তবেই সেরেছে!!

আকাশ থেকে প্রপাত ধরনীতল হয়ে যাবেন ;)

সাধু সাবধান, থুরি চোর;) সাবধান =p~ =p~ =p~ =p~

২৯ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭

তোমোদাচি বলেছেন: হা হা হা ...

ওর প্রধান ল্যাঙ্গুয়েজ বাংলা কিন্তু এখনো বাংলা পড়তে পারে না

১৬| ২৯ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

ফা হিম বলেছেন: ভালো একটা বুদ্ধি দিলেন। অনেক অনেক ধইন্ন্যাপাতা।

২৯ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯

তোমোদাচি বলেছেন: কিন্তু কাজটা করতে হবে খুবই সাবধানে, ও যেণ কোন ভাবেই টের না পাই। এবং একবার সরিয়ে ফেললে তা খুব তাড়াতাড়ি আর আনা যাবে না। এবং আনতে হলে সেটার ও যেন একটা যুক্তি থাকে, ও যেন কোন ভাবেই বুঝতে না পারে যে কাজটা আপনারা করেছেন।
তাইলে কাজের চেয়ে ক্ষতিটাই বেশী হবে!

১৭| ২৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৬

Unmad বলেছেন: আমার ছোট ভাইতো ফেসবুকে চরম আসক্ত

৩০ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৬:৩৫

তোমোদাচি বলেছেন: :(

১৮| ২৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

ভারসাম্য বলেছেন: রাদিলের বয়স কত এখন? পুলিশে ফোন করার ব্যাপারটা কী ভাবে সাজিয়েছিলেন? এখন কী নিয়ে সময় কাটে ওর? অনেক দোয়া রইল বাবাটার জন্য।

৩০ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৬:৩৮

তোমোদাচি বলেছেন: ওর ৭ হলো।
কিছুটা অভিনয় করতে হয়েছে আর কি ... ;)
বাসায় আর একটা ল্যাপটপ আছে, কিন্তু সেটা তে তেমন আসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই; ওটা দিয়ে আমরা ৩ জন কাজ করি। ও আবার গাড়ী খেলা শুরু করছে, বাসায় প্রচুর বই আছে, সেগুলো পড়ে বাইরে সাইকেল চালায়...


অনেক ধন্যবাদ

১৯| ৩০ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:৫৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: জটিল বুদ্ধি!! কিন্তু আমার সমস্যা যে অন্যখানে। মেয়ের মার সাথে কথা বলার মাধ্যম এটাই। কম্পিউটার আমার ভদ্রমহিলা তেমন ভাল বুঝেন না। মানে মাউস কন্ট্রোলই করতে পারেন না।
সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লেখা। কেউ যদি এটা থেকে শিক্ষা নেয়,তাহলেই আপনার কষ্ট স্বার্থক। তবে এটা কিন্তু বর্তমানে আমাদের সামাজিক ষ্টাটাস হিসাবেও পরিগনিত হচ্ছে,এটাও ভুলে গেলে চলবে না।

৩০ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৬:৪২

তোমোদাচি বলেছেন: ট্যাটাস হয়ত অনেকেই মনে করেন। কিন্তু সেটা বাদ দিলেও এটার অনেক কাজ ও আছে। বাচ্চারাও এখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে যেটা প্রথমেই বলেছি।

কিন্তু সমস্যা হয় আসক্তির পর্যায়ে চলে গেলে, সেটাই সাবধানে থাকতে হবে!

২০| ৩০ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৫৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ভাতিজীর জন্মদিনে ওকে একটা আইপ্যাড গিফট্ করেছিলাম। ভাইজানের কথা শুনে মনে হলো, ও-ও মনে হয় একই পথে যাচ্ছে, সারাদিন নাকি তাকে কার্টুন দেখাতে হয় :#> :#> কার্টুন ছাড়া যে কিছুই খাবেনা!

অবশ্য আমার নিজের আইপ্যাডে শুয়ে শুয়ে ইউটিউব আর কিছু বইপত্র ছাড়া তেমন কিছু করা হয়না। /:) /:)

আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল।

৩০ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:০৩

তোমোদাচি বলেছেন: হ্যাঁ, পোলাপান তো তাদের লিমিট বুঝে না; তাই অভিভাবক দের সতর্ক থাকতে হয়!

২১| ৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: মাঝেমধ্যে কিছু অন্যায় আর ছলনা করা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। শুভকামনা রইলো আপনার ছেলের জন্যে।

আইপ্যাডটা আমারে পাঠায় দেন।

০১ লা জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:৫৫

তোমোদাচি বলেছেন: আইপ্যাডের নেশায় আপনার লেখালেখিতে ব্যাখ্যাত ঘটুক সেটা জনগন চায় না, তাই ওটা আপাতত চোরের জিম্মায়ই থাকছে ;)

২২| ৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২

খাটাস বলেছেন: ভাল ব্যাপার গুলো ও বেশি হয়ে গেলে ভাল না। ভালই করেছেন। আপনার ছেলের ও পরিবারের জন্য দোয়া ও শুভ কামনা।
ভাল থাকবেন তোমোদাচি ওরফে বন্ধু। আপনি ই একদিন এই অর্থ বলেছিলেন মনে হয়। :)

০১ লা জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:৫৬

তোমোদাচি বলেছেন: হ্যাঁ বন্ধু, ভাল থাকবেন

২৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাল বুদ্ধি।

০১ লা জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:৫৬

তোমোদাচি বলেছেন: ;)

২৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: যাক জনাব চোরের একটা উপকারী দিক পাওয়া গেলো অবশেষে B-)

ভাইপোর জন্য এত্তগুলা শুভকামনা থাকল।

০১ লা জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:৫৮

তোমোদাচি বলেছেন: চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা যদি সেটা ভাল উদ্দ্যেশ্যে করা হয়!!


নতুন বানী দিলাম ;)

২৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:০৪

কলাবাগান১ বলেছেন: এত ওয়েবসাইট হ্যাক হয় কিন্তু সামু......

আছেন কেউ সামুকে 'চুরি' করার.....

২৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: আমার আশেপাশে পরিচিত অনেক বেবিরা এই রোগে আক্রান্ত !! মানসিক বিকাশের জন্য ব্যাপারটা খুব ক্ষতিকর ।
আপনার সমাধানটা অনেক বুদ্ধিদীপ্ত হয়েছে ।

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:০৮

তোমোদাচি বলেছেন: আসলে আমার এই আইডিয়া অনেকের জন্যই প্রযোজ্য হবে না, কারন সে ক্ষেত্রে বাসার লোকজনের ও আইওয়াড ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সেটা সব ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। এটা আপত কালীন একটা সমাধান।

প্রথম থেকেই খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চা যেন এটার উপর আসক্ত না হয়ে যায়; গড়ে প্রতিদিন এক দেড় ঘন্টা খেল্লে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে বাচ্চাকে অর্থপূর্ণ সময় দিতে হবে। তার সাথে বিভিন্ন এক্টিভিটিজ এ যুক্ত হতে হবে।

ধন্যবাদ আপনাকে

২৭| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

মুহিব বলেছেন: আহা রে।

১০ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:২৭

তোমোদাচি বলেছেন: ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.